এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • সব দো, শব দো *

    উদয়ন ঘোষচৌধুরি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৩ অক্টোবর ২০১৫ | ৯৮৬ বার পঠিত
  • মঙ্গল পাণ্ডে নয়; চিল্লেছিল আমির খান, প্রবল বাবরি আর গোঁফ বাগিয়ে। 'হলল্লা বোল'। আমিরি চুলের মেন্টেনেন্স খরচা উঠেছিল কি না সন্দেহ, তবে পাবলিক হল্লাটা খেয়েছিল। ওটা খাওয়া পাবলিকের ঐকান্তিক ধর্ম। কেউ মরছে কি না, কেউ ধুঁকছে কি না, কেউ তার বিষাদফোঁড়ায় আলতো হাত রাখছে কি না – সে জেনে পাবলিকের কি! পাবলিক বেঁচে আছে এবং সাংঘাতিক তীব্ররূপে আছে – সেটা সক্কলের জানা দরকার। জানানো তার হক। সে জন্যেই ঈশ্বরবাবু তাকে গলা দিয়েছে। এবার তো বাকিদের গলায় সে পা তুলবেই। ইস্কুলে চুকিৎকিৎ বা কমপ্লেক্সে হাডুডু – স্রেফ চিল্লে জেতার কৌশলটা ধরে নিন। মারি অরি পারি তো গলা খুলে। সঙ্গে ‘সভ্যতা’ নামের বায়বীয় বস্তুটি জুড়ে দিয়েছে সুপারহিট দুই মহার্ঘ – ‘ধম্মো’ আর ‘সঙোস্কিতি’। ইদানীং তো সোমবচ্ছর ত্যাঁদোড়পনার গণমোচ্ছব। স্রেফ ধুয়ো তুললেই ফুর্তির মাঠ। যিশু হোক কি গণেশ, নেমে পড়ুন তাগড়াই মাইক উঁচিয়ে। দুগ্গা হলে তো কথাই নেই। মহালয়া থেকে এস্টাট। যা দেবী গুঁতিয়ে দিবি হামলে বিগড়ে উঠবি না। অ্যালার্ম গুঁতিয়ে পাড়া কাঁপিয়ে 'জাগোওওও...'। ৩৬৪ দিন উলটে ঘুমোও, নো পরোয়া। ওই একটা দিন কিন্তু দুনিয়াকে জাগাতেই হবে। কেন-না, ‘ভদ্র’ তো শুধু বীরেন্দ্রকৃষ্ণ – আমরা থোড়ি। অতঃপর লাইন দিয়ে – লক্ষ্মী, কালী, জগদ্ধাত্রী, কার্তিক, অঘ্রাণ, পৌষ, মাঘ। আহা, শীত পড়ুক না পড়ুক, অদ্য পিকনিক তো। অতএব কে আছ জোয়ান, মাঠ-ময়দান। রাম্পাট বক্স, চৌহদ্দিতে কাক-চিল ঢুকতে দেব না। চড়ুইভাতির নামে এমন গাঁতিয়ে গান বাজাব, চড়ুইদের বাবার ভাত মেরে দেব। সঙ্গে দোসর সুগ্রীব, বিয়েবাড়ি। চাড্ডি কুখাদ্য আর অ্যান্টাসিড ঠেঙিয়ে কান পেতে শুনবেন, তোমার বাড়ির সামনে দিয়ে আমার মরণযাত্রা যে দিন যাবে। কনে’র বুক এক কোণে টলমল, মাইরি তোমায় ভুলিনি গো, বল্টুদা। একটু দম ফেলবেন কি ফেলবেন না, এলাকার ফুটফুটে দেড় ফুট খালি জায়গায় ফুলটুস সরস্বতী-সামিয়ানা। সেথায় ধুন্ধুমার 'হুক্কা বার'। সরকারি নিষেধকে একশো-আট বার দেখিয়ে বিদ্যেধরদের হ্যালনাচন। তারপর হোলি। তারপর এসো হে বৈশাখ, বোসো হে বৈশাখ। চির-আদিখ্যেতার ‘রোবিন্দোনাত’ (হালে, ‘বিবেকান্দ’)। তারপর, তারপর। যে দিকেই যাও, গাঁকগাঁক ধর্ষণ অব্যাহত। তব জয়গাথা, রুকিবে কোন গাধা?

    চিৎকার প্রাণীর স্বাভাবিক ব্যাপার। অনেকটা সংবিধানের মৌলিক অধিকারের মতো। এমনকি আপাত-বোবা জিরাফও ফাঁকতালে শীৎকারটি মারে। তবে আমরা হলুম ‘উল্লত’ প্রজাতি, নিজের গলায় যখন তখন চিল্লোই না। শুধু সাতসকালে এফএম খুলে দিই জাঁকিয়ে। কিম্বা এমটিভিতে 'কিকঅ্যাস মর্নিং'। উঁহু, শুনতে নয়, এলাকাকে শোনাতে। ওপরের ফ্ল্যাটের মর্নিং শিফট, ধাঁ-যুবক গমগমিয়ে বাইক হাঁকড়ে বেরোয়; গ্রাউন্ড ফ্লোরের হৃদকম্প বুড়ো কাশতে কাশতে ক্যালেন্ডার দ্যাখে। সুদিন কবে আসবে, সুপর্ণা, সকালটা একটু শান্তিতে ঘুমোব! নিচের ভাড়াটে নাইট ডিউটি করে সবে মাত্তর শুয়েছে; দোতলায় বাড়িওলার আদুরে নাতি ধাঁইদুমদাম। কি রে বাওয়া, আগেরবার তুইই কি পেল্লাদ ছিলি? বাড়িওলার বাঁধানো হাসি, হেহে, বাচ্চা তো, সামার ভ্যাকেশন চলছে, এই রোদ্দুরে কোথায় আর যাবে, তাই এট্টু বল খেলছে! ওই ‘এট্টু’-র মাথায় মধ্যবিত্ত যন্ত্রণার গিঁট্টু মেরে ভাড়াটে, হ্যাঁহ্যাঁ তাইতো! নাতির ভ্যাকেশন ফুরোয়, আমোদের অ্যাকশন ফুরোয় না। ডান দিকের ফ্ল্যাটে কারপেন্টার আসে। তার ড্রিলমে মেরে হ্যায় দর্দ-এ-ডিসকো। বাঁ দিক ভেবেচিন্তে আনে নতুন টাইলস। পুরনোগুলো খোলার আওয়াজে ব্রেনের স্ক্রু খুলে যায়। আহা, তব শতফুল বিকশিত হোক, প্রভু, একটু ঘুমোতে দাও; আজও যে ফের নাইট শিফ্ট। চোখের কালারে জয় গোঁসাই-এর 'রক্তগাঁজাদম' ফেল। মনিটরের ওপরেই ঢুলে পড়ছিল প্রায়, ইনবক্সে পিং। ক্লায়েন্টের টেঁটিয়া আবদার অথবা বসের স্নেহময় রিমাইন্ডার। এ রকম সিকোয়েন্সে গান বাঁধতে হলে হেমন্ত সুচিত্রাকে নির্ঘাত বলে বসত – এই রাত তোমার বাবার!

    নিজের উপস্থিতি জানান দেওয়া যে কোনও প্রাণের ধর্ম। সভ্যতার ইউরিয়া যথেচ্ছ চিবিয়ে মানুষ সেই ধর্ম জাহির করতে বেরোয়। যাবতীয় সারেগামা; মূল জপমন্ত্র, মুখে ঘষে দিও ঝামা। পয়দা ইস্তক ওঁয়া ওঁয়া। এক বার ডুকরি ছাড়লেই কেল্লা ফতে। ঘরে ঘরে ঘ্যানঘ্যানে ঘোঁতন। রাত দেড়টায় তার হাউমাউচাউ। কানে আস্ত বালিশ গুঁজেও নো রেহাই। দাদু-দিদা-কাকা-কাকি-কাজিন লাইন দিয়ে জেনে যাচ্ছে শ্রীঘোঁতনের আবদার। একেবারে মিনি জলসা। কৌশলটা বুঝে ফেলেছে ঘোঁতন। বড় হতে হতে আরও বুঝে যায়। হাঁকের আমি হাঁকের তুমি হাঁক দিয়ে যায় চেনা। রাজনীতি করুন বা কর্পোরেট – গলাবাজিটা মাস্ট। হ্যাঁ, কর্পোরেটেও। টিম কনফারেন্সে স্লাইড শো-র ফোকাসে যদি মিনমিনে দাঁড়িয়ে 'আমি বনফুল গো' করেন, তো কপালে অ্যাপ্রেইজাল নামক গাজরটি ঝুলবে না। রিটায়ার্ড লাইফে বউয়ের ধাঁতানি সহযোগে চা গিলবেন। মোদ্দা অ্যাটেম্পট, অনিমা রেডি সেডি গো, প্রস্তুত হয়ে যান চিল্লাতে এবং ফিরতি চিল্লানি খেতে। যদি ভেবে থাকেন শহুরে ক্লেদ ছেড়ে কদিন জীবনানন্দ-মার্কা জীবন কাটাবেন, চেখে দেখবেন ধুলোহীন চাঁদ; ঠিক হ্যায়, গাঁটগচ্চা দিয়ে বেরিয়ে পড়ুন; খাণ্ডারনি বউকেও না হয় কিছুই বলবেন না। টুক করে একা এবং একাই। কিন্তু যাবেন কোথা? দিকশুন্যপুর? তেপান্তর? হেহে, অত্ত সোজা? এই ধরাধামে ন্যাশনাল অ্যানথেম, তোমায় সাউন্ড-মাঝারে রাখিব, একা ছাড়িব না। হয়ত নিবিষ্ট বসে বিকেলের লাল মাঠে দেখছেন নীলকণ্ঠের ওড়াউরি, কিম্বা পুকুরের ডুবন্ত কঞ্চিতে ফড়িঙের খুনসুটি, অথবা ভাবছেন হাঁড়িচাচার লেজের গঠনগত বৈশিষ্টের কথা – কোথা থেকে যে বেজে উঠবে মারাত্মক চিড়বিড়ে রিংটোন। ও, ওটা আপনার নিজেরই? তাহলে আর দুক্কু নেই, স্বখাতসলিল-টাইপ মুখ করে ফোন ধরুন। আর সে ফোন এমন, তাবৎ বিশ্বে যার নেটওয়ার্ক মেলে না। সুতরাং হ্যালো, তারস্বরে হ্যালো এবং হ্যালোর পিঠে হ্যালো। মাল্টিপ্লেক্সের 'ফড়িং'-এর চে’ও দ্রুত উধাও কঞ্চির ফড়িং। হয়ত অফিস থেকে ফেরার পথে আনমনা ভাবছেন ট্রেনের মেয়েটার আলোময় হাসি, কিম্বা মনে পড়ছে ছোটবেলায় পেয়ারা পাড়তে গিয়ে কাদায় কেমন আছাড় খেয়েছিলেন আর সেইসমেত বাবা ঝুলিয়ে দিয়েছিল ঝুঁটি ধরে – ব্যস, পাশ দিয়ে চমকে যাওয়া অটোর ভ্রররর। সঙ্গে পাগলু ডান্স ডান্স ডান্স। আপনার রোমান্টিসিজম চটকে চুরানব্বই। ঘোষবাবু সেই যে বলেছিলেন, চুপ করো, শব্দহীন হও – আর যায় কোথায়? পাবলিক তো কলা দেখিয়ে পগারপার, যাবতীয় বাঙালি কবিকুল খচে আকুল। আমাদের চুপ করতে বলা? ইয়ার্কি? হেথাহোথা মাচা বেঁধে কবিসম্মেলন। বরকন্দাজ অ্যান্ড পাইক, লে আও মাইক, আম্মো পাঠ করিব কোবতে। জেলায় জেলায় টাউনে টাউনে স্টেশনে স্টেশনে কবিতার কড়ানাড়া। সরকারি মোচ্ছব তো আছেই, বইমেলা। বই বিক্কিরি হোক বা না হোক, পাঁচফুটি বডিতে তিনফুটি চুল ঝুলিয়ে ‘রক’বাজি জরুরি। লিটল ম্যাগ প্যাভের সামনে কাঁপা কাঁপা আবেগে, ও আমার কাজের মাসি, তোমায় হেব্বি ভালবাসি। সমবেত আড়াই জনের চটাপট হাততালি। ওই আড়াই জন এর পর পড়বেন, আমি চটাপট বাজাব। অস্তিত্ত্বের ভেলিগুড় চেটে চেটে ভাগ করে নেওয়া। চায়না টাউনের থেকেও তেজি ও উষ্ণ। যারা সে সব বুঝছেন না, তাদের জন্যে ঝোলানো থাক যিশু-টাইপ হাসি।

    ২০০৮-এ একটা হিন্দি সিনেমা এসেছিল। জয়দীপ ভার্মার 'হল্লা'। ছবিটা চলেনি, অধিকাংশ নতুন রকমের গল্প বলতে চাওয়া ছবি যে রকম চলে না। যদিও ফাঁক পেলে এলাকায় আঁতলামি করি, হিন্দি সিনেমা কেউ দ্যাখে নাকি! ওয়াক! সিনেমাটায় মারকাটারি দুই অভিনেতা ছিলেন। রজত কপুর আর সুশান্ত সিং। সুশান্তের ঘুম খুব পাতলা, যে কোনও মৃদু আওয়াজেই তার ঘুম ছিঁড়ে যায়। রাতবিরেতে ইতিউতি খুঁজে বেড়ায় আওয়াজের উৎস। আরে, এ তো সোসাইটি-সিকিউরিটির হুইসল। কি জ্বালা! মাঝে মাঝেই শ্যামের বাঁশি ডাক দিয়ে যায়। সুশান্ত ঘুমোতে পারে না। অফিসের কাজে গোলমাল হয়। বুক ঠুকে সোসাইটির সেক্রেটারি রজতের সঙ্গে দ্যাখা করে এক দিন। অনেক আলোচনা অনেক ধস্তাধস্তির পর ঠিক হয়, হুইসলের বদলে গার্ড শুধু লাঠি ঠকঠক করবে। কিন্তু সেই আওয়াজেও সুশান্তের ঘুম হয় না। সুশান্ত মনে করে, এই যে সিকিউরিটি গার্ডের জানান দিয়ে আওয়াজ করে পাহারা দেওয়ার প্রক্রিয়া – এটা একটা অযৌক্তিক অসামাজিক বর্বর নিয়ম। লোকজন হাসাহাসি করে। তার বউও (কার্তিকা রানে) বিরক্ত হয়ে যায়। এ কি পাগলামি! অফিসের ঘনিষ্ঠ বন্ধুও (ব্রজেশ হিরজি) পাত্তা দ্যায় না। কিছুতেই ঘুমোতে না-পারা সুশান্ত ক্রমশ খিটখিটে বদমেজাজি পাগলাটে হয়ে যেতে থাকে। আমাদের এই মেট্রোপলিসিয় ক্রমচকচকে পালিশ কি কি ভাবে কুরে কুরে অবিরত খেয়ে চলেছে মগজ, যা আমরা বুঝছি না, বুঝতে চাইছি না – এই স্টোরিটা সেটারই এক উদাহরণ। খুব কিছু অবিশ্বাস্য নয়, খেয়াল করলে দেখবেন হয়ত আপনি নিজেই, হয়ত আপনার পাশের কেউ রয়েছেন সুশান্তের ওই চরিত্রের কাছাকাছি। আমরা আড়াল করতে চাইছি, অন্যের দীর্ঘশ্বাস এড়াতে কানে গুঁজে দিচ্ছি মোহিনী ইয়ারফোন; বুঝতে পারছি না নিজে অথবা নিজেরা হয়ে উঠছি নিখুঁত ‘পাগল’। গম্ভীর তাত্ত্বিকেরা বলেন, শব্দ অনন্ত। শব্দই ব্রহ্ম। সেই অনন্ত ইথারে গা ভাসাতে ভাসাতে আমরা আদৌ খেয়াল করছি না ব্রহ্মাণ্ডের করাল হাঁ আমাদেরই গিলে চলেছে। ওই উদ্যত হাঁ-এর দিকে একবার খেয়াল করে শুনুন, নাগাড়ে সে বলে চলেছে, সব দো, শব দো।

    * 'আগামীকাল' পত্রিকায় প্রকাশিত
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৩ অক্টোবর ২০১৫ | ৯৮৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • 0 | ***:*** | ১৪ অক্টোবর ২০১৫ ০৫:১২69778
  • বিয়্যাপ্পোক :-)
  • Arindam | ***:*** | ১৪ অক্টোবর ২০১৫ ১২:০৬69777
  • "সব ভালো তার শেষ ভালো যার" - শেষটুকু অনবদ্য ঃ)
  • apps | ***:*** | ১৫ অক্টোবর ২০১৫ ১০:১৫69779
  • চম্পা :)

    শুধু আশ্বিনের শারদপ্রান্তে, হাটকে-সাহিত্য করতে গিয়ে পটেনশিয়াল-চন্দ্রিলভটচাজ না হয়ে ওঠার সতর্ক বাণী
  • Atoz | ***:*** | ১৫ অক্টোবর ২০১৫ ১১:৫৭69780
  • আচ্ছা বলতে পারেন, সেই চন্দ্রিলের কী হল? আর তো তেমন লেখাপত্র দেখি না!!!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন