এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ইউক্রেন, বাংলাদেশ, এবং মিডিয়া -- বর্বরতার সেকাল একাল

    Partha Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২২ মার্চ ২০২২ | ১৪৩০৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ঊনিশশো একাত্তরের মার্চ মাস থেকে ডিসেম্বর -- বাংলাদেশের রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে -- আজ এই দুহাজার বাইশ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পৃথিবীতে কতগুলো যুদ্ধ হয়েছে, এবং তার পরিণতি হিসেবে কত কোটি নিরীহ মানুষকে নিজের দেশ ছেড়ে চিরকালের মতো অন্য দেশে গিয়ে উদ্বাস্তুর জীবন কাটাতে হয়েছে? কেউ কি তার হিসেব রেখেছে কোনো?
     
    আজকে নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন, বিবিসি এবং প্রায় সমস্ত মার্কিন ও পশ্চিমি মিডিয়া রাশিয়ার আক্রমণে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে যাওয়া শরণার্থীদের জন্যে কেঁদে আকুল। কেবলমাত্র পোল্যাণ্ডেই দশ থেকে পনেরো লক্ষ ইউক্রেনিয়ান পুরুষ, নারী ও শিশু আশ্রয় নিয়েছে। এর পর আছে পশ্চিম ইউরোপের আরো দেশ -- যেমন জার্মানি, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, স্পেন, ইতালি। ইউক্রেনের চারপাশে আরো যেসব দেশ আছে, যেমন বেলারুশ, হাঙ্গেরি, চেক রিপাবলিক, মলডোভা, জর্জিয়া, রোমানিয়া ইত্যাদি। 

    ইউক্রেনে রাশিয়ার বর্বর আক্রমণ এই প্রতিটি দেশকেই সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে বাধ্য। পরিবেশ ও জলবায়ুর ওপরে যে নিদারুণ প্রভাব পড়বে, এবং কত কোটি গাছ কাটা পড়বে, পার্ক ও তৃণভূমি জ্বলে যাবে, কত লক্ষ কোটি গ্যালন জল চিরকালের মতো বিলীন হবে, তার হিসেব কে করে? এবং যারা বেঁচে থাকবে, বিশেষ করে শিশুরা, তাদের মনের ওপর এই যুদ্ধ ও বোমাবর্ষণ চিরকালের মতো কেমনভাবে ছাপ ফেলে যাবে, তার হিসেব কে করে?
     
    বাংলাদেশ যুদ্ধের সময়ে আমরা দেখেছি, কত লক্ষ নিরীহ পরিবারকে এই ট্রমার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। কত অসংখ্য নারীর মর্যাদা লুন্ঠিত হয়েছিল। কত মানুষ বিকলাঙ্গ, পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলো। অথচ, বাংলাদেশের ওপর পাকিস্তানী হানাদারদের বর্বরতার খবর আমার পরিচিত অনেক সাধারণ পাকিস্তানীই জানেনা। আমি যখন তাদের এসব কথা বলি, তারা আশ্চর্য হয়ে যায়। তারা তাদের দেশে থাকার সময়ে কখনো এসব কথা শোনেনি। শুনলেও তার যে বীভৎসতা, বিভীষিকা, তার কোনো সঠিক খবর তাদের দেশের মিডিয়া তাদের দেয়নি। এও হলো আমার পূর্বকথিত "জার্নালিজম অফ এক্সক্লুশন" বা কৌশলে বর্জন করার সাংবাদিকতা। আজ আমরা নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন, বিবিসি এবং পশ্চিমি মিডিয়াতে তার এক আধুনিক সংস্করণ দেখতে পাচ্ছি।
     
    এই আধুনিক, নবতম মগজধোলাইতে দেখা যাচ্ছে, রাশিয়া ও পুতিন কেমনভাবে ইউক্রেনের ওপর বর্বর আক্রমণ চালাচ্ছে, কত নিরীহ মানুষের প্রাণ যাচ্ছে, মারিপল, ম্যারিটোপোল, খারসন, ইত্যাদি শহরে হাসপাতাল, আশ্রয়কেন্দ্র এসব রাশিয়ার বোমার আঘাতে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে। তার ছবি আমরা দিবারাত্র পশ্চিমি মিডিয়াতে এবং তাদের বশংবদ ভারতীয় ও বাংলাদেশী মিডিয়াতে দেখছি। এবং শিহরিত হচ্ছি। হওয়ারই কথা।
     
    রাশিয়ার এ আগ্রাসন ও বর্বরতাকে চরম ধিক্কার জানাই। 
     
    কিন্তু এখানে একটা বিরাট প্রব্লেমও আছে। আজ পৃথিবীতে যেমন সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনো খবর দেখলে তেমন কেউ তার সম্পর্কে খোঁজখবর করেনা বা রিসার্চ করেনা, এবং সেই উড়ো খবরকেই ধ্রুবসত্য বলে মনে করে এবং নিজের বন্ধু পরিজনের সঙ্গে চোখ বন্ধ করে শেয়ার করে ফেলে, ঠিক তেমনি নিউ ইয়র্ক টাইমস বা সিএনএনের খবরকে কেউ যাচাই না করেই নিজেদের মিডিয়াতে প্রকাশ করে দেয়। এবং কে কত বেশি আগে প্রকাশ করতে পারলো, তার প্রতিযোগিতা চলে। 

    অথচ, নিউ ইয়র্ক টাইমস জাতীয় মিডিয়া একপেশে রাশিয়াবিরোধী খবর প্রচার করে চলেছে, যা ওয়ার প্রোপাগাণ্ডা -- যুদ্ধ সম্পর্কে একটা জিগির সৃষ্টি করা।
     
    সেই একপেশে সাংবাদিকতায় যেমন যুক্তিতর্ক, বিশ্লেষণ, কারণ অনুসন্ধান সমস্ত বিলুপ্ত, ঠিক তেমনই ইতিহাসের কোনো আলোচনাও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই তথাকথিত "মুক্ত ও স্বাধীনতার দেশ" আমেরিকায় আজ যদি কোনো মূলস্রোত মিডিয়া সেসব কারণ বা ইতিহাসের কথা তোলে, সঙ্গে সঙ্গেই সে মিডিয়া জনপ্রিয়তা হারাবে, এবং যেসব বড় বড় কর্পোরেশন -- গাড়ি থেকে ওষুধ থেকে ম্যাকডোনাল্ড থেকে পিৎজা হাট থেকে ডিজনি ওয়ার্ল্ড -- তাদের বিজ্ঞাপন দিয়ে চলেছে, তারা সে বিজ্ঞাপন গুটিয়ে নেবে, এবং সে মিডিয়া মুখ থুবড়ে পড়বে। সে ঝুঁকি নিয়ে সৎ, নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার সাহস কোনো মূলস্রোত মিডিয়ার নেই।
     
    অথচ সৎ, নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা করার এই মুহূর্তে খুব বেশি দরকার ছিল। আগের তিন সপ্তাহে আমি বাংলাদেশ প্রতিদিনের পাতায় সেসব বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছি। আজ করছি যুদ্ধ এবং শরণার্থী সমস্যা নিয়ে আলোচনা। ইমিগ্রেন্ট এবং ইমিগ্রেশন নিয়ে মার্কিন মিডিয়ার একপেশে আলোচনা দেখলে স্তম্ভিত হতে হয়। ইরাক, আফগানিস্তানের যুদ্ধের সময়ে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন সে দুই দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ মেরেছিলো, এবং বলতে গেলে বিনা কারণেই বোমার আঘাতে দুটো দেশকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলো, তখন মার্কিনি ও পশ্চিমি মিডিয়ার এই কুম্ভীরাশ্রু কোথায় ছিল? 

    প্রতিটি ছবি, প্রতিটি খবর দেখলে আজ সেই হিপোক্রিসি, দ্বিচারিতার কথাই খুব বেশি করে মনে আসে। কিন্তু সেসব কথা বলা জনপ্রিয় নয়। 

    ইতিহাসের আলোচনা জনপ্রিয় নয়। আপনার চাকরি চলে যেতে পারে, আপনার ফোন হ্যাক করা হতে পারে, আপনার পরিবারের ওপর নজরদারি করা হতেই পারে। এমনিতেই আমেরিকায় গুগল, ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব বিনা পয়সায় ব্যবহারের পরিবর্তে আপনার ব্যক্তিগত সমস্ত তথ্য বা পছন্দের খবর মার্কিনি কর্পোরেশনগুলো জানে। আপনার ফোনে বা ইমেলে যে কোনো সময়ে যে কোনো কর্পোরেশন আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। আপনার বাড়িতে যদি অ্যালেক্সা-জাতীয় অনলাইন রোবট থাকে, তাহলে তার মাধ্যমে আপনার বলা সমস্ত কথা কর্পোরেশনগুলির হাতে সরাসরি চলে যেতে পারে। 

    এই তথাকথিত "ল্যাণ্ড অফ প্রাইভেসি" আমেরিকায় কোনো ব্যক্তিগত গোপনীয়তা আপনার অবশিষ্ট নেই।
     
    একাত্তরের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়েই কিন্তু ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, চিলি এসব দেশে বিশাল বিশাল যুদ্ধ চলছিল, এবং প্রতিটি যুদ্ধের পিছনেই ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হাত। সেই একই সময়ে দক্ষিণ আমেরিকায় গুয়াতেমালা, সালভাডোর, হণ্ডুরাস এসব দেশে মার্কিন মদতে সেখানকার অত্যাচারী রাষ্ট্রনায়করা বর্বর আক্রমণে বিরোধী শক্তিকে শেষ করে দেওয়ার খেলায় নেমেছিল, এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ জমি, ঘরবাড়ি, স্বজন পরিজন হারিয়ে স্ত্রীপুত্রকন্যার হাত ধরে নিজের প্রিয় দেশ ও পরিচিত পরিবেশ ছেড়ে পাড়ি দিয়েছিলো অন্য দেশের আশ্রয়ে।
     
    ফিলিপিন্স থেকে এ্যাঙ্গোলা, বাংলাদেশ থেকে শ্রীলঙ্কা, সুদান থেকে কঙ্গো, কসোভো থেকে ইউক্রেন -- সমস্ত যুদ্ধের পিছনেই ওই যে কথা আগেই বললাম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং তাদের ট্রিলিয়ন ডলার, ট্রিলিয়ন পাউনড অস্ত্র ও যুদ্ধ কর্পোরেশনের মদত রয়েছে। ঠিক যেমন পট্যাটো চিপসকে জনপ্রিয় না করলে খামারের আলু বিক্রি হবেনা এবং পচে যাবে, ঠিক একই ভাবে যুদ্ধ না লাগালে এবং যুদ্ধ চালিয়ে না গেলে এই ট্রিলিয়ন ডলারের মজুত করা অস্ত্রভাণ্ডার পড়ে থাকবে, এবং শেয়ার বাজারে তাদের লাভ দ্রুত পড়ে যাবে। 
     
    অস্ত্র ও যুদ্ধ বিক্রি না হলে লাভ নেই, এবং লাভ না থাকলে শেয়ার মার্কেট নেই। স্টকহোল্ডাররা ক্ষেপে উঠবে। 

    যুদ্ধ কর্পোরেশনের সঙ্গে কেবলমাত্র অস্ত্র প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো যুক্ত নয়। যুক্ত আছে ওষুধপত্র, কম্পিউটার ও সফটওয়্যার, হাজার ইলেক্ট্রনিক্স ও অনলাইন বাণিজ্য, সাবান থেকে খাদ্যসামগ্রী। গাড়ি থেকে গ্রেনেড। বস্তুতঃ, যুদ্ধ না লাগালে, এবং যুদ্ধ চালিয়ে না গেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সম্পূর্ণভাবেই ধ্বংস হয়ে যাবে। এই কারণে, আপনারা একবার গুগল সার্চ করে দেখে নিতে পারেন, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত আমেরিকা পৃথিবীর কোথাও না কোথাও কোনো না কোনো ভাবে যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত ছিল। আছে।
     
    আজকে পৃথিবীতে এই মুহূর্তেই সৌদি আরব ইয়েমেনের ওপর বর্বর আক্রমণ চালাচ্ছে। এবং মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করছে। কিন্তু নিউ ইয়র্ক টাইমস বা সিএনএন বা বিবিসিতে তার কোনো খবর আপনি পাবেন না আদৌ।
     
    কাশ্মীরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সর্বক্ষণ যুদ্ধ চলেছে। আফ্রিকার অনেকগুলো দেশের মধ্যে নিরন্তর যুদ্ধ চলেছে। ইজরায়েলের কথা বলে আর মার্কিনি মিডিয়ার লজ্জা বাড়ালাম না। অবশ্য, জার্নালিজম অফ এক্সক্লুশনে লজ্জা বস্তুটাই তাদের আর নেই।
     
    সব জায়গাতেই -- বার্মা থেকে বাংলাদেশ থেকে বলিভিয়া থেকে বার্কিনা ফাসো -- যুদ্ধের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তারা ওই মেক্সিকো, গুয়াতেমালার সর্বস্বান্ত মানুষের মতোই দেশ হারিয়ে, স্বজন পরিজন হারিয়ে, জমি হারিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে অন্য দেশের আশ্রয়ে। এই মুহূর্তে যেমন ইউক্রেন থেকে পোল্যাণ্ডে পাড়ি জমাচ্ছে ওই দশ থেকে পনেরো লক্ষ মানুষ। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়ে যেমন ইউরোপ থেকে আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছিল কোটি কোটি মানুষ।
     
    আমেরিকা তাদের আশ্রয় দিয়েছিলো। যেমন ইউরোপের নতুন যুদ্ধগুলোর শরণার্থীরা অনেকেই আশ্রয় পেয়েছে জার্মানিতে, ফ্রান্সে।
     
    কিন্তু আমেরিকায় আজ উদ্বাস্তুবিরোধী, শরণার্থীবিরোধী রাজনৈতিক ও সামাজিক হাওয়া অতি প্রবল আজ যদি কুম্ভীরাশ্রু নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন বলতো, ইউক্রেন থেকে যে কেউ আমেরিকায় আশ্রয় পেতে চাইলে আমেরিকা তাদের বিনাশর্তে আশ্রয় দেবে, এ্যাসাইলাম দেবে। বলবে কি?
     
    বিবিসি কি রাণীর ওপরে চাপ সৃষ্টি করবে, যাতে ইউক্রেনের শরণার্থীরা সবাই ব্রিটেনে নিরাপদ আশ্রয় পায়?
     
    যেমন একাত্তরে বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি নিঃস্ব, ছিন্নমূল নিরীহ মানুষ ভারতে আশ্রয় পেয়েছিলো?
     
    ###

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২২ মার্চ ২০২২ | ১৪৩০৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::24a:***:*** | ৩১ মার্চ ২০২২ ০৩:০৫505818
  • রুবল এখন সাড়ে ৮৩। রাশিয়া বলেছে জার্মানী আর ফান্সকে তেলের দাম রুবলে দিতে। জার্মানী বলেছে এসব ব্ল্যাকমেইলিং চলবে না। সত্যি কথা, ওরা কত শখ করে স্যান্কশান করেছিলো। সেসব মুখ বুজে সহ্য না করে রাশিয়া নিজেদের কারেন্সি স্টেবিলাইজ করার সাহস পায় কোথা থেকে। ওদিকে জার্মানী জানিয়েছিলো যে কাতারের সঙ্গে লং টার্ম এনার্জি এগ্রিমেন্ট হয়ে গেছে। শুধু এইবারের শীতটুকু, তারপরেই রাশিয়ার উপরে আর ভরসা করতে হবেনা। এখন কাতার বলেছে ঐরকম কোনও এগ্রিমেন্ট হয়নি। ওদিকে বোজো গেছিলো সৌদিতে তেলের উৎপাদন বাড়িয়ে তেলের দাম কমানোর জন্য। এম্বিএস বলেছে ওসব হবেনা। তাই এখন আমেরিকার থেকে তেল কিনবে ইউ এক সঙ্গে। এর ফলে তেলের দাম কম থাকবে, যেহেতু কম্পিটিশান হবেনা। কিন্তু এইবারের শীতে কি হবে?
  • Joshita Ghoshal | ৩১ মার্চ ২০২২ ০৪:৫০505820
  • The Washington Post is owned by Jeff Bezos, who owns Amazon which in turn owns Amazon Web Services, which has extensive business relationships with the CIA.

    If this is coming out in the WaPo, it means that the Deep State has no more use for Joe Biden.
  • Joshita Ghoshal | ৩১ মার্চ ২০২২ ০৪:৫১505821
  • সিরিয়া থেকে সৈনিক আসছে রাশিয়ায় যুদ্ধে যোগ দিতে।
  • Joshita Ghoshal | ৩১ মার্চ ২০২২ ০৪:৫১505822
  • এবারের শীতে আমরা ঠান্ডায় জমে যাব।
  • Amit | 121.2.***.*** | ৩১ মার্চ ২০২২ ০৫:০১505823
  • বিডেন নাহয় গেলো পরের বার- এটলিস্ট আম্রিগায় পালাবদল করা যায়। রাশিয়ায় পালবোড তো কোন ছাড় , এতো ঢক্কানিনাদের পরও রাশিয়ান রা যে একমাসে একখানাও ইউক্রেন এর মেজর সিটি দখলে আনতে পারলোনা। শুধু ব্যোম মেরে হসপিটাল উড়িয়েই দম শেষ ?
     
    এই যদি বহুল প্রচারিত রাশিয়ান ওয়ার মেশিনের হাল হয় তাহলে তো ইন্ডিয়া র ইমিডিয়েট রাশিয়ান আর্মস ইমপোর্ট ব্যান করা উচিত। সাবস্টেন্ডার্ড আর ওভারপ্রাইসড যত আর্মস সাপ্লাই করছে এদ্দিন। এমনও নয় যে সস্তায় বেঁচেছে। একখান স্ক্রাপ রাশিয়ান নেভাল শিপ ইন্ডিয়াকে বিশাল দামে বেচেছিলো। আর মিগ-কে তো বলাই হয়"ফ্লাইং কফিন"। প্রাকটিস ফ্লাইট এ যত পাইলট মরেছে একটা যুদ্ধে এতো মরেনা। 
     
    ইন্ডিয়ার সাথে কারো যুদ্ধ বাধলে এইসব রাশিয়ান স্ক্রাপ যন্তরমন্তর নিয়ে লড়তে গেলে তো পুরো ল্যাজে গোবরে হয়ে যাবে। 
  • s | 100.36.***.*** | ৩১ মার্চ ২০২২ ০৫:২৬505824
  • সিরিয়া থেকে সৈনিক আসছে না, আসছে ভাড়াটে সৈনিক। যাদের পোষাকি নাম মার্সেনারি। এরা নির্বিচারে মানুষ খুন করে দেশের উর্দিধারী সৈন্যদের ভার লাঘব করে কিছুটা. আবার ওয়ার ক্রাইমের দোষ এদের উপর চাপিয়ে দেওয়া যায়।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::20f:***:*** | ৩১ মার্চ ২০২২ ০৬:৩৫505825
  • অথচ দেখুন পোল্যান্ডের কাছে থাকা সোভিয়েত এরার ২৫০টা মিগ পাঠানোর জন্য কত নাটক হল। তা এত খারাপ প্লেন যখন, তখন গোটা কয়েক ফ্যালকন পাঠালেই পারতো।

    আর রাশিয়ার পালাবদলের দায়িত্বও তো বড়দাদাই নিজের নাজুক কাঁধে তুলে নিয়েছে।
  • Amit | 121.2.***.*** | ৩১ মার্চ ২০২২ ০৭:০৩505826
  • ঠিক আছে। ওয়েস্ট নাটক করছে মেনে নেওয়া গেলো। 
     
    কিন্তু রাশিয়া তো নাটক করছে না। সিভিলিয়ান দের ওপর এট্যাক করে চলেছে। সেটা কিভাবে জাস্টিফাই করা হচ্ছে ? 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::211:***:*** | ৩১ মার্চ ২০২২ ০৭:২১505827
  • সেই এক কথা। জাস্টিফাই কে করছে?
  • Amit | 121.2.***.*** | ৩১ মার্চ ২০২২ ০৭:৪২505828
  • ও আচ্ছা। তাহলে ঠিক আছে। আসলে এতো প্রো পুতিন বা প্রো রাশিয়া  গোল গোল ঘোরা সব পোস্ট দেখছি যে গুলিয়ে যাচ্ছে  কে কার হয়ে কথা বলছে। 
     
    সেই বালাকোট টা নিয়ে এখনো কিছু পেলুম না তো ? 
  • fmph | 42.***.*** | ৩১ মার্চ ২০২২ ১০:৫৬505834
  • আমি হিটলারকে নিয়ে  গুচ্ছ কমেন্ট করেছি লিঙ্ক টিঙ্ক সহকারে ৷ লোকজন সার্চ করতে পারে না কিনা , তাদের কথা ভেবে ।
     
    আমার কমেন্টে আমি হিটলারের হ্যান্ডসাম গোঁফের প্রংশসা করেছি I জানিয়েছি অস্ট্রিয়া আক্রমন যে জাস্টিফায়েড ছিল সেটা চেম্বারলেনের কাজকর্ম থেকেই প্রমান হয় ৷ হিটলারের উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে লিঙ্ক দিয়ে হিটলারই যে ইউরোপের লস্ট মসীহা সেটা প্রায় সপ্রমান করে ফেলেছি .. একদম শেষে এল হলোকাস্টের প্রসঙ্গ ৷ আমি বললাম " জাস্টিফাই কে করছে ? " 
     
    আসল ব্যাপার হল হলোকাস্ট বা সিভিলিয়ান ডেথ নিয়ে যারা প্রশ্ন করছেন , তাঁদের বুঝতে হবে যে ওসব ফালতু জিনিস নিয়ে আমার আলোচনায় কিছু যায় আসে না ৷ ওসব পাশে সরিয়ে রেখেই দিব্যি হিটলার ভক্ত হওয়া যায় ৷
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::22f:***:*** | ৩১ মার্চ ২০২২ ১১:০৫505835
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::1fb:***:*** | ৩১ মার্চ ২০২২ ১১:১৩505836
  • @অমিত, আমার পোস্টগুলো আসলে অ্যান্টাই ওয়েস্ট। আপনি বাইনারির কবলে, তাই প্রো রাশিয়ান দেখছেন। দুটোকে কিছুতেই আলাদা করতে পারছেন না।
  • dc | 122.164.***.*** | ৩১ মার্চ ২০২২ ১১:১৮505837
  • fmph, এতে আশ্চর্যের কি আছে? অনেকেই ছিল আর আছে যারা মনে মনে বলতো হিটলার যা করেছে বেশ করেছে, আর মুখে বলতো হিটলারের কাজের জাস্টিফাই কে করেছে? সবরকম শেডই থাকে। 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::81:***:*** | ৩১ মার্চ ২০২২ ১১:২৫505838
  • আবার এরকমও অনেকে আছে যারা মনে করে যে চার্চিলের ইন্ডিয়া পলিসির (বা বৃটিশদের ওভারল কনোলিয়াল পলিসির) সমালোচনা করা মানেই হিটলারের জয়গান। অতেব ওসব করা যাবেনা। যারা হিটলারের পরেই ডাইরেক্ট পুতিনকে দেখতে পারছে, তারা সবাই আমেরিকার ইরাক ইনভেশান সমর্থক ছিল। ওখানে অশ্বেতাঙ্গ মুসলমান শিশুদের মৃত্যুর পরিবর্তে তেলের পয়সায় ঠোঁট ভেজানোর আশায় ছিল তারা।
  • Amit | 121.2.***.*** | ৩১ মার্চ ২০২২ ১১:৩০505839
  • সেটাই তো মুশকিল। যখন শান্তি থাকে চাদ্দিকে তখন আন্টি-ইউএস মানে প্রো-রাশিয়া একেবারেই নয়। তখন নন আলাইন্ড পার্টি থাকতেই পারে। কিন্তু যেখানে রাশিয়া আনপ্রোভোকড এগ্রেসর নেশন হিসেবে নিজেকে এস্টাব্লিশড করে ফেলেছে অলরেডি তখন আন্টি ইউএস মানে অতটা নিরপেক্ষ থাকে না। তখন নিজের ​​​​​​​অজান্তেই ​​​​​​​লোকে ​​​​​​​এগ্রেসনকে ​​​​​​​সাপোর্ট ​​​​​​​করে ​​​​​​​ফেলে। 
     
    আমি আগেও প্রশ্ন করেছিলাম ইউক্রেন এ নিও নাত্সি প্রব্লেম কি এতটা লার্জ স্কেলে পৌঁছেছিল যার জন্যে কোনোভাবে রাশিয়ান এট্যাক জাস্টিফাই করা যায় ? কম্পাইর্ড টু ১৯৭১ বাংলাদেশ যেখানে একটা লার্জ স্কেল হিউম্যানিটেরিয়ান ক্রাইসিস =জেনোসাইড হয়েছিল ? 
     
    আর ন্যাটো চাওয়া নিয়ে আগেও বলেছি কে বলতে পারে আজকে রাশিয়াই দাদাগিরী দেখিয়ে ইউক্রেন কে ন্যাটোর দিকে ঠেলতে বাধ্য করেছে কি না ? 
  • Amit | 121.2.***.*** | ৩১ মার্চ ২০২২ ১১:৩৩505840
  • ইরাকের সাথে ইউক্রেন র বেসিক তফাৎ টা হলো জেলেনস্কি মেজরিটি লোকের ভোটে জিতে আসা প্রেসিডেন্ট। আর সাদ্দাম জীবনে কোনোদিন ভোটে দাঁড়ায়নি-দরকারই পড়েনি -যেমন এখন পুতিনের পড়েনা। উল্টে নিজের লোকেদের ওপর কেমিকাল বম্ব  ইউস করেছে। 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::217:***:*** | ৩১ মার্চ ২০২২ ১১:৩৪505841
  • "তখন আন্টি ইউএস মানে অতটা নিরপেক্ষ থাকে না।"
    - এইটাই ওয়েস্টার্ণ মিডিয়ার অন্যতম অ্যাজেন্ডা ছিল। আগেও এরকম শুনেছিলাম বুশের মুখে - তোমরা হয় আমাদের পক্ষে, নইলে তোমরা টেররিস্ট। এই বাইনারিটা ওয়েস্টের ফরেন পলিসির একদম মূলে রয়েছে।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::81:***:*** | ৩১ মার্চ ২০২২ ১১:৩৬505842
  • ইউ জাস্ট জাস্টিফায়েড আইরাক ওয়ার। এনিওয়ে এই সদাম যতদিন ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করছিলো, ততদিন ওয়েস্টের পরম বন্ধু ছিলো।
  • Amit | 121.2.***.*** | ৩১ মার্চ ২০২২ ১১:৪১505843
  • সেতো রাশিয়াও ইরানকে সাপোর্ট করছিলো তখন। কার হাত পরিষ্কার ? রাশিয়া তো আফগানিস্তানে ও ​​​​​​​আর্মি ​​​​​​​ঢুকিয়েছিল , তার ​​​​​​​পাল্টা ​​​​​​​ইউএস ​​​​​​​তালিবান ​​​​​​​দের ​​​​​​​তালিম ​​​​​​​দিলো। ​​​​​​​তারপর তালিবান পাওয়ার ​​​​​​​এ ​​​​​​​এসে ​​​​​​​যা ​​​​​​​শুরু ​​​​​​​করলো , আবার দৈত্যকে ​​​​​​​বোতলে ঢোকানোর ​​​​​​​দরকার ​​​​​​​হয়ে ​​​​​​​পড়লো। ​​​​​​​২০ ​​​​​​​বছর ​​​​​​​চেষ্টা ​​​​​​​করে ​​​​​​আবার ​​​​​​​ইউএস ​​​​​​​হাল ​​​​​​​ছেড়ে ​​​​​​​দিলো। আবার তালিবানের নরক ফেরত এলো। ​​​​​​​এই ​​​​​​​আগুন নিয়ে খেলা ​​​​​​​তো ​​​​​​​চলতেই ​​​​​​​থাকছে। ​​​​​​​নানা ​​​​​​​দেশে। 
     
    আর ১৯৯১ এর প্রথম ইরাক ওয়ার টা তো আপনি  নিজের এখানেই মেনে নিয়েছিলেন যে জাস্টিফায়েড ছিল। সমস্যা টা শুধু ২ন্ড টা নিয়ে তো ? :) 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::230:***:*** | ৩১ মার্চ ২০২২ ১১:৪৬505844
  • আমি কোনও যুদ্ধই জাস্টেফায়েড বলিনি। বলেছি কেউ কেউ প্রথমটা তাও জাস্টেফাই করতে পারেন - ইউএনের সাপোর্ট ছিলো ইত্যাদি।

    হ্যাঁ কারোরই হাত পরিষ্কার নয়। অতেব এই ওয়েস্টের হোলিয়ার দ্যান দাও অ্যাটিটুডটা অসহ্য লাগছে।
  • Joshita Ghoshal | ৩১ মার্চ ২০২২ ১১:৪৯505845
  • "সেতো রাশিয়াও ইরানকে সাপোর্ট করছিলো তখন। "— অ্যাঁহ???
  • Joshita Ghoshal | ৩১ মার্চ ২০২২ ১১:৫০505846
  • অমিত এবার সব উল্টোপাল্টা তথ্য দিচ্ছেন।
  • fmph | 42.***.*** | ৩১ মার্চ ২০২২ ১২:২৪505848
  • @dc 
     
    হ্যাঁ আশ্চর্যের কিছুই নেই ৷ 
  • Amit | 121.2.***.*** | ৩১ মার্চ ২০২২ ১২:২৬505849
  • উল্টোপাল্টা কোদ্দিয়ে হলো? সাত বছর ধরে ইরাক ইরান যুদ্ধ চলেছে। তখন ইরানের খোমেইনি র এগেনস্ট এ ইউএস সাদ্দামকে সাপোর্ট দিচ্ছিলো। আর ইউএস এর পাল্টা রাশিয়া ইরানকে আর্মস সাপ্লাই করছিলো। এতে কোনটা উল্টোপাল্টা ? 
  • Amit | 121.2.***.*** | ৩১ মার্চ ২০২২ ১২:২৯505850
  • আচ্ছা। স-এর কোথায় মেনে নিলাম- " কেউ কেউ প্রথমটা তাও জাস্টেফাই করতে পারেন"। তো সেই কেউ কেউ এর মধ্যে কি আপনি পড়েন ? নাকি আপনি মনে করেন ইরাক এর কুয়েত দখল করা ঠিকই ছিল ? 
     
    আমি যেমন মনে করি প্রথমটা পুরোপুরি জাস্টিফায়েড। ইরাক এট্যাক করে ঠিকই করা হয়েছে। 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::21a:***:*** | ৩১ মার্চ ২০২২ ১২:৪৩505851
  • @অমিতঃ ভালো লাগলো যে আপনি আমি কি মনে করি, সেটা জানতে চেয়েছেন। ঃ)
    আমার মনে হয় ঐ প্রথমে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের সময় সদামকে অস্ত্র দেওয়াই ভুল হয়েছে।
  • Joshita Ghoshal | ৩১ মার্চ ২০২২ ১৩:০৭505852
  • অমিতের জন্য।
     
     
    এই লিংকে নীচে কে কাকে সাপোর্ট করেছে পরিষ্কার লেখা আছে।
    আমি ঐ সময়ে সোভিয়েত দেশে থাকতাম। ইরানের ছাত্রছাত্রীরা পড়তে আসত আফগানি পাসপোর্ট নিয়ে। কারন তখন ইরাককে সাপোর্ট করেছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন।
    পাকিস্তানিরাও ঐ একই কারনে আফগানি পাসপোর্ট ব্যবহার করত এবং ফিলিস্তিনিরাও আফগানি পাসপোর্টে।
    এসব শেষ হবার পরে কুয়েতের ঘটনা।
    ঘটনাগুলো যখন ঘটছিল তখন খুব কাছ থেকে দেখেছি। অন্য রকমের গ্রাউন্ড রিয়েলিটি।
  • fmph | 14.139.***.*** | ৩১ মার্চ ২০২২ ১৩:১৮505853
  • আমার এক পিসতুতো দাদা বিছিপির সাপোর্টার, বছর কয়েক আগে , তাঁর সঙ্গে কথা হচ্ছিল , ট্রাকে গোমাংস পাওয়া গেছে এই সন্দেহে রাজস্থানে মব লিঞ্চিং ও ড্রাইভারের মৃত্যূ নিয়ে I দাদা আমাকে বললেন , জানিস আউরঙ্গজেবের আমলে মুসলমানরা হিন্দুদের ওপর কত অত্যাচার করেছে ? কাশ্মীরের ইতিহাস জানা আছে তোর ? তুই কি সেসব সাপোর্ট করিস ?

    আউরঙ্গজেবের প্রতি আমার কোনো আত্মীয়তার অনুভব নেই , বরং উল্টোটা আছে  জানিয়ে আমি জিজ্ঞাসা করলাম , "গতকালের মব লিঞ্চিং কী আউরঙ্গজীবের সেই অত্যাচারের প্রতিবাদেই হল ?"

    দাদা জানালেন , পৃথিবীতে সবই কানেক্টেড ...সব ইতিহাস ভূগোলই জানা দরকার I কোন রকম মব লিঞ্চিং বা যারা তাতে উস্কানি দেয় তাদের নিন্দা করার আগে । নইলে নিরপেক্ষতা বজায় থাকে না ৷ 

    দীর্ঘক্ষণ তর্ক বিতর্ক হল আমাদের | ফাইনালী যেটা হল ;  আমি আউরঙ্গজেবের অত্যাচারের প্রতিবাদে কোথাও মৌন মিছিল বের করার সুযোগ পেলাম না , এবং আমার দাদাও মব লিঞ্চিং-এ যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উস্কানি দিচ্ছেন , তাঁদের নিন্দায়  একটা শব্দও ব্যয় করলেন না ৷ 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন