এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • হরি হে

    Nirmalya Sengupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২২ মার্চ ২০১৬ | ১৮২০ বার পঠিত
  • বসন্তের আগমনের প্রাক্কালে, হিমের পরশ লেগে আছে আঙ্গুলের ডগায়, গালের চাকচিক্যে, মাছের ঝোলে। চারিদিকে ছড়িয়ে আছে পেঁজা তুলো অথবা কাশফুলের মত ভাঙ্গা কাঁচের টুকরো। দুপুর হতেই সার বেঁধে ঝিঝিপোকার দল এক্কাদোক্কা খেলতে খেলতে এগিয়ে আসে পিচ রাস্তার ধার বেয়ে। এমন প্রযুক্তি-যুগের মা মাসীদের প্রোফাইল পিকচারে দেখা যায় চরম আবেদনময় রকমারি বাহার। পাড়ার মোড়ের টিউবয়েল হোক কিমবা মধ্যরাত্রের কেব্‌ল টিভি, উভয়েই ঠান্ডা করে তৃষ্ণার ঘোরতর প্রকোপ। তুলকালাম বেঁধেছে তুলকালাম। জনৈক পাড়াতুতো মিঠুন চক্রবর্তীর খোলামেলা ভোট প্রচারের মতই আমাদের দিন কেটে যায় কলকাতায়। আমিও কাটাই। তুমিও কাটাও। কাটায় হরিপ্রসাদ। হরিপ্রসাদ আমাদের গল্পের নায়ক। উঁহু, মোটেই একেবারে প্রথমেই তার সব তথ্য আমি দিয়ে দেবনা। সে আসিবে। বুক চিতিয়ে আসিবে গল্পের মধ্যাহ্নে। বলিবে, আমার তো সেটিং হয়ে গেছে আর আপনার? মোটেই তোমার সেটিং হয়নি হরিপ্রসাদ। ওই তো দেখা যাচ্ছে অ্যাডামস্‌ অ্যাপেলের দু ইঞ্চি নীচে বিউটি বোনের আনাগোনা। খসখসে বোরোলীন-হীন ত্বক আর ড্যান্ড্রাফময় পক্ককেশ। পরিহিত আধফাটা ভারতীয় ডলারে বিড়ির ছ্যাঁকা এবং সানি দেওলের ব্যাডলাক। রোসো হরিপ্রসাদ রোসো। গল্পটাকে প্রথমে পাকতে দাও।

    এরপর কাল গেল, পরশু গেল, তরশুও এসে গেল অভিধানে। বসন্ত গিয়ে এল পাকা পাকা আম। হরিপ্রসাদের বয়স বাড়ল আরও এক অ্যান্ড্রোমেডা। আমার থুতনীর মধ্যিখানে গজাল আরও খান বিশেক দাড়ি। এমনই এক বসন্ত দিনে বড়ই গোলমাল করেছিলাম। বয়স তখন সাড়ে সাত বোধহয়। বদমাশ বাপটা ঘাড়ে করে নিয়ে যাচ্ছে পাড়ার সেলুনে। আমায় নেড়া করবে। আমি তা চাইব কেন? আমি উধোও নই, বুধোও নই, তালব্য শ তো নইই বটে। তখনই কোমর বাইশের আধপ্যাটকা লোকটাকে প্রথম দেখেছিলাম। আরে খোক্কাবাবু, কুথা যান? বুঝলাম বাবাকে সম্মোধন করছে খোক্কাবাবু বলে। বাবা বলল এই যে হরিদা ধরে নিয়ে যাও তো। বাপ রে। আমার তো ঢিলে হয়ে গেছে ততক্ষণে। আড়চোখে দেখে নিয়েছি ব্যাটার এক হাতে তিন আঙ্গুল। পরশুই বি সেকশনের সুমন বলেছে কিসব এলিয়েন নাকি আমাদের পৃথিবীতে আসছে। ও দেখে এসেছে ইন্ডিপেন্ডেন্স ডে। জেনে এসেছে এলিয়েনদের তিন আঙ্গুল, হ্যাঁ নির্ঘাত তিনটে আঙ্গুলই বটে। এইভাবেই আমার জীবনে এন্ট্রি নেয় তিন আঙ্গুলি এলিয়েন থুড়ি হরিপ্রসাদ।

    সুমনকে জানাতেই হল। সুমন ভেবেচিন্তে বলল হুমম্‌। ফাঁড়া আছে তোর। ওদের চোখে ক্যামেরা থাকে। ছবি তুলে নিয়েছে শিওর। তুই এক কাজ করবি। ওকে দেখলে মোটেও পালাবিনা। ট্যারা হয়ে তাকাবি। ওরা তাহলে চিনতে পারেনা।

    আমি বাড়ি ফিরে চেষ্টা করতে থাকলাম। বড় কঠিন ট্যারা হওয়া। চোখের সামনে সব ডবল ডবল। মাথায় একটু পরেই চিনচিনে ব্যথা। আঙ্গুলটাকে নাকের কাছে এনে অতিকষ্টে ট্যারা হয়া যায়। এবার আমার মৃত্যু অনির্বার্য্য।

    হরিপ্রসাদের স্থায়ী আস্তানা আমাদের পাড়ার মোড়ের রিকশা স্ট্যান্ডে। হরিপ্রসাদের রিকশার পিছনে লেখা ‘গলায় জুতোর মালা/ বগল তুলে পালা।’ কী ভয়ানক আবদার মাইরি! হরিপ্রসাদের জিগরি দোস্ত হল বলরাম। মাথাভরা টাক, কুতকুতে চোখ আর প্রবল বেঁটে। দুই ইয়ারে বহত দোস্তি। একদিন স্কুল থেকে ফিরছি। অন্যমনস্ক হয়ে। পায়ে গোত্তা লাগতে দেখি, ও হরি! এ যে হরিপ্রসাদ। এক্কেবারে মরে গেছে দেখছি। আমি কী তবে ভুলবশত ট্যারা হয়ে গেছিলাম? হুরররে। মেরে দিয়েছি এলিয়েনটাকে। এহ মুখ থেকে গ্যাজলা বেড়িয়ে গেছে দেখছি পুরো। কী পাওয়ার আমার চোখে।

    হা হতস্মি। কয়েক মুহুর্ত পরেই মড়াটা একটু নড়ে উঠল। তারপরেই লুঙ্গিটাকে খিমচে ধরে উঠে বসলেন হরিপ্রসাদ। অকস্মাৎ এই রেজারেকশানে আমার তো পিলে ফেটে যাওয়ার জোগাড়। মাগ্‌গো! বলে ছুটে দৌড় লাগালাম। সুমনের কাল হচ্ছে!

    এরপর গেল আরও তিন চার বছর। আমি তখন কলেজ ঢুকব। আয়নায় তখন জাজ্বল্যমান প্রতিবিম্বের ভীনদেশী শাহরুখ খান। বুকে তখন ভীমনাগের যুদ্ধনিনাদ। হরিপ্রসাদ মরেনি সেবার। তবে মরতে বেশি দেরী নেই। কারণ আমি জেনে গেছি, আমার চোখের ট্যারাত্ব নয়, লক্ষ কোটি হরিপ্রসাদের আয়ু খাচ্ছে পাড়ার মোড়ের চোলাইখানা। হরিপ্রসাদের মতই জনে জনে নাম লেখাচ্ছে সে লাইনে। দাম বেশি নয়, মাত্র পাঁচ টাকা। ছোট্ট মাদার ডেয়ারীর দুধের প্যাকেট। তাতেই ভরা থাকছে বাসুকীর বিষ। মোহিনীর ছদ্মবেশে প্রবেশ করছে অজস্র নীলকন্ঠের দেহে। পচা ভাত, বিষাক্ত রাসায়নিক ও মাদকদ্রব্যের সেই সম্পৃক্ত মিশ্রণ এনে দিচ্ছে স্বর্গসুখ। নিমেষে ছুমন্তর সারাদিনের ক্লান্তি, হতাশা, রোজগার। আমার এলিয়েনগুলো ঝিমিয়ে যাচ্ছে আসতে আসতে। এমন তো হতে দেওয়া যায়না। প্রতিবাদী দল বানালাম। দুঃসাহসী কিছু আঠারো এগিয়ে এল আমার সাথে। কিন্তু করব কী? চোলাই দোকানের মালিক যে সে নয়। রাজনীতির ভেন্টিলেটরে তাদের কবজীর জোরের বাতাস চলাচল। একে ওকে জিজ্ঞাসা করলাম, কেন খাও চোলাই। কেউ বলে, আর কী খাব? ইংলিসের তো অনেক দাম। কেউ বলে, তাগদ পাই শরীরে। আমার কেউ বলল তোর বাপের কী রে? বেশি জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলেই চোখ রাঙ্গানো। এক আঠারো বলল ওরে কি করবি তুই? কেলিয়ে পাট পাট করে দেবে এরা। আস্তে আস্তে পিছু হটল সবাই। আমি হতাশ চোখে দেখলাম গুর্দার ঘুগনী সহযোগে সে চার-পেয় জিন্দেগী। আর আমার হরিপ্রসাদ ট্যারা হয়ে আমাকে তিন আঙ্গুলেও ভিক্টরি সাইন দেখাচ্ছে। মিটিমিটি হেসে বলছে পারলেনা তো খোঁক্কাবাবু। গরীবের শেষ সুখ ছিনিয়ে নেওয়া যায়না অত সহজে।

    পরপোকার ততদিনই ভাল, যতদিন নিজের ধড়ে প্রাণ থাকে। তাতে টান পড়লেই গ্যাসবেলুনে লিক। মরুক গে এরা, আমার বিপ গেছে, বলে রণে ভঙ্গ দিলাম আমি। পড়ে রইল প্রতিবাদের গান, পড়ে রইল হরিপ্রসাদ রোমান্স।

    স্মৃতিচারন করতে করতে ধপাস করে বর্তমানে এলে কোমরে বড় টান ধরে। বসন্তকাল পেরিয়েছে। শিউলির সুবাসে মেখেছে পাউডার মিশ্রিত ঘামের গন্ধ। চ্যাটচ্যাটে সকালে অটোর লাইনে দাঁড়িয়ে তৃষ্ণার্ত মুখে তাকিয়ে দেখি একটু বেশি বড়লোকগুলো ডাবের জল খাচ্ছে। একটু পরেই পৌছে যাব অফিসে। শুরু হয়ে যাবে বসের তীব্র গালাগাল। ক্লান্তিতে ডুবে সন্ধেবেলায় লাইন দেব ফরেন লিকার অফ শপে। আমার প্রতিবাদ মিছিল আস্তে আস্তে পিছু হটবে আমারই ভিতর থেকে। অটোস্ট্যান্ডের অদূরবীন দূরত্বেই আছে সেই চোলাই এর দোকান। বছর দুয়েক আগে যার সমাপতন ঘটেছে। পরিবত্তন এসেচে আমার মঙ্গলের মাটিতে। হঠাৎ বিদ্যুতবেগে মনে পড়ল, সেরেছে, আমার কাছে তো খুচরো নেই একদম। অটোওয়ালা তো সিধে খেঁদিয়ে দেবে।

    রাস্তা পার করে বাসে উঠতে যাব, দেখি একটা ছোটখাটো ভীড়। অ্যাক্সিডেন্ট নাকি? উকি মেরে দেখি একটা বয়স্ক লোক। কুকুরের মত গুটিয়ে শুয়ে আছে। লোকের মুখে শুনলাম মরে কাঠ একেবারে। নাহ, চোলাই খেয়ে নয়। গরম সহ্য করতে পারেনি বোধহয়। বাষ্প হয়ে বেরিয়ে গেছে প্রাণ। মুখটা দেখতে পারছিনা লোকটার। ড্যান্ড্রাফময় পক্ককেশ, ফুটো স্যান্ডো গেঞ্জি, রুক্ষ ত্বকের প্রাক্তণ মালিক আমাকে চমকে দিল হঠাৎ। আমি তাড়াতাড়ি উঠে গেলাম বাসে।

    কিছুক্ষণের মধ্যে বাস ছেড়ে দিল। আমি বেতো রুগীর মত ঘাড় ঘুরিয়ে রইলাম অন্যদিকে। না, দেখবনা কিছুতেই। তাকাবনা হাতের দিকে। কে বলতে পারে একটা তিনটে আঙ্গুলওয়ালা মানুষ শুয়ে শুয়ে আমাকে শেষ বিদায় জানাচ্ছে কিনা? শূন্য চোখে বলছে কিনা, খোঁক্কাবাবু, ট্যারা কেন তুমি? আমি তো মরিনি। দিব্যি বেঁচে আছি কুঁকড়ে মুকরে। এলিয়েন অত সহজে মরেনা। চল্লিশ বছরের খাটুনি পারলনা আর পাঁচ টাকার পাউচ মেরে ফেলবে? ইল্লি নাকি! এরপর তিন আঙ্গুল দেখিয়ে বলবে, মনে রেখো খোঁক্কাবাবু। এ জিন্দেগীতে তিনটে সত্যি। আজ তুমি বাঁচবে, কাল যে তোমায় বাঁচাবে। মরতে হলে কুঁকড়ে গিয়েই মরতে হয়। বাঁচা কী অত সহজ খোঁক্কাবাবু? মাল খেয়ে তবু বেঁচে থাকা যায়, গাল খেয়ে নয়.।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২২ মার্চ ২০১৬ | ১৮২০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন