এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  দুই পা ফেলিয়া

  • ইতিহাস, কিংবদন্তি, লোককথার সুন্দর সমন্বয়

    রামামৃত সিংহ মহাপাত্র
    পড়াবই | দুই পা ফেলিয়া | ২০ জুন ২০২১ | ৩৪৭১ বার পঠিত
  • ব্রজরাজপুর। বাঁকুড়া জেলার ছোটো গ্রাম। প্রতিষ্ঠা করেন মথুরানন্দ গোস্বামী। বিশেষ আকর্ষণ তিনশত বছরেরও বেশি প্রাচীন শ্যামসুন্দরের মন্দির। এই গ্রাম ও তার সমাজ, সংস্কৃতির বিশদ আখ্যান। একটি সাম্প্রতিক বই। পড়লেন রামামৃত সিংহ মহাপাত্র


    বাঁকুড়া জেলার অখ্যাত গ্রাম ব্রজরাজপুর। সেই গ্রাম বিখ্যাত হয়ে গেল শ্যামলীলাভূমি হিসাবে। শ্রীচৈতন্য পার্ষদ দাস গদাধরের পৌত্র মথুরানন্দ গোস্বামী পত্তন করেন এই গ্রামের এবং প্রতিষ্ঠা করেন শ্যামসুন্দরের মন্দির। দক্ষিণ বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চল এই ব্রজরাজপুর এবং প্রায় সাড়ে চারশো বছরের পুরানো এক মন্দির এবং তাকে ঘিরে আবর্তিত হওয়া দেবমাহাত্ম্য, লোককথা এবং ইতিহাস তুলে এনে দু-মলাটের মধ্যে বন্দি করেছেন লোকসংস্কৃতির গবেষক পার্থসারথি গোস্বামী।



    ব্রজরাজপুরে শ্যামসুন্দরের মন্দির


    এই বইয়ের পটভূমি শুরু হয়েছে ব্রজরাজপুর মন্দির তৈরি হবার বহু আগে থেকেই। জঙ্গলাকীর্ণ খাতড়া মহকুমায় বৈষ্ণব ধর্মের বিস্তার এবং বৈষ্ণব সংস্কৃতির হাত ধরে রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় পরিবর্তনের কথা উঠে এসেছে এই বইয়ের মাধ্যমে। সেই সঙ্গে মন্দির গড়ে ওঠার ইতিহাস, ধর্মীয় ক্রিয়াকলাপ পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তুলে ধরেছেন লেখক।

    বইয়ের শুরুতেই সংযোজিত হয়েছে দাস গদাধর গোস্বামীর একটি বংশতালিকা। যা বাঁকুড়া তথা দক্ষিণ বাঁকুড়ার বৈষ্ণবধর্মের গবেষকদের কাছে মূল্যবান নথি। ‘মথুরানন্দ গোস্বামী কথা’ অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে তাঁর প্রথম জীবন, গৃহত্যাগ ও বৃন্দাবনগমনের কথা। মথুরানন্দের বাল্যকালে প্রাথমিক পাঠগ্রহণ বেশ আকর্ষণীয়। লেখক উপস্থাপন করেছেন সুন্দর ভাবে, বিদ্যালয়ে গিয়ে ‘ক’ অক্ষর দেখে কেঁদে আকুল হলেন মথুরানন্দ। ‘‘তথায় যাইয়া বালক লাগিল কাঁদিতে।/ ‘ক’ অক্ষর দেখি তথা পড়িল ভূমিতে।।’’

    গ্রন্থটিতে সমান্তরাল ভাবে প্রবাহিত হয়েছে ভক্তিরস। ভাবপ্রকাশের জন্য লেখক লাইন তুলে এনেছেন শ্রীশ্রী শ্যামলীলামৃত, শ্রীশ্রী চৈতন্যচরিতামৃত, শ্রীচৈতন্য ভাগবত ইত্যাদি বৈষ্ণব আকরগ্রন্থ থেকে। মথুরানন্দের বিগ্রহলাভ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘‘হের হে নয়নে শ্রীরাধার মনে দিলাম কপাট খুলিয়া।’’ আবার দেব আরাধনা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘‘মন্ত্রতন্ত্র সাধনাদি কিছু নাহি জানি। /এই বলে কাঁদে আর চক্ষে বহে পানি।’’

    প্রসঙ্গক্রমে এসেছে সুপুর তথা ধলভূমের রাজা জগন্নাথ ঢোলের কথা। নিঃসন্তান রাজাকে প্রজাগণ পর্যন্ত ‘আটকুড়া’ রাজা বলে উপহাস করত। এই উপহাস থেকে পরিত্রাণ পাবার চেষ্টা এবং সন্তানলাভের মধ্যেই লুকিয়ে আছে মন্দির প্রতিষ্ঠার ইতিহাস। বলা যেতে পারে বিষ্ণুপুরের রাজা হাম্বীর শ্রীনিবাসের সংস্পর্শে আসার ফলে মল্লভূম জুড়ে যেভাবে বৈষ্ণবধর্মের ঢল নেমেছিল, অনুরূপে জগন্নাথ ঢোলের মথুরানন্দের সংস্পর্শ ধলভূম জুড়ে বৈষ্ণব প্রচার ও প্রসারের ভূমি তৈরি করেছিল। এই অংশটিতে লেখক বর্তমান দক্ষিণ বাঁকুড়ায় বৈষ্ণবধর্ম প্রচারের ইতিহাস সুনিপুণ দক্ষতায় এবং বিশ্লেষণধর্মী মন নিয়ে তুলে ধরেছেন। সেই সঙ্গে সুপুর, অম্বিকানগর এবং খাতড়া রাজপরিবার গড়ে ওঠার মূল কারণ তুলে নিয়ে এসেছেন। যা বাংলার জমিদার বা রাজবাড়ি নিয়ে যাঁরা গবেষণা করেন তাঁদের তথ্য সহায়ক হবে। বাংলার বুকে বর্গি আক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়ার সময় এর শিকার হয়েছিল ব্রজরাজপুরও। এই তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায় শ্রীদাস গোবিন্দ রচিত আখ্যান থেকে—

    এগারশ তেষট্টি সনে বৈশাখের অপরাহ্ণে
    শুক্লপক্ষে তৃতীয়ার দিনে
    একদল বর্গি এসে অত্যাচার কৈল যবে
    এই ব্রজরাজপুর গ্রামে


    এখানে লেখক তুলে এনেছেন ইতিহাসবিস্মৃত এক তরুণী বীরাঙ্গনা-র কথা। তিনি ছিলেন খাতড়ার তৎকালীন শাসক হরিশচন্দ্র ধবলের ভ্রাতা বীরচন্দ্রের কন্যা। শ্যামকে স্মরণ করে নিজ অসিবলে তিনি পরাস্ত করেছিলেন বর্গিদের—

    সৈন্য মোর শ্যামচাঁদ অস্ত্র এই অসিখান
    বল মোর গুরুর চরণ।
    আর কি কহিব ওরে বৈষ্ণবরেণু ধরি শিরে
    আসিয়াছি তোমাদের সদন।


    এই আখ্যানে সম্ভবত বর্গিদের হাত থেকে মদনমোহন কর্তৃক বিষ্ণুপুরকে রক্ষার গল্পের ছায়া রয়েছে। তবে বিস্মৃতপ্রায় এই ইতিহাস তুলে এনে লেখক তাঁর গবেষক হিসেবে নিষ্ঠা ও অধ্যাবসায়ের পরিচয় দিয়েছেন।

    বাংলা তথা ভারতবর্ষ জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে অজস্র মন্দির। আশ্চর্যের বিষয় প্রায় প্রতিটি মন্দিরের আরাধনাপদ্ধতি এবং নিবেদিত নৈবেদ্যের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ব্রজরাজপুর গ্রামের মন্দিরের ক্ষেত্রেও এর অন্যথা হয়নি। সুনিপুণ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে শ্যাম-রাইয়ের সেবাপদ্ধতি তুলে ধরেছেন এই বইয়ে। ভোগ নিবেদনের নৈবেদ্য হিসাবে লেখা রয়েছে, “সকাল ন’টার সময় মন্দির খুলে প্রভুর পূজা অর্চনা, পূজার শীতল হিসাবে নিয়ম অনুযায়ী যেসব সামগ্রীর প্রয়োজন সেগুলো হলো—গব্য ঘৃত বা গাওয়া ঘি মাখানো ও কিঞ্চিত লবণ সহযোগে তিন সের মুড়কি, দুই সের চিড়ে ভাজা, ছয়টি মিঠাই ও তার সঙ্গে নানা ফলমূল। মধ্যাহ্নভোগে নিবেদন করা হয় তিন সের তিন পোয়া আতপ চালের অন্ন, পাঁচ পোয়া কলাইয়ের ডাল, শাক, চাররকমের ভাজা, কুমড়োর তরকারি, শুক্তা ও চাটনি। এক সের চিড়ের পিঠে তাতে যেন চাঁছি ভরা থাকে এবং তিন সের দুধ ও এক পোয়া আতপ চাল ও পরিমাণ মতো গুড়ের পরমান্ন বা পায়েস। সব শেষে দিতে হয় পাঁচটি পান। তারপর প্রভুর শয়ন ও চামর দুলিয়ে প্রভুর পদসেবা করা অবশ্যই কর্তব্য। সন্ধ্যাভোগ অনেকটাই সকালের বাল্যভোগের ন্যায়।

    বলা অত্যুক্তি হবে না সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে প্রত্যহ যা ভোজন করা হয় দেবতাকে তাই নিবেদন করা হয়। অর্থাৎ দেবতাকে এখানে ঘরের সাধারণ সদস্য হিসাবে কল্পনা করে নেওয়া হয়েছে। সুপুরের রাজা দেবসেবার জন্য দেবোত্তর সম্পত্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। যা বংশানুক্রমে ভোগ করে আসছেন মথুরানন্দ গোস্বামীর বংশধরেরা। বর্তমানে প্রায় পনেরোটি গ্রাম জুড়ে তাঁদের বসতি। এই পনেরোটি গ্রামের সদস্যরা সক্রিয় ভাবে জড়িয়ে আছেন মন্দির রক্ষণাবেক্ষণে। সেবাপদ্ধতির যে নিয়ম মথুরানন্দ গোস্বামী প্রবর্তন করে গেছেন তাঁর বংশধরেরা আজও তা অক্ষুণ্ণ ভাবে পালন করে আসছেন।

    মন্দিরে বিভিন্ন তিথিতে পালনীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কথা লেখক এই গ্রন্থে তুলে এনেছেন। এর অন্যতম—জন্মাষ্টমী, রাধাষ্টমী, রাস উৎসব, মঙ্গল আরতি, চাঁচর, দোলযাত্রা ইত্যাদি। বর্ণিত হয়েছে আরতিগীতং যা মথুরানন্দ গোস্বামী রচনা করে গেছেন। এখানের রাস উৎসব নিয়ে লিখতে গিয়ে লেখক লিখেছেন, ‘‘বাঁকুড়ার ইন্দপুরস্থিত ব্রজরাজপুরের শ্যামসুন্দর মন্দিরের রাস উৎসব প্রায় ৩৭৫ বৎসর পুরাতন।’’ যতদূর জানা যায় ব্রজরাজপুরে রাস উৎসবের শুভসূচনা করেছিলেন মথুরানন্দ পত্নী কনকলতা দেবী। এই রাস মধ্যমরাস অর্থাৎ এই রাস অনুষ্ঠিত হয় বৃন্দাবন বা নবদ্বীপের রাসের পরের দিন। সেদিন সন্ধ্যা আরতির পর মূল মন্দির থেকে প্রভু শ্যামসুন্দর, রাধারাণী ও ললিতার বিগ্রহ পালকিতে করে নিয়ে যাওয়া হয়, মন্দিরের মূল ফটকের বাইরে পশ্চিমে অবস্থিত রাসমঞ্চে। প্রসঙ্গত অনুরূপ নিয়ম মল্লভূম বিষ্ণুপুর সহ বৃহত্ভূমের প্রায় সর্বত্রই প্রচলিত ছিল।

    শুধু ইতিহাস নয় বহুবর্ষ প্রাচীন এই মন্দির নিয়ে আবর্তিত হয়েছে একাধিক লোককথা তথা কিংবদন্তি। বাঁকুড়া জেলার লোককথা নিয়ে এখনঅ পর্যন্ত কোনো পূর্ণাঙ্গ কাজ হয়নি। তাই লোককথার গবেষকেরা এই বই থেকে তাঁদের গবেষণার উপাদান সংগ্রহ করতে পারেন। এর উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে প্রেমলতা বা ললিতার কথা, যে কিনা সাধারণ মানবী হয়ে দেবী রূপে স্থান পেয়েছে শ্যামসুন্দরের পাশে। মথুরানন্দের মৃত্যুর পর তাঁর সন্তানদের মধ্যে দেবতার অধিকার নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছিল তা নিরসন হয়েছিল অদ্ভুত ভাবে। আবার তস্কর উদয় সিংহের চোর থেকে ভক্ত হয়ে ওঠার গল্প তুলে ধরা হয়েছে এই পুস্তকে। ইতিহাস, কিংবদন্তি, লোককথার সুন্দর সমন্বয় ঘটেছে এই পুস্তকে। শুধু ইতিহাসনির্ভর পুস্তক হিসাবে নয় বরং বলা যেতে পারে মথুরানন্দের বংশধর হিসাবে লেখক তাঁর শেকড়ের সন্ধান করেছেন এই পুস্তকের মাধ্যমে।

    দয়াময় বন্দ্যোপাধ্যায় অঙ্কিত প্রচ্ছদ যথাযথ হলেও প্রকাশনীর বাঁধাই এবং ছাপা উন্নত মানের নয়। ভুল থেকে গেছে প্রুফ সংশোধনেও। ১০৫১ সনে প্রতিষ্ঠিত ব্রজরাজপুর এবং মন্দির সম্পর্কে বহু অজানা তথ্য লেখক তুলে ধরলেও বইয়ে কোথাও তথ্যসূত্র দেওয়া হয়নি। মন্দিরের বর্ণনা ও গঠনশৈলী থাকলে পূর্ণাঙ্গ হত ব্রজরাজপুরের এই মন্দির সম্পর্কে তথ্য।
    তা সতত্ত্বেও বলা যেতে পারে প্রত্যন্ত এক গ্রামের মন্দির নিয়ে রচিত এই বই পথ দেখাবে আঞ্চলিক সংস্কৃতির গবেষকদের।




    শ্রীশ্রীশ্যাম লীলাভূমি ব্রজরাজপুর
    পার্থসারথি গোস্বামী
    ইয়ে প্রকাশনা
    মুদ্রিত মূল্য : ১১০ টাকা
    প্রাপ্তিস্থান— পাতিরাম, ধ্যানবিন্দু, সুপ্রকাশ বইঘর


    বাড়িতে বসে বইটি পেতে হোয়াটসঅ্যাপে বা ফোনে অর্ডার করুন +919330308043 নম্বরে।


    গ্রাফিক্স: মনোনীতা কাঁড়ারপুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ২০ জুন ২০২১ | ৩৪৭১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন