এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • পাগলা টুডু

    Ajit Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ৩০ জুন ২০১৭ | ১৪৬০ বার পঠিত
  • আজ থেকে হাজার বছর আগের সরল মানুষটিকে দেখার জন্য দলমা ভ্যালির মহুলবনি গুহার সন্নিকটে, রুকনি নদীপাড়ের এই ছোট্ট গ্রামে আজও কিছুদিন ভ্রমণে গুজৱ করা যায়। শালুকচাপড়ায় বিজলীর খুঁটি নেই, অ্যান্টেনা নেই, পাকা সড়ক নেই, কুঁয়ো নই। কিন্তু এই মানুষটি।
    ভাষা, পরিপাটি, গান জানে না। তবু প্রাতঃবেলা গাছেরা দুলে দুলে প্রথমে তারই খোঁজ করে। নির্জন বুনোপথ, দুর্ভেদ্য গহীন অরণ্যে শ্বাপদপ্রতিম চলাফেরা। কখনো দোয়েল উড়ে এসে কাঁধে বসল, কখনো লাজুক ভালুক গা চুলকে ছাতিমের আড়ালে। কিম্বা আষাঢ়ের বাজ খেয়ে অন্ধ হায়না ল্যা-ল্যা করতে করতে হঠাৎ খৈনি চেয়ে হাত পাতল। সবই শোনা কথা, তবে সম্ভব। হয়ত একপাল মাংসাশী সহচর সহ কাঁধে ঝুলন্ত লেপার্ড, এ দৃশ্যও মানুষ অচিরে দেখবে। কোলে বিড়ে পাকিয়ে ময়ালের ছা। অসম্ভব কিছুই না। কারণ, এভাবেই মগলা টুডু দিনক্ৰমে পাগলা টুডু হয়েছে।
    জঙ্গলের আনাচ-কানাচ, সমস্ত গাছপালা, পশুপাখি তার নখদর্পণে। একজন শাশ্বত ফরেস্ট গাইড। মজাও কম নয় মগলার জীবনে। জঙ্গল বেড়াতে নানান শৈলীর বাবু। কেউ হয়ত শুকনো পাতা খুঁজে বেড়াচ্ছে, কেউ-বা স্ন্যাপের পর স্ন্যাপ। হয়ত কেউ এক ইঞ্চি শেকড় টুনিয়ে নিল তরুতল থেকে, কিম্বা দুষ্প্রাপ্য পোকা হোমিওপ্যাথির শিশিতে। কাগজে ঘনঘন নোট লিখে যাচ্ছে কেউ, এসব মগলার পক্ষে দুঃসাধ্য। তবু মজা আছে। সে পায়।
    পিকনিকের বাবুরা এলে অন্য ব্যাপার। খুব মোবাইল, ক্যামেরা, নাচ হুল্লোড়, কিলকারি। বাবুরা সারাদিন গেঞ্জি আর ঢলা প্যান্টে, মুখে সিগারেট, জানালার ধারে শুয়ে। আর বিবিরা মুখে গুলগুলা মেখে গাছের তলায় মাংসভাত। একবার খুব অবাক করা মজা হলো। একটা ধাড়ি মেয়ে খরগোশের পেছনে ছুটে জঙ্গলে হারিয়ে গেল। তাকে খুঁজতে একটা বাবু গেল, সেও ফিরল না। সেই দুজনকে খুঁজতে আরও দুজন বাবু গেল। তারাও ফিরল না। তারপর সাঁঝবেলায় সবাই একসঙ্গে ফিরে এল।
    তারপর হয়ত নতুন বিয়ে করে বউকে জঙ্গল দেখাতে নিয়ে এল যুবক। কিন্তু জঙ্গল দেখায় না। টাইগার প্রজেক্টের রেস্ট হাউসে কামরা বুক, কিন্তু দম্পতি বাস করে গাছবাড়িতে। বাড়ির দেয়াল মুহুর্মুহু দোলে, আর তামাকের কড়া ধোঁয়া। মগলা থৈ পায় না, মোটা বখশিস হাতে শূন্য মাথায় বসে থাকে। কখনো ছেলেটা হয়ত ওর সিড়িঙ্গে ঢ্যাঙা শরীরটা নিয়ে স্রেফ তোয়ালে জড়িয়ে বাঁশের দরজা ফুঁড়ে জলের বোতল চাইল, ব্যস ঐটুকু।। মগলা মাথা খুজিয়ে খৈনির ডিবে খুলে বসে।
    এভাবে কত কবি, গাইয়ে, আউল-বাউল, পাগল আজ জঙ্গলে, কাতারে কাতারে। সেবার এমনি, এক বাঙালি রুডিয়ার্ড এলেন জঙ্গল সরজমিনে। জীবনে নাকি প্রচুর জঙ্গল ঘুরেছেন, পশুপাখি সব চেনা, ডজন নভেল, দুশো গল্প জঙ্গলে বসে লেখা। তদুপরি ওয়াইল্ড লাইফ ফোটোগ্রাফার, রাষ্ট্রপতি আদৃত।
    সেই রুডিয়ার্ড বাবুকে নিয়ে মগলা গাছের মাথায় চড়ে বসল। জঙ্গলের বাইরে ছিল বিকেল, কিন্তু ঢুকেই অন্ধকার সাঁঝ। মধ্যে মধ্যে পাতার ফোঁকর গলে দু-চার ছিঁটে রোদ। ঝাড়খণ্ডের গোখরো মশা, সে যেমন সাইজ তেমনি খুঁখার, মেছো রক্তের স্বাদ পেয়ে ঝুলে পড়ল। তারবাদে বাদুড়ের ট্রাপিজ, ব্যাঙ আর ঝিঁঝির কনসার্ট। সব মিলিয়ে দারুণ জমজমাট। ফলত ফ্লাস্কে চা, রামের পাঁইট, জল, বড় টর্চ আর ওষুধপত্র ইত্যাদি গুছিয়েই বাবু বললেন, 'মাইরি মগলু, তুমি না এলে রাতের জঙ্গল দেখাই হতো না।' এবং সিগারেট ধরাতে উদ্যত হলেন।
    মগলা বলল, 'জঙ্গলে বইসে সিগরেট খাবিস? আজ বাঘ তুকে লিবেক।'
    বাঘ? বাবু এতদূর ভাবেননি। আসলে সার্কাসে জ্বলন্ত রিঙের ফাঁকে বাঘের ডাইভ দেখে বড় হয়েছেন। কিন্তু জঙ্গলে রিয়েল বাঘ, ফলে বাবু গোড়াতেই হাড় শক্ত করে বসলেন।
    যেমন যেমন অন্ধকার ঘন হয়, পাখিদের বাসায় ফেরার তাড়া। আর, ফিরে ফিরেই কথা, আড্ডা, রাগ, বচসা, খিস্তি। একসঙ্গে এত বিচিত্র ভাষার কিচিরমিচির বাবুর কানে প্রথম ফলে বিরক্ত। বললেন, 'ফাঁকা ফায়ার করে এ শালাদের থামানো যায় না, মগলু?'
    মগলা বলল, 'গুলি ছুঁড়বিস? মালখান আইসে তুকে লিবেক।'
    মালখান?
    হ্যাঁ। মালখান এখন এ জঙ্গলের বস। মগলা যথাসম্ভব বোঝাবার ছলে বলে। ওর সঙ্গে রাকা, সালমান, হুরিয়া ---- আরও তিন মাস্তান। মালখানের আবার তিনটে বউ। তাদের ছেলেপুলে, মালখান সর্দারের বিশাল গ্রূপ। যখন কলাগাছ অভিযানে বেরোয়, গ্রামকে গ্রাম খালি, কেউ কখনো সড়কি বা বল্লম দেখিয়েছে বলে রিপোর্ট নেই। একবার মালখানের দ্বিতীয় পক্ষের ছোট ছেলে, মাতি, খেলনা ভেবে পুলিশের জিপ উলটে দেয়।
    কী বুঝলেন ঈশ্বরে মালুম, রুডিয়ার্ড দমে গেলেন। মগলা জানাল, পাখিদের এই হল্লা মাঝরাত, কখনো ভোর অব্দি গড়ায়। বাবু আঁৎকে, 'তাহলে ঘুমোবো কখন?' মগলা আরেক চোট ধমক ঠুকে দিল, 'নিঁদাবি? জংগলে নিঁদাবি ত যাবি।' তাড়াতাড়ি বোতল থেকে চার ঢোঁক রাম খেয়ে বাবু ধাতস্ত।
    পাখসাট জোর ধরেছে। হল্লাবাজদের মধ্যে মাধো আর ছক্কা নামে দুটো কোকিলও, মগলা জানে। তবে আজ ওদের এনার্জি কম। বার দুই ডাকল, ব্যস হয়ে গেল। সবচেয়ে গলার ফোর্স বেশি বকগুলোর। যেমন গলা, তেমনি খিস্তিবাজ। বাবুর পিলে কেঁপে কেঁপে লুডোর গুটি। বললেন, 'চলো ভাই মগলু, ফিরে যাই। জঙ্গল দেখে আর কাজ নেই।' মগলা বলল, 'তাথেও মরবি। রাস্তাগিলানে ইখন খরিস আর খরিসবিবির সোহাগ করার টেম।' বাবু আরেক ঢোঁক রাম খেলেন।
    দেখতে দেখতে সব চুপচাপ হয়ে এলে, বাবুরও অল্প ঝিমুনি মতন লেগেছে। হাঁটুর গুঁতোয় তুলে দিল মগলা, ---- 'হা ভাল, উটো কী।'
    বাবু ঢুলু চোখে দেখল মাইঠালের জলে ক'টা হরিণ জল খেতে নেমেছে, সঙ্গে ওদের এঁড়িগেঁড়ি। ধুর, এ অনেক দেখেছি। বলে, বাবু ফের হাঁটুতে মাথা গোঁজার তালে। মগলা বলল, 'অরে উটা লয়, উয়ার পিছে ভাল।'
    নয়ানজুলির ওপারে কালো জঙ্গলটার একটা টুকরো বের হয়ে এল, আর নদীর বুকে নেমে। বাবু ভাবলেন চোখের ভুল, পরক্ষণে খাপ খাপ খুলে চশমা চোখে দিয়ে, ---- 'উরে বাব্বা! ওগুলো কী?'
    মগলা বলল, 'উ কুছু লয়। ভালুক। উগলা মহুয়ার লালচে ইধারে আসে।'
    বাবুর তৎক্ষণাৎ হিসি পেয়ে গেল। মগলা ফের ধমক দিল, 'খবরদার! তলা দিঁয়ে ভাল, পাইথন পিরাছে। উয়ার গায়ে মুতের ছিটা লাই লাইগলে তুই আজ খতম। ইদিককার পাইথন কাঁড়া সুদ্দা গিলে খায়।'
    বাবুর হয়ে গেল। নিচে তাকিয়ে দেখলেন, যেন বিশাল ভারি রশা টেনে নিয়ে যাচ্ছে কেউ। শুকনো পাতার খসর খসর। চারপাশে, গাছের মাথায় ডানা ঝাপটানোর আওয়াজ। বাবু প্রমাদ গুনলেন, উল্টো মেরু থেকে নামতা। সঙ্গে এই মানুষরূপী ভূতটা না থাকলে হুট করে খসে চোখ উল্টে দিতেন।
    আচকা সব শুনশান। চাদ্ধারে শ্মশানের টাগ অব সাইলেন্স। চাঁদের স্পটলাইট মাঝ আকাশ থেকে। মাইঠালের পাড় একজাই ফাঁকা, আর রুপোর ফিতে অবিরল চিকচিক। গাছের টঙে বসা একটা হাঁড়িচাচা রেড অ্যালার্ট সাইরেন দিল। মগলা বলল, 'বাবু সামলা। মহাপ্রভু এইসে গেছেন।'
    মহাপ্রভু!
    বাবুর পিলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হেজের বনও দুলল। দুটো নীল টুনি বাল্ব। বাবু বললেন, 'তুমি ভাই মাচানে বসে থাকো। আমি চললাম গাছের টঙে।'
    মগলা বলল, 'উটা বাঘ লয় রে বাবু। লিপার্ড। গাছের মাথা থিকে মানুষ পেইড়ে খাতে এসপার্ট।'
    বাবুর পিলে শেষ লাফান খেয়ে স্তব্ধ।
    পুলিপোস্তার জল খেয়ে লেপার্ডটা টুনি বাল্ব তুলে থমকালো। জল খেয়ে এসে ময়ালের সামনে পড়ে গেছে। মুহুর্মুহু গর্জন আর হিসহিস। মগলা বলল, 'ইবার দুই পালোয়ানে যুদ্ধ হবেক, রগড় দ্যাখ!'
    বাবু আর দেখবেন কী! মগলার ঘাড়ে মুণ্ডু ফেলে, মূর্ছা।
    বেধে গেল দুই মল্লবীরের দঙ্গল। মাঝে মাঝে গাছের পাতা চিরে চাঁদের চিরিক চিরিক স্ন্যাপ। ময়ালটা প্রথমে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে লেপার্ডটার মাজার বহর মাপার চেষ্টা করল, আর সেও তখন থাবার বাড়ি দিয়ে, কামড় দিয়ে, গর্জে। কেউ ছাড়বার পাত্র নয়। লেপার্ডর ঘনঘন হুংকার, সাপের বিকট হিসহিস। আশপাশের গাছপালা, ঝোপঝাড়, শুকনো পাতার ওপর ঝটাপটি। ফলে, খেলাটা তারিয়ে দেখবে বলে মগলা খৈনির ডিবে বের করে হাঁটু মুড়ল।
    অবশেষে, সব চুকেবুকে গেলে, মগলার খৈনি ঠোকার করাঘাতে বাবুর হুঁশ ফিরল। চোখেমুখে জলের ছিঁটে দিয়ে, 'ফিনিশিংটা কী হলো তা তো বোঝা গেল না! কোনটা শহিদ হলো দেখে আসবে?'
    মগলা বলল, 'দুটার কুনোটাই শহিদ হয় নাই বাবু। ঘন্টাভর লড়াই কইরে দুজনাই যখন এইলে গেল, প্যাঁচ ছাড়াই দুজনায় লিজের লিজের কুলায় বাপিস গেল। তুর অতগুলান তালের বঢ়া গিলা ঠিক হয় নাই বাবু, আসল খেলার টেম নিঁদে লুড়কাই গেলি। চল, ইবার মাচান-সে নাম, ঘরে যায় নিঁদাবি।'
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ৩০ জুন ২০১৭ | ১৪৬০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dd | ***:*** | ৩০ জুন ২০১৭ ০৫:৩৩60540
  • ভালো লাগলো।

    আরো পড়ান।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন