এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • জল জঙ্গল কথা ৩

    SEPA লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২১ নভেম্বর ২০১৩ | ১২১৮ বার পঠিত
  • (৩)

    সিগমুণ্ড ফ্রয়েড বলতেন সাপের সঙ্গে পুরুষের যৌনতার নিবিড় সম্পর্ক আছে। সাপ লিঙ্গের চিহ্ন এবং যৌনতার আগ্রহর সঙ্গে সম্পর্কিত। শুধু পুরুষ কেন? সে ভাবনায় যাবার আগে একটা অন্য ঘটনা দিয়ে শুরু করি এই পর্ব। ৬৭ মিলিয়ন বছরের আগের একটি ফসিলের কথা এটি। পাওয়া গিয়েছে গুজরাতের থেকে। একটি সাপের ফসিল যা সদ্য ডিম ফুটে বেরোনো সৌরোপোডার ছানাকে গিলে খাচ্ছে। পূর্ণবয়স্ক সৌরোপোডা পৃথিবীতে ঘুরে বেড়ানো ডায়ানোসরদের মধ্যে সবচাইতে অতিকায়। নীল তিমি কিছুটা একে পাল্লা দিতে পারে। তার ছানা ডিম ফুটে বেরোনো অবস্থাতেও অন্তত এক ফুট আট ইঞ্চির কাছাকাছি। আর এই ফসিল সাপটি হল 'সানাজে ইণ্ডিকাস' এবং দৈর্ঘ্য ১১ ফুট ৬ ইঞ্চি প্রায়। মুখটা সেকেলে লিজার্ডের মতন বড় করতে পারতো বলে অনেক সহজেই ডায়ানোসর ছানা গিলে খেতেও পারতো। এটা তার শক্তিমত্তার পরিচায়ক। এই পরিচয়ের জোর থেকে গিয়েছে মানুষের ইতিহাসে। ডায়ানোসরের বিলুপ্তির পরেও সে থেকে গিয়েছে। তার পা ধীরে ধীরে অবলুপ্ত হয়েছে। চলার জন্য তাই তাকে আঁকা বাঁকা পথ বের করে নিতে হয়েছে। শক্তিমত্তার সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে তার আরেক অস্ত্র, বিষ।

    ফ্রয়েড বলছেন পুরুষের ক্ষেত্রে লিঙ্গের সঙ্গে জড়িয়ে সাপের সম্পর্ক। অথবা পুরুষত্বের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। নারীর ক্ষেত্রে পুরুষের সঙ্গে তার যৌনসম্পর্কের ক্ষেত্রেও জড়িয়ে আছে সাপ। ইয়ুং কিন্তু একেবারেই সে রাস্তায় হাঁটেননি। বরং বলছেন, “ What Nature wants us to do is to move with a snake-like motion. … The snake is the symbol of the great wisdom of Nature, for the too direct way is not the best way; the crooked way, the detour, is the shorter way.”
    এখানে ফ্রয়েড-ইয়ুং নিয়ে বেশী আলোচনার অবকাশ নেই। শুধু এটুকু বলি যে এই দৃষ্টিভঙ্গীর পার্থক্যটা অবশ্যই ঐতিহাসিক কারণেই হচ্ছে। ঠিক সেই জায়গাতেই নিৎ্‌সে প্রকৃতির, প্যাশনের সঙ্গে শিল্পের সম্পর্ক ও অবস্থান বিবেচনা করছেন ডায়ানিসিয়ান-অ্যাপোল্লোনিয়ান কনফ্লিক্ট ধরে। আসলে এটা কালের প্রভাবও বটে। ইয়ুং-এর উপরে নিৎ্‌সের প্রভাব কেমন তা নিয়ে একটা ছোট্ট কোটেশন দিলেই সম্ভবত কিছুটা পরিস্কার করা যাবে ধারণাটা। তাঁর বিখ্যাত 'Memories, Dreams, Reflections'-এ ইয়ুং বলছেন,

    The meaning of my existence is that life has addressed a question to me. That is a supra-personal task, which I accompany only by effort and with difficulty. Perhaps it is a question which preoccupied my ancestors, and which they could not answer? Could that be why I am so impressed by the problem on which Nietzsche foundered: the Dionysian side of life, to which the Christian seems to have lost the way? (Jung, 1965 [1961], p. 350)

    এইটা ধরে আমরা আরেকটু এগোতে পারি। ফ্রয়েডের এই ভাবনাটা কেন এতটা পুরুষ ও পুংলিঙ্গ কেন্দ্রিক সেই অবস্থানটাকে কিছুটা বোঝার জন্য। ফ্রয়েডের ভাবনাটা অনেকটাই বাইবেল পরবর্তী সাপের সম্পর্কিত ধারণা সম্ভূত। লেভাইটরা বাইবেল গ্রন্থন করার আগে অবধি নানান সভ্যতায় সাপের অবস্থান নিয়ে আগে কিছুটা লিখেছি। এখন তার পুনরাবৃত্তি না করেই বলি, যে সাপ মূলত ক্ষমতা, জ্ঞান, বুদ্ধি ও উর্বরতার প্রতীক হিসেবে বিবেচ্য হত। যাবতীয় প্রাচীন মাতৃপূজার মধ্যে তাই সাপের অবস্থান এত বেশী। কিন্তু যখন মাতৃতন্ত্রের অবসানের জন্য সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আক্রমণ একযোগে শুরু করলো পুরুষতন্ত্র তখন থেকে সাপের অবস্থান গেল বদলে। বাইবেলে সাপ এল শয়তানের রূপ ধরে। হিব্রু বাইবেল থেকে শুরু শয়তানির সঙ্গে সাপের সম্পর্ক। ইহুদিরা মিশরে দাস ছিল। সুতরাং মিশরের যাবতীয় রীতিনীতি ও তার প্রধান দেব-দেবীদের বা ফ্যারাওদের বিরুদ্ধেই গড়ে উঠেছে তাদের ধর্মমত। এই সমস্ত দেব-দেবী ও ফ্যারাওদের ক্ষমতার চিহ্ন হিসেবে সর্পের আধিপত্য যথেষ্ট। সেই সর্পই হিব্রু বাইবেলে এল ইভকে ছলে ভুলিয়ে আপেলটি খাবার প্ররোচক হিসেবে। মধ্যযুগের খ্রীষ্টান ধর্ম বারেবারেই এই সর্পকে নারী সর্প বা নাগিনী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। প্যারিসের নোতরদাম গীর্জার সামনের স্থাপত্যটি এই বিষয়ে অসামান্য। অর্থাৎ যা এককালে ছিল মাতৃদেবীর শক্তির প্রতীক সেই প্রজননের দেবী হয়ে গেলেন শয়তানি নাগিনী। পুরুষতন্ত্রের জয়জয়কারের মধ্যে দিয়েই এই কাহিনীর বিস্তার। এই বিস্তার ফ্রয়েডেও এসে দাঁড়িয়েছে।

    কিন্তু এতো আধুনিককালে গল্প। সে কালের মনসার কাহিনীতে এর উল্লেখ করলাম কেন? কারণটা সহজ। শিব বনাম মনসার দ্বন্দ্বটা এবং চাঁদ সদাগরের অবস্থান বোঝাতে গেলে, এই ভূমিকা ছাড়া বোঝানো মুশকিল ছিল। ডঃ সত্যনারায়ণ ভট্টাচার্য্য জানিয়েছিলেন যে প্রাচীন মনসা হলেন প্রজননের দেবী। পরবর্তীতে বৈদিক এবং পৌরাণিক সংস্কৃতির চাপে সেই রূপের পরিবর্তন হয়। মনসার সঙ্গে আরোগ্য ও পুষ্টিও ছিল একসময়ে। প্রজনন, আরোগ্য আর পুষ্টি সমস্তটাই চলে গিয়েছে ষষ্ঠীর সঙ্গে। সর্পপূজোর এই রূপটির সঙ্গে আসিরিয় সংস্কৃতির সম্পর্ক আছে এবং চাঁদ সদাগর সেই প্রাগজ্যোতিষপুরের লোক বলে একটা ভাবনা এসেই থাকে যে হয়তো বা এই রূপটা এসেছে ওখান থেকেই। হতেও পারে, নাও হতে পারে। এর পেছনে তো কোনো ঠোস সবুদ কিছু নেই। কিন্তু একথা নিশ্চিন্তে বলা চলে যে সর্প পূজো যে কোনো জায়গাতেই নিজের থেকেই শুরু হতে পারে।

    এর প্রমাণ হিসেবে ছোট করে বলে নিই আফ্রিকার 'হুইডাহ'-র কথা। এখানে আদিম কাল থেকেই পাইথনের পূজো চলছে। বৃক্ষ এবং সমুদ্রের সঙ্গে পাইথনের সম্পর্ক পূজ্য এখানে। গ্রামের মধ্যেকার একটি দরজাবিহীন কুটির হল পাইথন দেবতা 'ডান্‌হ-গবি'-র মন্দির এটি। এখানে একেক সময় ছ সাতটি করে পাইথন থাকে। পাইথনের মূর্তি না, জীবন্ত পাইথনের পূজো এদের বৈশিষ্ট্য। ভেতরের দেওয়ালগুলো নিয়মিত সাদা রং করা হয়। আশেপাশের লম্বা খুঁটির থেকে ঝোলানো থাকে লাল, সাদা, নীল কাপড়। এ অঞ্চলে কেউ যদি ভুল করেও পাইথন হত্যা করে তাহলে তার শাস্তি ছিল মৃত্যু। তাকে গায়ে আগুণ দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হত। পাইথন পূজোর পুরোহিতরা যখন যে জ্বলন্ত অবস্থায় নদীর জলের দিকে দৌড়োয় তখন তাকে লাঠি দিয়ে, পাথর ছুঁড়ে মারতে থাকে। অর্থাৎ তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। উনিশ শতকের শেষের দিকে এই প্রথার কিছু পরিবর্তন ঘটানো গিয়েছে। এখন শাস্তি হল আর্থিক জরিমানা। যদি কেউ পথে পাইথনের দেখা পায় এবং তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে তাহলে তাকেও জরিমানা দিতে হয়। পাইথনটিকে দেখে সে তুলে আনতে পারবে না। আগে তাকে ডান হাত দিয়ে জমি ছুঁয়ে রাজার কাছে যেমন অভিবাদন জানাতে হয় তেমন করে অভিবাদন জানাতে হবে। তারপরে সে দেবতার মন্দিরে তাকে ফিরিয়ে দিয়ে যাবে। কোনো শিশুকে যদি কোনো পাইথন স্পর্শ করে তাহলে সেই শিশুকে দিয়ে দিতে হবে পাইথন পুরোহিত গোষ্ঠীতে। তার বড় হওয়া এবং শিক্ষার খরচা তার বাবা-মা দিতে বাধ্য থাকবে। পাইথন দেবতার স্ত্রী হিসেবে কিছু নারীকে পুরোহিতরা বেছে নিয়ে থাকে। তারা আসলে পুরোহিতদের ভোগে লাগে এবং মন্দিরের কাজে লাগে।

    পাশের ইউয়িভাষাভাষী অঞ্চলের সঙ্গে এদের দীর্ঘকালীন শত্রুতা আছে। একসময়ে যুদ্ধে জেতার পরে ডাহোমিয়ানরা, যারা তখন পাইথন পূজো করতো না তারা পাইথনগুলোকে বলে দেবতা হলে তারা যেন নিজেদের রক্ষা করে। কিন্তু কিছু ঘটে না দেখে তারা তাদের মেরে খেয়েও ফেলেছিল। তারপরে অন্য একটি যুদ্ধে তারা হেরে যায়। ডাহোমিয়ানদের আক্রমণে আহত সৈন্যদের লেজ বুলিয়ে সুস্থ করে তুলছিল হুইডাহ-র পাইথন পুরোহিতের হাতে ধরা পাইথন দেবতা। সে যুদ্ধে ডাহোমিয়ানদের হেরে যেতে হয়। যুদ্ধের দেবতাও হল এই পাইথন তা স্বীকৃত হয়। তারপরে ধীরে ধীরে একসময়ে তারাও শুরু করে পাইথন পূজো। সুতরাং পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তেই এই পূজো তার নিজের নিয়মে গড়ে উঠতে পারে। প্রজনন থেকে যুদ্ধ যে কোনো বিষয়ের সঙ্গেই একে মানুষ জুড়ে নিয়ে থাকে।

    এত কথা বলতে হল মনসার সঙ্গে চাঁদ সদাগরের দ্বন্দ্বের কাহিনীটির প্রেক্ষাপট বোঝাতে। শত্রু না থাকলে দেব বা দেবীর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা হয় না। আসাম থেকে চাঁদ সদাগরের বাণিজ্য যদি এই গাঙ্গেয় বনভূমি পেরিয়ে সমুদ্র পার করে থাকে তাহলে সে দু ধরণের সভ্যতার মধ্যে দিয়েই গিয়েছে। একটি বাণিজ্য নির্ভর সভ্যতা, অন্যটি কৃষি নির্ভর। সুতরাং এই দুই সভ্যতার দ্বন্দ্ব ও মিলনের আন্তঃসম্পর্কের মধ্যে এ কাহিনীর আরো কিছু অর্থ থাকবে। সে অর্থ এবং পূজো প্রক্রিয়ার কথা লিখবো পরের পর্বে। জল জঙ্গল সঙ্কুল সুন্দরবনের আজকের চেহারায় তার কৃষি সভ্যতাকে বোঝা বেশ কঠিন। কিন্তু আমার ধারেপাশের নদী-খাল-বিল-জলাজমি আর জঙ্গলের আড়ালে একসময় ছিল এক কৃষি সমৃদ্ধ জনপদ। সে রাতের অন্ধকারে যেমন করে অরণ্য অঞ্চল ঢেকে ছিল আমাদের চোখ থেকে, তেমনই ইতিহাসও ঢেকে আছে। ফিরবো আবার তার কথা নিয়ে।

    (ক্রমশঃ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২১ নভেম্বর ২০১৩ | ১২১৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • malliak sen | ***:*** | ২১ নভেম্বর ২০১৩ ০৩:৪৯45603
  • very interesting observation. please complete it.
  • শুদ্ধ | ***:*** | ২৩ নভেম্বর ২০১৩ ০৩:৪৮45604
  • ধন্যবাদ! :)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন