এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • ভোট টু, নো ভোট টু, জোট টু, নো জোট টু ---- শ্লোগান ও জোটের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব 

    Sandipan Majumder লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১১৮ বার পঠিত
  • গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে  একটা শ্লোগান পশ্চিমবঙ্গে দারুণ জনপ্রিয় হয়েছিলো—নো ভোট টু বিজেপি। এই শ্লোগানের প্রবক্তারা বিশ্বাস করেন যে  সেই নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির যে বিপুল হার তার পেছনে এই শ্লোগান ভিত্তিক কর্মসূচীর কার্যকারিতা ছিলো।এমনকি একটি বাম দল সি পি আই লিবারেশন এই শ্লোগানকে সমর্থন করেছিলো।  বঙ্গের পূর্বতন ক্ষমতাসীন  বামপন্থীরা অবশ্য কোনোদিনই এই  শ্লোগানকে ভালো ভাবে নেন নি । তাঁদের মতে,  এ আসলে ঘুরপথে তৃণমূলকে সমর্থন করার ডাক। এ নিয়ে কম আকচাআকচি আমরা দেখিনি। তাই যখন ব্যাঙ্গালুরুতে কংগ্রেসকে মধ্যিখানে রেখে তৃণমূল আর সি পি এম একই মঞ্চে বসলো তখন  নো ভোট টু পন্থীরা বললেন, হুম, বলেছিলাম কিনা, শেষমেশ আমাদের শ্লোগানই তো মানতে হোলো। তাঁরা অবশ্য সেই মুহূর্তে ভুলে গেলেন যে বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস পরেই বাবুল সুপ্রিয়র তৃণমূলে পুনরাগমন মানতে না পেরে  তাঁরা  নিজেরাই সেই শ্লোগান  থেকে সরে এসে ‘ভোট টু সায়রা হালিম’ বলে বামপন্থী প্রার্থীর অনুকূলে শ্লোগান তুলেছিলেন। আবার এমন নয় যে ‘ নো ভোট টু’ শ্লোগানের জন্ম এই সদ্য হোলো। বামপন্থী দলগুলি অনেকদিন থেকেই সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে এই শ্লোগানের  প্রয়োগ ঘটাচ্ছে। যখন থেকে অ-কংগ্রেস, অ-বিজেপি তৃতীয় জোটের বাস্তবতা শূণ্যে মিলিয়ে যায় তারপর থেকেই  বামপন্থীরা  ‘বাম গণতান্ত্রিক বিকল্পের’  বদলে ‘বাম ও ধর্মনিরপেক্ষ বিকল্প’র প্রস্তাব গ্রহণ করেন।  ফলে ভারতের বিভিন্ন নির্বাচনে যেখানে বামপন্থী দলগুলির অধিকাংশ জায়গাতেই প্রার্থী থাকে না, সেখানে নিজেদের সদস্য ও সমর্থকদের কাছে  বামপন্থী  দলের নির্দেশ থাকে কোনো ধর্মনিরপেক্ষ প্রার্থীকে সমর্থন করার। অর্থাৎ ‘নো ভোট টু বিজেপি’ শ্লোগান বামপন্থী দলগুলি সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে অনেক আগেই গ্রহণ করেছে।

    বেঙ্গালুরু আর মুম্বাইতে ইণ্ডিয়া জোট গঠনের মধ্য দিয়ে তাহলে নতুন কী হোলো যাতে বেশ কিছু বামপন্থী সমর্থক দলগুলির ওপর রেগে গেলেন ? কারণ একটাই, সেখানে মমতা বন্দোপাধ্যায় তথা তৃণমূলের অংশগ্রহণ। এঁদের মধ্যে একটা বড় অংশের আবেগ এটাই যে এতে তৃণমূলের বিরূদ্ধে বাংলায় বিরোধী বামপন্থীদের সংগ্রাম দুর্বল হয়ে গেলো। তৃণমূলের সীমাহীন দুর্নীতি, স্বৈরাচার, স্তাবক সংস্কৃতির বিস্তার এদের স্বাভাবিক অনীহার কারণ। সেই সঙ্গে পরপর দুটি পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা, রক্তপাত, বিরোধীদের প্রতি আক্রমণের এঁরা অনেকেই প্রত্যক্ষদর্শী, কেউ কেউ ভুক্তভোগী। সেই তৃণমূলের সঙ্গে একই জোটে থাকা নিয়ে তাই অনেক দলীয় সমর্থক নিজের প্রিয় দলের সর্বভারতীয় নেতৃত্বকে বেইমান বলতেও ছাড়ছেন না। তাঁদের আবেগকে সম্মান জানিয়েও বলতে হয় এ তাঁদের রাজনৈতিক ভুল।

    কারো সঙ্গে রাজনৈতিক কারণে একই মঞ্চে বসা মানেই  তাদের সঙ্গে জোট হয়ে গেল একথা ঠিক নয়। ১৯৮৯ সালে ভিপি সিংকে মাঝখানে রেখে  অটলবিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে জ্যোতি বসু এক মঞ্চ শেয়ার করায়  যেমন বামবিরোধীরা ভুলভাবে  বলে যে বামপন্থীরা বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলো। আসলে সেই মঞ্চের  ভরকেন্দ্র ছিলো ভিপি সিংয়ের জনতা দল । বামপন্থীরা তাকে বাইরে থেকে সমর্থন করায় বিজেপিকে তখনকার মত ভিপি সিংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকারে আসা থেকে আটকানো গিয়েছিলো। তাই ভি পি সিংয়ের  সরকার পড়ে যাওয়ার পর বামপন্থীরা বাইরে থেকে সমর্থন করে নরসিংহ রাওয়ের সংখ্যালঘু কংগ্রেসকে। এইবারও অলিখিতভাবে এই ইণ্ডিয়া জোটের ভরকেন্দ্র জাতীয় কংগ্রেস। সেখানে যাওয়ার ক্ষেত্রে বামপন্থীদের তাই স্বাভাবিকভাবেই কোনো দ্বিধা থাকতে পারে না কারণ ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ বিকল্পের কথা তারা বরাবরই বলে এসেছেন । এখন কংগ্রেস সমেত এই জোটের অনেক দল  ঠিকমত ধর্মনিরপেক্ষ কিনা সে নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু সেই বিতর্ককে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এনে লাভ নেই । কারণ সকলেই জানেন কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের মতো আর কোনো দলেরই  একটি ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র স্থাপনের এজেণ্ডা নেই, নেই ভারতবর্ষের সংবিধানের মৌলিক চরিত্র পালটে দেওয়ার এজেণ্ডা, নেই  একটি বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু করে নিরন্তর ন্যারেটিভ নির্মাণের দায়বদ্ধতা।এখানেই ইন্ডিয়া জোটের প্রাসঙ্গিকতা। সেই জোটে তৃণমূল কোন বাধ্যবাধকতা থেকে সামিল হয়েছে, আগামী দিনে সে আবার ‘একলা চলো’র নামে বিশ্বাসঘাতকতা করবে কিনা সেটা সময়ই বলবে। কিন্তু বামপন্থীরা  এর আগেও জয়ললিতার মত এমন অনেক  দোদুল্যমান চরিত্রের সঙ্গে জোট করেছেন এই লক্ষ্যে যে বিজেপি শিবিরে চলে যাওয়ার থেকে অন্তত তাকে যদি নিউট্রালাইজ করে রাখা যায়। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও একই ফরমুলা প্রয়োগ করার তো কোনো বাধা নেই। দিদি মোদী সেটিং আছে  সেটা বঙ্গীয় বামপন্থী নেতাদের কথায় আমরা অনেক শুনেছি। যদি মমতা এই জোট ছেড়ে চলে যান তখন সেকথা তাঁরা আরো জোর গলায় বলার সুযোগ পাবেন।কিন্তু আগে থেকে শুধু তাঁর উপস্থিতির কারণে কোনো ছুঁৎমার্গ দেখানো সম্ভব নয় সেটা বঙ্গীয় বাম সমর্থককুলকে বুঝতে হবে।

    এই জোটে থেকেও এই রাজ্যে তৃণমূলের সর্বাত্নক বিরোধিতা করা  কী সম্ভব নয় ? আমার তো মনে হয় সেটা আরো বেশি করে সম্ভব।ইন্ডিয়া জোটে থাকার ফলে বামদের বিজেপি বিরোধিতা নিয়ে এখন আর কেউ  প্রশ্ন করতে পারবেন না যে প্রশ্ন এই রাজ্যের তৃণমূলের প্রতি নরম মনোভাবের মানুষরা অভিযোগ আকারে করে থাকেন যে বামেরা নাকি তৃণমূলের বিরুদ্ধে যতটা সরব থাকেন বিজেপির বিরুদ্ধে ততটা থাকেন না ( তাঁদের কে বোঝাবে যে সারা বছর পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে আগ্রাসী হিন্দুত্ব নিয়ে, সাম্প্রদায়িকতার বিপদ নিয়ে যত আলোচনাসভা হয় তার ৯৯ শতাংশই বামপন্থীরা আয়োজন করে থাকেন)। এই রাজ্যের বাস্তবতায় এমনকি পঞ্চায়েতের একটি আসনও তৃণমূল তাঁর সর্বগ্রাসী মানসিকতায় বামদের ছাড়বে না (কংগ্রেসকে ছাড়তে পারে, কিন্তু জেতার পর আবার তাকে নিজের দলে টেনে নেবে )। তাই বামদের সঙ্গে তৃণমুলের রাজনৈতিক লড়াই চলতেই পারে। সীতারাম ইয়েচুরি জানিয়েছেন ২০০৪ সালে বামপন্থীদের যে ৬১ টি আসন লোকসভায় ছিলো তার মধ্যে ৫৭ টি আসনে তাঁরা সরাসরি কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই করে জিতেছিলেন। তবুও সেই লোকসভায় বামপন্থীদের সমর্থনেই গঠিত হয়েছিলো প্রথম ইউ পি এ সরকার। আর এখানে  তো তৃণমূলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সম্পর্কই নেই কোনো।

    এই জোটে আছে সি পি আই এম এল (লিবারেশন}। লিবারেশনের একসময় শ্লোগান ছিলো ‘স্বাধীন বাম উদ্যোগ’ (Independent Left Initiative ). সি পি আই, সি পি আই এম প্রভৃতি বাম দলের বিরুদ্ধে এঁদের অভিযোগ ছিলো যে এরা বুর্জোয়া দলগুলির সঙ্গে জোট করে। তখন বিহারে, যেখানে  লিবারেশনের শক্তি বেশি সেখানে সিপি আই এবং সি পি আই এম লালুপ্রসাদের সঙ্গে জোট করতো এবং লিবারেশনের  আবেদনে কর্ণপাত করতো না। এতদসত্ত্বেও একবার বিহারে এই স্বাধীন বাম উদ্যোগের পরীক্ষা হয়ে গিয়েছিলো যেবার লালুর সঙ্গে  কোনো বাম দলের জোট হয় নি এবং তিনটি প্রধান বাম দল একসঙ্গে লড়াই করেছিলো। সেবার সি পি আইয়ের আসন অর্ধেক হয়ে যায়, সি পি আই এম হয়ে যায় শূণ্য। লালু গর্বিত উক্তি করেন ‘সি পি আই হাফ, সি পি এম সাফ’। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবং বর্তমান ভারতবর্ষের রাজনৈতিক বাস্তবতা বুঝে নিয়ে সেই  ‘স্বাধীন বাম উদ্যোগ’ এর শ্লোগান দেওয়া লিবারেশনও এই  ইণ্ডিয়া জোটে সামিল হয়েছে। তবু সবচেয়ে বেশি গালাগালি খেয়ে মরছেন,  অ্যাজ ইউজুয়াল সীতারাম ইয়েচুরি এবং তার একটা বড় অংশই আসছে নিজের দলের নিচুতলার সদস্য সমর্থকদের কাছ থেকে।

    অনেকে বলছেন বামদের যে সংসদীয় ক্ষমতা তাতে এই জোটে তাদের  টুয়েলভথ ম্যানের ভূমিকা পালন করতে হবে। বামদের ক্ষমতা সব সময় শুধু সংসদীয় আসন সংখ্যার ওপর নির্ভর করে না, করে জোটের নীতি নির্ধারণের প্রশ্নে। সংযুক্ত কৃষক মোর্চার আন্দোলনের ক্ষেত্রে সেই  ছাপ রেখে যাওয়ার প্রভাব আমরা দেখেছি । রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার যখন পুরোনো পেনসন স্কীম ফিরিয়ে আনছে বা গিগ ওয়ার্কারদের পক্ষে শ্রমনীতি চালু করছেন সেখানে বহু   বছর ধরে  কেন্দ্রীয়  ট্রেড ইউনিয়নগুলি যে দাবিগুলিতে ধর্মঘট এবং অন্যান্য আন্দোলন করে আসছে সেগুলি মান্যতা পাচ্ছে। আর্থিক উদারনীতির প্রবর্তক কংগ্রেসই সেগুলি করতে বাধ্য হচ্ছে। তাই সংগ্রামের একটা মূল্য থাকেই । কি কেন্দ্রে, কি রাজ্যে, সংসদের বাইরে সেই লড়াইকে অব্যহত রেখে যদি বামপন্থীরা ঈণ্ডিয়া জোটে থাকেন সেটাই তাঁদের ইতিকর্তব্য হওয়া উচিত কিনা  সেটা সাধারণ বামপন্থী সদস্য ও সমর্থকদের  একটু ভেবে দেখতে অনুরোধ করবো।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১১৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপ | 42.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৩৫523202
  • দীপ | 42.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৪০523203
  • এরপরও মহাবিপ্লবীরা(!!!) আদর্শের বুলি কপচে মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাবেন! 
    অবশ্য গায়ের চামড়া গণ্ডারের চেয়েও মোটা না হলে তো রাজনীতি করা যায়না!
  • π | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৪৩523204
  • ১৩ জন লেখা  আর ১৪ জনের ছবি? 
     
    আবাপ তে তো শতরূপের ছবি ছিল না!  
  • π | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৪৫523205
  • তবে লেখক তো INDIA জোটে সিপিএম এর থাকার কথাই লিখেছেন, তো লেখককে কি খোঁচা/গালি ই: দিলেন, দীপ? 
  • Somnath | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৫২523206
  • শতরূপবাবুর ছবিটা নেহাৎই ফটোশপ। উনি অতবড় নেতাও নন জাতীয় স্তরের। যাইহোক, লেখাটা ভালো।
  • dc | 2401:4900:1cd0:b405:34e4:f898:1778:***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৫৩523207
  • নো ভোট টু বিজেপি অতি অবশ্যই সর্বভারতীয় স্লোগান হওয়া উচিত, শুধু পবর জন্য না। আর আমার কাছে তো নো ভোট টু বিজেপির মানে খুবই সিম্পুল - বিজেপিকে ছাড়া আর যাকে ইচ্ছে ভোট দিন, নিজের পছন্দের প্রার্থী থাকলে সেই প্রার্থীকে ভোট দিন, না থাকলে র‌্যান্ডমলি কোন একজন অ বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিন। দাঙ্গাবাজরা যেন ভোট না পায়, শুধু সেটাই উদ্দেশ্য। দেখাই তো যাচ্ছে এই স্লোগানে সবচেয়ে বেশী জ্বলছে চাড্ডিদের, কারন ওরা বুঝতে পারছে যে স্লোগানটা এফেক্টিভ হলে বিজেপির বিপদ। 
  • দীপ | 42.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:২০523208
  • সব রাজনৈতিক দল ও তাদের পোষ্যদের দেখলেই জ্বলে।
    কংগ্রেসের দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র বিজেপির উত্থান প্রশস্ত করেছে। আর সেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে বিজেপিকে হারানো হবে! 
    বেশ ভালো!
  • dc | 2401:4900:1cd0:b405:34e4:f898:1778:***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:২৩523209
  • আমি যেমন এআইডিএমকে কে ভোট দেবো। 
     
    (তবে চুপি চুপি বলে রাখি, এবার নাকি এআইডিএমকে পার ভোটার তিন হাজার বাজেট বানিয়েছে। ডিএমকে হয়তো তিন হাজার নাও দিতে পারে, সেক্ষেত্রে তো এমনিতেও এআইডিএমকে কে ভোট দিতে হবে)। 
  • দীপ | 42.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:২৩523210
  • এখানেও তো কংগ্রেস আর আব্বাসের সঙ্গে জোট হয়েছিল।
     
    ফল কি হয়েছে? 
    মানুষকে এতো নির্বোধ না ভাবাই ভালো!
  • dc | 2401:4900:1cd0:b405:34e4:f898:1778:***:*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:২৪523211
  • ধুর উল্টো লিখেছি। ডিএমকে কে ভোট দেবো। 
  • দীপ | 42.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৩৩523212
  • আমার ব্যক্তিগত ধারণা এই দলগুলোর মধ্যে ভালো ফল করবে সমাজবাদী পার্টি, জেডিইউ আর আপ।
    পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল ২৪-৩২ আসন পাবে।
    বাকিদের কথা বলতে পারছিনা।
  • দীপ | 42.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৪৮523218
  • Ranjan Roy | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:৩৪523224
  • দীপের  বক্তব্য ঠিক  বুঝতে  পারছি  না। ধরে নিলাম কংগ্রেসের ভুলে অথবা বামপন্থীদের ভুলে  বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে।
    তাতে  কী?
    আজকে  যেভাবে  বিচার ব্যবস্থার ও সংবিধানের এবং ফেডারেলিজমের বারোটা বাজিয়ে  চারদিকে ধর্মীয় ও জাতি ঘৃণার বিষ উগরে দেওয়া হচ্ছে  তার  বিরুদ্ধে একজোট  হওয়ার ডাককে কি ট্রিভিয়ালাইজ করা ঠিক?
  • guru | 103.17.***.*** | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৩৭523306
  • দেখুন গো বলয়ের বহু রাজ্যে কংগ্রেস আর বিজেপি মুখোমুখি এবং এসব জায়গাতে কংগ্রেস বেশ কয়েক বছর ধরে সুবিধা করতে পারছেনা | ইন্ডিয়া জোট গঠন করে কি পার পাবে এসব জায়গাতে কংগ্রেস ?
     
    তৃণমূল , ডিএমকে ,সমাজবাদী পার্টি, জেডিইউ , আরজেডি আর আপ এদের নিজস্ব শক্তিশালী ভোটব্যাংক আছে | কংগ্রেস বা বামেরা পক্ষে এলো না গেলো তাতে এদের কিছু আসবে যাবেনা |
     
    এই INDIA জোটটি মূলতঃ কংগ্রেসের একটি চাল যে কোনোভাবেই হোক না কেন বিজেপি কে হারানো | কিন্তু কংগ্রেসের নিজের ভোটব্যাংক কি গোবলয়ে বাড়বে এতে ? গোবলয়ে বিজেপি কে হারানো না গেলে কিন্তু কোনোভাবেই তাকে দিল্লিতে গদিতে আরেকবার বসা থেকে আটকানো সম্ভব নয় | কিন্তু গোবলয়ে বিজেপি কে হারানো যাবে কিভাবে ?
     
    বর্তমানে রাজনীতির আরেকটি দিক হচ্ছে একটি চোরা স্রোত | গোবলয়ের হিন্দি হিন্দু রাজনীতি আর তার বিরুদ্ধে তামিল নাড়ু বা কেরলের এথনিক রাজনীতি | INDIA জোটের ফলে এই রাজনীতি সমীকরণ কি হবে ?
     
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন