এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  গপ্পো

  • ফ্রয়েডের অবচেতনা অথবা সিসিফাসের মুক্তি

    মুরাদুল ইসলাম লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ১৫ এপ্রিল ২০১৫ | ১০৭৬ বার পঠিত
  • নতুন এপার্টমেন্টে ওঠার পর আমার অস্বস্তি লাগার পরিবর্তে কিছুটা ভালো লাগছিল এই কারণে যে এই এলাকাটা বেশ নির্জন। বিশেষত রাতের বেলায়। শহরের মধ্যে এমন নিরিবিলি জায়গায় থাকতে পারা ভাগ্যের ব্যাপার। আমি দশতলার তিনটা রুম নিয়ে ছিলাম। আমার পাশে, সামনে এবং নিচে আরো অনেকেই ছিলেন এবং তাঁদের কাউকেই আমি চিনি না। কারো সাথেই কথা হয় নি।

    শুধুমাত্র চিলেকোঠায় থাকায় সেই লোকটা ছাড়া। এই লোকটার সাথে প্রথমদিন সকালেই আমার কথা হয়েছিল। আমি সকালে কাপভর্তি চা হাতে নিয়ে ছাদে গিয়েছিলাম। সকালের রোদে ভিটামিন ডি আছে। আমি যখন খুব ছোট ছিলাম তখন প্রথম ‘রোদে ভিটামিন ডি আছে’ ব্যাপারটা জানতে পারি আমার দাদীর কাছ থেকে। আমার দাদী বেশ বুদ্ধিমান মহিলা ছিলেন। তিনি সকালের রোদে বসে অদ্ভুত অদ্ভুত সব গল্প করতেন। তাঁর মৃত্যুও হয়েছিল অদ্ভুতভাবে। কিন্তু সেটা ঠিক কীভাবে তা আমি ভুলে গিয়েছিলাম। বড় হবার পর আমাকে জানানো হয় নি এবং আমিও জানার চেষ্টা করিনি। 

    যাইহোক, আমি চায়ের কাপ হাতে নিয়ে ছাদে গিয়ে রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে কাপে শব্দ করে চুমুক দিচ্ছিলাম তখন পিছন থেকে লোকটি বলে উঠল, এখানে নতুন এসেছেন?

    তাঁর কণ্ঠস্বর মধুর ও মায়াবী।

    আমি মাথা ঘুরিয়ে লোকটিকে দেখতে পাই। চিলেকোঠার সামনে সে বসে আছে। হাতে খুব হালকা একটি লাঠি। তার কোঁকড়া চুল, কপালে ভাঁজ, পরনে খয়েরি রঙের আলখাল্লা জাতীয় পোশাক।

    আমি হাসিমুখে উত্তর দিলাম, হ্যাঁ। গতকাল এসেছি। আপনি কি এই ঘরেই থাকেন?

    লোকটি জবাব দিল, হ্যাঁ। এই চিলেকোঠায়। এটাই আমার ঘর।

    আমি জিজ্ঞেস করলাম, কতদিন ধরে আছেন?

    লোকটি গম্ভীর হয়ে বলল, অনেকদিন।

    এই প্রথম তার সাথে আমার কথা হয়। এর পর যখনই ছাদে যেতাম তখন তার সাথে বিভিন্ন রকমের গল্প হত। আমি অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকতাম তাই সাধারণত সকাল বেলা চায়ের কাপ হাতেই ছাদে যেতাম বেশি। ছুটির দিনে কখনো কখনো বিকেলের দিকে। বিকেলের আকাশ আমার খুব ভালো লাগে। এই সময়ে আকাশ আস্তে আস্তে রং বদলায়। এর বৈজ্ঞানিক কিছু কারণ আছে। সূর্যরশ্মির বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের বিচ্ছুরণ।। কিন্তু ওসব বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে না। বিকেলের পশ্চিম আকাশ যখন নিজের রং বদলাতে বদলাতে সন্ধ্যার দিকে ধাবিত তখন আমার একে মনে হয় কিছু মধ্যবিত্ত অসম্পূর্ণ স্বপ্নের অব্যক্ত প্রগাঢ় বেদনার সম্মিলিত রূপ। যখন সময় পেতাম তখন আমি এই বেদনার গাঢ় রং বোঝার চেষ্টা করতাম, যদিও আমার জীবনযাপনের সাথে এর কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।

    বিকেলেও আমি যখন দাঁড়িয়ে পশ্চিম আকাশ দেখতাম তখন লোকটা এসে বিভিন্ন কথা জুড়ে দিত। 

    একবার বলল, আপনি কি ফ্রয়েড পড়েছেন?

    আমি বললাম, না। তবে নাম শুনেছি।

    লোকটি বলল, ফ্রয়েডের মতে আমাদের এক অবচেতন সত্তা আছে। সেখানে আমাদের অপূর্ণ সব ইচ্ছা সমস্ত শক্তি নিয়ে জমা থাকে। তারপর কোন এক ফাঁকতালে সচেতন মনে প্রবেশ করে ঘটায় বিস্ফোরণ।

    লোকটা বেশ শব্দ করে হাসল এই কথা বলে।

    তারপর আস্তে করে বলল, আসলে ব্যাপার কী জানেন, আমার এরকম একটা ইচ্ছা অবচেতন মনে সেই কবে থেকে জমা হয়ে আছে। দিন দিন তার শক্তি বাড়ছে। আর ইদানিং সচেতন মনে আসারও চেষ্টা করছে। আর আমি সর্বশক্তি দিয়ে বাধা দিয়ে চলেছি।

    আমার বেশ আগ্রহ হল। জিজ্ঞেস করলাম, ইচ্ছাটা কী?

    লোকটি মুখভঙ্গি পরিবর্তন না করে ছাদের রেলিং ধরে নিচে তাকিয়ে বলল, এখান থেকে নিচে লাফিয়ে পড়ার ইচ্ছা।

    আমার মনে হল লোকটা মজা করছে। হয়ত অন্য কোন ইচ্ছা যা সে আমাকে বলতে চায় না। অবচেতন মনের ইচ্ছা বলে বেড়ানোর মত ব্যাপার না নিশ্চয়ই। তাই আমি আর জানতে চাইলাম না। 

    সেদিন এরকমই আরো অনেক কথাবার্তা হয়েছিল আমাদের। সে তার পরিবারের অনেকে, বন্ধুদের অনেকে ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েছে কিংবা কেউ পানিতে ডুবে, কেউ বাঘের আক্রমণে মরেছে তার গল্প মজার ভাষায় বর্ণনা করতে লাগল। 

    মনে আছে সেদিন সন্ধ্যা নামার অনেক পরে আমি রুমে ফিরেছিলাম।

    এরপরের একদিন সকালে চায়ের কাপ নিয়ে রেলিঙের ধারে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছি। আমার কোন উচ্চতাভীতি নেই তাই নিচে দাঁড়িয়ে লোকজন, গাড়ি ইত্যাদি দেখছিলাম এমন সময় পিছন থেকে লোকটা কথা বলে আমাকে এতই চমকে দিল যে হাত থেকে চায়ের কাপ নিচে পড়ে গেল।

    লোকটা জিজ্ঞেস করেছিল, এখানের উচ্চতা কত হবে বলতে পারেন?

    হঠাৎ করে কথা শুনে আমি চমকে উঠি। হয়ত কোন চিন্তায় আচ্ছন্ন ছিলাম। লোকটার কোন দোষ নেই। তবুও সে লজ্জিত মুখে স্যরি স্যরি বলল কয়েকবার। তাতে আমারই খারাপ লাগছিল।

    তাকে স্বাভাবিক করার জন্য বললাম, ঠিক আছে। আমিই আসলে অন্যমনস্ক ছিলাম। তা কী জিজ্ঞেস করেছিলেন যেন? উচ্চতা? এখানের উচ্চতা প্রায় ১২০ ফিট তো হবেই। কী বলেন?

    লোকটার মুখ স্বাভাবিক হয়ে উঠল। সূর্যের নির্মল আলো পড়ছিল তার বয়সের রেখাযুক্ত মুখে। তাকে দেখাচ্ছিল একজন জ্ঞানীর মত। আমার তখন মনে হয়েছিল, এরকম একজন জ্ঞানীর কাছেই হয়ত বিড়ালের মত ঘাপটি মেরে বসে জীবনের পরম কিছু জ্ঞান।

    লোকটা বলল, লাফ দেয়া যায় অবশ্য। ১২০ ফিট খারাপ উচ্চতা না।  আপনি সিসিফাস কে চিনেন?

    আমি বললাম, না। ইনি কে?

    লোকটা হাসিমুখে বলল, এই যে, আমি! এবং আপনিও। আর আপনি আপনার চারপাশে যত মানুষজন দেখেন সবাই একেকজন সিসিফাস। গ্রীক মিথলজিতে সিসিফাসকে শাস্তি দেয়া হয়েছিল। বিশাল এক পাহাড়ে বড় সাইজের পাথর গড়িয়ে পড়ছে, সিসিফাস সর্বশক্তি দিয়ে একে উপরে তুলছে। উপরে তোলার পর সে একটু দাঁড়ালেই পাথর আবার গড়িয়ে নিচে পড়বে, সিসিফাস বারবার একে টেলে তুলতে থাকবে। অনন্তকাল। এটা তার শাস্তি। আমাদের সবার জীবনের সাথে সিসিফাস মিথের বিস্ময়কর মিল আছে। আমরা অদৃশ্য এক পাহাড়ে অদৃশ্য বিরাট পাথরকে টেনে তুলছি নিরন্তর। কী মনে হয় আপনার, ঠিক না ?

    আমি বললাম, খারাপ বলেন নি। 

    সেদিন আর বেশি কথা হয়নি। আমার অফিস ছিল। এরপর আমি এই বিল্ডিংয়ে ছিলাম তিনমাস। বাকিদিন গুলোর প্রতিদিনই একবার আমি তার কাছে যেতাম। সে চিলেকোঠায় থাকলে ডেকে বের করে আনতাম। সেদিনের সূর্যালোক আমার সামনে যেন লোকটিকে অন্যরকম ভাবে উদ্ভাসিত করেছিল। 

    আমি তার কাছে গিয়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতাম। আমার দিনযাপনের কথা, ইট সিমেন্ট এবং কর্পোরেট দুনিয়ার মানুষদের কথা, পেট্রোল পোড়া গন্ধ এবং কপট সময়ের গল্প। সে বলত তার কথা। কীভাবে এখান থেকে লাফ দেয়া যায়, লাফ দিয়ে নিচে পড়তে পড়তে সে কী চিন্তা করবে, তার ওজনহীন অনুভূতি হবে কি না, লাফ দিলে সে অনন্তকাল নিচে পড়তে থাকবেই কি না- ইত্যাদি নানা ধরনের কথাবার্তা। আমি তার কথাগুলো নিয়ে প্রায়ই ভাবতাম অনেক রাত পর্যন্ত।

    তারপর আজ সকালে গিয়ে দেখতে পেলাম রেলিঙের ধারে সে লাফিয়ে পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সকালের সূর্যের আলোতে আমার মনে হল এ যেন বৃদ্ধ এক মহাজ্ঞানী, যিনি বোধিলাভের পর মহাশূন্যে মিলিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আমার ভেতরে এক ধরনের শূন্যতার বোধ হল। খাঁ খাঁ শূন্যতা। 

    লোকটা আমার দিকে তাকিয়ে হাসিমুখে বলল, ঐ ঘরকে চিলেকোঠা কেন বলে জানেন?

    আমি উত্তর দিলাম, না।

    লোকটা বলল, প্রথম যিনি এ ধরনের ঘর তৈরী করেন তিনি তা বানিয়েছিলেন চিলদের থাকার জন্য। তাঁর ছিল কয়েকটি পোষা শঙ্খচিল। ওই ঘরে থাকার সময় আমার মাঝে মাঝে নিজেকে মনে হত শঙ্খচিল।  আজ দেখা যাক উড়তে পারি কি না।

    আমি নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সে আমার দিকে তাকিয়ে মায়াবী একটা হাসি দিয়ে নিচে লাফিয়ে পড়ল। আমি নিচে তাকিয়ে দেখলাম লোকটা কিছুদূর নিচে নামার পর আটকে আছে। বিস্ময়ে দম বন্ধ হয়ে এল। 

    হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়লাম আমি। কী করব ভেবে না পেয়ে রেলিঙের উপর উঠে লাফিয়ে পড়লাম নিচে। 

    এখন আমি পড়ে আছি এই বিল্ডিং এর সামনে। চারপাশে মানুষ ভিড় করেছে। পুলিশ এসেছে। আর আমি মরে গেছি। লোকটাকে দেখেছি চিল হয়ে উড়ে যেতে। এবং মরার ঠিক আগ মুহূর্তে আমার মনে পড়েছে, আমার দাদীও এভাবে ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েছিলেন। 


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • গপ্পো | ১৫ এপ্রিল ২০১৫ | ১০৭৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • anirban | ***:*** | ১৬ এপ্রিল ২০১৫ ০৫:২৮86151
  • অসাধারণ লাগলো। অনেকদিন পর এই রকম দারুন একটা লেখা পড়লাম। আরও লিখুন গুরু-তে।
  • b | ***:*** | ১৬ এপ্রিল ২০১৫ ০৫:৩০86149
  • ভালো লাগলো।
  • সে | ***:*** | ১৬ এপ্রিল ২০১৫ ০৫:৩৯86152
  • লেখাটা খুব ভালো লাগলো। খুব খুব ভালো।
  • Santanu Kumar Das | ***:*** | ১৬ এপ্রিল ২০১৫ ০৬:১৫86153
  • Sub conscious, myth of sysephus...dadi r aswavabik mrityu...akivabe kathak er mrityu ar majhkhane oi rahasyamoy lokta...
    Keu sutota dhorie dile valo hoy. Bujhte asubidhe hochche. Lekha valo laglo.
  • Santanu Kumar Das | ***:*** | ১৬ এপ্রিল ২০১৫ ০৬:১৮86154
  • Camus er concept ta to bujhlam. Kintu ei galper sathe sutro ta khuje pachchina jeno.
  • Atoz | ***:*** | ১৬ এপ্রিল ২০১৫ ০৭:২৫86155
  • ভালো গল্প।
    কেন জানি না আমি ভেবেছিলাম বিদেশি গল্পের অনুবাদ।
  • ranjan roy | ***:*** | ১৬ এপ্রিল ২০১৫ ০৭:৩৯86156
  • আমারও A2Z এর মত মনে হল, তবে বেশ ভালো লাগল।
    এ জাতীয় লেখা আমি কখনও লিখতে পারব না জেনে বিষণ্ণ হয়ে গেলাম।
  • ranjan roy | ***:*** | ১৬ এপ্রিল ২০১৫ ০৭:৪০86157
  • বিটিডব্ল্যু, "বিষণ্ণ" কোন ন?
  • একক | ***:*** | ১৬ এপ্রিল ২০১৫ ০৭:৫১86158
  • সিনেম্যাটিক । তবে থানাতোস এর হ্যান্ডলিং টা লুস ।
  • - | ***:*** | ১৬ এপ্রিল ২০১৫ ০৭:৫৬86159
  • নেটের রবীন্দ্ররচনাবলী মতে "বিষন্ন"।
  • kk | ***:*** | ১৬ এপ্রিল ২০১৫ ০৭:৫৯86160
  • ভালো লাগলো।
  • soumyadep | ***:*** | ১৬ এপ্রিল ২০১৫ ১২:৪৬86150
  • Durdanto lekha
  • amrita paul | ***:*** | ১৭ এপ্রিল ২০১৫ ০৬:০৬86162
  • মাথা টা অল্প ঝিমঝিম করছে কারণ অদ্ভুতভাবে bhalo লাগলো লেখাটা
  • দ্রি | ***:*** | ১৮ এপ্রিল ২০১৫ ০৬:২০86163
  • লাস্ট প্যারা! টপ ক্লাস।

    সহজ, ক্লীন ন্যারেশান।
  • san | ***:*** | ১৮ এপ্রিল ২০১৫ ০৬:৩৫86164
  • বেশ লাগল।
  • lcm | ***:*** | ১৮ এপ্রিল ২০১৫ ০৬:৪২86165
  • হ্যাঁ, লাস্ট প্যারাটা কাঁপিয়ে দিয়েছে।
    সুন্দর সাবলীল লেখনী।
  • san | ***:*** | ১৮ এপ্রিল ২০১৫ ০৬:৪৭86166
  • শেষ প্যারাটা সত্যিই অসম্ভব ভাল।
  • Biplob Rahman | ***:*** | ১৯ এপ্রিল ২০১৫ ০২:০৫86168
  • আরো কথোপকথন থাকলে ভালো হোত, আরো বর্ণনা, খুব শর্টকাট লেখা। চলুক
  • সৌম্যদীপ | ***:*** | ১৯ এপ্রিল ২০১৫ ০৬:১১86167
  • ভালো লেগেছে , বেশ ় আরো
  • ডিস্কোভার চুনি চিন্ময় ব্যানার্জি | ***:*** | ২০ এপ্রিল ২০১৫ ০৫:৪৪86169
  • আমার কন্ফুসিওন আছে।।
    আত্মহত্যা কেন করলো
  • d | ***:*** | ২০ এপ্রিল ২০১৫ ০৮:২১86170
  • বাহ্‌ এটা খুব ভাল লাগল। নীট এন্ড ক্লিন। একটুও বাড়তি মেদ নেই।
  • ব্রতী মুখোপাধ্যায় | ***:*** | ১০ মে ২০১৫ ১২:২৮86171
  • এমন মৃত্যুকামনার কাহিনি, মৃত্যুঘটানোর কাহিনি আগেও পড়েছি। আমার সবসময় অবাক লাগে একথা ভেবে যে মানুষ একা থাকবে কেন বা একা তাকে কেন থাকতেই হবে। আরো অজস্র মানুষ চারপাশে রয়েছে যাদের সঙ্গে ইচ্ছে করলেই আমরা থাকতে পারি। একথা সত্যি যে আমার অনেক কামনাবাসনা পূর্ণ হবে না, আমাকে অনেক আঘাতও পেতে হবে, যেমন আমি যা যা করি তাতে অনেকে আহত হয়ই। তাবলে মৃত্যুপথ বেছে নেবে কেন ? এই ইচ্ছে কি সকলের হয় ? কি জানি। জানি যে কোনো সময় মরণ আসবে। জীবিত থাকার নিশ্চয়তা আগের চেয়ে কমে এসেছে। আমার নিজের মরতে সাধ হয় না। দূর, আর পারছি না --- এমন বোধ নিশ্চয় হয়। কিন্তু মরলে যে সব ফুরিয়ে যাবে। তার চেয়ে যে অব্দি বাঁচা যায় মানুষ আর প্রকৃতির আলোছায়া অপরূপই লাগে। তাছাড়া, আমার চারপাশে কত মানুষ আরও গভীর যন্ত্রণা নিয়ে জীবিত থাকতে চাইছে, থাকছেও। আমি না হয় তাদের সঙ্গেই থাকতে চেষ্টা করব। এমন আত্মহননবাসনার গল্প আমার ভাল লাগে না, তার বুনন যতই দেখার মতো হোক না কেন।
  • রিফাত | ***:*** | ১৬ মে ২০১৫ ১১:৫৯86172
  • শূন্যতা
  • sabuj kantidas | ***:*** | ০২ জুলাই ২০১৫ ০২:১৩86173
  • দারুন লাগলো। ধন্যবাদ ।
  • utpal | ***:*** | ১৪ জুলাই ২০১৫ ১১:২৮86174
  • চমত্কার লেখা। তবে রোদে ভিটামিন d থাকে না
    রোদে প্রসেস তা শুরু হয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন