এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  ইতিহাস

  • ঐর্যনম বৈজ - আর্য উৎসভূমির সন্ধানে - প্রথম পর্ব

    Sudipto Pal লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | ইতিহাস | ৩১ মে ২০২০ | ৪৪৩৭ বার পঠিত
  • © সুদীপ্ত পাল, May, 2020

    আর্য শব্দের উৎস ও এই নামে পরিচিত জনগোষ্ঠীর উৎস- দুটো নিয়েই আমাদের মনে অনেক প্রশ্ন থাকে। ইতিহাসের একটা প্রশ্নের উত্তর কখনই একটা সূত্র থেকে পাওয়া যায় না, বিশেষ করে প্রশ্নটা যখন প্রাগৈতিহাসিক যুগকে ঘিরে। তাই আমরা পাঁচরকম আঙ্গিকে উত্তরটা খোঁজার ও বোঝার চেষ্টা করব- সাহিত্য, ভাষা, জেনেটিক্স, আইকোনোগ্রাফি ও শিল্প। এগুলি সবই ইতিহাস গঠনের রসদ। সবার প্রথমে দেখব সাহিত্য।

    এক) সাহিত্য: একটা শব্দের সংজ্ঞা দেয়া ব্যাকরণের কাজ। কিন্তু ব্যাকরণ (যেমন বেদাঙ্গ) নেহাতই অর্বাচীন, তাই ব্যাকরণে না ঢুকে আমরা সহিত্যে ঢুকব। ঋগ্বেদ ও আবেস্তা- সুপ্রাচীন সাহিত্যগুলো দিয়েই শুরু করা যাক। দেখা যাক নানা অর্থে আর্য শব্দের প্রয়োগ-

    ১) আমি অর্থে (অর্থাৎ আত্মপরিচয় হিসাবে): ঋগ্বেদের একটা বড় অংশে আর্য শব্দটা ব্যবহার হয়েছে আত্মপরিচয় হিসাবে। উত্তম পুরুষে ব্যবহার না হলেও, নিজেকে বোঝাতেই ব্যবহার হয়েছে। কারণ অনেক মন্ত্র যেখানে আর্য শব্দের ব্যবহার হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে যজমান (যিনি চাইছেন) হল আর্য। তার কাছে চাওয়া হচ্ছে তিনি দেবতা। আর্য হল আমি অর্থাৎ যজমান (উত্তম পুরুষের আভাস- যদিও প্রথম পুরুষে লেখা), দেবতা হল তুমি (মধ্যম পুরুষ), দাস-দস্যু-গন্ধর্ব-দানব হল 'ওরা' (প্রথম পুরুষ)। আপনি দস্যু তাড়িয়ে আর্যকে আলো দিলেন, আপনি আর্যকে অমূক দিন তমূক দিন- ইত্যাদি। এই মন্ত্রগুলোতে আর্য শব্দটা ঋগ্বেদের বক্তার আত্মপরিচয়।

    ২) তুমি অর্থে (salutation বা সম্বোধন পদ হিসাবে): ঋগ্বেদের অনেক জায়গায় আর্যটা মধ্যম পুরুষ।‌ যে দেবতাকে স্তব করা হচ্ছে, বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই ইন্দ্র, তাকে আর্য বলে ডাকা হচ্ছে। পরবর্তীকালে আর্য শব্দটা salutation অর্থে ব্যবহার আরো বেশি করে দেখা যায়। ইংরেজী স্যার শব্দটা যে যে অর্থে ব্যবহার হয় (প্রভু, মাননীয়, শিক্ষক, গুরুজন ইত্যাদি) সেই সেই অর্থে আর্য শব্দের ব্যবহার দেখা যাবে- উদাহরণ- বুদ্ধকে ডাকা হত আর্য বলে, মহিলারা স্বামীকে বলতেন আর্যপুত্র, শ্বশুরকে আর্য- বিশেষ করে নাট্যশাস্ত্রর যুগে এই প্রয়োগ দেখা যায়। বুদ্ধের শিক্ষাকে বলা হতো আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ- এখানে আর্য মানে মাননীয়। ঋগ্বেদ সংহিতায় ফেরা যাক। এখানে যখন মধ্যম পুরুষে যখন আর্য ব্যবহার করা হচ্ছে, তখনও দেবতাকে বিশেষ করে ইন্দ্রকে নিজের লোক হিসাবে দেখা হচ্ছে। ইন্দ্র যা করছেন যজমান অর্থাৎ স্তাবকের ভালর জন্য করছেন। তাঁর কাজ আর যাজকের ইচ্ছার মধ্যে বিশেষ পার্থক্য নেই। অতএব এখানেও আর্য শব্দ পরোক্ষভাবে আত্মপরিচয় হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে।

    ৩) আমি অর্থে (অর্থাৎ আত্মপরিচয় হিসাবে- ইরানে): ইরানীয়রাও যে আর্য শব্দটা আত্মপরিচয় হিসাবে ব্যবহার করত তার উদাহরণ নকশ-এ-রোস্তম এ দারায়ুসের শিলালিপি যেখানে উনি আর্য বলে আত্মপরিচয় দিয়েছেন ("পার্স পার্সহ্য পুত্র আর্য আর্যচিত্র")। ৫০০ পূর্বাব্দে। আরও পরে ঐ নকশ এ রোস্তমেই তৃতীয় শতকে সাসান সম্রাট আরদাশির নিজেকে আর্যদের শাহেনশাহ বলেছেন। ওনার শিলালিপি দ্বৈভাষিক এবং দুটি আলাদা ইরানীয় ভাষায় লেখা- 'আরদাশির শাহনশাহ ই ঈরান' এবং 'আরদাশির শাহনশাহ ই অর্যান'। যেটি আর্য আর ইরানের সমার্থকতার ইঙ্গিত দেয়। এখানে আর্য শব্দ একটা জাতি ও তার আত্মপরিচয় হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে।

    ৪) ইতরার্থে (ওরা বোঝাতে): ঋগ্বেদে ওরা বা শত্রু বলতে দাস-দস্যুই বোঝায়, তবে হিন্দু ধর্ম বাইনারি সাদাকালো নয়। ঋগ্বেদ ৪/৩০/১৮তে দেখি শত্রুদেরকেও আর্য বলা হচ্ছে। অর্প আর চিত্ররথ এই দুই আর্যকে ইন্দ্র দমন করলেন সরযূর ওপারে। আর মিত্র আর বরুণকে অসুর দেবতা আর্য সবই বলা হয়েছে (উদাহরণ: ২/২৭/১০)। সম্ভবতঃ এই দুই জায়গাতেই ইরানের আর্যদের দিকে ইঙ্গিত করা হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, এক, অসুর বা অহুর শব্দটা আবেস্তায় ভগবান অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে, আর দেব শব্দটা খারাপ বোঝাতে। আর দুই, মিত্র অনেক বড় পরিসরের দেবতা। ভারত, ইরান, মিত্তানি, গ্ৰীস, রোম সর্বত্র তিনি বিরাজমান ছিলেন। হয়তো তিনি ইরানীয় আর্য দেবতা- তাই তিনি অসুর। হয়তো অর্প আর চিত্ররথও ইরানীয় আর্য। শত্রু- কিন্তু আর্য। মনে রাখবেন বৈদিক সরযূ নদী গাঙ্গেয় অঞ্চলের সরযূ নয়, এটি আফগানিস্তানের হরিরূদ নদী।

    ৫) কাল্ট বোঝাতে: ঋগ্বেদে আর্য শব্দটাকে কন্ট্রাস্ট করা হচ্ছে দস্যু, দাস, দানব, শিশ্নদেব (লিঙ্গ উপাসক) এদের সাথে। অর্থাৎ ঋগ্বেদেও স্পষ্ট ইঙ্গিত যে ভারতে আর্য ব্যতিরেকে অন্য মানুষ আছে। একটা "আমরা-ওরা" ব্যাপার আছে। অর্থাৎ ভারতীয়রা সামগ্ৰিক ভাবে আর্য নয় তার ইঙ্গিত সুস্পষ্ট। তবে এই বিভাজনটা এথনিক না হয়ে সাংস্কৃতিক ও হতে পারে। দস্যুদেরকে অব্রত, অযজ্ব ইত্যাদি বলা হচ্ছে অর্থাৎ যারা ব্রত, যাজনা ইত্যাদি করে না। যারা অন্যরকম উপাসনা করে যেমন লিঙ্গ উপাসনা, তাদেরকে শিশ্নদেব বলা হচ্ছে। অর্থাৎ "আমাদের" যজ্ঞের কাল্ট, "ওদের" অন্য কাল্ট।

    ৬) ভৌগোলিক প্রয়োগ (ভারতে): ঋগ্বেদের হাজার বছর পর ব্যাকরণের যুগে আসা যাক। বেদের ছান্দস ভাষা এই সময় সংস্কৃতর রূপ নিল। প্রথম প্রমাণ ব্যাকরণ পাণিনির অষ্টাধ্যায়ী, আর তারপর দ্বিতীয় পূর্বশতকে তার টীকা- পতঞ্জলির মহাভাষ্য। মহাভাষ্যে আর্যাবর্ত শব্দের একটা সংজ্ঞা দেয়া হচ্ছে। বাংলা, বিহার, গুজরাত, দাক্ষিণাত্য এগুলো সেই আর্যাবর্তের বাইরে। মনুস্মৃতিতে এর সংজ্ঞা আরেকটু বেড়ে দুই সাগরের পাড় অবধি পৌঁছল। মোটকথা এখানে আর্য শব্দটার একটা ভৌগোলিক সীমানার ইঙ্গিত আছে, একটা আমরা-ওরা ব্যাপার আছে। শুধু তাই নয়, এই ভৌগোলিক ব্যাপ্তির প্রসার মাইগ্রেশনেরও ইঙ্গিত দেয়।

    ৭) ভৌগোলিক প্রয়োগ (ইরানে): আবেস্তায় দেখা যায় আর্যনম বৈজ বা ঐর্যনম বৈজ। যার অর্থ আর্যদের (অর্থাৎ ইরানদের) আদিভূমি। ইরান বলতে এখানে ভূখণ্ড নয়, জনগোষ্ঠী বোঝাচ্ছে। বৈজ শব্দটা সম্ভবতঃ বীজের সাথে যুক্ত। ঐর্যন থেকে ইরান শব্দের উৎপত্তি। তবে আবেস্তায় ইরান দেশকে কিন্তু এই আদিভূমি বলা হয় নি। ঐর্যনম বৈজকে এখানে অজানা দেশ হিসেবে ধরা হয়েছে। কিন্তু সেখানে ভারতকেও সেই আদিভূমি বলা হয়নি, কারণ ভারতের যে অংশ গুলো ইরানীয়রা চিনত তার নাম আবেস্তায় দেয়া হয়েছে হপ্তহিন্দু অর্থাৎ সপ্তসিন্ধু।

    ৮) ভাষা অর্থে প্রয়োগ: ভাষা অর্থে আর্য শব্দটা এদেশে তেমনভাবে ব্যবহার হয়নি বলেই জানি। মাত্রা হিসেবে ব্যবহার হয়েছে পরবর্তীকালে। আর্যভাষার প্রথম উল্লেখ ইরানের বেহিস্তুন শিলালিপিতে। ঐ দারায়ুসের সময়ই। পঞ্চম পূর্বশতকে। এরপর আর্যভাষার উল্লেখ দেখা যায় কুষাণ সম্রাট কণিষ্কর রবতক শিলালিপিতে। এখানে যে ভাষায় লেখা হয়েছে সেই ভাষাটিকে সবার আগে আর্যভাষা বলে পরিচয় দেয়া হয়েছে ঐ শিলালিপিতেই, এবং এটিকে যবন ভাষার সাথে কন্ট্রাস্ট করা হয়েছে। এই আর্যভাষা হল কুষাণযুগের পূর্ব ইরানীয় পরিবারের একটি ভাষা যাকে ব্যাক্ট্রিয়ান ভাষাও বলা হয়।

    যাই হোক ঋগ্বেদ সংহিতা, নকশ-এ-রোস্তম ইত্যাদি দেখে বোঝা যাচ্ছে আর্য শব্দটা আত্মপরিচয়। exonym বা বহিঃপ্রদত্ত নাম নয়। আর্য কোনো জাতির নাম হোক বা না হোক একটা জনগোষ্ঠীর নাম তাতে কোনো সন্দেহ নেই, যেটা মহাভাষ্য আর মনুস্মৃতি থেকেও বোঝা যাচ্ছে। দুই সংস্কৃতিতেই যখন আর্য শব্দটা প্রয়োগ হচ্ছে আত্মপরিচয় হিসাবে, আর তাছাড়া এত জোরালো আত্মপরিচয় যখন দুটি সংস্কৃতিতেই আছে, অতএব আর্য জনগোষ্ঠীকে এমন একটা প্রাকলৌহযুগীয় জনগোষ্ঠী হতে হবে যেটা দুই দেশে কমোন।

    তাহলে এমন কোন জাতি আছে ভারতে যার সাথে ইরানীয়দের সাদৃশ্য পাওয়া যাবে? অর্থাৎ আমরা সেই কমোন জাতি যাকে ইন্ডিয়ান এবং ইরানীয় দুটোই বলা যায়- অর্থাৎ ইন্দো-ইরানীয় বলা যায়- তাকে খুঁজব।

    ভারতে জাতি সংজ্ঞাপিত করা যায় দুভাবে- এক, ভাষা দিয়ে, এবং সেই বিচারে আমরা হাজার দেড়েক ভাষা বা জাতি পাবো। দুই, আক্ষরিক অর্থেই জাতি (অর্থাৎ কাস্ট) দিয়ে জাতি সংজ্ঞাপিত করা যায়। সেই বিচারে ভারতে হাজার পাঁচেক জাতি। কিন্তু এভাবে হাজার হাজার জাতির মধ্যে সেই কমোন ইন্দো ইরানীয় জাতি খুঁজে বার করা সহজ নয়- কারণ চার হাজার বছর ধরে একটা জনগোষ্ঠী একরকম থাকে না- যদি না আপনি আন্দামানের দ্বীপে বসে থাকেন‌। ভাষা, সাহিত্য বা প্রত্নতত্ত্ব দিয়ে এর পূর্ণাঙ্গ উত্তর পাওয়া যাবে না- যেতে হবে জেনেটিক্সে। তবে তার আগে ভাষায় ঢুঁ মারি।

    দুই) ভাষা: ভাষাগোষ্ঠী দিয়ে জাতির পূর্ণাঙ্গ বিচার কখনই সম্ভব নয়। একটা উদাহরণ দেই- তুরস্কের বেশিরভাগ লোকের শারীরিক ফীচার গ্ৰীকদের মতই, বরং মধ্য এশিয়ার আসল তুর্কীদের সাথে মিল কম, এবং হাজার বছর আগে তারা গ্ৰীক ভাষাই বলত, এখন তুর্কী বলে। একই কথা বলা যায় আরেকটি তুর্কী জাতি- আজেরিদের ক্ষেত্রে।

    তবে এটা অনস্বীকার্য যে ভাষা দিয়ে জাতির আংশিক বিচার করা যায় এবং দেড়শ বছর আগে যখন জিন নিয়ে কাজ সম্ভব ছিল না তখন ভাষা এবং শারীরিক অ্যানাটোমিই এই বিদ্যার মূল ভিত্তি ছিল।

    শুধু ভাষা নয়, বেদ আর আবেস্তায় অনেক কিছুই এক- বৃত্রঘ্ন, মিত্র, বরুণ, হোম ইত্যাদি। চলুন ফেরা যাক আমাদের মূল যাত্রায়। ইন্দো-ইরানীয় জাতির খোঁজে। ভারতে যে সব ভাষা সংস্কৃত-পালি-প্রাকৃত পরিবারভুক্ত (পাঞ্জাবী, বাংলা, গুজরাতি, নেপালি, সিংহলা, বিষ্ণুপ্রিয়া সহ কয়েকশ ভাষা) তাদের আদিরূপগুলোর সাথে (বিশেষ করে বেদের ভাষা অর্থাৎ ছান্দস ভাষার সাথে) যেহেতু ইরানীয় ভাষাগুলোর মিল আছে অতএব এই ভাষার ভাষীদেরকে ইন্দো-ইরানীয় জাতি অর্থাৎ আর্য জাতি বলে ধরাটা একটা সমাধান।

    আর এই ইন্দো-ইরানীয় ভাষাগুলোর সাথে যেহেতু য়ুরোপের বেশিরভাগ ভাষার মিল অতএব সামগ্ৰিক ভাবে এদেরকে ইন্দো-য়ুরোপীয় বলা যায়। এই ইন্দো-য়ুরোপীয় পরিবারে পড়ে যাবতীয় ইন্দো-ইরানীয় ভাষা (উত্তর ভারতীয় উপমহাদেশের ভাষাগুলি, সিংহলা, মালদিবী, নেপালী, রোহিঙ্গ্যা, সেইসঙ্গে ইরান, আফগানিস্তান, তাজিকিস্তান, কুর্দিস্তানের প্রধান ভাষাগুলি), এবং য়ুরোপের সিংহভাগ ভাষা (ফিনিশ, এস্তোনীয়, হাঙ্গেরিয়ান, বাস্ক, তুর্কী, জর্জিয়ান- এগুলো বাদে)। বিশাল পরিবার, সুবিশাল বৈচিত্র।

    ভারতবর্ষেই একজন চাকমা, একজন পাঞ্জাবী, একজন হলবা উপজাতির মানুষ - সবাই এই পরিবারের ভাষাকে মাতৃভাষা হিসেবে ব্যবহার করছে। এরা সবাই যদি একটাই জাতি হয় তাহলে প্রায় পুরো পৃথিবীটাই একটাই জাতি। কারণ এই তিনটি জাতির শারীরিক মিল নিজেদের মধ্যে যত বেশি তার থেকে বেশি (যথাক্রমে) একজন ব্রহ্মদেশীয়, ইরানীয় এবং কম্বোডীয় মানুষের সাথে। গ্রীকদের সাথে বাঙালীদের মিল কম, বরং অ-ইন্দো-য়ুরোপীয় তুরস্কবাসী তুর্কীদের মিল গ্রীকদের সাথে বেশী। অতএব এটা আংশিক সমাধান। শুধু ভাষা দিয়ে আর্য জনগোষ্ঠীকে পাওয়া যাবে না। জেনেটিক্সে যেতে হবে।

    এছাড়াও অনেকে প্রশ্ন তোলেন ইন্দো য়ুরোপীয় ভাষাভাষীদের মাইগ্ৰেশন ভারত থেকেও শুরু হয়ে থাকতে পারতো, সেটা কেন ধরা হয় না। তারও উত্তর আছে জেনেটিক্সে বা বলা ভালো আর্কিওজেনেটিক্সে। সেই নিয়ে আলোচনা পরের পর্বে।

    তথ্যসূত্র:
    • David Reich- Who we are how we got there
    • Tony Joseph- Early Indian
    https://core.ac.uk/download/pdf/5105465.pdf
    https://www.penn.museum/…/the-mythical-massacre-at-mohenjo…/
    • Moorjani P, Thangaraj K, Patterson N, et al. Genetic evidence for recent population mixture in India. Am J Hum Genet. 2013;93(3):422‐438. doi:10.1016/j.ajhg.2013.07.006 https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC3769933/
    • জরথুশত্রধর্ম: যোগীরাজ বসু
    • হরপ্পার শীলমোহর ও মূর্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য এখান থেকে নেয়া।
    •"India an archeological history" by Dilip K Chakrabarti
    •Various translations of Rigveda

    © সুদীপ্ত পাল, May, 2020



    ছবি ১) দারায়ুস এবং তাঁর নকশ-এ-রোস্তমের শিলালেখ- এখানেই পাথরে খোদাই করে আর্য লেখাটা পাওয়া যায়- এর থেকে পুরোনো এমন কোনো নিদর্শন এই মুহুর্তে জানা নেই।
    By Diego Delso - This file has been extracted from another file: Naghsh-e rostam, Irán, 2016-09-24, DD 11.jpg, CC BY-SA 4.0, https://commons.wikimedia.org/w/index.php?curid=75159826


    ছবি ২) যেসব অঞ্চলে কোনো না কোনো ইন্দো য়ুরোপীয় ভাষা প্রাথমিক ভাষা হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ৩১ মে ২০২০ | ৪৪৩৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন