এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা

  • কাবুলের বইওলাঃ পর্ব ২

    Ranjan Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ০২ নভেম্বর ২০২১ | ১২৭৭ বার পঠিত
  • পর্ব ১ | পর্ব ২ | পর্ব ৩
    (২)

    [ মিগোজারদ! (এদিনও যাবে চলে!) — কাবুলের এক চা’খানায় দেয়াললিখন। ]

    প্রস্তাব

    সুলতান খানের যখন মনে হোল যে এবার একটা নতুন বউ জোগাড় করা দরকার, কেউ ওকে সাহায্য করতে এগিয়ে এল না। ও প্রথমে গেল মায়ের কাছে।
    ‘একটা আছে তো, সেটা দিয়েই কাজ চালাও’, মায়ের সোজা সাপটা জবাব।
    তখন ও গেল বড় বোনের কাছে। সে বলল, “আমি তোমার প্রথম বৌকে খুব ভালবাসি”। বাকি বোনেদেরও একই কথা।
    মাসি বলল,’তোমার শরিফার জন্যে এ’বড়  লজ্জার কথা, অপমানের কথা’।

    সুলতানের যে কারও সাহায্য চাই। ওদের সমাজে হবু বর নিজে কোন মেয়ের পাণিপ্রার্থনা করতে পারে না। আফগান প্রথা হোল বরের বাড়ি থেকে কোন মহিলা প্রস্তাব নিয়ে যাবে এবং মেয়েটিকে ভাল করে বাজিয়ে দেখে নিশ্চিন্ত হবে  যে মেয়েটির কোন খুঁত নেই, ভাল ভাবে বড় হয়েছে, এককথায় বৌ হবার সব গুণ ও যোগ্যতা ওর মধ্যে রয়েছে। কিন্তু সুলতানের পরিবারের কোন মহিলা ওর বিয়ের কথা কানেই তুলতে চায় না।

    সুলতান কনে হবার যোগ্যতার মাপকাঠিতে তিনটি মেয়েকে বেছে নিয়েছে। তিনজনেই সুন্দরী, স্বাস্থ্যবতী এবং তাদেরই উপজাতির। সুলতানের পরিবারে নিজেদের গোষ্ঠীর বাইরে বিয়ে করার চলন নেই। সাবধানে ভেবে দেখলে নিজেদের আত্মীয় বা তুতো ভাইবোনের মধ্যে বিয়ে হওয়াই বাঞ্ছনীয়।

    ওর পছন্দের প্রথম পাত্রী হোল ষোড়শী সোনিয়া। পেস্তাচেরা কালো গভীর চোখ, চকচকে কালো কেশদাম। ওর চমৎকার গড়ন, উপচে পড়া যৌবন; শোনা যাচ্ছে যে ও ঘরের কাজকম্মেও বেশ দড়। পরিবারটি গরীব বটে, কিন্তু লতায় পাতায় আত্মীয় বটেক। যেমন কনের মায়ের দিদিমা ও সুলতানের মায়ের দিদিমারা আপন বোন।

    এদিকে সুলতান ভেবে সারা যে কী করে পরিবারের কোন মহিলার মধ্যস্থতা ছাড়াই মেয়েটির পাণিপ্রার্থনা করা যায়, ওদিকে ওর প্রথম বৌ নিশ্চিন্তে ঘুমোয়,  জানেই না যে ওর স্বামীর মাথায় সারাক্ষণ নাচছে একরত্তি  এক ছুঁড়ি - যে কিনা ওদের বিয়ের বছরে জন্মেছে! শরিফা বুড়ি হতে চলেছে। সুলতানের মত ওর বয়েসও পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে। মা হয়ে তিন ছেলে এক মেয়ের জন্ম দিয়েছে।এখন সুলতানের মত ভারিক্কি পুরুষের একটা নতুন বৌ নিয়ে আসার সময় হয়েছে।

    ‘নিজেই করগে যাও’, সুলতানের ভাইয়ের অন্তিম পরামর্শ।

    ভেবেচিন্তে সুলতান দেখল যে এটাই একমাত্র উপায়। তাই সাতসকালে ও হাজির হোল সেই ষোল-বছুরে মেয়েটির বাড়িতে। ওর বাবা-মা উষ্ণ অভ্যর্থনায় দু’হাত বাড়িয়ে দিল।  ওদের সমাজে সুলতানের পরিচয় একজন সম্পন্ন উদার মানুষ হিসেবে। এমন একজন বাড়িতে এলে কে না খুশি হয়? সোনিয়ার মা জল গরম করে চা বানিয়ে আনল। মাটির বাড়ি, মেজেতে আসন পাতা হলে ওরা গুছিয়ে বসল। খানিকক্ষণ হালকা কথাবার্তা ঠাট্টা-ইয়ার্কি চলার পর সুলতানের মনে হোল এবার কাজের কথাটা পাড়লে হয়।

    ও বলল, ‘আমার এক বন্ধু সোনিয়াকে বিয়ে করতে চায়’।

    এর আগেও অনেকে সোনিয়ার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছে। সোনিয়া সুন্দরী, কাজেকর্মে দড়, পরিশ্রমী; কিন্তু বাপ-মা ভাবত এখনও মেয়েটা ছোট, বিয়ের যুগ্যি হয় নি। সোনিয়ার বাবা আজকাল কাজে বেরোতে পারে না। একটা বিচ্ছিরি ঝগড়ার সময় ছুরির ঘায়ে ওর পিঠের ক’টা স্নায়ু কেটে গেছল। সুন্দরী মেয়ের বিয়েতে মোটা কন্যাপণ আদায়ের কথা ওদের মাথায় ছিল। আশা করত, পরের বারের আরও বেশি দাম চড়বে।

    ‘লোকটি কিন্তু পয়সাওলা, ও আর আমি একই ব্যবসায় আছি। ও শিক্ষিত এবং তিন ছেলের বাপ। কিন্তু ওর বৌ আজকাল বুড়ি হয়ে পড়ছে’।
    ‘ওর দাঁত-টাতের কী হাল’? মেয়ের বাপের জিজ্ঞাসা। অর্থাৎ, হবু বরের বয়েস কত তার আন্দাজ পাবে।
    ‘এই আমারই মত’, সুলতানের জবাব, ‘তুমি নিজেই বুঝে নাও’।

    তাহলে তো বেশ বুড়ো! মেয়ের বাপ-মা ভাবল। কিন্তু সেটা খারাপ কিছু নয়। বর যত বুড়ো হবে মেয়ের দাম তত বেশি হাঁকা যাবে। কনের দাম ঠিক হবে তার বয়েস, সৌন্দর্য, কাজকম্মে কেমন আর পরিবারটির সামাজিক অবস্থান দিয়ে।

    সুলতান খানে্র প্রস্তাব পুরোটা শোনার পর ওরা, যেমনটি ভাবা যায়,  বলল ‘আমাদের মেয়ে বড্ড ছোট’।

    এই অজানা সম্পন্ন ঘরের  প্রার্থীকে, যার কথা  সুলতান এত করে বলছে, মেয়ে গছাতে পারলে খুব ভাল হয়। কিন্তু বেশি আগ্রহ দেখালে চলবে না। ওরা জানে সুলতানকে আবার আসতে হবে। ওদের মেয়ে কচি এবং সুন্দরী।

    সুলতান পরের দিন ফের হাজির হোল। একই প্রস্তাব, একই উত্তর। তবে সেদিন ও সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পেল। যৌবনে পা দেয়ার পর সোনিয়া ওর সামনে আগে কখনও বেরোয় নি।
    সোনিয়া সুলতানের হাতে চুমু খেল -- সম্পর্কে বড় আত্মীয়দের যেভাবে সম্মান জানাতে হয়। সুলতান প্রথা অনুযায়ী  ওর মাথায় চুমু খেয়ে ওকে আশীর্বাদ করল। পরিবেশে চাপা উত্তেজনার ছোঁয়া – সোনিয়াও টের পেল; কিন্তু সুলতান চাচার তীব্র চাউনি ওকে বিব্রত করছিল।

    ‘তোমার জন্য একজন বড়লোক বর খুঁজে এনেছি, এখন তোমার কী মত’? সুলতান শুধোয়। সোনিয়া মাটির দিকে তাকিয়ে থাকে। অল্পবয়েসি মেয়েদের হবু বরের ব্যাপারে মতামত দেওয়ার অধিকার নেই যে!

    তৃতীয় দিন। সুলতান ফের এল। এবার স্পষ্টাস্পষ্টি যৌতুকের কথা পাড়লঃ একটি আঙটি, জড়োয়া হার, কানপাশা ও বাউটি; সব লালচে সোনায় মোড়া; আর যত কাপড়জামা চাই! আরও আছেঃ ৩০০ কিলো চাল, ১৫০ কিলো রান্নার তেল, একটা গরু, কয়েকটি ভেড়া, আর ১৫ মিলিয়ন আফগানি (ওদের মুদ্রা) যা প্রায় ৩০০ ব্রিটিশ পাউন্ডের সমান।

    কন্যাপণের হিসেব পেয়ে মেয়ের বাপ যারপরনাই খুশি। সে বলল, বেশ তবে এবার সেই রহস্যময় পুরুষের সঙ্গে আলাপ পরিচয় হোক। কে সে যে ওর মেয়ের জন্য এত ধন দিতে প্রস্তুত? সুলতান বলল যে ও এদের গোষ্ঠীরই লোক বটেক। কিন্তু মেয়ের বাপ-মা এমন কাউকে চেনে জানে বলে মনে করতে পারল না। তখন সুলতান বলল যে ও পরের দিন সেই মানুষটার ফটো এনে দেখাবে।

    পরের দিন। সুলতানের মাসি একগাদা মিষ্টি-টিষ্টি পেয়ে সোনিয়ার বাপ-মার কাছে হবু বরের পরিচয় খুলে বলতে রাজি হয়েছে।  মাসি এল সুলতান খানের একটা ফটো নিয়ে আর জানিয়ে দিল যে মেয়ের বাপ-মাকে একঘন্টার মধ্যে মনস্থির করে হ্যাঁ কি না জানিয়ে দিতে হবে, ঝুলিয়ে রাখা চলবে না।

    উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে সুলতান কৃতজ্ঞ থাকবে, আর যদি ‘না’ হয় তাতেই বা কি? সুলতান সম্পর্ক তেতো করবে না, কোন শত্রুতা হবে না। সুলতান আসলে লম্বা সময় ধরে ওই ‘হ্যাঁ’ –‘না’ ঝুলোঝুলি এড়িয়ে যেতে চায়।

    সোনিয়ার বাপ-মা একঘন্টার মধ্যেই রাজি হয়ে গেল।  সুলতান খানের টাকাপয়সা, সামাজিক সম্মান ইত্যাদি ওদের ঘায়েল করে দিয়েছিল। সোনিয়া বাড়ির দেউড়িতে বসে অপেক্ষা করছিল।  যখন পাত্রের পরিচয় নিয়ে রহস্যের কুয়াশা কেটে গেল আর বাবা-মা  ‘হ্যাঁ’ করে দিল, তখন ওর কাকা এসে সোনিয়াকে জিজ্ঞেস করল-  ‘সুলতান চাচা তোমাকে বিয়ে করতে চায়, তুমি কি রাজি’?

    সোনিয়ার ঠোঁট কেঁপে উঠল, কোন আওয়াজ বেরোল না। ও জলভরা চোখে  মাথা নীচু করে শালের ভেতর মুখ লুকোল।

    ‘তোমার বাবা-মা পাত্রকে মেনে নিয়েছেন। এবার তোমার একমাত্র সুযোগ মতামত দেয়ার’।

    সোনিয়া হতভম্ব, ও ভয়ে জড়সড়। ও এমন বর চায় না, কিন্তু জানে যে ওকে বাবা-মার পছন্দ মেনে নিতে হবে। সুলতানের স্ত্রী হলে আফগান সমাজে ওর সম্মান অনেক বেড়ে যাবে। কন্যাশুল্ক ওর পরিবারের অনেক সমস্যা দুর করবে, ঘরের হাল ফিরে যাবে। ওই টাকায় ওর বাবা-মা ওর ভাইদের জন্য কন্যাপণ দিয়ে বৌ আনতে পারবে।

    সোনিয়া মুখ খুলল না। আর তার ফলে তার ভাগ্য বরাবরের মত নিরেট হয়ে গেল। মেয়েদের কিছু না বলা মানে ‘হ্যাঁ’। এবার  বিয়ের নিকাহনামার শর্ত লেখা হয়ে গেল, দলিল তৈরি , বিয়ের তারিখ পাকা।

    সুলতান বাড়ি ফিরে গেল, নিজের পরিবারে খবরটা দিতে হবে তো! ওর বৌ শরিফা ওর মা আর বোনেদের সঙ্গে মিলে এক পরাত ভাত ও পালংশাক  ঘিরে গোল হয়ে বসেছিল। খবরটা শুনে শরিফা ভাবল সুলতান ঠাট্টা করছে। ও খুব হাসল আর পালটা কিছু চুটকি শুনিয়ে দিল।  সুলতানের মা’ও সুলতানের এই নতুন চুটকি শুনে খুব হাসল। ও বিশ্বাসই করতে পারেনি যে ওর আশীর্বাদ না নিয়সুলতান এমন একটা কাজ করে বসবে। কিন্তু বোনেদের এক্কেবারে আক্কেলগুড়ুম!

    ওর কথা কেউ বিশ্বাস করছিল না। কিন্তু ও বের করে দেখাল একটা রুমাল আর কিছু মিঠাই, যা বিয়ের কথা পাকা হলে তত্ত্ব হিসেবে মেয়ের বাড়ি থেকে দেয়ার প্রথা।

    কুড়ি দিন ধরে কাঁদল শরিফা। বারবার শুধোয়, ‘আমি কি করেছি? কেন এই অপমান! আমাকে নিয়ে তুমি খুশি নও কেন”?

    সুলতান ওকে বলল —নিজেকে সামলাও। চোখ মোছ। 

    গোটা পরিবারে কেউ ওকে সমর্থন করল না, ওর নিজের ছেলেরাও না। কিন্তু কেউ ওর মুখের উপর শুনিয়ে দেবার সাহস করে নি। এভাবেই সবসময় ও পার পেয়ে যায়।

    শরিফাকে সান্ত্বনা দেওয়া যাচ্ছিল না। ওকে সবচেয়ে ঘা’ দিচ্ছিল এই কথাটা যে ওর স্বামী শরিফার মত একজন শিক্ষিত এবং পার্শিয়ান ভাষার টিচারকে ছেড়ে এমন একটা মেয়েকে পছন্দ করেছে যে কিনা নার্সারি স্কুলেও যায় নি!

    ‘ওর কী আছে যা আমার নেই’? - শরিফা ফুঁপিয়ে ওঠে।

    বৌয়ের চোখের জল সুলতানকে বিচলিত করতে পারেনি।

    আশীর্বাদের ভোজসভায় কেউ যেতে চাইছিল না। কিন্তু শরিফাকে তেতো গিলে দাঁত কামড়ে সেজেগুজে ঊৎসবে যেতে হবে, সেটাই দস্তুর।

    ‘আমি চাই যে সবাই দেখুক - এ বিয়েতে তুমি আমার পাশে রয়েছ। আগামী দিনে আমরা সবাই তো এক ছাদের তলায়ই থাকবো। তুমি দেখাও যে আমাদের ঘরে সোনিয়া স্বাগত’, সুলতানের আদেশ।

    শরিফা আজীবন স্বামীকে খুশি দেখতে চেয়েছে, তার পাশে রয়েছে। এখন এই দুর্বিপাকের সময়, যখন  নিজের মানুষটিকে অন্যের হাতে সঁপে দিতে হবে সে ভেঙে পড়ল এবং মেনে নিল।  সুলতানের আরও ইচ্ছে  যে শরিফাই যেন ওর এবং সোনিয়ার আঙুলে আঙটি পরিয়ে দেয়।

    বিয়ের প্রস্তাব পাকা হওয়ার কুড়ি দিন পরে এনগেজমেন্ট বা আশীর্বাদের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হোল। শরিফা বুকে পাথর বেঁধে হাসিমুখে দায়িত্ব পালন করল। ওর আত্মীয়ারা ওকে বিব্রত ও ব্যতিব্যস্ত করার কোন চেষ্টাই বাদ রাখলেন না। ‘হ্যাঁ রে, তোর বর এটা কী করল? তোকে এমন অপমান? তোর নিশ্চয়ই খুব কষ্ট হচ্ছে’?

    আশীর্বাদের দু’মাস পরে মুসলমানি নববর্ষের প্রাক্কালে বিয়ের অনুষ্ঠান। এবার শরীফা বেঁকে বসল।

    স্বামীকে জানিয়ে দিল, ‘আমি যেতে পারব না’।

    সমস্ত মহিলা সদস্যরা ওকে সাহস জোগাল।  কেউ নতুন পোষাক কিনল না, বা বিয়ে বাড়ির উপযুক্ত সাজগোজ করল না। ওদের সাদাসিদে পোষাক আর বাঁকা হাসি বুঝিয়ে দিচ্ছিল যে ওরা শোকপালন করছে সুলতান খানের বুড়িয়ে যাওয়া বৌয়ের জন্য, যে আর কোনদিন ওর সঙ্গে এক খাটে শোবে না। সেই জায়গাটা নেবে একজন অল্পবয়েসি ভয়ে কুঁকড়ে থাকা নতুন বৌ। কিন্তু ওরা থাকবে এক বাড়িতে, এক ছাদের তলায়, যতদিন মৃত্যু এসে এদের আলাদা না করে দেয়।

    (চলবে)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    পর্ব ১ | পর্ব ২ | পর্ব ৩
  • ধারাবাহিক | ০২ নভেম্বর ২০২১ | ১২৭৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • স্বাতী রায় | ০২ নভেম্বর ২০২১ ২৩:৩১500613
  • ভাগ্যিস এই দিনগুলো আমরা অন্তত পিছনে ফেলে এসেছি . ভাবলেই কষ্ট লাগে !
  • ভাষা ভাষা | ০৫ নভেম্বর ২০২১ ২১:২০500748
  • তা বোধহয় বছর দশেক আগে Asne Seierstad-এর The Books of Kabul বইটা পড়েছিলাম । যেহেতু সরাসরি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লেখা, জীবনের ছোঁওয়াটা সত্যিই অনুভব করা যায় । এতদিন বাদে আবার পড়তে বেশ লাগছে।  দু'টো পর্ব পড়ে খুবই ভাল লাগল । এত স্বচ্ছন্দ অনুবাদ -- তরতর করে এগিয়ে গেলাম। অপেক্ষায় থাকলাম। আরও একবার পড়ে ফেলতে  পারলে তার একটা বড় কারণ নিশ্চয়ই হবে ভাষান্তরের এই সাবলীল প্রকাশ । 
  • Ranjan Roy | ০৬ নভেম্বর ২০২১ ১৫:৫৪500796
  •  আপনাকে উৎসাহ দেবার জন্য ধন্যবাদ!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন