এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • জল-জঙ্গল কথা ১

    SEPA লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১২ নভেম্বর ২০১৩ | ১১৪২ বার পঠিত
  • রাত তখন তিনটে হবে। একটা শীতের কাঁপন শরীরে। তরল আগুণও তার সব সামলাতে পারছে না। একটু সরে এলাম লঞ্চের সামনে। বসেছিলাম সারেঙের সামনের ডেককভারের উপর। নীচে, লঞ্চের খোলে তখন অন্তত ষোলোজন ঘুমোচ্ছে। একমাত্র একটা জেনারেটরের শব্দ আচ্ছন্ন করে রেখেছে চারপাশ। আলোটা জ্বলছিল। বড় ক্লান্ত একটা ফ্যাকাশে সাদাটে আলো। সেই আলোর বৃত্ত থেকে সরে এসে সামনের হালের দিকে যখন দাঁড়ালাম তখন দেখলাম জায়গাটা ভিজে ভিজে। শিশিরের শব্দ শুনতে পাইনি। জেনারেটরের আওয়াজে চাপা পড়ে গিয়েছে। পা-টা খালি ছিল। জোলো একটা ভাব পা দিয়ে উঠে এল মাথার মধ্যে। মাথাটা তুলে তাকালাম আকাশে। এই তো! হাতের নাগালের মধ্যেই সব। ওই যে দেখা যাচ্ছে কালপুরুষ। ইংরেজীতে বলে ওরিয়ন কনস্টেলেশন।

    পৃথিবীর পর্যটকেরা সমুদ্রে চলার জন্য একটি বৃত্তাকার বড় পৃথিবী কল্পনা করে নিতেন এককালে। যার মধ্যে থাকতো আমাদের পৃথিবী, একটা বড় গোলের মধ্যে ছোট গোল হয়ে। সেই বড় গোলের কাল্পনিক রেখাগুলো পৃথিবীর কাল্পনিক রেখাগুলোর সমান্তরালে থাকতো। যেমন ওই কালপুরুষ দাঁড়িয়ে আছে ঠিক সেলেস্টিয়াল ইক্যুয়েটরের উপর। মানে সোজা কথায় কর্কটক্রান্তি রেখার সমান্তরালে একটি অপার্থিব কর্কটক্রান্তি রেখার উপরে। উত্তর বিষুববৃত্তের পাঁচটি প্রধান অক্ষরেখার মধ্যে অন্যতম কর্কটক্রান্তি। পৃথিবীতে সেই রেখা স্থির না। পৃথিবীও তো স্থির না। পৃথিবী একটা লাট্টুর মতন ঘোরে একটা নির্দিষ্ট দিকে একটু কোণাচে করে। সেই ঘোরার মধ্যে দিয়েই আবার একটা বড় ঘোরা থাকে তার, সূর্যের চারিদিকে। এখানেই হাঁফ ছাড়লে চলবে না। বাকী আছে আরো ছোট ছোট দুটো ঘোরা। একটাকে 'প্রিসেশন', আরেকটাকে 'ন্যুটেশন' বলে। ২৩ ডিগ্রী ২৬ মিনিট ২২ সেকেন্ড অক্ষাংশ রেখা বা ওই বরাবর কল্পিত একটি রেখা হল কর্কটক্রান্তি। কিন্তু সে প্রতি ৪১,০০০ বছর অন্তর ২১.৫ থেকে ২৪.৫ ডিগ্রীতে ঘোরাফেরা করে। এই হিসেবে এখন সে বদলাচ্ছে বছরে আধ সেকেণ্ড করে। তার মানে ওই কালপুরুষও এভাবেই বদলাবে সেলেস্টিয়াল হেমিস্ফিয়ারে। ওর ঠিক পাশে পাশের পাইসেস থেকে ভার্গো, অ্যাকুয়ারিয়াস কিম্বা ক্যানিস মাইনরও বদলে বদলে যাবে। বদলে যাবে হাইড্রাও। সর্পমস্তা হাইড্রা। আধুনিক কনস্টলেশনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়। আবিষ্কার করেছিলেন টলেমি, সেই মহান টলেমি, খ্রীষ্টিয় দ্বিতীয় শতকে। আরো পিছনে চলে গেলে দেখবো এটা একটা ব্যাবিলনিয়ান আবিষ্কৃত কনস্টেলেশন যার নাম ছিল মুলাপিন (MUL.APIN) তার মধ্যের অংশ। বাংলা উচ্চারণে মুল.ডিঙ্গির.মুস (MUL.DINGIR.MUŠ) হবে অনেকটা। ব্যাবিলনের জ্যোতির্বিদ্যা এবং জ্যোতিষচর্চার সম্মীলন হল এই মুল.আপিন। খ্রীষ্টজন্মের ১০০০ বছর অন্তত আগে এটি সঙ্কলিত হয় এবং পাওউয়া গিয়েছে খ্রীষ্টজন্মের ৭০০ বছরকার আগের দুটো ব্যাবলনিয়ান ট্যাবলেট-এ। ৬৬টি নক্ষত্রমণ্ডলের উদয়, অস্ত, পৃথিবীর কাছে আসা এ সমস্ত আছে তাতে। তার শুরুর দুটি শব্দ নিয়ে হল মুল.আপিন, মানে 'লাঙল' বাংলায়। বলছি বটে বাংলায়, তবে এ শব্দ দ্রাবিড়িয় ভাষাগোষ্ঠী থেকে আসা।

    ধান ভানতে শিবের গীত হয়ে যাচ্ছে না? তা ঠিক না। ওই কালপুরুষ কাল রাতে ছিল আমার বাঁ পাশে, এখন ডানপাশে। এর অর্থ আমার বাঁদিকে কাল ছিল বাংলাদেশ, আর এখন যেখানে দাঁড়িয়ে সেখানে ডানদিকে হবে। মাথা তুলতেই হাতের নাগালের মধ্যে ঝকঝকে তারার সমাবেশ, যেন বিড়লা তারামণ্ডলে বসে দেখছি, এমন অবস্থায় মন চলে গেল কালপুরুষ থেকে হাইড্রায়। মন গেল, কেন না মন বেড়াতে আসেনি শুধু। শিখতে এসেছে। মন বড় অশিক্ষিত। মন কৃষিকাজ জানে না। ওই লাঙলের নক্ষত্রনামা থেকে সর্পমস্তা পাতালচারী হাইড্রার মধ্যে মন ঘোরাফেরা করছিল তখন। পেছনের ডেকে যে ছোট দঙ্গলটি তাদের তখন ভাব এসেছে। গানের বন্যা বয়ে চলেছে নিস্তব্ধ নদীর বুকে। হাইড্রাকে বধ করেছিল হারকিউলিস। সে শুধু এক সর্পমস্তা বধের অলৌকিক গল্প, নাকি আসলেই পাতালকে বশ করার কাহিনী? কেন না বীজ অঙ্কুরিত হয় মাটির উপরে বটে, কিন্তু তার পত্তন তো গভীরে। হারকিউলিস কি এক মহান কৃষক বলে বীর যোদ্ধা? এক প্রায় অসম্ভব জমিতে ফসল ফলিয়েছিলেন বলে বীর যোদ্ধা? বেশ কিছুদিন আগে এক প্রবন্ধে গ্রীকদের ভারত আগমনের সময়কালে হারকিউলিস ও কৃষ্ণ-বলরামের একটি তুলনামূলক আলোচনা করতে হয়েছিল। আরো অনেক কৌতুহলদ্দীপক আলোচনা করতে হয়েছিল ইন্দ্রের এবং শিবের সঙ্গে এর সম্পর্ক ইত্যাদি প্রভৃতি নিয়ে। এবং অবশ্যই কিছু গ্রীক ঐতিহাসিকের এই মতটি নিয়ে যে আলেক্সাণ্ডার না, আসলে ভারতের ভূমিখণ্ডে প্রথম গ্রীক আক্রমক হলেন গ্রীক নাট্য যাঁর পূজা থেকে শুরু সেউ ডায়োনিসাস। তিনি ভারতে রাজত্বও করেছেন। কিন্তু সে তো অন্য কথা! এখন যে কথা ভাবাচ্ছিল সেটা হল হারকিউলিসও কৃষক, হাইড্রা দমনকারী, বলরামও কৃষক হল বা লাঙল হাতে। সেটাই তার অস্ত্র। আবার কালীয়দমন করছে তারই ছোট ভাই কৃষ্ণ।

    সেই সাপ, সেই লাঙল, সেই কৃষিকাজ। এবং কি আশ্চর্য্য, সন্ধেতে যে পালাটি আমরা মোল্লাখালি দ্বীপে বহু জনতার সমাগমের মধ্যে বসে দেখছিলাম সেও এই সর্পদেবী বলে শহুরে সাধারণ্যে চিহ্নিত মনসার পালা, যিনি আসলেই সর্পদেবী শুধু নন, মূলত তিনি কৃষিদেবী। অতি প্রাচীন এক দেবী ইনি। এঁর পূজোর রীতিনীতিও সেইরকম। সর্বত্র এঁর পূজোর জন্য মূর্তি থাকে না। সে সব অন্য সময়ের গল্প। আজ তো শুধু গল্পের আসরের সূত্রপাত হচ্ছে। এ খুব ছোট গল্প নয় যে দু এক কিস্তিতে শেষ করে ফেলতে পারবো। ফেললে বোধহয় আমাদের এই যাত্রার আসল উদ্দেশ্যই সফল হবে না। আমরা ২৭ জন কলকাতা থেকে যাত্রা করে এসেছি সুন্দরবনে। এটি একটি আপাত যাত্রা। উদ্দেশ্য ছিল আমরা পাঠ করবো লোকসংস্কৃতি। যে সংস্কৃতি আজকের না, এ সংস্কৃতি আমার ডানপাশের জঙ্গলের মতনই অতি প্রাচীন। সন্ধেতে যখন পালা চলছিল, পালার অর্কেস্ট্রার সুরে বাজছিল কিছু বাণিজ্যিক বাংলা সিনেমার গানের সুরও, তখন আমাদের ক্যামেরাপার্সনরা মজাচ্ছলে নেচে উঠছিলেন শ্যুট করতে করতে। অন্ধকার আর জল দিয়ে ঘেরা দ্বীপের মধ্যে, আমাদের আনা জেনারেটরের আলোতে পালা হচ্ছে। সোলার লাইট জ্বলছে কোথাও কোথাও। সেই আলো অন্ধকারকে শুধুমাত্র বাড়িয়েই দিচ্ছে। তার মধ্যে পালার অভিনয়শৈলীর গ্রামীণ চেহারা, মোটা দাগ এবং চড়া সমস্ত কিছুর মধ্যে নিজেদের আনন্দ আয়োজন করতেই করছিলেন সম্ভবত।

    আমি দেখছিলাম। আধুনিককৃত পালাটি গ্রামীণ দর্শকরা মুগ্ধ হয়ে নিঃসাড়ে দেখছেন। কাছের এক দ্বীপে চলছে ডান্স হাঙ্গামা। মানে সোজা কথায় চটুল হিন্দি ও বাংলা গানের সুরে পোষাক আশাক খুলে নাচ। তারপরেও এখানে এত মানুষ পালা দেখতে বসেছেন। কি অপার নৈঃশব্দে তাঁরা পালা দেখছেন সে লিখে বোঝানো যাবে না। সে সব কথা এখন থাক। এখন বলি আমাদের কথা। আমরা যারা পাঠ করতে গেছিলাম তাদের বৃহদাংশ পালার কাহিনী অংশটুকুর বয়ান ও বয়ানের ধাঁচের মধ্যেই আটকে আছেন। আছেন, তার কারণ তাঁরা এই পাঠের জন্য যতটুকু প্রস্তুতি নিয়ে আসা দরকার তার সবটা নিয়ে উঠতে পারেননি।

    ধরা যাক, তাঁরা তখন যদি জানতেন যে সুদূর আসিরিয়াতে এক রাণী ছিলেন যাঁর নাম সাম্মু-রাম্মাত, যিনি ব্যাবিলনের আসিরিয়ার পরাধীন হবার যুগের ব্যাবিলনীয় রাজকুমারী আর বিয়ে করেছিলেন বোধহয় বাধ্যতই আসিরিয় রাজাকে এবং আসিরিয়ার সামগ্রিক সংস্কৃতির বদল ঘটিয়ে দিয়েছিলেন তিনি ছিলেন প্রাচীন মাতৃপূজার এক উপাসিকা, যিনি ব্যাবিলনের নাগপূজার যে প্রচলন তাকেও এনেছিলেন আসিরিয়াতে তাহলে হয়তো একবার ভাবতে বসতেন। এর ফলে কি হইল? হইল যা তা ভারী বিষ্ময়কর! উগ্র আসিরিয় যোদ্ধাজাতির বর্বরতাকে তিনি পাল্টে দিয়েছিলেন বহুলাংশে। ব্যাবিলনীয় দেবতা শামাশ, যিনি আইন ও ন্যায়-নীতির দেবতা, রাজাকে যিনি সুবুদ্ধি দিয়ে থাকেন, তিনি আসিরিয়দের পূজ্য দেবতা 'আসুর' (ইনি এককালে আমাদের দেশের অসুর বংশেরও উদ্গাতা)-এর সঙ্গে সমাসনে বসলেন। বরসিপ্পার দেবতা নেবো-কে নিয়ে এলেন সামনে। সেই দেবতা লেখক ও শিল্পীদের দেবতা হলেন তাঁর তদানীন্তন অবতারে। যুদ্ধের উগ্রতাকে চালনা করলেন ন্যায়-নীতি ও শিল্পের দিকে। ব্যাবিলনের নাগপূজো বললে ভাবাটাই স্বাভাবিক যে সাপের পূজো বোধহয়। কিন্তু না! সমস্ত সর্পপূজোই আসলে এসেছে মাতৃগর্ভে থাকা মানবশিশুর নাড়ি থেকে। নাগজাতি যারা তারা তাই মূলত মাতৃতন্ত্রের পূজারি। এই যে এত আসিরিয় আসিরিয় করছি তার কারণ-ও হল যে মাতৃতন্ত্রের সুগুণগুলোর দিকে এঁদের সেদিন নিয়ে গেছিলেন সাম্মু-রাম্মাত। গ্রীকদের প্রসিদ্ধ সামুরামেট। তার ফল হল লেখার শুরুতে যে মুল.আপিনের কথা বলছিলাম সেই মুল.আপিনের সঠিক সঙ্কলন ও সংরক্ষণ করার মতন কৃষ্টি।

    আরো ফল আছে তার। এ দেশে যখন বহির্বিশ্ব থেকে ইণ্ডো-ইরানিয়ান ও ইণ্ডো-ইউরোপীয়ানরা আসে তখন থেকেই দেব আর অসুরের বংশের প্রথমে মৈত্রী ও পরে দ্বন্দ্বের কাহিনী সৃষ্টি হয়। দেবেরা উত্তর-পশ্চিম ও উত্তর ভারতে বসতি বিস্তার করলে অসুররা ধীরে ধীরে চলে আসতে বাধ্য হয় প্রাগজ্যোতিষপুরে, মানে বর্তমান আসাম বা অহোম দেশে। সঙ্গে নিয়ে আসে নিজেদের সংস্কৃতি। মাতৃদেবীর পূজো ও নাগপূজোর মাধ্যমে ফার্টিলিটি কাল্টের সংস্কৃতি বজায় রাখে। সেই সংস্কৃতি ধরেই উদ্ভব মনসা দেবীর। এবং এখানেই শেষ না, সে দেবীর পূজো যাঁর বাম হাতের পূজোর পরে প্রচলন হল সেই বণিক চাঁদ সদাগরের আসল বাসস্থানও সেই আসাম দেশে। বিপ্রদাস পিপলাই বলেছেন। আরো কাহিনী আছে। সময়ে সবিস্তারে জানাতে চেষ্টায় থাকবো। আমাদের সেই ক্যামেরাপার্সনরাও জানবেন। নিজেদের দেখাগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে মিলিয়ে আরেকবার পড়ে নেবেন সে পাঠ। তবে আমরা যাত্রা সম্পূর্ণতার দিকে পৌঁছবো কিছুটা। আপাতত আজকের ছুটি।

    (ক্রমশঃ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১২ নভেম্বর ২০১৩ | ১১৪২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Debajyoti | ***:*** | ১২ নভেম্বর ২০১৩ ০৬:৫৭46076
  • Ekta oshadharon oshasharon bhromon obhigyota. Sobta guchhiye uthte parini. Tai likhteo parchhi na. Palagaan , gramer haat , gramer manushder ushno obhyorthona ar onabil hasi , pukur e snan , gachh theke dab pere khawa , dui raat tin din launch er duluni , nodibokkhe surodoy o surjasto , palagaan seshe khawa dawa sere raat bhor gaaner asor...shorir o mon e onek matir gondho onek oxugen niye fire elam it kath pathorer ei sohore...ghor katchhe na...mone hochhe ekhono dulchhi....
  • ঐশিক | ***:*** | ১৩ নভেম্বর ২০১৩ ০৫:০৯46077
  • আপনি লিখুন, পরের কিস্তির অপেক্ষায়
  • Ranjan Roy | ***:*** | ১৩ নভেম্বর ২০১৩ ০৫:১৭46078
  • শুদ্ধ,
    অসীম আগ্রহে অপেক্ষায়।
  • Plabon | ***:*** | ১৩ নভেম্বর ২০১৩ ০৬:৫৭46079
  • দারুন দারুন
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে প্রতিক্রিয়া দিন