এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • #মারখা_মেমারিজ (পর্ব ২)

    Biswajit Hazra লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২২ ডিসেম্বর ২০১৮ | ২৫০৩ বার পঠিত
  • ট্রেন ও প্লেন পর্ব (০২.০৯.২১৮)
    ---------------------------------

    আগের দিন ট্রেন ছেড়েছিলো ঠিক সাতটা চল্লিশে। রাত ন’টায় বর্ধমান থেকে সুব্রতদার ওঠার কথা। ড্রামটা কেন সিটের তলায় ঢুকছে না, বস্তাগুলো আড়ে ঢোকানো উচিৎ না লম্বায়, স্টোভের সাথে এক্সট্রা পিন নেওয়া হয়েছে না হয়নি ... জনগন যখন এইসব তুচ্ছ জাগতিক সমস্যা নিয়ে ব্যাস্ত, কানে এলো, মোবাইলে সুব্রতদাকে শঙ্খদা মধু-মাখা গলায় বলছে, “ট্রেন রাইট টাইমে। হ্যাঁ হ্যাঁ। ওই কেজিখানেক মিহিদানা আর দু-প্যাকেট চানাচুর নিলেই চলবে। ব্যাস্‌। ন’টায় দেখা হচ্ছে।” কিছু মানুষ চট্‌ করে উত্তেজিত হন না। দুনিয়া চাহে ভাঁড় মে যায়ে, তাঁরা চলেন নিজের মেজাজে। যেন বজরায় চেপে গঙ্গাবক্ষে সান্ধ্যভ্রমনে বেরিয়েছেন। শঙ্খদা হলো এই ক্যাটাগরির। বেদাতি বৌদির উল্টো। বৌদি যখন গুচ্ছের মালপত্তরের মধ্যে থেকে রাতের খাবার, কাগজের প্লেট, প্লাস্টিকের চামচ, পেপার ন্যাপকিন ইত্যাদি ইত্যাদি খুঁজে খুঁজে বের করতে করতে গলদঘর্ম, শঙ্খদাকে দেখলাম সাইড-লোয়ার বার্থের এক কোনায় বাবু হয়ে বসে। কোলে একটা বড় প্লাস্টিকের ব্যাগ। সেটা খুলে মাথা ঝুঁকিয়ে খুব মন দিয়ে কিছু একটা দেখছে। কাছে যেতে একগাল হেসে বললো, “স্প্রাইট আছে। ঠাণ্ডা। খালি একটু জল মেশালেই হবে। এট্টু হেল্প করো তো ...।”

    কিছু রিয়েল গপ্পো ভার্চুয়াল-জগতে করতে নেই। ওটা তোলা থাক। সংক্ষেপে, ঠিক রাত নটায় বর্ধমান থেকে সুব্রতদা উঠেছে। তারপর চানাচুর – মিহিদানা আর শঙ্খদার ওই জল-মেশানো স্প্রাইট সহযোগে ডিনার-পর্ব সেরে লম্বা ঘুম। পরদিন সকাল পেরিয়ে দুপুর। সাড়ে বারোটা নাগাদ কানপুর। ট্রেন রাইট টাইমে। যাক্‌। একটা ব্যাপার নিয়ে একটু টেনশন ছিল। দিল্লীতে ট্রেন ঢোকার কথা রাত নটায়। ওখান থেকে আমাদের এয়ারপোর্টে পৌঁছতে হবে ভোর চারটের মধ্যে। ঘন্টা দুয়েকও যদি লেট হয়, তাহলেও রাত ১১.৩০-টায় লাস্ট এয়ারপোর্ট-মেট্রোটা পাওয়ার কথা। সেটাও মিস্‌ হলে ট্যাক্সি। সিম্পল। মোটমাট, চারটের মধ্যে এয়ারপোর্টে না পৌঁছনোর কোনও কারন নেই।

    কিন্তু সিম্পল জিনিস অভাবনীয় ভাবে কমপ্লেক্স হয়ে না উঠলে আর গপ্পো কিসের! কানপুরের পর একটা পাণ্ডববর্জিত স্টেশনে হঠাৎ ট্রেন থেমে গেলো। বোর্ডে নাম লেখা ‘একদিল’। মাঝে মাঝে এরকম রুটিনের বাইরে জনমানবশূন্য স্টেশনে গাড়ি থামলে ভালোই লাগে। নীচে নেমে ধোঁয়া-টোঁয়া খাওয়া যায়। প্রথমটায় সেরকমই লাগছিলো। কিন্তু দশ মিনিট ... বিশ মিনিট ... আধ ঘন্টা কেটে গেলো, ট্রেন আর নড়ে না। কেসটা কি! কে একজন বললো, লাইনে নাকি গাছ পড়েছে। এই মেরেছে! কতক্ষন লাগবে লাইন ক্লিয়ার হতে! এক ঘন্টা কাটলো। দু ঘন্টা। আড়াই ঘন্টা। ধৈর্যের শেষ সীমায় পৌঁছে পাক্কা তিন ঘন্টা বাদে ট্রেন ছাড়লো। কিন্তু লেট যখন একবার হতে শুরু করেছে, তখন তো সেটা বাড়বে বই কমবে না! ব্যাপারটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে শেষ পর্যন্ত! ইতিমধ্যেই তো ওই লাস্ট এয়ারপোর্ট-মেট্রোটা আমরা মিস্‌ করে ফেলেছি। কারন, বাকি রাস্তায় ট্রেন আর লেট না করলেও মিনিমাম রাত বারোটা তো বাজবেই দিল্লী ঢুকতে। অর্থাৎ, ফাঁড়া নম্বর তিন চলছে! কপালে কি তাহলে ফ্লাইট-মিস্‌ লেখা আছে নাকি! শুরু হলো ফোনাফুনি। রজত তো দিল্লী পৌঁছে বসে আছে সেই দুপুর থেকে। ওকে বলা হলো দুটো ট্যাক্সি বুক করে রাখতে। প্ল্যাটফর্মে নেমেই দৌড়তে হবে। হাতে সময় কম। এদিকে ট্রেন চলছে শামুকের গতিতে। লেট বেড়েই চলেছে। সাড়ে তিন ঘণ্টা। চার ঘণ্টা। সাড়ে চার ঘণ্টা। টেনশন চরমে তুলে অবশেষে পাঁচ ঘণ্টা লেটের পর ট্রেন দিল্লী ঢুকলো রাত দুটোয়। নেমেই মালপত্তর টেনে-হিঁচড়ে চোঁ-চাঁ দৌড়। স্টেশনের বাইরেই দুটো ট্যাক্সি নিয়ে রজত দাঁড়িয়ে। প্রায় ছুঁড়ে ছুঁড়ে সব জিনিস গাড়িতে ভরা হলো। পৌনে তিনটে। ভোর চারটেয় এয়ারপোর্টে চেক-ইন টাইম। কপাল ভালো, মাঝরাতের রাজধানীর শুনশান রাস্তা আর নতুন করে কোনও হার্ডল তৈরি করলো না। দুটো ট্যাক্সিই যখন এয়ারপোর্টে ঢুকলো, ঘড়িতে ঠিক চারটে!

    ঘাম দিয়ে যেন জ্বর ছাড়লো সবার। উফ্‌! আর একটু হলেই হয়েছিলো আর কি। ট্রেনটা আরও আধঘন্টা - চল্লিশ মিনিট লেট করলেই লাদাখে ট্রেকের বদলে দিল্লী থেকে আগ্রা ঘুরে, বড়োজোর মথুরা-কাশী-বৃন্দাবননে তীর্থ করে বাড়ি ফিরতে হতো! কান ঘেঁষে ফাঁড়া গেছে। এয়ারপোর্টে ঢুকেই দেখা মিললো আমাদের আর এক টিম-মেট, শান্তনুর। কলকাতা থেকে ডিরেক্ট ফ্লাইট ধরে সে ছেলে ঘন্টা-দুয়েক আগেই পৌঁছে গেছে। সুতরাং, আটজনের টিম আল্টিমেটলি কমপ্লিট। এবার মালপত্তর নিয়ে চেক্‌-ইনের লাফড়াটা মিটিয়ে প্লেনে উঠে পড়তে পারলেই হলো। এসব ব্যাপারে শান্তনুর দক্ষতা প্রশ্নাতীত। মাসে একবার, কখনও কখনও দু-তিনবারও সে ছেলে কলকাতা-শিলচর যাতায়াত করে। আকাশ-যাত্রায় এ’হেন অভিজ্ঞ শান্তনু গম্ভীর মুখে রায় দিলো, সব মাল একজনের নামে এন্ট্রি করলে চেক্‌-ইন নাকি তাড়াতাড়ি হয়। হবেও বা! আনাড়ি মানুষ, চুপচাপ থাকাই ভালো। বাকি সাতজন যখন অম্লান বদনে ওই ১২০ কিলোর মাল আমার নামে এন্ট্রি করে দিলো, তখনও বুঝিনি একজ্যাক্টলি কী ঘটতে চলেছে। সিকিউরিটি চেকিং-এর পর বোর্ডিং-পাস্‌ হাতে নিয়ে একটা কাঁচের দরজার সামনে তখন সবাই দাঁড়িয়ে। ফ্লাইটের অ্যানাউন্সমেন্ট হয়ে গেছে। কাঁচের দরজার ওপারেই প্লেন। সিকিউরিটি অফিসারের কাছে বোর্ডিং-পাস্‌ দেখিয়ে একজন একজন করে দরজার ওপারে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে। পাঁচ ... ছয় ... সাত। সবার শেষে আমি। আমার পাস্‌-টা দেখেই অফিসারের কুঞ্চিত ভ্রু। শক্ত চোয়াল। ওয়াকি-টকিতে সন্দেহজনক বাক্যালাপ। তারপর ঠাণ্ডা গলায় নির্দেশ এলো, সিকিউরিটি চেক্‌ পয়েন্টে ফেরৎ যান, আপনার মালপত্তরে প্রবলেম আছে! সিকিউরিটি চেক্‌ পয়েন্ট! সে তো দশ মিনিট যেতে, দশ মিনিট আসতে! প্লেন কি ততক্ষন আমার জন্যে দাঁড়াবে নাকি! অ্যানাউন্সমেন্টও তো হয়েই চলেছে! মনে হলো ভ্যাঁ করে কেঁদে ফেলি। আমার আর লাদাক যাওয়া হলো না। টোটাল কনফিউজড্‌ এবং ঘেঁটে যাওয়া অবস্থা দেখে করুণার দৃষ্টিতে তাকালেন একজন গ্রাউন্ড-ক্রু। তারপর তিনিই প্রায় হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে গেলেন সিকিউরিটি চেক্‌ পয়েন্টে। যেতেই এক মহিলা অফিসার রাম ধমক দিয়ে বললেন, রুকস্যাক থেকে ব্যাটারি বার করুন। ওগুলো অ্যালাউড নয়, জানেন না? পাসের থেকে এক চামচে আবার গলায় বিষ ঢেলে বললো, বস্তায় স্টোভও আছে ম্যাডাম, ফুয়েল-ট্যাঙ্কে তেল-টেলও থাকতে পারে! মনে হলো একবার বলি, হামি গরিভ আদমি আছে। হামি কুছু জানে না। সামনে সাতটা রুকস্যাক। কোনটায় ব্যাটারি আছে এবং কোথায় আছে, আমি কি করে জানবো? স্যাকগুলো তো অন্যদের! পরিস্থিতি আন্দাজ করে অফিসার নিজেই হাত লাগালেন এবং একটা স্যাকের পেটের ভেতর থেকে থেকে ডজন খানেক ব্যাটারি বারও করে ফেললেন। পাশের চামচাটা তখন বস্তা খুলে স্টোভ বের করে শুঁকে শুঁকে দেখছে, ভেতরে তেল আছে কি না। উজবুকটার গলাটা টিপে দিতে ইচ্ছে করছিলো। যাই হোক, মিনিট দশেকের খানা-তল্লাশির পর যখন ছাড়া পেলাম, ঘেমে-নেয়ে চান করে একসা। ফ্লাইটের লাস্ট অ্যানাউন্সমেন্টে তখন নাম ধরে ডাকছে। আবার সেই গ্রাউন্ড-ক্রুর হাত ধরে দৌড়। অবশেষে, কাঁচের দরজার ওপাশে। বিধ্বস্ত অবস্থায় শেষ প্যাসেঞ্জার হিসেবে যখন প্লেনে উঠলাম, বাকিরা টেরিয়ে টেরিয়ে দেখছে। দেখুক। আব্‌ রুখনেওয়ালা কোই নেহি। সিটে চোখ বুঝে বসার পরই টেক-অফ্‌। রান-ওয়ে দিয়ে লম্বা দৌড়। তারপর একটা ছোট্ট লাফ। আট বান্দা মেঘের দেশে। লাদাখ-টা তাহলে যাওয়া হচ্ছেই!

    সঙ্গের ছবিটা লে-এয়ারপোর্টে নামার একটু আগে। P.C.- শঙ্খদা।
    (ক্রমশঃ)


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২২ ডিসেম্বর ২০১৮ | ২৫০৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | ***:*** | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ১২:৪৮65501
  • ছবিটা জ্জিও।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন