এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

  • গভীরে যাও – আরো গভীরে যাও

    সুকান্ত ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ২২ মার্চ ২০২২ | ১৪৫২ বার পঠিত | রেটিং ৪.৩ (৩ জন)
  • পর্ব ১ | পর্ব ২
    অনেক দিন ধরেই ভাবি যে ‘ফেলিওর অ্যানালিসিস’ এবং ‘রুট কজ অ্যানালিসিস’ নিয়ে কিছু লিখি।  তার মূল কারণ আর কিছুই নয় – এই দুই বিষয়ের উপর ভালোবাসা, এবং অবশ্যই সেটা একদম প্র্যাক্টিক্যাল দিক থেকে।  নিজের প্রফেশন্যাল জীবনে, ল্যাবেতে ফেলিওর অ্যানালিসিস করার থেকে বেশী আনন্দ আর খুব কম বিষয়েই পেয়েছি।  রুট কজ অ্যানালিসিস এ ততটা বেশী আনন্দ না পেলেও, বিষ্মিত হয়েছি অনেক বেশী তার ভিতরে ঢুকে। 

    আচ্ছা একটা ব্যাপার এখানে চট করে বলে নিই – অনেকেই ‘ফেলিওর অ্যানালিসিস’ এবং ‘রুট কজ অ্যানালিসিস’ সমার্থক ধরে নেন। আদপে ব্যাপারটা কিন্তু তা নয় – এই দুয়ের মধ্যে বেশ সুষ্পষ্ট পার্থক্য আছে।  ফেলিওর অ্যানালিসিস হল রুট কজ অ্যানালিসিসের একটা অংশ বা সাবসেট।  ফেলিওর অ্যানালিসিস কাজে প্রধান স্টেপ গুলি হল – ডাটা কালেক্ট করা, সেগুলো অ্যানালিসিস করা, ডাটা ইন্টারপ্রেট করা, এবং প্রায়শঃই এর সাথে জুড়ে থাকে মেটালার্জিক্যাল অ্যানালিসিস।  ল্যাবেতে মেটালার্জিক্যাল অ্যানালিসিস করে কম্পোনেন্টটি কি মেকানিজ্যামে ফেল করেছে সেটা বলা যেতে পারে।  কিন্তু সেই ফেলিওরের রুট কজ জানতে হলে আরো গভীরে ঢুকতে হবে – সেই গভীরে ঢোকায় সঙ্গে নিতে হবে আরো অনেক বিভাগকে।  মানে ফেলিওর অ্যানালিসিস শুধু মেটালার্জি বিভাগ সম্পন্ন করলেও রুট কজ অ্যানালিসিস হবে বহু বিভাগিয় তদন্ত। 

    এই লেখাটা শুরু করতে মন চাইল রিসেন্টলি যদু বাবুর লেখা গুলি পড়ে।  খুব সুন্দর ভাবে লিখছেন উনি – পড়তেও খুব ভালো লাগছে, শিখছিও অনেক।  উনার লেখা সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জার দুর্ঘটনা বিষয়ক উদাহরণ থেকেই ধার করে বলি, আমরা ল্যাবে অ্যানালিসিস করে বলব রকেটের এই কম্পোনেন্টটা ফেল করার পিছনে আছে ও-রিং-য়ের ঠিকমত কাজ না করা বা নন-পারফরমেন্স যাকে বলে।  কিন্তু সামগ্রিক ভাবে এই এই দুর্ঘটনার ‘রুট কজ’ লুকিয়ে থাকতে পারে আরো অন্য কিছুতে।  তার জন্য আপনাকে ঢুকতে হবে  আরো গভীরে।  কিন্তু ঘটনা হচ্ছে আপনি কতটা গভীরে ঢুকতে চান? কতটা গভীরে গেলে বলতে পারবেন – নাঃ, এই পর্যন্তই ঠিক আছে।



    উপরের ছবি তলিয়ে দেখলে বুঝতে পারবেন যে, ফেলিওর-এর আসল কারণ কি - এটা খুবই জটিল কনসেপ্ট।  এটা শুধু ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন বা স্ট্রাকচারের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য এমন নয়, আমাদের সামাজিক জীবনেও এমন গোলমেলে উদাহরণ খুঁজে পাবেন।  আমরা অনেকেই যারা হাই মরাল গ্রাউন্ডে থেকে অনেক কিছু আলোচনা করি নানা বিষয়ে তারা ততটাই গিয়ে থেমে গেছি যেটা আমাদের ব্যক্তিগত অবস্থানকে সমর্থন করে বা আমাদের খাড়া করা থিওরীর সাথে মিলে যায়।  রাঁধুনী হাত ধুয়েছিল কিনা পর্যন্ত যদি খতিয়ে দেখতে চান তাহলে বুঝবেন পাম্প কোম্পানীকে আপাত দায়ী করলেও মূলে কিন্তু আপনার আমার ঘরের লোকেরাই!

    তাহলে কি কোনই গাইডেন্স নেই এটা ঠিক করার জন্য যে কখন থামা উচিত? আছে বৈকী! রুট কজ অ্যানালিসিস এবং প্ল্যান্ট রিলায়াবিলিটি অ্যানালিসিস জগতের এক কেউকাটা জন মউব্রে-এর মতে “আমাদের ঠিক ততটাই গভীরে তলিয়ে দেখা উচিত যতটা গেলে আমরা একটা ফেলিওর ম্যানেজমেন্ট পলিসি খাড়া করতে পারব”  (In general, failure modes and root causes should be identified in enough detail for it to be possible to identify an appropriate failure management policy). তাহলে উপরের পাম্প খারাপের উদাহরণ টেনে বলতে পারি যে বল্টু ল্যুজ ছিল এই পর্যন্ত ঢুকলেই আমি কোম্পানীতে একটা মিটিগেশন প্ল্যান বানাতে পারব, যে ভাই খেয়াল রেখো যে পাম্পে যেন কোন আলগা বল্টু থাকে না।  এর বেশী গভীরে ঢোকা মানে কোম্পানীর সময় এবং অর্থের অপচয়। 

    এখানে একটা খুব আপাত সিম্পল জিনিস বুঝে নেওয়া দরকার – আমার নিজের বা বিজ্ঞানের অনুসন্ধিৎসার সাথে কোম্পানীর স্বার্থ না মিলতেও পারে! এটা খুব হতাশা জনক ব্যাপার হয় অনেক সময় – কিন্তু দেখেছি অনেক বাঘা বাঘা পাবলিক এই স্বাভাবিক পার্থক্যটা বুঝতে পারে না! কোম্পানী যদি দেখে যে বোল্ট টাইট করলেই আমার সমস্যা মিটে যাবে তাহলে তারা আর মিস্ত্রীর ক্লান্তি নিয়ে ভাবে না! এবার তাহলে একটা খুব স্বাভাবিক প্রশ্ন মনে আসে, এমন করলে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি তাহলে কিভাবে রোধ করা যাবে! খুবই প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন – সেই নিয়ে আসতে আসতে আলোচনায় ঢুকব।

    এবার একটু দেখে নেওয়া যাক রুট কজ অন্যালিসিসের বেসিক ব্যাপার এবং চ্যালেঞ্জটা। একটা ছবি যেহেতু হাজার শব্দের থেকে বেশী অর্থবহ হয়, তাই ছবি দিয়েই শুরু করা যাক –



    তো দেখা যাচ্ছে যে প্রধান সমস্যা হচ্ছে আমরা অনেকেই পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত নিয়েই আলোচনায় প্রবেশ করছি, এবং প্রায় প্রত্যেকেরই নিজস্ব নির্দিষ্ট মতামত আছে।  নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এই যে অনড় মতমত – এটাই বহুবিভাগীয় আলোচনার প্রধান অন্তরায়।  যার যত র‍্যাঙ্ক হাই, তার ন্যাজ তত মোটা। 

    যত গভীরে ঢুকব দেখব তত মজার ব্যাপার – যেহেতু শুরু করেছিলাম যদুবাবুর চ্যালেঞ্জার দুর্ঘটনা নিয়ে লেখাটি উল্লেখ করে, তাই আজকের পর্ব শেষ করি যদু বাবুর লেখা দিয়েই।  ওই পর্ব একজায়গায় উনি লিখেছেন, “উৎক্ষেপণের ঠিক ৭৩ সেকেন্ডের মাথায় চ্যালেঞ্জার ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় বিস্ফোরণে – সাতজন নভচরের সকলেই প্রাণ হারান মুহূর্তেই”।  এই যে “মুহুর্তে প্রাণ হারানো ব্যাপারটা”, এটা চ্যালেঞ্জার দুর্ঘটনা নিয়ে অনেকে লেখাতেই  দেখা যায় – আদপে এটা একটা মিথ।  এমনকি যেটাকে ‘বিষ্ফোরণ’ বলে জেনারেলাইজ করা হয় সেটা ‘ক্রু কম্পার্টমেন্টের’ জন্য প্রযোজ্য নয় – স্পেস শাটলটা ভেঙে টুকরো হয়ে গিয়েছিল, বিস্ফোরণে ছিন্ন বিছিন্ন হয়ে যায় নি।  মহাসমুদ্রে আছড়ে পড়ার মুহুর্তেও ক্রু কম্পার্টমেন্টটি ছিল অক্ষত, এবং তার ভিতরে ক্রু এবং প্যাসেঞ্জারের অনেকেই বেঁচে ছিলেন তখনো!

    এই “মুহুর্তে প্রাণ হারানো” আর “মহাসমুদ্রের বুকে আছড়ে পড়ার পর মৃত্যু” এই দুই পৃথক তথ্য কি রুট কজ অন্যালিসিস-কে প্রভাবিত করতে পারে? পারে, প্রবল ভাবেই পারে। 

    The problem with this myth (i.e., instantaneous death by explosion) is that it curtails inquiry into why the passengers and crew were not provided with an escape system.

    [ক্রমশঃ] 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    পর্ব ১ | পর্ব ২
  • আলোচনা | ২২ মার্চ ২০২২ | ১৪৫২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 122.178.***.*** | ২২ মার্চ ২০২২ ২০:২৩505190
  • এটা একেবারে অসাধারন একটা লেখা হতে চলেছে :-) ফেলিওর অ্যানালিসিস আমার খুব প্রিয় বিষয় ছিল, কোন এক প্রাগৈতিহাসিক যুগে কেমিকাল রিয়্যাক্টর ডিজাইন করার সময়ে ফেলিওর অ্যানালিসিস শিখতে শুরু করেছিলাম, তারপর এর মতো ইন্টারেস্টিং সাবজেক্ট খুব বেশী পড়িনি। কদিন আগে যদুবাবুও চ্যালেঞ্জার ডিসাস্টার নিয়ে লিখলেন, এখন সুকান্তবাবু। এই সিরিজটা আগ্রহ নিয়ে ফলো করবো। 
  • যদুবাবু | ২২ মার্চ ২০২২ ২০:৪০505193
  • সুকি-দাঃ খুব খুশি যে আপনি এই বিষয়ে লিখছেন। আরও অনেক খুশি যে আমার সেই তাড়াহুড়ো করে লেখাটা কোথাও এক বিন্দু হলেও একটা ক্যাটালিস্টের কাজ করেছে। আর কী চাই? প্রচলিত মিথ-গুলো ভেঙে গেলে খুব ভালো আর এই ফেলিওর/রুট কজ এইগুলোও একটু ভালো শেখা যাবে। 

    "মুহূর্ত" লেখার আগে অবশ্যই যত্নবান হওয়া উচিত ছিলো। অরবিটার-টা ধ্বংস হয়ে গেছিলো টি+৭৩-এ, আর  ক্রু-এর সাতজন আরও দু মিনিট পঁয়তাল্লিশ সেকেণ্ড হয়তো বেঁচে ছিলেন দুটূকরো হওয়ার পরে, আনকনশাস হলেও। এই ভুলটা পরের রিভিশনে শুধরে নেবো অবশ্যই। আপনি একটু বিশদে লিখুন। 

    আমার দুর্বল সাফাই এই যে ওই লেখাটার ফোকাস এক ছটাক স্ট্যাট আর একটু সোশিওলজি -  ঐ ঠিক করে পুরো ডেটা না দেখার বিপদ, যারা দেখেছে তাদের কথা পাত্তা না দেওয়া, 'গ্রুপ-থিঙ্ক' ইত্যাদি - এটা বলা এই ট্রাজেডি-টা অ্যাভয়েডেবল ছিলো। চ্যালেঞ্জার একটা উদাহরণ - আরও এমন কত ট্রাজেডি হয়েছে, হচ্ছে আর হবে ... "চোখ খােলা রাখলে দুদিকে বিস্তর প্রাঞ্জল উদাহরণ দেখতে পাওয়া যায়"। এই অব্দিই। :) 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন