এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ইউক্রেন, বাংলাদেশ, এবং মিডিয়া -- বর্বরতার সেকাল একাল

    Partha Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২২ মার্চ ২০২২ | ১৪২৯৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ঊনিশশো একাত্তরের মার্চ মাস থেকে ডিসেম্বর -- বাংলাদেশের রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে -- আজ এই দুহাজার বাইশ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পৃথিবীতে কতগুলো যুদ্ধ হয়েছে, এবং তার পরিণতি হিসেবে কত কোটি নিরীহ মানুষকে নিজের দেশ ছেড়ে চিরকালের মতো অন্য দেশে গিয়ে উদ্বাস্তুর জীবন কাটাতে হয়েছে? কেউ কি তার হিসেব রেখেছে কোনো?
     
    আজকে নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন, বিবিসি এবং প্রায় সমস্ত মার্কিন ও পশ্চিমি মিডিয়া রাশিয়ার আক্রমণে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে যাওয়া শরণার্থীদের জন্যে কেঁদে আকুল। কেবলমাত্র পোল্যাণ্ডেই দশ থেকে পনেরো লক্ষ ইউক্রেনিয়ান পুরুষ, নারী ও শিশু আশ্রয় নিয়েছে। এর পর আছে পশ্চিম ইউরোপের আরো দেশ -- যেমন জার্মানি, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, স্পেন, ইতালি। ইউক্রেনের চারপাশে আরো যেসব দেশ আছে, যেমন বেলারুশ, হাঙ্গেরি, চেক রিপাবলিক, মলডোভা, জর্জিয়া, রোমানিয়া ইত্যাদি। 

    ইউক্রেনে রাশিয়ার বর্বর আক্রমণ এই প্রতিটি দেশকেই সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে বাধ্য। পরিবেশ ও জলবায়ুর ওপরে যে নিদারুণ প্রভাব পড়বে, এবং কত কোটি গাছ কাটা পড়বে, পার্ক ও তৃণভূমি জ্বলে যাবে, কত লক্ষ কোটি গ্যালন জল চিরকালের মতো বিলীন হবে, তার হিসেব কে করে? এবং যারা বেঁচে থাকবে, বিশেষ করে শিশুরা, তাদের মনের ওপর এই যুদ্ধ ও বোমাবর্ষণ চিরকালের মতো কেমনভাবে ছাপ ফেলে যাবে, তার হিসেব কে করে?
     
    বাংলাদেশ যুদ্ধের সময়ে আমরা দেখেছি, কত লক্ষ নিরীহ পরিবারকে এই ট্রমার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। কত অসংখ্য নারীর মর্যাদা লুন্ঠিত হয়েছিল। কত মানুষ বিকলাঙ্গ, পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলো। অথচ, বাংলাদেশের ওপর পাকিস্তানী হানাদারদের বর্বরতার খবর আমার পরিচিত অনেক সাধারণ পাকিস্তানীই জানেনা। আমি যখন তাদের এসব কথা বলি, তারা আশ্চর্য হয়ে যায়। তারা তাদের দেশে থাকার সময়ে কখনো এসব কথা শোনেনি। শুনলেও তার যে বীভৎসতা, বিভীষিকা, তার কোনো সঠিক খবর তাদের দেশের মিডিয়া তাদের দেয়নি। এও হলো আমার পূর্বকথিত "জার্নালিজম অফ এক্সক্লুশন" বা কৌশলে বর্জন করার সাংবাদিকতা। আজ আমরা নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন, বিবিসি এবং পশ্চিমি মিডিয়াতে তার এক আধুনিক সংস্করণ দেখতে পাচ্ছি।
     
    এই আধুনিক, নবতম মগজধোলাইতে দেখা যাচ্ছে, রাশিয়া ও পুতিন কেমনভাবে ইউক্রেনের ওপর বর্বর আক্রমণ চালাচ্ছে, কত নিরীহ মানুষের প্রাণ যাচ্ছে, মারিপল, ম্যারিটোপোল, খারসন, ইত্যাদি শহরে হাসপাতাল, আশ্রয়কেন্দ্র এসব রাশিয়ার বোমার আঘাতে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে। তার ছবি আমরা দিবারাত্র পশ্চিমি মিডিয়াতে এবং তাদের বশংবদ ভারতীয় ও বাংলাদেশী মিডিয়াতে দেখছি। এবং শিহরিত হচ্ছি। হওয়ারই কথা।
     
    রাশিয়ার এ আগ্রাসন ও বর্বরতাকে চরম ধিক্কার জানাই। 
     
    কিন্তু এখানে একটা বিরাট প্রব্লেমও আছে। আজ পৃথিবীতে যেমন সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনো খবর দেখলে তেমন কেউ তার সম্পর্কে খোঁজখবর করেনা বা রিসার্চ করেনা, এবং সেই উড়ো খবরকেই ধ্রুবসত্য বলে মনে করে এবং নিজের বন্ধু পরিজনের সঙ্গে চোখ বন্ধ করে শেয়ার করে ফেলে, ঠিক তেমনি নিউ ইয়র্ক টাইমস বা সিএনএনের খবরকে কেউ যাচাই না করেই নিজেদের মিডিয়াতে প্রকাশ করে দেয়। এবং কে কত বেশি আগে প্রকাশ করতে পারলো, তার প্রতিযোগিতা চলে। 

    অথচ, নিউ ইয়র্ক টাইমস জাতীয় মিডিয়া একপেশে রাশিয়াবিরোধী খবর প্রচার করে চলেছে, যা ওয়ার প্রোপাগাণ্ডা -- যুদ্ধ সম্পর্কে একটা জিগির সৃষ্টি করা।
     
    সেই একপেশে সাংবাদিকতায় যেমন যুক্তিতর্ক, বিশ্লেষণ, কারণ অনুসন্ধান সমস্ত বিলুপ্ত, ঠিক তেমনই ইতিহাসের কোনো আলোচনাও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই তথাকথিত "মুক্ত ও স্বাধীনতার দেশ" আমেরিকায় আজ যদি কোনো মূলস্রোত মিডিয়া সেসব কারণ বা ইতিহাসের কথা তোলে, সঙ্গে সঙ্গেই সে মিডিয়া জনপ্রিয়তা হারাবে, এবং যেসব বড় বড় কর্পোরেশন -- গাড়ি থেকে ওষুধ থেকে ম্যাকডোনাল্ড থেকে পিৎজা হাট থেকে ডিজনি ওয়ার্ল্ড -- তাদের বিজ্ঞাপন দিয়ে চলেছে, তারা সে বিজ্ঞাপন গুটিয়ে নেবে, এবং সে মিডিয়া মুখ থুবড়ে পড়বে। সে ঝুঁকি নিয়ে সৎ, নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার সাহস কোনো মূলস্রোত মিডিয়ার নেই।
     
    অথচ সৎ, নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা করার এই মুহূর্তে খুব বেশি দরকার ছিল। আগের তিন সপ্তাহে আমি বাংলাদেশ প্রতিদিনের পাতায় সেসব বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছি। আজ করছি যুদ্ধ এবং শরণার্থী সমস্যা নিয়ে আলোচনা। ইমিগ্রেন্ট এবং ইমিগ্রেশন নিয়ে মার্কিন মিডিয়ার একপেশে আলোচনা দেখলে স্তম্ভিত হতে হয়। ইরাক, আফগানিস্তানের যুদ্ধের সময়ে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন সে দুই দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ মেরেছিলো, এবং বলতে গেলে বিনা কারণেই বোমার আঘাতে দুটো দেশকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলো, তখন মার্কিনি ও পশ্চিমি মিডিয়ার এই কুম্ভীরাশ্রু কোথায় ছিল? 

    প্রতিটি ছবি, প্রতিটি খবর দেখলে আজ সেই হিপোক্রিসি, দ্বিচারিতার কথাই খুব বেশি করে মনে আসে। কিন্তু সেসব কথা বলা জনপ্রিয় নয়। 

    ইতিহাসের আলোচনা জনপ্রিয় নয়। আপনার চাকরি চলে যেতে পারে, আপনার ফোন হ্যাক করা হতে পারে, আপনার পরিবারের ওপর নজরদারি করা হতেই পারে। এমনিতেই আমেরিকায় গুগল, ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব বিনা পয়সায় ব্যবহারের পরিবর্তে আপনার ব্যক্তিগত সমস্ত তথ্য বা পছন্দের খবর মার্কিনি কর্পোরেশনগুলো জানে। আপনার ফোনে বা ইমেলে যে কোনো সময়ে যে কোনো কর্পোরেশন আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। আপনার বাড়িতে যদি অ্যালেক্সা-জাতীয় অনলাইন রোবট থাকে, তাহলে তার মাধ্যমে আপনার বলা সমস্ত কথা কর্পোরেশনগুলির হাতে সরাসরি চলে যেতে পারে। 

    এই তথাকথিত "ল্যাণ্ড অফ প্রাইভেসি" আমেরিকায় কোনো ব্যক্তিগত গোপনীয়তা আপনার অবশিষ্ট নেই।
     
    একাত্তরের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়েই কিন্তু ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, চিলি এসব দেশে বিশাল বিশাল যুদ্ধ চলছিল, এবং প্রতিটি যুদ্ধের পিছনেই ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হাত। সেই একই সময়ে দক্ষিণ আমেরিকায় গুয়াতেমালা, সালভাডোর, হণ্ডুরাস এসব দেশে মার্কিন মদতে সেখানকার অত্যাচারী রাষ্ট্রনায়করা বর্বর আক্রমণে বিরোধী শক্তিকে শেষ করে দেওয়ার খেলায় নেমেছিল, এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ জমি, ঘরবাড়ি, স্বজন পরিজন হারিয়ে স্ত্রীপুত্রকন্যার হাত ধরে নিজের প্রিয় দেশ ও পরিচিত পরিবেশ ছেড়ে পাড়ি দিয়েছিলো অন্য দেশের আশ্রয়ে।
     
    ফিলিপিন্স থেকে এ্যাঙ্গোলা, বাংলাদেশ থেকে শ্রীলঙ্কা, সুদান থেকে কঙ্গো, কসোভো থেকে ইউক্রেন -- সমস্ত যুদ্ধের পিছনেই ওই যে কথা আগেই বললাম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং তাদের ট্রিলিয়ন ডলার, ট্রিলিয়ন পাউনড অস্ত্র ও যুদ্ধ কর্পোরেশনের মদত রয়েছে। ঠিক যেমন পট্যাটো চিপসকে জনপ্রিয় না করলে খামারের আলু বিক্রি হবেনা এবং পচে যাবে, ঠিক একই ভাবে যুদ্ধ না লাগালে এবং যুদ্ধ চালিয়ে না গেলে এই ট্রিলিয়ন ডলারের মজুত করা অস্ত্রভাণ্ডার পড়ে থাকবে, এবং শেয়ার বাজারে তাদের লাভ দ্রুত পড়ে যাবে। 
     
    অস্ত্র ও যুদ্ধ বিক্রি না হলে লাভ নেই, এবং লাভ না থাকলে শেয়ার মার্কেট নেই। স্টকহোল্ডাররা ক্ষেপে উঠবে। 

    যুদ্ধ কর্পোরেশনের সঙ্গে কেবলমাত্র অস্ত্র প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো যুক্ত নয়। যুক্ত আছে ওষুধপত্র, কম্পিউটার ও সফটওয়্যার, হাজার ইলেক্ট্রনিক্স ও অনলাইন বাণিজ্য, সাবান থেকে খাদ্যসামগ্রী। গাড়ি থেকে গ্রেনেড। বস্তুতঃ, যুদ্ধ না লাগালে, এবং যুদ্ধ চালিয়ে না গেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সম্পূর্ণভাবেই ধ্বংস হয়ে যাবে। এই কারণে, আপনারা একবার গুগল সার্চ করে দেখে নিতে পারেন, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত আমেরিকা পৃথিবীর কোথাও না কোথাও কোনো না কোনো ভাবে যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত ছিল। আছে।
     
    আজকে পৃথিবীতে এই মুহূর্তেই সৌদি আরব ইয়েমেনের ওপর বর্বর আক্রমণ চালাচ্ছে। এবং মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করছে। কিন্তু নিউ ইয়র্ক টাইমস বা সিএনএন বা বিবিসিতে তার কোনো খবর আপনি পাবেন না আদৌ।
     
    কাশ্মীরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সর্বক্ষণ যুদ্ধ চলেছে। আফ্রিকার অনেকগুলো দেশের মধ্যে নিরন্তর যুদ্ধ চলেছে। ইজরায়েলের কথা বলে আর মার্কিনি মিডিয়ার লজ্জা বাড়ালাম না। অবশ্য, জার্নালিজম অফ এক্সক্লুশনে লজ্জা বস্তুটাই তাদের আর নেই।
     
    সব জায়গাতেই -- বার্মা থেকে বাংলাদেশ থেকে বলিভিয়া থেকে বার্কিনা ফাসো -- যুদ্ধের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তারা ওই মেক্সিকো, গুয়াতেমালার সর্বস্বান্ত মানুষের মতোই দেশ হারিয়ে, স্বজন পরিজন হারিয়ে, জমি হারিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে অন্য দেশের আশ্রয়ে। এই মুহূর্তে যেমন ইউক্রেন থেকে পোল্যাণ্ডে পাড়ি জমাচ্ছে ওই দশ থেকে পনেরো লক্ষ মানুষ। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়ে যেমন ইউরোপ থেকে আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছিল কোটি কোটি মানুষ।
     
    আমেরিকা তাদের আশ্রয় দিয়েছিলো। যেমন ইউরোপের নতুন যুদ্ধগুলোর শরণার্থীরা অনেকেই আশ্রয় পেয়েছে জার্মানিতে, ফ্রান্সে।
     
    কিন্তু আমেরিকায় আজ উদ্বাস্তুবিরোধী, শরণার্থীবিরোধী রাজনৈতিক ও সামাজিক হাওয়া অতি প্রবল আজ যদি কুম্ভীরাশ্রু নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন বলতো, ইউক্রেন থেকে যে কেউ আমেরিকায় আশ্রয় পেতে চাইলে আমেরিকা তাদের বিনাশর্তে আশ্রয় দেবে, এ্যাসাইলাম দেবে। বলবে কি?
     
    বিবিসি কি রাণীর ওপরে চাপ সৃষ্টি করবে, যাতে ইউক্রেনের শরণার্থীরা সবাই ব্রিটেনে নিরাপদ আশ্রয় পায়?
     
    যেমন একাত্তরে বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি নিঃস্ব, ছিন্নমূল নিরীহ মানুষ ভারতে আশ্রয় পেয়েছিলো?
     
    ###

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২২ মার্চ ২০২২ | ১৪২৯৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • s | 100.36.***.*** | ২৩ মার্চ ২০২২ ২৩:০৩505343
  • S,
    আপনার CNN এর ctrl F সার্চের কুমীরছানা দেখিয়ে এটা প্রমাণ হয় না যে ওয়েষ্টার্ন মিডিয়ায় ইউক্রেন ছাড়া আর কোনো কনফ্লিক্টের খবর নেই। ইন্টারেস্ট থাকলে আর ঠিক্ঠাক সার্চ করতে পারলে ওয়েস্টার্ন মিডিয়া থেকেই সারা দুনিয়ার কনফ্লিক্টের খবর পাওয়া যায়। এইটুকুই বলার ছিল।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::12:***:*** | ২৩ মার্চ ২০২২ ২৩:১০505344
  • ওয়েস্টার্ণ মিডিয়া যতটা উৎসাহ নিয়ে ইউক্রেনের খবর কভার করছে, সেই উৎসাহ নিয়ে যে অন্য কোনও কনফ্লিক্ট কভার করেনি, সেইটা প্রমাণ হয়ে গেছে। তেরোশো ভাবে সার্চ করেও অন্যথা প্রমাণ করা যাবেনা। তার কারণটাও জানা। এটা আসলে রাশিয়া বনাম ওয়েস্টের (ন্যাটোর) লড়াই। এবং তারা ইউক্রেনের ঘাড়ে বন্দুক চাপিয়ে দিয়েছে। যুদ্ধটা চালানোর উৎসাহ সব পক্ষেরই রয়েছে। এইটুকুই বলার।
  • dc | 122.174.***.*** | ২৩ মার্চ ২০২২ ২৩:২৮505345
  • সবচেয়ে কম উৎসাহ কিন্তু পুটিনের। স্রেফ ওয়েস্টের প্ররোচনায় আর কোন উপায় নেই বলে পুটিন এই ডিনাজিফিকেশান করে চলেছে। দুঃখে পুটিনের বুক ফেটে যাচ্ছে, কিন্তু যুদ্ধ থামাচ্ছে না। 
  • সিএস | 49.37.***.*** | ২৩ মার্চ ২০২২ ২৩:৩৩505347
  • পুতিন যুদ্ধ চালিয়ে গেলে পোগোতিশীল ফেক নিউজওয়ালাদের চারটি দানাপানি জোটে, সাইটে কিছু হিট হয়, জালি লিং দিয়ে লোকেদের বোকা বানিয়ে কিছু মজা লোটা যায়।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::21:***:*** | ২৪ মার্চ ২০২২ ০০:০৮505349
  • "সবচেয়ে কম উৎসাহ কিন্তু পুটিনের।"

    ওয়েস্টার্ণ মীডিয়ার বাইনারিতে ফাঁসলে এইরকমই মনে হবে।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::1d:***:*** | ২৪ মার্চ ২০২২ ০০:১৫505350
  • এখানে আলোচনাটা অনেকটা এইরকম চলছে। আমি বললাম যে "কোকাকোলা শরীরের জন্য খুব খারাপ"। তখন একজন বলে বসলো "সেইতো, পেপসি যেন শরীরের জন্য খুব ভালো?" এইরকম আরকি। blush
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b143:3000:25d7:60fc:2ea0:***:*** | ২৪ মার্চ ২০২২ ০০:১৫505351
  • কি করা উচিত বা ঠিক বা দরকার সেটা নিয়ে কোন মত দিচ্ছি না। সকলেই এনটাইটলড টু দেয়ার ওপিনিয়নস। আমি জাস্ট ফ্যাক্ট মেনশন করেছি। বাকিটা আপনি ভেবে নিন।
     
    • dc | 122.174.120.85 | ২৩ মার্চ ২০২২ ২২:১১505339
    • আচ্ছা, মারিউপোল নাজিদের ঘাঁটি ছিল, তাই মারিউপল এর জন্য পুটিন এক্সট্রা স্পেশাল ব্যবস্থা করেছে। এবার বুঝলাম মারিউপলে কেন স্কুল হাসপাতালেও বোম ফেলা হচ্ছে, কেন কনস্ট্যান্ট শেলিং করে করে শহরটাকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিচ্ছে, কেন মারিউপল এ খাবার, জল সমস্ত অবরোধ করে সিভিলিয়ানদের আস্তে আস্তে মেরে ফেলছে। পুটিনের বুদ্ধি আছে কিন্তু, বললে হবে?
  • Tim | 2603:6011:6506:4600:1dcf:e2e6:6387:***:*** | ২৪ মার্চ ২০২২ ০০:২২505352
  • এই লেখাটায় আগাগোড়া প্রোপাগান্ডার সমালোচনা করে যাওয়া হল, ইতিহাস আলোচনা করা কেন দরকার বলা হলো। এদিকে আলোচনায় ইউক্রেনের ইতিহাস এলো না। পোল্যান্ড, ইউক্রেন, রাশিয়ার বহু বহু দিন ধরে চলে আসা সমস্যার কথা এলো না, রাশিয়া যে ইউক্রেনকে একটা আলাদা দেশ, তাদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে - যা স্বতন্ত্র বলে মোটামুটি স্বীকৃত ---তাকে স্বীকার করেনা, সেকথা বলা হলোনা। ইউক্রেন কাজাখস্তানের মত দেশে ভাষা এবং সংস্কৃতি সম্পূর্ণ খুন করে ফেলার রাশিয়ান উদ্যোগ নিয়ে কোন কথা নেই। শুধুই পশ্চিমি মিডিয়া, ইউ এস, ইউ কে।
    এইরকম রিপোর্টিং কেই লেখক এই প্রবন্ধে "জার্নালিজম অফ এক্সক্লুশন" বলেছেন।
  • প্রিয়তমাসু | ২৪ মার্চ ২০২২ ০০:৩৭505354
  • যারা নিজের এক্সেপশনাল আঁতেল প্রমান করার তাগিদে , রাশিয়ার ইউক্রেন ইনভেসানটা আমেরিকা কোথায় কোথায় কবে অন্যায় যুদ্ধ করেছে সেই দিয়ে জাস্টিফাই করতে চায় , সেই সব আঁতেলদের স্রেফ ঘৃণা করি | পুতিন নিজের ইগো স্যাটিসফাই করার জন্য গত কয়েক সপ্তাহে হাজার দশেক মানুষকে খুন করেছে, তাকে জাস্টিফাই করে আঁতলামো ..ইয়ে করা সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় |
  • Amit | 121.2.***.*** | ২৪ মার্চ ২০২২ ০২:১৪505356
  • S-কে , আপনি লিখলেন "এখানে আলোচনাটা অনেকটা এইরকম চলছে। আমি বললাম যে "কোকাকোলা শরীরের জন্য খুব খারাপ"। তখন একজন বলে বসলো "সেইতো, পেপসি যেন শরীরের জন্য খুব ভালো?" এইরকম আরকি। "
     
    কিন্তু এটা তো আপনিই বেশি করছেন মনে হচ্ছে। রাশিয়া ইউক্রেন এর সাথে ইন্ডিয়া পাকিস্তানের হাইপোথেটিক্যাল তুলনা করে আপনার স্ট্যান্ড জিজ্ঞেস করলাম- সরাসরি উত্তরের বদলে আপনি চীন-ইন্ডিয়া আর একটা হাইপোথেটিক্যাল হাজির করলেন। 
    ইন্ডিয়া পাকিস্তান সাড়ে তিন বার না বত্রিশ বার যুদ্ধ করেছে সেটা তো প্রশ্ন নয় , প্রশ্নটা ছিল সিমিলার সিচুয়েশনে আপনি প্রধান সেবক কে সাপোর্ট করবেন কিনা - যেমন এখন পুতিনকে করছেন ? 
     
    আরো লিখলেন আগে থেকে আলোচনা করলে আত্মসমর্পনের পরিস্থিতিঃ আসেনা। খুব ভালো কথা। কালকে ইন্ডিয়া পাকিস্তানকে বললো চীন পাকিস্তান কারাকোরাম হাইওয়ে ভেঙে দেওয়া হোক- তাহলে সব ভুলে দুটো দেশ বন্ধু হয়ে যাবে। পাকিস্তান বললো ভাঙবে না। তারপর ? 
     
    রাশিয়া কি আদৌ ইউক্রেন এর জন্যে আলোচনার রাস্ত খেলা রেখেছিল ? চেষ্টা করেছিল এই নাজি ইস্যু নিয়ে গ্লোবালি  বাকি দেশগুলোর সাথে মিলে একটা ডিপ্লোমেটিক বালক তৈরী করার ? দুনিয়া যেটা দেখলো ফেব্রুয়ারিতে পুতিন আর্মি একুমুলেট করলো বর্ডার এ তারপর দনবাসকে স্বাধীন ঘোষণা করে দিলো ,  একখান টিভি স্পিচ দিলো রাশিয়ার পুরোনো গ্লোরি ফিরিয়ে আনার , তারপর মার্চে এট্যাক। এর মধ্যে আলোচনার স্পেস টা ঠিক কোথায় ছিল ?
     
    আর হ্যা , ওয়েস্টার্ন মিডিয়া ইয়েমেন এর থেকে ইউক্রেন বেশি কভার করেছে। তাতে দোষের কিচ্ছু দেখিনা। যাদের সাথে যারা কালচারালি এসিমিলিটেড ফীল করে তাদেরকে বেশি কভার করে। সব দেশে বা সব রাজ্যে এক গল্প। ব্যতিক্রম কিস্যু নেয়। বীরভূমের খবরে বাংলা কাগজ বেশি কভার করছে। কালকে তেলেঙ্গানায় গুদামে আগুন লেগে ১১ জন লইবার মারা গেছে। সেটা তেলেগু কাগজগুলো বেশি কভার করছে। এই নিয়ে পাতার পর পাতা নালিশ করার কি যুক্তি সেটাই বুঝছিনা। 
     
     
  • Amit | 121.2.***.*** | ২৪ মার্চ ২০২২ ০২:১৫505357
  • "ডিপ্লোম্যাটিক ব্লক "হবে 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::24:***:*** | ২৪ মার্চ ২০২২ ০২:২৯505358
  • "যেমন এখন পুতিনকে করছেন ?"
    - না করছিনা। এইটা আপনিই বানিয়েছেন। ন্যাটোর এক্সপ্যানশনের বিরোধীতা বা ওয়েস্টের পলিসির সমালোচনা করা মানেই পুতিনের সমর্থন না। এটা বুঝতে না পারলে আমার আর কিছুই বলার নেই।

    হাইপথেটিকাল প্রশ্নের হাইপথেটিকাল উত্তরই হয়। সেইজন্যই ইরাকের কথা আসে, কিউবান মিসাইল ক্রাইসিসের কথা এসেছে। কারণ ওগুলো হাইপথেটিকাল নয়।

    "আর হ্যা , ওয়েস্টার্ন মিডিয়া ইয়েমেন এর থেকে ইউক্রেন বেশি কভার করেছে। তাতে দোষের কিচ্ছু দেখিনা।"
    - আমি ব্যাপারটা একটু অন্যভাবে দেখি।
  • Amit | 121.2.***.*** | ২৪ মার্চ ২০২২ ০২:৩৩505360
  • বেশ। তাহলে আপনার ডেফিনেশনের নিউট্রাল মিডিয়ার খান কয়েক উদা দিন না - যেখানে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে কোনো মিডিয়া  সবকিছু  নিউট্রালি কভার করেছে ? 
     
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:6d98:c85c:3552:***:*** | ২৪ মার্চ ২০২২ ০২:৩৪505361
  • নিউট্রাল মিডিয়া আছে নাকি?
  • Amit | 121.2.***.*** | ২৪ মার্চ ২০২২ ০২:৩৪505362
  • আপনার স্ট্যান্ড টা যে পুতিন আপলোজিস্ট দের সাথে একই  - সেটা আমাকে আবার বানাতে হবে কেন ? এতগুলো পোস্ট কি যথেষ্ট নয় ? 
  • Amit | 121.2.***.*** | ২৪ মার্চ ২০২২ ০২:৩৫505363
  • তাহলে যা নেই ই সেটা নিয়ে ঠিক কি বলতে চাইছেন ?
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:6d98:c85c:3552:***:*** | ২৪ মার্চ ২০২২ ০২:৩৫505364
  • কিছুই না।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:6d98:c85c:3552:***:*** | ২৪ মার্চ ২০২২ ০২:৩৯505365
  • দেখুন যুদ্ধ ধ্বংস করে অনেক কিছু।
    পুতিন চাইছিল কিয়েভে রেজিম চেইঞ্জ। যুদ্ধটা শেষ হলে সেটা হবে কি না বোঝা যাবে।
    তবে রাশিয়া শুনছি পিছু হটছে, ওয়েস্টার্ন মিডিয়ার খবর। নিশ্চয় খুবই নিরপেক্ষ। তাই রাশিয়া শীঘ্রই পরাজয় স্বীকার করবে। ব্যস।
  • Amit | 121.2.***.*** | ২৪ মার্চ ২০২২ ০২:৪৫505366
  • সেইতো। এতো খুব সামান্য চাওয়া- জাস্ট একটুখানি রেজিম চেইঞ্জ আর নিজের একটা পাপেট বসানো। ভোট ফোট ​​​​​​​আবার ​​​​​​​কি। ​​​​​​​দিদির ​​​​​​​পেটেণ্ট মডেল একেবারে । বাজারে ​​​​​​​শুধু ​​​​​​​তিনো ​​​​​​​আর ​​​​​​​বিক্ষুব্দ ​​​​​​​তিনো ​​​​​​​থাকবে ​​​​​​​​​​​​​​-বাকিরা ​​​​​​​আউট। 
     
    কেন যে রেসিস্ট ওয়েস্টার্ন মিডিয়া এতো সামান্য কিছুর জন্যে পুতিনের পেছনে পড়ে আছে কেজানে। 
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:6d98:c85c:3552:***:*** | ২৪ মার্চ ২০২২ ০২:৫১505367
  • ভোট ফোট নয়। পাপেট সরকার। 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::26:***:*** | ২৪ মার্চ ২০২২ ০৩:৩৩505369
  • "আপনার স্ট্যান্ড টা যে পুতিন আপলোজিস্ট দের সাথে একই"

    - এটা ওয়েস্টের তৈরী কথা। নতুন কিছু না। একসময় বুশের সমালোচনা মানেই সে টেররিস্ট।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:6d98:c85c:3552:***:*** | ২৪ মার্চ ২০২২ ০৩:৪৪505370
  • বাইডেন দাদুর সঙ্গে কাল পরশু কথাবার্তা হোক। একটু সবুর করুন দুটো দিন। তারপর দেখুন জল কোনদিকে গড়ায়।
    জেলেন্সকি কিন্তু ইউক্রেন আর ন্যাটোর মেম্বার হতে চায় না, একথা লিখিতভাবে কোথাও জানান নি। সবটাই মৌখিক ছিল।
  • Amit | 120.22.***.*** | ২৪ মার্চ ২০২২ ০৩:৪৮505371
  • ন্যাটো যে পুবপানে এগোবে না সেটাও কোথাও লিখিত ছিলনা। সবটাই নাকি মৌখিক। 
     
    S- তো নন-ওয়েস্টার্ন 100% নিউট্রাল মিডিয়ার উদাহরণ পেলেন ?
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:6d98:c85c:3552:***:*** | ২৪ মার্চ ২০২২ ০৩:৫০505372
  • ব্যস। তাহলে তো চুকেই গেল। মৌখিকে মৌখিকে কাটাকুটি।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:6d98:c85c:3552:***:*** | ২৪ মার্চ ২০২২ ০৩:৫৫505373
  • দেখুন কদিন আগে যে ভোটাভুটি হলো সিকিউরিটি কাউন্সিলে, সেখানে ইন্ডিয়া ভোটই দেয় নি। মানে নিউট্রাল রইল। মধ্যপন্থা। তাতে করে ইন্ডিয়াকে স্যাংশনের ভয় দেখিয়েছে অ্যামেরিকা। রাশিয়া ভয় টয় দেখালো না তো।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:6d98:c85c:3552:***:*** | ২৪ মার্চ ২০২২ ০৩:৫৬505374
  • অন্য প্রসঙ্গে—
    কন্সপিরেসি থিয়োরিস্ট- এই শব্দবন্ধ ব্যবহার করে যে কোন গবেষণাকে অর্থহীন প্রমাণ করার একটা ধারা তৈরি করেছে তারা, যারা এই থিওরির subject.
  • Amit | 120.22.***.*** | ২৪ মার্চ ২০২২ ০৪:০০505375
  • সেটাই তো কালকে জিগিয়েছিলাম। যে ইউএন র ইউক্রেন নিয়ে রিসোলিউশন আপনি এবং S বেশ কয়েকবার রেফার করেছেন এখানে সেখানেও তো গাদা গুচ্ছের দেশ নিউট্রাল ছিল। তো তাতে করে আপনারা ঠিক কি প্রমান করতে চাইছিলেন ?
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:6d98:c85c:3552:***:*** | ২৪ মার্চ ২০২২ ০৪:০৯505376
  • গাদাগুচ্ছের দেশের তো ভোটাধিকার ছিল নারে ভাই।
    চীন, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, এরা ভোট দেয় নি।
    ভেটো দেবার অধিকার এদের নাই। 
    ভেটো দেবার অধিকার ছিল রাশিয়ার। ভেটো দিয়েছে। প্রস্তাব গৃহীত হয় নি।
    কিন্তু বড়দা নজর রেখেছে কারা ভোট দিল না। ইন্ডিয়াকে তাই ভয় দেখালো।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:6d98:c85c:3552:***:*** | ২৪ মার্চ ২০২২ ০৪:১৯505377
  • দেখুন না, এই তো S ভাটে লিখলেন অ্যামেরিকার ইনফ্লেশন রেট প্রায় আট পারসেন্ট ছুঁই ছুঁই।
    আমার বক্তব্য হচ্ছে যে এটা তো রাশিয়া বা বেলোরুসকে স্যাংশন করে কমানো যাবে বলে মনে হয় না। দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল নয় অ্যামেরিকার। ইউক্রেনকে উস্কে দেবার দরকার ছিল। তালে গোলে যুদ্ধটাও লেগে গেল। অস্ত্র বেচাবেচির স্কোপ তৈরি হয়। ভালো ইনকাম।
    কোথায় কোনখানে কতজন নিরীহ মানুষ বা শিশু মরল, তা দিয়ে রাষ্ট্রনেতাদের কিস্যু এসে যায় না। যুদ্ধ না চললে অ্যামেরিকার বিরাট একটা ইনকাম সোর্স আটকে যায়। 
    এই যে এত লোক মরে এত যুদ্ধে, এতে কোনও দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের এতটুকু আসে যায় বলে মনে হয় আপনার?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন