‘সম্পাদনা’-র ইংরাজি প্রতিশব্দ কী? এডিটিং। ‘ভালো সম্পাদনা’-র তরজমা? ওসিডি। অবসেসিভ-কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার। ভালো সম্পাদক মাত্রেই খুঁতখুতে হবেন। সূচিবায়ুগ্রস্ত, শুচিবায়ুগ্রস্তও। লেখকের হাড়-মাস তিনি কালি করে দেবেন। মুদ্রণকর্মীরা তাঁকে প্রকাশ্যে গাল পাড়বেন ও আড়ালে সমীহ করবেন, ভালোবাসবেন। ভালো সম্পাদনা মানে মোটেই শনিবার বিকেলে আকাদেমি আর রবিবার সকালে উল্টোডাঙার ছবি ফেসবুকে পোস্ট করা নয়। ঠিক যেমন, ভালো লেখক মানেই সেলেব্রিটির পাশে দাঁড়িয়ে ‘ওয়ান্টেড’ ঢঙে বুকের কাছে বই ধরে ফোটো তুলে তা ইনস্টায় সাঁটানো নয়। এগুলি মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি হতে পারে, কিন্তু যথাযথ সম্পাদনার সঙ্গে এই খেলো সংস্কৃতির যোগ কমই।
লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদকের সব থেকে বড়ো পুঁজি মর্যাদাবোধ। অকৃত্রিম স্পর্ধা। রেলা। এবং একইসঙ্গে সন্দেহপ্রবণতা। কখনো কখনো নিজের প্রতি অবিশ্বাসও। এই চোরা অবিশ্বাসই তাকে ফাঁপা ওভার-কনফিডেন্সের হাত থেকে বাঁচাবে। যাবতীয় সহজ শব্দের বানানের মতো সে নিজেকেও যাচাই করে নেবে। ভেতরে ভেতরে চ্যালেঞ্জ করবে। লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদকের আসল লড়াই নিজের সঙ্গে নিজের। সেখানে লেখক আছেন। পাঠক আছেন। মুদ্রণকর্মীরা তো আছেনই। ঘাপটি মেরে বাজারও আছে বিলক্ষণ। কিন্তু পত্রিকা যেদিন প্রেসে যাবে, তার আগের রাতটিতে আর কেউ নেই। সম্পাদক একা। একা, নিজের মুখোমুখি।
আরও পড়ুন, বাংলা সংবাদমাধ্যমে সম্পাদনার হাল নিয়ে তাপস দাশের লেখা
প্রকৃত সম্পাদক হলে, এই দার্শনিক ঘোর বেশিক্ষণ টিকবে না। খানিক সময়ের মধ্যেই নির্ঘাত তিনি দুটো আকাঁড়া ভুল খুঁজে পাবেন, রাতের ঘুম ছুটবে ও পরদিন সকালে খোদ তিনিই ছুটবেন সেগুলি সংশোধনের আশায়। কপাল ভালো থাকলে সংশোধন হবে, সঙ্গে কিছু খিস্তিও জুটতে পারে। তিনি ইগনোর করবেন, ও সদম্ভে এগিয়ে যাবেন মুদ্রণযন্ত্রের দিকে। তারপর ঠিক কী কী হবে, কোথাকার ভূত এসে কোথায় খেল দেখাবে, তা স্বয়ং আল্লা-ঈশ্বরেরও অবগতির বাইরে! কেবল দু-তিন জন পাঠক কাগজ বেরোনোর অব্যবহিত পরেই সেসব আঙুল চালিয়ে তুলে আনবেন। নিজের ভুল জেনে সম্পাদক যুগপৎ লজ্জিত ও ধন্য হবেন। কারণ এমন প্রগাঢ় পাঠকের কাছে সমালোচিত হওয়াই তাঁর কাজের প্রধানতম ডিভিডেন্ড।
কিন্তু যা দেখা যাচ্ছে, এই সময় কেবল এবং কেবলমাত্র ভালো কাজ হওয়ারই সময়। এখনকার সব সিনেমাই যেমন মহৎ, তেমন সব কবিতাও। সব বই। সব প্রচ্ছদ। সব পত্রিকার স-অ-ব ক-টি সংখ্যাও। কেউই আজ আর কোনো কিছু খারাপ করে না। কেউই আজ আর কোনো কিছুকে খারাপ বলতে চায় না। এই প্রবণতা অংশত ভদ্রতা বটে, বাকিটা খারাপ কাজ চিনতে না পারার অদক্ষতা। সর্বদা এই ভালো শোনার অভ্যেস থেকে বেরোতে চাওয়া একজন সম্পাদকের জন্য খুব জরুরি। কঠিন কাজ। সবাই পারে না। তাই সব সম্পাদকও সম্পাদক হয়ে ওঠেন না।
পড়ুন, ইংরেজি সংবাদমাধ্যমের বাঙালি সম্পাদক নিয়ে প্রতীকের লেখা
নন্দন চত্বরের লিটল ম্যাগাজিন মেলায় একবার দেখেছিলাম, ২০১২-১৩ নাগাদ, বেশ কয়েক জন সম্পাদক ছোট্ট মাঠে গোল হয়ে ঘুরে ঘুরে মিছিল করছেন তাঁরা কবিতা পাঠের লিস্টিতে ঠাঁই পাননি বলে। সেদিন থেকেই আমার লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনা ব্যাপারটা বেশ কিউট লাগতে শুরু করে! তার পরেও অবশ্য অনেককে দেখেছি, তাঁর পত্রিকাকে পুরস্কৃত করা হোক, এই মর্মে বছর বছর বাংলা আকাদেমিতে দরখাস্ত করতে। অনেক প্রতিষ্ঠানবিরোধীকেও দেখেছি চাঁদনি মেট্রো থেকে এসক্যালেটর চেপে রাজপথে উঠে আসতে, দৈনিকে প্রকাশিত দেড় লাইনের রিভিউ গ্রুপে গ্রুপে নিরন্তর পোস্ট করে যেতে। আমাদের লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনা যে ক্রমেই কাঁঠালের আমসত্ত্ব হয়ে উঠছে, তা বুঝতে এরপর আর বিশেষ সমস্যা হয়নি।
অর্থাৎ, আসুন্দরবনশিলিগুড়ি অনেক ক্ষেত্রে হয়তো ওই মর্যাদাবোধরই অভাব ঘটেছে। রেলা কিঞ্চিৎ কম পড়িয়াছে। লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদকের আচরণে সবজান্তা ভাব রয়েছে অটুট, কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে যাকে বলে আত্মবিশ্বাস, তা উবে গিয়েছে। একটু বড়ো করে ভাবলে বলতে হয়, সে তো উবে যাওয়ারই কথা ছিল। যে-ভাষায় সম্পাদনা নিয়ে বিন্দুমাত্র চর্চাই নেই, কোনো ইতিহাস প্রায় ডকুমেন্টেড করছি না এখনও, কেবল খালাসিটোলায় মদ খাওয়ার কিংবদন্তি যেখানে মহত্তম হয়ে ঘুরে বেড়ায় সর্বক্ষণ, সেখানে যথার্থ সম্পাদনা হবে কী করে? অন্তত ঠিক বানানটুকু লেখার যোগ্যতাও যেখানে অধিকাংশ প্রকাশক বা সম্পাদকের নেই, সেই ভাষায় সম্পাদনা বিষয়টি হাস্যরসের উদ্রেক করে। এতদিনেও ঠিকঠাক কোনো ম্যানুয়াল তৈরি করা গেল না পশ্চিমবঙ্গে, ভাষা-প্রযুক্তি বিষয়টি শিশি-বোতল হয়ে রয়ে গেল, এখানে সম্পাদনা নিয়ে বাতচিত করে লাভ কী!
পড়তে থাকুন, বই সম্পাদনা নিয়ে সৌম্যেন পালের লেখা
ফলে যা হল, আমরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম জোগাড়ে হয়ে উঠলাম। হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস-ছাঁকা একঘেঁয়ে, নয়তো পারম্পর্যহীন উৎপটাং বিষয়ে বিশেষ সংখ্যা নামতে লাগল। তেমন তেমন মৃত্যুর জন্য শকুনের মতো অপেক্ষায় থাকতে লাগল কোনো পত্রিকা, কেওড়াতলা থেকে সংখ্যা প্রকাশের উদগ্র বাসনায়। সময়ের সঙ্গে কমতে লাগল লিটল ম্যাগাজিনের সিরিয়াস পরীক্ষানিরীক্ষার প্রবণতা, ঝুঁকি নেওয়ার সাহস। সেই জায়গা নিল সারবস্তুহীন আলগা চমকে সস্তা বাজিমাতের চেষ্টা। প্রি-প্রোডাকশন বা সম্পাদকের নিক্তিমাপা পূর্বপরিকল্পনার ব্যাপারটি একেবারে না থাকার ফয়সালা যেন প্রায় হয়েই গেল। ফ্রম আলপিন টু আল কায়দা – বিবিধ বিষয়ে প্রবন্ধ ফাঁদতে ঘুরে-ফিরে আসতে লাগল সম্পাদকের পছন্দের তালিকায় থাকা একই নাম। ফলে অধিকারীভেদ রইল না, বই কিংবা উইকি-টোকা রচনায় মৌলিকতা পৌঁছোল তলানিতে। লেখক-সম্পাদক ভাই-ভাই হয়ে উঠল আর বিনা বাক্যব্যয়ে লেখা আসামাত্রই চলে গেল কম্পোজে, সামান্যতম কাটাছেঁড়া ছাড়াই। কফির টেবিলে তুফান উঠল না, উঁকি দিয়ে গেল না সারস্বত মতান্তরের লেশমাত্র। কেবল অধ্যাপকের চাঁদমারি হয়ে প্রচ্ছদে আইএসএসএন আর ভিতরে আমাদের নাম ছাপা হতে থাকল ঈষৎ বড়ো পয়েন্টে, সম্পাদক হিসেবে। সব শেষে, ঘটনাচক্রে ভুল-ত্রুটি কেউ ধরিয়ে দিলে হয় অজুহাত খোঁজা হল, নয়তো তকমা দিয়ে দেওয়া গেল – ও ব্যাটা ধরতেই পারেনি, অশিক্ষিত!
এই হল মূল কথা। অর্থাৎ, আমরা নিজস্বতা থেকে টলে গিয়েছি ঢের আগে। আমার নিজস্বতা কী, তা কি নিজের কাছেও কখনো জানতে চেয়েছি? আরও একটি নতুন কাগজ কেন আমি বার করব, সে প্রশ্ন কি করেছি নিজেকে? কীভাবে গড়ে উঠবে আমার পত্রিকার স্বতন্ত্র চরিত্র, তা নিয়ে মনে-মগজে কতটা ঘাম ঝরিয়েছি? শুধু বিষয়বস্তুর প্রতি নজর দেওয়া নয়, তার যথাযথ বিন্যাস ও মুদ্রণ প্রক্রিয়াও যে অত্যন্ত জরুরি কাজ এবং সেটি লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনারই অপরিহার্য অংশ, তা কি বিবেচনার মধ্যে রেখেছি? কী করব, কেন করব, কীভাবে করব – এই অনিবার্য প্রশ্নগুলির প্রতি কতটা ফোকাসড থেকেছি আমরা সম্পাদকেরা? সবচেয়ে বড়ো কথা, সম্পাদনা বিষয়টিও যে এককভাবে গুরুত্ব দাবি করে, প্রয়োজন পড়ে সম্পাদকের স্বশিক্ষা ও নিরন্তর চর্চার – তা এই গড় বাংলা বাজার কতটুকু বুঝতে চেয়েছে? আর এইসবের সঙ্গে আজ যোগ দিয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি। তার ভালোটুকু না নিয়ে কালোটুকু নেওয়ার জন্যই যেন বেঁচে থাকার এই প্রতিযোগিতা। লিটল ম্যাগাজিন আজ শিখে গিয়েছে পনেরো দিনে ঢাউস সংখ্যা নামাতে। পনেরো মিনিটের তাৎক্ষণিক প্রয়াসে ছেপে নিতে তার টেবিলের সামনে ঝোলানো ফ্লেক্সটি। এই আপাত সুবিধে তাকে দিয়েছে প্রযুক্তি। এবং ধীরে ধীরে তার থেকে কেড়ে নিয়েছে নিষ্ঠা, যত্ন ইত্যাদি ভারী শব্দগুলি। উৎকৃষ্ট ‘প্রোডাক্ট’ উৎপাদন করতে গেলে যে উপযুক্ত সময়ও দিতে হয়, এই ধারণা হারিয়ে যেতে বসেছে। তার ম্যাগি চাই। দু-মিনিটে। চাই ফেভিকুইক। চুটকি মে চিপকায়।
১৯৮৭ সালে সন্দীপ দত্ত একটি পাতলা বই প্রকাশ করেছিলেন। ‘প্রসঙ্গ লিটল ম্যাগাজিন’। এই বইয়ে সপ্তম অধ্যায়ের শিরোনাম ছিল: ‘লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদক কে হবেন?’ অংশটি শুরুর কয়েক লাইন পড়া যাক। “লিটল ম্যাগাজিন শব্দটি অহরহ উচ্চারণ হচ্ছে। সমস্ত মুদ্রিত আইটেমকে পিনবদ্ধ ক’রে তার ওপর সেঁটে দেওয়া হচ্ছে লিটল ম্যাগাজিন লেবেল। আর এখানেই ঘটে যাচ্ছে বিভ্রান্তি। সব কাগজই যেমন লিটল ম্যাগাজিন নয়, আরো পরিষ্কার করে বলা যেতে পারে, লিটল ম্যাগাজিন হয়ে ওঠে না, তেমনি ঐ সব কাগজে সম্পাদকের পাশে একটি বোল্ড টাইপে ছাপা নাম চিহ্নিত হয়ে যাচ্ছে ‘সম্পাদক’ হিসেবে, তা অনেক সময়ই যথার্থ নয়।” লক্ষ করা দরকার এই কথা বলা হচ্ছে বছর ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ আগে। অর্থাৎ, অতীত মাত্রেই তা সোনায় মোড়া ছিল আর নতুন সময়ে এসেই এই অধঃপাতের শুরু, এমন মনে করারও কোনো কারণ নেই। শতাংশের হিসেবে হয়তো কম, তবু এখনও বাংলার নানা প্রান্তে প্রকাশিত বহু লিটল ম্যাগাজিনে এমন ঢের কাজকর্ম হয়, যা বিস্মিত করে। শিলিগুড়ি থেকে পুরুলিয়া, চন্দননগর থেকে বনগাঁ এই প্রয়াসে সদা তৎপর। কখনো তার সঙ্গে এসে মেশে ভিনরাজ্য। কখনো ঢাকা-চট্টগ্রাম-রাজশাহি। বাংলাদেশের লিটল ম্যাগাজিন চর্চার প্রকৃতি ও বাস্তবতা হয়তো কিছু আলাদা। তবু পাঠক হিসেবে আজও মুগ্ধ করে অনেক পত্রিকায় সম্পাদনার গুণমান। সিনিয়রদের কথা বলছি না, সমসাময়িকদের মধ্যেই দেখেছি, সম্পাদনার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেলিম মল্লিক (অস্ট্রিক), সঞ্জীব মুখোপাধ্যায় (বাহা), শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় (কোমল গান্ধার) কিংবা সৈকত মুখোপাধ্যায়ের (হরপ্পা) মতো সম্পাদকদের চর্চা ও দক্ষতা ঈর্ষণীয়। এমন আরও অনেকের নামই হয়তো এখানে রাখা যেতে পারে। তুলে আনা যেতে পারে পৃথ্বী বসু (দশমিক) কিংবা গৌরবকেতন লাহিড়ীর (আচমন) মতো অতি তরুণ সম্পাদকদের দৃষ্টান্ত। কিন্তু তাতে বাস্তব চিত্রটি বদলাবে না। কারণ সম্পাদনার মূল রাস্তা ছেড়ে আমরা সামগ্রিকভাবে অনেক দিনই বিপথগামী হয়েছি। দৈন্য ও আদেখলাপনার বিজ্ঞাপন হয়ে উঠেছে বাংলা লিটল ম্যাগাজিনের একটা বড়ো অংশ।
সন্দীপ দত্তের বইটিতে পূর্বোক্ত উদ্ধৃতাংশের খানিক পরেই বলা হচ্ছে – “সম্পাদকের প্রথম কাজই হলো একটি পত্রিকাকে উদ্দেশ্যবাহী ক’রে জনমানসে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করা। এর জন্যে তার মেধা ও শ্রম, কল্পনা ও বোধ, যুক্তি ও প্রক্রিয়া চালিত হবে তার কাগজকে কেন্দ্র ক’রে। কাগজকে ‘কাজ’-এ পরিণত করতে হবে। সুতরাং সম্পাদকের নিজস্ব যোগ্যতা চাই-ই। যে কেউই সম্পাদক হ’তে পারেন না – এই সত্যটার দিকেই তর্জনী সঙ্কেত করতে চাইছি।” খাঁটি কথা। অন্তত আমার নিজের অপরিমেয় ভুল-ত্রুটি আর অযোগ্যতার দিকে তাকালেই এ-কথার যাথার্থ্য টের পাই। তবে কি না, এই বই এখন আর ছাপা হয় না। দীর্ঘদিন আউট অব প্রিন্ট। স্বাভাবিক।
সহমত। অন্য একটি কথা বলি, ওয়েব মাধ্যমেও এখন প্রচুর লিটল ম্যাগাজিন হয়েছে। বিক্রি বাটা না থাকলেও পাঠকের কাছে সৎ থাকার ব্যাপারটা কিন্তু সব ক্ষেত্রেই সমান। সম্পাদকের দায়িত্ব সততই কঠিন।
'' কাজ'' মনে করবার পর , কতগুলো যন্ত্র সমস্যা থাকে।একেকটা ফন্ট বহু মেসিন গ্রহণ করে না। বানান ঠিক করার পর , বহু বর্ণ পড়ে যায় । তখন কী করা !
সম্পাদকের ডিভিডেন্ডটি নির্ভুলভাবে চিনিয়ে দিয়েছেন লেখক। হায়,তায় আজকের সম্পাদকের মন ভরে কি? গুরুত্বপূর্ণ ক'জন লিটল সম্পাদকের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন লেখক। তাঁর বিবেচনা নির্ভুল। গৌরবকেতন,সঞ্জীব বা সৈকতবাবুর কাজ যে হুল্লোড়ের বাজারে ঠিকই চোখ টেনে নেয়,আর তার পরেও কোন অলীকের পেছনে সম্পাদকরা ছুটে বেড়ান কে জানে!
কেন আর একটি লিটিল ম্যাগাজিন সম্পাদক জানেন নিশ্চিত। কিন্তু যা জানি তাইই বলতে হবে কে দিব্যি দিয়েছে? হিডন এজেন্ডা ওয়ালা পত্রিকাদের নিয়ে এত চাপ নাও কেন?
শতং ভাবো, মা বদ।
শতং বদ, মা লিখো!
এরপর রবি ঠাকুরের গানের ভান্ডারী শ্রদ্ধেয় দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর মশাই যোগ করতেন, "শতং লিখো, মা ছাপো!"
আজকাল বোধহয়, "শতং ছাপো, মা পোস্ট করো!"