এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  কূটকচালি

  • যত কান্ড যাদবপুরে - পর্ব এক

    সুমন্ত লেখকের গ্রাহক হোন
    কূটকচালি | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১০ | ৮৯২ বার পঠিত
  • পর্ব এক | পর্ব দুই
    লেখাটি 'সোমবারের বুলবুলভাজা' র অংশই। তবে সোমবার অব্দি অপেক্ষা করা গেলোনা। গরম খবর বাসি করে লাভ কী?

    একটুর জন্যে আগেরবারের রেকর্ডটা ভাঙলো না। দু'হাজার তিনে ছাপ্পান্ন ঘন্টা ঘেরাও ছিলো ইসি, এবার বুধবার বেলা একটা থেকে শুক্কুরবার সন্ধ্যে ছ'টা, মানে তিপ্পান্নঘন্টা। তবে, সেবার শেষে যেটা হয়েছিলো, সেগুলো এবার আর হলো না। গল্পটা একটু ভেঙেই বলি, টীকা শুদ্ধু। ইসি, মানে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল হলো যাদবপুর ইউনিভার্সিটির "সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক সংস্থা', মানে, ছাত্র-ছাত্রীরা গোদা বাংলায় যাকে "কর্তৃপক্ষ' বলে। যদুপুরের এই ইসি এক মজাদার জায়গা, চিড়িয়াখানা বলা যায়। সে গপ্পো পরে কখনো করা যাবে। ইসির সদস্যদের পোচুর এন্থু। ( অবশ্যই, সকলের নয়। তবে, যাঁদের কথা বলা হচ্ছে, তাঁরাই, প্রকৃত প্রস্তাবে, "ম্যাটার করেন'। বাকিরা এলেবেলে।) তেনারা কিছুদিন পরপরই ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা "ঘেরাও' হোন, রাত্তিরে বাওয়ার্চি বা আরেকটা দোকান, নাম মনে পড়ছে না :(, থেকে রুমালি রুটি-ফ্রায়েড রাইস ইত্যাদি গ্রহণ করেন, সারারাত কমিটি রুম নম্বর ওয়ানে বসে থাকেন, সকাল সাতটা নাগাদ হিসু (হিন্দুস্থান সুইট্‌স) থেকে একপ্রস্থ কচুরি-সিঙ্গাড়া খেয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে আলোচনায় বসেন বা বসেন না (সেটা কতজন ঘেরাও করে আছে,তার ওপর নির্ভর করে), এবং ঘেরাও উঠে যায়। এইগুলো হলো ঘটনা। ক্যানো এই ঘেরাও গুলো হয়? নানা কারণে, তার সবগুলোই যে ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে দেখলে ন্যায্য দাবি-দাওয়া মনে হবে, এমনটা নয়। কিন্তু, মোটেই "ফেল করেছে যারা তাদের পাশ করিয়ে দিতে হবে', বা "র‌্যাগিং করেছে বেশ করেছে', এই ধরনের কোনো অ্যাটিচিউড থাকে না। এই প্রথম কেসটাই ভাবা যাক। কোনো একটা বিষয়ে যদি এরকম হয়, যে পরীক্ষায় ৫০-৫৫ শতাংশ ফেল করেছে (যেটা বেশ কয়েকটা ডিপার্টমেন্টেই হয়ে থাকে), তাহলে তার কারণ কি এটাই ভাবা হবে, যে ক্লাসের অর্ধেকের ওপর ছাত্র-ছাত্রী কিচ্ছুটি পড়ে না, নাকি এটা ভাবা হবে যে ঐ সাবজেক্টটা পড়ানোয় কোনো সমস্যা হচ্ছে, যাতে সেটা অনেকের কাছেই কঠিন ঠেকছে -- এটা তো একটু তলিয়ে ভাবাই উচিৎ! অবশ্য, কেস বাই কেস আলোচনা করতে গেলে আরো অনেক কিছুই লিখতে হয়, কিন্তু মোটের ওপর, এটুকু বলাই যায় যে ছাত্র-ছাত্রীরা এমন কোনো দাবী নিয়ে কখনোই আসে না, যেটা নিয়ে কোনো আলোচনাই চলে না।

    কিন্তু, ঘেরাও! এটা কি আন্দোলনের দাবী আদায়ের কোনো পদ্ধতি হলো! ইত্যাদি ইত্যাদি। হক কথা। ঘেরাও খুব "আনএথিক্যাল' জিনিষ। তাই যদুপুরে ইদানিং "ঘেরাও' হয় না, হয় "অবস্থান বিক্ষোভ'। বলা হয় যে কেউ বেরিয়ে চলে যেতেই পারেন, কেউ বাধা দেবে না, কিন্তু তাঁকে যেতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর দিয়েই। কেউ যদি জানান যে তাঁর কোনো সমস্যা হচ্ছে, তাহলে, তিনি যদি চান, বেরিয়ে যেতেও পারেন। প্রত্যেকবারই এরকম কয়েকজন থাকতে চান না, তাঁরা বেরিয়ে যান, আবার কেউ কেউ পরে ফিরেও আসেন। হাস্যকর শোনালেও, এটাই ঘটনা। তো, সবাই এইভাবে বেরিয়ে যান না ক্যানো? মূলত: ইগো। আরো নানা ইকোয়েশন আছে, কে কতটা নার্ভের জোর দেখাতে পারবে এইসব আর কি! ও, ঘেরাওয়ে থাকা ছাত্র-ছাত্রীরা সাধারণত: হোস্টেল থেকে ভ্যানে করে খিচুড়ি আনিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে, আর, তাতে সমস্ত ইসি সদস্যদের আমন্ত্রণও জানানো হয়। মাঝে মাঝেই ছাত্র-ছাত্রীরা গিয়ে খোঁজ নিয়ে আসে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না!। হাসবেন না, মাইরি বলছি! আমার থার্ড ইয়ারে আমি এই কাজটি করেছি :( ইনফ্যাক্ট, তখন ওনাদের খাওয়া-দাওয়ার পাট চলছিলো, তাতেও আমায় আমন্ত্রণ করা হয়েছিলো :)

    কিন্তু তবুও, শেষতক তো ইসি সদস্যদের স্বাভাবিক গতিবিধি বাধাপ্রাপ্ত হয়, কাজেই এই অবস্থান বিক্ষোভও, অগণতন্ত্রিক, এবং সারা বাংলা জুড়েই যে ফ্যাসিস্টরাজ কায়েম করার চেষ্টা চলছে তার অংশ। বোঝা গ্যালো। কিন্তু, তাহলে, ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের কথা কর্তৃপক্ষের কানে তুলবে কি করে? মিটিংয়ে ডেপুটেশন দেওয়া হলো, সেই সময়ে ইসি সদস্যরা নিজেদের মধ্যে নানারকম মশকরা করতে ব্যস্ত থাকবেন, জিরো আওয়ারে যখন ইসির স্টুডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ সেটা নিয়ে কথা বলতে চাইবে তখন অর্থনীতির অধ্যাপক দাবড়ে চুপ করে দেবেন, বলবেন ওসব নিয়ে আলোচনা করার কোনো মানে হয় না, এর পর, সেই কথাটা নিয়ে আলোচনা করানোর আর কি রাস্তা থাকে? কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার পদ্ধতিতে ছাত্র-ছাত্রীরা অংশীদারীত্ব করতে চাইলে, এবং কর্তৃপক্ষ তার সুযোগ না দিতে চাইলে, নিজেদের কথাগুলো শোনানোর উপায় কি থাকে?? কোনো একটা ইস্যুতে আলোচনা করতে চাইলে, মানে, যদুপুরের কাজকম্মো যিনি "দেখেন', সেই শ্রদ্ধেয়া শ্যামলী গুপ্ত মহাশয়ের সাথে মিটিংয়ে সে নিয়ে আগেই সিদ্ধান্ত হয়ে থাকলেও, লোকদেখানো আলোচনাটুকুও করতে চাইলে যে ন্যূনতম সৌজন্যবোধটুকু দেখানো প্রয়োজন, সেটুকুও এনারা দেখাতে নারাজ। কোনো কোনো এজেন্ডা মিটিংয়ে আসেই অন টেবিল, মানে, সেটা নিয়ে আগে থেকে আগে থেকে কিছু জানানো হয় না। মিটিংয়ে বসেই কয়েক মিনিটের মধ্যে সত্তর-আশি পাতার রিপোর্ট "পড়ে' সিদ্ধান্ত নেন সদস্যরা। সাধারণত: কোনো ছাত্র/ছাত্রীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার থাকলে এই স্কিমবাজি করা হয়। ফলত:, একটা প্রতীকি "নোট অফ ডিসেন্ট' দেওয়া ছাড়া আর কিছু করার থাকে না স্টুডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভদের। অন্য কারুর কথা শোনার অভ্যেসটাই নেই কি না যদুপুরের হর্তাকর্তাবিধাতাদের! সারা মিটিংয়ে যদি ওনারা অন্যদের কথা শুনতেই রাজি না থাকেন, তাহলে তো মিটিংয়ের পর জোর করে কথাগুলো কানে ঢোকানোর ব্যবস্থা করতেই হয়, তাই না?

    এবার, আরেকটা জিনিষ জানিয়ে রাখি। সাংবাদিকরা প্রায়শই ছাত্র-ছাত্রীদের বিপাকে ফেলার মতন করে প্রশ্ন করেন, এই শিক্ষকরা তো তোমাদের অভিভাবকের মতন, এনারা তোমাদের ভালো চেয়েই এসব করছেন প্রভৃতি। ঐ অর্থনীতির অধ্যাপক, এইবারও মিটিং থেকে বেরিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের বলেছেন, "এরম কুকুরের মতো চেঁচিয়ো না!', শারীরশিক্ষার সেই প্রাক্তন অধ্যাপক, যিনি ছাত্র-ছাত্রীদের "খানকির বাচ্চা' বলে অভিহিত করেছিলেন, কিম্বা সেই অধ্যাপক এবং শিক্ষক নেতা, যিনি ছাত্র-ছাত্রীদের দিকে ছোঁড়ার জন্য মাটি থেকে ইঁটের টুকরো কুড়িয়ে যোগান দেন কর্মচারী সংসদের সদস্যদের, তাঁদের কথা কি কখনো প্রকাশ্যে আসে? এবং কর্মচারী সংসদের সেই নেতা-নেত্রীরা, আন্দোলন চলাকালীন রাত্রে যাঁরা আসেন স্রেফ ক্যালাতে! এই এঁরাই কিন্তু সেইসব ইসি সদস্য, যাঁরা আসলে ইউনিভার্সিটিটা চালান!!

    সেই ইসি সদস্যরাই এবার ঠিক করেছিলেন ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার স্বার্থে আই কার্ড ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না, কোন কোন গেট দিয়ে কখন ছাত্র-ছাত্রীরা ঢুকতে পারবে, তাও নিয়ন্ত্রণ করা হবে, রাত আটটার পর মাঠে বসা যাবে না, নটার পর কোনো ইউনিয়নরুম খোলা থাকবে না, এবং সর্বোপরি, ক্যাম্পাসে স্ট্র্যাটেজিক জায়গায়, ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসবে। এই কড়াকড়ি যাদের নিরাপত্তার জন্য, এবং যাদের ওপর চাপানো হবে, তাদের কোনো মতামত না নিয়েই এরকম খেলাধুলো চালাতে থাকেন ইসি সদস্যরা। তো, যাদের ওপর নজরদারি চালানো হবে, তারা মনে করেছে এইভাবে তাদের ব্যক্তিস্বাধীনতায় হাত পড়ছে, তারা নজরদারির বিষয়বস্তু হতে চায় না। ব্যাস, বাওয়াল শুরু! কর্তৃপক্ষ, তাঁদের পক্ককেশের কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে বেশী বোঝেন, তাই তাঁরা ছাত্র-ছাত্রীদের এই উপকারটা করেই ছাড়বেন, আর ছাত্র-ছাত্রীরা তা হতে দিতে নারাজ। কেউ কেউ বলছে, বিকেল-রাত্রে ক্যাম্পাসে ছাত্র-ছাত্রীরা গাঁজা খায়, মদ খায়, এগুলো ধরা পড়ে যাবে বলে নাকি ছাত্র-ছাত্রীদের এই নজরদারিতে আপত্তি। গুরু, যখন এস্টেট সেকশনে গিয়ে বারবার বলা হয়েছে যে বাস্কেটবল কোর্টের পাশে বাইরের লোকজন এসে তামাক-পাতা খেয়ে ঝামেলা করছে, তখন তো গার্ডরা কেউ আসতেন না সামলাতে, সে ঝামেলা তো ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের মত করেই বুঝে নিয়েছে এতদিন। কিম্বা, ক্যাম্পাসে ছেলেমেয়েরা চুমু খায় ও আরো নানা কিছু। তো? তাদের চুমু খাওয়ার লোক আছে, সাহসও আছে; আপনার নেই! এই ফ্রাস্ট্রেশন বুঝি :) আরেকটা কথা হলো, ক্যাম্পাসে মাওবাদীরা ঢোকে, সেটা আটকাতে হবে। ঢোকে তো ঢোকে। সে তো তিনোমুলও ঢোকে, পোমোরাও ঢোকে। সিপিয়েমের তো ঢোকার কিছু নেই, তারা ওখানেই থাকে :) এই যে দেবলীনা ক্যাম্পাসে এসে মিটিং করলো বলে এতো নকশাবাজি করলো আইবি, তারপর? সে তো সবার চোখের সামনেই ঘুরে বেড়ায়! সিসিটিভি দিয়ে কী আটকাতে চাইছেন? আর, মাওবাদীদের জন্য ক্যাম্পাসে ক্যামেরা বসাতে হবে, এই আব্দারটা কার? রাজ্য সরকারের, নাকি পুলিশের? তাহলে কি পুলিশের কথাতেই চলবে বিশ্ববিদ্যালয়? নাকি, আসল কারণটা হলো, ক্যামেরা কেনার ষোলো লাখ টাকা? ক্যামেরা তো চুরি যাবে কিছুদিন পর, তাই সেগুলোর ওপর নজর রাখার জন্য আরো ক্যামেরা, তাদের ওপর নজর রাখার জন্য আরো কিছু?

    ক্যাম্পাসের চিকিৎসার কী হাল, সে তো আর বলার নয়। হেলথ সেন্টারের ডাক্তারবাবু যেকোনো অসুখে পেইনকিলার আর অ্যান্টাসিড দেন, অবস্থা হাতের বাইরে গেলে "ডাক্তার দেখাও' বলে নিদেন হাঁকেন। উনি ভুলেই গেছেন যে উনি নিজেও কোনো এক কালে ডাক্তারি পাস করেছেন! একটা অ্যাম্বুলেন্স নেই, প্রয়োজনের সময় যে কি করে সামাল দেওয়া হয়, সে যে না দেখেছে সে বুঝবে না। হোস্টেলে ইন্টারনেট কানেকশন নেই। এগুলোর কিছুই করা যেত না ঐ ষোলো লাখে? টাকাপয়সার অভাবের কথা বারবার আসে ছাত্র-ছাত্রীরা এই দাবিগুলো তুললেই। ওদিকে সিসিক্যামেরা বসানো, দু'সপ্তাহে একবার ইসি মিটিংয়ে তিরিশজন সদস্যের তিনবার করে ভুরিভোজ, সে বেলায়?

    আর নিরাপত্তা! নিরাপত্তার একটা গল্পো বলি শুনুন। "নিরাপত্তার খাতিরে' মেয়েদের হোস্টেলের দরজা রোজ রাতের বেলায় বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়ে গার্ডরা ঘুমিয়ে পড়েন। বছরখানেক আগের এক রাতে একটি মেয়ের হাত ভেঙ্গে গিয়েছিলো। গার্ডদের সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে, গেট টপকিয়ে বাইরে বেরোতে হয়েছিলো মেয়েটিকে নিয়ে। এরপরও আরো নিরাপত্তা চাইবো? পাগোল নাকি মশাই!

    যাই হো, তিপ্পান্ন ঘন্টা পর আপাতত তেনারা ঢোক গিলেছেন, পুরোটা ফের খতিয়ে দেখার জন্য কমিটি হবে, সেই কমিটিতে ছাত্র-ছাত্রীরা থাকবে এই কথা হয়েছে। সেটা কি শুরুতেই করা যেত না? অকারণে দু'রাত জাগা! আসলে, অর্থনীতির যে অধ্যাপক সাহস যোগাচ্ছিলেন ছাত্র-ছাত্রীরা বেশীক্ষণ টানতে পারবে না এই আশায়, তিনিই ফ্লপ করে গেলেন। আসলে, ওনার সময়টাই খারাপ যাচ্ছে। তা নয়তো, তিনি তো প্রায়ই নানা লোককে খিস্তি করে থাকেন, সেগুলো তো চাপাই পড়ে যেতো! এবার কোনো গার্ড কী করে সাহস পায় জন্মাষ্টমীর দিনের ঘটনাটা মিডিয়ায় ফ্ল্যাশ করে দেওয়ার!!

    যাই হোক, আপাতত তো মিটলো সমস্যা, কিন্তু আবার মাসখানেকের মধ্যেই নতুন কোনো চেহারায় এই পুরো এপিসোডটাই ফিরে আসবে, এটা বলাই বাহুল্য। সেবার যে বুবুভা লিখবো, সেটায় ইসির কিছু রগড়ের গপ্পো শোনাবো। ততক্ষণ পর্যন্ত, হাপিত্যেশ করে বসে থাকুন :)

    ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
    পর্ব এক | পর্ব দুই
  • কূটকচালি | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১০ | ৮৯২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন