এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • তুলনাহীনা

    সবিতা সেন
    ১৮ জুন ২০২৫ | ১৩৫ বার পঠিত
  • আমার নিজের কথা বলতে গেলে বড়ই অসুবিধায় পড়ি। বলার মতো বিশেষ কিছু নেইও। আমি গান জানিনা। একটু আধটু কবিতা লিখি বয়সের দোষে – কাউকে শোনাই না। খেলাধূলো পারিনা, কিন্তু দেখতে ভালোবাসি। শুধু সাঁতারটা পারি ভালোমতো, নদীর ধারে বাড়ী, বিনি পয়সায় শিখতে পেরেছি।

    B.A. পাশ করেছি মফস্বলের কলেজ থেকে। M.A. পড়তে এলাম কলকাতায়। ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেলাম B.A. পরীক্ষায় অনেক নম্বর পেয়েছিলাম বলে। ১২০ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা ছিল তিরিশের কাছাকাছি।

    ক্লাস শুরু হোলো – নতুন পাঠশালা, নতুন বিষয়, সহপাঠীরাও নতুন। একটু অস্বস্তি, একটু অপরিচয়ের বাধা। শুরু হলো জীবনের অন্য পর্ব। ক্রমশঃ সহপাঠীদের সঙ্গে পরিচয় হোলো। মেয়েরা দূরের পাখী, উঁচু ডালে বসে। আমার সাধ্যের বাইরে। ছেলেদের মধ্যে কয়েকজন বন্ধু হোলো। খবর পেলাম, নতুন ছাত্রছাত্রীদের বরণ করা হবে।

    নবীন বরণ উৎসবে ভারি আনন্দ পেলাম। শিক্ষকরা ভালো ভালো কথা বললেন – আশার কথা, ভবিষ্যৎ জীবনের সুন্দর স্বপ্নের কথা ইত্যাদি ...। এরপর একটি মেয়ে গান গাইলো – জলপাইরঙা সুন্দরী, আয়ত নয়ন, গভীর দৃষ্টি, ঠোঁটে একটা আশ্চর্য্য প্রশান্তি। মেয়েটিকে ভালোভাবে দেখলাম – গায়ের রঙটা বেশী ফরসা না হয়ে বোধহয় ভালোই হয়েছে। সৌন্দর্য্যর মধ্যে একটা আলাদা রূপকথা যোগ হয়েছে – চুল তার বিদিশার নিশা, মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য্য, নাম তার অরুন্ধতী, গানের সুরের সঙ্গে নামটা আমার বুকের মধ্যে গেঁথে বসে গেলো। আমি ‘মরিলাম’।

    ক্লাস শুরুর সময় চোখটা চলে যেতো। মেয়েদের বেঞ্চের দিকে, যেখানে অরুন্ধতী বসে। শিক্ষক জটিল বিষয়ে আলোচনা করছেন, আর আমার মন ওর কপালের চূর্ণ কুন্তলগুলির দিকে চেয়ে। প্রথম সেমিষ্টার এর পরীক্ষা এসে গেলো, দেখতে দেখতে। আমি সাধারণ ভাবে পাশ করেছি, অরুন্ধতী 1st Class পেয়েছে।

    ক্লাসের সবাই ওকে ভালোবাসে। দিনের শুরুতে যখন ও ক্লাসে ঢোকে রানীর মতো তখন চারদিকে যেন বসন্ত বাতাস বয়ে যায়। কাজল চোখদুটি আনত যাকে ক্লাস নোটের খাতার দিকে। ক্লাসের যারা দুষ্টুছেলে, তারা নানা কসরৎ করে, মজার মজার কথা চিৎকার করে বলে, যদি অরুন্ধতী একটু হাসে। ও হাসলে মনে হয় যেন মে মাসের দুপুরে ঝিরঝিরে বৃষ্টি নামলো। সেই হাসি ও অকাতরে দান করে প্রার্থীকে, কারণ ওতো রানী – অশেষ সম্পদ ওর।

    সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, ক্লাসে অন্য মেয়েরা কিন্তু একটুও ঈর্ষা করতো না অরুন্ধতীকে, ওকে সবাই ভালোবাসতো। এমনি করেই বয়ে যাচ্ছিলো সুখের বেলা। একদিন সবচেয়ে দুষ্টুছেলে গোপাল হাঁপাতে হাঁপাতে এসে কমনরুমে ঢুকলো – ‘‘খবর আছে, খবর আছে। অরুন্ধতীর বিয়ে’’। যেন একটা বোমা ফাটলো – সেকি? কবে কখন কার সঙ্গে???? হাজারটা প্রশ্নের তীর গোপালের দিকে। একটু হাঁপ ছেড়ে ও বললো, ‘‘চিন্তা নেই, আমরা নেমন্তন্ন পাবো।’’

    অবশেষে, ওই পরম দুঃখের দিনটি এসে গেলো। বারাসাতের তিন কামরার বাড়ীতে নহবত বসলো। এক টুকরো কবিতাকে কনের সাজে সাজানো হলো। বন্ধুদের কেউ কেউ সাতপাকের সময় পিঁড়ি ধরলো। সুস্বাস্থ্যের, বড় চাকুরে, সুদর্শন বঙ্গসন্তানের সঙ্গে অগ্নিসাক্ষী করে ওর বিয়ে হয়ে গেলো। মহানন্দে বাসর জাগা হলো। বর সুগায়কও বটে! বললো আমি একটা মিথ্যে গান গাইছি। রজনীগন্ধার মালা গলায় অরুন্ধতীর মতো নারীকে পাশে নিয়ে গাইলো – ‘‘আমি ছিনু একা বাসর জাগায়ে .........।’’

    আমি সব কিছুর নীরব দর্শক। বুকটা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাচ্ছে, তবু মুখে একটা হাসি ঝুলিয়ে রেখেছি। একবার শুধু অরুন্ধতীকে কাছে পেয়ে বললাম, ‘‘আমাদের ভুলে যাবে নাতো?’’ ওর ঐ ভুবন ভোলানো হাসি হেসে বললো – ‘‘না, না, কক্ষণো না। আমার শ্বশুরবাড়ীতে এসো কিন্তু।’’ উত্তরে কি বলেছিলাম মনে নেই।
    পরদিন ক্লাসে গিয়ে মনে হলো, আজ যেন কোন কাজ নেই – যেন কোন ভাবনাও নেই। এই ক্লাস রুমটাতে যেন মহাশূন্য বিরাজ করছে।
    কফি হাউসে গিয়ে দেখি, আমাদের প্রিয় টেবিলটা ঘিরে বন্ধুরা সব বসে আছে, হাসছে মজা করছে – কি অর্থহীন সব কিছু! ওরা কি অরুন্ধতীকে এর মধ্যেই ভুলে গেলো? ওদের কি হৃদয় নেই?

    তারপর অনেকগুলো বছর পার হয়ে গেছে। আমরা এখন মধ্যপঞ্চাশ। পলিটিক্যাল সাইন্সের ছাত্রছাত্রীদের একটা reunion হচ্ছে। অনেকেই বউ-বাচ্ছা নিয়ে হাজির হয়েছে পুরোনো দিনের স্বাদ নিতে। আমি বিয়ে করার সাহস জোগাড় করতে পারিনি – তাই আমার ওই সবের বালাই নেই। মনের দূরতম কোলে, একটা আশা - যদি অরুন্ধতী আসে, যদি দেখা হয়ে যায়! মনে মনে ভাবছি কেমন অভিজ্ঞতা হবে কে জানে। সেইসব রাগী, আপোশে অরাজী বিপ্লবী বন্ধুরা এখন কেমন ভাষায় কথা বলে? জীবন কি ওদের একটুও আপোশ করতে শেখায় নি? ওরা কি এখন মেয়ের অসবর্ণ বিয়েতে রাজী হয়? মাসীমার বিধবা পুত্রবধূর পুনর্বিবাহে সায় দেয়? ছেলের বন্ধু তাপস অন্য আরেকটি ছেলেকে বিয়ে করে হাজির হলেকি মুখ ফিরিয়ে নেয়? আমি জানি, এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া সহজ নয়।

    একটা চমৎকার বাগানবাড়িতে খোলামেলা পরিবেশে পুনর্মিলন অনুষ্ঠান হচ্ছে। একটা শ্যাওলা ঘেরা শান্ত পুকুরও আছে। কখনও জলে, কখনও রাজহাঁস ঘুরে বেড়াচ্ছে, কখনও জলে, কখনও সবুজ ঘাসে। সঙ্গে জোরালো প্যাঁক-প্যাঁক ডাকাডাকি।

    অনুষ্ঠান শুরু হোলো। কাঁঠাল গাছের ঘন ছায়াতে বসে আছি আমরা। সবাই কাছের চেয়ারে বসে থাকা মানুষটির মধ্যে পুরোনো বন্ধুকে খুঁজছি, পেয়েও যাচ্ছি – উচ্ছ্বাস, বিস্ময় – আরে তোর টাক হলো কিভাবে? আর তোর - তোর এই গোয়ালার মতো গোঁফটা গজালো কবে থেকে সুভাষ? মনের মধ্যে জমে থাকা কথাগুলো একসঙ্গে হাওয়া-বুদ্বুদের মতো বেরিয়ে আসতে চাইছে।
    পুকুর পারে, তিনটি চেয়ার পেতে তিনজন মহিলা বসে হাসি গল্পে মশগুল – চেনা যাচ্ছে, রিমলি, দেবপ্রিয়া আর কেতকী ওই লম্বাচওড়া ছেলেটি – ওতো আমাদের বাবা – তাপস। কাঁধের বাচ্চাটা ওর নাতি। বড়ো ভালো ছেলে তাপস, বিরাট একটা চেহারা, কিন্তু মনটা শিশুর মতো সরল।

    আরে, ওই তো ওধারে কমল ভাদুড়ী এখনও কচি ডাবের মতো মুখখানি রয়েছে। সঙ্গে অধ্যাপিকা স্ত্রী - জ্ঞানে, গাম্ভীর্যে গরিমায় বড়ই সম্ভ্রান্ত। কাছেই দেখা যাচ্ছে কনকেন্দুকে ছোট খাটো মানুষটি – অগাধ পড়াশুনা আর আদ্যন্ত সমাজসেবক। কনকেন্দু আমাদের সহপাঠী ছিলো, তাতে আমরা সবাই গর্বিত। সাদা দাড়িতে ওকে খুবই বিশিষ্ট দেখাচ্ছে।

    আজও অরুন্ধতীর কাছের চেয়ারে বসে আছে ওর কাছের বন্ধুরা। খুব ইচ্ছে করছে ঐ এক টুকরো কবিতার সামনে গিয়ে বলি ‘‘দেখোতো চেয়ে আমারে তুমি চিনিতে পারো কিনা।’’ কিভাবেই বা চিনবে? আমার সাধারণ মুখচোরা চেহারায় এখন মফস্বল স্কুলের শিক্ষকের ছাপ, তার না আছে গৌরব, না আছে স্বচ্ছলতার চিহ্ন। তাই দূর থেকেই দেখি ওকে, সেই ভালো।
    অনতি উচ্চ মঞ্চে মাইকে কথা বলছে শুভ্রাশীষ। সকলকে অনুরোধ করা হচ্ছে একে একে সপরিবারে মঞ্চে এসে নিজের পরিচয় দিতে। এতো বছর বাদে, অনেকেকই চিনতে অসুবিধা হচ্ছে। পরিচয় পর্বটি অত্যন্ত মজার হয়েছিলো কোন সন্দেহ নেই।

    এরপর সবাই থিতু হয়ে বসলো। কাঁঠাল গাছের ছায়া বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একটু একটু করে সরতে লাগলো। রাজহাঁসের দল গলা ছেড়ে ডাকছে। চেয়ারগুলোও ছায়ামুখী হয়ে সরে যাচ্ছে। এবার এলো হারমোনিয়াম। চারজন গায়ক গায়িকা বন্ধু সমকণ্ঠে গাইলেন – ‘‘পুরানো সেই দিনের কথা’’। সবাই চুপ করে শুনছে। আমার গায়ে কাঁটা দিচ্ছিলো।
    এরপর শুভ্রাশীষ আর ওর বউ ক্ষমা মাতিয়ে দিলো, শ্রুতিনাটক ‘কর্ণকুন্তি সংবাদ’ আবৃত্তি করে। বড়ো ভালো লাগছিলো অনুষ্ঠানটি।

    এতোক্ষণ রান্নার এলাকা থেকে নানা রকম সুগন্ধ ভেসে আসছিলো। শুরু হলো দুপুরের খাবারের আয়োজন। দু’চার জন তো চেয়ার দখল করে বসেও পড়েছে। অরুন্ধতী বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে গেটের দিকে যাচ্ছে। কোথায় যাচ্ছে ও? জানা গেলো পাশের বাড়ীতে, কে যেন চেনা মহিলা থাকে, সেখানে যাচ্ছে বেবীকে সঙ্গে নিয়ে। মনোজ উঁচু স্বরে অভিভাবকের গলায় বললো, কোথায় যাচ্ছিস, একা একা দুটো মেয়ে মিলে? কাউকে সঙ্গে নিয়ে যা।’’

    অরুন্ধতী কান এঁটো করা একটা হাসি দিয়ে বললো, ‘‘আমরা কি আর মেয়ে আছি নাকি রে?’’ হেসে গড়িয়ে পড়লো বেবীর গায়ে। এতক্ষণে আমি অরুন্ধতীর দিকে ভালো করে তাকালাম। অবাক হয়ে দেখলাম, অরুন্ধতীর একদা মুক্তোর মতো দাঁতে পানের ছোপ – চুলে রুপোলী ঝলক মুখে বলিরেখা, হাসি থেকে হারিয়ে গেছে কবিতা। অরুন্ধতী, তুমি কি আর সত্যি মেয়ে নও? তবে কি তুমি কি পুরুষ নাকি কিম্পুরুষ? তুমি আমার স্বপ্নের সঙ্গিনী, তুমি আবার আগেকার মতো কবিতা হয়ে থাকতে পারো না? গাছের তলাকার অনিবার্য শুকনো পাতাগুালা ঝোড়ো হাওয়ায় উড়িয়ে দাও না কেন? এমন একজন অতি সাধারণ প্রবীণা হয়ে গেলে? কেন?

    তুমি আবার কবিতা হয়ে আমার সামনে এসো। চিরদিন আমার চোখে কবিতা হয়েই থেকো। আমি নিঃস্ব মানুষ – কবিতা ছাড়া আমার যে আর কিছু নেই! তোমার আজকের ছবি আমি ভুলতে চাই।

    সেই আগেকার সুন্দর দিনগুলোতে তোমার সামনে গেলে, তোমার মৃদু হাসির বিচ্ছুরণে আমার অন্তরের কাঁপুনি স্তব্ধ হয়ে যেতো। তোমার অবহেলা সয়েছি অনেক – তবু তোমার আয়ত নয়ন দুটিতে কোথায় যেন আমার নিঃশব্দ উদ্দাম প্রেমকে ক্ষমার লক্ষণ দেখতে পেতাম। সব কি হারিয়ে গেলো?
    আমি জানি – ‘‘কালস্রোতে ভেসে যায় জীবন যৌবন ...’’ তবু, তবুও কবিতা আমার!
    ভাগ্য ভালো, আয়নায় আমি নিজেকে কখনো দেখি না। আর দরকার হয় না।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Manali Moulik | ১৯ জুন ২০২৫ ১৭:৩১732093
  • বিভূতিভূষণ বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের 'সুহাসিনী মাসীমা' -তেও ওনাকে বৃদ্ধা অবস্থায় দেখে লেখকের সব কল্পনা ভেঙে গিয়েছিলো। ওই রূপটা তিনি ভুলতে চেয়েছিলেন।  তবে প্রেম কি সৌন্দর্যবিলাসের কাব‍্যমাত্র?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট প্রতিক্রিয়া দিন