এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • #মারখা_মেমারিজ (পর্ব ৫)

    Biswajit Hazra লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ | ২৫৩১ বার পঠিত
  • স্কিউ – মারখা (০৫.০৯.২০১৮)
    --------------------------------

    ৫ই সেপ্টেম্বর। ট্রেকের আজ দ্বিতীয় দিন। বললে কেউ বিশ্বাস করবে, আমরা আলুর পরোটা উইথ সব্জি & মিক্সড-ফ্রুট-জ্যাম দিয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে গরম কফিতে তিন-চার রাউন্ড চুমুক মেরে তাপ্পর হাঁটতে শুরু করেছি! মোরওভার, আমাদের প্যাকড্‌ লাঞ্চে রয়েছে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মোড়া এগ ফ্রায়েড রাইস! কিন্তু সেটাও বড় কথা নয়। বড় কথা হল, কুত্তার পেটে ঘি সইলে হয়! গতবছরই বোরাসু পাস থেকে নেমে এসে আবার হর-কি-দূন হয়ে বালি পাসের দিকে যাওয়ার পথে আলু ছাড়া আমাদের বাকি সব্জি প্রায় শেষ হয়ে গেছিলো। প্রতিবারের মতোই। অতঃপর ডিনারে পর পর তিনদিন ছিলো ভাত, ডাল আর ঝোপ-ঝাড় থেকে গাইড লাল সিং-এর তুলে আনা পাহাড়ি শাকের ঘন্ট! প্যাকড্‌ লাঞ্চে লজেন্স আর বিস্কুট, চিরকাল যা থাকে। ডেলিকেসির মধ্যে বড়োজোর ওই সবে-ধন-নীলমণি ম্যাগি। ঝগড়া-ঝাঁটি করে রেশনে আমি চার-পাঁচ প্যাকেট চিঁড়েভাজা ঢোকাই বলে কম গঞ্জনা সইতে হয়! তার বদলে এবার এ’সব কি হচ্ছে! বাজেট ফেল করলে বাড়ি ফিরতে পারবো তো! যাকগে যাক। আপাততঃ বেশী ভেবে কাজ নেই। যা হচ্ছে হোক। সবই মায়ের ইচ্ছে!

    আজ আমাদের লম্বা রাস্তা ঠ্যাঙ্গানোর কথা। ২০ কিলোমিটারের বেশী। পাহাড়ি রাস্তায় ওঠার সময় আমাদের টিমের স্পিড থাকে মেরে-কেটে ঘন্টায় তিন কিলোমিটার। তাও যদি গ্রেডিয়েন্ট খুব বেশী না হয়। তার মাঝে রেস্ট নেওয়া আছে। খেজুর করা আছে। ছবি তোলা আছে। রাস্তায় দু-একটা চায়ের ঠেক জুটে গেলে তো কথাই নেই। আরামসে আধঘন্টা ধাঁ। গতবারের আগেরবার ট্রেকে আমাদের সঙ্গে ছিল TCS-এর কৌশিক সরখেল। সে তো এক বিস্ময়-বালক! রাস্তার মাঝে পছন্দ মতো বড় পাথর পেলে রোদে পিঠ দিয়ে খানিক পাওয়ার-ন্যাপও নিয়ে নিতো! কপাল ভালো, সেরকম কেউ এইবারের টিমে নেই। তাও মোটামুটি ৮-৯ ঘন্টা তো লাগবেই মারখা পৌঁছতে।

    মারখা নদীকে ডানহাতে রেখে রাস্তা। প্রথমদিকে রাস্তা থেকে অনেকটা নীচে নদী। খানিক বাদেই অবশ্য নেমে আসতে হলো একেবারে রিভার-বেডে। গ্রেডিয়েন্ট কম। অলমোস্ট ফ্ল্যাট। কখনও কখনও বড়োজোর শ’খানেক ফুটের ওঠানামা। সারা দিনে আজ ১,০০০ ফুট মতো উঠতে হবে। কিন্তু রাস্তাটা যেহেতু লম্বা, মনেই হয় না যে হাইট-গেইন করছি। এটা সেই ছোটবেলায় শেখা জ্যামিতির মজা। সমকোণী ত্রিভুজের অতিভুজটা যত বড় হবে, ভূমির সাথে অ্যাঙ্গেলটা ততই কমতে থাকবে। এই ১,০০০ ফুটই যদি ২০ কিলোমিটারের বদলে ৫ কিলোমিটারে উঠতে হতো, তাহলে রাস্তা ছোটো হতো ঠিকই, কিন্তু চড়াই বেড়ে যেতো চারগুণ!

    স্কিউ থেকে বেরিয়ে ‘চালুক’ গ্রামের কাছে প্রথম রিভার ক্রসিং। পাড় থেকে মনে হলো জল বেশী নয়। মাঝখানে বড়োজোর হাঁটু পর্যন্ত। কন্‌কনে ঠাণ্ডা আর জব্বর স্রোতটাই যা ফ্যাক্টর। তবু ... হুঁ হুঁ বাওয়া ... এসব ব্যাপারে সাধারনতঃ আমি কোনও রিস্ক নিই না। প্রথমে টিমের কয়েকজন পাকা খেলোয়াড়কে পার হতে দিলাম। সুব্রতদা। শান্তনু। অভিজ্ঞ চোখে খুঁটিয়ে অব্জার্ভ করলাম চোখ-মুখের রিঅ্যাকশনগুলো। নাঃ, টেনশনের খুব কিছু নেই। রজত, রিশভ আর বৌদিও হাত ধরাধরি করে দিব্বি পেরিয়ে গেলো। এবার শঙ্খদা আর আমার টার্ন। পাড়ের কাছে একটা বড় পাথরে বসে ধীরেসুস্থে জুতোজোড়া খুলে তার মধ্যে মোজা ঢুকিয়ে ফিতে-দুটো ভালো করে একটার সঙ্গে আরেকটা বেঁধে পাশে রাখলাম। কারন, আমি কোনও রিস্ক নিই না। প্যান্ট সবাই যতটা গুটিয়েছে, ঠাণ্ডা মাথায় জরিপ করে তার চেয়ে ইঞ্চি খানেক বেশীই গোটালাম। রিস্ক নেওয়া নেই। স্যাকের কোমরের ক্লিপটা একবার খুলে আবার খটাং করে আটকালাম। আটকেছে। যাক্‌, মাঝনদীতে পিঠ থেকে স্যাক লুজ হয়ে যাওয়ার আর কোনও চান্স নেই। বাকি রইলো ক্যামেরাটা। ওটা ক্যাজুয়ালি গলায় ঝুলিয়ে জলে নামাটা ঠিক হবে না। দুলবে। মালটাকে ডান-কাঁধ আর বাঁ-বগলের তলা দিয়ে গুছিয়ে ক্রশ করে নিলাম। এইবার হয়েছে। রেডি। হাতে একটা লাঠি-টাঠি থাকলে ভালো হতো। শঙ্খদা নিজের ওয়াকিং স্টিকটা নিয়ে জলে নামছে। খোদ শঙ্খদাকেই তাহলে আমার ওয়াকিং স্টিক করা যাক। রিস্ক নয়। নো রিস্ক।

    শঙ্খদার হাতটা ভালো করে পাকড়ে জলে নেমেছি। ঠাণ্ডা মাথায় পা টিপে টিপে নদীর মাঝখানে। যা ভেবেছি ঠিক তাই। স্রোত ভালোই। ঠাণ্ডাও আছে। তবে জল ওই হাঁটু পর্যন্তই। যা পাড় থেকেই আন্দাজ করেছিলাম। প্রেডিকশন মিলে যাওয়ায় একটা অদ্ভুত প্রশান্তিতে মন ভরে গেলো। বললে হবে? কম দিন পাহাড়ে আসছি নাকি! এক্সপিরিয়েন্সের তো একটা মূল্য আছে! কিন্তু অভিজ্ঞ ট্রেকারদের ওভার-কনফিডেন্ট হতে নেই। তাতে ফোকাসটা নষ্ট হয়ে যায়। সাবধানে পা ফেলে ফেলে শেষ কয়েক মিটার টপকে অবশেষে নদীর ওপারে। প্যান্ট ভেজেনি। স্যাক নড়বড় করেনি। ক্যামেরাও যথাস্থানে। একটা শুকনো পাথরের ওপর গুছিয়ে বসে সপ্রতিভ হাসি মুখে বাকীদের দিকে চাইলাম। কারোর কোনও সমস্যা হয়নি তো? হলে তো আমি আছিই। টেকনিক্যাল ব্যাপারগুলো একটু গাইড করে দেওয়াটা আফটার-অল্‌ আমার কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে। কিন্তু কেসটা কি! বাকীরা ভুরু কুঁচকে আমার দিকেই তাকিয়ে কেন? এনি প্রবলেম? শান্তনুই প্রথম শান্ত ভাবে এগিয়ে এসে প্রশ্নটা করলো ... তোর জুতো কই? খালি পায়ে বাকিটা হাঁটবি নাকি! কয়েক সেকেন্ডের সাইলেন্স। অতঃপর রিয়েলাইজ করলাম, আমি নির্বিঘ্নে নদী পেরিয়েছি ঠিকই। কিন্তু জুতোজোড়া মোজা-সহ রয়ে গেছে ওপারে। একদম পরিপাটি ভাবে। যেমনটা খুলেছিলাম, ঠিক তেমনি। এই কূলে আমি। আর ওই কূলে তুমি। মাঝখানে নদী ওই বয়ে চলে যায়! লেকিন হামি গরীব আদমি আছে। মেরে সাথ-ই অ্যায়সা কিঁউ হোতা হ্যায়! ওহ্‌ ভি ফির বারবার!

    ঘাড় গুঁজে ওই বিকট ঠাণ্ডা জলে নেমে আবার ওপারে গেছি। জুতো নিয়ে এপারে এসেছি। শান্তনু সঙ্গে যেতে হবে কিনা জিজ্ঞেস করছিলো। কিন্তু কোন্‌ লজ্জায় আর হ্যাঁ বলি! একটা জুতো সামলাতে গিয়েই ল্যাজেগোবরে। ছিঃ ছিঃ! বাকি রাস্তার জন্য মরালটা কেমন যেন ডাউন হয়ে গেলো। তারপরে ছবির মতো সুন্দর রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে ‘সারা’ বলে একটা ছোট্ট গ্রাম এসেছে। প্যারাসুট-টেন্টের টি-হাউসে বসে গরম চায়ের সাথে প্যাকড্‌ লাঞ্চ খাওয়া হয়েছে। আবার টুক টুক করে হাঁটা। শেষ বেলায় আরও একদফা রিভার-ক্রসিং। মারখা নদীকে এবার বাঁদিকে রেখে হাঁটতে হাঁটতে অবশেষে মারখা গ্রাম (১২,২১০ ফুট)। লম্বা হাঁটায় সবাই বেশ ক্লান্ত। ডিনার সেরে একটু তাড়াতাড়িই সেঁধিয়ে যাওয়া হয়েছে স্লিপিং ব্যাগের ভেতরে। রাতও নেমেছে নিয়ম করে। কিন্তু ঘুম আসে কই! ছোটবেলায় শীতকালে মা জোর করে সারা মুখে বোরোলীন লাগিয়ে দিতো, আর আমি চিল চ্যাঁচাঁতাম। সেই গন্ধটা আবার মনে পড়ে গেলো। তার সাথে বিজ্ঞাপনের ওই এপিক ট্যাগ্‌-লাইনটা। ‘জীবনের নানা ওঠাপড়া যেন সহজে গায়ে না লাগে’! আঃ! শুনলেও মনটা কেমন ভালো হয়ে যায়। মাথাটা হালকা হালকা লাগে। জুতো ভুলে যাওয়াটা আর কি এমন ব্যাপার! ইগনোর কর্‌ রে পাগ্‌লা। জাস্ট ইগনোর। নিশ্চয়ই কেউ আমায় ক্যাবলা ভাবেনি। আর ভাবলেই কি আর আমি ক্যাবলা নাকি! মারখা গ্রামে বাকি রাতটা বেশ শান্তিতেই ঘুম হয়েছিলো।

    সঙ্গের ছবিদুটো স্কিউ আর মারখা গ্রামের মাঝে দুটো জায়গায় তোলা।




    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ | ২৫৩১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রিভু | ***:*** | ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:৩৩50562
  • ফলো করছি, বেশ লাগছে।
  • dd | ***:*** | ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:৩৫50563
  • চমোৎকার হচ্ছে তো।

    তবে বেশী গ্যাপ না পড়লেই হোলো। কন্টিনিউটি হারিয়ে যায়।
  • de | ***:*** | ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ ০৭:২৬50559
  • খুব ভালো লাগছে লেখাটা - খুঁজে বাকি পর্বগুলোও পড়ে এলাম -

    এখানে এরকম ট্রেকের গপ্পো করতো বুনান আর কৃশানু - তারা তো বোধ্হয় বড়ো হয়ে গেছে - আর ট্রেকের গপ্পো লেখে না -

    লিখে যান - সব পর্বগুলো একেবারে পাওয়া গেলে পড়তে একটু সুবিধে হয় -
  • বিপ্লব রহমান | ***:*** | ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ ০৭:৪৭50560
  • বাপ্রে! দলেবলে পাহাড়ে এইসব হয় বুঝি? আমি একেই পাহাড় ভাঙতে ভালবাসি। অভিজ্ঞতা মিলিয়ে ভাল লাগলো।

    জেরাম লেখা, সেরাম ছবি, তাপ্পর?
  • | ***:*** | ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ ০৮:২৫50561
  • হাহা হা হা হা হা । ব্যপ্পোক!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে প্রতিক্রিয়া দিন