এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অপর বাংলা

  • ছয়ফুল মুলক বদিউজ্জামাল উরফে চান্দু মিয়ার সহি সফরনামা

    কুলদা রায় লেখকের গ্রাহক হোন
    অপর বাংলা | ২৮ মার্চ ২০১১ | ১৩১১ বার পঠিত
  • শেফালী বেগম! ইয়ে ঠিক নেহি হ্যায়। নাপাক এলফ। তুম হে এক পাক নাম কি জরুরত হ্যায়। শেফালী বেগম অবাক হৈয়া চাইয়া রৈল। কয় কি ইমাম সাবে। ঘরের দক্ষিণে আছিল গাছডা। হেমুন্তে তলা ফর্শা হৈয়া যাইত। দাদাজান কৈলেন, এই মাইয়ার নাম হৈবে শেফালী। আকিকার দিন ফাইনাল হৈল- শেফালী বেগম। মাইয়াডা শেফালী ফুলির লাহান হাইসা উডপি। হা হা হা।

    নিজাম উকিল শেফালী বেগমের পিডে হাত রাকলেন। চউক্ষের ইশারায় কৈলেন, চেইত না। হুজুরে আলা যা কয়- হেইডাই কতা। আর সব আউট। ইমাম সাব মোরাকোবা কি হালত হৈলেন। এই সুমায় তার ঠোঁট নড়ে না। বুকির মৈদ্যি দম আডকাইয়া থাহে। জমিন থেইক্যা আসমানে একবার চক্কর মাইরা আসেন। গুপ্ত বা অগুপ্ত এলমে হগল কিছুই তার চউক্ষে ভাইসা ওডে। তিনি একডা কালা দুপাট্টা দিয়া চউক্ষু দুইডা বাইন্ধা রাহেন। ইহার রহস্য অপার হে।

    তিনি হাইস্যা দেলেন। হাসিডা আইল ঠোডের উপ্রে। দাঁত দেহা যায় না। কৈলেন, আপকা নাম বহুৎ মোবারক হ্যায় মুছাম্মাৎ হায়াতুন্নিছা খাতুন। নিজাম উকিল হাত তুল্লা কৈলেন, আলহামদুলিলাহ।

    একদিন রাত কে বাদ হায়াতুন্নিছার হোশ হৈলে পর তার শাউড়ি আম্মা হাইসা কৈলেন, অ বউ, দ্যাকো গো মা, চান্দের লাহান তুমার পোলা হৈচে। হায়াতুন্নিছা তার কেলান্ত চউক্ষু মেইল্লা দ্যাকল, পোলার বাম কানডা এটটু ব্যঁ¡কা। গাত্র বন্নে চান্দ কি রোশনী। মুনে মুনে কৈল, তুমার নাম হৈল-- চান্দু মিয়া। আমার চান্দু মিয়া। লেকিন ইমাম সাব নাম রাকলেন-- ছয়ফুল মুলক। উসনে লম্বা সফর কিয়া।

    তিনি একটা স্বর্ণের তাবিজ লেইখ্যা দেলেন। ভুজ পাতায় জাফরান দিয়া ল্যাখলেন-- ছয়ফুল মুলক। শেফালী বেগম আরেকডা পাতায় লেইখা লৈলেন-- উরফে চান্দু মিয়া। মুম দিয়া মুখডা বুজাইয়া দিয়া দেছেন। সামনে পিছনে চারদিকে পোলার কপালে ফু দিয়া গলায় ঝুলায়া দিলেন এই স্বর্ণের তাবিজ। ইহার সামনে লম্বা আজিব কা সফর অপিক্ষা করতাছে হে। নিজাম উকিল এক বড়া মাইফেলের আয়োজন করলেন। হেইদিন দুফরের পরে কে বা কাহারা জেইলখানার তালা ভাইঙ্গা ফেলল। ভিতর থেইকা কাশেম মোক্তার, ধীরেন বাকচি বাবু, আর লগে লগে যারা ছিলেন নেতা-চেতা না চোর না চ্যাছোড় না ডাকাইত তারাও দৌড়াইয়া বারায় গেছে।

    ধীরেন বাকচি বাবুর লগে হেমা ডাকাইত বক সিগরেট খাইলেন। লম্বা কৈরা হাওয়ায় ধুয়া ছাড়লেন। চেচানিকান্দিতে বদ্যিবাড়ির ফ্যালা বদ্যি হাতুড়ি দিয়া হাতকড়া ভাইঙ্গা দেল। এই সুময় চৌরুঙ্গিতে বড়দার দুকানে উলু আর কাফু চা খাইতে আছিল। তাগো সামনে দাড়াইতে পারে এমুন বাপের বেডা কেডা আছে এইহানে? লেকিন এইকালে ধড়াম কৈরা অরা দুইজন ঠিক রাস্তার মদ্যিখানেই পৈড়া গেল। আর জামানসাবের ছুডো ভাই খোড়া জামান বাঘ মার্কা আর জিন্না সাবের ফডো লৈয়া পাইখানার মৈদ্যি ঢুইক্যা বসল। নিজাম উকিল তাগো পুরানা আমগাছের উপ্রে পরগাছার আড়াল লৈছে। অইখানে ছিল ডাইয়া পিপড়ার বাসা।

    তারা নিজাম উকিলের বংশদণ্ডে কয়েকডা এমুন কামুড় বসাইয়া দিল যে হেইদিন তার মুনে হৈল- ইহা অকার্‌যকর। এই রহম ডাক্তারে কৈছিল। হুজুরে আলার দুয়ায় কুন সময় যে পড়াৎ কৈরা কার্‌যকর হৈয়া উডল, হেইডা সীতারামপুরের কালা কুছ কুছ রমজান মোক্তারের পোলা গোপালগুঞ্জির নয়া উকিল মুহাম্মদ নিযাম উল হকও টের পায় নাই। তাহার পোলার নাম ছয়ফুল মুলক। ইহার মাতা সত্যি। নাম শেফালী বেগম। উরফে মুছাম্মাৎ হায়াতুন্নিছা খাতুন। সাং বাইদ্যা পট্টি। রহস্য অপার। তাহার অজানা কিছুই নাই হে।

    নিজাম উকিলের বুড়ি আম্মা বিছানার উপ্রে ছয়মুল মূলককে লৈয়া ঘুম যায়, আর গুনগুনাইয়া ঘুমের মৈদ্যে ছয়ফুল মুলক বদিউজ্জামালের কিসসা গায়। শেফালী বেগম উরফে মুছাম্মাৎ হায়াতুন্নিছা খাতুন বাটা ভৈরা পান চিবায়, আর চউক্ষে লম্বা কৈরা সুরমা টানে। মাঝে মাঝে শোনে দৈরার পাড়ে পরী শেহজাদি বদ্দিউজ্জামালকে দেইখা ছয়ফুল মুলক পাগল হৈচে।

    রাজোহাস কৈন্যা তুমি আইলা নদীকুলে।
    চারি চউক্ষু মিলন হৈলো প্রাণো উডে দুলে।।
    এইনা দিবস যায় গো কাইটা রাতি না পোহায়।
    খোয়াবগুলায় মিলায় দূরে কে তারে লুকায়।।
    পঙ্খি আমার উড়াল দ্যাওরে যাওরে পরীর দেশ।
    মন বধূয়ায় দিও গিয়া এইনা মাথার কেশ।।
    চউক্ষে দিও কালা কাজল ম্যাঘেরো বরণ।
    কর্ণে দিও চান্দোপাশা পুষ্পেরো গড়ন।।
    গলায় পৈরো মুক্তাহারো চান্দেরো গোহন।
    অঙ্গে শোভো রাতুল বসন মুরলী মোহন।।
    না কৈরো গো মিছা কান্দন না হারাইও শ্বাস।
    অচিন দৈরায় ভাসাই তোরী তুলিয়া নিবাস।।
    সাক্ষী থাইকো চান্দো সুরুয আকাশেরো তারা।
    ফিরায় আনুম কৈন্যা তুমায় খোয়াবেরো পারা।।
    যাও পঙ্খি গাও পঙ্খি সামালো সামাল।
    ছয়ফুল মুল-উল্ক ভনে বদিউজ্জামাল।।

    বুড়ি দাদীআম্মা হাসে। তার ফোঁকলা দাঁত। ছয়ফুল মূলক বড়া হৈলে সফরে যাবি। চান্দের লাহান বদিউজ্জামানরে আনবি।

    তিনি হাডছিলেন কপালি বসু পাড়ার মৈদ্যে দিয়া। লাগে তালবেলেম। একদল হাডে সামনে লাফাইয়া লাফাইয়া। হুজুরে আলার পিছন পিছন। কপালি বসুরা ছোডলোক হিন্দু। খাডো ধুতি পরে, আর গলায় আইচার মালা। চৈতরো সংক্রান্তিতে নীলপাটের পূজা দ্যায় কাঁচা আম দিয়া। রজনীকালে দশাবতার সাইজা অষ্টক গান করে। এ্‌যাদের বউ-ঝিরা কাম-কাজে চতুর । আর বহু পেরজা বৎসা।

    বসু পাড়ার নরোত্তম বসুর বাবা মদুসূদন বসু ছিপের আগায় বড়শী লাগাইতে ব্যস্ত আছিল। তার পাশে নাকে প্যান লৈয়া নাতি শেতল মাডির উপ্রে খেলতি থেলতি হাইসা দেল। তিনি কৈলেন, বেটা, আপকো আবেহায়াত। আপ দিনমে দো দফা পিঙে।

    বসু মশাই হুজুরে আলার হাত থিকা আবে হায়াতের শিশিডা লৈয়া কপালে ঠেকাইল। হাত জোড় কৈরা কৈল, ইমাম হুজুর, আমরা কী করমু? দ্যাশ ছাইড়া কী চৈলা যামু? তিনি হাসলেন। খুব মেরদু হাসি। ঠোঁডের উপ্রে দিয়া ঝিল্লিক দিয়া চৈলা গেল। তিনি কৈলেন, ইস জাগাকো ছোড়নে কা কেয়া ফায়দা হো? তোমকো এয়াসে কৌন নিকালে? তোম লোগ সব গনিমতে মাল। কোই মুশকিল নেহি হ্যায়।

    কপালি বসুরা হুজুরের চার্দিক ঘিরা ধরল। কেডা এ্‌যাক ছোকরা কৈল, হুজুর কৈছেন কুনো অসুবদা নাই। আমাগো হুজুর দ্যাখপে হে।

    নিজাম উকিল চমকাইয়া হুজুরে আলার দিকি চাইয়া পৈড়ল। হুজুরের চউক্ষে কালা দোপাট্টা। গাত্র বন্নে চান্দ কি রোশনী। তিনি হগলের আগে আগে সেয়েতমান্দ লোকের লাহান হাইডা চৈলছেন। বসু পাড়া পুরোডা ঘুইরা গেলেন। আছছোরোমের খাল থেইকা পশ্চিমে হাইডা গেলেন। ওহানে তাল গাছের সারি। নিচে মোসলেম সিকদারের ইডের পাজা। তিনি কৈলেন, মুহাম্মদ নিযামুল হক, হামেশা মেরী বাত পর একিন করে। কোই মুশকিল নেহি হ্যায়।

    এÉ¡র তিন রাত কা বাদ হাসাপাতালের ঘাডে একহান গানশিপ আইসা ভীড়ল। থার্ড অপিছার নিশান উড়াইয়া সুবেহ সাদেকের আগেই খাড়াইছিলেন। তার পাশ মে দুইজন আর্দালি ঝুইকা ছিল। ডরে কাঁপে। আর পড়ে সুরা ইয়াসিন। তারা দুইজুনই পঙ্খির লাহান লুডায় পৈড়ল। হাসপাতালের গেডে ঝাঁক ঝাঁক গুলি ছুইডা গেল। খাডি পাকমন গুলি। এমন গুলি কুতাও তুমি পাবি নাকো খুঁইজা।...

    পলোকের মৈদ্যি সারা গঞ্জের রাস্তাঘাড ফাঁকা। আর কোতাও কোতাও বৈশাকি বারিষের লাহান পানি জৈম্যা গেল। রাঙা। গরোম। পুড়া ঘর থিকা কালা ধুমা অনেক উপ্রে উইড়া গেল। বসু পাড়ার যে লোকডা আছছোরোমের পানির মৈদ্যি পৈড়া গেল, তার নাম নরোত্তম বসু। পিতা মদুসূদন বসু। সাং পাচুড়িয়া। জাতে কপালি বসু, ছোড হিন্দু। পিশা জমির কামলা। বউ-ঝিরা বাঁশের কামে ওস্তাদ।

    কোলে-পিডি-মাডিতে ছাওপোনা গড়ায়। বছর বছর পেরজা বিয়ায়। বাঁশ বাগানির মৈদ্যি কাউরিই আর দেহা গেল না। উডানে কাডা দাও আর বাঁশের পাতলা পাতলা চডা। সব শুনশান হে। কিউ কুথাও নাইকা। হুজুরের পরতি অবিশ্যাসী হওনের কুনো উপায় নাই। কেনুনা নিজাম উকিল তাজ্জব হৈয়া চাইয়া দেকতি পাইল, তাগো বুইড়া আম গাছের একডা মোডা ডাল মড়াৎ কৈরা ভাইঙা পৈড়ল। হুজুরে আলা এইমত আগাম কৈছিলেন, তাতে তার গায়ের লোম খাড়ায় গেল। ডাইয়া পিপড়াগুলান তার যে নেতানো মেতানো বংশদন্ডডায় কামুড় দিছিল, তা এতকাল দৈরা আছিল নড়ন চড়ন নট, বালও ফ্যালানোর কুনো খ্যামতা ছিল না, হেইডা আচানক ফাল দিয়া খাড়ায় গেল, অবিশ্যাসী হৈও না। হৈয়া তো কুনো ফায়দা নাই হে।

    তিনি হন্ত দন্ত হৈয়া পাজামার গিট্টুডা আটবার কতা ভুইল্লা গেলেন। জেবনে পেরথম বারির লাহান তার পূরা রেত:পাত হৈল। একডা চিল পঙ্খি উইড়া যাইতাছিল। এই দিরিশ্য দেইহা তার ছয়মাসির গব্ব হৈল। আকাশি থাকতিই ডিম পাড়ল। ডিম ফাইট্টা বাচ্চা বিয়াল। বাচ্চাডা কৈল, অমা, এ কোন জমানায় আইলাম গো। মালিকের পাজামার কম্ম শ্যাষ। আর সামনে খাড়াইয়া তেজি বাদি। হাওয়ামে উড়তা যায়ে/ মেরে লাল দুপাট্টা মল মল...। এ্‌যাতে কুনো অবিশ্যাস নাই হে। তাগো লবেজান বাদিডা জিব্যা কাইডা কৈল, আম্মাজান কৈছেন, বাইরি যাইয়া আর কাম নাই। ঘরে আহেন। যুদি যানই এক বিড়া পান আর সুপ্রি আইনেন। লগে মর্দানি জর্দা। হি হি হি।

    বিশ্যাসী কম্মে তিনি অতিশয় ব্যস্ত হৈয়া গেলেন। ঘুইরা ঘুইরা দেহেন গঞ্জে কেডা কেডা আসে আর যায়। একডা খাতায় রাঙা কালি দিয়া ল্যাখতে থাহেন তাগো নাম-ধাম। গঞ্জ ছাপা হৈয়া যায়। আর মুছাম্মাৎ হায়াতুন্নিছার কোলে বাড়ে চান্দের লাহান পোলা ছয়ফুল মূলক। তার বাম কান ব্যঁ¡কা। এই নিয়া কুনো ক্ষোব নাই। কারণ যার নড়ন-চড়োন নাই এতোকাল ধৈরা, এহন রজনী পরভাতে দিনিরাতি কোন সুময়-অসুমায় নাই হে। ফাল দিয়া ফাল দিয়া ওডে। ঠ্যালা সামলানি মুশকিল। ইহার রহস্য অপার।

    ক্যাপটেন তাজ তাগো বাগান দেইখ্যা আমুদ পাইল বহুৎ। পুরান পুরান গাছ-গাছালি। কেডা লাগাইছে কুন কালে কেডা জানে। আজিব! আজিব কা বাত। একপাশি একডা তুলসীর ঝোপ। একডা তক্ষক জিব বাইর কৈরা পাতার আড়ালে লুকাইল। ভাঙা আম গাছের ডালের চার্দিক ঘুইরা ফিইরা দেইয়া হাইসা হাইসা কৈল, তোম শরীফ আদমী হ্যায়। কেয়া আপ কাবুল ছে আয়া হে?

    কাবুল কি ফায়সালাবাদ, ইরাক কি ইরান, মিশর কি আপ্রিকা, এগুলার খবর তার জানা নাই। এ্‌যাতে অবিশ্যাস কী? তিনি ঘাড় নাড়তি নাড়তি জবাব দেলেন, সহি বাত। সহি বাত।

    ক্যাপটেন তাজ গম্ভীর হৈয়া কৈল, কোই মুশকিল নেহি। হাম চাহতে হ্যায় আপ সব আচ্ছা হো যায়ে। হাম তুমহারা বিবিকো পেটসে সহি বাচ্চে কো জনম দেঙ্গে।

    ক্যাপটেনের জিপ গাড়িডা হোশ দিলে তাগো বাড়ির সামনে থিকা চৈলা গেল। অন্দর হৈতে বুড়ি আম্মাজি চিক্কুর পাইড়া কৈল, কি করলি হারামি? তর গায়ে পুকা পৈড়বে। তিনি তার চেহারা মোবারকে দলা দলা থু থু ছুইড়া মারলেন। আবার অন্দরে ছুইডা গেলেন। তার কোলে পোলা ছয়ফুল মুলক পা ছুইড়া ছুইড়া কাইন্দা কৈছে:

    ও দাদী আম্মাগো কিসের বাইদ্য বাজে গো
    দাদী আম্মা...
    মোর খিদায় পরান যায়, যায় রে...

    তিনি বেহেচান হৈয়া হুজুরে আলার দরবার শরীফে তশরিপ রাকলেন। হুজুরে আলা তহন তাহার বাঁশ বাগানের মাতার উপ্রে চান্দ উডিবারকালে মোরাকোবা কি হালতে ছিলেন। অই অবস্থায়ই তিনি কৈলেন, মুহাম্মদ নিযামুল হক, ক্যা আপকে ঘর পাছ নোকরানি হ্যায়?

    -আছে হুজুর।

    -ফিকার মাত। কোই মুশকিল নেহি হ্যায়। আক্কলমন্দ কে লিয়ে ইশারা হি কাফি হ্যায়।

    তিনি হাত বাড়াইয়া পোলাডারে কোলে লৈলেন। এই পোলার নাম ছয়ফুল মুলক। এ্‌যাডা যে সে নাম নয় গো। নামের আগে কিসসা আছে। ইউসুফ নবী ( রা:) ছিলেন বহুৎ খুব সুরৎ। তাহার পরে যে বহুৎ সুরৎ আদমী পয়দা হৈবে তাহার জন্যে তিনি দুইডা মোহর বানাইয়া যাইলেন। পারস্যের শেহজাদা ছয়ফুল মুলক পয়দা হৈলে পর তাহার হাতে সোনা-দানা মুনি-মুক্তা হিরা-জহরত কা সাথ মোহর দুইডাও আইসা পড়ল। মোহর দুইডার একডায় আছিল যাহার তছবির তাহার নাম, এই বেডা পারস্যের শেহজাদা ছয়ফুল মুলক। আর অন্য তছবিরে পরিস্তানের শেহজাদি বদিউজ্জামাল। তারই লাইগা ছয়ফুল মুলক বাইর হৈল দৈরার সফরে হে।

    আর এই ভাবী সফরী আদমী ছয়ফুল মুলক এহন মাত্র চাইর মাসের পোলা মাত্তর। অতি তুলতুল। লেকিন ক্ষুধায় পরান যায় যায় রে দাদীআম্মা, কিসের বাইদ্য গো বাজে...। শুকনা ঠোঁডে বারবার জিব্যা চাইটা লৈতাছে। তার বাম কানডা ব্যাকা। আর এই ব্যাকা কানডার দিকি চাইয়া দেখল নিজাম উকিল মোরাকোবা কি হালতি আদমী লাহান ফিরা যাইতাছে পাকমন মে। তার হাতে বেহেশতের কুঞ্জি আর সেই খাতাখানা। তার পাতায় পাতায় লেইখা যাইতাছেন কেডা কেডা দুষ্কর্মে লিপ্ত আছে, কেডা জয়বাংলা কৈছে, কেডা জানি দুশমন ইনডিয়ার দালাল, কারা কারা এহনো বাঁইচা আছে, আখেরে বাঁইচা থাকপার কুনো উপায় নাইকা। তাইলে বলেন হগলে,

    পাক সার জমিন সাদ বাদ...

    ক্যাপটেন তাজ খোশ আমদেদ কৈয়া পাশের ঘরে চৈলা গেলেন। যাইতি যাইতি কৈলেন, কোই মুশকিল নেহি হ্যায় ইমাম সাব। আগে যায়ে। -এ কেয়া হ্যায়?

    -সাচ্চা পাক জেনানা মহল। দে আর গোয়িং টু বি মাদারস অব সহি পাক আদমী। ইয়ে কোই হরতেঙ্গেজ বাত নেহি হ্যায়।

    তহন যে দর্জা দিয়া ঢুইক্যা গেলেন, হেই ঘরে যারা বিমর্ষ বদনে হতবাক চউক্ষে চাইয়া আছে তাগো কাউরি চিনবার পারছেন না ইমাম। সব কুছ ক্যান জানি অচিন অচিন মালুম হৈতে লাগল। কিম্বা হগলেই তার অতি চিনা অতি চিনা। এÉ¡র মৈদ্যি থাইকা কারে তিনি ডাকতি আইছেন, না বুঝবার পাইরা এট্টু ঘাবড়াইড়া গেলেন বটে। লেকিন তার অতি সহবত কা ঠোঁডে ডাইকা উডলেন, শেফালী! শেফালী? শেফালী বেগম।

    এক জেনানা তার সামনে আইসা খাড়াইয়া দাঁড়াইল। আহিস্তা আহিস্তা হুজুরে আলা ইমাম সাবের চোখের উপ্রে থেইকা কালা দোপাট্টাডা খুইলা ছুইড়া মারল ঘরের মৈদ্যি। জেনানারা টুকরা টুকরা কৈরা কালা দুপাট্টাডা ছিড়া লৈয়া অঙ্গ ঢাকপার চেষ্টা কৈরলেন বটে। কিন্তু একডা মাত্র অঙ্গও ঢাকল না। অঙ্গের কী শ্যাস আছে হে! অঙ্গের মৈদ্যি আবার পাকমন শিশু অঙ্গ বাইড়া উডবার লাগছে। আর যারা কালা দোপাট্টার এক টুকরাও হাতে পাইল না তারা কিক্কুর পাইড়া কৈল, এই ল্যাংটা শকুন বেডারে কেডা ঢুকপার দেছে। অরে তাড়া তাড়া তাড়া..

    শেফালী, কি শেফালী বেগম, কি হায়াতুন্নিছা, কি মুছাম্মৎ হায়াতুন্নিছা, কি মুছাম্মৎ হায়াতুন্নিছা খাতুন, অনেকদিন পর দেখবার পারল, হুজুরের চউক্ষু নাই। আন্ধা। বা কান ব্যঁ¡কা। গাত্র বন্নে চান্দনি রোশনী। চউক্ষের খোড়ল থেইকা যা ঝরতাছে তা আবে জমজম নয়, নয় সিন্দু কি বিপাশা, লোহু, তপ্ত এবং মদুমতি অথবা পদ্মা অথবা বেম্মপুত্তর অথবা নবগঙ্গা অথবা গড়ুই অথবা সুরমা অথবা ম্যাঘনা অথবা পায়রা অথবা পশুর অথবা আগুনমুহার তেজি পানির লাহান লেলিহান লহু, ধক ধক কৈরা হগল কিছু পুড়াইয়া দেয়, নষ্ট কৈরা দেয় হে... ক্যাপটেন তাজ নিজাম উকিলের নোড খাতাডা মিলাইয়া দেকল, আর লোকগুলানরে ডাইক্যা কৈল, ইনসান আলী? ইনসান আলী পা ঘষটাইতে ঘষটাইতে টেবিলের সামনে খাড়াইলেন। চউক্ষু দুইখ্যান ফুইল্যা গ্যাছে। নখের ভিতরে সুঁই। ইনসান আলী কুনো কথা কৈলেন না। নিজাম উকিল মাতাডা নাইড়া কৈল, জ্বী আচ্ছা স্যার। মুক্তি গো বাপ ইনসান আলী হ্যায়।

    ইনসান আলীর পিছনে পিছনে তার লায়েক পোলা হুমড়ি খাইয়া পৈড়তে পৈড়তে নিজাম উকিলের দিকি আখেরীবার চাইয়া কৈল, চাচা, আপনে মানুষ না। জানোয়ার! জানোয়ার হে!

    ক্যাপটেন তাজ চা খাইতে খাইতে হাইসা উডল। কাপে চুমুক দিতি দিতি নিজাম উকিলরে কৈল, ঘাবড়াইয়ে মাৎ। হাম উনি আজাদ কর রহে হ্যায়। উই উইল সেনড দেম টু দি দোজগ। দে ক্যান ফাইট দেয়ার এÉ¡জ মুক্তি। হা হা হা।

    জানালা থেইকা খানিক তফাৎ মে তাল গাছগুলানরে দেহা যায়। মাঝখানের গাছডায় ইনসান আলী, বাঁয়ে বড় পোলা, ডাইনে মাইজা পোলা। তলায় কুডি কুডি আরও চারডি পোলাপান। ধমাধম কৈরা অগো হাতে-পায়ে বুকি লোহার পেরাক পুতা হৈল। তিনজুনারই মাথা ঝুইলা পড়ছে। নিচের কুডি কুডি পোলাপানগুলান সামনে গর্তে ধবাস কৈরা ঝৈরা পড়ল। ইনসান আলী শেষবারির লাহান কৈয়া উডল, জয় বাংলা! আর কিছু শোনা যায় নাই। পাশের ইডের পাজায় যে হগল পাতি শিয়াল হাড্ডি-গুড্ডি চাটতিছিল, তারা আচানক ভয় খাইয়া গেল। লেজ তুইলা দূরি পলাইয়া গেল।

    নিজাম উকিলের পিড চাপড়াইয়া ক্যাপটেন তাজ কৈল, আচ্ছা কাম। আপ সাচ্চা পাকিস্তানী আদমী। কেয়া আপ কাবুল ছে আয়া হে?

    ইমাম হুজুর শুধু ফরমাইলেন, আপ হামেশা মেরী বাত পর একিন করে। তাহার কাছে সবই জানা। তিনি আসমানে তাকাইলেন। আর অমনি ঝর ঝরাইয়া বারিষ নামল। এই বারিষে বহুদিন বাদ গোসল হৈল। কৈইন্নার চুল ছিড়্যা ছিড়্যা খাডো হৈয়া গেছিল। নয়া চুল গজাইল। হাডু পর্যন্ত কালা চুল নাইমা আইল। হুজুরে আলা কৈলেন, আর তার ছিন্ন কুচযুগল পুনর্গঠিত হৈল। উহা আগের চাইয়া বহুৎ খুবসুরৎ। ঝিল মিল কৈরা ওডে। কৈইন্না ফির বালেগ বনেগা। ইহা অবিশাস্য নয়কো। ইহার রহস্য অপার হে। এই রহস্যের কুন কুল-কিনারা নাই। কারণ তাকে যহন গোরা সৈন্য কি ইনডিয়ার মেলিটারি কি নাবালেগ ছেলে-ছোকরা বাঁশ বাগান হৈতে মোরাকোবা কি হালতে জেলখানার দিকি টাইন্যা লৈতে আসতি আছিল, তহন তিনি অই অবস্থায়ই আঙ্‌গুলি বিস্তার কৈরলেন, আর আছছোরোমের খালডার পাশে পুরানা পাকুড় গাছ ঝপাৎ কৈরা পানির মৈদ্যি পৈড়া গেল। এÉ¡তে এÉ¡তো শব্দ হৈল যে উপারে নতুন ইস্কুলের লগে খান সাবের বাসার ভিতরে এক ঝাঁক রাজহাস প্যাক ফ্যাক কৈরা উডল। খান সাব শ্যাখ সাবের চাচা লাগে। সাং গিমাডাঙ্গা। টুঙ্গিপাড়া। তিনি মৃত লোকদের লিস্টি রচনায় ব্যেস্ত আছিলেন। দৌড়াইয়া আইসা খান সাব কৈলেন, হুজুর...

    হুজুর একবার হাস্য কৈরলেন। হাসিডা তার ঠোঁডের উপ্রে দিয়া মিল্যা গেল। দাঁত দেহা গেল না। আর তহন ইশারা কৈরলেন। দমকা বাতাস উডল। এবং বাঁশ বাগানের মাতার উপ্রে চাঁদ উডবার কালে শোলোক বলা কাজলা দিদিগণ ও গনিমতে আপাগণ নেবুর বনে দুমড়াইয়া-মুচড়াইয়া হাহাকারে আতর্নাদে আকুলি বিকুলি কৈরবার লগে লগে ইসরাফিলের শিঙ্গা ফুকিবার লাহান শব্দ হৈল। এই শব্দ নয়া এবং অপার রহস্য পূর্ণ। সমুন্দুরির বেতমিজ হাওয়ার মৈদ্যি তেজি ঢেউয়ির মৈদ্যি ঝড়ে ছেড়া পালের লাহান পৎ পৎ কৈরা কে য্‌যান চিক্কুর কৈরা উডল, ছয়ফুল মুলক বদিউজ্জামাল ...

    ছয়ফুল মুলক ফিরা তাকাইল না। তাকানোর কুনো সময়ও তার নাই। সামনে বহুৎ সফর। মদুমতি থিকা, কালিগঙ্গা হৈয়া, কচা হৈয়া, পানঘুচি হৈয়া, পশুর হৈয়া, বঙ্গোপসাগর হৈয়া, আরব সাগর হৈয়া…..এ সফরের কুনো আদিও নাই, অন্তও নাই...

    কে এক নাদান পোলা ইমাম হুজুরের বাড়ির মৈদ্যি ঘোরাঘুরি করতে আছিল। বিরাট বাড়িডা। অনেকগুলান ঘর। কদিন আগেও লোকে গমগম কৈরত। এখুন কেউ নাই। শুনশান। কয়েকডা জালালি কৈতর চাল হৈতে বাগ-বাকুম বাগ-বাকুম কৈরা ওডে। আর লতাপাতা আগাইয়া আসে জঙ্গল থিকা ঘরের ভিতরে।

    নাদান পোলাডা বাঁশ বাগান ছাইড়া আম বাগানের মৈদ্যি ঢুইকা পৈড়ল। পুরনো কাচা মিডা আম গাছে তহন অনেক আম ঝুইল্যা আছে। পাড়বার কেউ নাই। সড়াৎ সড়াৎ কৈরা গাছে উপ্রে উইডা গেল। হাতে লম্বা লাডি। আর তহুনি আচানক শিঙ্গা বাইজা উডল। জিন পরীদের হাক। ভয়ে গা শিউরি উডল। পৈড়া যাইতে যাইতে একডা মোডা ডাল ধইরা ঝুইলা বাঁচল। চউক্ষু খুইল্যা দেহে হাওয়া আহে। পাতা নড়ে। আর শিঙ্গা বাইজা ওঠে। জিন পরী বাড়ি পায়রা দ্যায়। পোলাডা কিন্তু নাদান। বয়-ডর কম। উপ্রে ভাল কৈরা চাইয়া দেকল। তারপর লাডি দিয়া আমগাছের মগডালে খোচা মারতি লাগল।

    সড় সড় কৈরা পুরান আম গাছের মগডাল হৈতে মাডিতে আইসা পড়ল ছোড দুইডা পায়ের হাড়। দুইখান হাতের হাড়। বুকির পাজর। আর ছোড একডা মাতার খুলি। খুলির মৈদ্যি হাওয়া ঢুকলি শিঙ্গা বাজে। কু উ উ উ উ ............

    এই ফাঁকা বাড়িতি কেউ নাই। নাদান পোলাডা হাড়গুলান নাইড়া চাইড়া দেকতি দেখতি গলার হাড়ের লগে একডা স্বর্ণের হার পাইয়া গেল। আর তার লগে স্বর্ণের তাবিজ। মোম খুইল্যা দ্যাহে ভিতরে পাতলা কাগুজে জাফরানী কাগজে লেহা - ছয়ফুল মুলক, উরফে চান্দু মিয়া। কাগজডা তার কুনো কামে লাগে না। খালের জলে ছুইড়া মারল। আর সোনার হারডা গলায় ঝুলাইয়া আরেকডা গাছে কাচা মিডা আম পাড়তি লাইগা গেল। খালের জলে কাগজ ভাসতি লাগল। কাগজতো নয়। জাহাজ। মাস্তুলি ছয়ফুল মুলক সামনে চাইয়া আছে। অথৈ পাথার। কুনো কুল নাই, কিনারা নাই। তাকে পাড়ি দিতে হৈবে এই লম্বা সফর। খুঁইজা বাইর কৈরতি হবে পরিস্তান। সেইহানে খুঁইজা দেখতি হবে, কুনহানে আছে শেহেরজাদি বদিউজ্জামাল। তারপর আবারো সফর। এÉ¡র আদি নাই, অন্ত নাই হে...

    সাক্ষী থাইকো চান্দো সুরুয আকাশেরো তারা।
    ফিরায় আনুম কৈন্যা তুমায় খোয়াবেরো পারা।।
    যাও পঙ্খি গাও পঙ্খি সামালো সামাল।
    ছয়ফুল মুল উল্ক ভনে বদিউজ্জামাল।।

    ..........................................................................................

    *ঋণ স্বীকার : অমি রহমান পিয়াল, বিপ্লব রহমান, ড: তপন বাকচি, কবি মুজিব মেহদী, কর্নেল (অব:) আশরাফ, ডা: আল্লারাখা শেখ, সোহেল শাফি প্রমুখ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অপর বাংলা | ২৮ মার্চ ২০১১ | ১৩১১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন