মুর্শিদাবাদের এক গ্রাম। বাবলাবোনা-রসুলপুর। মাটির আঁকাবাঁকা রাস্তায় হাঁটছি। বাঁ দিকে কৃষি খেত। ডানদিকে বসতি, গাছপালা। প্রবল রোদ ও গরম। হাঁটতে হাঁটতে দেখি কাঁঠাল গাছের ছায়ায় এক বৃদ্ধ। তাঁর সামনে ছেঁড়া ফাটা ঘাসের বস্তা, খুলে রাখা সস্তা প্লাস্টিক জুতো, একটা লাঠি, গামছা ও মাথল। বৃদ্ধর সামনে দাঁড়াতেই চোখ পিটপিট করে মুখ তুলে চায়লেন। সঙ্গে একগাল হাসি। উদ্দেশ্য জানাতেই তিনি রাজি। জটলা করলেন আশেপাশের মহিলা ও বাচ্চারা।
নাম তাঁর উসমান মণ্ডল। রোদ মাথায় করে রাস্তার ওপারের জমি থেকে ঘাস কেটে জিরিয়ে নিচ্ছেন। শুরু হল কথোপকথন।
জানি না ফুরাবে কবে
দাদু, আপনার বয়স কত হল?
“বুয়াস মেলা।”
তাও...
“বুয়াস ধরে কী হবে?”
ক’কুড়ি?
“তা...”
পাশে দাঁড়ানো প্রতিবেশী এক মহিলা প্রশ্ন করলেন, “চার কুড়ি হয়ে গেলছে, না?”
উসমান, “বেশিই হবে।”
চোখে কী হল?
“চোখ... ওই অপাএশন করেছিলাম... দিয়ে চুলকায়, দেখতে পাই ন্যা... আজর পাঁজর...”
ঘাস দেখলেন কী করে দাদু?
“ওই হাঁচ্ড়িয়ে হাঁচ্ড়িয়ে তুলতে হয়।”, হাসিতে ভরে যায় দাদুর মুখ।
আপনার বাড়িতে কজন আছেন?
“ওই তুমার দাদি আর দুট্যা বিটি (মেয়ে)। ব্যাটারা আলাদা।”
আপনার জমি আছে?
“জমি লাই আমার। এই বন্ধক লিয়েছ’ল ব্যাটায়... দিয়েছে আমাকে।”
ঘাস কিসে খাবে দাদু?
“এই দুট্যা গাই-বাছুর আছে। গাই-এর দুধ হয় না... এই ভরেছে।”
দাদু, তাহলে অন্যের জমিতে খেটে সংসার চালান?
“তাই চলে... ওই আধামাধা...”, উপস্থিত মহিলারা হেসে ওঠেন। হাসির শব্দ পেয়ে তিনি বলেন, “তা লায় তো কী?”
জমিতে ঘাস তুললে টাকা পাওয়া যায়?
“কিচ্ছু পাই ন্যা। ওই গাইডা পুষি, যা হয় তাই হল... নদীতে ছপমপ লাগাই...যা মাছ উঠে...”
আপনি ভোট দিতে যান?
“কে? আমি? দিতে পারি ন্যা।”
আগে দিতেন?
“আগে দিতুক।”
আপনি দাদু অনেকবার ভোট দিয়েছেন। কিছু পাল্টালো আপনার জীবনে?
“কিছু হয়নি।”
কী আশা করে ভোট দিতেন?
“ওই সবাই বলতো ‘দ্যাও’ তাই... ওই যখুন ভোট হত তখুন নেম্বারে (মেম্বার-পঞ্চায়েত প্রধান) গায়ে হাত বুলাতো ‘তুমাধেরকে দিব। আমাধেরকে ভোটটা দ্যাও’। ভোটটা হয়ে গেলে দরকারে কাগজ সই করতে গেলে, ‘ধুর! কাজ আছে এখুন, কাজ করবো।’ বুল্যেছ’ল না? একটা লোক মোলবি... ভোটে দাঁড়ালছে... এক লোক দুকানে বসে আছে... লোকটাকে বুলছে, ‘চাচা, আপনার কাছে তো আনু।’ লোক বুলছে, ‘আলে তো বস।’ মোলবি বুলছে, ‘এই চাচাকে একটা চা, পান, আধসের মিষ্টি দে খাই।’ খাওয়া দাওয়া হয়ে গেলছে তখুন বুলছে, ‘চাচা, আপনার কাছে আস্যেছি।’ লোকটা বুলছে, ‘ঠিক দিয়ে দিব, তুমাকেই দিব ভোট। নিয়েত (ইচ্ছা) করেছি তুমাকে দেওয়ার।’ মোলবি চলে গেল। তখুন আর একজন আসে বুলছে, ‘এই, চাচাকে দুট্যা মিষ্টি দে। পান দে। চাচা, ভোটটা?’ চাচা বুললো, ‘হ্যাঁ বাবা, তুমাকেই দিব। লক করে (চুপ করে) থাকো।’... হে হে... সবাইকেই ভোট দিছে উ (ও)। হে হে... উ-ই ঠিক করছে, খায়ে লিছে লিয়ে... আমাধের তাই। চাও দিছে, পানও দিছে। কেহু যতি বলে যে ‘চা খাও, একটা বিস্কুট’... তাও খাব না। আমার সংসার এমনি চলে যাছে, আল্লা চালাছে। এই যে ভুঁই লিড়াছি ছাপড়িয়ে ছাপড়িয়ে (নীচু হয়ে) আল্লায় দেখাচে। আমার ক্ষ্যামতা নাই। যা ছিল বেচে খায়েচি। বাড়ি করতে জাগা (জায়গা) পাই ন্যা। উন্নতি হবে? বড়লোকেরা উন্নতি হতে দিবে?”
এই অমোঘ প্রশ্ন নিয়ে আবার হাঁটা দিই। উত্তর জানা নেই, বা আছে। কোটি কোটি অর্থ সঙ্গে নিয়ে পালায় কেউ, বিলাসবহুল জীবন কারও। আর এই দাদুদের ফুরায় না খেটে খাওয়া।
এক ক্লিকে তোমার দরজায়
অনলাইন শপিং হয়ে উঠেছে জনপ্রিয়। ডেলিভারি বয় বা গার্ল। পেশাটি নতুন। তাঁদের সুখ দুঃখের খোঁজ থেকে যায় আমাদের দরজার বাইরেই। শহরের মোড়ে মোড়ে জটলা করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় তাঁদের। বাইক বা সাইকেলে ভারি ব্যাগ কাঁধে নিয়ে ছোটেন। দরজায় দরজায় পৌঁছে দেন কাক্ষিত বস্তু। পাওয়া গেল সুইগি কোম্পানির তিন ফুড ডেলিভারি বয়কে।
দিলিপ নস্কর (৩৩) শোনালেন পেশার খুঁটিনাটি।
“স্ক্রিনে যেটা দেখায়, দুটো অ্যাড্রেস থাকে। প্রথমটা রেস্টুরেন্ট, দ্বিতিয়টা কাস্টমারের হোম অ্যাড্রেস। রেস্টুরেন্টে গিয়ে অর্ডার পিকআপ করলাম, তারপর কাস্টমারের ঠিকানায় পৌঁছে দিলাম। এটাই কাজ। রেস্তরাঁ পৌঁছাতে দশ মিনিট, ডেলিভারি কুড়ি মিনিট- এরকমভাবে টাইম ভাগ থাকে। সব মিলিয়ে থার্টি মিনিটসে হয়ে গেলে বেটার। রাস্তায় জ্যাম থাকলে দেরি হতে পারে। তবে আমরা যতটা পারি তাড়াতাড়ি পৌঁছে দিই। রেস্তরাঁকে নির্দিষ্ট টাইম দেওয়া আছে। তার মধ্যে খাবার বানিয়ে দেয়। দেরি হলে আমাদের হেল্প অপশন আছে। ‘রেস্টুরেন্ট ডিলেইং অর্ডার’ যেটা রয়েছে সেখানে ‘ইয়েস’ করলে কোম্পানি থেকে ফোন আসবে। রেস্টুরেন্টকেও ফোন করবে খাবার তাড়াতাড়ি বানানোর জন্য। ওয়েটিং-এর জন্য আমাদের ওয়েটিং অ্যামাউন্ট দেয়। পনেরো টাকা মতো।”
এরিয়া ভাগ আছে?
“হ্যাঁ।”
আপনার কোন এরিয়া?
“সন্তোষপুর।”
এই এরিয়ায় কতজন আছেন?
“পাঁচ/ছ’শ ছেলে।”
প্রত্যেকদিন সবার কাজ থাকে?
“কোম্পানি সবাইকে ভাগ করে অর্ডার দেবে। এমন নয় যে কোনও ছেলে কাজ পায় না। পাবেই। কাস্টমার যদি অর্ডার না করে, বাজার ডাউন যদি থাকে... যে ছেলেটা রোজ কুড়িটা অর্ডার মারে, সেদিন দশটা মারবে।”
কবে অর্ডার বেশি হয়?
“স্যাটারডে, সানডে। ছুটির দিন। দারুণ অর্ডার হয়।”
বৃষ্টি হলে?
“আরও ভালো অর্ডার থাকে। বৃষ্টি হলে অনেক ছেলে কাজ করে না। আমি যেমন বৃষ্টি হলে কাজ করবোই, যতই বৃষ্টি হোক।”
ভিজে ভিজে?
“কোম্পানি রেনকোট দেয়। হ্যান্ডসেট প্লাস্টিক কভারে থাকে। ভেজেও না, স্ক্রিন দেখতেও সমস্যা হয় না।”
এই পেশায় কেন এলেন?
“এই প্রফেশনে অনেক এডুকেটেড ছেলে আছে। চাকরি পাচ্ছে না। কী করবে? ফুড ডেলিভারি বেটার অপশন। আমি বিএ পাস। এসএসসি-তে বসেছি, পিএসসি-তে বসেছি, রেলের চাকরির পরীক্ষাও দিয়েছি... কিছু হয়নি।”
এই পেশাকে কী হিসেবে দেখে লোকজন?
“অনেকে ভাবছে, ‘কী কাজ করছে! লোকের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে। একটা শিক্ষিত ছেলে।’ এরমধ্যে আমাদের কোনও লজ্জা নেই। এই কাজ করে আমরা টাকা পাচ্ছি, আমাদের ফ্যামিলি চলছে। কার কী খারাপ লাগলো কিছু যায় আসে না।”
আপনাদের মায়নে সিস্টেম?
“অর্ডারের ওপর নির্ভর করে টাকা পাই। তাও অ্যাভারেজ বারো/চোদ্দ হাজার মান্থলি এসে যায়।”
ভোট দেন?
“দিই। এটা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার।”
নাগরিক হিসেবে কী চান?
“চাই ভালো সরকার আসুক, দেশের উন্নতি করুক। আজ আমরা ফুড ডেলিভারি করছি। যখন বেশি এজ হয়ে যাবে, হয়তো বাইক চালাতে পারবো না... অনেক সিনিয়র কাজ করে, তারা আমাদের মতো স্পিডে কাজ করতে পারে না। আমাদের পরের জেনারেশন যেন চাকরি পায়। ব্যাস।”
কথা বলতে বলতে আকাশের দিকে তাকালেন। আকাশে মেঘ।
“বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হচ্ছে মানে আমি খুব হ্যাপি... হা হা হা... বৃষ্টিতে কাজ করতে ভালো লাগে। ইনসেন্টিভ থাকে।”
কতক্ষণ কাজ করতে হয়?
“শিফটিং আছে। সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা, দুপুর বারোটা থেকে... আমি বিকেল চারটে থেকে এগারোটা কাজ করি। এগারোটা বাজলেই লগ আউট করে বাড়ি যাই। আমাদের লেট নাইট আছে। তারজন্য এক্সট্রা টাকা দেয় কোম্পানি। টোয়েন্টি ফাইভ রুপিজ অ্যাড হয়ে যাবে পার অর্ডার। সব মিলিয়ে সুইগি বেটার জব।”
রাহুল চক্রবর্তী (১৯) এক সপ্তাহ হল ফুড ডেলিভারি বয় হিসেবে কাজ শুরু করেছেন।
এক সপ্তাহে কী শিখলেন?
“অনেককিছু। অর্ডার কী করে ডেলিভারি দিতে হয়, ক্যানসেল হলে কী করতে হয়।”
নতুন আপনি। সবার কাছ থেকে কেমন ব্যবহার পান?
“ভালো। কাস্টমারদের কাছ থেকে ভালো ব্যবহার পাই, রেস্টুরেন্টে ভালো ব্যবহার পাই।”
এই পেশায় কেন এলেন?
“এখানে অত টেনশন নেই। আর বড় হচ্ছি মা-বাবা বললো, ‘নিজের খরচ নিজে চালা’।”
পড়াশুনা?
“ক্লাস নাইন অব্দি।”
আগে কী করতেন?
“সিকিউরিটি গার্ড ছিলাম, অ্যামাজন ডেলিভারিতেও কাজ করেছি। পেমেন্ট ঠিকঠাক পেতাম না। ছেড়ে দিলাম।”
ভোটাধিকার পেয়েছেন?
“না। ইলেকশন হয়ে গেলে ভোটার কার্ড আসবে।”
****** (৩১) এক বছর ধরে সুইগি-র ডেলিভারি বয়।
একবছরে সবই ভালো দেখলেন?
“না। খারাপ কিছু অভিজ্ঞতাও হয়েছে। বড় বড় কমপ্লেক্সে আমাদের হেঁটে হেঁটে ডেলিভারি দিতে হয়। যেমন সাউথ সিটির ভেতর আমাদের বাইক অ্যালাউড নয়। এক কিমি দেড় কিমি ব্যাগ কাঁধে হেঁটে ডেলিভারি দিতে হয়। আবার আরবানা কমপ্লেক্সে বাইক নিয়ে ঢোকা যায়। রাত্রের দিকে ডেলিভারির ক্ষেত্রে একটু অসুবিধা হয় কোনও কোনও জায়গায়।”
কীরকম?
“ওই কিছু কাস্টমার ড্রিঙ্ক করে থাকে। খাবার নিয়ে পয়সা দেয় না। ক্যাশ অন ডেলিভারির ক্ষেত্রে এরকম হয়েছে।”
নিজের পকেট থেকে দিতে হয়?
“না। কোম্পানি হেল্প করে। পয়সা নিয়ে কোম্পানির সঙ্গে ছেলেদের সেরকম কিছু ঝামেলা নেই।”
কাস্টমারকে রিড করতে পারেন?
“মোটামুটি। কোন এরিয়ায় প্রবলেম হতে পারে আগে থেকে বোঝা যায়। প্রিপেয়ার হয়ে যেতে হয়। আবার ভালো কাস্টমারও আছে। অনেকে কুড়ি টাকা, পঞ্চাশ টাকা টিপস দেয়। অনেকে বসতে বলে, জল দেয়, খেতেও বলে। আমাদের অনেক ছেলের ক্ষেত্রে হয়েছে।”
এই পেশায় কেন?
“নরম্যালি এই পেশায় যে ইনকামটা হয়ে যাচ্ছে, অন্য পেশায় সেটা হচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গে কাজের যা অবস্থা... অপশনই নেই। সেদিক দিয়ে এটা ভালো। অনেক ছেলে দেখবেন এই করেই খাচ্ছে, ফ্যামিলি চালাচ্ছে। অনেকে এই কাজ করে বছর দুয়েকের মধ্যে বিয়েও করে নিয়েছে।”
পদোন্নতি হয়?
“সেরকম কিছু নেই। কিন্তু পাঁচ বছর পর ফাইভ পারসেন্ট নাকি টু পারসেন্ট বাড়ে। পিএফ নেই।”
সর্বোচ্চ কত বয়সের কর্মী আছেন?
“ফরটি ফাইভ। এক দু বছর ধরে কাজ করে। তবে ইয়ং ছেলেরাই বেশি।”
প্রচুর অর্ডার বুক হয়?
“হ্যাঁ। আজকাল মানুষ এত বিজি যে রান্না করার সময়টা হয়তো সে পাচ্ছে না। তাই অর্ডার করছে। আরও বেটার হয়ে গেছে ঘরে বসে খাবার পেয়ে যাচ্ছে।”
আগে কী করতেন?
“ফাইনান্স বলে একটা কোম্পানিতে কালেকশনে কাজ করতাম।”
আপনাদের ভবিষ্যৎ কী?
“ভবিষ্যৎ নেই। কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলে ভবিষ্যৎ বন্ধ। আজকে যদি কোম্পানি বন্ধ হয় কাল থেকে ছেলেরা কী করে খাবে ভাবতে পারবে না।”
ইউনিয়ন আছে?
“না। ইউনিয়ন বা সংগঠন এখনও অব্দি নেই।”
করার কথা ভেবেছেন?
“ভেবেছি। বাট এই কোম্পানিগুলো তো নিউ। বেশিদিন মার্কেটে আসেনি। হয়তো ফিউচারে এগুলো হবে। মানুষ এখনকার দিনে এমন হয়ে গেছে যে আপনি বাঁচলে বাপের নাম। মানে, আমি খেয়েপরে বাঁচছি তো ওর কী হচ্ছে আমার জেনে লাভ নেই। তো কে সাথ দেবে আর কে দেবে না সেটাও ভাববার আছে।”
ভোট দেন?
“হ্যাঁ। এখন অব্দি তিনবার ভোট দিয়েছি, নোটা-তে (NOTA- None of the Above)। কোনও আশাই নেই, এক্সপেকটেশন নেই। ওই জন্যই নোটা-তে ভোট দিই। সিস্টেমের ওপর আস্থাহীন। যারা দাঁড়িয়েছে তাঁদের কাউকে পছন্দ করছি না।”
কেন?
“কেননা্... কাউকে সেরকম বেটার বলে মনে হয় না। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের রুজি রুটি পলিটিক্সের আণ্ডারে। রাস্তায় দোকান থেকে, সিণ্ডিকেট থেকে, অটোওয়ালা থেকে, বাসওয়ালা থেকে, বাজারে যে সব্জি বেচছে, ভ্যানে করে যে দোকান দিচ্ছে সেও জানে যে এই রুলিং পার্টি চলে যাবে কাজটাও আমার চলে যাবে। এই ব্যাপারটা যখন চেঞ্জ হবে, প্রত্যেক পাঁচ বছর অন্তর গভর্নমেন্ট যখন চেঞ্জ হবে তখন দাদাগিরি ভাবটা কমে যাবে। তাহলে ডেভেলপমেন্টের অপশন বেটার হবে।”
পশ্চিমবঙ্গে একটা পার্টি ক্ষমতায় আর কেন্দ্রের পার্টি এখানে ক্ষমতায় আসতে চায়ছে...
“একটা গরম তেল আর একটা উনুন। যা চলছে... এরকম চলতে থাকলে অনেক জায়গায় সংঘর্ষ লেগে যেতে পারে।”