এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • ঐর্যনম বৈজ - আর্য উৎসভূমির সন্ধানে - তৃতীয় পর্ব

    Sudipto Pal লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৪ জুন ২০২০ | ৩৮৯০ বার পঠিত
  • © সুদীপ্ত পাল, May, 2020

    আগের দুই পর্বে আর্য জনগোষ্ঠীর উৎস ভাষা, সাহিত্য ও জেনেটিক্স দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আজকে আইকোনোগ্রাফি আর শিল্প দিয়ে বিষয়টা আমরা বোঝার চেষ্টা করব।

    চার) আইকোনোগ্রাফি: এটি আমার প্রিয় বিষয়, কিন্তু আইকোনোগ্রাফি খুঁজে বেড়ানোর জন্য যেতে হয় মন্দির, গীর্জা, রাজপ্রাসাদে। এগুলো আমরা ব্রোঞ্জ যুগের ভারতে কীভাবে পাব? তাহলে দেখুন, শুধু বড় বড় মন্দির-প্রাসাদে নয়, আইকোনোগ্রাফি পাওয়া যায় অনেক ছোট ছোট জিনিসের মধ্যে- সীলমোহর, বাসন, ছোটখাটো মূর্তি, অলঙ্কার, খেলনা এসব থেকে। হরপ্পায় এগুলো সবই পাওয়া গেছে। বৈদিক সংস্কৃতির এই জাতীয় অবশেষ বিশেষ নেই। সেক্ষেত্রে বৈদিক আইকোনোগ্রাফি আমাদের অন্যভাবে নির্মাণ করতে হবে- বৈদিক সাহিত্যকে একটা চাক্ষুষ রূপ দিয়ে। কল্পনা করে নিতে হবে ঋগ্বেদ সংহিতায় বর্ণিত ঘটনাগুলিকে ও তার দেবদেবীদেরকে- কিন্তু সেক্ষেত্রে আমরা বেশী বেশী করে দেখতে পাব ইন্দ্র ও অন্যান্য দেবতার হাতে শত্রুনিধনের গল্প। যেটা হরপ্পার ধ্যানরত যোগীর সাথে, বা নৃত্যরতা যুবতীর সাথে খাপ খায় না। হরপ্পায় হিংসার ছবি প্রায় নেই। পশুদের সাথে মানুষকে মারামারি করতে দেখা গেছে- এই একমাত্র। অবশ্য ঋগ্বেদে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ছবিও আছে, প্রকৃতির রূপবর্ণনাও আছে- তবে মূল সুরটা লড়াইয়ের। আবার হরপ্পায় একজন যুদ্ধের দেবী হয়তো পাওয়া গেছে। কালিবঙ্গানের শীলমোহরে। তিনি ব্যাঘ্রবাহিনী, বা বলা ভাল তাঁর শরীরের নিম্নার্ধ্বটা বাঘের শরীর। তিনি হয়তো যুদ্ধের পাশাপাশি শান্তিরও দেবী, কারণ ওনার মতনই দেখতে, একইরকম কেশবিন্যাসযুক্ত দুজন নারী ওনারই দুপাশে দুজন বল্লমধারী যোদ্ধার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছেন, হয়তো বা শান্তিস্থাপনের জন্য। এই ব্যাঘ্রদেবীকে অন্ততঃ দুটি শীলমোহরে দেখা যায়। ঋগ্বেদে ঠিক এরকম দেবী কেউ নেই। দেবীদের ভুমিকা বেশ গৌণ সেখানে। সেখানকার সর্বাধিক উল্লিখিত দেবীদের অর্থাৎ সরস্বতী বা অদিতিদের সাথে এই দেবীর মিল নেই। হয়তো ঋগ্বেদের একদম শেষের দিকে দশম মণ্ডলের (প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ঋগ্বেদের প্রথম ও দশম মণ্ডল অনেক পরবর্তী সময়ের লেখা) অরণ্যানি দেবীর সাথে তাঁর মিল আছে, আর মিল আছে আমাদের গ্রাম্য বনদেবীদের সাথে, সিংহবাহিনী দুর্গার সাথে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য হরপ্পার সীলমোহরে বল্লম দিয়ে মহিষ হত্যার দৃশ্য পাওয়া গেছে, এবং এগুলি ধর্মীয় উদ্দেশ্যে মহিষ বলি দেয়া বলে মনে করা হয়, কারণ এই দৃশ্যে বল্লমধারীর পিছনে একজন ধ্যানরত মানুষকে দেখা যায়। এছাড়াও একজন নারী বা দেবীকে দেখা যায় একটি সীলে দুটি বাঘের মধ্যে, যেখানে তিনি বাঘদুটিকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। যদিও মেসোপটেমিয়ার বিখ্যাত পুরাকথা গিলগমেশ থেকে এই দৃশ্য অনুপ্রাণিত, কিন্তু এখানে পুরুষের জায়গায় নারী এবং সিংহের জায়গায় বাঘ এসেছে স্থানীয় লোকাচারকে মান্য করে।

    হরপ্পার অনেক সীলমোহরে মাথায় শিং আলা এক ধ্যানী যোগীকে দেখা যায়, যাঁকে মার্শাল আদি-শিব বলেছেন। ঋগ্বেদের মূল উপাসনা পদ্ধতি যজ্ঞ, অন্যদিকে হরপ্পার আদলে যোগ-ধ্যান ইত্যাদি তো বৈদিক সংস্কৃতিতে অনেক পরে দেখা যায় সাংখ্য-যোগ ইত্যাদির মধ্যে। হরপ্পার ধ্যানরত যোগীর বা নৃত্যরতা যুবতীর সাথে বরং পরবর্তী যুগের 'হিন্দু' শিল্পের অর্থাৎ মথুরা-গুপ্ত-চালুক্য ইত্যাদিদের শিল্পকলার বেশী করে সাদৃশ্য পাওয়া যায়। বরং বেদের অশ্বপূজা, অশ্বমেধ, যুদ্ধ-কেন্দ্রিক কাব্য- এগুলোর সাথে স্তেপের পশুপালকদের মিল পাওয়া গেছে। ঘোড়া বলি দেয়া, কিংবা ঘোড়াকে বাড়তি সম্মানে কবর দেয়া, মালিকের সাথে ঘোড়াকে বা রথকে কবর দেয়া- এগুলো স্তেপের পশুপালকদের বিশেষ করে আন্দ্রোনোভো সংস্কৃতির কবরগুলো থেকে দেখা গেছে। হরপ্পার সাথে বৈদিক সংস্কৃতির ধর্মাচরণের সাদৃশ্য যে একেবারে নেই তা নয়- অগ্নিকেন্দ্রিক উপাসনা হরপ্পায়ও আছে (কালিবঙ্গানে যজ্ঞবেদী বা অন্ততঃ বলা যায় অগ্নিবেদী পাওয়া গেছে)। হরপ্পার আইকোনোগ্রাফিতে লিঙ্গের একটা স্থান আছে, যেখানে ঋগ্বেদে শিশ্নদেব (যারা শিশ্ন অর্থাৎ লিঙ্গকে দেবতা মনে করে) মানুষদের প্রতি বিদ্বেষই দেখা যায়। মোট কথা, বোঝা যাচ্ছে হিন্দুদের এখনকার ধর্মাচরণ বৈদিক ও হরপ্পা দুটি সংস্কৃতি থেকেই এসেছে, তবে এই দুটি সংস্কৃতি যে দীর্ঘদিন আলাদা ছিল সেটারও অনেক ইঙ্গিত আমরা পাচ্ছি।

    বেদের সবচেয়ে পুরোনো অংশ হল ঋগ্বেদ সংহিতার দ্বিতীয় থেকে নবম মণ্ডল। পরে যোগ হয়েছে প্রথম ও দশম মণ্ডল, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক, উপনিষদ এবং অন্য তিনটি বেদ। আরও পরে এসেছে বেদাঙ্গ, ষড্দর্শন, মহাকাব্য, পুরাণ। এসেছে ভাস্কর্যশিল্প, মন্দিরশিল্প (এই শিল্পদুটি বেদের অনেক পরবর্তীযুগের- তিনশ পূর্বাব্দের পরের- যেটি নিয়ে আমি অন্য একটি বিস্তারিত লেখা লিখেছি)। এই বিবর্তনের পথে যোগ হয়েছেন নূতন দেবদেবীরা, যেমন শিব ও দুর্গা যাঁরা স্থান পেয়েছেন মন্দিরে, ভাস্কর্যে, মহাকাব্যে ও পুরাণে- এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থান এঁরা পেয়েছেন ইন্দ্র-অগ্নি-মিত্র-বরুণ-ঊষা-অশ্বিন্ এদেরকে সরিয়ে। অথচ শিব-দুর্গা অর্বাচীন নন। তাঁরা বৈদিক সাহিত্যে অর্বাচীন হলেও তাঁদের প্রাচীনতা হরপ্পার সীলমোহর থেকে বোঝা যায়। এই বিবর্তনটাও একটা নূতন সংস্কৃতির সাথে মুখোমুখি হবার ইঙ্গিত দেয়, অর্থাৎ পরিযানের ইঙ্গিত দেয়। অর্থাৎ দুটি সংস্কৃতি একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল। এবং সেটা হবার জন্য একটিকে পরিযায়ী হতেই হবে। হরপ্পা সংস্কৃতি পরিযায়ী ছিল না বা ব্রোঞ্জযুগে বড় আকারে পরিযান করেনি, তার প্রমাণ তার নগর সভ্যতা। অতএব বৈদিক সংস্কৃতিরই পরিযায়ী হবার সম্ভাবনা বেশী- যেটি আর্য পরিযানের ইঙ্গিত দেয়।

    [আমি একথা বলছি না যে হরপ্পায় শিব-দুর্গার পুজো হত। মার্শালের পশুপতি শিবের বক্তব্যকেও সর্বাঙ্গীনভাবে গ্ৰহণ করা হয় না। তবে শৈব আইকোনোগ্ৰাফির অনেককিছু হরপ্পায় আছে। লিঙ্গ অনেক অনেক পাওয়া গেছে। ধ্যানমুদ্রা অনেক অনেক পাওয়া গেছে। আর যে মূর্তিটিকে প্রিস্ট কিং বা পুরোহিতের বা শ্রমণের মূর্তি বলা হয় তার দুটো চোখের ফোকাস নাকের অগ্ৰভাগে। নাসাগ্র আবদ্ধ দৃষ্টি বলা হয় একে। এই তাকানোর স্টাইলটি শৈব আইকোনোগ্ৰাফির অঙ্গ, প্রায় ২২০০ বছর ধরে। গুডিমল্লমের ২২০০ বছর পুরোনো শিবমূর্তি, যেটিকে এখনও অবধি প্রাপ্ত প্রাচীনতম শিবমূর্তি ও শিবলিঙ্গ দুটো হিসাবেই দেখা হয়, তাতে এই নাসাগ্র আবদ্ধ দৃষ্টি দেখা যায়। আর পরবর্তী যুগের শিবে তো দেখা যায়ই। সত্যিকারের শিব-দুর্গা না হলেও শৈব আইকোনোগ্ৰাফির অনেক আদিম রূপ হরপ্পায় পাওয়া যায়, যেটা শৈব আইকোনোগ্ৰাফি হরপ্পা থেকে অনুপ্রাণিত হবার ইঙ্গিত দেয়।]

    পাঁচ) কুমোরশিল্প: প্রত্নতত্ত্বের একটা বিশাল বড় উপাদান হল কুমোরশিল্প। পটারি। বাসন-কোসন। গ্রীসের একটা যাদুঘরে গিয়ে বাসনের পর বাসন দেখতে দেখতে ভাবছিলাম- এই দেখতেই কী গ্রীস এলাম! পরে মনে হল- এটাই তো ইতিহাস- আমার আপনার মত সাধারণ মানুষের ইতিহাস। এই একটা জায়গায় এসে কিন্তু আমরা দেখতে পাব হরপ্পা সভ্যতা থেকে পরবর্তীকালীন ভারতীয় সভ্যতার একটা ধারাবাহিকতা (কন্টিনিউয়াম)। তার দুটো কারণ দেখানো যায়- ১) য়ুরোপে কর্ডেড ওয়্যার কালচার অর্থাৎ দড়ি দিয়ে বাঁধা বাসনের আদলে তৈরী মাটির বাসনের সংস্কৃতি- এটি ছিল স্তেপের পশুপালকদের সাথে স্থানীয় মহিলাদের সংমিশ্রেণের ফল। ডিজাইন ছিল যাযাবর পুরুষদের যারা কাঠ-চামড়া-দড়ি দিয়ে বাসন বানাতো, কিন্তু মাটির চাকের স্কিলটা স্থানীয় মহিলাদের। কাঠ-চামড়া-দড়ির বাসনের আদল মিশে গেছে মাটির বাসনের প্রযুক্তির সাথে। এই মিশ্রণের কারণ হল ওখানে মাটির সামগ্রী বানাতো মেয়েরাই। ভারতেও কুমোরশিল্পের ধারাবাহিকতা জেনেটিক তথ্যের সাথে সাযুজ্যপূর্ণ- বাসন কোসন বৌয়েরা বানাত এবং ঐ মহিলারা ছিল স্থানীয়। ২) এছাড়া এমনও হতে পারে কুমোরের কাজ স্থানীয় দাস-দস্যুরা করত।

    পরিশেষে দুটো বাড়তি জিনিস নিয়ে বলব:
    এক, ধর্ম। অনেকে আর্যধর্ম নিয়ে জানতে চেয়েছেন। যদি ইন্দো য়ুরোপীয় ভাষাভাষীদের আদি ধর্মগুলিকে বা তাদের দ্বারা প্রবর্তিত ধর্মগুলিকে আর্যধর্ম বলেন তাহলে জরথুষ্ট্রীয়, হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, ও য়ুরোপীয় পেগ্যান ধর্মগুলিকে আর্যধর্ম বলতে পারেন। অনেকে প্রশ্ন করেন আর্যরা (ইন্দো য়ুরোপীয় ভাষাভাষীরা) আর্যধর্ম কেন কম অনুসরণ করে, এবং আব্রাহামিক ধর্ম (অর্থাৎ ইসলাম ও খৃষ্টধর্ম) বেশি অনুসরণ করে? ইন্দো য়ুরোপীয়দের মধ্যে ৩৫-৪০% খৃষ্টান, ২০-২৫% মুসলিম, ২০-২৫% হিন্দু, ১০-১৫% ধর্মহীন, ১% শিখ, অল্প কিছু বৌদ্ধ-জৈন-জরথুষ্ট্রীয়। এদের মধ্যে আব্রাহামিক ধর্মই বেশী (৬০%এরও বেশী) কেন?

    আর্য আত্মপরিচয়ের উদ্ভব এবং আর্যদের একটা জায়গায় থিতু হওয়া এগুলো অনেক পুরোনো ঘটনা (৩৫০০ থেকে ৪০০০ বছর আগের)। ধর্ম অর্বাচীন একটা কনসেপ্ট। খৃষ্টধর্ম মাত্র ২০০০ বছর পুরোনো আর ইসলাম ১৪০০ বছর পুরোনো। ধর্ম আর আর্য ব্যাপার দুটোকে গুলিয়ে না ফেলাই কাজের। তাছাড়া য়ুরোপীয়রা খৃষ্টধর্মে ধর্মান্তরিত হবার পরও কিন্তু প্রাচীন ইন্দো য়ুরোপীয় দেবতাদের নাম অনেক জায়গাতেই ব্যবহার করে আসছে। য়ুরোপে বারের নাম দেখুন- সবই প্রাচীন দেবদেবীদের নামে। Saturn, Sun, Wodin, Thor ইত্যাদি। হাজিয়া সোফিয়ার নাম গ্ৰীক বিদ্যার দেবী সোফিয়ার নামানুসারে। বড়দিন অনেকটাই পেগ্যান উৎসব থেকে নেয়া। আর শয়তানের ধারণা তো জরথুষ্ট্রীয় ধর্ম থেকেই আব্রাহামিক ধর্মে গেছে। আর্যধর্মগুলোও পুরোপুরি আর্য নয়। হিন্দু ধর্ম যতটা আর্য ততটাই অনার্য। এটি যতটা বৈদিক ততটা হরপ্পীয়। বৌদ্ধ ধর্মও তাই।

    দুই- আমরা ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষরা বেশীর ভাগই কি প্রাগার্য ভারতীয়দের বংশধর? আমরা বেশীরভাগই কি আর্যদের বংশধর? আমরা বাঙালীরা কি বেশীরভাগই অস্ট্রেোএশিয়ানদের বংশধর? সবকটিরই উত্তর একই সাথে হ্যাঁ হতে পারে। এগুলো কোনোটাই পরস্পরবিরোধী বক্তব্য নয়। একটা উদাহরণ দেই- ধরুন আমি দশটি কালো গরু আর দশটি সাদা গরু আমার গোয়ালে আনলাম। এরা নিজেদের ইচ্ছামত মেটিং করল। দশ প্রজন্ম পরে দেখা যাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ গরুর কালো পূর্বপুরুষ, আবার সংখ্যাগরিষ্ঠ গরুর সাদা পূর্বপুরুষ। দুটো একই সাথে সত্যি হওয়া সম্ভব। কারণ প্রতিটা মানুষ দুজন মানুষ থেকে জন্ম নেয়।

    একটা প্রশ্ন, যেটা দিয়ে আমি লেখা শেষ করব। আপনার এক প্রজন্ম আগে দুজন পূর্বপুরুষ- বাবা ও মা। দুই প্রজন্ম আগে চারজন- ঠাকুরদা, ঠাকুমা, দাদু, দিদা। তিন প্রজন্ম আগে আটজন। দশ প্রজন্ম আগে আপনার ১০২৪ জন পূর্বপুরুষ! দশ প্রজন্ম মানে মাত্র ২৫০-৩০০ বছর আগে। সৌভাগ্যক্রমে সংখ্যাটা ১০২৪ এর থেকে অনেক কম কারণ অনেক পূর্বপুরুষই দূরের তুতো ভাই বোন বা আত্মীয়দের বিয়ে করেছেন। এতো গেল ২৫০-৩০০ বছর আগের কথা। ৩০০০ বছর আগে গিয়ে সংখ্যাটা লাখের ঘরে গিয়ে ঠেকতে পারে- সেটা না হোক, হাজার-অযুতের ঘরে গিয়ে তো ঠেকবেই। আপনার কী মনে হয় আপনার এই সমস্ত হাজার-লক্ষ পূর্বসুরী একইরকম ছিল আর একটা জায়গাতেই বসে ছিল, আর কখনই একটা ভূখণ্ড থেকে আরেক ভূখণ্ডে যায়নি?

    (শেষ)
    (অপেক্ষা করুন আমার পরবর্তী লেখার- অন্ত্যেষ্টি শিল্প নিয়ে)

    তথ্যসূত্র:
    • David Reich- Who we are how we got there
    • Tony Joseph- Early Indian
    https://core.ac.uk/download/pdf/5105465.pdf
    https://www.penn.museum/…/the-mythical-massacre-at-mohenjo…/
    • Moorjani P, Thangaraj K, Patterson N, et al. Genetic evidence for recent population mixture in India. Am J Hum Genet. 2013;93(3):422‐438. doi:10.1016/j.ajhg.2013.07.006 https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC3769933/
    • জরথুশত্রধর্ম: যোগীরাজ বসু
    • হরপ্পার শীলমোহর ও মূর্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য এখান থেকে নেয়া।
    •"India an archeological history" by Dilip K Chakrabarti

    ছবিতে: হরপ্পার ব্যাঘ্রবাহিনী বা ব্যাঘ্ররূপিনী দেবী (দুটি ছবি), মহিষমর্দন, মাথায় শিং ও অশ্বত্থ গাছের পাতা নিয়ে ধ্যানী যোগী , মার্শালের আদি-শিব।






    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৪ জুন ২০২০ | ৩৮৯০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • avi | 2409:4061:2182:9d5d:2a8d:589b:83fe:***:*** | ১৪ জুন ২০২০ ০৯:৪৭94299
  • বাহ, এটা ইন্টারেস্টিং হচ্ছে। তবে এক একটা পর্ব খুব সংক্ষেপিত লাগছে। আরো বিস্তারে হলে বেশ হত।

  • বিপ্লব রহমান | ১৪ জুন ২০২০ ১০:১৫94303
  • আইকোনোগ্রফি নিয়ে আরও লিখলে পারতেন। আর ছবিগুলো এক সংগে লেখার নীচে না দিয়ে লেখার ভেতরে মাঝে মাঝে দিলে দেখতে ভাল লাগতো। 

    পূর্বপুরুষের ভাবনার সহজ উপস্থাপনা বেশ। আরও লিখুন               

  • pi | 2402:3a80:a5a:5bd9:0:5e:e80a:***:*** | ১৪ জুন ২০২০ ১১:১৬94311
  • এটা খুবই ইন্টারেস্টিংং হচ্ছে। হ্যাঁ, ছবিগুলো লেখার মধ্যেই এলে, আর কোথাও আরেকটু বিস্তারিত বিশ্লেষণ, আরো ভাল লাগত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন