এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ইস্পেশাল  নববর্ষ ২০১৩

  • স্কুলের পথে

    শঙ্খ কর ভৌমিক লেখকের গ্রাহক হোন
    ইস্পেশাল | নববর্ষ ২০১৩ | ১৭ এপ্রিল ২০১৩ | ১৫৭১ বার পঠিত
  • ভোরবেলা দুটো বাচ্চা স্কুলে যাচ্ছে। তাদের পিছু নিয়েছে একটা উটকো লোক।

    সাদা সাদা কুয়াশা। মিহি কুয়াশা, ঠান্ডা, ভেজা ভেজা কুয়াশার মধ্য দিয়ে। ঢলঢলে হাফপ্যান্ট আর বেঢপ ফ্রক পরে। হাফপ্যান্টটা আবার এক হাতে ধরে আছে, যাতে খুলে না যায়।

    ছেলেটা ভ্যাবলামত। মাঝে মাঝেই এটা-সেটা দেখে দাঁড়িয়ে পড়ে। প্যান্ট ধরে থাকা হাতের বুড়ো আঙুলটা মুখে পুরে দেয়। নেমে আসা প্যান্টটাকে আবার টেনেটেনে তোলে। মেয়েটা দু -তিন পা পিছিয়ে আসে, ছেলেটার ব্যাগ ধরে টান লাগায়। ছেলেটা ফের হাঁটা শুরু করে।

    পিচঢালাই উঁচু রাস্তায় এই সকালবেলায় গাড়িঘোড়ার আনাগোনা কম। পথের দুধারে টিনের আর টালির চালের ঘরবাড়ি আর অনেক পুকুর। কখনো কখনো ধানক্ষেত। একটা বাঁশঝাড়ও আছে। পুকুরে একটা বক বসে আছে। আর একটা বক কোথা থেকে এসে সেটার পাশে বসতেই প্রথমটা উড়ে গেল, ঝুপ করে একটু দূরে গিয়ে বসল। ছেলেটা হঠাৎ করে একটা ঢিল কুড়িয়ে নিয়ে প্রথম বকটার দিকে তাক করে ছুঁড়ল- বকটা বিশেষ পাত্তা দিল না, একটু ডানা ঝটপট করল শুধু। তাই দেখে বাচ্চা মেয়েটার মুখে একটা ব্যাঙ্গের হাসি খেলে গেল।

    খানিকটা এগিয়ে রাস্তার বাঁ পাশে একটা মরা গাছের গুঁড়ি। তাতে অজস্র ব্যাঙের ছাতা গজিয়েছে। আবার অবাক হয়ে মুখে আঙুল পোরা, ব্যাগে হ্যাঁচকা টান, আবার চলা শুরু।

    সময়মত স্কুলে পৌঁছনোর জন্য এদের কোন তাড়া নেই মনে হয়। ঘন ঘন দাঁড়িয়ে পড়ছে, মুখে আঙুল পুরছে, প্যান্ট টেনে টেনে তুলছে, ধীরে সুস্থে হাঁটছে। স্কুলটাও মনে হয় অনেক দূরে, এরই মধ্যে দিনের আলো বেশ ভালোরকম ফুটে গেছে।

    উল্টোদিক থেকে চারটে দুষ্টু ছেলের একটা দল আসছে। এরা অন্য স্কুলের। ছেলেমেয়ে দুটোর পাশ দিয়ে যাবার সময় কি যেন বলতে বলতে আর হাসতে হাসতে গেল। এরা দুজন একটু অস্বস্তির সঙ্গে পা চালিয়ে ওদের চারজনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে নিল। নিরাপদ দূরত্বে পৌঁছে ছেলেটা পেছন ফিরে দুষ্টু ছেলেদের দলটার দিকে তাকায়, চোখে রাগ। এবার আর ব্যাগ ধরে কেউ টানল না। ছেলেটা সামনে তাকিয়ে দেখল তার সঙ্গী অনেকটা এগিয়ে গেছে। ছেলেটা হনহন করে হেঁটে দূরত্বটা পূরণ করল। কিছু বলার চেষ্টা করছে। অন্যজন চলার গতি আরও বাড়িয়ে দিল।

    একটু পরে, দুজন টুকটুক করে হেঁটে যাচ্ছে। ছেলেটার পিঠে নিজের ব্যাগ, এক হাতে প্যান্ট ধরা, অন্য হাতে মেয়েটার টিনের বাক্স, বইখাতা রাখার। রাস্তার ধারে একটা বাড়ির দরজার দুপাশে দুটো বেড়ালের মত দেখতে সিংহ। দুজন অবাক হয়ে দেখছে। পাশ দিয়ে চলে যেতে যেতে একজন অচেনা লোক বলল- "ডাক্তার ডাকার আগেই সব শেষ"।

    কে শেষ, কখন শেষ তার বিন্দুবিসর্গ এরা বুঝতে পারল না, তবে ঘাবড়ে গিয়ে হাঁটা শুরু করল।

    কারা যেন ধান সেদ্ধ করে রাস্তার ওপরেই শুকোতে দিয়েছে। দুজন লোক কাঠের তৈরি একটা কোদালের মত জিনিস দিয়ে ধানগুলো নাড়াচাড়া করছে। লুঙ্গি পরা একজন মোটামত লোক তদারকিতে ব্যস্ত। সেই মনে হয় ধানের মালিক। ওদের দেখে ধানের মালিক অপ্রসন্ন চোখে তাকায়। কোন অপরাধ না করা সত্ত্বেও ছেলেটার মুখে কাঁচুমাচু ভাব।

    একটু এগিয়ে একটা খালের ওপর কাঠের সাঁকো। খালপাড়ে ওটা কি বাঁধা? আরেব্বাস, একটা সাদা ঘোড়া। ছেলেটার মনে হয় জন্তুজানোয়ার দেখলে ঢিল ছোঁড়ার স্বভাব। ঘোড়াটাকেও একটা ঢিল ছুঁড়ল অকারণে। যথারীতি লক্ষ্যভ্রষ্ট।

    এবার মেয়েটা একটা ঢিল কুড়িয়ে নিয়ে ছোঁড়ে, তবে ঘোড়াটার দিকে নয়, খালের জলে। ঢিলটা নিখুঁত ব্যাংবাজি দেখিয়ে জলের ওপর তিনবার লাফাল। ছেলেটা খোসামুদের ভঙ্গিতে খুব হাততালি দেয়।

    রাস্তার ধারের একটা বাড়ি থেকে একই রকম ইস্ত্রি না করা সাদা জামা আর রংজ্বলা নীল হাফপ্যান্ট পরা একই বয়েসি আরেকটা ছেলে বেরিয়ে এসে এদের সঙ্গে জুটে গেল, তবে এর প্যান্টটা প্রথম ছেলেটার মত ঢলঢলে নয়। শার্টটাও তত ময়লা নয়।

    নতুন ছেলেটা খুব বকবক করছে। মেয়েটা খুব হাসছে। প্রথম ছেলেটার মুখে ক্ষুণ্ণ ভাব। হঠাৎ খেয়াল করে টিনের বাক্সটা এখনো তার হাতে। বাক্সটা মেয়েটাকে ফেরত দেয়। মেয়েটা এর হাত থেকে বাক্সটা নিয়ে অম্লানবদনে অন্য ছেলেটার হাতে ধরিয়ে দিল। তাতে প্রথমজনের মুখের ক্ষুণ্ণ ভাবটা আরো বেড়ে গেল।

    একটু পরে পথের ধারে একটা খারাপ হয়ে যাওয়া রোড রোলার। প্রথম ছেলেটা হাঁচোড়পাচোড় করে ড্রাইভারের সিটে ওঠার চেষ্টা করে। ইতিমধ্যে সঙ্গীরা অনেকটা এগিয়ে গেছে দেখে হাল ছেড়ে দিয়ে আবার হাঁটা লাগায়।

    স্কুল মনে হয় আর বেশি দূরে নয়। রাস্তায় এদের মতই রংজ্বলা নীল হাফপ্যান্ট অথবা স্কার্ট পরা কিছু বাচ্চা ছেলেমেয়ে দেখা যাচ্ছে এবার।

    রোদ এখন বেশ চড়া। পিছু নেওয়া উটকো লোকটা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চমকে উঠল। মর্নিং ওয়াক করতে বেরিয়ে আপনমনে পাড়াগাঁয়ের দিকে চলে আসাটা ঠিক হয় নি। এখন ফেরার জন্য গাড়িটাড়ি কিছু পাওয়া যাবে কিনা কে জানে? এই রাস্তায় বাস বা অটো চলে বলে মনে হয় না।

    শহুরে লোকটা যেদিক থেকে এসেছিল সেদিকে ফিরে হাঁটা শুরু করল, মনে একরাশ বিরক্তি, নিজের ওপর। খামোকা এত দূরে আসার কি দরকার ছিল?

    তাই তো! কী দরকার ছিল এতদূর আসার?

     

    ----------------------------------------------

    ছবি ঃ লেখক

    গল্পটি কাগুজে গুরুতে প্রকাশিত।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ইস্পেশাল | ১৭ এপ্রিল ২০১৩ | ১৫৭১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sosen | unkwn.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০১৩ ০৩:২৭76351
  • পড়েছি আগেও। ভালো লাগলো।
  • শ্রী সদা | unkwn.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০১৩ ০৪:১৩76352
  • সুন্দর।
  • গান্ধী | unkwn.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০১৩ ০৪:১৭76353
  • পড়েছি জানিয়ে গেলাম। আর কিইবা লিখি?
  • kk | unkwn.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০১৩ ০৫:০৫76361
  • ভালো হয়েছে লেখাটা। তবে মনটা যেন ভরলো না।
  • siki | unkwn.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০১৩ ০৬:৩০76354
  • আবার ভালো লাগল।
  • শিবাংশু | unkwn.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০১৩ ০৭:৩১76355
  • আগে পড়িনি, তাই আরো ভালো লাগলো।
  • রূপঙ্কর সরকার | unkwn.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০১৩ ০৭:৩৮76356
  • ভাল লাগল লামা, বেশ ভাল।
  • kiki | unkwn.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০১৩ ০৭:৪৫76357
  • খুব সুন্দর।
  • san | unkwn.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০১৩ ০৭:৫৩76358
  • চমৎকার !
  • | unkwn.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০১৩ ০৯:১৭76359
  • ভারী সুন্দর লামা।
  • কৃশানু | unkwn.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০১৩ ০৯:২৩76360
  • খুব ভালো।
  • blank | unkwn.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০১৩ ০৯:৫০76362
  • লামাদা বেশ ভাল লেগেছে।।
  • Ekak | unkwn.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০১৩ ১০:০০76363
  • আমার এরকম লেখা বেশ ভাল্লাগে কেমন আপাত উদ্দেশ্যবিহীনভাবে নিজের কাঁধে হাত রেখে বলা চল চল বেলা হলো ।
  • Abhyu | unkwn.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০১৩ ১১:৫০76364
  • লামাদার সিগনেচার লেখা। ভালো লাগল। তবে কেমন যেন হঠাৎ শেষ হয়ে গেল।
  • kumu | unkwn.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০১৩ ০৯:১১76365
  • নিজের মনের সঙ্গে,আরো কার সঙ্গে কে জানে ফিসফিস কথা বলা,আর দেখা,দেখে যাওয়া-লামার লেখাগুলো এইরকম-তাই খুব সুন্দর লাগে।এগুলো একসাথে কোথাও রাখা হচ্ছে তো?
  • কল্লোল | unkwn.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০১৩ ০৯:২৪76366
  • কোথাও কি আর যাওয়ার ছিলো
    কে জানে ?
    কোথাও কি আর যাওয়ার আছে
    কে জানে !
  • keu na | unkwn.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০১৩ ১০:০৬76367
  • দারুণ লাগল !!
  • সুকি | unkwn.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০১৩ ০৮:৩৬76368
  • ল্যামিদা, দারুণ লাগল। আরো আসতে থাকুক।
  • nina | unkwn.***.*** | ২১ এপ্রিল ২০১৩ ০২:৩৪76369
  • লামার মালা (কথার) সবসময়ই সুন্দর--এবারেও--শুধু গাঁথে বড় কম--কত কথার ফুল হেলায় পড়ে থাকে তার-----
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন