এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • #মারখা_মেমারিজ (পর্ব ৪)

    Biswajit Hazra লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ | ২৪৬৫ বার পঠিত
  • লে – চিলিং – স্কিউ গ্রাম (০৪.০৯.২০১৮)
    ------------------------------------------

    হিলস্টেশনে সকাল সাতটায় গাড়ি আসার কথা থাকলে সাধারনতঃ আটটার আগে আসেনা। কিন্তু দেখা গেলো, অর্ণব ছেলেটি ভারি কাজের ছেলে। যা যা কমিট করেছিলো, মেটিকুলাসলি মেন্টেইন করছে। ঠিক সাতটায় একটায় টেম্পো ট্র্যাভেলার হোটেলের দরজায় এসে হাজির। গাড়িতে আমরা যাবো চিলিং পর্যন্ত। ঘন্টা তিনেকের জার্নি। সেখান থেকে প্রথম দিনের হাঁটা শুরু। সেজেগুজে টিম মোটামুটি তৈরিই ছিলো। মালপত্তর গাড়িতে তুলে রওনা দেওয়া হল সাড়ে সাতটায়। সব মিলিয়ে দশ জনের টিম। আমরা আট। সঙ্গে কুক বুদ্ধিমান এবং তার হেল্পার ‘স্টেন্সিল’। অ্যাকচুয়ালি ওর নাম স্টেন্সিল নয়। কোনও ভদ্রসন্তানের ওরকম উদ্ভট নাম হতে পারে না। তবে লাদাখি নামের উচ্চারনটা ‘স্টেন্সিল’-এর খুব কাছাকাছি। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম ‘তেঞ্জিং’। কিন্তু তেঞ্জিং বলে ডাকায় প্রবল আপত্তি জানালো। স্টেন্সিল বলে ডেকে দেখলাম হাসি হাসি মুখে রেস্পন্স করছে। তো ঠিক হ্যায়। স্টেন্সিল-ই সই! খোদ শেক্সপিয়র সাহেব বলেছেন, নামে কি আসে যায়? গোলাপকে যে নামেই ডাকো তার খুশবু কি আর বদলায়!

    পাহাড়ে, বিশেষ করে লাদাকের রাস্তায় ড্রাইভারে পাশের সিটটা সাংঘাতিক লোভনীয়। চোখের সামনে সিনেমার পর্দার মতো সেকেন্ডে সেকেন্ডে দৃশ্যপট বদলাতে থাকে। আহা! সে ভারি ভালো ব্যাপার। ভিডিও-টিডিও তুলি বলে আমাদের টিমের জনতা সামনের এই সিটটা আমায় ক্ষমা-ঘেন্না করে ছেড়ে দেয়। আমিও অম্লানবদনে এই ফেবার-টুকু নিয়ে থাকি। ছবি তো তোলা হবে বড়োজোর তিরিশ সেকেন্ড করে দশটা শট্‌। বাকি সময়টা শুধুই মুগ্ধতা। হাঁ করে সামনের দিকে চেয়ে থাকা। গাড়ি যখন ছাড়ল, সাতসকালের পাহাড়ি শহরটার দু’চোখে তখনও ঘুম জড়িয়ে। আলসেমি কাটেনি। ‘লেজি’ শব্দটা কি ‘লে’ থেকেই এসেছে! কে জানে! শহর থেকে বেরিয়ে এয়ারপোর্টের পাশ দিয়ে রাস্তা। চারদিকে উঁচু উঁচু পাহাড়ের মধ্যে লে এয়ার-স্ট্রিপে প্লেনগুলো যখন ওঠা-নামা করে, একদম খেলনা-উড়োজাহাজের মতো লাগে। মনেই হয় না ওগুলোর পেটের মধ্যে এত্তো লোক বসে।

    ‘লা’ মানে হলো পাস্‌। বাংলায় গিরিবর্ত্ম। পাহাড়ি গল্‌তা। যা টপকে একটা ভ্যালি থেকে অন্য ভ্যালিতে যাওয়া যায়। লাদাখ শব্দটার মানে হলো গিয়ে ‘ল্যান্ড অফ্‌ হাই পাসেস্‌’। ভূগোলের লোকজন ভালো বলতে পারবেন, তবে মোটামুটি ভাবে লাদাখ জায়গাটার উত্তরে সিয়াচেন গ্লেসিয়ার, দক্ষিনে লাহুল-স্পিতি উপত্যকা। পূবে তিব্বতী মালভূমি, আর পশ্চিমে কাশ্মীর ভ্যালি। এখানকার পাহাড়, পাহাড়ি রাস্তাঘাটের লুক্‌-টা একদম অন্যরকম। কেদার, বদ্রী, সিমলা, মানালি, এমনকি দার্জিলিং-এও আমাদের যে চেনা হিমালয়, তার মতো নয়। রুক্ষ। ব্যারেন। মরুভূমির মতো। ওই জন্যে জায়গাটাকে ‘কোল্ড ডেজার্ট’ও বলে। রাস্তাগুলোও অন্যরকম। কুমায়ুন-গাড়োয়ালের মতো পাহাড়ের গা দিয়ে এঁকে-বেঁকে নয়। বরং বেশীরভাগ সময়েই উঁচু-নিচু ঢেউ খেলানো মালভুমির ওপর দিয়ে। জায়গাটা বেসিক্যালি তিব্বতি মালভুমির এক্সটেনশন কিনা! দুদিকে পাহাড়। সামনেটা ওপেন। অ-নে-ক-টা দূর পর্যন্ত দেখা যায়।

    ঘন্টা দেড়-দুই পর গাড়ি পৌঁছলো নিমু ভ্যালিতে। রাস্তার বাঁদিকে সিন্ধু আর জাঁসকর নদীর কনফ্লুয়েন্স। টিবেটিয়ান প্ল্যাটুর মানস সরোবরের কাছ থেকে বইতে শুরু করে পাকিস্তান হয়ে লাদাকে ঢুকেছে সিন্ধু। জাঁসকর তৈরি হয়েছে মেইনলি দুটো ফ্লো জুড়ে। সিঙ্গো-লা এর কাছ থেকে বেরোনো কারগিয়াং নদী আর বারালাচা-লা এর কাছ থেকে বেরোনো সারাপ নদী পুর্নে গ্রামের কাছে মিট করে তৈরি করেছে লাংনাক নদী। এই ফ্লো-টা পেনসি-লা থেকে বেরিয়ে পদম হয়ে বয়ে আসা ডোডা নদীর সঙ্গে এসে মিট করেছে জাঁসকর ভ্যালিতে। তৈরি হয়েছে জাঁসকর নদী। জাঁসকর গর্জ দিয়ে বয়ে এসে যেটা মিট করেছে সিন্ধুকে। এটা সেই মিটিং পয়েন্ট। ট্রেক কমপ্লিট করার পরে আমরা জাঁসকর গর্জ দিয়ে জাঁসকর নদীতে র‍্যাফটিং করে আবার এই জায়গাটায় এসেছিলাম।

    ঘন্টা তিনেক পর অবশেষে চিলিং (১০,৫৬০ ফুট)। এখানেই গাড়ির রাস্তা শেষ। মারখা নদীর ওপর সদ্য নতুন ব্রিজ তৈরি হয়েছে। ২০১৪ সালের বন্যায় পুরনো ব্রিজটা ভেঙে গেছিলো। তখন রোপ-ট্রলিতে করে নদী ক্রশ করতে হতো। এখন ব্রিজের ওপর দিয়েই গাড়ি যাচ্ছে। ও’পারে নামিয়ে দেয়। পৌঁছে দেখা গেলো ঘোড়া-টোড়া নিয়ে দর্জি-ভাইও ও’পারে আমাদের জন্যে ওয়েট করছে। আমাদের টিমের একাদশ সদস্য। অভিজ্ঞ নেপালি ঘোড়া-ওয়ালা। বয়েস হয়েছে। তবে বেশ শক্ত-সমর্থ। মালপত্তর সব ঘোড়ার পিঠে তুলে শুরু প্রথম দিনের ট্রেক। আজকের গন্তব্য স্কিউ গ্রাম।

    মারখা নদীকে ডানহাতে রেখে ধীরে ধীরে ওঠা শুরু। চওড়া রাস্তা। আর কয়েক বছর পরে নির্ঘাত স্কিউ পর্যন্ত গাড়ি চলবে। অকেশনালি গ্রিন প্যাচ থাকলেও রাস্তা মূলতঃ রুক্ষ। চারদিকে একটাই রং। ধূসর। চড়া রোদ নেই, বাঁচোয়া। আকাশ মেঘলা। তবে মেঘলা আকাশে আবার ছবি ভালো ওঠে না। সে আর কি করা যাবে! ঘন্টা দুই-আড়াই হাঁটার পর সাজানো-গোছানো বৌদ্ধ স্তুপ আর চোর্তেন চোখে পড়লো। স্কিউ গ্রামের মুখে তার মানে আমরা পৌঁছে গেছি। লাদাখিদের মেজরিটিই তিব্বতি-বৌদ্ধ সম্প্রদায়ভুক্ত। একটু এগিয়েই একটা টি-হাউস। খাসা লোকেশন। থামা হলো চা খাওয়ার জন্যে। আমাদের ঘোড়াগুলো তখনও এসে পৌঁছয়নি। আধঘন্টা পর ওরা এলো বটে, কিন্তু থামলো না। বললো, একটু এগিয়ে ক্যাম্পিং গ্রাউন্ডে গিয়ে হল্ট করছে। আমরাও পিছু নিলাম। মিনিট চল্লিশ পর গ্রামের একদম শেষ প্রান্তে রাস্তা থেকে ডানদিকে বেশ খানিকটা নেমে গিয়ে ক্যাম্পিং গ্রাউন্ডের দেখা মিললো। অসাধারণ স্পট। রিভার বেডের একদম লাগোয়া সবুজ একফালি জায়গা। একদম ফ্ল্যাট। মনেই হবে না জায়গাটা ১১,২২০ ফুট উঁচুতে। বড় বড় গাছের ছায়া-টায়া পড়ে বরং বেশ একটা আমবাগান-আমবাগান লুক তৈরি হয়েছে। ক্যাম্প-ট্যাম্প লাগিয়ে সেই গাছের ছায়াতেই ম্যাট্রেস পাতা হল। অতঃপর হাত-পা ছড়িয়ে বিশুদ্ধ ল্যাদ্‌ আর ম্যারাথন আড্ডা। থার্ড রাউন্ডের চা আনতে গিয়ে শোনা গেলো বুদ্ধিমান সন্ধ্যের টিফিনে চাউমিন বানাচ্ছে। রাতে ভাত/রুটি, ডাল, উইথ ডিমের ঝোল। বলে কি রে! ট্রেকে গিয়ে এরকম সিস্টেমেটিক খাবারদাবার আমাদের কস্মিনকালেও জোটেনি। অমন যে আমাদের বাজেট-সচেতন ছাতু-পন্থী কঠোর-হৃদয় টিম-ম্যানেজার সুমন, চাউমিন-টাউমিন খেয়ে তারও চোখের কোনে জল। হৃদয়ে ধিকিধিকি অনুতাপের আগুন। বুদ্ধিমানের সঙ্গে ঝগড়া করার জন্য। ডিনারের পর টেন্টে ঢোকার আগে হিসু করতে গিয়ে ধরা-ধরা গলায় বললো, ছোঁড়াটা খুব খারাপ নয়, বুইলে!

    বুঝলাম, গৌতম বুদ্ধের অহিংসা-ধর্মের মায়া, মায়াবী লাদাখের মাটিতে তার ম্যাজিক দেখাতে শুরু করেছে। নিঃঝুম রাত। ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘের আড়াল থেকে টুকি দিচ্ছে কচি একফালি চাঁদ। মারখা ভ্যালির নির্জন রিভার বেডে বোল্ডারে ধাক্কা খাওয়া জলের আওয়াজ, কন্‌কনে ঠাণ্ডা হাওয়া, আর আধো-আলো-আধো-ছায়ার ওই স্যুররিয়াল আবহেই তো হৃদয়ের পরিবর্তন হওয়ার কথা! বুদ্ধিমান, তু সি গ্রেট হো!

    (সঙ্গের ছবিগুলোর প্রথমটা স্কিউ গ্রামে ঢোকার মুখে বৌদ্ধ উপাসনা-স্থল। দ্বিতীয়টা স্কিউ গ্রামের ক্যাম্পিং গ্রাউন্ড। তৃতীয়টা সিন্ধু আর জাঁসকর নদীর কনফ্লুয়েন্স। ক্রমশঃ ...)






    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ | ২৪৬৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ***:*** | ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:৫১50571
  • তারপর? তারপর? এদ্দিন পরে এইটুকুনি।
  • শঙ্খ | ***:*** | ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০৭:৪৬50572
  • বাহ দারুণ তো!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন