এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অন্য যৌনতা

  • বস্টনে বংগে : নবম পর্ব (৩৭৭ ফিরে দেখা)

    বর্ন ফ্রি লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্য যৌনতা | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৪ | ১২৬৩ বার পঠিত
  • গত বছর এই ডিসেম্বর মাসেই সুপ্রীম কোর্টের  রায় আবার নতুন করে আমাকে ক্রিমিনাল করে দিয়েছিল।যবে থেকে বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই জেনে এসেছি এই ভারতে আমার বা আমাদের মত মানুষদের কোনো আইন্সন্মত জায়গা নেই। ঝোপের আড়ালে, পার্কের কোনায়, পাবলিক টয়লেটে অথবা ভিড় ট্রেনের কামরায় আমরা চাইলে থাকতে পারি কিন্তু তোমাদের নাটকে, গল্পে কবিতায় সিনেমার ডিসকোর্সে আমরা নেই। তোমাদের বেডরুমে আমরা সবসময় থেকেছি, কিন্তু তোমাদের ড্রয়িংরুমের আলোচনায় আমাদের ডাক পড়েনি। বরং বিভিন্ন সময়ে বন্ধুদের মুখে শুনেছি ‘ওইসব করতে হলে আমেরিকায় গিয়ে কর, ইন্ডিয়াতে করলে পুলিশে ধরবে’। তারা অনেক সময়েই কথাগুলো মজা করে বলেছে। আমি জানি, আমার যৌনপরিচয় না জেনেই বলেছে, কিন্তু কতটা ব্যথা দেওয়া সত্যি কথা বলে ফেলেছে সেটা তারা নিজেরাও বোঝেনি। তারা কখনো বোঝেনি, যে দেশকে ভালবাসার শিক্ষা ছোটবেলা থেকে সারাক্ষন দেওয়া হয়, সেই দেশকে ছেড়ে চলে যেতে বললে কতটা আঘাত লাগতে পারে। দেশ মানে তো আর শুধু এক ভূখন্ড নয়, দেশ মানে কখনো ছেড়ে আসা গ্রাম, কখনো স্কুলবাড়ী, কখনো গলির মোড়ে তেলেভাজার গন্ধ, কখনো বা একলা ঘরে আমার অভ্যেসহীন একলা থাকা। দেশ মানে কখনো নিবিড় ভালবাসা, কখনো দুশ্চিন্তা, কখনো একরাশ বিরক্তি। এই সব নিয়েই তো আমার সাথে আমার দেশের লেপ্টে থাকা সম্পর্ক। তাকে অস্বীকার করে কি দূরে সরে থাকা যায়?


    কিন্তু সেই মানুষটি, সেই দেশটি, যাকে তুমি ভালবাসো, যদি তার চোখেই তুমি অপরাধী হও, তখন? যদি সে তোমার দি্কেই আঙ্গুল তুলে বলে, তুমি নষ্ট, তখন? সেই যদি তোমাকে বলে তফাত হঠো, তখন?


    এইরকমই ভালোবাসার টানাপোড়েনে কেটেছে আমাদের জীবনের অনেকগুলো বছর। এইটা জেনেই বড় হয়েছি যে আমার দেশের আইনের চোখে আমি অপরাধী। আমার অপরাধ এতটাই সাঙ্ঘাতিক যে আমার শাস্তি আর খুনি আসামীর, ধর্ষকের শাস্তি প্রায় সমান। এইরকম ভাবে থাকতে থাকতে যখন প্রায় অভ্যস্ত হয়ে গেছি, তখনি ২০০৯ সালে দিল্লী হাইকোর্টের রায় এসে সবকিছু হঠাৎ করে পালটে দিল। জানতে পারলাম, আমার দেশ আর আমাকে অপরাধী বলে মনে করে না। আমার দেশ বোঝে যে আমার কোনও দোষ নেই, কখন ছিল না। কিন্তু সে আনন্দ বেশীদিন রইল না। সর্বধর্মসমন্বয়ের কল্যাণে শুরু হল আবার এক চার বছরের দীর্ঘ আইনি লড়াই আর যার শেষে গত বছর ডিসেম্বরে এল সুপ্রীম কোর্টের রায়। মাত্র চার বছরের মধ্যেই আমি আবার ক্রিমিনাল হলাম।


    সুপ্রীম কোর্টের রায় নিঃসন্দেহে হতাশ করেছিল কিন্তু তার থেকেও বেশি আঘাত দিয়েছিল সেই রায়ের ভাষা। সে সম্পর্কে অন্যত্র লিখেছি তাই এখানে আর লিখছি না। তবে দুঃখ, কষ্ট হতাশার সঙ্গে যেটা যোগ হয়েছিল, সেটা একটা রাগ, একটা হতাশাজনিত ক্ষোভ। শুধু আমার মধ্যে নয়, আমার মত চারপাশের অনেক মানুষের মধ্যেই দুঃখর থেকেও বেশী ফুটে উঠেছিল রাগ, দেশের প্রতি প্রবল অভিমান। সেই সময় সেই অভিমানের অভিঘাত থেকে একটা লেখা লিখেছিলাম। প্রকাশের অযোগ্য ভাষার কারণে সেই লেখাকে সেই সময় প্রকাশ করা যায় নি। আজ এক বছরের মাথায় সেই লেখাটাকেই একটু কাঁচি চালিয়ে সভ্য করে দিলাম। মনে হল, সেই যে প্রবল রাগের অনুভূতি সেটাও ডকুমেন্টেড হয়ে থাকা দরকার।  


    কে জানে, যখন আমরা কাউকে পাকিস্তানে চলে যেতে বলি, তারও হয়ত একইরকম মনে হয়। মনে হয় সত্যিই একদিন চলে যাব যেদিকে দুচোখ যায়...


    এক ক্রিমিনালের জবানবন্দি


    লেখকঃ কয়েদি নাম্বার ৩৭৭ (তারিখঃ ১১ই ডিসেম্বর, ২০১৩, রাত্রি ১১টা ৩০ মিনিট)


    লিখব? কী লিখব? সবই তো জানেন। যত্ত ভালো ভালো কথা হয়, সব ভদ্রলোকেরা বলে দিয়েছে আর আপনারাও পড়ে নিয়েছেন। যেসব আন্ডু বান্ডুরা বোঝে নি, তাদের তেল মাখানো বাঁশ দিয়ে বোঝালেও বুঝবে না। 


    গতকাল থেকে আমি ক্রিমিনাল। ইয়েস সার, এই দেশের মহামান্য আদালত আমাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়ে দিয়েছেন। অতএব ভালো থাকার, ভদ্র কথা বলার কোনো দায় আমার নেই। ইন ফ্যাক্ট কোন কথাই নেই। শালা, ক্রিমিনালের আবার কথা।


    কি বলব? এইসব প্রাকৃতিক, মানবাধিকার ইত্যাদি? এতকাল শোনেন নি? পড়েন নি? এখন আবার নতুন করে মাজাকি হচ্ছে?


    মানবাধিকারের মুখে ইয়ে করি। যা করেছি বেশ করেছি, আবার করব। যার সাথে ইচ্ছে শোব, আমার বিছানায়, আমার রান্নঘরে, আমার বাথরুমে, জোরজবরদস্তি না করে, যার সাথে ইচ্ছে তার সাথে সেক্স করব, না ইচ্ছে হলে করব না। কার বাপের কী? 


    বেশ করব, হাজারবার করব। বাপের জমিদারি নাকি যে আমাকে বলে দেবে আমি কাকে নিয়ে বিছানায় যাব?


    অনেক ভালো ভালো কথা হয়ে গেছে। আমার আনন্দ দেখে যদি তোমার চুল্কুনি হয়, তো বসে বসে খুজলাও, আমার ছেঁড়া গেল।


    আমার জীবন, আমার সঙ্গী আমি ঠিক করব। তাতে যদি আইন ভাঙ্গে, সেই আইনকে লাথি মেরে চলে যাব। খুললাম খুল্লা না করতে পারলে লুকিয়ে করব। যে আইন তার মান্যতা রক্ষা করতে পারে না, সেই আইনকে অমান্য করব।


    আমার অধিকারের জন্য, কারোর কাছে হাত পাতব না। নাকি কান্না অনেক হয়েছে, আর পারব না স্যার।


    শালা, ম্যারাইটাল রেপ আটকানোর ধক নেই, বড় বড় পৌরুষের কথা। অমন পৌরুষে আমার মাঝের আঙ্গুল।


    কি লজিক মাইরি। আমরা পুরো জনগনের একটা ছোট্ট অংশ, তাই আমাদের শোওয়ার ঘরে কাঠি করলে নাকি মানবাধিকার নষ্ট হয় না। ছোট্ট অংশ? তোমার ছোত্ত অংশটা তোমার পুরো বডির কত পারসেন্ট, হিসেব করে দেখেছ কোনোদিন? সেটা বেগড়বাই করলে কোনো কে সি লোধ, কোনো ভামদেব বাবার ঠাকুদ্দাও তোমাকে সাম্লাতে পারবে না। হয় ভাদ্রমাসের কুত্তার মত ঘুরে বেড়াবে, নয়ত ভায়াগ্রা বগলে পুরে বসে থাকবে। কবে থেকে পারসেন্ট হিসেব করে মানবাধিকার লাগু করা শুরু হল, বাওয়া?


    রায়ের কি ভাষা? “সো কল্ড রাইটস অফ এলজিবিটি পিপ্ল”। “সো কল্ড”? আজকের দিনে? 


    দিন পালটে গেছে। ২০০৯-এর দিল্লি হাইকোর্ট আর আপনাদের মত অনেক অনেক মানুষের সমর্থন সময় পালটে দিয়েছে। আমার বস আমাকে ই-মেল করে জানিয়েছেন, কোর্ট যাই বলুক, তিনি আমার, আমাদের সঙ্গে আছেন। কাজের জায়গার স্ট্রেট বন্ধুরা খবর শুনে ছুটে এসেছে। রাগে, ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। আমার সাথে প্রতিবাদ মিছিলে হেঁটেছে। আমাদের আর পেছনে লাথি মেরে ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া যাবে না। হাইকোর্টের খোলা হাওয়ায় আমরা রাস্তায় যখন একবার নেমেছি, তখন শেষ অব্দি হাঁটব। 


    অনেক ভালো ভালো কথা অনেকদিন বলেছি। ফেসবুকে, পত্র-পত্রিকায়, সিনেমায়, লেখায়। যারা তাতেও না বুঝে, আমাকে ক্রিমিনাল বলে দাগিয়ে দিতে চান তাদের বলি, ভালো চান তো শুধরে যান, নয়তো…


    এইবার ক্রিমিনাল কথা বলবে। 


     সুপ্রীমকোর্টের রায়ের পরের দুঃখ, হতাশা, রাগ, ক্ষোভ এবং সংকল্পের কিছু খন্ডচিত্র।


    ----------------



    নির্লজ্জ


    কিছুদিন আগে ব্যাঙ্গালোরে ভিক্ষা করার ‘অপরাধে’ পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছিল প্রায় একশ জনের মত হিজড়াদের। পরের দিন অনেক দৌড়ঝাঁপের পর মানবাধিকার কর্মীরা তাঁদের জামিনে মুক্ত করতে পেরেছেন। 


    এই খবরটা পড়ে অনেককেই বলতে শুনলাম, পুলিশ ভালো কাজই করেছিল। এরা যেভাবে অত্যাচার করে, কিছু একটা করা দরকার। এদের কাজ দিলেও এরা কাজ করবে না, আরামের জিন্দেগী আর হারামের কামাইতে অভ্যেস হয়ে গেছে যে। 


    এদের জীবন কতটা আরামের সে প্রশ্ন আজ থাক। সে বর্ণনা পড়লে শিউরে উঠতে হয়। কজন সেই আরামের জীবন গ্রহণ করতে তৈরি আছেন সে প্রশ্নও আজ করছি না। আজ বরং একটা অন্য প্রশ্ন করি। ভিক্ষা করার বাইরে অন্য কি করার পথ আমরা খোলা রেখেছি আমাদের এই সহনাগরিকদের জন্য?এই ২০১৪ পর্যন্ত নারী-পুরুষের বাইরে অন্য কোনো লিঙ্গকে আমরা আইনের স্বীকৃতি পর্যন্ত দেই নি। যার ফলে ট্রান্সজেন্ডার মানুষেরা না পেয়েছেন শিক্ষার অধিকার, না নিতে পেরেছেন সরকারি চিকিৎসার সুযোগ। পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ব্যাঙ্ক একাউন্ট কিছুই করা সম্ভব ছিল না এনাদের পক্ষে। এমনকি ভোটাধিকার পাওয়ার জন্যও এদেরকে বেছে নিতে হত নারী/পুরুষ যেকোনও একটা অপশন, শরীর চিহ্ন অনুযায়ী। অনেক সময় সেই কাজটাও সহজ ছিল না। এই সব কথা থাক, যাদের জন্য রাষ্ট্র আজ পর্যন্ত গোটা দেশে একটা পাব্লিক টয়লেট বানিয়ে দিতে পারল না, তাদেরকে সেই রাষ্ট্র শাস্তি দেয় কোন নির্লজ্জতায়?


    ভাত দেওয়ার মুরোদ নেই, কিল মারার গোঁসাই। 


     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অন্য যৌনতা | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৪ | ১২৬৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • d | ***:*** | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৮:২৩88825
  • .................

    আজকেই সিবিল (cibil) এর সাইট ঘাঁটছিলাম। তাতে দেখলাম জেন্ডার দুটোই অপশান রয়েছে। মেল আর ফিমেল। তার মানে দাঁড়াল তৃতীয় লিঙ্গের কোন০ মানুষ নিজের লিঙ্গ পরিচয়ে বাড়ী গাড়ী কিনতে বা তজ্জনিত ঋণ নিতে পারবে না।
  • dd | ***:*** | ১০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৫৮88828
  • নাঃ, লিখেই দি।

    এযাবৎ কালে এই সিরীজটা খুবি উপাদেয় লাগতো। কেনো না লেখক একবারো ঘ্যান ঘ্যান করে লিখতেন না। প্রচন্ডো ঠাট্টা মশকরা করে ,খুব হ্যা হ্যা করে হেসে লিখতেন। সেটা খুবি ভালো লাগতো। নিজের অভিজ্ঞতা। একটা ফুত্তির ভাব।

    কোনো নালিশ ছিলো না, কোনো গ্লানি নেই। নো উপদেশ নট কিচ্ছু।

    কিন্তু এদানী ক্যামন একটা প্যাম্ফলেট এর মতোন লেখা হচ্ছে। আগের পর্বটাও, আর এটাতো একেবারেই ইস্তাহার। ভাল্লাগছে না।
  • Born Free | ***:*** | ১০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:৩৫88829
  • DD ,

    নো টেনসন, হ্যা হ্যা হি হি ও ফিরে আসবে। তবে একসঙ্গে থাকলে কখনো হাসি ঠাট্টা হবে, কখনো রাগারাগি, কখনো মান অভিমান, কখনো বা কান্নাকাটি। সব কিছুই তো ভাগ করে নিতে হবে, তাই না?
    শুধু আনন্দের কথাই শেয়ার করব আর ক্ষোভ, দুক্ষ অভিমান করব না, তাহলে আর একসাথে চলার মানে কি রইলো?

    কথা দিচ্ছি, নেক্সট পর্বে নির্ভেজাল দমদার আড্ডা। বিলকুল মসালেদার।

    -বর্ণ ফ্রি।
  • সে | ***:*** | ১০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৪:১৮88830
  • সমস্ত সময় যে ভালো লাগাতে হবে এমন কোনো দাবী কিন্তু আমার তরফ থেকে নেই। আপনি বেশি করে সত্যটা লিখুন। খারাপ লাগুক আমাদের, তবু লিখুন। এটা দরকার। প্লীজ।
  • kaushik | ***:*** | ১০ ডিসেম্বর ২০১৪ ১০:৩৪88826
  • "....তারা কখনো বোঝেনি, যে দেশকে ভালবাসার শিক্ষা ছোটবেলা থেকে সারাক্ষন দেওয়া হয়, সেই দেশকে ছেড়ে চলে যেতে বললে কতটা আঘাত লাগতে পারে। দেশ মানে তো আর শুধু এক ভূখন্ড নয়, দেশ মানে কখনো ছেড়ে আসা গ্রাম, কখনো স্কুলবাড়ী, কখনো গলির মোড়ে তেলেভাজার গন্ধ, কখনো বা একলা ঘরে আমার অভ্যেসহীন একলা থাকা। ........... তাকে অস্বীকার করে কি দূরে সরে থাকা যায়?....
    .....কে জানে, যখন আমরা কাউকে পাকিস্তানে চলে যেতে বলি, তারও হয়ত একইরকম মনে হয়। মনে হয় সত্যিই একদিন চলে যাব যেদিকে দুচোখ যায়..."

    কুদোস!

    ভালো থাকবেন।
  • সে | ***:*** | ১০ ডিসেম্বর ২০১৪ ১০:৩৭88827
  • সঙ্গে আছি।
  • de | ***:*** | ১১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৬:৩৯88831
  • পড়লাম - সাথে আছি, এছাড়া আর কিই বা বলতে পারি!
  • সিকি | ***:*** | ১৩ জানুয়ারি ২০১৫ ০৬:৩০88833
  • বাংলাটাও থাক।

  • আলতাফ হোসেন | ***:*** | ১৭ জানুয়ারি ২০১৫ ১০:২৪88834
  • বর্ন ফ্রী-র প্রথম দিককার কয়েকটি পর্ব পড়ে অনবধানবশতই নিশ্চয় মনে হয়েছিল কোনও নারীর লেখা পড়ছি। ভালো লাগছিল খুব পড়তে, মেয়ের লেখা ভেবে আরও। কোনও মেয়ে এমন সাহস করে কনফেশন্যাল কিছু বাংলায় লিখেছেন, এমন দৃষ্টান্ত আগে পাইনি। পরে যখন কোনও একটি পর্বে অতিরিক্ত মনোযোগ দেবার ফলে বর্ন ফ্রী যে মেয়ে নন, ছেলে---সে ভ্রম ঘুচে গেল তখন ভয় পেয়ে গেলাম, থুড়ি, ভয় কেন পাব, চিন্তিত হলাম আমাকেই তো আমি যা নই তা ভেবে মজা পেয়ে যেতেও পারেন কেউ অনুমান করে। (ফেসবুকে বর্ন ফ্রী-র লেখা নিয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছিলাম এবং তা নিয়ে কবি যশোধরা রায়চৌধুরী কৌতুক---জাস্ট কৌতুকই--- বোধ করেছিল বলে মনে হয়েছিল। সে কারণেই আজ এখানে এ ক'টা লাইন। তবে পড়ে দেখতে হবে মনে হচ্ছে এখন। মাসের পর মাস ধরে চলছে লেখাটি---হোক না ব্যাটাচ্ছেলের লেখা, পড়ার চেষ্টা হবে।
  • ভুলে যাওয়া এক মজলিশী | ***:*** | ১২ মার্চ ২০১৬ ০৩:২২88836
  • অসাধারণ লেখা। পড়তে পড়তে হাতের মুঠো শক্ত হয়ে আসছিল।

    পরিশেষে, বেশ লাগছে গুরুচণ্ডা৯-র সমৃদ্ধি দেখে। চোখের সামনে জন্মানো বাচ্চাটা যখন সত্যিকারের বড়ো হয়ে ওঠে, তখন যেমন লাগে... কিছুটা অবাক, অনেকটা খুশি।
    সৈকত, শমিকরা কেমন আছ? দীপ্তেন্দা? রঙ্গন/বৈজয়ন্ত? আয়ারল্যান্ডীয় ভিকি? পুরানো মজলিশীরা আসো এখনো?
  • চিনি কি? | ***:*** | ১২ মার্চ ২০১৬ ০৪:৫৬88837
  • শুচিস্মিতাদি? লাউটোকা ফিজি? নাকি অন্য কেউ?
  • Ke tumi Nondini | ***:*** | ১২ মার্চ ২০১৬ ০৫:৫৫88838
  • না শুচি মাসি না
  • বেশ | ***:*** | ১২ মার্চ ২০১৬ ০৬:০৭88839
  • তার মানে নন্দিনী সেটা কনফার্মড। আট্টু ভাবি।
  • ranjan roy | ***:*** | ১২ মার্চ ২০১৬ ০৬:১০88841
  • তীর্থং?
  • ranjan roy | ***:*** | ১২ মার্চ ২০১৬ ০৬:১০88840
  • অপনদা?
    আইভি?
  • Abhyu | ***:*** | ১২ মার্চ ২০১৬ ০৬:২১88842
  • শুচিস্মিতাদি মানে অপনদা? আইভি?? তীর্থং???
  • Non-entity | ***:*** | ১২ মার্চ ২০১৬ ০৬:৫২88843
  • সবাইকে মনে আছে, আমায় ছাড়া? সত্যি মাইরি, কি নন-এন্টিটি ছিলুম। আজ বুঝলুম।
  • কুলু-মানা৯-শিমলা | ***:*** | ১২ মার্চ ২০১৬ ০৮:১১88844
  • এট্টা কুলু দিলুম, "অলিন্দ"-এ আমারও লেখা ছিল
  • Abhyu | ***:*** | ১২ মার্চ ২০১৬ ০৯:৫৫88845
  • অলিন্দ আর গবাক্ষ - দুই ভাই।
  • Abhyu | ***:*** | ১৩ মার্চ ২০১৬ ০৬:৫৭88850
  • আমার নামটাও নেই, দেখেছো?

    আর ট্যান ছিল না মজলিশে?
  • নস্ট্যালজিক মজলিসী | ***:*** | ১৩ মার্চ ২০১৬ ০৭:১১88846
  • Gender is fluid, honey. নন্দন-কে নন্দিনী ভাবলে কি আর এসে গ্যালো! আমি যখন লিখতাম তখন মজলিশে ছিল - শ্রেয়াদি, উদয়দা, দীপ্তেন্দা, ভূতো, কৌস্তুভ, শর্বাণীদি, কান্নাদি, আইভিদি, অপনদা, শুচিস্মিতাদি, সুমেরু, সামরান, কনফুসিয়াস, রঙ্গন/বৈজয়ন্ত, বিক্রম, বাপ্পাদিত্যদা, দময়ন্তী, সৈকত/ঈশান, শমীক, দুই ইন্দ্রাণী, অনসূয়া, মীনাক্ষী, অরুণাভ, সোমনাথ, বুনান, তীর্থ, অসীম কাকু, যোষিতাদি, সঙ্গীতাদি, ডালিয়া দি, মণিকুন্তলাদি আর আমাদের মাসিমা (অ্যাডমিন), যাকে দীপ্তেন্দা একবার লিখেছিল, "(মা)সীমার মাঝে অসীম তুমি বাজাও আপন শুঁড়"।
  • বাপ রে! | ***:*** | ১৩ মার্চ ২০১৬ ০৮:২৫88847
  • সে সব তো গতজন্মের কথা। এত নাম নেওয়া হলে আর বাকি কে রইল?
  • *sob sob* *boohoo* | ***:*** | ১৩ মার্চ ২০১৬ ০৮:৩৪88848
  • বাকি রইল এই অধম, যার নাম নেই লিস্টি-তে..
    যাকে তোমরা ডাকো নাই তোমাদের ফিস্টি-তে
  • ? | ***:*** | ১৩ মার্চ ২০১৬ ০৮:৪০88849
  • ব্লু রেইনড্রপস?
  • সে | ***:*** | ১৪ মার্চ ২০১৬ ১০:১০88852
  • তারকরঞ্জন ভাইরাস
  • :) | ***:*** | ১৪ মার্চ ২০১৬ ১১:১০88853
  • আগ্নে?
  • virus | ***:*** | ১৪ মার্চ ২০১৬ ১২:০৪88851
  • cryogénique
  • | ***:*** | ১৫ মার্চ ২০১৬ ০৫:১০88854
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন