এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ভোররঙের পৃথিবী

    উদয়ন ঘোষচৌধুরি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১১ মে ২০১৬ | ৯৯০ বার পঠিত
  • সে প্রায় গতজন্মের গপ্পো। চিন্টু তখন হাপপ্যান্টুলে। বিকেলগুলো পাড়ার লাইব্রেরিতে ঝুঁকে কাটিয়ে দ্যায় সে, যে সময় বাকিরা ফুটবল আর কোচিং পিটছে। কলকাতা থেকে আসতেন যে লাইব্রেরিয়ান যুবতী, ছিপছিপে শাড়ি ও চশমা; টয়লেটে যাতায়াতের পথে আশ্চর্য দেখতেন এক ব্রণওলা ক্যাবলা কিশোর, ফ্যালফেলিয়ে রয়েছে অন্ধকার হতে থাকা টেবিলের ওপর। চিন্টু কখনওই কোনও দেবতা ছিল না। পেট-পিঠ মিশে যাওয়া কোমরের খাঁজে সে সময় সে প্র্যাকটিস করত বই-ঝাড়া শিল্প। আর এমনই এক সোনালি গোধূলিতে সে ঝেড়েছিল একটা পত্রিকা। 'যষ্টিমধু' নাম; পাতায় পাতায় হাসি আর শ্লেষ দিয়ে মোড়া; এখন পটল তুলেছে। সেই সংখ্যার মলাটে ছিল একটা কার্টুন। পথচলতি রেস্তোরাঁ-কেবিনে মুখোমুখি এক নাকলম্বা প্রেমিক-প্রেমিকা। সামনে ধোঁয়া পাকানো কাপ। গালে হাত মেয়েটির আদুরে সওয়াল, “আমাদের নববর্ষে শুধুই কি চা?” ক্যাওড়া টাইপ ছেলেটির ঝটিতি ফেরত, “তোমাকে ঘরে তুলি, আগে ভরুক খাঁচা!” চিন্টু এর পর অনেক বিকেল পেরিয়েছে, অনেক ছন্দ, অনেক কবিতা পেরিয়েছে – কিন্তু জীবনবোধের অমন তাৎপর্য দু লাইনে আর আবিষ্কার করতে পারেনি। ভেবেছিল, 'কালেক্টর’স কপি' করে রেখে দেবে। কিন্তু হাপপ্যান্টুলগুলোর মতো, ডাকনামের আত্মীয়তার মতো সেটাও কবে একটা হাওয়া হয়ে গ্যাছে। বঙ্গবাসী কলেজের উলটো দিকে বাবুদার লেবুচা খেতে খেতে শ্রাবণী যখন চিন্টুকে আর চিন্টু সুদেষ্ণাকে লাইন মারত, মানে, মারার চেষ্টা করত, বাইরে সে ‘মুকদ্দর কা সিকন্দর’ সাজলেও ভেতরে ভেতরে জপে যেত ওই অমোঘ দু লাইন। আর ওই লেবুচা-ই সেই শক্তি দিয়েছিল চিন্টুকে, ক্লাস কেটে একদিন সুলক্ষনার সঙ্গে কলেজ স্ট্রিট – হ্যাঁ, হাড়হিম হাড়কাটা গলির ভেতর দিয়ে, বয়েসসুলভ উত্তেজনায়। সুলক্ষনা, কলকাতায় বাড়ি, লোরেটোর স্টুডেন্ট, পাখির মতো স্বর আর এত্তো ফর্সা যে, নীল শিরাগুলো ত্বকের গায়ে নদী ফুটে আছে। চিন্টু চিঁচিঁ করছে, সুলক্ষনা বলে যাচ্ছে, যেমন নদী তার ঢেউ বলে যায়। আর কর্পোরেশনের পাশ দিয়ে কলেজ স্কোয়ারে পড়েই বলল, “অ্যাই, ভাল একটা জামা দ্যাখ তো!” চিন্টু বেবাক, “বললি যে 'রাইডার্স টু দ্য সি' কিনবি!” সুলক্ষনা শুধরোয়, “জামাটা উর্মিলার জন্যে, ওর তো ব্রা-প্যান্টি ছাড়া জোটে না!” চিন্টুর কান জ্বালা করতে শুরু করেছিল। আর চোখে ততক্ষণে গেঁথে গেছিল সামনের চা-স্টলে সেঁটে যাওয়া ধুন্ধুমার এক পোস্টার। দৃষ্টিসীমান্ত-জোড়া বালুবেলায় উথালপাথাল এক তরুণী – ‘'তনহা তনহা ইঁহাপে জিনা...’'। 'রঙ্গিলা'। চিন্টু দেখছিল, ওই যে ওপাশের চেকলুঙ্গি উবু বসে এক ভাঁড় চা ধরে জুলজুল মাপছে উর্মিলার খাঁজ, আসলে নিজেই সাময়িক সরিয়ে রাখছে ব্যক্তিগত তনহা আর মাখিয়ে তুলছে অন্তর্দাহের বেঁচে থাকা নরম।

    সকলেই যা ভাবে, চিন্টুও ভাবত, এই শহরটা আরেকবার ঠাঁটিয়ে উঠবে। সেই ‘ভারত আবার জগতসভা’-র মতো। ঝাণ্ডা ফেস্টুন গলাবাজি মিছিল বয়কট কবিতা লিটলম্যাগ ধোলাইখাওয়া পুলিশ খবরেরকাগজ। আর এগুলোর ফাঁকে ফাঁকে কমা-র মতো লেগে থাকত অর্জুনদার চা। রিপন হোস্টেলের পাশে। ভাগ করে নেওয়া উষ্ণতা। অর্জুনদার হাইপাওয়ার চশমা। ভারিক্কি। হাসত না। কথা বলত খুব কম। শুধু স্নেহ আর প্রশ্রয় ভাঁড়ে করে এগিয়ে দিত চিন্টুদের দিকে। চিন্টু তখনও জানত না, এই চা-খাওয়াগুলো আসলে গোলামির ইতিহাস। প্রত্যেকটা ভাঁড়ের গায়ে লেগে আছে ঔপনিবেশিক ক্লেদ। অনেকগুলো না-খেতে পাওয়া জড়িয়ে আছে যার পরতে পরতে। কিন্তু জেনে ফ্যালা খুব বিপজ্জনক। আর তাই-ই হল। ওইসব দেখেচলুন-ভোটদিন-হাতটাসরান-চাকরিনেই-সফলকরুন-ধুরবালটা-আস্তেলেডিস-মানছিনার গড্ডলিকা আদিখ্যেতা নিয়ে শহর শুয়ে রইল পাশ ফিরে। শুধু চিন্টু রেগে গ্যালো। লাথি মেরে চলে গ্যালো একদিন। অনেক বছর পর, ছুটিতে ফিরে শুনল, অর্জুনদা মারা গ্যাছে। অনেকটা পালটে গ্যাছে স্বপ্নদের মুখ। আর এখন সেই মুখগুলোতে সেলামি দিয়ে চলেছে তার ছেলে। দোকানটা এখন সে-ই চালায়।

    সত্যি বলতে, চিন্টু কোনও দিনই চায়ের দোকানে প্রকৃত আড্ডা দ্যায়নি; বলা ভালো, ভাঁড়ে মা জওয়ানি কোনও দিনই তার নসিবে জোটেনি। তার ঠেক ছিল রেলস্টেশন। ক্বচিৎ পেয়ে যাওয়া দু টাকায় বড়বাবুর দোকানের মুড়ি-চানাচুর আর ফ্রিতে নেওয়া সর্ষের তেল। ওই যে ওরা – সোনা, সালাউদ্দিন, পল্টু, নঈম – ওদের সঙ্গেই খিস্তি-হিন্দিগান-রাসমনিস্কুল-দিব্যাভারতি নিয়ে গড়িয়ে যায় অমৃতআমোদের ঘড়ি। বউবাজারে গয়নার দোকান স্বপনের বাবার, মারহাব্বা কেৎ; গঙ্গা কাল প্রথম নাকি হাত ঢোকাতে দিয়েছে কামিজের ভেতর, মুডে ছিল; আমগাছতলার দোকানে চেঁচিয়ে বলে দিল, “ছ’টাকে আটটা, ভাবী!” চিন্টু তখন চুপিচুপি সন্ধ্যের আমগাছে কালো হয়ে যাওয়া কাকগুলোকে খুঁজছে; সদ্য বসানো নিওনের তেজে ওরা ঘুমোতে পারে না; কা কা ওড়াউরি করে সারারাত, ভাবে এই বুঝি ভোর হয়ে গ্যালো। আর সেই চা-দোকানি বিহারী ভাবী, পানের ছোপ পড়া দাঁত, তেলচিটে কাপড়, নখে কয়েকসপ্তার ময়লা, হামেশা বিড়ি টানে বলে তিঘিন্নে দুটো ঠোঁট, অথচ আগাপাশতলা চিত্তদোল ঠেঁট মাধুর্য আর থুৎনিতে বেশুমার মুস্কান; যার নিকম্মা স্বামীর এত চর্বি আর এত পাউডার মাখে যে মনে হয় চলন্ত আটার বস্তা – সেই ভাবী কলাইয়ের ফাটা থালায় বাড়িয়ে দিল কয়েকটা গ্লাস। চিন্টু দেখছে গ্লাসের চা চলকে পড়েছে থালায় আর নিঃশব্দে ভিজে কুঁচকে উঠেছে আঙুলের হাকুচকালো চামড়া; দুলতে থাকা চায়ের রঙে অনেকটা যেন কুসুমছোঁয়া, যেমন লেগে থাকে বড়লোকদের ক্যালেন্ডারে কিম্বা 'পিয়াসি দুলহন'-এ হিরোইনের থাইসন্ধিতে – আর সে সময়ই ভাবী তার ভাঙা বাংলায় চিন্টুকে টিটকিরি দিয়ে ওঠে, “অ্যাই, তুমি কি লিপস্টিক মাখো? ঠোঁটগুলো এত লাল!” বাকিরা হ্যা হ্যা হাসে, যেন যৌনরসের এত বড় উপঢৌকন এ মাটিতে এর আগে নামেনি। চিন্টু বিভ্রান্ত, আরও লাল হয়ে যায় তার লজ্জারাগ; সে আসলে আশ্রয় খোঁজে ওই কাকগুলোরই মতো; কিছুই না পেয়ে দ্রুত একটা বিড়ি জ্বালায় নিজেকে নিষ্ঠুর পুড়িয়ে তুলতে।

    চিন্টু এর পর থেকে ওই দোকানে আর যেত না। আশপাশ দিয়ে ভাবীকে যেতে দেখলেই সোনা তেরিয়া চেঁচাত, “ওই দ্যাখ তোর মাল যাচ্ছে!” চিন্টু পালাতে চাইত – মল্লিকপুর স্টেশন থেকে, শ্যাওলা-পড়া জীবন থেকে – সর্বশক্তি দিয়ে পালাতে চাইত সে। পালাতে পালাতে পেছন ঘুরে দেখত আমগাছটা কিভাবে তার সমস্ত বাহু মেলে আগলে রেখেছে কাকগুলোকে। রেলওয়ের লোকেরা কুড়ুল নিয়ে আসছে, তবুও গাছটা কাকেদের কর্কশ পালকে মাখিয়ে তুলছে ঘুমের আদর। আর ভাবী তার যাবতীয় ন্যুব্জমাধুরী নিয়ে ড্রেনের ধারে ধুয়ে চলেছে মানুষের থুতু আর লালা মাখা ক্লেদাক্ত গ্লাস। চায়ে-জলে মাখামাখি গ্লাসগুলোতে ঘুরে চলেছে ভাবীর হতকুচ্ছিত আঙুল। আর সেই শরীরীছোঁয়ায় তরলেরা মেখে উঠছে এক জ্যান্ত ভোরের স্বপ্নকুসুম রং।

    (agamikal.com-এ প্রকাশিত)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১১ মে ২০১৬ | ৯৯০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sosen | ***:*** | ১১ মে ২০১৬ ০৫:২৪53994
  • এখানে চিন্টুবাবুকে কি করে ট্যাগ করা যায়?
  • অসামান্য | ***:*** | ১১ মে ২০১৬ ০৬:১৭53995
  • অসাধারণ লাগল।
  • 0 | ***:*** | ১২ মে ২০১৬ ১১:৫১53996
  • খুব সুন্দর। নিজস্বতায় ভরা, শক্তিশালী আর মরমী লেখা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন