
ইতিমধ্যে সকলেই জেনে গেছেন যে আজ সকালে ঐ যাঁর-নাম-করতে-নেই-এর আরও একটি শূণ্যগর্ভ ভাষণ এবং লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর ঘোষণার পর হাজারে হাজারে পরিযায়ী শ্রমিক মুম্বই-এর বান্দ্রা রেলওয়ে স্টেশন এবং বাস টার্মিনাসে জড়ো হন, বাড়ী ফেরার দাবী নিয়ে। যথারীতি, তাঁদের সমস্যার কোনো স্থায়ী সমাধান করার বদলে বেপরোয়া পুলিশি লাঠিচার্জের মাধ্যমে তাঁদের ছত্রভ্ঙ্গ করা হয়। প্রথমে সুরাত এবং আজ বান্দ্রার এই ঘটনা প্রমাণ করে দিচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে কতটা মরিয়া, শুধুমাত্র ন্যূনতম রেশন এবং পোল্ট্রি ফার্মের মত গাদাগাদি করে থাকার মত একটা মাথা গোঁজার জায়গার ভরসায় দিনের পর দিন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে থাকতে তাঁরা আর রাজি নন। এখন অবস্থা যে দিকে মোড় নিতে শুরু করেছে, তাতে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে শুরু, এর পর মধ্যবিত্ত সমাজ ও হাঁড়ীকাঠে বলি দেবে। কারণ কত মানুষ চাকরি হারাবে তার ইয়ত্তা নেই। ভারত সরকার এমত জরুরি অবস্থায় যদি সবাই একসাথে না বসে যদি গঠন গত নীতি নির্ধারণ না করে তবে সামনে দেশ জুড়ে বড় গণ বিপ্লবের সম্মুখীন হবে।
"এই সমস্যা একমাত্র তখনই মিটতে পারে, যখন কেন্দ্রীয় সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ঘোষণা করবেন, রাজ্য সরকারগুলোর সাথে যৌথভাবে নির্দিষ্ট সময়সীমা ধরে এই শ্রমিকদের ধাপে ধাপে বাড়ি ফেরানোর জন্য স্পেশাল ট্রেন এবং বাসের ব্যবস্থা করবেন, এবং যতদিন না সে ব্যবস্থা হচ্ছে, ততদিন শ্রমিকদের খাদ্য, স্বাস্থ্যকর বাসস্থান এবং চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেবেন"
এ ক ম ত। সম্ভবত প্রশ্নটি সরকারের সক্ষমতা নিয়ে নয়, সদিচ্ছা ও পরিকল্পনা নিয়ে।
এপারেও পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যা নিয়ে তামাশা কম হয়নি।
লক ডাউনের ভেতর গণ পরিবহন বন্ধ রেখে গার্মেন্টস কারখানাগুলো খোলা রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। জীবিকার তাগিদে হাজার হাজার শ্রমিক শত শত মাইল পথ হেঁটে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা দেন। কিসের সামাজিক দূরত্ব? কিসের বাসায় থাকুন প্রচার?
চাকরি বাঁচাতে গাদা গাদি করে নারী পুরুষ শ্রমিকরা দলে দলে হেঁটেই ঢাকা ফিরছেন, মহাসড়কে, ফেরিতে তাদের উপচে পড়া ভীড়, স্যোশাল মিডিয়া আর মূলধারার মিডিয়ার এমন খবরের পর নড়েচড়ে বসেন সবাই।
তড়িঘড়ি করে সব কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। মালিক পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, শ্রমিকরা যথা সময়েই তাদের মার্চ মাসের বেতন পাবেন। ওদিকে পুলিশ দিয়ে ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়ক খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ফেরার পথে গণপরিবহন না পেয়ে শ্রমিকরা পড়েন একই ভোগান্তিতে।
যে গার্মেন্টস থেকে বিপুল রাজস্ব আয় হয়, তাদের শ্রমিকদের আর কতটা বার বার ভুগতে হবে কে জানে?
দেখুন, বিবিসি বাংলার খবর :
পুনশ্চঃ গুরুচণ্ডালীর অনলাইন আলোচনাটি সমৃদ্ধশালী। এ রকম আরও আলোচনা হোক।
হখগ | 172.69.***.*** | ১৫ এপ্রিল ২০২০ ০৯:০১92340
dc | 108.162.***.*** | ১৫ এপ্রিল ২০২০ ১০:৫৯92343
hkg | 172.69.***.*** | ১৫ এপ্রিল ২০২০ ১১:১৭92344
r2h | 162.158.***.*** | ১৫ এপ্রিল ২০২০ ১১:২৩92345
r2h | 162.158.***.*** | ১৫ এপ্রিল ২০২০ ১১:২৫92347
শালিখ | 108.162.***.*** | ১৫ এপ্রিল ২০২০ ১২:১১92350
dc | 108.162.***.*** | ১৫ এপ্রিল ২০২০ ১২:১৯92351
hkg | 172.69.***.*** | ১৫ এপ্রিল ২০২০ ১২:৩৩92353
Jadu | 172.68.***.*** | ১৫ এপ্রিল ২০২০ ১৯:২২92361পরিযায়ী শ্রমিক দের মনের কথা তুলে ধরেছেন দাদা
hkg | 172.69.***.*** | ১৫ এপ্রিল ২০২০ ১৯:৪৩92362
hkg | 172.69.***.*** | ১৫ এপ্রিল ২০২০ ১৯:৪৪92363
hkg | 108.162.***.*** | ১৫ এপ্রিল ২০২০ ২৩:১৯92366
hkg | 108.162.***.*** | ১৫ এপ্রিল ২০২০ ২৩:২৩92367
অনামী কিসমত | 162.158.***.*** | ১৬ এপ্রিল ২০২০ ১০:০৫92373ভিন রাজ্যের শ্রমিক মজুর এবং কারিগরদের বর্তমান রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র সরকার কোনো গুরুত্বই দেয় না ফাঁদে পড়া সেই প্রাণীর মতো ছটফট করছে তারা যে কোন সময় মারা যেতে পারে উভয় সরকারের কবে বোধবুদ্ধি উদয় হবে সীমান্তে যারা দাঁড়িয়ে আছে তারা যদি ভারতবর্ষের রক্ষক হয় এরাও ভারতবর্ষের উৎপাদক এদের ধ্বংস ভারতবর্ষের উৎপাদক ধ্বংস হয়ে যাবে ভারত বর্ষ ধ্বংস হয়ে যাবে যথাযথ পদ্ধতিতে এদিকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা উচিত মনে হবে
$%^&* | 162.158.***.*** | ২৫ এপ্রিল ২০২০ ২২:৪৯92676
সাহায্য চাই | 2402:3a80:a6a:7e04:0:2e:d425:***:*** | ৩১ মে ২০২০ ১৮:২৮93851
Pinaki | 188.148.***.*** | ৩১ মে ২০২০ ২৩:৫৬93855