এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আমেরিকা, আমি এসে গেছি

    dd লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | ১১৪৭ বার পঠিত
  • আমেরিকা, আমি এসে গেছি

    আসলে কী
    --------------

    অ্যাকচুয়ালি আমার কিন্তু চার ছেলে। অমল,কমল,তমাল আর ইন্দ্রজিৎ।কিন্তু তমাল বাঁচে নি। এক মাস বয়স হলেই শিশু তার প্রথম হাসি হাসে। সোস্যাল স্মাইল। সেরকম ফোকলা মুখে একগাল হেসেছিলো তমাল। একমাস বয়স। এইট্টুকুনি মানুষটা। চোখে চোখ পড়তেই ফিক করে হেসে দিল। কিন্তু তারপরে জন্ডিস হল।অনেক চেষ্টা করলাম। কিন্তু বাঁচলো না।
    বাকী তিন ছেলেই ঝটাপট বড় হয়ে গেলো। এ এক ম্যাজিক। এই সেদিন দেখলাম বাচ্চাটা হুটোপুটি করছে , অন্য বাচ্ছাদের সাথে মারপিট, ঠোঁট ফুলিয়ে অভিমান, আবার দেখি কখন জানি সময় চলে গেছে। ধাঁ করে লম্বা হয়ে গেলো। দাড়ি, গোঁফ।
    তখনো ফারাজীরা এতো শক্তিশালী হয় নি। কিন্তু টুকটাক খবর আসছিলো।

    অসহায়
    -------------

    কিন্তু ফারাজীরা ছেয়ে ফেলছিলো গ্রাম গঞ্জ। আমাদের ফ্যাকটরী ছিলো মুংগেরে।

    কলকাতা থেকে কতোবারই তো গেছি। একবার তো সুপর্ণাকেও নিয়ে গেছিলাম।গেস্টহাউসে ছিলাম চারদিন। কিন্তু ক্রমশঃই যাওয়া বন্ধ হয়ে গেলো। খুন টুন হচ্ছিলো। লাশ পড়ছিলো চারিদিকে। তোলা নিচ্ছিল। ফেকটরী প্রায় বন্ধ হবার মুখেই।মালিক তো চার বছর আগেই প্রচুর দেনা নিয়ে নতুন মেশিন পত্তর বসিয়েছিল। একদিন ফরাজীরা এসে দখল নিয়ে নিল। বেশ কয়েকজনকে মেরেও ফেললো। আমাদের কোম্পানীও ঝাঁপ বন্ধ করল।অগত্যা।

    যতোটা সঞ্চয় ছিল ভাঙিয়ে খেলে আর কতদিন? চারিদিকে ফরাজীরা পৌঁছে যাচ্ছে। শহরতলীতেও ওদের মুক্তাঞ্চল। পথে বেরোনোও বিপদের। ওদের ফিরমান মেনেই চলতে হত, পোষাক পরতে হত। উপায় নেই। কে যে দেশ চালাচ্ছে বুঝতেই পারি না।

    ছেলেগুলো এক এক করে বড় হয়ে যাচ্ছিল। এ যেন এক রেস। কত তাড়াতাড়ি ওরা বড় হয়ে যাবে। কে জিতবে? ফরাজীরা না আমার ছেলেরা ? খুব তাড়াতাড়ি আমার বড় দুটো ছেলে চলে গেলো দেশ ছেড়ে । পালিয়ে। চীন হয়ে, হাংগেরী হয়ে। ইরান হয়ে। আরো কত দেশ।জাহাজে,পায়ে হেঁটে ঠিক পৌঁছে গেলো আমেরিকায়। প্রান হাতে করে, খুব কষ্ট করেও পৌঁছে গেলো আমেরিকায়।

    গিয়েই ঠিক ঘাৎ ঘোৎ বুঝে কাজ জুটিয়ে নিল। বড়টা, মানে অয়ন তো একেবারে ঘাগু। ক্যালিফোর্নিয়াতে বিরাট তার কমলালেবুর ক্ষেত। সেইখানে ইজারা নিয়ে কমলালেবুর মধু বানায়। সেই মধু বোতলবন্দী করে সারা দুনিয়ায় পাঠায়। অয়নের ছোটোজন, মানে শ্যামল চলে গেলো শিকাগোতে। সেইখানে জাহাজের দালালী করে - সে তো জমিয়ে বসেছিলো। ছোটোছেলে,বিক্রমকে নিয়েই চিন্তা বেশী ছিল। সে পারবে তো? ওটার সাংসারিক বুদ্ধি সুদ্ধি কমই মনে হত। কিন্তু সে ছোটোর থেকেই যোগ ব্যায়াম করে ওস্তাদ। সে আরো উত্তরে চলে গেলো, মিনিয়াপলিসে। সেখানে যোগ ব্যায়ামের স্কুল আর আশ্রম খুলে জমজমাট।

    তিন ছেলেই লায়েক। আমেরিকাতে পৌঁছেই নিজের দুনিয়া গড়ে তুলেছে। বিয়ে করেছে বড় দুজন। একটা নাতিও হয়েছে।
    কিন্তু ওদের সামনা সামনি আর দেখি নি। সেই যে আমেরিকা চলে গেলো, তার পরে আর না। নিয়মিত ভিডিও ফোন করে- তিনজনেই। ওদের সাজানো সংসার দেখি। সব কিছুই কী মসৃণ আর ঝকঝকে ঐ দেশে। বেরাতে যায় কতো সব যায়গায়। ডিজনীল্যান্ড, সী ওয়ার্ল্ড, ইয়োলোস্টোন পার্ক। চোখ জুড়িয়ে যায় । এতো বৈভব এতো স্বাচ্ছন্দ্য। আহা, উহারা সুখে থাকুক।

    ইন দা মীন টাইম
    ---------------------

    আমাকে শহর ছাড়তে হল। সুপর্ণা অনেক্দিন ধরেই অসুস্থ ছিলো। বলতো সারাক্ষণই মাথায় যন্ত্রনা। এরপরে মাথার একদিক ফুলে উঠলো। তুবড়ে যাচ্ছিলো খুলিটা।মুখটাও বেঁকে যাচ্ছিল। তার পরে এক্দিন আর চোখ খুললো না।
    ছেলেরা কত ভাবে চেষ্টা করেছিলো টাকা পয়সা দিয়ে যাবার। সম্ভব হয় নি। ফারাজীরা সব ব্যাংকে খোঁজ নেয়। দেশ বিদেশ কোনো পরিবারে নিয়মিত টাকা আসলেই ওরা বাড়ী পৌঁছে যায়। ওদেরকেও ট্যাক্স দিতে হবে। জবাবদিহি করতে হবে কেনো তিন সমর্থ ছেলে পালিয়ে গেলো। তার জন্যেও জরিমানা দিতে হবে। শুধু টাকাই তো নয়, আমাকে ধরে নিয়ে যাবে বেগার খাটাতে। হয়তো পরিয়ে দেবে সুইসাইড ভেস্ট।
    ছেলেরাই ব্যবস্থা করছিল। এর ওর হাত দিয়ে টাকা পাঠিয়ে এই হতশ্রী গ্রামে চলে এলাম। সীমান্তের কাছে। আমার শহর থেকে হাজার মাইল দুরে। পাহাড় ঘেঁষে। অল্প কয়েকঘর আমারই মতন বানভাসি লোক থাকে। জমির অভাব নেই। চাষ করার লোক নেই।

    আরে, আমি কি চাষী না কি? কি জানি খেতি খামারির। শহরে থাকতে বাগানটাও কোনোদিন করি নি। কিন্তু এখানে এসে পেটের দায়ে সব শিখে গেলাম। আরো প্রতিবেশীরাও ঐ ভাবে শিখেছে। গরু,ছাগল,শুয়োর,মুর্গী,হাঁস। সুজলা সুফলা জমি পড়েই আছে। দাবীদার নেই।

    আমার মতন কিছু ভাঙাচোরা মানুষ আর তাদের ছিন্ন ভিন্ন পরিবারের দু একজন। কিছু ফসল ফলাতে শিখেই গেলাম। যতোটা শরীরে দেয়।

    উণমুড়ার সংসার
    -----------------------
    আসলে জানেন তো, আমার খুব মেয়ের সখ ছিলো। পর পর তো চারটেই ছেলে হল। কিন্তু সুপর্নার শরীর ভেঙে যাচ্ছিল। তাই আর রিস্ক নিতে পারি নি। বুঝলেন না?

    এই উণমুড়ি গাঁয়ে আমাদের বারো চোদ্দোটা পরিবারে জটলা করে থাকি। ফারাজীরা এইখানে খুব রাজত্ব করেছিলো। শেষে আর রাজত্ব করবার আর লোক রইলো না। আরে, মানুষেরও তো শেষ আছে। না রইল রাজা, না রইল প্রজা। কবন্ধের স্তুপ মাঠে ঘাটে ফেলে রেখে ফারাজীরাও চলে গেল।

    শেয়াল কুকুরও আর বিশেষ নেই। বোধহয় মরা মানুষ খেয়ে খেয়ে ওদের শরীরও পচে গেছিল। ভিতর থেকে।

    আমার পাশের চালাঘরে থাকে দিব্য আর ওর মেয়ে ফেলানি। ভালো নাম ফুলেশ্বরী। দিব্য ও খুব ভালো চাকরী করতো আর ফেলি পড়ত দারুন নামী দারুন দামী স্কুলে। ফারাজীদের হাতে পড়ে ওর কোম্পানীও ডকে উঠলো। তাও দিব্য নিজের ভিটে মাটি অনেক আগেই বিক্রী করে দিয়েছিল। কিন্তু ওর অসুস্থ বাবা মকে ফেলে আমেরিকা পালাতে পারে নি।বা জার্মানী বা হল্যান্ড। সাদা মানুষদের দেশে। নিদেন পক্ষে থাইল্যান্ড বা সিংগাপুর। যখন বাবা মা ওকে মুক্তি দিল,তখন বড় দেরী হয়ে গেছে। বউকে আর ফেলিকে নিয়ে যখন এই প্রত্যন্ত গাঁয়ের দিকে আসছিলো তখ্নই হামলা হল। কারা? কে জানে? হয়তো ফারাজীরা, হয়তো সাধারন ডাকাত। সাদা পুলিশেরাও দল বেঁধে ঘুরে বেরায়। গন্ডগোলের মধ্যে ফেলির হাত ধরে পালিয়েছিল। বউএর আর খোঁজ পায় নি। কোথায় পাবে? কাকে জিজ্ঞেশ করবে? উত্তর দেবার মতন মানুষ কই?

    দিব্য কেমন হয়ে গেলো। সারাদিন এক একা মাঠে ঘাটে ঘুরে বেরাতো। নিজের মনেই বিড়বিড় করত। নিজের উপর আর যত্ন ছিলো না। উষ্কোখুষ্কো,আলুথালু।খুব যখন জ্বর হয়েছিলো, মৃত্যু শয্যায় তখন বলেছিলো - দাদা, বউ চিৎকার করে বলছিলো দিব্য আমাকে বাঁচাও। বাঁচাও। ওকে ঘিরে ধরেছিলো কয়জনায়। আমি ফেলিকে কোলে নিয়ে টেনে হিঁচড়ে দৌড়ে চলে এসেছি। ওকে বাঁচাতে গেলে আমিও মরতাম। মেয়েটাকে ছিঁড়ে খেতো।

    আমাকে বল্ল, দাদা।,ফেলিকে দেখো। ফেলি আমার বড় আদরের। শহরে যখন ছিলাম তখন বিরাট বাড়ী ছিলো, দুটো গাড়ী। বছরে ব্ছরে বিদেশে যেতাম। তারপরে তো সবই গেলো। আমাকে বলল, ফেলিকে নিয়ে হিঁচড়ে চলে এসেছি ছুটে। কোমড়ে জড়ানো ছিলো সোনা আর হীরের এই পুঁটলি। এখানে তো এর মূল্য কানাকড়িও নয়। কিন্তু এটা তোমার কছেই রাখো। ফেলির জন্য।

    বাঁচলো না। দিব্যও মারা গেলো। ধুম জ্বরে। ম্যালেরিয়া বা অমন কিছু। বাঘ,সাপ, ফারাজীর হাতে মরলো না। মরলো মশার কামড়ে। গ্রামের আরেকজনও মারা গেলো। সেই একই সিম্পটম।

    এদিকে দৈবাত কোনো লোকজনেরা আসে যায় । তাদের মুখেই শুনি ফারাজীরা আবার ফিরে আসছে। ধেয়ে আসছে গ্রামের দিকে।

    একদিন তালগাছের উপর উঠে এক ছেলে বললো, হ্যাঁ , ফারাজীরা তো আসছে। দুরে দেখতে পাচ্ছি কালো ধোঁয়া। গ্রাম পুড়ছে।

    আর পরের দিন আকাশে দেখি শকুনের দলের ওড়াউড়ি।

    আর সময় নেই।পালাও,পালাও।

    জংগল পেরিয়ে আরাকানে।
    ------------------------------

    ফেলির ভালো নাম ফুল্লরা। সে আমায় ডাকে আংকুল বলে। হা হা হা হা। আংকল নয়। আংকুল।আংকুল। হা হা হা।
    ওর গয়নার পুঁটলিটা কোমড়ে বাঁধি,ওর হাত ধরে বলি চলে রে ফেলি। আমরা গাঁয়ের শেষ কজন আবার চলি। ঘন জংগল। জোঁক। সাপ। কাদা ঠেলে। যা পাই খেয়ে নেই। বাছ বিচার কিছু নেই।

    গাঁয়েও রেখে আসতে হলো কয়েকজনকে। অশক্ত, পায়ের ব্যাথা, হাঁপানী রোগী। আর জংগলের পথেও কয়েকজন - কেউ পা মচকে পড়ে রইলো। একজনের হল হার্ট অ্যাটাক। আরেকজন কেমন করে জানি হারিয়েই গেলো।

    তাও পৌঁছালাম। এক ত্রান শিবিরে।

    সেখান থেকে আমার তিন ছেলের সাথে যোগাযোগ করি। ওরা ছটফট করে। বলে "বাবা, যেমনে পারো রেংগুনে চলে আসো। মাস্কাট পর্যন্ত্য প্লেনের টিকিট কাটো। বাকীটা আমরাই ব্যবস্থা করব। মগদেশও তো টলোমলো। সবাই সিঁটিয়ে থাকে। আমেরিকা থেকে টাকা পাঠাতে পারে না এখানে।

    আমি দালাল ধরি। ফেলির পুঁটুলির থেকে হীরে দেই,সোনা দেই। তারপের একদিন লরীতে করে শহরে পৌঁছাই।
    ফেলির খুব মজা। সে আমেরিকা যাবে। আবার পড়াশুনা করবে। ওর কতো সখ। সুইম করবে,পাহাড়ে চড়বে।
    আপনাদের বলা হয় নি, ফেলি, জানেন তো, ঠিক মেচিওর্ড নয়। না,না। মানসিক রোগী নয়। কিন্তু বড্ডো ছেলেমানুষ থেকে গেছে বয়সের আন্দাজে। ধুর, সত্যি বলি। ও বেশ হাঁদা। সরল বলতে পারেন। বা বোকা। সেই রকম।

    তো ফেলি আর আমি, আংকুল আর ফেলি। আমরা চলি মাস্কাট। আমার তিন লায়েক ছেলে তৈরী থাকে। মাস্কাট পৌঁছালেও ওরা আমাদের লুফে নেবে। "আর কোনো চিন্তা নেই, শুধু একবার পৌঁছে যাও। তার পরে আমরাই দেখছি"

    আমার তিন হীরো ছেলে
    ------------------------------

    আমার তিন ছেলেই উস্তাদ। বড় ছেলে শুভ, সে কমলালেবুর মধুর বিক্রী করে প্রচুর টাকা বানিয়েছে। মেজোজন মানে অতীশ নাকি একটু স্মাগলিং টাগলিংও করে। ঐ মানুষজন। রেফিউজী। এইসব। সে তো জাহাজের কারবারী। ছোটোটা মানে নয়নের অনেক চেনাজানা। সেনেটর,সেক্রেটারী,হোমড়া এবং চোমড়া।
    আমার কোনো চিন্তা নেই। "ফেলি ঘাবড়াও মাত"। আমি ফেলিকে আশ্বাস দেই। অবশ্য সে তো ঘাবড়ায় না। সে তো ঘাবড়াতেই জানে না। ধমক টমক দিয়েই সামলে রাখতে হয়।
    মাস্কাটে এসে আমাদের আর ভাবনা নেই। আমার তিন ছেলেই ব্যবস্থা করে। আমার গর্বে বুক ফুলে ওঠে। সুপর্ণা ভাগ্যিস আর বেঁচে নেই। এই ভয়ানক অ্যাডভেঞ্চার সে সইতে পারতো না। তার বরাবরের দুর্বল শরীর।

    প্লেনে আমস্টারডাম এসে সেখান থেকে এক জাহাজে । কখনো চিন্তাই করতে পারি নি এতো সুখেও থাকে মানুষ। কী অঢেল সব কিছু। আকাশ কতো নীল। মানুষ কী সুন্দর দেখতে। যা দেখি, চোখের পাতা আর ফেলতে ইচ্ছে করে না। বড় সুখ হে জীবনে।

    কতো কী মিস করে গেলাম যখন যৌবন ছিলো। যাক, শেষ জীববটা সুখে কাটুক। প্রাচুর্য্যে।

    সীমান্তে
    ---------------------

    মেক্সিকোর সীমান্তে আমাদের গাইড বলে ঠিক যেমনটি বলছি, তেমনই করবেন । এক পাও এক্ষট্রা হাঁটবেন না। আমি না বল্লে আকাশেও দেখবেন না। বুঝিয়ে বলে "ড্রোন থাকে আকাশে।তারা ছবি তুলে নেয়।" আমরা মাথা নীচু করে হাঁটি। পাহাড়ী পথ। পথ নয়। পাকদন্ডীও নয়। এবড়োখেবড়ো। উঁচুনীচু। ছোটো বড় পাথরের ডাঁই। তার মাঝে হাঁটতে হয়। কখন পাথর ডিঙিয়ে।

    স্লিপ করে পরে গেলেই মুষকিল।

    বলে "সবেতেই ভয়। বুনো কুকুরের দল। পুরো কুকুরও নয়। নেকড়ে বাঘ আর বাড়ীর কুকুরের দোআঁশলা। প্রচন্ড ফেরাশাস। যেমন বুদ্ধি তেমনই হিংস্র। দল বেঁধে এখানে ঘুরে বেরায়।এই দোআঁশলাকে বলে নেকড়া। এদের ভয়ে এখান দিয়ে লোক যায় না।"

    "এই দেখুন ,আমার হাতে এই যে ছোটো টিনের গোল বাক্স। এতে আছে দারুন ঝাঁঝের ভুত জালোটিয়া লংকাগুঁড়ো। সেটা একটু করে ছড়িয়ে দেই,কিছু পরে পরে। নেকড়ারা শুঁকতে শুঁকতে এসে এই লংকাও শুঁকে ফেলে । তখন তারা দিশাহারা হয়ে যায়। আবার চলতে চলতে আমাদের গন্ধ পেয়ে যায়।
    আমরা মাঝে মাঝেই শুনি দুর থেকে হা হা হা হা করে আওয়াজ। "নেকড়াদের আওয়াজ"। গাইড বলে। সাবধান করে বার বার। "খুকী, সামলে চল। ধীরে পা ফেলো। এটা খেলবার যায়্গা নয়।"

    আমরা এসে যাই সীমান্তে। সামনে এক টিলা,কাঁটা তারের বেড়া।তার পারে পাঁচিল। আর পাঁচিলের ওপারেই আমেরিকা।

    আমার স্বর্গভুমি। আমার শান্তির আশ্রয়।

    আর তখন , হায় কপাল
    -------------------------------

    কেনো যে ফেলি কথা শুনতো না। বুদ্ধি তো কম। সেন্সটাই নেই। লাফিয়ে যায়, নাচতে নাচতে যায়। যেখানে পাটিপে টিপে চলার কথা। সাবধানে, সাবধানে।

    বারন করলেও তো শোনে না, বা ভুলে যায়।
    হঠাৎই চিৎকার করে। এক বড় পাথরের উপর থেকে টলমল করে পড়ে যায় গড়িয়ে। বেশী নীচে নয়, এই কুরি কি তিরিশ ফুট।

    গাইডের মুখ ভয়ে সাদা হয়ে যায়। বলে "বেবী সাবধান। যেমন বলব তেমনই করে উঠবার চেষ্টা কর"। আর দুর থেকেই নেকড়াদের আওয়াজ শুনতে পাই। হা হা হা হা করে হাড় হিম করা চিৎকার।ত্রাসে চোখ বড় হয়ে আসে ফেলির।

    সে লাফিয়ে উঠতে চায়, কিন্তু সে কী করে সম্ভব ? খাড়াই পাথর তো। ফেলি উথালপাথাল ছোটে। আরেকটু দুর দিয়ে সবুজ ঘাসের উপর দিয়ে , যেখানে খাড়াইটা কম। আমাদের কথা তার কানে যায় না, বা সে বোঝে না। মা গো।

    গাইড পরিত্রাহী চেঁচায়"নো নো নো"। তারপরে বাঘের মত ঝাঁপিয়ে পড়ে আমার ঘাড়ে। জাপ্টে মাটীতে ফেলে দেয়। আর তখনই প্রচন্ড বিস্ফোরনের শব্দ। আকাশে ছিটকে ওঠে মাটী আর পাথর। টুকরো টাকরা।

    "মাইন, ওখানে মাইন পোঁতা থাকে"।
    আমি হতভম্ব হয়ে দেখি। কোথায় ফেলি? কিছু নেই।তালগোল,তালগোল। টুকরো টাকরা। আমার কাছে পাথরের উপর একটা সাদা সবুজ টুকরো। ফেলির জামা। জামার টুকরো। আর গাইড আমাকে টেনে নিয়ে চলে"আর এক মুহুর্ত্তও দেরী নয়"।

    টানেল থেকে টানেলে,ধুম অন্ধকার
    --------------------------------------

    গাইড আমাকে হিঁচড়ে টেনে প্রায় ছুটে চলে। যেখানে পাথুড়ে টিলা শেষ, সেখানে প্রায় লাফিয়ে নামে। চোখের সামনে দেখি বুনো ঝোপ, সে এক টানে তুলে ফেলে। ওটা প্লাস্টিকের টবে রাখা প্লাস্টিকের গাছ। আমাকে ঠেলে এক গর্ত্তের মধ্যে ঠেলে দিয়ে বলে চলুন চলুন।

    আমি একটা ঘোরের মধ্যে থাকি। ফেলি কেনো কথা শুনলো না? কেনো পাথরের উপর দিয়ে নাচতে নাচতে চলছিলো?
    মাটীতে বুক ঘষটে এগিয়ে চলি। সামনে গাইড। কিছু পরেই - কতোক্ষন - পাঁচ মিনিট না আধ ঘন্টা। সে ওরকমই একটা যায়গা দিয়ে আমায় বার করে দেয়।

    বাইরে ঝকঝকে আলো। হু হা বাতাস বয়। আমার ঘোর লেগে থাকে।

    ওরকমই আরেকটা টানেলে আমায় নিয়ে আবার চলে সে। সাপের মতন। মাটী কামড়ে। আর খালি মাথায় ঘোরে কেনো,কেনো,কেনো ফেলি আমাদের কথা শুনে সাবধানী হলো না? কেনো কেনো কেনো ?

    নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধে হয়। চারদিকে চাপা। সোঁদা মাটীর গন্ধ। আর ধুলো। দাঁত কিচ কিচ করে।

    দিব্যকে বলি, মনে মনেই বলি। চেষ্টা তো করেছিলাম। ফেলিকে সাথে করে নিয়ে আসব। কিন্তু হল কই? মেয়েটা বড়ো ছেলেমানুষ ছিলো রে দিব্য।

    হাঃ,হাঃ,হাঃ এসে গেলাম
    -----------------------------------
    হঠাৎ আবার উঠি মাটী ফুঁড়ে।
    গাইড হাসে। হাঃ,হাঃ,হাঃ। এসে গেছি। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখি। পিছনে দেখুন - গাইড বলে আর আমি ঘাড় ফিরিয়ে দেখি উঁচু পাঁচিল তার উপরে ইলেকট্রিক ফেন্স। মাটীর নীচে কোথাও একটা গলতা আছে। গাইড জানে। সেখানে সুরংগ খুঁড়ে রেখেছে।

    সামনেটা উঁচু একটা ঢাল। টিলার মতন। তাতে গাছ পালা আছে। "আর ভয় নেই" গাইড বলে। আমি হাঁচড় পাঁচোড় করে টিলার উপরে উঠি। আহা।

    সামনেই কাল মসৃন রাস্তা। তাতে রকেটের মতন গাড়ীছুটে চলেছে। সোঁ সোঁ আওয়াজ পাই এখান থেকেই। রাস্তার অপর পারেই মাইলের পর মাইল জুড়ে কমলালেবুর অর্চার্ড। সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে নির্বিকার।

    গাইডের ফোন বেজে ওঠে। সে বলে আপনার ছেলে- ব্যাস্ত হয়ে আছে। নিন কথা বলুন।

    আমার তিন ছেলে, মইদুল, নিখিলেশ আর ডিসুজা।আরেকজন ও জন্মেছিলো - তার নাম রেখেছিলাম অভিমন্যু। সে বাঁচে নি বেশীদিন।

    মইদুল বলে বাবা, তোমায় দেখতে পাচ্ছি। তুমি ধীরে ধীরে নেমে এসো ডানদিক দিয়ে এসো। ওখানে গাড়ী নিয়ে অপেক্ষা করছি।

    ওঃ। শান্তি শান্তি শান্তি। বুক ভরে নিঃশ্বাস নেই।এই সেই আমেরিকা। আকাশ ঘন নীল। সুগন্ধী বাতাস। মানুষেরা খুব সুন্দর। আর ফেটে পড়ে তাদের স্বাস্থ্য। সব কিছুই চকচকে আর ঝলমলে। সবই উজ্জ্বল আর নিটোল। সবাই বড় সুখে থাকে এইখানে।

    অবশেষে আমি পৌঁছালাম। আমিও পৌঁছালাম

    হো, আমেরিকা, আমি এসে গেছি।

    -----------------------------------------------------
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | ১১৪৭ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    চম - dd
    আরও পড়ুন
    ও শানওয়ালা - dd
    আরও পড়ুন
    দ্রোণ পর্ব - dd
    আরও পড়ুন
    কর্ণসংহার - dd
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • rabaahuta | ***:*** | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৭:৫৭61102
  • দমবন্ধ হয়ে আসে।
  • Nina | ***:*** | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৯:৩৩61103
  • পুরো ভেবলে গেছি । নি:শ্বাস টা নিয়ে আবার পড়ব -----আরো কয়েকবার---
  • lcm | ***:*** | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১০:২৩61104
  • বাপ্রে! কি ইনটেন্স্‌ লেখা ...
  • Du | ***:*** | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১০:৩৯61105
  • দমবন্ধ হয়ে যায়!
  • anandaB | ***:*** | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১০:৫৩61106
  • জাস্ট ভাবা যায় না, প্রথমে মনে হচ্ছিলো অনুবাদ কিন্তু পুরোটা পড়ার পর বুঝলাম এ একেবারে সিগনেচার
  • T | ***:*** | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১১:০২61107
  • হেবি হয়েচে।
  • একক | ***:*** | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৩৬61109
  • ভেতর থেকে পচে আসে্‌্‌্‌্‌ বড় ভালো !
  • Atoz | ***:*** | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৪৫61110
  • ওহ, অমল কমল তমাল এবং ইন্দ্রজিৎ !!!
    দারুণ লেখা ।
  • cb | ***:*** | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:২৯61111
  • উরেস্লা, ডিডিদা জাস্স্ট মেরে ফেললেন
  • | ***:*** | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৪:৩০61112
  • কাল ঠিক ঘুমানোর আগে এইটা পড়ে ঘুমিয়ে গেছিলাম। আর রাতভোর ঐ ডকুমেন্টারিটা স্বপ্নে দেখলাম।
    ফাটাফাটি হচ্ছে ডিডি
  • s | ***:*** | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৪:৩৯61113
  • খুনোখুনি লেখা। তিনটে মহাদেশ কভার হয়েছে এক পাতার লেখায়।
  • শক্তি দত্ত রায় করভৌমিক | ***:*** | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৪:৪০61114
  • নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে
  • কল্লোল | ***:*** | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১২:৪৮61108
  • ই কি রে!! আমি লুরু থে চলে আসার পর দীপ্তেন ক্যামন লাতিন আমেরিকান লেখকদের মতো লিখছে।
  • s | ***:*** | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:০৮61115
  • 18 February 2017 10:10:30 IST
    শক্তিবাবুর কি সিরিয়াসলি সারনেম এইটা?
  • | ***:*** | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:১৭61116
  • হ্যাঁ
  • Rabaahuta | ***:*** | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:২১61117
  • আর ইয়ে, উনি 'বাবু' নন।
  • Sankha | ***:*** | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৬:৩১61118
  • ঠিক এক অনুভূতি সবারই হয়েছে দেখছি। দম বন্ধ হয়ে আসার অনুভূতি। ?অসাধারণ লেখা।
  • de | ***:*** | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৭:০৫61119
  • উফ্‌ কি লেখা!
  • b | ***:*** | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৯:৫১61120
  • ডিডি অনেকদিন পরে লিখলেন। আরো লিখুন।
  • Blank | ***:*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:১৫61121
  • অসাধারন
  • dc | ***:*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:৪০61122
  • আরো একবার অ্যালান কুর্দির কথা মনে পড়লো।
  • শিবাংশু | ***:*** | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৮:২৯61123
  • কী লিকেচেন সার.... কহতব্য নয়। পুরো বুলডোজার....
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন