এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • জল জঙ্গল কথা ৫

    SEPA লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৩ | ২১৭৪ বার পঠিত


  • মনসার পালা একটি দীর্ঘ পালা। অন্তত বারো ঘন্টা এর অনুষ্ঠান সময় হয়ে থাকে। আমরা যেদিন মনসার পালা দেখতে পৌঁছেছিলাম কুমীরমারিতে সেদিন এতটা সময়ও ছিল না আমাদের। তাছাড়া যেহেতু বাইরে থেকে গিয়ে অনুষ্ঠান করছি তাই অনুষ্ঠান আয়োজনের কিছু সমস্যাও ছিল। আগের দিনের ক্ষেত্রে যেমন বেশ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলাম। আগের দিন যখন দুখের পালা হচ্ছিল তখন সে দলটি করছিলেন তাঁরা আমাদের সঙ্গে তাঁদের চুক্তি ভঙ্গ করেছিলেন। দুখেযাত্রা ও মনসার পালা, এই দুটি পালা তাঁদের করার কথা ছিল! কিন্তু তাঁরা শেষ মুহুর্তে আমাদের জানিয়েছিলেন যে দুখের পালা তাঁরা করতে পারবেন, মনসার পালা নয়। তাঁদের মূল দুই অভিনেত্রী দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন, দলের দুই সদস্যকে বিয়ে করে। প্রায় পালিয়ে গিয়েছেন বলা যায়। অতএব আমরা মনসার বদলে যেন শীতলার পালা শুনি। অন্য সময় হলে আমরা রাজীও হয়ে যেতাম। কিন্তু প্রথমত আমরা যাঁদের নিয়ে গিয়েছি তাঁদের কাছে এ ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিভঙ্গ হবে। দ্বিতীয়ত, অত্যন্ত অন্যায় হবে এঁদের এই অসততা মেনে নেওয়া। এই পালানোর ঘটনাটা ঘটেছে পালা অনুষ্ঠানের এক সপ্তাহ আগে। চাইলে আমাদের দূরভাষে তাঁরা জানাতেই পারতেন। কিন্তু জানাননি। শেষ মুহুর্তে জানালে আমাদের উপায় থাকবে না এবং তাঁরাও অর্থটা পেয়ে যাবেন এ কথা ভেবেই তাঁদের এই মিথ্যাচার। তাই রাজী হবার প্রশ্ন ছিল না। তাঁরা গ্রামের একাংশকে প্রাথমিকভাবে ভুল বুঝিয়ে নিজের দিকে টেনে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন, চেষ্টা করতে যাচ্ছিলেন আমাদের বাধ্য করার, কিন্তু সফল হতে পারেননি।

    আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতায় আমি বহুবার দেখেছি দারিদ্র আসলেই কাউকে মহান করে না। নজরুল যতই লিখুন হে দারিদ্র তুমি মোরে করেছ মহান, তাতে কিছু বদলায় না। বরং দারিদ্র যেহেতু মানবিক বোধকে সংকীর্ণ করে তাই সে বেশী ঘৃণ্য। তার অবসান হওয়া অত্যন্ত জরুরী। এঁরাও দারিদ্রের কারণেই এমন কাণ্ড করেছেন। কিন্তু কাণ্ডটা বেশ খারাপই। এঁদের ধারণা হয়েছিল কলকাতা থেকে আমরা যেহেতু আগত এবং লঞ্চে আছি, আমাদের নিজস্ব জোর খুব বেশী নেই অতএব। তাই এইটা করাই যায়। যাই হোক, ফলাফলে বুঝলেন যে করা যায় না। শুধু তাই না, করার ক্ষেত্রে অনেক অন্য সমস্যাও হাজির হয়ে যেতে পারে যা তাঁদের পক্ষে সামলানো সম্ভব নাও হতে পারে।

    কিন্তু এই অবস্থা কেন? এর পেছনে অনেকগুলো কারণ আছে। এঁরা নিয়মিত এই ধরণের পালাগান অনুষ্ঠানের সুযোগ আর পাচ্ছেন না। আজ প্রায় দশবছর পরে যে অঞ্চলে আমরা এই অনুষ্ঠান করলাম সেখানে এই ধরণের অনুষ্ঠান হচ্ছে। এমন কিছু বিরাট অঙ্কের অর্থ আমাদের ব্যায় হয়নি এ কাজে। তবু এ ব্যায় অঞ্চলের মানুষের পক্ষে সাধ্যাতীত। বিশেষ করে আয়লার পর থেকে গ্রামে গ্রামে নোনা ধরেছে জমিতে যা এখনো ছাড়েনি। ফলে চাষের কাজের সঙ্গে যুক্ত বেশীরভাগ মানুষের কাছে দুটি বিকল্প মাত্র। তার মধ্যে প্রথম হল সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে জীবনযাপনের উপায় খোঁজা। মধু ছাড়াও, জঙ্গলের ভেতরের খাঁড়িগুলোতে মাছ ও কাঁকড়া একটু উন্নত। যেহেতু মানুষের আনাগোনা সেখানে কম তাই তার হাল বাইরের নদীগুলোর মতন নয়। কিন্তু জঙ্গলে যেতে লাগে পারমিট। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তা পেতে হয়। তার সঙ্গেই আছে বেশী লোক যেতে না পারা। বেশীরভাগ অরণ্য অঞ্চলই সংরক্ষিত বলে সেখানে অত্যাধিক সংখ্যায় মানুষের প্রবেশও যথেষ্ট ক্ষতিকর প্রাণী সংরক্ষণের পক্ষে। যেমন ধরুণ বাঘের জঙ্গলের কথা। সাধারণভাবে একটি জঙ্গলে একটিই বাঘ থাকে। সেই বাঘ তার সীমানা নির্ধারণ করে তার মনোমত অঞ্চলের সীমান্তবর্তী গাছের গায়ে মুত্রত্যাগ করে। সেই মুত্রের গন্ধে অন্য বাঘ সে অঞ্চলে আসবে না। এমনকি অন্য প্রাণীরাও খুব বেশী আসবে না। কিন্তু সুন্দরবনের অরণ্যে জোয়ার-ভাঁটার খেলায় জল ঢোকে। জল ধুয়ে নেয় সবকিছু। অর্থাৎ বাঘের জঙ্গলের সীমানা বারেবারেই মুছে যায়। প্রাণীতত্ত্ববিদরা বলেন এই অবস্থায় বাঘ তার এলাকা দখল বজায় রাখতে অনেক বেশী হিংস্র হয়। তাই সুন্দরবনের বাঘ মানুষকে এত ঘন ঘন আক্রমণ করে থাকে।

    এর সঙ্গেই আছে চোরা শিকারীর উপদ্রব। সুন্দরবন যেহেতু বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত পারাপার করেছে এবং সেখানে সীমান্তরক্ষা যেহেতু বেশ কঠিন কাজ, তাই চোরাশিকারীর আনাগোণাও অনেক বেশী। তাদের হাতে প্রায়শই প্রাণীরা আক্রান্ত হয়ে থাকে। সেই আক্রমণের জন্যেও সুন্দরবনের বাঘ মানুষ বিদ্বেষী। এটা অন্যান্য অরণ্যেও দেখতে পাওয়া যায়। এই সাম্প্রতিক কালেই কর্ণাটকের মাইসোর জেলার চিক্কাবারগি অরণ্যে এমন ঘটনা ঘটেছে। বাঘটি চোরাশিকারীর গুলিতে আহত হয়েছিল। সেই থেকে সে মানুষখেকোতে পরিণত হয়েছে। ক্রমান্বয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে চারজনকে সে হত্যা করেছে। কর্ণাটক সরকার তাকে গুলি করে মারার আদেশ দিয়েছে শেষে। এই গতকালই বিটিসির কাছের ঝড়খালিতে বাঘ তুলে নিয়ে গিয়েছে জেলে অসিধর-কে। প্রথমে আক্রমণ করেছিল অন্য এক জেলেকে। তাঁর সঙ্গীরা সকলেই হাতে লাঠি নিয়ে রুখে দাঁড়ানোয় তার নজর পরে অসিধরের দিকে। অসিধর ছিলেন নিরস্ত্র। তাঁকে এক থাবায় ঘাড় ভেঙে মুখে নিয়ে জল পেরিয়ে জঙ্গলে উধাও হয়ে গিয়েছে বাঘটি। তাই সুন্দরবনের জঙ্গল যাকে আমরা লঞ্চে আসার পথে সাধারণভাবে অত্যন্ত শান্ত দেখেছি তা আদতেই একটি বিভীষিকার ক্ষেত্র। এর সঙ্গে যোগ করুন কুমীর। জঙ্গলের এবং জঙ্গলের বাইরের খাল ও নদীতে যখন ঘরের মেয়ে বৌরাও খাপলা জাল নিয়ে মাছ ধরতে নামেন তখন আদতে প্রাণ হাতে করে নিয়েই নেমে থাকেন। কিছুদিন আগেই এক গৃহবধু তাঁর স্বামীকে কুমীরের মুখ থেকে ছিনিয়ে এনেছিলেন ওই লাঠির বাড়ি দিয়েই। এগুলো খবরের কাগজে আসে বলে আমাদের নজরে পড়ে। কিন্তু এর থেকে অনেক বেশী খবর আসে না খবরের দুনিয়াতে। তার কারণ, বেআইনীভাবে জঙ্গলে ঢুকে যাঁদের বাঁচতে হয় তাঁদের মেনে নিতে হয় জঙ্গলে মৃত্যুকেও নৈঃশব্দে। নইলে বনদপ্তর থেকে থানা পুলিশ হয়ে যে অবস্থা হবে তাতে বাকীদের বাঁচাটাও বিড়ম্বনার হয়ে উঠবে।

    সেই জন্যে আয়লা পরবর্তীকালে আরো একটি জীবিকা সুন্দরবনে বেশী নিচ্ছে লোক। সে হল অন্য রাজ্যে জনমজুর খাটার কাজ। তাতে যা উপার্জন তা সংসার কোনো মতে চালাচ্ছে। কখনো তাও হচ্ছে না। উপার্জনের মানুষটি চলে যাওয়ার পরে পড়ে থাকাদের সেই জঙ্গলের এবং নদীর ভরসাতেই বেশীরভাগ সময় কাটাতে হচ্ছে। কচ্চিৎ কদাচিৎ টাকা আসছে। সেই টাকাও আবার ব্যাঙ্কের মাধ্যমে আসে না। প্রথমত ভারতবর্ষে গরীবের জন্য কোনো ব্যাঙ্কই আদতে নেই। সরকারের ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পগুলোতে তবু যা অল্পস্বল্প কাজ হত, এখন তো তার বেশীই উঠে গিয়েছে বা নামে আছে। তার উপরে আছে অশিক্ষিত মানুষেরা জন্য ইংরেজী বা হিন্দী ভাষায় ফর্ম বানানোর সরকারী বজ্জাতি। তার সঙ্গেই নানাবিধ নাগরিকত্বের প্রমাণ চেয়ে তাকে জেরবার করার খেলাও জুড়ুন। এই ফাঁক দিয়েই আসছে দুর্নীতি ও গ্রামাঞ্চলে রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতা সঞ্চয়ের পদ্ধতি। সুন্দরবনের মতন অঞ্চলে কাঁচা মাটির বাড়িতে বাস করা গেরস্থের পক্ষে নানান পরিচয়পত্র টিকিয়ে রাখাটাই একটা অস্বাভাবিক ব্যাপার অনেক ক্ষেত্রে। তার উপরে সে পেতে যা হয় তার জন্য সময় ও অর্থ সে ব্যায় করবে কি ভাবে? দিনের রোজগার ছেড়ে পঞ্চায়েত বা সরকারী অফিসে হত্যে দিয়ে বসে থাকলে তাকে ও তার পরিবারকে খাওয়াবে কে? সরকার প্রো অ্যাক্টিভ নয়। তার বাড়িতে গিয়ে কাজ সে করবে না। পোলিওর টীকা খাওয়ানো জাতীয় প্রকল্পের সঙ্গে কিছুতেই জুড়বে না স্বল্প সঞ্চয়ের ব্যবস্থা থেকে নাগরিকত্বের বিষয়টিকে। ওখানে ধোঁয়াশা না থাকলে কি করে হবে? নাগরিকত্বে ধোঁয়াশা রাখলে দলগুলো সে ব্যবস্থা করে দেবার বিনিময়ে আনুগত্য কেনার সুযোগ পায়। ভোটের সময় জাল ভোটারের সম্ভাবনা বজায় থাকে। প্রয়োজনে পেশীশক্তির যোগান দেয় দরিদ্র মানুষের এই অসহায়তা। আর ব্যাঙ্কে যদি কেউ মাসে দেড়শো টাকা রাখে তাহলে সেই অ্যাকাউন্ট দেখভাল করে ব্যাঙ্ক মালিকের মুনাফা কি? তার চাকরদেরই বা কি মুনাফা? অতএব যত পারা যায় দরিদ্রকে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা থেকে দূরে রেখে চিটফাণ্ডের আওতায় এবং মাইক্রো ফিনান্সের নামে আসলে নতুন মহাজনী কারবারের আওতায় রেখে দেওয়া দরকার এঁদের। এবং এই সঙ্গে জানিয়ে রাখি অঞ্চল বিশেষে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার থেকে লোন ম্যানেজার পর্যন্ত বেশী দরিদ্র ও নিম্নবিত্তের অ্যাকাউন্ট না খোলার প্যাঁচ পয়জার কসার জন্য যথাবিহীত উপহারও পেয়ে থাকেন বলে কথিত।

    সুতরাং দূর অঞ্চলের থেকে টাকা এখানে আসে না। আর যেখানে গিয়ে কাজ করছেন এঁরা সেখানের সামাজিক পরিবেশে মদ ও অন্যান্য মাদকদ্রব্যের যোগানের প্রতুল ব্যবস্থার ফলে উপার্জনের বেশীটাই চলে যায় সেখানেও অনেক সময়েই। ওই যে, দারিদ্র কাউকে মহান করে না বরং যথাসম্ভব নীচই করে থাকে! এ বারে এমন অঞ্চলে কে করবে এই সমস্ত প্রাচীন সংস্কৃতির অনুষ্ঠান? তাহলে কি অনুষ্ঠান হয় না? হয়! সে সমস্ত অনুষ্ঠান করে রাজনৈতিক দলের মদতপুষ্ট ক্লাবেরা। কয়েকটি অঞ্চল বাদ দিলে তার বেশীরভাগটাই হল হিন্দি ও বাংলা গানের শিল্পী ভাড়া করে নিয়ে যাওয়া। আগে শুধু গান হত। রাত আটটা থেকে এলাকা কেঁপে যেত মদ্যাসক্ত জীবিকাহীন যুবকদের সিটি আর জেভিএল বক্সের দাপটে। এমনকি জঙ্গলের কোর এরিয়ার মধ্যে হলেও কোনো আইনী নিষেধাজ্ঞা কাজ করতো না। এঁরাই ক্যাডার দল। এখন সেই ক্যাডারদের আমোদে যুক্ত হয়েছে নাচও। কলকাতা, আসানসোল থেকে আসা নৃত্যশিল্পীরা রাত যত গভীর হয় ততই বসন সম্পর্কে উদাসীন হয়ে পড়েন। আসরের আসেপাশেই বসে যায় তাড়ি, মহুয়া, বাংলা মদ, ব্লাডারে চোলাই ইত্যাদির দোকান। হাতে গরম চাটও পাওয়া যাবে। উঁহু, এ সরকার ও সরকারের আমল বলে লাভ নেই। সব সরকারের আমলেই রমরম করে হয়েছে ও হচ্ছে এমন কাজ। ক্লাবেদের টাকা এই করে ফুরিয়ে যায়। দু একটা অঞ্চলে নাট্য প্রতিযোগীতা হত, এখন প্রায় নেই। যাত্রার আসর বসতো। হাতে গোণা অঞ্চলে তা টিমটিম করে চলছে। এর সঙ্গেই বলে রাখি মফস্বল ও গ্রামীণ ক্লাবগুলো এই জাতীয় উদ্দাম অনুষ্ঠান বাড়ানোর জন্য যে সব পন্থা নেয় তার মধ্যে অন্যতম লোভণীয় আমদানী হয় জুয়ার বোর্ড বসালে। যারা চালায় তারা ক্লাবেদের বেশ মোটা টাকা দেয়। দুর্গা, কালী, শীতলা নানা পূজোতে সে টাকাতেই চলে মোচ্ছব। টাকা দেয় চোলাইয়ের কারবারিরাও। এ সব অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে উত্তেজনা থাকবে না। বিপুল কর্মহীনতা বা বেকারীর মধ্যে এই উত্তেজনাও না থাকলে ব্যবস্থা চলবে কি করে? অতএব দুখে যাত্রা, মনসা পালার শিল্পীদের কামাই নেই। অতএব তাঁদের একাংশ সামান্য সুযোগ পেলে অসৎ বা দুর্নীতিগ্রস্ত হতে দ্বিধা করেন না।

    হ্যাঁ, পালার কথা আমাকে লিখতে হবে! কিন্তু লেখার আগে এগুলো জানানোও খুব জরুরী ছিল। আমরা যে ওখানে পালা করাতে গেছিলাম তার একটা কারণ যদি আমাদের এই পালাগুলো ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ হয়, তাহলে অন্য কারণ ছিল অবস্থাটা বুঝে নেওয়া। ধরা যাক, লোক উদ্দাম নৃত্যই বেশী দেখতে আগ্রহী, তাহলে পালা চলবে কেন? আমরা যতই গ্রামীণ সংস্কৃতি বিপন্ন বলে হাহুতাশ করি না কেন সে তো তার নিজের নিয়মেই চলবে! তাহলে উঠে যাবে নিশ্চই এই সমস্ত সংস্কৃতির আসর! লুপ্ত হয়ে যাবে। দেখতে গেছিলাম মানুষের আগ্রহ কতটা এটাও! অর্থাৎ মানুষ কি সত্যিই এ সমস্ত থেকে মুখ ফিরিয়েছেন? নাকি বহু চর্চিত- শিল্প আসলে এন্টারটেইনমেন্ট- এই তত্ত্বের আড়ালে যেমন শহরাঞ্চলে সিনেমা, নাটক, গান, নাচ ইত্যাদি শিল্পকে সার্কাস বানিয়ে তার অসম্ভব ক্ষমতাকে ঠুঁটো করে দিতে পুঁজি ও তার পা চাটা গণমাধ্যম বদ্ধপরিকর এও সেই একই খেলার অঙ্গ কিনা? কি দেখলাম তা বলবো পরের পর্বে!

    (ক্রমশঃ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৩ | ২১৭৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন