এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • ফেথ, দাই নেম

    বাইনারি
    আলোচনা | বিবিধ | ২৩ নভেম্বর ২০০৮ | ৭০০ বার পঠিত
  • খান্না সিনেমার মোড়ে, আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র রোড আর অরবিন্দ সরনির ক্রসিং-ংএ একটা দেওয়াল ছিলো। উল্টোডাঙ্গা-র দিকে। পেট্রোল পাম্পের (আমেরিকান ওব্যেসে, 'গ্যাসস্টেশন' লিখে ফেলেছিলাম, কেটে দিলাম), বিপরীত দিকে। এখন কি চেহারা হয়েছে জানা নেই। তো, তখন, সেই দেওয়ালটা 'ওপেন এয়ার পাবলিক হিসু করবার জায়গা' ছিলো। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের মুত্রকর্মে, দেওয়ালটা নোনাধরে লাল, আর জায়গাটা গন্ধে ভরপুর ছিলো। তবে সহনশীল কলকাতার মানুষ, অটোতে, বাসে নিত্য যাতায়াতে সয়ে গেছিলো। কেউ কেউ তো, আবার দেওয়ালটার রোজকার ব্যবহারকারী, মানে নোনা গন্ধের কন্ট্রিবিউটার। তো, কবে যেন, কোনো মালিক যায়গাটা কিনে নেয় বা ভাড়া নেয়, কোনো গোডাউন করবে বলে। এখন, তার প্রথম কাজ দাঁড়াল, হিসু বন্ধ করা। দেওয়ালে সাদা র-ংএর পোঁচ পড়লো প্রথমে। কিন্তু, হপ্তা ঘুরতে না ঘুরতে, আবার সেটা নোনাধরা গন্ধমাদন। এবার আবার সাদা র-ংএর পোঁচ পড়লো, সাথে সম্মানিত সতর্কিকরণ 'এখানে প্রস্রাব করিবেন না'। আবার হপ্তা ঘুরতে না ঘুরতে যে-কে-সেই, সেই নোনাধরা গন্ধমাদন। সতর্কিকরণ মুছে গেছে। এবার এট্টু কড়া দাওয়াই, সাদা র-ংএর উপর সতর্কিকরণটা এইরকম 'এখানে যারা প্রস্রাব করে, তারা 'শূয়োরের বা*''। তো তাই সই, আমরা তাই, আবার হপ্তা ঘুরতে সেই নোনাধরা গন্ধমাদন। তারপর এলো মোক্ষম দাওয়াই। এবারে দেওয়াল হলুদ রং হলো। তার উপর নীলর-ংএ অসুর বিনাসিনী, চামুন্ডা মাকালীর ছবি। ব্যস, হিসু চিরতরে বন্ধ। হপ্তা গেল, মাস-ও , জায়গাটা পরিস্কার।

    তো ঘটনাটা বলা, এটাও একটা মানুষের বিশ্বাসের ছবি, উইকপয়েন্ট, 'মানো তো দেওতা, না মানো তো পাত্থর !' মানে, নিজেকে 'শোরের বা**' ভাবতে আপত্তি নেই, কিন্ত কালীঠাকুরের গায়ে হিসু, উরিশ্লা !!! ঐশ্বর্য্য রাই মাঙ্গলিক, বচ্চন সাহেব ছেলের কল্যাণে হাঁটলেন, খালিপায়ে চারমাইল, সিদ্ধিবিনায়ক। কোথায় যেন একটা মিল, নাকি ?
    *******************************************
    আমাদের এক পরিচিতের বাড়িতে একটি অল্প বয়সী মেয়ে, কাজের জন্য এসেছিলো। পাড়াগাঁয়ের মেয়ে। বয়স ১৬/১৭। বোকাসোকা। শ্যামলা। রোগা, অতি সাধারণ দেখতে। ছোটোখটো ফাইফরমাইস তামিল করে। ঘরদোর পরিস্কার রাখার কাজ করে। কাছাকাছি দোকান বাজার যায়। ইত্যাদি, ইত্যাদি। তো, বাড়ির সামনেই রিক্সা স্ট্যান্ড। বাড়ির রোয়াক, রিক্সাওয়ালাদের গুল্‌তানির যায়গা। দুপুরবেলা ভাড়া-সওয়ারি যখন কম, তখন বিড়ি, খৈনি বা তিনপাত্তির ঠেক। জোয়ান-বুড়ো রিক্সাওয়ালা সকলেই। তো, এদের মধ্যে, ছিলো লিটন। বয়স ২৭/২৮। দেহাতি। গাঁয়ে পরিবার ছেলেপিলে আছে। কলকাতায় এসেছে গতরখেটে রোজগারের আশায়। কিছুদিন বাজারের মুদি দোকানে কুলিগিরি করে এখন রিক্সা। নমাসে-ছমাসের আগে গাঁয়ে যাওয়া হয় না। তো, বাড়তে থাকে জৈবিক খিদে। ১৬/১৭-র মেয়েটি, সদর দরজা দিয়ে আসে যায়। চোখাচুখি হয়, ঝারি মারামারি। নি:ঝুম দুপুরে বাড়ীর বৌদিমনিরা ঘুমিয়ে পড়লে, দুদন্ড কতাও হয়, হাসাহাসি, গা ঢলাঢলি। এরপর কালে কালে, বৌদিমনিদের ফাঁকি দিয়ে, দুপুর বেলা ম্যাটিনি শোয়ে, সিনেমা। পাড়ার হলে। তারপর আরকি ? বোকাসোকা মেয়ে ফাঁদে পড়ে। লিটন-ও ফাঁদে পড়ে। প্রবৃত্তির ফাঁদে। খালপাড়ে লিটনের দর্মার বেড়ার ঘর। বিয়ের স্বপ্ন। পোয়াতি, বাচ্চা। আবার পোয়াতি, বাচ্চা। লিটনের পয়সায় টান পড়ে। জৈব টানের চেয়ে পেটের টান বেশী তো। লিটন পালায়। গাঁয়ে যায়। আবার কলকেতা আসে। তবে ভিন্ন পাড়ায়। আবার রিক্সা টানে। আর মেয়েটা ? বাড়ীর কাজ আর ফিরে পায় না। কি আর করে ? ভিক্ষা করে, বাস স্ট্যান্ডে, স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে।

    তো এই ঘটনাটা কোনো নতুন নয়। সকলের-ই জানা। প্রায় সব পাড়াতেই এরকম ঘটে। ঘটনাটা বলা এই কারণে, এটাও মানুষের বিশ্বাসের ছবি। ঠুন্‌কো। লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশী।
    **********************************************
    মনোরঞ্জন বিশ্বাস। বাড়ি তৈরীর সময় আমাদের কার্পেন্টার ছিলেন। বাবা সরকারী চাকুরে, টিপেটিপে খরচা। বাড়ীর ভিৎ হলো, নি:শ্বাস। প্রথম কিস্তিতে দুটো ঘর, রান্না ঘর। আবার নি:শ্বাস। পরের কিস্তিতে খাবার ঘর, গোসলখানা। আবার নি:শ্বাস। এরকম করতে করতে, বাড়ীটা থাকার মত দাঁড়াতে দাঁড়াতে তিন বছর। তো, আমরা উঠে এলাম নতুন বাড়ীতে। মধ্যবিত্তের স্বপ্ন পুরন হলো। কিন্তু সাধ তো কমে না। বাড়ীর ইন্টেরিয়ার কাঠের কাজ হলো। দেওয়াল আলমারি হলো। লফ্‌ট হলো। এসব কাজ-ই করলেন মনোরঞ্জন। নদীয়ার মানুষ। হাতের কাজ, এ-ক্লাস। অন্তত আমাদের চোখে। বাবা খুব খুশি। মনোরঞ্জন আবার শিল্পী মানুষ-ও। দেশে যাত্রাপার্টি আছে,উনি সুত্রধর। বাঁশি-ও বাজান। বাবার ইচ্ছায় মনোরঞ্জন বাঁশি-ও শোনান একদিন।

    চার বছর পরে, মানে আরো চারবছর নি:শ্বাস নেওয়ার পরে, বাড়ীর দোতলা সুরু হয়। ইঁট গাঁথা আর ছাদ ঢালাই হয়ে গেলে, এরপর কাঠের কাজ। বাবা মনোরঞ্জন-এর খোঁজ করলেন। মনোরঞ্জন কথায়-বার্তায় তুখোড়। প্রজেক্টের (কাঠের কাজের), টাইমলাইন দিলেন। প্রজেক্ট প্ল্যান, মাইলস্টোন, কবে ফ্রেম হবে, কবে পাল্লা হবে, কবে প্রাইমার হবে, কবে রং হবে ইত্যাদি। বাবা যথারীতি মোর দ্যান ইম্প্রেসড। এরপর আসল ব্যাপার, কস্ট। মনোরঞ্জন ২০% অ্যাডভান্স চাইলেন। কাঠের দাম বাবদ। বাবা এমনিতেই ইম্প্রেসড, দিয়ে দিলেন। হাত কাগজে স্বাক্ষর দিয়ে গেলেন মনোরঞ্জন। এরপর সুরু হলো অপেক্ষার পালা। হপ্তা গেল, মাস গেল, দুই মাস গেল মনোরঞ্জন নেই। 'তোমার দেখা নাইরে তোমার দেখা নাই'। চার মাস বাদে হাল ছেড়ে দিয়ে, বাবা অন্য কার্পেন্টারের খোঁজ করতে সুরু করলেন। টাকাটা মাটি। হঠাৎ এই সময় মনোরঞ্জন হাজির। চেহারাটা একটু বেসামাল। পরিবারের অসুখ। আসতে পারেন নাই। খুব-ই টাকার দরকার হওয়াতে অ্যাডভান্সের টাকা-ও খচ্চা হয়ে গেছে। বিনা মজুরিতে প্রথম কাজ করে দেবেন, চিন্তা নেই। বাবা কিছুটা সন্দিহান, তবে আবার ইম্প্রেসড। আর এবারে অর্থকড়ি লেনদেন নেই। প্রথম কাজ, কাঠ কিনতে হবে। মনোরঞ্জন বললেন, উল্টোডাঙ্গায় ওঁর চেনা দোকান আছে, উচ্চমানের কাঠের কারবরি, বাবা যদি চান, তো যেতে পারেন। বাবার পক্ষে নিজে কাঠ চেনা সম্ভব নয়। তাই মনোরঞ্জন-এর রেফার্ড দোকানে-ই গেলেন। কাঠ কেনা হলো, প্রচুর কাঠ, ফ্রেমের কাঠ, পাল্লার কাঠ। পরের দিন কাজ সুরু হবে। আবার সেই হপ্তা গেল, মাস গেল মনোরঞ্জন-এর দেখানেই। নেই তো নেই-ই। ওর স্থানীয় ঠিকানায় খোঁজ করা হলো আবার, কেউ খোঁজ দিতে পারলো না। বাবা হতাশ হয়ে অন্য কারপেন্টার নিয়োগ করলেন। কাঠ তো কেনা-ই আছে। তো নতুন কারপেন্টার মাপজোক করে কাজ সুরু করলেন। আর কেনা কাঠ চিরে বললেন অধিকাংশ কাঠ অত্যন্ত নিম্নমানের। দরজা-জানালা বানানোর পক্ষে উপযুক্ত নয়। বাবা সেই দোকানের খোঁজ করলেন। দোকানের মালিক বদল হয়ে গেছে। ব্যবসা-ও বদল হয়েছে, আগের লেনদেনের ঠেকা নিতে তাদের কোনো দায় নেই। আবার নতুন করে কাঠ কেনা হলো। মধ্যবিত্ত চাকুরীজীবির ফান্ডে টান । তবে তিনি এখন একটু বাস্তববাদী।

    এটাও সাধারণ গপ্প। বাবা একটু সতর্ক হলে, ঘটনার রিপীটেশন হতো না। কিন্ত, এরকম হয়। অনেকের-ই হয়। হয়তো, মনোরঞ্জন-এর সত্যি কঠিন সমস্যা ছিলো। সমুহ টাকার প্রয়োজন ছিলো। কিন্ত একটা বিশ্বাসের ঘটনা লেখা হয়ে-ই গেল।
    ************************************************
    এর পরেরটা বাবার কাছে শোনা। বাবা অ্যানথ্রপলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া-র সিনিয়ার রিসার্চ সাইন্টিস্ট ছিলেন। যৌবনে, চাকুরী জীবনের প্রথমে। বাবার প্রধানত: কাজ ছিলো ভারতের প্রত্যন্তিক আদিবাসী এলাকায়। আদিবাসী খাদ্য ও পুষ্টি নিয়ে। ছয় মাস সার্ভে, অন ফিল্ড । ছয় মাস লেখা। সার্ভে পেপার। তো বাবা যখন ফিল্ড ওয়ার্কে যেতেন, সঙ্গে যেত সেকালের তাঁবু, ছয় মাসের চালডাল মশলা-পাতি, শীতের লেপ-কম্বল ইত্যাদি সাপ্লাই, ছয় মাসের জন্য, কোনো কোনো সময়, বন্দুক-ও। স্লিপিং ব্যাগ, আধুনিক তাঁবু অবশ্য ছিলো না। তেমন প্রত্যন্ত জায়গা না হলে গ্রামের স্কুল বাড়ী বা সরপঞ্চ-এর বাড়ীতে থাকার জায়গা হত, মাঝে মাঝে। নয়তো তাঁবু-ই ভরসা।

    ফিল্ড ওয়ার্কের, প্রথম হপ্তা ছিলো ম্যান্ডেটরি পাবলিক রিলেশনের কাজ। যে গ্রামে কাজ, সেই গ্রামের মানুষের সঙ্গে ওয়েভলেন্থ অ্যাডজাস্ট করা। যেসময়ের কথা হচ্ছে, সেটা যোগাযোগ ব্যবস্থায় আজ থেকে ৫০ বছর আগের। তাই গ্রামের আদিবাসী মানুষের সঙ্গে ওয়েভলেন্থ অ্যাডজাস্ট করাটা এতটাই জরুরি ছিলো। তো, এই পাবলিক রিলেশনের কাজে প্রধানত: সাহায্য করতেন সরপঞ্চরা। আর থাকত, সাধারণ গ্রামের লোকেদের জন্য সরকার প্রেরিত শহুরে উপহার সামগ্রী। মহিলাদের জন্য শহুরে প্রসাধনী, বাচ্চাদের জন্য খেলনা পুতুল জামাকাপড়। আর মাঝে মাঝে থাকত, কলের গান, হস্তচালিত গ্রামোফোন, বৈঠকি আলাপচারিতায় উৎসাহ জোগানোর জন্য। কলের গান শোনানোর জন্য বিভিন্ন রেকর্ড থাকত। গ্রামোফোন কম্পানীর। সেই 'চোঙ্গা মুখে কুকুর' ছাপ মারা। বাবার সংগ্রহে ছিলো বেশীর ভাগ-ই রাগপ্রধান গান। ফৈয়াজ খা,ঁ বড়ে গুলাম আলির খেয়াল/বন্দিশ বা রবিশংকরের সেতার।

    তো একবার, সেবার ক্যাম্প ছিলো উড়িষ্যা। কোরাপুট জেলা। প্রত্যন্ত গ্রাম। সান্ধ্য পাবলিক রিলেশনের আসর। তাঁবুর সামনে চেয়ারে বাবা, আর উপস্থিত, গ্রামের সরপঞ্চ, আর অন্যান্য প্রবীণ পুরুষেরা। বাবা গ্রামোফোনে চলিয়েছেন ফৈয়াজ খাঁ। প্রথম পাঁচ মিনিট সকলে চুপচাপ। তারপর যখন, ফৈয়াজ খা-ঁর গলা দ্রুত খাদ থেকে হাই পিচে উঠানামা করছে। এদিক-ওদিক থেকে মন্তব্য ভেসে এলো। --- 'সাম কি গিদ্দর রে' (সাঁঝের শেয়ালের হুক্কাহুয়া) বা --- 'শালো, য্যায়াদা সরাব পিয়েছে'। এক নিমেষে ফৈয়াজ খাঁ হয়ে গেলেন, সাঁঝের শেয়াল।

    তো, এও এক বিশ্বাসের-ই গল্প। পসন্দ আপনা আপনা, বিসওয়াস আপনা আপনা। আন্দাজ আপনা আপনা। অন্ধের হস্তী দর্শনের মতো-ই।

    অলমিতি।

    নভেম্বর ২৩, ২০০৮
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৩ নভেম্বর ২০০৮ | ৭০০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন