এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • রাম পুনিয়ানির যুক্তিবাদ ঃ একটি পাঠ প্রতিক্রিয়া

    পার্থ চক্রবর্তী লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৩ মে ২০১১ | ৮২৫ বার পঠিত
  • রাম পুনিয়ানি তাঁর প্রবন্ধটিতে সাঁইবাবা ও অন্যান্য godman- দের প্রবল সমালোচনা করেছেন। অবশ্য সমালোচনার কাঠামোটি ন্যায়শাস্ত্রমতে "বিতণ্ডা'র কাছাকাছি, যেখানে কোনো একটি পক্ষ অপরকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই তর্কে নামেন। আমি আমার পাঠ প্রতিক্রিয়ায় পুনিয়ানির সাথে অনেক বেশি করে "বাদ' করতে চাইব। এই তর্কে পুনিয়ানি হবেন আমার পূর্বপক্ষ। প্রথমেই আমি পুনিয়ানির পাণ্ডিত্য এবং ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে তাঁর বহুদিনের সংগ্রামকে নমস্কার জানাই। তাঁর সাথে এই একমুখী তর্কে প্রথমে তাঁর যুক্তির মধ্যে ফাঁক ফোকর দেখাতে চাইব আর তারপর একটি বিকল্প সমালোচনা রাখব।

    চারটি প্রশ্ন

    ১। রাম পুনিয়ানি সদ্য মৃত সাঁইবাবার সমালোচনায় দেখিয়েছেন কীভাবে বিশ্বাস যুক্তিকে প্রান্তিক করে দিচ্ছে ( faith marginalizes reason) । তিনি তাই reason বা যুক্তির পক্ষে দাঁড়িয়ে সাঁইবাবা ও অন্যান্য তথাকথিত godmen- দের বিরুদ্ধতা করতে চাইছেন। তাঁর লেখাটি শেষ হচ্ছে এই বাক্যটি দিয়ে - "এর মধ্যেই আমাদের নজর থাকবে, কিভাবে যুক্তিজালের বিশ্বাসযোগ্যতা এইসব ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা ভগবানদের প্রতিহত করে!' (নজরটান সংযোজিত)। মূল ইংরেজী লেখাটিতে তিনি "some semblance of reason" কথাটি ব্যবহার করেছেন। এখানে লেখক সাঁইবাবা et al.- দের তৈরি করা "অযুক্তির বিশ্বাসের' বিপরীতে "যুক্তির বিশ্বাসকে' খাড়া করেছেন। সাঁইবাবার ভক্তদের "অর্থহীন বিশ্বাসের' পরিবর্তে তিনি কোথাও একটা "অর্থযুক্ত বিশ্বাস' খুঁজছেন। অর্থাৎ তিনিও কোথাও একটা "বিশ্বাস' খুঁজছেন। তাঁর কাছে বিশ্বাস নামক বর্গটি কোনো সমস্যা তৈরি করছে না। তিনি শুধু বিশ্বাসের বিশেষণটির পরিবর্তন চাইছেন। এই প্রেক্ষিত থেকে দেখলে বিশ্বাস ও যুক্তির জল-অচল ভাগটি কিন্তু সমস্যায়িত হয়ে পরে।

    ২। পুনিয়ানি ধরে নিচ্ছেন যুক্তির সঠিক প্রয়োগ মানুষকে অযুক্তি থেকে মুক্তি দিতে পারে। যুক্তি যেন একরকমের ভ্যাক্‌সিন, যা বিশ্বাসের রোগ প্রতিহত করতে পারে। অর্থাৎ, যুক্তির উপস্থিতি বা প্রয়োগ অযুক্তিকে নাকচ করতে পারে। কিন্তু যুক্তি এবং অযুক্তি কি একই সাথে থাকতে পারে? আমাদের প্রতিদিনের অভিজ্ঞতায় যুক্তি এবং অযুক্তি তো বেশিরভাগ সময় একই সাথে থাকে, একই মানুষের মধ্যে থাকে। ডাক্তারের আংটি পড়ে অপারেশান করা কিংবা হিন্দু ছেলের ফিজিক্স পরীক্ষার আগে কালিবাড়ি ছোটার সাথে আমরা সকলেই কমবেশি পরিচিত। যদি বলি, এই ডাক্তার অযুক্তির শিকার, তাহলে কিন্তু অর্ধসত্য বলা হবে। ডাক্তার অবশ্যই আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসায় "বিশ্বাস' করেন বা পরিক্ষার্থীটি ফিজিক্সে "বিশ্বাস' করেন। বিশ্বাস করেন বলেই ডাক্তারি করেন বা মন দিয়ে ফিজিক্স পড়েন। অর্থাৎ, একইসাথে যুক্তি ও অযুক্তিকে "বিশ্বাস' করা যেতেই পারে, আমরা সকলেই কমবেশি করে থাকি। তাই প্রশ্নটা মনে হয় যুক্তি ও অযুক্তি, এই দুটি বর্গের মধ্যে থেকে না খুঁজে অনেক বেশি করে "বিশ্বাস' নামের বর্গটিতে খুঁজতে হবে।

    ৩। পুনিয়ানি উল্লেখ করেছেন সাঁইবাবার অজস্র পঙ্কলিপ্ত বিতর্কের কথা। এবং প্রতিটি বিতর্কিত মুহূর্তই ভিষণভাবে ভোগবাদী মানসিকতার প্রতিফলন - অর্থলিপ্সা, যৌনক্ষুধা ইত্যাদি। অর্থাৎ ভগবান হিসেবে বাবার এই সব ভোগবাদের ঊর্ধ্বে থাকার কথা ছিল, কিন্তু তিনি থাকেন নি। এখানে ধরে নেওয়া হল যে ভগবানের বিপরীতে এইগুলি মানুষের দোষ-গুণ। এই যুক্তিতে বাবার যেহেতু এইসব গুণাবলী ছিল, তিনি একজন মানুষ। কিন্তু আমার প্রশ্ন থাকবে - কোনো মানুষ এইসব দোষ-গুণ উৎরে গেলেও সে মানুষই থাকে, ভগবান হয়ে যায় না। বাবার যদি বিন্দুমাত্র অর্থলিপ্সা বা যৌনক্ষুধা নাও থাকত, তিনি মানুষই থাকতেন। তথাকথিত সদ্‌?-অসদ্‌? গুণ মানুষের বৈশিষ্ট্য, তার মধ্যে ভগবানকে খুঁজতে চাওয়ার চেষ্টা আদতে মানবসমাজে godman- এর ধারণাকেই বৈধতা দেয়। তাই ভগবান হওয়ার এই ধরণের পূর্বশর্তগুলি আমার কাছে সমস্যামূলক। অপরদিকে পুনিয়ানি যদি নাস্তিক হন, তাহলে তো ভগবান হওয়ার কোনো শর্ত থাকার প্রশ্নটিই অবান্তর হয়ে পড়ে।

    ৪। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন পুনিয়ানি উল্লেখ করেছেন। বাবার কীর্তিকলাপ জানার পরেও কীভাবে অসংখ্য মানুষ তার ভক্ত থেকেই যান? সব ভক্তই যে নিজের ধান্দাবাজির জন্য বাবার আশ্রমে গিয়ে হাজির হচ্ছেন, এটা মেনে নেওয়া মুশকিল। যাঁরা ধান্দাবাজি করছেন না, তাঁদের কাছে আকর্ষণটি কী? আকর্ষণের একটা কারণ অবশ্যই কোনো এক আধ্যাত্মিক খোঁজ, যা বস্তুময় পৃথিবীর মধ্যে তাঁরা খুঁজে পাচ্ছেন না। বিশ্বাস এই অর্থে এমন এক অযুক্তির সাথে সম্পর্কস্থাপন করছে, যা অতীন্দ্রিয় (transcendental) । বিশ্বাস বস্তুময় পৃথিবীর বাইরে অবস্থিত অযুক্তির সাথে সম্পর্কস্থাপন করছে। অন্যদিকে যুক্তি, যা মূলত বৈজ্ঞানিক যুক্তি তা সীমাবদ্ধ থাকছে বস্তুময় পৃথিবীর ভেতরে। যুক্তি সম্পর্কস্থাপন করছে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য পৃথিবীর সাথে। ফলে বৈজ্ঞানিক যুক্তি দিয়ে অযুক্তির বিশ্বাসকে খণ্ডন করা মুশকিল। বৈজ্ঞানিক যুক্তি আর অযৌক্তিক বিশ্বাস- একভাবে দুটি অসেতুসম্ভব ( incommensurable) বর্গ। তাহলে আমার প্রশ্ন - যদি অযৌক্তিক বিশ্বাস আমাদের কাছে কোনো সমস্যা হয়, তার মোকাবিলা কীভাবে হবে?

    একটি প্রস্তাব

    আমাদের কাছে দুটি ভিন্ন বিশ্বাসের দাবি রয়েছে। একদিকে ধর্মীয় আধাত্ম্যবাদ আর অন্যদিকে বৈজ্ঞানিক যুক্তিবাদ। দুটি বিশ্বাসকাঠামোই দাবি করে "সত্যে'র হদিস আছে তার কাছে। প্রগতিশীল মানুষ বৈজ্ঞানিক সত্যের সাথে একাত্ম হতে চান। তাই আপাতত দেখে নেওয়া যাক বৈজ্ঞানিক সত্যের প্রকৃতি কীরকম। বিজ্ঞান বস্তুময় পৃথিবীর সত্যসন্ধান করে। এই বস্তুময় পৃথিবীকে প্রত্যক্ষ করা যায়। কিন্তু শুধুমাত্র প্রত্যক্ষ করা যায়, এমন এক পৃথিবী বৈজ্ঞানিক সত্যের আধার নয়; বরং বৈজ্ঞানিক সত্য তার বাইরের ( outside) কিছু একটা, যা অপ্রত্যক্ষ। যেমন, একটি পাথর প্রত্যক্ষ করে বিজ্ঞানী বলবেন এর মধ্যে শতাধিক মৌল/যৌগ আছে, আর তার মধ্যে আছে ইলেকট্রন-প্রোটন। অর্থাৎ, তিনি এমনসব বস্তুর কথা বলবেন যা সরাসরি মানুষের ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নয়। যা প্রত্যক্ষ বা প্রতিভাত হচ্ছে, বৈজ্ঞানিক সত্য তার বাইরের কিছু একটা। সেই বাইরের জগতকে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য করে তুলতে লাগবে এক মিডিয়াম - যন্ত্রপাতি, ল্যাবরেটরি। অতীন্দ্রিয়বাদীরাও এই যুক্তিজালই ব্যবহার করেন তাদের সত্যের স্বরূপ ব্যাখ্যা করতে। সত্য এখানেও অপ্রত্যক্ষ, অতীন্দ্রিয়; শুধু তা বস্তুময় পৃথিবীর বাইরে। তারাও মিডিয়ামের খোঁজ করেন - সাঁইবাবা ও অন্যান্য godman । তাই যদি শুধুমাত্র বস্তুনিষ্ঠতা দিয়ে বৈজ্ঞানিক সত্যের পক্ষে দাঁড়াই, তা দিয়ে অযুক্তির মোকাবিলা করা মুশকিল।

    আমার মনে হয়, বৈজ্ঞানিক সত্যের ধারণাটিকেই নতুন করে ভাবার প্রয়োজন। সত্যের ধারণা একভাবে একটি মৌলবাদী ধারণা; মৌলবাদ বলতে আমি এখানে কোনো টেক্সটের একটি পাঠ এবং অপরিবর্তনীয় পাঠকে বোঝাতে চাইছি। অর্থাৎ, মৌলবাদ কোনো ধারণা বা প্রত্যয়ের পুন:পাঠ, সমালোচনা বরদাস্ত করে না। বৈজ্ঞানিক সত্যকে যদি আমরা এই রকম একটি মৌলবাদী ধারণাকাঠামো থেকে বিশ্বাস করতে শুরু করি, তাহলে তা কোনো "মুক্তি'র পথ দেখাতে পারবে বলে মনে হয় না। বিজ্ঞানের জ্ঞান ও চর্চাকে তাই একটি বিসংবাদী পরিসর হিসেবে ভাবতে পারাটা জরুরি। দার্শনিক টমাস কুন বিজ্ঞানের ইতিহাস খুঁড়ে দেখিয়েছেন বৈজ্ঞানিক সত্য বারবারই পালটে পালটে গেছে, যাকে তিনি "প্যারাডাইম শিফট্‌' বলেছেন। আজকের বৈজ্ঞানিক সত্য কালকেই বাতিল হয়ে যেতে পারে, এই অবস্থানটির প্রতি সংবেদী হয়ে ওঠাটা তাই জরুরি বলে মনে হয়। যদি বৈজ্ঞানিক যুক্তির পক্ষে দাঁড়াই, তা হলে তার অনিশ্চিত, ক্ষণিক, গণতন্ত্রী ও তর্কসাপেক্ষ যুক্তিকে আশ্রয় করাটা গুরুত্বপূর্ণ। এই বৈজ্ঞানিক যুক্তির পক্ষে দাঁড়ালে কোনো এক অপরিবর্তনীয় বৈজ্ঞানিক সত্যও প্রশ্নের মুখে চলে আসে। বৈজ্ঞানিক সত্য প্রশ্নাতীত থাকে না, তা প্রশ্নসাপেক্ষ হয়ে পড়ে।

    থিওলজির যুক্তি এক অপরিবর্তনীয় সত্যকে আঁকড়ে থাকে, সেখানে প্রশ্ন চলে না। বিজ্ঞান সবসময় প্রশ্ন করে চলে, বৈজ্ঞানিক তথ্যের সত্যতা প্রতিসরিত হয়ে চলে। বিজ্ঞান যদি নিজেকে অতীন্দ্রিয় সত্যের অধিকারী হিসেবে দাবি করে, তবে সে নিজেই অতীন্দ্রিয় অলৌকিকতায় পর্যবসিত হবে। সাঁইবাবার সাথে তাই তর্কটা কে সত্যের অধিকারী তা নিয়ে নয়, বরং কে সত্যের অনিত্যতাকে ধারণ করতে পারে, তা নিয়ে। মৌলবাদের সাথে তর্কে বিজ্ঞান যদি নিজেই মৌলবাদী হয়ে পড়ে, তা হলে সাধারণ মানুষের দাঁড়াবার জায়গা পাওয়া মুশকিল।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৩ মে ২০১১ | ৮২৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন