এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ারীং কলেজ: কিছু ঘটনা কিছু বক্তব্য

    সুমন্ত
    আলোচনা | বিবিধ | ২৬ এপ্রিল ২০০৯ | ৭৮৮ বার পঠিত
  • গত প্রায় মাসদুয়েক ধরে পশ্চিমবঙ্গের একের পর এক বেসরকারী ইঞ্জিনিয়ারীং কলেজে অশান্তি চলছে। এককালে রাজ্যব্যাপী শিল্পায়নের ধামাকার অংশ হিসেবে রাজ্যের কোণে কোণে যে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোকে অনেক ঘটা করে চালু করা হয়েছিল, সেখানে ছাত্রদের বিক্ষোভ, গোলমাল চলছেই। দুর্গাপুর-আসানসোল-বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর থেকে শুরু করে বারুইপুর-সোনারপুর, এমনকি খোদ কলকাতার বেশ কয়েকটি কলেজেও চলেছে ঘেরাও, ক্লাস স্ট্রাইক। খবরের কাগজে যে খবর উহ্য থেকে গেছে। হতে পারে, শাইনিং ইন্ডিয়ার উজ্জ্বল ছবির সঙ্গে প্রদীপের নিচের এই অন্ধকারটি ঠিক খাপ খায়না বলে কাগজে এই খবর গুরুত্ব পায়নি। অথবা, এও হতে পারে, যে,বিশ্বব্যাপী মন্দা, লোকসভা ভোট, আইপিএল এবং আরও নানা গরম খবরের মধ্যে তুচ্ছ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলির সামান্য ছাত্রবিক্ষোভ সত্যিই তেমন গুরুত্ব দাবী করেনা। হাজার হোক, এলিট, ঐতিহ্যশালী প্রতিষ্ঠানগুলির খবর, যেমন, প্রেসিডেন্সির ছাত্র ইউনিয়ন নির্বাচন, বা যাদবপুরের র‌্যাগিং বা শিবপুরের ছাত্র সংঘর্ষ, বা আইআইটির ছাত্রের মৃত্যুর খবর তো সত্যিই জনতা "খায়' বেশি। সে তুলনায় বেসরকারী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের খবরের মূল্য কতটাই বা।

    আপাত:দৃষ্টিতে এই গোলমালের কারণ হল, পরীক্ষার খারাপ ফলাফল। তারও অবশ্য একটা ইতিহাস আছে। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সাফল্যের একটা বড়ো মাপকাঠি হল "প্লেসমেন্ট'এর সংখ্যা। অর্থাৎ ক্যাম্পাস ইন্টারভিউ থেকে শেষ বর্ষের যত সংখ্যক ছাত্রছাত্রী সরাসরি বিভিন্ন শিল্পসংস্থায় চাকরি পাবে, তারই উপর নির্ভর করছে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের "খ্যাতি'। শিক্ষার এই বাজার-নির্ভর অর্থনীতিতে এই "খ্যাতি' খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই "খ্যাতি'ই পরবর্তী কালের ছাত্রদের টেনে আনবে কলেজে। বিভিন্ন বেসরকারী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অনেক ছাত্রই জানিয়েছেন, যে, গত সেমিস্টারের রেজাল্ট বের হবার আগে থেকেই কানাঘুষোয একটা গুজব শোনা যাচ্ছিল। শোনা যাচ্ছিল যে বিশ্বব্যাপী এই মন্দার বাজারে নিশ্চিতভাবেই ক্যাম্পাসিং-এ "প্লেসমেন্ট'এর হার কমবে। আর সেই কম প্লেসমেন্ট-এর দায় যাতে কলেজ কর্তৃপক্ষের ঘাড়ে না চাপে, সেজন্য পরিকল্পিতভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ করানো হবে। ফলে, এই নিয়ে একটা চাপা আতঙ্ক এবং টেনশন ছিলই।

    এই খবর সত্যিই "খবর', না আশঙ্কা থেকে উদ্ভূত গুজব, তা জানা নেই। কিন্তু এ বছর ফেব্রুয়ারিতে সেমিস্টারের ফলাফল প্রকাশিত হতেই ছাত্রছাত্রীদের আশঙ্কা অনেকাংশে সত্যি প্রমাণিত হয়েছিল। পরীক্ষার ফল অভূতপূর্বভাবে খারাপ। এটা খবরের কাগজেই বেরিয়েছিল, যে, রাজ্য জুড়ে সব মিলিয়ে ফেল (সাপ্লিমেন্টারি) প্রায় ৪৭০০০ (পেপারের সংখ্যা)। সংখ্যাটি বিগত বছরের দ্বিগুণেরও বেশি। কিছু কিছু বিষয়ে কোনো কোনো কলেজের ৮০-৮৫% ছাত্র-ছাত্রী অকৃতকার্য। এছাড়াও হাতে-গোনা কয়েকটি কলেজ বাদ দিয়ে বাকি প্রায় কোথাও-ই ফলাফল ছাত্র-ছাত্রীদের আশানুরূপ হয় নি। এমনিতেই বিভিন্ন কারণে এই কলেজগুলোর ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে প্রচুর ক্ষোভ জমা হয়ে ছিল, এই ঘটনার পরেই, বারুদে আগুন লাগে। লাগাতার বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রায় কোনো কলেজেই কোনো ছাত্র ইউনিয়ন না থাকায় সব ক্ষোভের প্রকাশ হতে থাকে একের পর এক কলেজে ভাঙচুরের মধ্যে দিয়ে। বিভিন্ন কলেজের ম্যানেজমেন্ট অবশ্য এগুলোকে "ফেল করা ছাত্রদের কাজ' বলে দাবী করছেন। কিন্তু তাতে করে এক বছরে নাটকীয়ভাবে এত ছাত্র-ছাত্রীর এক সঙ্গে ফেল করার রহস্যের কোনো সমাধান হয়না।

    এই "গণফেল' এর পিছনে আলাদা করে কোনো রহস্য থাকুক বা না থাকুক, বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ব্যবস্থার ফাঁকফোকরগুলি কিন্তু স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দিয়েছে এই লাগাতার বিক্ষোভ। মিডিয়ার এই নিয়ে বিশেষ মাথাব্যথা না থাকলেও, ওয়াকিবহাল মহল বুঝতে পারছেন, যে, পুরো ব্যবস্থাটিতেই বিরাট গন্ডগোল রয়ে গেছে। সাধারণভাবে, বেসরকারী ইঞ্জিনিয়ারীং কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কথা বললেই যে জিনিসগুলো জানতে পারা যায়-

    ১। পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো নির্দিষ্ট সিলেবাস এত বছরেও তৈরি হয়েনি, বেশ কিছু বিষয়েই কোনো বিশদ সিলেবাস নেই। শুধু আউটলাইন আছে। যেগুলোতে সিলেবাস আছে, সেগুলো-ও অনেক সময়েই ছাত্র-ছাত্রীদের তো দূরের কথা, শিক্ষকদেরও জানা থাকে না। তাই প্রত্যেক পরীক্ষার সময়-ই দারুণ সমস্যার সম্মুখীন হয়, কোন বিষয়গুলোর কতটা তারা পড়বে, এই ভেবে।

    ২। পরীক্ষায় প্রশ্নের ধরণ নিয়েও গোলমাল আছে। এই বছরে পরীক্ষা পদ্ধতিও নির্দিষ্ট হয়নি, পরীক্ষার প্রশ্নাবলীরও ধরন-ধারন এখনও ঠিক হয়নি। এমনিতেও প্রশ্নানুযায়ী মার্কিংও প্রতিবছর এক থাকেনা। কলেজগুলোর একটা বড় সমস্যা কোনও কেন্দ্রীয় প্রশ্ন ব্যাঙ্ক না থাকা। বিষয়ভিত্তিক সিলেবাসের আউটলাইন থাকলেও সেটার ভিত্তিতে এক এক কলেজে এক এক রকম পড়ানো এবং এক এক রকম প্রস্তুতির সুযোগ থেকে যায়। তাই বিভিন্ন কলেজে পড়ানোর এবং প্রবলেম সল্‌ভিং এর ধরণের মধ্যে পার্থক্য থাকলে পরীক্ষার সময় ছাত্ররা মারাত্মক অসুবিধের মধ্যে পড়ে। বিভিন্ন কলেজের অভিজ্ঞ শিক্ষকদের দিয়ে এককালীন পরিশ্রম দিয়েই একটা প্রশ্ন ব্যাঙ্ক বানিয়ে রাখা যেত - যা এই সমস্যাটা অনেকাংশে সমাধান করতে পারত। কর্তৃপক্ষ সেটুকুও এত বছরে করে উঠতে পারেন নি। পরিবর্তে পরীক্ষার আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলেজের শিক্ষকদের কাছে প্রশ্ন চেয়ে পাঠানো হয়। উদ্দেশ্য হল প্রশ্নের একটা ভান্ডার তৈরী করে সেখান থেকে র‌্যান্ডমলি প্রশ্ন সেট করা। আপাত:দৃষ্টিতে উদ্যোগটি অত্যন্ত সাধু, যা নিয়ে কারো কিছু বলার থাকতে পারেনা। কিন্তু ছাত্রদের একাংশের অভিযোগ হল, বাস্তবে দেখা যায় অনেক বিষয়ের প্রশ্ন কোনো একটি কলেজের থেকে পাঠানো প্রশ্নের সাথে হুবহু মিলে গেছে। যা প্রমাণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে প্রভাব খাটানোর একটি অসাধু উদ্যোগও পাশাপশি সক্রিয়। ছাত্ররাও এটা বুঝে গেছে। তাই তারাও পড়াশুনো করার চাপ নেওয়ার বদলে কোন বছর কোন কলেজের পাঠানো প্রশ্ন আসতে চলেছে সেই তত্ত্বতালাশেই বেশী মনোযোগ দেয়। আর এই সুযোগে ব্যবসা করে চলেছে "ম্যাট্রিক্স' এর বই। এটা অন্য কিছু নয়, আমাদের ছোটোবেলার মানেবই এর বড়ো সংস্করণ। এক একটি সেমেস্টারের এক একটি বিষয়ের উপর এক একটি বই। ছোটো ছোটো প্রশ্ন-উত্তর ও সমস্যার সমাধান করা। অনেক ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষকরাই এই বই প্রকাশের সঙ্গে যুক্ত।

    ৩। কলকাতার বাইরের কলেজগুলো তো বটেই, খোদ কলকাতা আর পাশাপাশি অনেক কলেজে-ই ল্যাব এখনও তেমনভাবে তৈরি না হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের যথাযথ শিক্ষাদান সম্ভবপর নয়। অনেক কলেজের ল্যাব বলতে যেটা বোঝানো হয়, সেটা আসলে খানকুড়ি কম্পিউটার ঠাসা একটা এয়ার-কন্ডিশনড ঘর।

    ৪। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা প্রধানত কয়েকটি কলেজের মালিক-গোষ্ঠী দ্বারা কুক্ষিগত এবং সরকারের ভুমিকা সেখানে গৌণ। এছাড়াও, কলেজের সমস্ত বিষয়গুলো-ই কলেজ পরিচালক দ্বারা প্রভাবিত এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সেখানে প্রায় কোনো ভুমিকাই থাকেনা। এমনকি কলেজ কর্তৃপক্ষ, ছাত্র ইউনিয়ন তৈরি করাতেও প্রত্যক্ষভাবে বাধা দিয়ে থাকেন।

    ৫। বেশীরভাগ কলেজগুলোতেই এখনপর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার ভীষণ অভাব এবং তাদের উপস্থিতিও অনিয়মিত, ফলে অনেকসময়ে-ই নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্লাস হয়না, যার ফল ভোগ করে ছাত্র-ছাত্রীরা। অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকার উপযুক্ত যোগ্যতার-ও অভাব আছে বলে ছাত্র-ছাত্রীরা হামেশাই অভিযোগ করে থাকে। প্রচুর কলেজেই সদ্য বি.ই. পাস করা শিক্ষকরা ক্লাস নেন, এবং কিছুদিন পরে অন্য কোনো চাকরি জুটে গেলে ঐটা ছেড়ে চলে যান। একই সেমিস্টারে তিন-চারজন শিক্ষক বদল হয়েছে, এরকম ঘটনাও আছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই বদলগুলোর মাঝে বেশ কিছুদিন ক্লাস হয় না।

    অবশ্য শিক্ষকদের দৃষ্টিভঙ্গী থেকেও এ ব্যাপারে কয়েকটি কথা বলা উচিত। অনেকেরই ধারণা এই সমস্ত প্রাইভেট কলেজই এআইসিটিই স্বীকৃত, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা নয়। হাতে গোনা কয়েকটিমাত্র কলেজ আছে যেগুলির এই স্বীকৃতি আছে। বাকিদের কোর্সগুলো এআইসিটিই স্বীকৃত। কলেজগুলি নয়। এই টেকনিক্যাল তফাৎটা কার্যক্ষেত্রে কিছু অসুবিধা তৈরী করে। যেমন এইসব কলেজের শিক্ষকরা যদি রিসার্চের জন্য কোনো সরকারি গ্রান্ট এর আবেদন করতে চান - তাঁরা তা পারবেন না। কোনো কনফারেন্সে যেতে গেলে এ আই সি টি ই-র ট্রাভেল গ্রান্ট তাঁরা পাবেন না। কলেজের ল্যাব মডার্নাইজেশনের জন্যে গ্রান্ট চাইতে গেলেও তাঁরা পাবেন না। অর্থাৎ কোনো শিক্ষক যদি ভাবেন তিনি কলেজে পড়াতে পড়াতে রিসার্চের সাথে ন্যূনতম যোগাযোগ রাখবেন - তিনি সেটা পারবেন না এআইসিটিই স্বীকৃতি না থাকলে। তাহলে একজন ভালো শিক্ষক এই ধরণের প্রাইভেট কলেজে থাকবেন কেন?

    এ ছাড়াও আরও কিছু অভিযোগ, প্রথম থেকেই আছে, যার সে অর্থে কোনো প্রমাণ নই। কিছু কলেজে সাজেশনের সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্ন রহস্যজনক ভাবে মিলে যাবার অভিযোগ বেশ কয়েবছর ধরেই উঠেছে। প্রশ্নপত্রের ধরণের সঙ্গে সরাসরিভাবে জড়িয়ে থাকে নম্বরের ব্যাপারটি। আর নম্বরের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে ক্যাম্পাস ইন্টারভিউয়ের প্রশ্নটিও। অল্পসংখ্যক কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের বেশি নম্বর পেয়ে ক্যাম্পাস ইন্টারভিউতে বেশি সুযোগ পাবার অভিযোগও উঠে আসছে। অভিযোগ আছে বর্তমান উপাচার্য সম্পর্কেও। বর্তমান উপাচার্য, সম্ভবত: কলেজগুলোর পঠন-পাঠনের সম্যক বিবেচনা না করেই পরীক্ষার প্রশ্নাবলীর ধরনে আমুল পরিবর্তন করায় প্রচুরসংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    আসলে সমস্যাটা প্রথম থেকেই ছিল। গোটা পৃথিবীজুড়ে যে আর্থিক মন্দা নেমে এসেছে, তারই হাত থেকে মুক্তি পায়নি পশ্চিমবঙ্গের ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার ব্যবসাও, সে কারণেই সমস্যাটি বিস্ফোরক আকার নিয়েছে। এমনিতেই কলকাতার কলেজগুলি বাদ দিয়ে বাকিগুলোর ক্যাম্পাসিং কোনোদিনই ভালো হত না, কারণ এই কলেজগুলোর ক্যাম্পাসিং মূলত: হত বিভিন্ন কোম্পানীতে কলেজ ম্যানেজমেন্টের যোগাযোগের ওপর ভিত্তি করে; আর এখন যেহেতু কোম্পানীগুলির মন্দার দরুণ সেইভাবে ক্যাম্পাসিং চালানো দুষ্কর হয়ে পড়েছে, তাই স্বাভাবিকভাবেই কলেজগুলোতে দিন দিন বাড়ছে ছাত্র অসন্তোষ। ক্যাম্পাসিং এর সুযোগে বৈষম্যের অভিযোগ দানা বাঁধছে। ইউনিয়নহীন এই কলেজগুলোর নজিরবিহীনভাবে ছাত্র-ছাত্রীরা তৈরী করে ফেলেছে তাদের নিজস্ব সংগঠনও। যার নাম "টেকনিক্যাল স্টুডেন্টস ফোরাম' বা টি এস এফ। "রাজনীতিহীন' এইসব বিভিন্ন কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা আন্দোলন শুরু করেছে, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একের পর এক অবস্থানের কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। ছাত্রদের দাবী, এই আন্দোলনের ফলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যে সমস্ত পরীক্ষার্থীর ফল আগের বারের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন ভাবে খারাপ তারা চাইলে তাদের পরীক্ষাপত্র রিভিউ এর ব্যবস্থা করা হবে। এরই মধ্যে নানা কলেজে আন্দোলনে যুক্ত থাকার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে সেমিস্টার সাসপেনশন, আর্থিক জরিমানা সহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক পদক্ষেপও নিয়েছে কলেজগুলির ম্যানেজমেন্ট।

    "বিশৃঙ্খলা'ই হোক বা "লড়াই', মিডিয়া এই ঘটনাগুলির বিষয়ে একেবারে নীরব। যদিও, বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলির ফোঁপরা অবস্থা, এই ঘটনাগুলি পরিষ্কারভাবে দেখিয়ে দিয়েছে। যেদিকে নজর না দিলে পরিস্থিতি অচিরেই বিস্ফোরক হতে পারে।

    এপ্রিল ২৬, ২০০৯
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৬ এপ্রিল ২০০৯ | ৭৮৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন