এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • জল জঙ্গল কথা ২

    SEPA লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৫ নভেম্বর ২০১৩ | ১১২৮ বার পঠিত
  • (২)

    যখন হিমালয় পর্বত গড়ে উঠছিল, সেই টারশিয়ারি সময়ে, মানে আজ থেকে ৫৫ মিলিয়ন বছর আগে ভারত এশিয়াতে ধাক্কা মেরেছিল। ফলস্বরূপ উঠে দাঁড়িয়েছিল হিমালয়। সেই সময়েই ধাপে ধাপে তৈরী হয়েছে বেঙ্গল বেসিনটা। সেই বেসিনে তার কিছু সময় পরে গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের পলিতে গড়ে উঠেছে সুন্দরবন বেসিন। কেতাবের ভাষায় বললে,

    "The Bengal Basin got filled up through the Tertiary marine geosynclinal and shelf sedimentation (>16km thick) followed by gradual progradation of the Quaternary Ganga - Brahmaputra delta fronts towards the southern sea producing the Bengal Delta Complex, the mangrove vegetated Recent – subRecent part of which is popularly known as the Sundarban Delta Complex. Ever since the advent of mangrove ecosystems on the earth in the tropical – subtropical coastal land masses after the breakdown of Gondwanaland, the temporal as well as geographical distribution of mangrove plants are largely controlled by continental drift and Pleistocene glaciation-related environmental and physiographic changes. The present Sundarban mangroves have their widespread ancient counterparts buried under deltaic sediment cover further inland."

    ওই যে রাত্রে দাঁড়িয়ে কালপুরুষ দেখছিলাম তার ভেতরে আরেকটা ভাবনাও ছিল। সুন্দরবন অঞ্চলটায় গঙ্গা আর ব্রহ্মপুত্রের মধ্যিখানের অংশটায় গ্র্যাভিটির পরিমাণ বেশী এবং চৌম্বকীয় সমস্যাও বেশী। তাহলে প্রাচীন কালে যদি শুধু কম্পাস দিয়ে চলাচল করতে হত তাহলে সমস্যা বাড়ার কথা। কিন্তু সে আমলে চলাচল তারা দেখেই হত। বহু বছর আগে (১.৯ মিলিয়ন বছর আগে) 'হোমো' গ্রুপের হোমো ইরেকটাস, হোমো এরগাসটার, হোমো হাইডেলবারজেনসিস যখন সাহারা অঞ্চলে কয়েক সহস্র বছর ধরে তুমুল বৃষ্টির জন্য আফ্রিকা থেকে বেরিয়ে পড়েছিল তখন তারা ক্রমশ পৌঁছেছিল দক্ষিণপূর্ব আফ্রিকায়। পাকিস্তানের রিয়াতে তার ফসিল প্রমাণ আছে। এই হোমো এরগাসটাস কিন্তু দু পায়ে চলাচলে সক্ষম ছিল। তারা কি নক্ষত্র দেখে চলাচল করতো? জানা নেই। কিন্তু তার পরের সময়ে যখন আরব ও পারস্য হয়ে হোমো স্যাপিয়েন্সদের একাংশ পৌঁছলো আজকের ভারতীয় উপমহাদেশে তখন আজকের সামুদ্রিক দক্ষিণপূর্ব এশিয়াজুড়ে ছিল 'সুন্ডা', এক অধুনাবিলুপ্ত মহাদেশ। হোমো ইরেকটাসরা যেমন লেভান্টাইন করিডর ধরে হর্ন অফ আফ্রিকা থেকে ইউরাশিয়ার (যেহেতু ইউরোপ ও এশিয়া একই ল্যাণ্ডমাসের অন্তর্গত এবং সাংস্কৃতিক ও পরের দিকে রাষ্ট্রীয় ভূগোলের দ্বারা বিচ্ছিন্ন এটি) দিকে এসেছিল, তেমনই আজ থেকে ১,২৫,০০০ বছর আগে পশ্চিম এশিয়াতে এসেছিল হোমো স্যাপিয়েন্স, আধুনিক মানুষ। আর এই দক্ষিণ দেশে তারা এসেছিল অন্তত ৫০০০০ বছর আগে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই চলাচল হয়েছে। তাদের প্রাথমিক যাত্রা যদি ভূখণ্ডের মধ্যে দিয়ে চলাচল হয় তাহলে পরবর্তীতে তারা চলাচলের জন্য নৌবিদ্যাও কাজে লাগিয়েছে। আর নক্ষত্রনির্ণয় সেই নৌবিদ্যার আবশ্যকীয় অঙ্গ ছিল।

    সুন্দরবন অঞ্চলের সবচেয়ে পুরোনো প্রত্নতাত্ত্বিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে চালকোলিথিক পিরিয়ডের, খ্রীষ্টজন্মের ৪০০০-৩০০০ বছর আগের। নদীগর্ভগুলো থেকে, জলাভূমি-জঙ্গল থেকে পাওয়া যাচ্ছে। সেই সময়ের মনুষ্য বসতিতেও তাদের নিশ্চই নদীতে ও সমুদ্রে নৌচালনার মতন বিষয়ের মোকাবিলাও করতে হয়েছে। তখন তাদের সাহায্যে আসতো এই রাতের আকাশ। ঝকঝকে এমন একটা আকাশকে অন্ধকার কি করে বলা যায়! এমন একটা আকাশের নীচে দাঁড়ালে কিছুতেই নিজেকে নিঃসঙ্গ বলে মনে হতে পারে না। প্রাচীন সাহিত্যে রাত্রির এই আকাশ এমন করে প্রভাব ফেলেছে তাই। এমনকি অধুনাতন কালের গ্রামীণ সাহিত্যেও তার অমোঘ উপস্থিতি। আর নাগরিক সাহিত্যে তার ততটাই রিক্ত বসবাস। নক্ষত্র, আমাদের করুণা করাই কি উচিত? আলোকিত মহানগরের বুকে আমরা তোমার, তোমাদের হাত ধরতে শিখিনি শিশুর মতন নির্ভয়ে, আমোদে? আমাদের কি মেমোসাইড-ই (স্মৃতিহত্যা) পরিণতি? সেই রাত্রে অবধারিত মনে পড়ে যাচ্ছিল জীবনানন্দকে।

    "কোথাও পাখির শব্দ শুনি;
    কোনো দিকে সমুদ্রের সুর;
    কোথাও ভোরের বেলা র'য়ে গেছে - তবে।
    অগণন মানুষের মৃত্যু হ'লে - অন্ধকারে জীবিত ও মৃতের হৃদয়
    বিস্মিতের মতো চেয়ে আছে;
    এ কোন সিন্ধুর সুর:
    মরণের - জীবনের?
    এ কি ভোর?
    অনন্ত রাত্রির মতো মনে হয় তবু।
    একটি রাত্রির ব্যথা সয়ে -
    সময় কি অবশেষে এ-রকম ভোরবেলা হয়ে
    আগামী রাতের কালপুরুষের শস্য বুকে ক'রে জেগে ওঠে?
    কোথাও ডানার শব্দ শুনি;
    কোন দিকে সমুদ্রের সুর -
    দক্ষিণের দিকে,
    উত্তরের দিকে,
    পশ্চিমের পানে?"

    আগামী রাতের কালপুরুষের শস্য বুকে ক'রে জেগে ওঠে? ওঠে কি? এই যে কলকাতা থেকে একদঙ্গল মানুষকে নিয়ে এখানে এসেছি এও কি এক আত্মআবিষ্কার নয়? এই যে নদী পায়ের নীচ দিয়ে বয়ে চলেছে, ওই যে পাশের টারশিয়ারি এজের নিথর অরণ্য, সে কি শেখাচ্ছে? আরো ভয়ঙ্কর করে শেখাচ্ছে না বেঁচে থাকা কি ক্লেদাক্ত হয়েছে শুধুমাত্র মানুষেরই জন্য? ওই জঙ্গলটাই তো মরিচঝাঁপির জঙ্গল! দুপুরের দিকে একটা বোট নিয়ে গিয়েছিলাম তার ধারে। বন দফতরের লঞ্চ ছিল পাহারায় তার ভেতরে চলে যাওয়া খালটার সামনে। যে খালটায় ঢোকা গেলে দেখে আসা যেত পূর্ব বাংলা থেকে উদ্বাস্তু আমাদের পূর্বজরা যখন এ দেশে এসে একটু থাকতে চেয়ে পরম মমতায় একটা স্কুল, প্রাথমিক শিক্ষাকেন্দ্র, নিজেদের বাজার, গোলাঘর এ সব বানিয়েছিলেন সে সব জঙ্গলে ঢাকা পড়ে গেলে কতটা নৈঃশব্দ তৈরী হয়। যতটা হয় তাতে মরিচঝাঁপির গণহত্যাকারীদের মুখগুলো আবছা লাগে কি না! এইখানে, এই নদীবক্ষেই তো তিরিশটা পুলিশ লঞ্চ পেট্রোল দিয়েছিল, যাতে কেউ ঢুকতে বেরোতে না পারে, কোনো খাবার কিম্বা সাহায্য না আসতে পারে! ১৯৭৯ সালের ২৪ শে জানুয়ারী থেকে সি আর পি সি-র ১৪৪ ধারা জারী হয়েছিল। ৩১ শে চলেছিল গণহত্যা। আমাদের লঞ্চটা জোয়ারের তালে তালে সরে যাচ্ছিল মরিচঝাঁপির জঙ্গলের দিকে রাত্রে। বারেবারে সারেঙ উঠে এসে এসে লঞ্চ ঘোরাচ্ছিল। বাঘের ভয়? আমার কেমন যেন মনে হচ্ছিল মৃতদের ভয়। যারা রাত নামলে ফিরে আসে, অরণ্যের ভেতরের রাস্তা দিয়ে ওপার বাংলার লোকগান গাইতে গাইতে হাঁটে। শিশুরা যায় ইস্কুলে পড়তে। বুড়ো কবরেজ চিকিৎসা করে তার চালাঘরে। ভোরের বাজারের জন্য রাত তৈরী হতে থাকে।

    "অগণন মানুষের মৃত্যু হ'লে - অন্ধকারে জীবিত ও মৃতের হৃদয়
    বিস্মিতের মতো চেয়ে আছে;"

    কেন? কেন এ হত্যা? মানুষ তো বনবিবি, মনসা, শীতলা সবাইকে নিয়ে মঙ্গলকাব্য লিখেছে। গেয়েছে। পূজো করেছে। মানুষ তো মানুষের মঙ্গল চেয়েছে শুধু। চাইবার কথা। তাহলে অমঙ্গল রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস হয়ে, ষড়যন্ত্র হয়ে, বুলেট হয়ে, বুদ্ধিজীবির নিত্য ধান্দামান রূপ হয়ে কেন আকাশ বাতাস ভারী করে তোলে? যে সব কবি ও সাহিত্যিকগণ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে কেঁদে ভাসিয়েছিলেন এ দেশে, তাঁরা মরিচঝাঁপি থেকে ঘুরে এসে, রাষ্ট্রীয় শক্তির সামনে সেবাদাস হয়ে গেলেন? ঠিক যেমন করে আজও সব সেবাদাস হচ্ছে? এর, ওর অথবা তার? আহ, সৃজনের ভয়াবহ মানে! ভয়াবহ!

    "সৃজনের ভয়াবহ মানে;
    তবু জীবনের বসন্তের মতন কল্যাণে
    সূর্যালোকিত সব সিন্ধু-পাখিদের শব্দ শুনি;
    ভোরের বদলে তবু সেইখানে রাত্রি করোজ্জ্বল
    ভিয়েনা, টোকিও, রোম, মিউনিখ - তুমি?
    সার্থবাহ, সার্থবাহ, ওইদিকে নীল
    সমুদ্রের পরিবর্তে আটলাণ্টিক চার্টার নিখিল মরুভূমি!
    বিলীন হয় না মায়ামৃগ - নিত্য দিকদর্শিন;
    যা জেনেছে - যা শেখেনি -
    সেই মহাশ্মশানের গর্ভাঙ্কে ধূপের মত জ্ব'লে
    জাগে না কি হে জীবন - হে সাগর -
    শকুন্ত-ক্রান্তির কলরোলে।"

    জীবনানন্দকে 'নির্জনতম কবি' বলার বুদ্ধদেবোচিত ন্যাকামোকে চিরকাল আমি তাচ্ছিল্য করে এসেছি। রাত যখন ভোরের দিকে গড়াচ্ছে, আমার কানে স্পষ্টত যখন লেগে আছে চাঁদ সদাগরের নিজের ছেলের জীবনের জন্য মনসার কাছে আত্মসমর্পণ অবশেষে, তখনও একই রকমের হাসি উঠে আসে আমার ঠোঁটে। আদর্শ মাইরি যেন কোমরের ঘুনসি, পুরোনো হয়ে গেল, সবুজ হয়ে গেল বলে খুলে ফেলে রেখে দিলাম। এই জোর নিয়ে মনসার মোকাবিলা করা যায়নি, যায় না। আজকের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে, মোল্লাখালির ওই দ্বীপে বাদাবনের কতিপয় জায়গার মধ্যে একটা মাত্র জায়গায় টিমটিম করে জ্বলছে লাল পার্টি। অথচ একটু আগে পালা চলার সময়ে যখন লক্ষীন্দরের বিয়ে হচ্ছিল তখন আসরে বসা বৌ-ঝি- রা অভিনেতাদের সঙ্গেই হুলুধ্বনি দিচ্ছিলেন। যেন লক্ষীন্দর না, তাঁদের পুত্রবৎ কারোর বিয়ে হচ্ছে। আজ্ঞে, কেউ ওদের ভাড়া করে আনেনি, বা দলীয় মাহাত্ম্য বোঝাতে থিয়েটার শো-এর মধ্যে নির্দিষ্ট স্থানে ওঁদের উলুধ্বনি দিতে আগে থেকে নির্দেশ দেওয় হয়নি। খুব স্বাভাবিক ভাবে দিয়েছেন ওঁরা। এটাই তো এত এত বছরের সংস্কৃতি। বামপন্থী দ্বীপের বাসিন্দা বলে মনসা পূজোয় তাঁদের বিন্দুমাত্র অস্বাচ্ছন্দ্য নেই। বামপন্থা, তাঁরা চাঁদের বাম হাতে মনসা পূজোর মতন করেই নিয়েছেন, অন্য কিছু না। কেন এমন হল? আমার সামান্য বুদ্ধি যা বলে তা জানাতে হলে আরেকটু লিখতে হবে। এ পর্বে না, অন্য পর্বে, অন্য সময়ে। মরিচঝাঁপির অমঙ্গল কাব্যের যে বিষ সে নিয়েই আজ থামলাম, মার্জনা প্রার্থী।

    (*কবিতাটি জীবনানন্দ দাশ-এর প্রখ্যাত 'সূর্যতামসী')

    [ক্রমশঃ]
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৫ নভেম্বর ২০১৩ | ১১২৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ***:*** | ১৬ নভেম্বর ২০১৩ ০৭:৪৯45584
  • তথ্যপূর্ণ এবং আগ্ড়জাগানিয়া। ভাল লাগছে সে তো বলা বাহুল্য।
  • | ***:*** | ১৬ নভেম্বর ২০১৩ ০৭:৫০45585
  • তথ্যপূর্ণ এবং আগ্রহজাগানিয়া। ভাল লাগছে সেতো বলা বাহুল্য।
  • SEPA | ***:*** | ১৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৩:৪৩45586
  • খুব ভাল। তারপর?
  • শুদ্ধ | ***:*** | ২৩ নভেম্বর ২০১৩ ০৩:৪৯45587
  • দ, চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। :)
  • priyanka | ***:*** | ২৪ নভেম্বর ২০১৩ ০৫:২৫45588
  • "ঝকঝকে এমন একটা আকাশকে অন্ধকার কি করে বলা যায়!" jaaye to na! taai jonne gaan tai holo "aandhar amar bhalo laage, taara diye shaajiyo na aamar aakash'. oishob jaayga'e aakash to taara'e taara'e shotti'i sheje thaake. :o

    aar baampontha ba ponthi, shey jodi layers-kotha na pore, omon ekta layers jaayga'e orthat kina, jol-jongol'e boshe, taahole ki-i ba porlo? manush to assimilation, adaptation'er i jaat, like onyanyo jeeb. taai etao raakhe, otaao rakhe, poth-cholti jokhon jemon. khub shaabhabik bhaabei taai ek briddha monoshamongol paala'r sheshe uthe aashen, nichu hoye pronaam koren. kaaron ei paala'ta to aashole ekta ritual'er uposthaapona, taai na? khub icche hocchilo okhankar manusher shonge kotha bola'r cheshta korte, je tnaara ki bhaabe dekhen paala? realism'er to dhaar dhaaren na. khub rong, khub jhilimili eguli jemon chole, 'goa' lekha tee-shirt ba ekhonkar dhoroner ekta sidebag niye tokhonkar diner jaatra dekhano, etao chole. taahole, tnaara ki dekhen? aashole amar jeta mone hoye, maanusher spirit baad diye kothao kisyu hoye na. jeta hoye, upar upar hoye. aar bhitor-srote nijer moto boye chole.

    aar sheydin bongnaa-bound train'e (maatribhumi, ladies special train eti) modhyomgram jacchi, ek mohila uthlen, holud synthetic shaari o blouse (shorosshoti pujo dhoroner poshaak), maatha'e jota-khopa. haate cchoto thaala, ekta cchotto murti dhoroner. monosha'r jonne poysha chaaicchen, aar ektu bhaari gola'e monosha'ke niye kono gaan gaicchen. compartment'er shobai je jaar kotha'e byasto cchilo, ami'o kicchu dilam na. khaali bhabcchilam, jei jaygata theke pherot elam, sheykhankar manush hole ki korten? poysha diten, na na?
  • priyanka | ***:*** | ২৪ নভেম্বর ২০১৩ ০৫:৪৬45589
  • aar lekha ta boroi bhalo laglo. onyo gulo'o obosshoi, kintu eta'e dhukte aaro shubidhe holo kaaron shaamnei to ektukhani dekha, maane paala jaara dekhen, tnader? 'বামপন্থী দ্বীপের বাসিন্দা' kotha ta besh haashyokor. pontha jibon'er shonge na mishle ghorar dim cchara aar kicchui hoye na, dekhecchi. ta shey je pontha'i hok.

    ekta proshno: onno ekta lekha'e ekta probaad'er ullekh acche. 'monosha kaani' bole. monosha ki shotti'i kaani, na erom just bola hoye thake?

    ekta gaan, school'e shikhecchilam. amader convent school'er 50 years upolokkhe shei bocchor folksongs of india, ei theme'e onushthan howa'e beshkicchu gaan shikhte hoyecchilo. (nagaland'er gaan'o - jodio sheytar bhasha theek ki, jani na). to shundorbon niye gaan ta kicchuta erom cchilo : 'bonobibi borokha gaaji dokkhiner raay/shokoler kacch hote (...kotha bhule gecchi) ja paaye/shaanti elo shei hote dokkhin oronye/biraajilo chiroshaanti shundori bone'. to ekhane jeta bola, 'মানুষ তো মানুষের মঙ্গল চেয়েছে শুধু' etai to. oirom ekta jol-jongol odbhut jaayga'e shobai ekshonge thaaka cchara to upaaye naai.

    oi 3'te naagad raater shomoyta (jokhon aamra praaye morich-jhnaapi'r kacchakacchi'i pnoucche gecchilam) besh bichitro cchilo.
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন