এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  শিক্ষা

  • স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় খুলুক, পাশাপাশি জরুরি প্রয়োজনে অনলাইন শিক্ষার পরিকাঠামোকেও মজবুত করা হোক

    সৌভিক ঘোষাল
    আলোচনা | শিক্ষা | ২১ জুলাই ২০২১ | ৩১২৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • বিগত দুদশক ধরে ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষণের বিকাশ আমরা দেখেছি। বিগত কয়েকবছরে MOOC (Massive Open Online Course) একটি জনপ্রিয় শিক্ষামাধ্যম হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে কলেক বিশবিদ্যালয়ের শিক্ষার ক্ষেত্রে। এবং বিগত দিনগুলিতে আমরা বহু মঞ্চে এই বিতর্ক দেখেছি যে অনলাইন ক্লাস কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিস্থাপিত করতে পারবে কি না? শিক্ষা কি তার গুরুমুখাপেক্ষী চেহারাটা সম্পূর্ণ ঝেড়ে ফেলে প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠতে পারবে। কিন্তু, এও দেখেছি যে এই সমস্ত বিতর্কের শেষে সভার মত এই থেকেছে যে অনলাইন শিক্ষা চমৎকার জিনিস, কিন্তু তা প্রথাগত ক্লাসরুমের প্রতিস্থাপক নয়, পরিপূরক বড়জোর। এই আবহে এল করোনা অতিমারী, যার প্রেক্ষিতে এই চলমান বিতর্কটা সরিয়ে ফেলে সমস্বরে নীতিনির্ধারকেরা ঘোষণা করে দিলেন- ভারত পড়ে অনলাইন। আর, শেষ দেড়বছর, অন্ততঃ আমাদের দেশে পড়াশুনো মানেই অনলাইন। মজার ব্যপার, প্রথম বিশ্বের দেশগুলি, অনলাইন পড়ানোর প্রকৌশল ও রেস্তঁ যাদের বেশি, তারা কিন্তু যেভাবে হোক ক্লাসরুমে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। বিশেষতঃ প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্তরে স্কুল সেভাবে অনেকে বন্ধ হতেই দেয় নি। আমাদের দেশে শিশুশিক্ষাও ক্লাসরুম বন্ধ রেখে চলছে, উল্টোদিকে। যেখানে তর্কাতীত ভাবে এইদেশে সর্বস্তরে অনলাইন পড়াশুনোর প্রযুক্তি-পরিকাঠামো নেই। এবং তর্কাতীত ভাবে ইস্কুলের পড়াশুনো স্কুল বন্ধ রেখে চালানোর মূল ধাঁচাটাই এখনও তৈরি হয় নি। ফলে, যে প্রশ্নটা সবার আগে জাগে, যে কী হতে যাচ্ছে? ইস্কুল-কলেজের পড়াশুনোকেই আমরা দেশের ভবিষ্যৎ গঠনের মূল স্তম্ভ হিসেবে এতদিন জেনে এসেছি, সেইখানে এই বিপর্যয়ের ফল কী হবে? নাকি বিপর্যয়ই দেখিয়ে দেবে নতুন ভবিষ্যত? সেইসব প্রশ্ন নিয়েই রইল করোনাকালের লেখাপড়া নিয়ে এই আলোচনাগুলি।

    কয়েকদিন আগে হোয়াটস অ্যাপে একটি বার্তা বেশ ছড়িয়ে পড়েছিল, যাতে বলা হয়েছিল আমাদের সমাজ এক আশ্চর্য সমাজ যেখানে ‘পাঠশালা বন্ধ আর মধুশালা খোলা’। এমনিতে যুক্তির নিরিখে দেখলে মধুশালায় যাতায়াত ব্যক্তিগত ইচ্ছা্র ব্যাপার, কিন্তু পাঠশালা ঠিক তেমন নয়, একটা নিয়মের বিষয় - তাই এই তুলনা খুব যথার্থ নয়। কিন্তু এখানে যুক্তির চেয়েও, ধ্বনিসাম্যের নিরিখে দুটি শব্দের চয়নের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল অন্য একটা প্রশ্ন – লকডাউন শিথিল করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব কোথায় দেব?

    যখন মাধ্যমিক আর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হল তখনো এসেছিল একটা প্রতি তুলনা। কেউ কেউ বলেছিলেন যে নির্বাচন আয়োজনে যে গুরুত্ব দেওয়া হল, উচিত ছিল সেই গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচনের বদলে পরীক্ষার আয়োজন করা। এমনকি নির্বাচনের পর অতিমারী যখন তুঙ্গে তখনো এই কথা উঠেছিল যে পরীক্ষা একেবারে বাতিল না করে অপেক্ষা করা হোক। অতিমারীর ঢেউ খানিক মন্দীভূত হলেই দরকারে জরুরি পরিষেবা ছাড়া অন্য সব কিছু দু সপ্তাহ বন্ধ রেখে মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়ার দিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হোক। কারণ বিশ লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থীর দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যৎ এর সঙ্গে জড়িত।

    আমরা জানি এই সব আলোচনার কোনও কিছুই শেষ পর্যন্ত সরকার মানেন নি। কিন্তু এগুলি যে পাড়ার মোড়ের বা চায়ের দোকানের চর্চা শুধু নয়, হোয়াটস অ্যাপের ক্যাজুয়াল ফরওয়ার্ডিং বা ফেসবুক পোস্ট এর ব্যাপার নয়, বিশ্বের সামনের সারির বিভিন্ন নীতি নির্ধারক সংস্থারও চিন্তাভাবনা, তাও আমরা সাম্প্রতিক সময়ে জেনেছি।

    অল্প কয়েকদিন আগেই ইউনিসেফ জানিয়েছে যে বিপর্যয় মোকাবিলায় সরকারি নীতি দেখা যাচ্ছে সবার আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করো আর সবার শেষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলো। ইউনিসেফ এর মতে হওয়া দরকার ঠিক এর বিপরীত। জরুরি প্রয়োজনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হলে তা করতে হবে সবার শেষে আর পরিস্থিতি স্বাভাবিকতার দিকে খানিক মোড় নিলে সবার আগে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে খুলে দিতে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

    ভারতবর্ষের মতো প্রথাগত শিক্ষায় অনেক পিছিয়ে পড়ে থাকা এই দেশের জন্য এই চেতাবনি খুবই জরুরি। এমনিতেই অবহেলিত শিক্ষা এই অতিমারীর সময়ে অবহেলার দিকে আরো বেশি গড়িয়ে গেল, তা আমরা সবাই গত দেড় বছরে প্রত্যক্ষ করছি।

    তবে এবার স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় – সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবি সমাজের মধ্যে থেকে ক্রমশ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। এখনো অনেকে সংশয়ী নন তা নয়, কিন্তু সাবধানতা নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালুর বিষয়ে জনমত ক্রমশ প্রবল হচ্ছে। স্কুল খোলা নিয়ে যে সমস্বর উঠেছে শিক্ষক অভিভাবক সমাজের ভেতর থেকে, ইউনিসেফ থেকেও এসেছে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব - সেই ভেতর বাইরের বক্তব্যের নিরিখে সরকার হয়ত এবার স্কুল খুলে দেবেন।

    ফলে অনলাইন ক্লাস এর ওপর একমাত্র নির্ভরতা অনেকটাই কমবে। কিন্তু মহামারী আগামীদিনে কোন বাঁক নেবে, থার্ড ওয়েভ ফোর্থ ওয়েভ ইত্যাদি ঢেউ আসতেই থাকবে কিনা, আসলে তার ব্যাপকতা কতটা হবে – এই সবই অনিশ্চিত। ফলে অনলাইন ক্লাস নিয়ে চিন্তাভাবনাকেও স্কুল কলেজ খোলার উদ্যোগের পাশাপাশি এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ক্লাসরুম শিক্ষার পাশাপাশি বিকল্প পদ্ধতিকেও তৈরি করে রাখতে হবে, যাতে প্রয়োজনে তাকে আরো অনেক ভালোভাবে, অনেক পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করা যায়। এমনকি স্থান সংকুলানের কারণে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই হয়ত রোটেশান পদ্ধতি নিতে হবে। এতে ক্লাসঘরের শিক্ষার সময় কমবে। সেই ক্ষতিপূরণের জন্য ক্লাসঘরের শিক্ষার পাশাপাশি অনলাইন শিক্ষাকেও চালিয়ে যেতে হতে পারে।

    অনলাইন ক্লাস ইস্কুলের বিকল্প হতে পারবে না কোনওভাবেই - তা প্রথম থেকে জানা ছিল। কিন্তু অনলাইন ক্লাস যতটা সীমাবদ্ধ হয়ে থাকল গত পনেরো ষোলো মাসে - ততটা সীমাবদ্ধ হয়ে যাবারও বোধহয় কথা ছিল না।

    বিশেষ করে যত ঘরে স্মার্ট ফোন আছে, ইন্টারনেট ডেটা প্যাক যতটা সস্তা হয়েছে আগের চেয়ে তার হিসাব নিকাশ করলে মনেই হয় যে অনলাইন ক্লাস যতটা সীমাবদ্ধ হয়ে থেকেছে, তার চেয়ে প্রসারিত হতে পারত।

    কেন অনলাইন ক্লাস আরো খানিকটা প্রসারিত হতে পারল না সেই আলোচনা একটা স্বতন্ত্র বিষয়। সেখানে স্মার্ট ফোন, ইন্টারনেটের ডেটা প্যাক, কানেকশান ও গতির সহজলভ্যতা এসবের প্রশ্ন আছে, ছোটদের মনঃসংযোগের প্রশ্ন আছে, শিক্ষাদপ্তরের পরিকল্পনার খামতি নিয়েও প্রশ্ন যে একেবারেই নেই তাও নয়।

    কেন এতদিনেও বিভিন্ন শ্রেণির বিষয়ভিত্তিক ক্লাস মেটেরিয়াল এক জায়গায় রাখার একটা ওয়েব সাইট ও অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করে ফেলা গেল না, যেখানে ছাত্রছাত্রীরা তাদের সময় সুযোগ মত ঢুকতে পারত আর দেখে নিতে পারত তাদের পাঠ্য বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনও ভিডিও, ছবি, চার্ট, ম্যাপ, গ্রাফ, লেখা ইত্যাদি তা বোঝা দুষ্কর।

    ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্ন রাখার আর উত্তর পাওয়ার জায়গাও সেখানে রাখা যেতে পারত, ওয়েব পোর্টালটিকে ইন্টার‍্যাকটিভ করে তোলার অনেক সুযোগ তো প্রযুক্তি করেই দিয়েছে। তবুও সেই সুযোগকে ব্যবহার করে নেবার দিকে শিক্ষা দপ্তর এগোলেন না।

    এই অতিমারীকে মোকাবিলা করে এই সময়ে শিক্ষাকে কিছুটা হলেও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজটা যে এক একটি বিদ্যালয় ও তার শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিচ্ছিন্ন উদ্যোগের বিষয় নয়, সেই উদ্যোগ যতই আন্তরিক হোক না কেন শেষ পর্যন্ত একটি কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা ও পরিকাঠামো এই বিপুল সমস্যার মোকাবিলায় জরুরি - তা শিক্ষা দপ্তর বুঝে উঠতে পারেন নি বলেই মনে হয়।

    এই সমস্ত নানা ধরনের বিষয় ছাড়াও অনলাইন ক্লাস সংক্রান্ত সমস্যাটা অনেকটাই অর্থনৈতিক।

    এমনিতেই সরকারি স্কুলে পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীদের অধিকাংশ দরিদ্র প্রান্তিক পরিবারের। বিশেষত শহর মফস্বলে। আর এই পুরো বা আধা লকডাউনে এই পরিবারগুলির জীবিকা সঙ্কট মারাত্মক জায়গায় পৌঁছেছে। ছেলেমেয়েদের পড়াশুনোর জন্য সাধারণ পরিস্থিতিতে যতটা খরচ তারা যোগাতে পারতেন, কষ্ট করে একটা কম দামি নতুন স্মার্ট ফোন কিনে দিয়ে বা বেশি ডেটা প্যাক রিচার্জ করে - এই পরিস্থিতিতে তারা সেটা পারেন নি।

    অনেক ছাত্রছাত্রীকে আবার বাবা মার সঙ্গে কাজে নামতে হয়েছে, পড়াশুনোতে ইতি টানতে হয়েছে। অন্যান্য বিষয়গুলোর সঙ্গে এই ভয়াবহ আর্থিক বিপর্যয় অনলাইন ক্লাসকে আরো সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে। ফলে স্কুল খোলার দাবি সর্বস্তরে আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে বেশি এখন।

    নতুন কোনও ঢেউ বিপর্যস্ত করে না দিলে বোধহয় এবার চলবে প্রত্যক্ষ ক্লাসরুমের পড়া। কতগুলি ক্লাস নিয়ে আর কতটা রোটেশনে সেগুলি ক্রমশ সামনে আসবে।

    কিন্তু মানসিকভাবে বোধহয় এভাবেই সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে যে স্কুল খোলা বন্ধের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আরো ফ্লেক্সিবল হতে হবে সংক্রমণের গোটা পর্বটি জুড়ে। যা বেশ কয়েক বছর বা দশকও স্থায়ী হতে পারে।

    সংক্রমণ বাড়লে সাথে সাথে বন্ধ করা আর ঢেউ স্থিমিত হলে দ্রুত খুলে দেওয়া - এই অভিযোজন ছাড়া বোধহয় গতি নেই।

    করোনা বিষয়ে সাধারণ মানুষ দূর অস্ত, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, গবেষকরাও অনেকটাই অন্ধকারে এখনো। ফলে খোলা মনে এগিয়ে পিছিয়ে পথ চলা ছাড়া অন্য উপায় বোধহয় নেই।

    স্কুল খোলার সময়ে আমাদের সকলকেই অনেক বেশি সতর্ক, দায়িত্ববান, সংবেদনশীল ও আন্তরিক হতে হবে। নতুন সময়ের ও পরিস্থিতির দাবিতে যে অধিকাংশ শিক্ষক শিক্ষিকা ভীষণভাবেই সাড়া দেবেন, তাদের বুদ্ধিবৃত্তি, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, উৎসাহ ও আন্তরিকতা নিয়ে এগিয়ে আসবেন - এটা আশা করাই যায়।

    সতর্কতা ও আন্তরিকতা মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সঙ্কটের মোকাবিলা আমরা যে অনেকটাই করে উঠতে পারব - এরকম বিশ্বাস না রাখার কোনও কারণ নেই।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২১ জুলাই ২০২১ | ৩১২৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Anindita Roy Saha | ২১ জুলাই ২০২১ ১৯:২৩495972
  • সকলে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসবেন আশা করতে অবশ্যই মন চায়। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন আমাদের শিক্ষব্যবস্থার খোলনলচে বদলে ফেলা। আমাদের পড়ানোর আর পরীক্ষার পদ্ধতি। যে ব্যবস্থায় স্নাতকোত্তর স্তরেও একই প্রশ্ন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রতি বছর করা যায় , সেখানে নতুনকে গ্রহণের আগ্রহ কার? কে পরিশ্রম করে মেটেরিয়াল তৈরি করে ওয়েবসাইটে দেবে? কজন শিক্ষক ছাত্রের প্রশ্ন শুনে নিজে ভাবতে বা আরো শিখতে আগ্রহী ? বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের রিডিং মেটেরিয়াল দেখুন আর আমাদের বস্তাপচা ক্লাসনোট। 


    স্কুল স্তরে সমস্যার স্বরূপ হয়তো আলাদা , কিন্তু মানসিকতা বোধহয় আদতে একই। বদলাতে হবে আমাদের শিক্ষকদের। অনলাইন ওয়েবিনারের ফ্যাশন কাটিয়ে এই মাধ্যমটির উপযুক্ত সদ্ব্যবহার করতে হবে। 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন