‘মিঃ গান্ধী যদি আর দুইজন স্যার পি সি রায় তৈরি করিতে পারিতেন, তবে এক বৎসরের মধ্যেই তিনি স্বরাজ লাভে সক্ষম হইতেন।’ – আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় তাঁর আত্মজীবনীতে একজায়গায় ম্যাঞ্চেস্টার গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনের অনুবাদ উদ্ধৃত করেছেন, যেখানে উপরের বাক্যটি পাই। প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের আত্মজীবনী পড়তে শুরু করেছিলাম বেশ কটি কারণে, তার মধ্যে প্রধানতম ছিল আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা, বিশেষতঃ, উচ্চশিক্ষাব্যবস্থা গড়ে ওঠার পর্যায়টি বোঝার তাগিদ। এছাড়াও, স্বাধীন উদ্যোগ নিয়ে তাঁর চিন্তাভাবনা, ভারতের বিজ্ঞানের অতীত নিয়ে তাঁর চর্চা ইত্যাদি জানার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু, তাঁর আত্মচরিত পড়তে বসে যেটা বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করল, তা হল স্বদেশ ও সমাজের ব্যাপারে তাঁর অনুশীলনগুলি। অবশ্য, প্রফুল্লচন্দ্র এর বহুদিন আগে থেকেই ভারতের সমাজ নিয়ে নিষ্ঠ অধ্যয়নে রত হয়েছিলেন। ১৮৮৫ সালে বিএসসি ডিগ্রির বছরেই তিনি ‘ইন্ডিয়া বিফোর অ্যান্ড আফটার মিউটিনি’ প্রবন্ধটি লেখেন। এই প্রবন্ধ বেশ কিছু দিক থেকে চমকপ্রদ ছিল। সম্ভবতঃ এটিই প্রথম কোনও ভারতীয়ের লেখা সন্দর্ভ, যেখানে প্রাক ব্রিটিশ ভারতের সমাজ ও অর্থনীতির উৎকর্ষের কথা লেখা হয়েছিল। ব্রিটিশ লুণ্ঠন, তজ্জনিত জাতীয় দুর্গতি নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছিলেন প্রফুল্লচন্দ্র। এমন কী এও দেখিয়েছিলেন যে ভারতের নেটিভ রাজ্যগুলির মানুষও কোম্পানির শাসন কিম্বা তার পরবর্তীকালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের শাসনের থেকে বেশি স্বস্তিতে থাকে। খেয়াল করতে হবে, রমেশচন্দ্র দত্তের ভারতের অর্থনৈতিক ইতিহাস প্রকাশ হতে তখনও দেড় দশক দেরি । সাভারকরের মহাবিদ্রোহের ইতিহাসও আরো বেশ কিছু পরে রচিত হবে। সাভারকরের বই যেরকম জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে মানুষকে প্রাণিত করতে লেখা হয়েছিল, তেমনিই জাতীয়তাবাদের যৌক্তিক ভিত্তি রচনা করার এক প্রয়াস ছিল প্রফুল্লচন্দ্রের বইটি।
যাই হোক, আত্মজীবনীতে ভারতীয় সমাজ নিয়ে তাঁর অনুধ্যান, ভারতের অর্থনৈতিক ঐতিহ্য এবং ব্রিটিশ শাসনে তার বিপর্যয়ের বিশ্লেষণ এবং জাতীয় আন্দোলনের বিভিন্ন দিশা নিয়ে বিশদ আলোচনা পাওয়া যায়। বস্তুতঃ একজন বৈজ্ঞানিকের আত্মজীবনী পড়তে গিয়ে দেখি যে তার দ্বিতীয় খণ্ড পুরোটাই দেশের শিল্পবাণিজ্য, অর্থনীতি, সমাজ এবং শিক্ষার আলোচনায় নিবেদিত। প্রথম খণ্ডেও বঙ্গভঙ্গ, দেশীয় শিল্পের উদ্যোগ ইত্যাদির পাশাপাশি ‘রাজনীতি সংসৃষ্ট কার্যকলাপ’ নিয়ে তিনি বিশদে আলোচনা করেছেন। দেশবন্ধুর আহ্বানে রাওলাট আইনের বিরুদ্ধে টাউনহলের সভায় প্রফুল্লচন্দ্র বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি বলেন যে দেশে এরকম কোনও কোনও সময় আসে যখন বৈজ্ঞানিককে ল্যাবরেটরি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসতে হয়। সেই বক্তৃতায় তিনি আলোচনা করেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটেনের জয়ের পিছনে ভারতের মানুষের সম্পদ কত ব্যায় হয়েছিল আর তার প্রতিদানে ভারত কী পেল সেই হিসেব নিয়ে। বস্তুত, সেই সভার থেকেই বাংলায় অসহযোগ আন্দোলনের সূচনা হয়। আমার এই অংশ পড়তে পড়তে আরেকজন অধ্যাপকের কথা মনে পড়ছিল, জি এন সাইবাবা, যিনি রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে স্বাধীন ভারতের জেলে আছেন। অধ্যাপক প্রফুল্লচন্দ্র সরকারি চাকুরেই ছিলেন, তিনি বিদেশি শাসকের রাষ্ট্রব্যবস্থাকে রাস্তায় নেমে চ্যালেঞ্জ করেছেন, তার অন্যায্যতার প্রমাণে বহু প্রবন্ধ রচনা করেছেন, সরকারের সঙ্গে অসহযোগিতায় সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন এমন কী বিপ্লবীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখেছেন। কিন্তু, ব্রিটিশ সরকার তাঁকে কোড অফ কন্ডাক্ট ভঙ্গের দায়ে ফেলেনি। গান্ধীজি দেশের এমন মুক্তি চান নি যেখানে ব্রিটিশ সরকার চলে গেলেও রাওলাট আইন গোছের ব্রিটিশ-সরাকারি নীতি বলবৎ হবে। আমরা পঁচাত্তর বছরের স্বাধীনতা পেয়েছি, কিন্তু গান্ধীজি-প্রফুল্লচন্দ্রের চিন্তাধারার স্বরাজ পাই নি আজও।
প্রফুল্লচন্দ্রের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে ব্যস্ত অধ্যায় ছিল খুলনার দুর্ভিক্ষ, উত্তরবঙ্গের বন্যায় কংগ্রেসের হয়ে সেবাকার্যে প্রবেশ করা। সুভাষচন্দ্র বসু প্রশাসনিক ও সাংগঠনিক কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ায়, এই সেবাকার্যের মূল দায়িত্ব প্রফুল্লচন্দ্রের উপর আসে। তিনি মন্তব্য করেন যে এর মাধ্যমে কংগ্রেস বাংলার সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবে এবং ভোটদেওয়া হোক বা আন্দোলন হোক, এই জনসাধারণ ‘গান্ধী মহারাজের’ শিষ্যদের হাত ছাড়বে না। এর পাশাপাশি তিনি এও দেখেন, যে এই সমস্ত দুর্গতিই সরকারি নীতির প্রত্যক্ষ ফল। যেমন, রেলের জন্য অবিবেচনাপ্রসূত বাঁধ দেওয়ার ফলে বন্যার জলকে নামতে পারছে না। সাধারণ মানুষ তাঁদের প্রাত্যহিক অভিজ্ঞতায় এই সমস্যাগুলি বোঝেন তাঁরা গোড়ার থেকে এইসব উদ্যোগের বিরোধিতা করে আসেন। কিন্তু, হোয়াইট ম্যানস বার্ডেন কাঁধে নেওয়া সরকারি অফিসাররা বোঝেন উল্টোটা। গ্রামের নিজস্ব সামাজিক সংগঠন ভেঙে যাওয়াই এই বিভিন্ন দুর্গতির পিছনে একটা বড় কারণ হিসেবে তিনি চিহ্নিত করেন। এবং সেই সংগঠনের উপর জোর দেওয়া, কংগ্রেসের কর্মসূচীর মূল ফোকাসে গ্রামপুনর্গঠনের কাজকে গুরুত্ব দেওয়া, ইত্যাদির উপর তিনি জোর দেন। হিন্দু-মুসলিম বৈরিতার সমাধানের পথও এর মধ্যে তিনি দেখতে পান।
আসলে, গান্ধী-রাজনীতি বলতে আমরা যা বুঝি, তার একজন চ্যাম্পিয়ন ছিলেন প্রফুল্লচন্দ্র। গান্ধীজি প্রচারের জন্য, আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য যেসকল পদক্ষেপ নিয়েছেন, তার অনেকগুলিকেি বৈজ্ঞানিকের অনুসন্ধিৎসা দিয়ে পর্কযালোচনা করেছেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র। এর একটা প্রকৃষ্ট উদাহরণ আত্মচরিতে 'চরকার বার্ত্তা' শিরোনামের অধ্যায়টি। চরকা এমন এক প্রশ্ন, যেখানে জাতীয়তাবাদী বিজ্ঞানী প্রফুল্লচন্দ্র বিশ্বমানবতাপন্থী সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথকে রেহাই দেন নি। চরকা-খদ্দরে অনাস্থাশীল কবি প্রফুল্লচন্দ্রের পত্রাঘাতের উত্তরেই চরকার সমালোচনায় নিয়ে তাঁর বিখ্যাত প্রবন্ধটি লেখেন। কিন্তু, রবীন্দ্রনাথের চরকা-স্মালোচনা যেখানে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের, মুক্ত মানবতার প্রশ্নে, প্রফুল্লচন্দ্রের আত্মচরিতের চরকা অধ্যায়টি তথ্যবহুল, বস্তুনিষ্ঠ। তিনি এক বিশাল পর্যায় জুড়ে সাধারণ মানুষের আয় ব্যায় অর্থনৈতিক ক্ষতির খতিয়ান দিয়ে দেখান, চরকার উপর ভিত্তি করে এদেশের স্বরাট কারিগররা, বিশেষ করে মহিলারা কতখানি অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্যে ছিল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের নিজস্ব মুনাফার প্রয়োজনে সেই কারিগরিকে বিপন্ন করা হয়, কলের কাপড় আমদানি হয়। সাম্রাজ্যবাদ আর মুনাফা-পুঁজিকে তাই আলাদা করা যায় না। যেমন আলাদা করা যায় নি চরকার সঙ্গে এদেশের মানুষের স্বরাজচেতনাকে। চরকার রাজনৈতিক ভিত্তি নিশ্চিতভাবে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ বুঝেছিল, তাই ঘরে ঘরে গান্ধীযুগের প্রতীক হয়ে উঠেছিল চরকা। কিন্তু, অর্থনৈতিক ইতিহাস বিচার করে তার ভিত্তি বিশ্লেষণ খুব বেশি চোখে পড়ে না, এমন কী গান্ধীজির নিজের লেখাতেও তা নেই, যা পাওয়া যায় আচার্য প্রফুল্লচন্দ্রের লেখায়। এক্ষেত্রে তিনি মূলতঃ সাহায্য নিয়েছেন রমেশচন্দ্র দত্তের বইটির। গান্ধীজির ‘হিন্দ-স্বরাজ’ পড়তে গিয়ে আমার নিজের মনে হয়েছে, তার বিভিন্ন বিতর্কিত অংশ, যেমন কলকারখানা, রেল ইত্যাদি নিয়ে আলোচনার সহায়ক পাঠ হিসেবে রমেশচন্দ্র দত্তের ‘ভারতের অর্থনৈতিক ইতিহাস’ বইটি পড়বার দরকার আছে। হিন্দ-স্বরাজের শুরুতে গান্ধীজি বইটির ঋণ স্বীকারও করেছেন। প্রফুল্লচন্দ্র কার্যতঃই গান্ধীজির ভাবনাকে এই বইয়ের সাহায্যে ব্যাখ্যা করেছেন। আর। তাই তিনি বৃহৎ শিল্প সম্বন্ধে গান্ধীজির অবস্থানটি যথার্থ ব্যাখ্যা করতে পেরেছিলেন-
“কলের প্রতি –ধনতন্ত্রের প্রতি গান্ধীজির প্রবল ঘৃণা আছে। ধনতন্ত্রের ফলে যে লক্ষ লক্ষ ভারতীয় কৃষক ও শিল্পীর জীবিকার উপায় নষ্ট হইয়াছে, গান্ধীর ঘৃণা তাহারই প্রতিচ্ছায়া মাত্র।”
ধনতন্ত্র এবং ‘কল’তন্ত্র যে এক, এই চিন্তা শুধু প্রফুল্লচন্দ্রের একার না। চিত্তরঞ্জনও তাঁর বিভিন্ন লেখায় ভাষণে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়ালিজম’-এর বিরোধিতা করেছেন। এঁদের মতে ভারতের উপর ইংল্যান্ডের শোষণ আসলে ধনতন্ত্রেরই ‘প্রতিচ্ছায়া’। তাই, স্বরাজের লক্ষ্যে ভারতবাসীর লড়াই ছিল ধনতন্ত্রের বিরুদ্ধে, কঠোর কেন্দ্রিভূত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কৃষক কারিগরের সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই। যদিও স্বাধীনতা সেই স্বরাজকে দৃষ্টিগোচর করে নি। আজকের পৃথিবীতে রাষ্ট্রের ক্ষমতা এবং কর্মীসংকোচন যখন হাত ধরাধরি করে বাড়ছে, এদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিকের সাবধানবাণীগুলো পুনর্পাঠ দরকার বই কি!
শিক্ষাবিষয়েও জাতীয়তাবাদী প্রফুল্লচন্দ্রের চিন্তাভাবনা অন্যরকম ছিল। আমাদের দেশে শিক্ষার মূল দরকার অনুভূত হয়েছে এই কারণে যে- 'পড়াশুনো করে যে গাড়িঘোরা চড়ে সে'। কিন্তু, সেই শ্রমবিমুখ, বিলাস-অভিলাষী শিক্ষাকে নাকচ করতে চেয়েছেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র। তাঁর মতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুরিভুরি গ্র্যাজুয়েট সৃষ্টি মূলতঃ কর্মবিমুখতাকে প্রশ্রয় দেয়। হাতে গোণা কিছু লোক বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াকে জীবিকার কাজে লাগায়, বাকিদের কাছে কাজের জীবনে বিলম্বে ঢোকার এক প্রকরণ এই শিক্ষা। তিনি বহু উদাহরণ টেনে দেখিয়েছেন পেশাগত জীবনে সফল হতে ঐ শিক্ষার দরকার নেই। বরং কর্মমুখী হাতেকলমের শিক্ষা বাড়লে দেশের বেশি মঙ্গল হবে এই তিনি মনে করতেন। ব্রিটিশ শিক্ষাব্যবস্থার ফসল কালোকোটধারীরা দেশের কতটা উপকারে আসে তা নিয়ে তিনি সন্দিগ্ধ ছিলেন।
“একজন শিক্ষাব্যবসায়ী হিসাবে আমি পুনঃপুনঃ বলিয়া আসিতেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধির মোহ বাঙালি চরিত্রের প্রধান ত্রুটি। ... কর্মতৎপরতাই প্রকৃত জ্ঞানলাভের একমাত্র উপায়।” তেমনিই মাতৃভাষার বদলে ইংরিজিমাধ্যমে পড়াশুনোর (এমন কী বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে) বিরোধিতা করেছেন তিনি। তাঁর মতে ইংরিজি ভাষা শিখতে ছাত্রদের অনর্থক সময় নষ্ট হয়। মূল বিষয় উপেক্ষিত হতে থাকে।
এইসব প্রসঙ্গ অতিসম্প্রতি আলোচনায় আসছে অবশ্য। কিন্তু, সেই আলোচনা এত বছর আমাদের বুধমণ্ডলী বা সামাজিক নেতারা কার্পেটের তলায় সরিয়ে রেখেছিলেন। দুর্ভাগ্য, ব্রিটিশ শিক্ষাধারারর বিফলতার প্রসঙ্গ আজ যাঁরা তুলছেন তাঁরা এক অতি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই সেটা করেছেন। যাঁকে প্রফুল্লচন্দ্র অভিহিত করেছেন হিন্দু পুনরুত্থানবাদ নামে, এবং বলেছেন সেইটিও ব্রিটিশ শিক্ষারই অবদান। হিন্দু পুনরুত্থানবাদের মধ্য দিয়ে মধ্যে এমনভাবে কুসংস্কার, জাতিভেদ ও মুসলিমবিদ্বেষকে দেশের মাটিতে টেনে আনা হচ্ছে, যা হয়ত হাতে গোণা কিছু সম্প্রদায়ের মধ্যে ছিল, এদেশের সাধারণের জাতীয় জীবনে তা আগে ছিল না। কিন্তু হিন্দুত্বের (এই শব্দটি তখনও অনাবিষ্কৃত ছিল) এই ধারাটি দেশের বিকাশের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে উঠছে।
একশতাব্দী পরেও এই আত্মচরিত অতীব প্রাসঙ্গিক।
বাহ
কলের প্রতি গান্ধীর আদৌ ঘৃণা ছিল না। প্রফুল্লচন্দ্রের চরকা প্রীতি যে দেশকে কোন সর্বনাশের পথে ঠেলেছিল সে কথা গান্ধীকে স্বয়ং কবুল করতে হয়েছিল। তাঁর অন্যতম স্পনসর ছিলেন বিড়লা (খানিক পরিমাণে টাটাও)। সোমনাথের গান্ধী ও চরকা-প্রীতি সুবিদিত। তা বাদে লেখাটিতে কিঞ্চিৎ ভারসাম্য রক্ষা করার প্রচেষ্টা আছে।
হে হে, এখানেও একটা কমেন্ট করে যাবেন কিন্তু।
আচার্য উপাধি কি রবীন্দ্রনাথ এর দেওয়া?
চমতকার একটা প্রবন্ধ পড়লাম
পরিচ্ছন্ন লেখা , সুখপাঠ্য।
বিজ্ঞানের বিশ্লেষণে ভারতীয় সমাজের স্বরূপ উদ্ঘাটনে প্রফুল্লচন্দ্র পাঠ অপরিহার্য ; তাঁর আত্মজীবনী -বাংলা ও ইংরেজি - গুরুত্বপূর্ণ দলিল যেমনটি অন্যদের লেখায় অপ্রাপ্য / ধন্যবাদ সোমনাথ বাবু /
এলেবেলে একটা প্রশ্নের জবাব দিন তো.... আপনার ফেবারিট 'মনীষী ' কে , মনে ভালোর দিক থেকেই বলছি ? কেউ না বললে হবে না। গ্রেটার ইভিল লেসর ইভিল হিসেব করে বলতে হবে সেই ক্ষেত্রে।
মানে*
এই সেরেছে! রমিতের প্রশ্ন তো আমি এতদিনে দেখলাম। দেখুন সত্যি কথা বলতে আমি 'মনীষী' কনসেপ্টে আদৌ আস্থাশীল নই কারণ এটা ঠিক করার প্যারামিটারগুলো আমার জানা নেই আর কি। যেমন ধরুন মহম্মদ মহসীনকে মনীষী বলা হবে? লালনকে? রোকেয়াকে? বা ধরুন জীবনানন্দ বা সমর সেনকে? সতীনাথকে? কিংবা আরেকটু এগিয়ে জর্জ বিশ্বাসকে? যদি বলা হয়, তাহলে এঁরা প্রত্যেকেই। আর চিরাচরিত 'মনীষী'-র ছকে যদি আমাকে আটকে রাখতে চান তাহলে খানিকটা বাদ দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ও ১৯৪৭ অবধি জিন্না।
মনীষী একটা কনসেপ্ট বলেই এয়ারকোট করেছি। দোষ ত্রুটি শূন্য মনীষীর কনসেপ্ট এ আমিও বিিিশ্বাস করিনা। কিন্ত তাার। মধ্যেও তো কিিিছু লোক ছিল যারা
I will comment later. Writing software is malfunctioning.