সৈকত
তারপরে জানি না - কি হয় নীল সৈকতে
যদিও বলেছিলে ক্ষণিক দাঁড়ালে
স্পষ্ট দেখা যাবে বহুদূর।
আমি সেই দিকেও চোখ রাখি
জিজ্ঞেস করি অনেক চেনা জনে
নতুন খবর রাখে কি তারা?
কোন গোপন সূত্র, কিছু ফিসফাস
খবর আনে
আমি বলি এমন কথাও হোক সযতনে
খুনসুটি মুছে দেবে জলের শব্দ -
নাকি নীল সৈকত?
বাস্তবে আকাশের রঙ বড় চেনা
তুমি আসমানী বল
আমি দেখি নিয়তই
দূরত্বের সাথে কেমন পালটে যায়
চেনা রঙ।
ছবি
এতো ছবি থেকে কি বাছা যায়?
আলাদা রকম আমি ছড়িয়ে আছি
চেনা কিছুর দিকে পিছন ফিরে
তার চেয়ে বরং বেছে নাও নিজের মত
এর প্রতিটাই তো আমি
অন্তত তাই ছিলাম ছবি তোলার মুহুর্ত পর্যন্ত
শরীরের ভাষা পড়তে পারি না
মনোবিজ্ঞানীও নই
তাই ওইখানে আমার ভাঁজ করা হাত
ঈষৎ আরামের জন্যই শুধু!
যদি তোমার সংজ্ঞার সাথে আমারটা মিলে যায়
দেখবে ভাঁজ করা হাতের মধ্যে
কোন রহস্য লুকিয়ে নেই
যা কিছু রহস্য ওই পিছন ফিরে থাকায়
আর আমার ছড়িয়ে যাবার প্রবণতায়।
যদি তোমার বাছার সাথে আমারটা মিলে যায়
তাহলে কি ধরে নেব এরপর কোনদিন
ছবি বাছার অনুরোধ আসবে না?
বহুমুখী
তিন মুখী একটা সেতু খুঁজে বেড়াই
যার অপর প্রান্তে থাকলে মিলিত নাও হতে পারি
দেখা হলেই সেই ক্লান্ত উচ্ছাস
কিছু বিকেল ডেকে আনবে – মিলনের কুহক
এর চাইতে সম্ভাবনা ভালো
জমাট বাঁধা তর্ক, মতান্তর আর যা যা বলো
সব খুলে নিলে দেখবে এক সবুজ আস্তরণ পরে আছে
পিছলে যাবার সেই গল্পে
প্রায়ই মাথা ঘামাতাম সযতনে
আমাদের করোটির খুব কাছাকাছি
গভীরের কথা শোনাও আরো
আমরা একই সাথে মিলিত ও মিলন
আমরা একই সাথে যন্ত্র ও যন্ত্রস্থ
পিঞ্জর খুলে গেলে কি হয় জানি না
হয়তবা অযুত সম্ভাবনা করোটির একেবারে সামনে চলে আসে -
মুক্তির উপরও প্রতিফলন জমে
যদি শুঁকতে না শেখো চিহ্ন
গুণতে না জানো অসীম শ্রেণী
কেবলই দুই মুখী সেতু ভাববে -
মিলনের ভয় ক্রমশঃ যান্ত্রিক করে দেবে পেতে রাখা উপাচার
গড়ে ওঠা উপকথাই কেবল জানবে
কোনটাই এতো জরুরী ছিল না!
শুধু সবুজ হয়েও বাঁচা যায়
সবুজেও যায় বৃদ্ধ হওয়া -
আমরা
কতদিন লাগে ভুলে যেতে
খুব চেনা কিছু
খুব চেনা ছোঁয়া
হীনমন্যতা জাগিয়ে তোলা সৌন্দর্য্য?
ওর আশেপাশে যারা আছে
আমি তাদের কারোর মতই নই
নিজেকে জরিপ করি
প্রতি জরিপে অনেকটা সময় যায়
ভুলে যাই
খুব চেনা কিছু
সব জরিপের শেষেই
সৌন্দর্য্যের হীনমন্যতায়
ম্লান হয়ে আসে খুব চেনা ছোঁয়া