এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • কোটা বিরোধী আন্দোলন (দ্বিতীয় পত্র!)  

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ১৬ জুলাই ২০২৪ | ১২৩৫ বার পঠিত
  • অনেকের কাছেই দুর্বোধ্য লাগছে। কেন 'আমি রাজাকার' শব্দটা আপত্তিকর, কেন সব মানলেও অনেকেই এইটা মানতে পারছে না, কেন? সমস্যা কই? ওরা বললেই তো আর রাজাকার হয়ে গেল না! ওরা তো রাগ ক্ষোভ থেকেই বলছে! এগুলা খুব যৌক্তিক কথা। মুশকিল হচ্ছে এইটা এমন এক জায়গা যেটা যুক্তির না, একশ ভাগ আবেগের জায়গা। প্রায় এক যুগ আছে যে জায়গার স্লোগান ছিল ক'তে কাদের মোল্লা, তুই রাজাকার তুই রাজাকার সেখানেই, সেই অদ্ভুত জাদুকরী জায়গায়ই কালকে স্লোগান দেওয়া হয়েছে আমি রাজাকার আমি রাজাকার! কষ্টটা কোন জায়গায় এইটা সবাই বুঝবে কীভাবে? যারা এই বিস্ফোরণ সময়ের ভাগীদার ছিল না সে কতখানি বুঝবে? 

    ধরুন শাহবাগ আন্দোলন হয়নি, গণজাগরণ মঞ্চ বলে কিছু এই দেশে হয়নি। সাকা, মুজাহিদ, নিজামি, কামরুজ্জামান সবাই এখনও এই ভূখণ্ডেই বাস করছে। জামাত আগের মতোই একটা ধরার মতো শক্তি। এমন একটা  পরিস্থিতিতে কালকের ঘটনা ঘটল! অট্টহাসি চিনেন? আহ্লাদে আটখানা কাকে বলে জানেন? সব দেখতে পারতেন! পাকিস্তানের আগেরদিন নাই, থাকলে গতকাল যা হয়েছে পাকিস্তানের রাস্তায় মিষ্টি বিলানো হত। প্রকাশ্যে বিবৃতি দিত যে আমাদের কোন ভাইকে যেন অন্যায় ভাবে অত্যাচার করা না হয়! তারা আমাদের ভাই, তারা আমাদের বোন! এগুলা এক সময় নিয়ম করে দেখছি আমরা। খান...র পুলায় নায়েবে আমির মনের ভিতরের সুখানুভূতি চাপা দিয়ে গম্ভীর স্বরে টিভি ক্যামেরার সামনে বলত, খুব অন্যায় হচ্ছে! বৈষম্য দূর করে সঠিক ইশতেহার দেওয়া হোক! 
    আমাদের কপাল ভালো যে সেই দিন দেখতে হচ্ছে না। এখন একবার চিন্তা করেন যারা রাজাকারদের ফাঁসির দাবীতে আন্দোলন করল, এই দেশে রাজাকারদের শাস্তি নিশ্চিত করল তাদের কাছেই এই স্লোগান বুলেটের মতো বিঁধছে। আর যারা সংগ্রাম করছে, যারা রাজাকাদের অত্যাচারে স্বজন হারিয়েছে, সরাসরি অত্যাচারের শিকার হয়েছে, তাদের কাছে কেমন লাগতে পারে এই স্লোগান? 

    এখন সব দোষ প্রধানমন্ত্রীর! তিনি কেন অমন কথা বলল! প্রধানমন্ত্রী যা বলেছে তার অর্থ এই না যে সবাই রাজাকার। কিন্তু আমি যদি ধরেই নেই প্রধানমন্ত্রী বলছে যারা আন্দোলন করছে তারা সবাই রাজাকার! এর জবাবেও আপনি আমি রাজাকার বলতে পারেন না! আপনি কোন অবস্থাতেই আমি রাজাকার বলতে পারেন না, এইটাই ফাইনাল। প্রধানমন্ত্রী কী বলছেন? তিনি বলেছেন কোটা মুক্তিযোদ্ধার নাতি পুতিরা পাবে না, তো রাজাকারদের নাতিপুতিরা পাবে?  আচ্ছা, কথাটা একটু অন্য ভাবে বলে দেখি, যদি বেহুশ কারও মগজে ঢুকে। কথাটা যদি এমন হয় - দেশে মানুষ চাকরি পাবে, কোটা পাবে, কোন শূয়রের বাচ্চা, কুত্তার বাচ্চা কোটা পাবে না। এতে যারা সাধারণ মানুষ তারা কিছুই বলবে না। কিন্তু কোটা আন্দোলনকারীরা মিছিল বের করবে, তুমি কে আমি কে, শূয়রের বাচ্চা, কুত্তার বাচ্চা! কেন কথার এই প্যাচ বুঝতে পারবে না? প্রধানমন্ত্রী যদি আন্দোলনকারীদের উত্তেজিত করার জন্য, ভিন্ন দিকে দৃষ্টি নেওয়ার জন্য এমন একটা কথার ফাঁদ পাতেন তাহলে সবাই মিলে সেই ফাঁদেই পড়বে? এর জবাব তো দেওয়াই যেত যে না, দেশে শুধু মাত্র মুক্তিযোদ্ধা আর রাজাকারই নাই, সাধারণ মানুষও আছে। চাকরির ক্ষেত্রে ন্যায্য হিস্যা পাওয়া সবার নাগরিক অধিকার। কিন্তু যে উত্তর দেওয়া হল তার কোন যুক্তি নেই। 

    এই আন্দোলন শুরু হল কেন, কেনই ধরে ধরে মার খাচ্ছে এইটার কিছুই আমার বুঝে ধরে না। ২০১৮ সালে রাষ্ট্র সমস্ত কোটা বাতিল করেছে। এখন এসে আদালত বলছে সেইটা ভুল, কোটা থাকবে। আদালতে রাষ্ট্র কোটা বাতিলের জন্য আইনই লড়াই করছে না টিকে থাকার জন্য লড়াই করছে? এখন যে আপিল করেছে, এতে রাষ্ট্র কোটা বহালের পক্ষে লড়ছে না বিপক্ষে লড়ছে? যদি রাষ্ট্র কোটা বাতিলের জন্যই লড়ে থাকে তাহলে কেন কোন যুক্তিতে আন্দোলন চলছে? রাষ্ট্র যদি বহালের বিরুদ্ধে আবেদন না করত, আইনই লড়াই না চালাত তাহলে বুঝতাম আন্দোলনের কারণ। এখন বলছে সংস্কার করতে হবে। হ্যাঁ, এইটা সবাই চায় যে সংস্কার হোক। কিন্তু এ জন্য তো আদালত থেকে রায় আসতে হবে! 
    এখন প্রশ্ন হচ্ছে আন্দোলন তো হচ্ছে। সবাই পাগল? সম্ভবত না। কিন্তু এইটা সম্ভবত সত্য যে এরা জানেই না আসলে কার ইশারায় কিসের আন্দোলন করছে। জ্বালাও পোড়াও না করে আমি বুদ্ধি দিতাম সরকারের উপরে ভরসা না করে আইনই লড়াই লড়ার জন্য নিজেরা প্রস্তুত হওয়ার। সরকার খামখেয়ালি করবে, তার যেন সুযোগ না থাকে। প্রয়োজনে নিজেরা আলাদা রিট কর। আদালত থেকে সমস্যাটা যখন সরকারের কাছে আসবে তখন আন্দোলন করে ফল পাওয়া যেতে পারে। এখন সম্ভবত সরকারের কাছেও উপায় নাই। 

    এবং আজকের অ্যাকশন! ছাত্রদের উপরে এমন করে ঝাঁপিয়ে পরে কী প্রমাণ হল আমি জানি না। এর সমাধান অবশ্যই অন্য ভাবে করা উচিত ছিল। ছাত্রদের উপরে অত্যাচার কোনদিনই ভালো কিছু বয়ে আনে নাই। তুই রাজাকার তুই রাজাকার থেকে আমি রাজাকার আমি রাজাকারের যে পথটা এইটার দায় তো বর্তমান সরকারেরই! এর মাঝেই তো এই প্রজন্ম বড় হচ্ছে। কেন এরা এমন চিন্তা নিয়ে বড় হচ্ছে? কেন, কোন শিক্ষায় এরা এমন শিক্ষিত হচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তর দিবে কে? এমন করে মারা হল ছাত্রদের। কোন ধারণা আছে এই আন্দোলনের মধ্যে একটা লাশ পড়লে কী হবে? কোথাকার পানি কোথায় গিয়ে গড়াবে? ফাঁসানোর  জন্যও তো কেউ লাশ ফেলে দিতে পারে, এইটা না বুঝার কী  আছে? তখন সামাল দিতে পারবেন সব? কে নেয় এমন সিদ্ধান্ত! এইটা লেখার সময় কয়েকজন ফেসবুক মেসেঞ্জারে জানালো যে রাতেও চলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা! যদিও এই মুহূর্তে সত্য মিথ্যা নির্ণয় করা মুশকিল। কারণ এই সব পরিস্থিতিতে গুজব খুব জোরেশোরে চলে। সত্য তিন হাত যেতে যেতে গুজব দুনিয়া ঘুরে চলে আসে। তাই এই মুহূর্তের খবরের সত্যতা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। কিন্তু সত্য হলেও অবাক হব না। কেন জানি ধ্বংসের পথ, হিংসার পথেই সহজে যেতে চায় মানুষ। 

    সরকার যতটা আন্তরিক কোটার ব্যাপারে ততটা আন্তরিক মুক্তিযোদ্ধাদের বাকি সব দাবী দাওয়ার ক্ষেত্রে হলে কোটা নিয়ে এতো হাঙ্গামা হতই নাই। কেন চাকরিই করতে হবে? মুক্তিযোদ্ধাদের সবার জন্য আরও অনেক কিছুই করা যায়। সহজ ঋণের ব্যবস্থা করা যায়। স্বাবলম্বী হতে যা লাগে সেই পথে সাহায্য করা যায়। সরকার তো কম করে নাই, আরও করুক। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য, তাঁদের সন্তানদের জন্য করতে তো সরকারের ইচ্ছা আছেই। তো দিক এগুলা সুবিধা। মুশকিল হচ্ছে এই ক্ষেত্রে কবি নিরব। কারণ এখন পর্যন্ত সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাও বানাইতে পারি নাই আমরা। এখনও ৫০ বছর বয়সই লোক পাওয়া যাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র নিয়ে ঘুরছে! এতদিন ধরে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায়, আজ পর্যন্ত জামাতকে নিষিদ্ধ করতে পারল না না কি করল না? কেন? মুক্তিযুদ্ধে জামাতের অবস্থান নিয়ে সন্দেহ আছে? সপক্ষের দল বলে আর কিছু লাগে না, যা  করবে সব জায়েজ। 

    যাই হোক, এই আন্দোলন কেন হচ্ছে কারা এইটা ঠাণ্ডা মাথায় না ভাবলে মুশকিল। ভাবতে হবে, বুঝতে হবে দিন দুনিয়ার প্যাচগুজ। সকলের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৬ জুলাই ২০২৪ | ১২৩৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • NRO | 165.124.***.*** | ১৮ জুলাই ২০২৪ ২২:২৫534911
  • যাঁরা এই কোটার বিরোধিতা করে গুলি খেতেও রাজি তাঁদের অনেকেই আবার diversity quota তে ( পড়ুন Green Card lottery) America আসার জন্য ভাঙা কাঁচের উপর দিয়ে হাঁটতেও রাজি। কাজেই এই আন্দোলনের পিছনে কতটা ideology আছে আর কতটা Chinese money তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:8403:19eb:716d:***:*** | ১৯ জুলাই ২০২৪ ০৭:২৫534959
  • ৩২ জন মারা গেছে  :-( :-(
    খবরে পড়লাম। তাও অফিসিয়াল কাউন্ট, আসল সংখ্যা আরও বেশি হবে 
  • Alok Mondol | 139.28.***.*** | ১৯ জুলাই ২০২৪ ১২:১২534963
  • অশিক্ষিত অসভ্য ক্যাংলাদিশিরা কি ডিমোক্রেসি চালাতে পারে? ওদের শরিয়া আইনই ভাল।
  • r2h | 192.139.***.*** | ২০ জুলাই ২০২৪ ০১:২৭534986
  • পুরো ব্যাপারটা খুবই ধোঁয়াশা লাগছে - কেই একটু পয়েন্ট ধরে লিখলে বুঝতে সুবিধে হত। আনন্দবাজারে লিখেছেঃ

    "...সংসদে দাঁড়িয়ে সব ধরনের সংরক্ষণ বাতিলের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাখা হয় শুধু জনজাতিদের ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের ১ শতাংশ সংরক্ষণ। কিন্তু সংরক্ষণ বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে হাই কোর্টে যান কয়েক জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আদালত তাঁদের পক্ষে রায় দেয়। আবার আগের মতো সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু হয়ে যায় বাংলাদেশে। হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করে হাসিনা সরকার। তার মাঝেই চলতি মাসে দেশ জুড়ে নতুন করে আন্দোলন শুরু হয়।"

    - তাই যদি হয়, তাহলে তো আন্দোলনকারীদের দাবির সঙ্গে সরকারের অবস্থানের তেমন কোন পার্থক্য নেই, আদালতে দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়ার ব্যাপার।
    কিন্তু বিষয়টা নিশ্চয় এত সোজা না - জটিলতাটা ঠিক কোথায়?
  • Guru | 103.4.***.*** | ২০ জুলাই ২০২৪ ১০:৫৬535020
  • বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কয়েকটাফ্যাক্টরকাজ করছে এখানে। এক, প্রচুর aspiring পলিটিকালactors তৈরী হয়ে গেছে গত কয়েকবছরে যেহেতু শিক্ষা, বিদ্যুৎ, মোবাইল, মাথাপিছু আয় ইত্যাদি ব্যাপারে হাসিনা সরকার অনেকটাই উন্নতি করতে পেরেছে। অর্থাৎ মানুষের মনে পলিটিকালawareness অনেকটাই তৈরী হয়েছে ইন্টারনেটের জন্য। দুই, উন্নয়নের পাশাপাশি প্রবল ইকোনমিক ইনকোয়ালিটি, দুর্নীতি, স্বজনপোষণ মানুষকে খেপিয়ে তুলেছে যেহেতু মানুষের এসব ব্যাপারে awareness মোবাইল এক্সেস বারবার ফলে অনেকটাই বেড়ে গেছে আগের তুলনাতে। তিন, যেহেতু হাসিনাকে নির্বাচনের মাধ্যমে গদিচ্যুত করবার কোনো উপায় নেই কাজেই এখন এইaspiring এবংপলিটিকাল aware actors দের রাজপথে নামা ছাড়া কোনো উপায় নেই, চার, বাংলাদেশে গত পঁচাত্তর বছরে এধরণের অভিজ্ঞতা আগে অনেক দেখেছে। ৪০ এর দশকে পাকিস্তান আন্দোলন, ৫২ তে ভাষা আন্দোলন, ৬৯ এ আয়ুব খান বিরোধী আন্দোলন, ৭১, ৯০ দশকে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, ২০১৪ সালে শাহবাগ আন্দোলন এগুলো প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান বিরোধী আন্দোলন যেগুলো সফল হয়েছিলো। পাঁচ, উপমহাদেশের অন্য যেকোনো দেশের থেকে বাংলাদেশ অনেকটাই বেশি homogeneous যেহেতু এখানে মূলতঃ একটি ভাষা ও একটি ধর্মের মানুষের প্রাধান্যই বেশী।homogeneous সমাজে প্রতিষ্ঠান বিরোধী আন্দোলনের সাফল্য যে বেশী হয় সেটি বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস দেখিয়ে দিয়েছে। প্রসঙ্গতঃ পাকিস্তানে সেইভাবে সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কখনোই মাথা চাড়া দেয়নি (ব্যতিক্রম ২০০৭ সালের lawyers মুভমেন্ট যার ফলে শেষসামরিক শাসক পারভেজ মুশারফের গদিচ্যুত হয় )যেহেতু পাকিস্তান, বাংলাদেশের তুলনায় অনেক ethnically diverse।
    আপাতত উপরের এই ৫ নোক্তাই ঠিক করবে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি।
  • . | ২১ জুলাই ২০২৪ ১৫:৫৪535105
  • কোটা ৩০% থেকে কমিয়ে ৫% করে দিল বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্ট।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন