এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ইস্পেশাল  নববর্ষ

  • রেকর্ড নম্বর সহ অকৃতকার্য

    সৈকত বন্দোপাধ্যায়
    ইস্পেশাল | নববর্ষ | ১৫ এপ্রিল ২০২২ | ৮৩৯০ বার পঠিত | রেটিং ৪.৮ (৬ জন)

  • বাংলা নাকি বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ছে। নিউ-ইয়র্ক সিটিতে গত নির্বাচনে কিছু জায়গায় ভোটে বাংলা ব্যালট হয়েছে। বার্নি স্যান্ডার্স অনলাইন প্রচার করেছেন বাংলায়। লন্ডনে হোয়াইট চ্যাপেল স্টেশনের নাম লেখা হচ্ছে বাংলায়। রোম শহরে নাকি ইংরিজির চেয়ে বাংলা বেশি লোকে বলে। চারদিকে তাকালেই এইসব বিশ্বজয়ের খবর-টবর পাওয়া যায়। আরও হয়তো কিছু পাওয়া যেতে পারে, যা আমি জানিনা। এর সবই ঠিক। কিন্তু কথা হল, ভালো হোক বা মন্দ, এর সব দায়ই বস্তুত বাংলাদেশের। ভারতীয় বাঙালির নয়, ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের তো নয় বটেই। ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র একটিমাত্র ভাষাকে ভারতীয় ভাষা হিসেবে বহির্বিশ্বে তুলে ধরে, তার নাম হিন্দি। ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইট কেবলমাত্র দুটি ভাষায়, ইংরিজি এবং হিন্দি। ভারতীয় বিমানসংস্থা এয়ার-ইন্ডিয়া বিদেশে (এবং দেশেও) ঘোষণা করে কেবলমাত্র হিন্দি এবং ইংরিজিতে। বহির্বিশ্বে ভারতের পরিচয় হিন্দিভাষী দেশ হিসেবে। আর বাংলার যেটুকু পরিচিতি, সেটা বাংলাদেশের ভাষা হিসেবে। সঙ্গে ফুটনোটে খুব ছোটো-ছোটো করে লেখা থাকে, "ভারতের কোনো কোনো অঞ্চলেও এই ভাষাটি বলা হয়ে থাকে"। বাংলার পরিচিতি বলতে ওইটুকুই।

    ভারতীয় বাঙালিও এ নিয়ে বিশেষ চিন্তিত না। একরকম ভাবে স্বীকৃতই হয়ে গেছে, যে, ব্যাপারটা এরকমই হবে। এরকমই হবার কথা। ইংরিজিতে আছে ঘ্যাম, হিন্দি হল রাজভাষা -- এখন সেটাকে ওই নামেই ডাকা হচ্ছে, আর বাংলার কী আছে? কিস্যু না। বাঙালি যদিও হিন্দি সিনেমা গুছিয়ে দেখে, কিন্তু "মেরে পাস মা হ্যায়" -- এই ডায়লগ যে নেহাৎই ফালতু, এর যে কোনো বৌদ্ধিক বা আবেগগত আবেদন নেই, সেটা সে নিজেও বিলক্ষণ বোঝে। হ্যাঁ, দুর্গাপুজো, পয়লা বৈশাখ, আর বঙ্গোৎসব-টব হয়, যেমন গ্রামে-গঞ্জে হয় চড়ক আর গাজন, কিন্তু সেসব নেহাৎই স্থানীয় কারবার। তার বাইরে, ভারতীয় বাঙালি অন্য ভারতীয়ের সঙ্গে স্বেচ্ছায় এগিয়ে গিয়ে কথা বলে হিন্দিতে। বাঙালির দ্বিতীয় প্রজন্ম ক্রমশ বাংলাটা ভুলে যাচ্ছে। শুধু বিদেশে বা ভিন রাজ্যেই না, খোদ কলকাতা শহরেও। কিন্তু এসব নিয়ে বলতে গেলে বাঙালি নিজেই হাঁ হাঁ করে উঠবে। তারা সর্বভারতীয় হচ্ছে, আন্তর্জাতিক হচ্ছে। আরও কী-কী হচ্ছে, ঈশ্বরই জানেন। সেখানে এসব ছোটো মনের পরিচয় দেওয়াটা ঠিক না।

    যদিও, যুক্তি দিয়ে জিনিসটা বোঝা দুষ্কর। বাঙালি যদি দিল্লি কিংবা নিউ-ইয়র্কে গিয়ে হিন্দি কিংবা ইংরিজি ভাষী হয়ে ওঠে, সেটাই যদি দস্তুর হয়, তবে বাংলায় এসে অন্যভাষীদের বঙ্গভাষী হয়ে ওঠারই কথা। আবার অন্যভাষীরা বাংলায় এসে যদি নিজের ভাষা বজায় রাখে, বা রাখতে পারে, অন্যত্র বাঙালিদেরও তেমনই হবার কথা। এর কোনোটাই হয়না। ভারতীয় বাঙালির কাছে এর কোনো ব্যাখ্যাও নেই। সম্ভবত অস্বস্তিকর বলেই। আর সেই জন্য প্রশ্নটা তোলাই ট্যাবু। তুললে কঠিন-কঠিন ইংরিজি গালি বর্ষিত হতে পারে।

    আর এটা ট্যাবু বলেই বাকি প্রশ্নগুলোও ওঠেনা। ভারতবর্ষের বাইরে ছাড়ুন, আপনি যদি দিল্লি থেকে অন্তর্দেশীয় উড়ানে কলকাতা যান, সেখানে ঘোষণা শুনবেন হিন্দি এবং ইংরিজিতে। তারপর যদি ট্যাক্সিতে ওঠেন, এবং ট্যাক্সিওয়ালা এফএম চালায়, শুনবেন, সব গানই হিন্দি গান। যদি বিনোদনের জন্য সিনেমা দেখতে যান, তো দেখবেন, বেশিরভাগ সময়েই মাল্টিপ্লেক্সে একটিও বাংলা সিনেমা নেই। যদি বাংলার গর্ব বইমেলায় যান, শুনবেন, সব ঘোষণা হচ্ছে তিনটি ভাষায়, ইংরিজি, হিন্দি এবং বাংলা। একে ইংরিজিতে বলে ইনক্লুসিভনেস, বাংলায় বলে সকলকে আপন করে নেওয়া। তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু আপন যদি করতেই হয়, তো স্রেফ হিন্দি কেন। পাশের পাড়ার ভোজপুরি, অসমীয়া, উড়িয়া, তেলুগু কী দোষ করল? প্রশ্ন করলে, আবারও কোনো উত্তর পাবেননা। কারণ এটাও ট্যাবুরই অংশ।

    যেটা ট্যাবু নয়, সেটা হল সংবাদ চ্যানেল। দিনের যেকোনো সময় যেকোনো সংবাদ চ্যানেল খুলুন, দেখবেন, চাট্টি লোক, পুরুষ বা মহিলা, একত্রে বিশুদ্ধ বাংলায় তারস্বরে চিৎকার করছে। সেটাকে আমজনতা বলে ঝগড়া, ওঁরা বলেন রাজনৈতিক বিতর্ক। তা,গোলাপকে যে নামেই ডাকুন, বার্তাটা পরিষ্কার। বাংলায় কাজ হয়না, সিনেমা হয়না, গান হয়না, শিল্প-সংস্কৃতি কিস্যু হয়না। ভাষাটা কেবলমাত্র একটা জিনিসের জন্যই উপযুক্ত, তা হল ঝগড়া। ওইটুকুই করা যায়। সেইজন্যই বাংলা সিরিয়ালে দেখবেন, তেড়ে ষড়যন্ত্র। সবাই সবার সঙ্গে ঝগড়া করে চলেছে। বাংলা ভাষায়। ওইটাই যাবতীয় সিরিয়ালের থিম। কিন্তু যেই গান চালাতে হল, হিন্দি গান চালিয়ে দিল। কারণ ঝগড়া ব্যতীত বাংলায় হয়টা কী।

    বাংলা লেখালিখির বাজারও তথৈবচ। ঝগড়ার বদলে 'জনপ্রিয়' লেখালিখি বেছে নিয়েছে এমন বিষয়কে, যা, ওইরকমই উচ্চমার্গীয়। স্বপনকুমার একটা সময় কচি বাচ্চারা পড়ত, বড়রা তা নিয়ে ঠাট্টাতামাশা করত। ফেলুদার গোটা উপাখ্যানই তো বাংলা রহস্যরোমাঞ্চকে খিল্লি করে লেখা। আর এখন থ্রিলার নাম দিয়ে বড়দের জন্য প্রথমসারির সাময়িকীতে ছাপা হয় সেইসব গপ্পো বা উপন্যাস, যেখানে অনায়াসে অ্যাটম বোমা পিঠে নিয়ে সীমানা টপকিয়ে দেশ থেকে দেশান্তরে চলে যায় ভিলেন। গল্পের গরু ইনস্যাটে ওঠে, যমালয়ে চলে যায় জীবন্ত মানুষ। সে নিয়ে ঠাট্টা করলে গণপিটুনি খেতে হতে পারে। একটা সময় যেসব ইতিহাসনির্ভর লেখা, বা ধরুন রহস্যভেদী উপন্যাস স্রেফ কিশোরপাঠ্য পদবাচ্য ছিল, সেসবই এখন চশমা এঁটে পড়ছেন বিদগ্ধরা। সেখানে শাড়ি-ব্লাউজ পরে ঘুরছেন অষ্টাদশ শতকের মহিলা, সম্রাট আকবরের গাড়োয়ান দেশলাই জ্বেলে বিড়ি ধরাচ্ছেন, কিন্তু কাউকে কিছু বলার উপায় নেই। তার উপর আছে ভূতপ্রেত আর তন্ত্রমন্ত্র। এর সবই আগে হত। যেমন ঝগড়াও হত আগে, কিন্তু টিভি চ্যানেলে সেটাকে বিতর্ক বলে চালানো হতনা। সেরকম এগুলোকেও সিরিয়াস সাহিত্য হিসেবে কখনও চালানো হয়নি। এখন হয়। বাংলা ভাষায় ঝগড়া ছাড়াও তৃতীয় শ্রেণীর নভেলও লেখা হয় বটে।

    এ সবই একটা ভাষার অনাড়ম্বরে চুপচাপ উঠে যাবার প্রাথমিক লক্ষণ। তাতে কোনো সমস্যা নেই। পৃথিবীতে কত ভাষাই উঠে গেছে। ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে বাংলা ভাষাটা উঠে গেলেই বা কী। কিন্তু সমস্যা হল, এসবের পরে, বাঙালি আবার নিজেই নাক কুঁচকে বলে, বাংলায় ভালো সিনেমা হচ্ছেনা। ভালো লেখা হচ্ছেনা। আগে কত ভালো হত। আমাদের সংস্কৃতির ঐতিহ্য কত সুমহান, আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম, ইত্যাদি। খুব ভুল কিছু বলে তা নয়। টালিগঞ্জে এখন যাঁরা রাজত্ব করছেন, যাঁরা নাগাড়ে স্ক্রিপ্ট লিখে চলেছেন, যাঁরা প্রসব করে চলেছেন গপ্পো-উপন্যাস-কবিতা, তাঁরা এমনিতে, কে জানে, হয়তো শক্তিমান মানুষ, কিন্তু কর্মকান্ড দেখে সেটা বোঝার উপায় নেই। সর্বত্র, নিচু থেকে নিচুতর স্তরে যাবার প্রতিযোগিতা। কিন্তু কথা হল, একটা ভাষা এবং তৎসংলগ্ন সংস্কৃতি উঠে যাবার উপক্রম হলে, এরকমই হবে। যে পারবে নৌকো ছেড়ে বোম্বে পালাবে। বাদবাকি সবকিছু তলানিতে এসে ঠেকবে। এর সবটাই কিছু লোকের দায় নয়। তাঁরা একার উদ্যোগে ভাষাটা তুলে দেবার উপক্রম করেননি। করেছি আমরা সবাই মিলে। আমরা পরের প্রজন্মকে ভাষা শেখাইনি। আমরা শহরের রেডিও থেকে বাংলা গান উঠে যাওয়ায়, পলকটিও ফেলিনি। আমরা মাল্টিপ্লেক্স থেকে বাংলা সিনেমা উঠে যাবার পরে, লাইন দিয়েছি হিন্দি সিনেমা দেখতে। আমরা বহুভাষিক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো নিয়ে বাকস্তব্ধ থেকেছি। আমরা বাংলা ভাষাকে সামাজিক অথবা রাজনৈতিক কার্যক্রমের অংশ করে তো তুলিইনি, বরং তুলতে চাওয়াকে ট্যাবু বানিয়ে রেখেছি। এর দায় স্রেফ সিনেমাওয়ালাদের নয়, গদ্যলিখিয়েদের নয়, আমাদের সব্বার। আমরা সব্বাই ফেল করেছি। আজ থেকে দুশো বছর পরে, ভারত ভূখণ্ডে মরে যাওয়া বাংলা ভাষার ইতিহাস লিখতে হলে, আমাদের প্রজন্ম সম্পর্কে একটা কথাই লেখা থাকবে -- "রেকর্ড নম্বর সহ অকৃতকার্য"। চতুর্দিকে আঙুল তোলার আগে, বিশ্বের অন্যতম চিন্তাশীল জাতি হিসেবে, এইটা আমাদের মেনে নেওয়াই ভালো।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ইস্পেশাল | ১৫ এপ্রিল ২০২২ | ৮৩৯০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Amit | 61.69.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ১৩:৪৫506643
  • একটা ডিফারেন্স যেটা ডিসি লিখলেন যেটা আমিও নিজে থাকার সুবাদে ফিল করেছি তামিলনাড়ু অন্ধ্র বা কেরল কিন্তু পব র মতো এতটা শুধু একটা রাজধানী শহর কেন্দ্রিক নয়। এই গুলোতে আরো দু তিনটে বা আরো বেশি বড়ো শহর আছে যেগুলোতে সুযোগ সুবিধা , এডুকেশন , ব্যবসা , ইন্ডাস্ট্রি বা কালচারাল একটিভিটি সবদিকেই এদের ইকোয়ালি স্টেট্ ক্যাপিটাল এর সাথে পাল্লা দিতে পারে। জাস্ট ভাবেন ​​​​​​​এইটুকু কেরালায় ​​​​​​​তিনটে ​​​​​​​ইন্টারন্যাশনাল ​​​​​​​এয়ারপোর্ট। ​​​​​​​পব ​​​​​​​তে কলকাতা বাদে ​​​​​​​বাকি ​​​​​​​গুলোকে ইভেন ​​​​​​​প্রপার ডোমেস্টিক ​​​​​​​বলা ​​​​​​​যায় ​​​​​​​কি ​​​​​​​না ​​​​​​​ডাউটফুল। 
     
    পব তে দুর্গাপুর বা বর্ধমান বা শিলিগুড়ি আমি নিজে যেটুকু দেখেছি সেগুলো কোনোভাবেই এরকম লেভেলে নয়। এখানেও যারা থাকেন তাদেরকেও হসপিটাল ইটিসি কলকাতার ওপর অনেক বেশি ডিপেন্ড করতে হয়। এটাও একটা কারণ হতে পারে। 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::35e:***:*** | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ১৩:৪৮506644
  • এটা রাজ্যজুড়ে অর্থনৈতীক উন্নতি সেভাবে না হওয়ার ফল।
  • dc | 182.65.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ১৩:৫০506645
  • হ্যাঁ এটাই বলতে চেয়েছি, অন্ধ্র বা তামিল নাড়ুতে ডিসকোর্সটা একটা শহরের মধ্যে আটকে নেই, যেভাবে কলকাতায় আটকে আছে। আর শুধু গুরুর কথা বলিনি, পেপার টিভি ইত্যাদির কথাও বলেছি। 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::104:***:*** | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ১৪:০১506646
  • অথচ কেরলের চারটে ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের মোট প্যাসেন্জার দুই কোটির কম। কোচিনে এক কোটি, ত্রিবান্দ্রাম ৪০ লাখ, কলিকট ৩২-৩৩ লাখ, কন্নুর ১৬ লাখ। এদিকে শুধু নেতাজীর প্যাসেন্জার ২২ মিলিয়ন (চেন্নইয়ের সমান)। এমনকি বাগডোগরাও ৩২ লাখ মতন (কোয়েম্বাটোরের থেকেও বেশি, নাগপুরের সমান)। এইবারে এই ডেটা দেখে কেউ যদি কেন্দ্রের বন্চনা বলে চেঁচামেচি করে, তখন আমরা সেই নিয়ে খিল্লি করবো।
  • | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ১৪:৩৯506647
  • ও রাজ্য সরকার এয়ারপোর্ট বানায়?  আমার কিরকম ধারণা ছিল এটা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত। 
  • | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ১৪:৪০506648
  • ও রাজ্য সরকার এয়ারপোর্ট বানায়?  আমার কিরকম ধারণা ছিল এটা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত। 
  • একক  | 103.76.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ১৪:৪০506649
  • বারংবার দক্ষিণ ভারতের সঙ্গে তুলনা টানার আগে কতগুলো জিনিস খেয়াল রাখাদরকার। দক্ষিণের 
     
    --একাধিক রাজ্য মিলে ভাষা -সংস্কৃতি ও বাণিজ্য আদান প্রদান করে। আপ্নেরা তক্কো করার সময় প্রায় ই বলেন সাউথে লোকজন নিজের ভাষা নিয়ে কট্টর - ওরা কীকরে পারলো ইত্যাদি। ব্যাপারটা অত লিনিয়ার নয়। আমার দোকানদার কন্নড় বলতে বলতে অহরহ তামিল মেশাতো। তামিলনাড়ু যান বা কেরল সর্বত্রই দোকানঘাট এ মালায়ালম -তামিল  -তেলুগু -কন্নড় সবের মহামিলন চলছে গোটা দক্ষিণ ভারত জুড়ে। এটাই স্বাভাবিক। ওরা আটকেছে হিন্দিকে। প্রতিবেশীর ভাষাকে নয়। 
     
    এবারে আমার প্রতিবেশিরা বাসা কী ? বাঙলা -বিহার -ওড়িশা --- তিনটে জুড়ে পূর্বদেশ নামে কোন আইডেন্টিটি আমরা তৈরী করতে পারিনি। কেন আমাদের প্রাচীন রাজা -সুলতানরা এই তিনটে অংশ জুড়ে ভাবতেন সেইটে আমার ভুলে গেছি প্রাদেশিক আইডেন্টিটি তৈরির সময়। ওড়িশা বাণীজ্যিকভাবে বংলার উপর কম নির্ভরশীল হওয়ায় তাদের ইনফ্লাক্স বাংলায় কম। কিন্তু খুব ন্যাচারাল ভাবেই বিহার থেকে মানুষজন তাঁদের ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে এসেছেন। সেগুলোকে আমরা খোট্টা ইত্যাদি বলে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করছি। তাতে কিন্তু কিছুই আটকায়নি। এখন রবীন্দ্র সরোবর ভেঙে ছটপুজো হলে আমরা কেঁপে উঠছি। 
     
    এই হলো অবস্থা। ধরুন বাংলার সঙ্গে "হিন্দি" মিলে খানিক ইংরিজি মিলে যদি  ইংমৈথিলী নামে একটা স্ট্রেইন তৈরী হয় সমস্যা কী ?? প্রতিবেশীর ভাষা আবার আটকানো যায় নাকি ? ভোজপুরি সিনেমা  - মৈথিলী গীতি এদেরকে আমরা দূরে সরিয়ে রেখেছি ছোটলোকের সংস্কৃতি বলে ঈদীকে যে প্রতিবেশী নয় সেই ইউপি আর মারাঠি কালচারের বলিউডি মিকচার আমাদের কাছে  স্বাগত। 
     
    আবার ও সিরিয়াসলি বলছি বাংলা ভাষায় প্রতিবেশীর ভাষা মিশে যাওয়া নিয়ে আমার অন্তত সমস্যা নেই। সমস্যা আছে বাংলা ভাষা সংস্কৃতির স্থবিরতা নিয়ে। সে কলকেতার হোক বা উত্তরবঙ্গের। এখন ,সংস্কৃতি গড়ে ওঠেএবং টিঁকে থেকে একাধিক বাণিজ্যকেন্দ্রের সঙ্গে আদানপ্রদানে।  পচ্চিমবঙ্গে বাণিজ্য কেন্দ্র কটি ? সবেধন নীলমণি কোলকাতা। জেলার সাহিত্য উৎসবে গেলেই টের পাওয়া যায় কি পরিমান কোলকাতামুখীনতা এবং শেকড়হীনতার  চাষ। বেটার  হবে কিকরে ? ইকোনোমিক হাব গুলো হয় গড়ে ওঠেনি নয় ধ্বংসপ্রাপ্ত। 
     
     
    এই ভগ্নদশা কিন্তু দক্ষীন ভারতের রাজ্যগুলোর নয়। লাফিয়ে লাফিয়ে - ওরা পারলে আমরা পারিনা কেন প্রশ্ন তোলার আগে ভাবা দরকার।
  • r2h | 134.238.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ১৪:৫১506650
  • তামিল তেলুগু কন্নড়রা কিন্তু নিজেদের মধ্য তত সুহৃদও না, সামান্য যেটুকু দেখলাম অল্প ক'বছরে। কন্নড়রা হামেশাই তামিল তেলুগুরা আমাদের জায়গায় এসে সব খারাপ করে দিল এইসব গজগজ করে। মালয়ালিরা বরং সাতে পাঁচে নেই বলে মনে হয়।

    তবে হ্যাঁ, কমন বিপক্ষ আছে, বা ছিল ওদের, হিন্দি।

    বাংলা বিহার উড়িষ্যা, ওদিকে আসাম ত্রিপুরায় বাংলাভাষী অনেক, দেশভাগটা হয়েই তো সব গোলমাল হলো। না হলে কলকাতা, হাওড়া, ঢাকা, চট্টগ্রাম, শিলচর বিস্তৃত ব্যাপার।
  • একক | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ১৪:৫৯506651
  • না সুহৃদ নয়। আমার কন্নড় বন্ধু প্রায় ই আমার মাল্লু বাড়িওলা কে গাল দিত ঃ) 
     
    কিন্তু তারপরও ভাষা সংস্কৃতি যতটা মিলেমিশে গেচে, সেটা আমাদের সঙ্গে বিহার ওড়িশা শিলচর কারওর নেই।
  • Somnath Roy | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ১৫:৩১506652
  • একককে ব্রজবুলির শেষ প্রতিনিধিদের তরফ থেকে বিরাট ক!
  • dc | 182.65.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ১৫:৩৩506653
  • এককের সাথে আমারও অবসার্ভেশান মেলে। তামিল তেলেগু কন্নড় মালয়ালি হয়তো গলায় গলাও বন্ধু না, তবে অনেকটা মিলমিশ আছে। অনেকেই দুটো বা এমনকি তিনটে ভাষা জানে, বা অন্তত বুঝতে পারে। নিজেদের মধ্যে আদান প্রদান আছে। অন্তত বাংলা বিহার উড়িশ্যার মতো দূরত্ব নেই। আর বাঙালিরা যতোটা খোট্টা আর উড়েদের অবজ্ঞা করে, সেটা এই চার রাজ্যের লোকেরা করেনা। অন্তত আমি যেটুকু দেখেছি, তবে আমি ভুল হতে পারি। 
  • r2h | 134.238.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ১৫:৪০506654
    • dc | 182.65.238.18 | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ১৫:৩৩506653
    • ...আর বাঙালিরা যতোটা খোট্টা আর উড়েদের অবজ্ঞা করে, সেটা এই চার রাজ্যের লোকেরা করেনা। 
    হ্যাঁ, একমত, তাই মনে হয়।
  • এলেবেলে | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ১৭:৫৩506658
  • এই বাংলা ভাষাটা মিশে গেছে আসানসোল আর মালদায়। বিশেষত কিষানগঞ্জ এলাকায়। তাঁরা কারও তোয়াক্কা না করে দিব্যি দিবে আর নিবেতে বিশ্বাসী।
     
    ডিসিজনাব ধন্যবাদ। আমি যেটা বলতে চাই, সেটা যে আপনার নজরে এসেছে - এটাই অনেক। প্রকাশনা জগতেও কলকাতার হেজিমনি ভাঙার একটা চেষ্টা চালাচ্ছি। দেখা যাক তাতে সফল হতে পারি কি না।
     
    তবে হুতোর সঙ্গে অন্তত বাংলা প্রকাশনা নিয়ে একমত নেই। মফস্‌সল থেকে নিয়মিতভাবে একাধিক উচ্চাঙ্গ মানের লিটল ম্যাগ আগেও প্রকাশিত হত, এখনও হয়।
     
    দ-দির মতো স্কুল লাইব্রেরি নিয়ে আমারও একই অভিজ্ঞতা। আমার স্কুল এবারে ১৫০তে পা দিল, একজন পুরোদস্তুর লাইব্রেরিয়ানও ছিলেন কিন্তু বইয়ের ব্যাপারে কোনও মাস্টারমশাই আমার আগ্রহ তৈরি করেছেন, এমনটা হয়নি। আসলে মফস্‌সলগুলোতে কিছু স্নেহশীল দাদা চিরকালই থাকেন। তাঁরাই টুকটাক ভিন্নধর্মী নানা বইপত্তর জুগিয়ে এই আগ্রহটাকে খুঁচিয়ে তোলেন। তারপর নেশা একবার জমে গেলে আরও অনেক সমমনস্ক মানুষ জুটে যান। মানে আমাদের সময়ে যেত। এখন কী হয়, সেটা জানি না।
  • r2h | 134.238.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ১৮:৩১506659
    • এলেবেলে | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ১৭:৫৩506658
    • মফস্‌সল থেকে নিয়মিতভাবে একাধিক উচ্চাঙ্গ মানের লিটল ম্যাগ আগেও প্রকাশিত হত, এখনও হয়।
    লিটল ম্যাগ নিয়ে একেবারেই একমত। নির্দ্বিধায় স্বীকার করি।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:3c72:7c70:97d7:***:*** | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ১৯:৫৮506660
  • এই আলোচনা গুলো ভাল লাগছে। 
    এলেবেলে, নবদ্বীপে থিয়েটার দল নেই? কল্যাণীতে আছে কিন্তু 
  • এলেবেলে | 202.142.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ২০:১৪506661
  • অরণ্য, আছে। তবে এখন নিয়মিত চর্চার লোক কমে গেছে। একদা বাদল সরকারের একের পর এক নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। আমি নিজেই হরিমাধব মুখোপাধ্যায়ের নাটক করেছি 'বিছন' আরও কিছু টুকটাক। মারীচ সংবাদও হয়েছে। হ্যাঁ, কল্যাণীতে তো নিয়মিত নাট্যমেলা হয়। কৃষ্ণনগরেও হয়। একদা নবদ্বীপে প্রায় ৪০টা টিম নাট্য সম্মেলনে অংশ নিত। ৭ দিন চলত সেই সম্মেলন। এখন নতুন মুখের অভাব। ওই কারণে দেবশঙ্কর, গৌতম হালদার ইত্যাদিদের এনে-টেনে মাঝেমধ্যে থিয়েটারের শো হয়। 
     
    মফস্‌সলের বাসিন্দারা যে অভাবটা বোধ করে সেটা হচ্ছে একটা ভালো বইয়ের দোকান। এক বোলপুর আর মেদিনীপুর ছাড়া আমি আর কোথাও ভালো বইয়ের দোকান দেখিনি। ওই কলেজ স্ট্রিটে ঢুঁ মারতেই এখন কালেভদ্রে কলকাতা যাই। না হলে তেমন তাগিদ বোধ করি না।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:3c72:7c70:97d7:***:*** | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ২০:১৮506662
  • ভাল বইয়ের দোকান কল্যাণীতেও নেই। অথবা থাকলেও আমি জানি না 
  • aranys | 2601:84:4600:5410:3c72:7c70:97d7:***:*** | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ২১:৫৬506665
  • টপ টেন লিস্টি গুলো ইন্টারেস্টিং। একজনের লেখাও পড়ি নি।  তবে গোয়েন্দা জ্যোতিস্কের গল্পের ক লাইন যা এখানে পড়লাম, চলে যায় 
    স্মরণজিৎ টপ টেনে নেই দেখে অবাক হলাম । আমার ধারণা ছিল ঐ ছোকরা বেশ জনপ্রিয় 
  • -- | 223.29.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ২২:৪৮506666
  • বইয়ের পোস্টাল চার্জ মফস্বল থেকে কলকাতা যাতায়াতের চেয়ে বেশ কম। একটি ঠিকঠাক বই সাপ্লায়ারের সাথে যোগাযোগ হলে লিস্টি ধরে ধরে মাসকাবারি বই ~২৫% ডিস্কাউন্টে (কারণ বই বিক্রেতা হিসেবে ওরা ৩০-৪০% অবধি ডিসকাউন্ট পায় প্রকাশনাভেদে) সংগ্রহ করে মাসে একবার করে পোস্ট করিয়ে নিলেই হল। প্রকাশনাগুলির ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে নিয়মিত নজর রাখলে ক্যাটালগের বাইরে নতুন বই প্রকাশের খোঁজ থাকবে এমনিতেই। সাপ্লায়ারেরা যেহেতু এমনিতেই পাবলিশারদের থেকে ঘুরে ঘুরে বই তোলে অন্য নানা কাস্টমারের জন্য, তারা এমনিতেও কাস্টমারের উইশলিস্ট খুঁজে বা পছন্দের ধরণ জেনে সেইরকম নতুন বই সাজেস্ট করে।
    মোটকথা কলেজস্ট্রীটের রেগুলার পাঠক ডিসকাউন্ট যেহেতু ২০%, বইবিক্রেতা একটু বেশি দিলে পোস্টালচার্জটাও গায়ে লাগবে না, অন্তত যাতায়াত আর গোটাদিনের সময়ের দাম ধরলে।
     
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::1bd:***:*** | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ২২:৫৫506667
  • "ও রাজ্য সরকার এয়ারপোর্ট বানায়?  আমার কিরকম ধারণা ছিল এটা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত। "

    @দ দিঃ আমিও তো সেটাই বললাম। কেন্দ্রের বন্চনাটা একদম সত্যি কথা শুনতে যতই হাস্যকর মনে হোক না কেন। আমাদেরও দোষ আছে, কিন্তু তাতে ঐকথাগুলো মিথ্যা হয়ে যায়্না। এই কয়েকবছর আগে বাগডোগরা এয়ারপোর্টে ছিলাম। বসার জায়্গা পাওয়া যাচ্ছেনা। এতগুলো ফ্লাইট ওড়ে। নর্থইস্ট, কোলকাতা তো বটেই এমনকি দিল্লির ডাইরেক্ট ফ্লাইটও আছে। আশেপাশের কিছু দেশ থেকেও ফ্লাইট আসে।
  • এলেবেলে | 202.142.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০২২ ২২:৫৯506668
  • "প্রকাশনাগুলির ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে নিয়মিত নজর রাখলে ক্যাটালগের বাইরে নতুন বই প্রকাশের খোঁজ থাকবে এমনিতেই।" 
     
    হ্যাঁ, এটা করে থাকি। কিন্তু কলেজ স্ট্রিটে আমার চেনা দোকানে আমি আনন্দ ছাড়া বাকি সমস্ত বই বছরভর ২৫% কমিশনে কিনি। একটা লিস্ট করে তাঁকে আগাম হোঅ্যা করে দিই। তিনি বিভিন্ন প্রকাশকের থেকে বই জোগাড় করে রাখেন। আমার কাজ হল সেই বইগুলো তুলে নেওয়া। এখন মোটামুটি যে বিষয়টা নিয়ে কাজ করি, বেশিটা সেই সম্পর্কিত বই-ই কিনি। 
     
    ধ্যানবিন্দু ওজনে যে পোস্টাল চার্জ নেয়, সেটা বেশির দিকেই। তা ছাড়া অনেক সময় দোকানের তাক ঘাঁটতে ঘাঁটতে হঠাৎ এক-আধটা বই পেয়ে যাই, যেটা হয়তো তালিকাতেই ছিল না। আর ইংরেজি বই বিশেষত কে পি বাগচী কিংবা ফার্মা কেএলএম-এর বই কেউ দিতে পারে না বা রাখতে চায় না। অগত্যা ওদের দোকানদুটোতে ঢুঁ মারতে হয়। 
     
    আগে রুবান বলে একটা সাইট ছিল। ফ্ল্যাট ২০% ছাড় দিত আর ৫০০ কিংবা ১০০০ টাকার বই কিনলে কলকাতায় কোনও ডেলিভারি চার্জ নিত না। ওটা বেশ ভালো ব্যবস্থা। এভাবে রুবানের থেকে আমি একাধিকবার মোটা টাকার বই কিনেছি। কিন্তু রুবান উঠে গেছে। তাই বছরে বারদুয়েক কলেজ স্ট্রিট যাই। যাদবপুর থানা থেকে বাসে খুব খরচও হয় না। তবে আসতে হয় উবরে।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:3c72:7c70:97d7:***:*** | ১৯ এপ্রিল ২০২২ ০০:১৩506671
  • 'তা ছাড়া অনেক সময় দোকানের তাক ঘাঁটতে ঘাঁটতে হঠাৎ এক-আধটা বই পেয়ে যাই, যেটা হয়তো তালিকাতেই ছিল না'
     
    - এটা আমিও ভাবছিলাম।  নিজে হাতে বই ঘাঁটা ঘাঁটির একটা আলাদা আনন্দ-ও আছে। কোভিডের আগে নিউ ইয়র্কে মুক্তধারা নামে একটা বই এর দোকানে ঢুঁ মারতাম, এই কারণে 
  • -- | 223.29.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০২২ ০০:৪১506672
  • দে বুক স্টোর-এর দীপুদা ও কিন্তু পোস্টে বই পাঠায়। ওই ২৫% + পোস্টাল দিয়েই। হিউজ বড় বড় বইয়ের বাক্স পোস্টাল হচ্ছে দেখেছি।
     
    নদীয়া থেকে কলকাতা শুধু বই তুলতে যাওয়ার দরকার হয় না।
     
    ধ্যানবিন্দু বই একত্র করে রাখলে দীপুদাই ওদের বিল মিটিয়ে বই নিয়ে আসবে, একত্রে দে বুক স্টোর থেকেই পোস্টাল হয়ে যাবে (বা অন্য সাপ্লায়ার যে ঠিকঠাক পোস্টাল চার্জ নেয়)।
     
    কে পি বাগচী কিংবা ফার্মা কেএলএম বা রিফ্লেক্ট বা ওইরকম বইএর দোকানের ফোন নং নিয়ে রেখে অফ টাইমে সরাসরি কথা বললে, বা হোয়া তে যোগাযোগ রাখলে তাদের বইয়ের তালিকাও জানা হয়ে যায়। সকলেই বই বিক্রি করতেই চায়, তাই নিজেদের বইয়ের খবর কাস্টমারকে জানাবেই। যারা নিজেরা বই পোস্টালে পাঠান না তাদের জন্য ওইরকম বই সাপ্লায়ার ধরতে হয় - রুবান এর মতো গাদা আছে, অক্ষরযাত্রা, বইচই, রীডবেঙ্গলিবুকস, বুকটুক, কলেজস্ট্রীট ডট নেট, থিংকার্সলেন বইঠেক, দূরের বই, বই পিয়ন, ... ফেসবুকে কান পাতলেই শোনা যায় তাদের পদধ্বনি আর ডিসকাউন্টের কম্পিটিশন, প্যাকেজিং এর নিরাপত্তা আর বই খুঁজে আনার গোয়েন্দাগিরি। সাপ্লায়ার ছেলেটির সাথে ভালো সম্পর্ক হলেই বই খুঁজে এনে দেওয়ার ব্যাপারটা জলভাত হয়ে যায়। 
     
    যেটা বলতে চাইলাম, পোস্টালে বই নিলে সারা রাজ্যই কলেজস্ট্রীট, উপরন্তু ট্রান্সপোর্টেশন আর নিজের গোটা এক দু দিন সময় ও বেচে যায়। নদীয়া কল্যানীতে ভালো বইয়ের দোকান হয়ে ওঠার দরকার পড়ে না। 
     
    এক ইউজার-এর ফীডব্যাক বুক্টুক সম্পর্কে "বুকটুক থেকে প্রথমবার অর্ডার করা কিছু বই আজকে হাতে পেলাম.. বেশ ভালো ভাবে প্যাক করা ছিল বইগুলি নিউসপেপার আর বাবল রেপ দিয়ে.. কার্টুন আর বইগুলি একদম অক্ষত অবস্থায় পেয়েছি.. উনারা shiprocket দিয়ে পাঠিয়েছিলেন xpressbees কুরিয়ার দিয়ে.. ডেলিভারি চার্জ ছিল না.. ফ্রি ডেলিভারি... মিত্র ঘোষ র বইয়ে উনারা 13% ডিসকাউন্ট দিয়েছেন আর কল্পবিশ্ব তে 15%... আর বিশেষ অফার হিসেবে আরো 10% ছাড় পেয়েছি মোট অর্ডার মূল্যের উপর 5000 টাকার উপর অর্ডার র জন্য.... মোটামোটি 22% ছাড় পেলাম বইগুলিতে অসম এ ঘরে বসে ডেলিভারি চার্জ ছাড়াই.. মোটামোটি কলেজ স্ট্রিট এর ছাড়...
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন