রৌহিনদা, আসল জায়গায় ঘা দিয়েছে। একদিকে আঁটি সেলের প্রচার, গরুয়া বাহিনীর পোঁধরা, অন্যদিকে কারণের উৎসে না গিয়ে নাকি গান গাওয়া।জঙ্গল কর্পোরেট লুঠ করছে।বনভূমিকমছে।পশু মানুষের সমরক তিক্ত হচ্ছে।নাকিরা বোধহয় সেটা জানেই না।
@রহমান
'বোমা ভর্তি আনারসে বিপন্ন প্রাণী গর্ভবতী হাতি শিকারের সাথে কেঁচোর টোপে মাছ শিকারের তুলনা বালখিল্যতা। '
1. একথা অনেক বার উল্লেখিত আনারস এর উদ্দেশ্য ছিল ফসল নষ্ট করা শুয়োর , বিপন্ন বা গর্ভবতী হাতি নয় , শিকারের প্রশ্ন ওঠানো বাতুলতা , শিকার কেউ আনারস ছড়িয়ে রেখে করেনা , নিছক মাংস খাবার জন্য হাতিও মারেনা , চোরাশিকারী রা গুলি করে ও দাঁত কেটে নেয় . একটু বিশদে এ ব্যাপারে পড়ে মন্তব্য করলে ভালো হতো
২. বালখিল্যতা আপনার মতামত হিসাবে আপনার জায়গায় ঠিক , আপনি মাছ খান আর হাতি খান না , সেটাও আপনার পছন্দ , কিন্তু নৃশংসতা হিসাবে মাছের টা কম আর হাতির টা বেশি এই নৃশংসতামিটার দিয়ে পরিমাপ করা তথ্যের উল্লেখ কোন সূত্রে পেলেন ?
শিকার কথাটা এই ঘটনায় আসেনা এঁড়ে তক্ক বা কিছু লেখার জন্য লিখতেই হবে এই দায় ছাড়া
আনারসে শুধু না, উত্তরাখন্ডের দীনেশপুরের জঙ্গলে আটায় বোমা ভরে রাখে ক্ষেতের ফসল নষ্ট করা রুখতে। আজও করে চলেছে এই নিষ্ঠুরতা। বনদপ্তর আছে বলে লোক জানেনা।সব বাড়ির কমবেশি দু একজন হাতি- শুওরের হানায় জখম বা মৃত।রাষ্ট্র সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করেনি।গালুডিতে গেলে দেখা যাবে, বহু বাড়িতে ফলক টাঙানো আছে কে কবে হাতির দ্বারা মারা গেছে।রাষ্ট্রের হেলদোল নেই।জঙ্গল লুঠের ইজারা দিচ্ছে। বন কমছে।মানুষ আর পশুর সাথে রাষ্ট্র লড়িয়ে দিচ্ছে।এগুলো নির্মুল করলে,এমন হিংসা অনেক কমবে।আঁটির নাকি সুরের গানে অনেকেই যেভাবে সঙ্গত দিচ্ছে সেটা ভাবার।
রাষ্ট্র রাষ্ট্র রাষ্ট্র
আঁটি আঁটি আঁটি ..,,,,,,, সব দুষ্টু লোক , নগ্ন সাম্প্রদায়িক
করোনা মোকাবিলায় কেরালার সাফল্য ? রাষ্ট্রের...... ? সরি , ওটা নয়
আর শিব এর পাল্টা ????
কি যেন ?
অবচেতন কি বলছে ?
আবার শিবঠাকুর কে নিয়ে এতো প্যাচাল পাড়া কেনো ?
উনি আবার কবে দক্ষিণপন্থী ফ্যাসিস্ট ছিলেন
চিরকালই তো শুনে এলাম
বামশংকর
সঙ্ঘী এবং আঁটি সেল ফেক বা মিথ্যার আড়ালে চলে।প্রতিটি পরিসরে সঙ্ঘীরা ফেক পরিচয়ে ছড়িয়ে থাকে, আঁটির ফেক মাল ডেলিভারির কাজ করে।এটা এদের এজেন্ডা।সুতরাং এই ব্লবেগেও সন্দেহ জনক গন্ধটা ছিল।এবার উপস্থিত টের পাওয়া যাচ্ছে।
সমীকরণটা - ফেক= সঙ্ঘী= আঁটি= ফেক পরিচয়ে ফেক প্রচার
সঙ্ঘী এবং আঁটি সেল ফেক বা মিথ্যার আড়ালে চলে।প্রতিটি পরিসরে সঙ্ঘীরা ফেক পরিচয়ে ছড়িয়ে থাকে, আঁটির ফেক মাল ডেলিভারির কাজ করে।এটা এদের এজেন্ডা।সুতরাং এই ব্লবেগেও সন্দেহ জনক গন্ধটা ছিল।এবার উপস্থিত টের পাওয়া যাচ্ছে।
সমীকরণটা - ফেক= সঙ্ঘী= আঁটি= ফেক পরিচয়ে ফেক প্রচার
কতটা অসভ্য হতে পারে এই সংঘি আর আঁটি রা নিজের চোখে না দেখলে ধারণাও করা যায়না . আজ ই দেখলাম সোশ্যাল প্লাটফর্ম এ সাম্প্রদায়িক কমেন্ট করতে আবার মুহূর্তে নামমাত্র ক্ষমা চেয়ে ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে গিয়ে মুক্তচিন্তাকারী দের লক্ষ্য করে সে কি তড়পানি . কবে যে সমাজ এই কৃমিকীট দের থেকে মুক্ত হবে কে জানে . আবার ওদের সাম্প্রদায়িক চিন্তাভাবনা নিয়ে কথা বলতে গেলেই এমনভাবে উল্টো দিকে তীর ঘুরিয়ে দেবে যেন সাম্প্রদায়িকতা কি ওনারা জানেনই না . সব নাকি বিরোধী দের অপপ্রচার , বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করেই নাকি ওনাদের ফ্যাসিস্ট আর সাম্প্রদায়িক হতে বাধ্য (!?!?!?) করেছে . সংঘি আর আঁটি দের কথা যত কম বলা যায় ততই ভালো
@r2h হুতো, ১ নং এ যেটা বলেছ, সেটা ক্লাসিক ক্যাপিটালিজম - কর্পোরেট ক্যাপিটাল তো অনেকদিনই এই আইডিয়াল ক্যাপিটালিজম থেকে সরে এসেছে। আর আমাদের দেশে ক্রোনি কর্পোরেট ক্যাপিটালের আদর্শ হল টিকলিং ইকোনমি - যত বেশী দূর, তত চুঁইয়ে পড়ার মাহাত্ম্য ভাল দৃষ্টিগোচর হয়। ১০ টি পরিবার সুবিধার পর সুবিধা পেয়েই চলে, বাকিরা ক্রমশঃ দূরে সরতে থাকে, মাঝখানটা ভরাট করে মধ্যসত্ত্বভোগী - চুঁইয়ে পড়া প্রসাদের বিভিন্ন স্তরের সুবিধাপ্রাপ্তেরা। এদেশে তাই প্রান্তিক মানুষ আজও প্রান্তিকতর হয়ে যেতেই থাকে। ভিটে থেকে উৎখাত হয়ে কলকাতা, সেখান থেকে কুপার্স, সেখান থেকে দণ্ডকারণ্য, সেখান থেকে মরিচঝাঁপি, সেখান থেকে ---- অনন্ত যাত্রা, সেন্ট্রাল নয়, সেন্ট্রিফ্যুজাল।
২ এর জন্য বলি, ১০০ বছরের দরকার নেই, এই ঘটনা আজও ঘটে চলেছে এবং কারো কিচ্ছু আসে যায় না। আজই উত্তরপ্রদেশে একটা বাঘকে পিটিয়ে মেরেছে ৩৫ জন মিলে, হাড়্গোড় গুঁড়োগুঁড়ো করে। দু সপ্তাহও হয়নি গঙ্গায় ফিরে আসা ডলফিনকে খুঁচিয়ে মেরে ফেলেছে। বাচ্চা ডলফিনকে নিয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে ডলফিনটি মরে গেছে। গত এক বছরে ডুয়ার্সে অন্তত পাঁচ সাতটি হাতি মারা গেছে ট্রেনের ধাক্কায়। কারো কিচ্ছু যায় আসেনি। কেউ কাঁদতে বসেনি। এটায় কেন বসেছে? সেই সব মানুষ আজ হঠাৎ পশুপ্রেমে কেঁদে ভাসাচ্ছে? ওগুলো আমরা জানতেও পারলাম না আর এই ঘটনাটা সবাই জানল কী করে?
উত্তরের জন্য কোন পুরষ্কার নেই। তুমিও জান, আমিও জানি
বাবারে, একি শুরু হল ! সবকিছুর মধ্যে repetition বানানটা ভুল লেখাই আমার চোখে বিশেষ করে পড়ল।
এতো কমেন্ট পড়ব কখন। রৌহিন মনে হচ্ছে মৌচাকে ঢিল মেরেছে।
@হুতো, এবারেও আমার তিনখান কথা আসে।
১। ওই "দুশো" লোক সম্ভবত একশো বছর আগেও ছিল, কিন্তু সোশাল মিডিয়া ছিল না। তারাও জানতে পেত না, তাদের দূঃখ জানানোরও কোন জায়গা ছিল না। এই তুলনাটায় গিয়ে লাভ নেই। একশো বছরে মানুষ খুব "সভ্য" হয়ে গেছে এরকম আমার অন্তত মনে হচ্ছে না।
২। মানুষের "সংখ্যা" কমানোর চেয়ে সহজতর একটা সমাধান আছে - সেটা আমরা দেখেও দেখতে চাই না - সেটা হল প্রয়োজন কমানো। তাতে কর্পোরেট এবং ক্যাপিটালিজমের ক্ষতি বটে, কিন্তু সামগ্রীকভাবে মানুষ এবং অন্যায় স্পিসিস এর জন্য লাভ। মানুষ বাদে অন্য সব স্পিসিস কিন্তু এভাবেই নিজেদের বাড়িয়েছে। ইকো সিস্টেম বজায় রেখে।
৩। দোবরু পান্নাদের আমি আলাদা করে "প্রান্তিক" বলে চিহ্নিত করতে চাই না - তারা অরণ্যে আজীবন আছেন, অরণ্যকে চেনেন, জানেন। অরণ্যের পশুর স্বভাব চরিত্রও জানেন। আমরা বাধ্য না করলে তাদের শহরে আসার প্রয়োজন হয় না, কুলি হবারও না। আমার প্রান্তিকজন হলেন তারা যারা সেন্টার থেকে ঠেলা খেতে খেতে ওখানে গিয়ে ঠেকেছেন, ক্রমে আরো সরে যেতে হচ্ছে। ঠেলাটা দিচ্ছি আমরা, গিয়ে পড়ছেন ওঁরা। এঁরা জঙ্গল চেনেন না। পশুপাখী গাছপালার সাথে এদের আত্মার সম্পর্ক নয়। কৃষির জন্য জমি পত্তন করতে হয়, এঁরা জঙ্গল কাটেন (সেই জমির ফসলের লাভ কিন্তু কেন্দ্রে আসে, তারপর আমাদের গায়ে চুঁইয়ে পড়ে, ওঁদের ভাগে থাকে কি থাকে না), পশুর সাথে সঙ্ঘাত হয়। পশু এঁদের শত্রু, এঁরা পশুর, কারণ কেউ কাউকে চেনে না, বোঝে না। সেই যুদ্ধে কখনো মানুষ মরে কখনো পশু। আমরা দুইয়েই খুব দুঃখ পাই, কিন্তু চাহিদা একটুও কমাই না। এদের আরো দূরে ঠেলতে থাকি। আরো সঙ্ঘর্ষের দিকে
লে আঁতেল :
- হাতির মৃত্যু দুঃখজনক। তার জন্য আপনি গোটা কেরালাকে দোষ দিতে পারেন না।
Also, লে আঁতেল :
মানুষ আজ বড় নিষ্ঠুর। হাতির মৃত্যু দেখিয়ে দিলো, এই পৃথিবীতে মানুষের বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই।
Meanwhile :
যারা তারকেশ্বরে যান, নন্দী নামের ষাঁড়টির সঙ্গে হয়তো পরিচিত। সেই নন্দীকে কয়েকদিন আগে কেটে ফেলে রাখা হয়েছিল, সুব্রহ্মনিয়ম স্বামী অব্দি ট্যুইট করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তবে বাঙ্গালা মিডিয়ার সেটা কভার করার সময় হয়নি। হয়তো ভাসুরদের নাম বেরিয়ে যাবে বলে, কারণ ধর্মপ্রাণ হিন্দুর তীর্থস্থান তারকেশ্বরে কে বা কারা নন্দীকে নৃশংসভাবে কেটে রাখতে পারে, তা বুঝতে রকেট সায়েন্স জানার প্রয়োজন পড়ে না।