এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ইউক্রেন, বাংলাদেশ, এবং মিডিয়া -- বর্বরতার সেকাল একাল

    Partha Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২২ মার্চ ২০২২ | ১৪২৮৮ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ঊনিশশো একাত্তরের মার্চ মাস থেকে ডিসেম্বর -- বাংলাদেশের রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে -- আজ এই দুহাজার বাইশ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পৃথিবীতে কতগুলো যুদ্ধ হয়েছে, এবং তার পরিণতি হিসেবে কত কোটি নিরীহ মানুষকে নিজের দেশ ছেড়ে চিরকালের মতো অন্য দেশে গিয়ে উদ্বাস্তুর জীবন কাটাতে হয়েছে? কেউ কি তার হিসেব রেখেছে কোনো?
     
    আজকে নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন, বিবিসি এবং প্রায় সমস্ত মার্কিন ও পশ্চিমি মিডিয়া রাশিয়ার আক্রমণে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে যাওয়া শরণার্থীদের জন্যে কেঁদে আকুল। কেবলমাত্র পোল্যাণ্ডেই দশ থেকে পনেরো লক্ষ ইউক্রেনিয়ান পুরুষ, নারী ও শিশু আশ্রয় নিয়েছে। এর পর আছে পশ্চিম ইউরোপের আরো দেশ -- যেমন জার্মানি, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, স্পেন, ইতালি। ইউক্রেনের চারপাশে আরো যেসব দেশ আছে, যেমন বেলারুশ, হাঙ্গেরি, চেক রিপাবলিক, মলডোভা, জর্জিয়া, রোমানিয়া ইত্যাদি। 

    ইউক্রেনে রাশিয়ার বর্বর আক্রমণ এই প্রতিটি দেশকেই সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে বাধ্য। পরিবেশ ও জলবায়ুর ওপরে যে নিদারুণ প্রভাব পড়বে, এবং কত কোটি গাছ কাটা পড়বে, পার্ক ও তৃণভূমি জ্বলে যাবে, কত লক্ষ কোটি গ্যালন জল চিরকালের মতো বিলীন হবে, তার হিসেব কে করে? এবং যারা বেঁচে থাকবে, বিশেষ করে শিশুরা, তাদের মনের ওপর এই যুদ্ধ ও বোমাবর্ষণ চিরকালের মতো কেমনভাবে ছাপ ফেলে যাবে, তার হিসেব কে করে?
     
    বাংলাদেশ যুদ্ধের সময়ে আমরা দেখেছি, কত লক্ষ নিরীহ পরিবারকে এই ট্রমার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। কত অসংখ্য নারীর মর্যাদা লুন্ঠিত হয়েছিল। কত মানুষ বিকলাঙ্গ, পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলো। অথচ, বাংলাদেশের ওপর পাকিস্তানী হানাদারদের বর্বরতার খবর আমার পরিচিত অনেক সাধারণ পাকিস্তানীই জানেনা। আমি যখন তাদের এসব কথা বলি, তারা আশ্চর্য হয়ে যায়। তারা তাদের দেশে থাকার সময়ে কখনো এসব কথা শোনেনি। শুনলেও তার যে বীভৎসতা, বিভীষিকা, তার কোনো সঠিক খবর তাদের দেশের মিডিয়া তাদের দেয়নি। এও হলো আমার পূর্বকথিত "জার্নালিজম অফ এক্সক্লুশন" বা কৌশলে বর্জন করার সাংবাদিকতা। আজ আমরা নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন, বিবিসি এবং পশ্চিমি মিডিয়াতে তার এক আধুনিক সংস্করণ দেখতে পাচ্ছি।
     
    এই আধুনিক, নবতম মগজধোলাইতে দেখা যাচ্ছে, রাশিয়া ও পুতিন কেমনভাবে ইউক্রেনের ওপর বর্বর আক্রমণ চালাচ্ছে, কত নিরীহ মানুষের প্রাণ যাচ্ছে, মারিপল, ম্যারিটোপোল, খারসন, ইত্যাদি শহরে হাসপাতাল, আশ্রয়কেন্দ্র এসব রাশিয়ার বোমার আঘাতে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে। তার ছবি আমরা দিবারাত্র পশ্চিমি মিডিয়াতে এবং তাদের বশংবদ ভারতীয় ও বাংলাদেশী মিডিয়াতে দেখছি। এবং শিহরিত হচ্ছি। হওয়ারই কথা।
     
    রাশিয়ার এ আগ্রাসন ও বর্বরতাকে চরম ধিক্কার জানাই। 
     
    কিন্তু এখানে একটা বিরাট প্রব্লেমও আছে। আজ পৃথিবীতে যেমন সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনো খবর দেখলে তেমন কেউ তার সম্পর্কে খোঁজখবর করেনা বা রিসার্চ করেনা, এবং সেই উড়ো খবরকেই ধ্রুবসত্য বলে মনে করে এবং নিজের বন্ধু পরিজনের সঙ্গে চোখ বন্ধ করে শেয়ার করে ফেলে, ঠিক তেমনি নিউ ইয়র্ক টাইমস বা সিএনএনের খবরকে কেউ যাচাই না করেই নিজেদের মিডিয়াতে প্রকাশ করে দেয়। এবং কে কত বেশি আগে প্রকাশ করতে পারলো, তার প্রতিযোগিতা চলে। 

    অথচ, নিউ ইয়র্ক টাইমস জাতীয় মিডিয়া একপেশে রাশিয়াবিরোধী খবর প্রচার করে চলেছে, যা ওয়ার প্রোপাগাণ্ডা -- যুদ্ধ সম্পর্কে একটা জিগির সৃষ্টি করা।
     
    সেই একপেশে সাংবাদিকতায় যেমন যুক্তিতর্ক, বিশ্লেষণ, কারণ অনুসন্ধান সমস্ত বিলুপ্ত, ঠিক তেমনই ইতিহাসের কোনো আলোচনাও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই তথাকথিত "মুক্ত ও স্বাধীনতার দেশ" আমেরিকায় আজ যদি কোনো মূলস্রোত মিডিয়া সেসব কারণ বা ইতিহাসের কথা তোলে, সঙ্গে সঙ্গেই সে মিডিয়া জনপ্রিয়তা হারাবে, এবং যেসব বড় বড় কর্পোরেশন -- গাড়ি থেকে ওষুধ থেকে ম্যাকডোনাল্ড থেকে পিৎজা হাট থেকে ডিজনি ওয়ার্ল্ড -- তাদের বিজ্ঞাপন দিয়ে চলেছে, তারা সে বিজ্ঞাপন গুটিয়ে নেবে, এবং সে মিডিয়া মুখ থুবড়ে পড়বে। সে ঝুঁকি নিয়ে সৎ, নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার সাহস কোনো মূলস্রোত মিডিয়ার নেই।
     
    অথচ সৎ, নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা করার এই মুহূর্তে খুব বেশি দরকার ছিল। আগের তিন সপ্তাহে আমি বাংলাদেশ প্রতিদিনের পাতায় সেসব বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছি। আজ করছি যুদ্ধ এবং শরণার্থী সমস্যা নিয়ে আলোচনা। ইমিগ্রেন্ট এবং ইমিগ্রেশন নিয়ে মার্কিন মিডিয়ার একপেশে আলোচনা দেখলে স্তম্ভিত হতে হয়। ইরাক, আফগানিস্তানের যুদ্ধের সময়ে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন সে দুই দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ মেরেছিলো, এবং বলতে গেলে বিনা কারণেই বোমার আঘাতে দুটো দেশকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলো, তখন মার্কিনি ও পশ্চিমি মিডিয়ার এই কুম্ভীরাশ্রু কোথায় ছিল? 

    প্রতিটি ছবি, প্রতিটি খবর দেখলে আজ সেই হিপোক্রিসি, দ্বিচারিতার কথাই খুব বেশি করে মনে আসে। কিন্তু সেসব কথা বলা জনপ্রিয় নয়। 

    ইতিহাসের আলোচনা জনপ্রিয় নয়। আপনার চাকরি চলে যেতে পারে, আপনার ফোন হ্যাক করা হতে পারে, আপনার পরিবারের ওপর নজরদারি করা হতেই পারে। এমনিতেই আমেরিকায় গুগল, ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব বিনা পয়সায় ব্যবহারের পরিবর্তে আপনার ব্যক্তিগত সমস্ত তথ্য বা পছন্দের খবর মার্কিনি কর্পোরেশনগুলো জানে। আপনার ফোনে বা ইমেলে যে কোনো সময়ে যে কোনো কর্পোরেশন আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। আপনার বাড়িতে যদি অ্যালেক্সা-জাতীয় অনলাইন রোবট থাকে, তাহলে তার মাধ্যমে আপনার বলা সমস্ত কথা কর্পোরেশনগুলির হাতে সরাসরি চলে যেতে পারে। 

    এই তথাকথিত "ল্যাণ্ড অফ প্রাইভেসি" আমেরিকায় কোনো ব্যক্তিগত গোপনীয়তা আপনার অবশিষ্ট নেই।
     
    একাত্তরের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়েই কিন্তু ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, চিলি এসব দেশে বিশাল বিশাল যুদ্ধ চলছিল, এবং প্রতিটি যুদ্ধের পিছনেই ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হাত। সেই একই সময়ে দক্ষিণ আমেরিকায় গুয়াতেমালা, সালভাডোর, হণ্ডুরাস এসব দেশে মার্কিন মদতে সেখানকার অত্যাচারী রাষ্ট্রনায়করা বর্বর আক্রমণে বিরোধী শক্তিকে শেষ করে দেওয়ার খেলায় নেমেছিল, এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ জমি, ঘরবাড়ি, স্বজন পরিজন হারিয়ে স্ত্রীপুত্রকন্যার হাত ধরে নিজের প্রিয় দেশ ও পরিচিত পরিবেশ ছেড়ে পাড়ি দিয়েছিলো অন্য দেশের আশ্রয়ে।
     
    ফিলিপিন্স থেকে এ্যাঙ্গোলা, বাংলাদেশ থেকে শ্রীলঙ্কা, সুদান থেকে কঙ্গো, কসোভো থেকে ইউক্রেন -- সমস্ত যুদ্ধের পিছনেই ওই যে কথা আগেই বললাম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং তাদের ট্রিলিয়ন ডলার, ট্রিলিয়ন পাউনড অস্ত্র ও যুদ্ধ কর্পোরেশনের মদত রয়েছে। ঠিক যেমন পট্যাটো চিপসকে জনপ্রিয় না করলে খামারের আলু বিক্রি হবেনা এবং পচে যাবে, ঠিক একই ভাবে যুদ্ধ না লাগালে এবং যুদ্ধ চালিয়ে না গেলে এই ট্রিলিয়ন ডলারের মজুত করা অস্ত্রভাণ্ডার পড়ে থাকবে, এবং শেয়ার বাজারে তাদের লাভ দ্রুত পড়ে যাবে। 
     
    অস্ত্র ও যুদ্ধ বিক্রি না হলে লাভ নেই, এবং লাভ না থাকলে শেয়ার মার্কেট নেই। স্টকহোল্ডাররা ক্ষেপে উঠবে। 

    যুদ্ধ কর্পোরেশনের সঙ্গে কেবলমাত্র অস্ত্র প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো যুক্ত নয়। যুক্ত আছে ওষুধপত্র, কম্পিউটার ও সফটওয়্যার, হাজার ইলেক্ট্রনিক্স ও অনলাইন বাণিজ্য, সাবান থেকে খাদ্যসামগ্রী। গাড়ি থেকে গ্রেনেড। বস্তুতঃ, যুদ্ধ না লাগালে, এবং যুদ্ধ চালিয়ে না গেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সম্পূর্ণভাবেই ধ্বংস হয়ে যাবে। এই কারণে, আপনারা একবার গুগল সার্চ করে দেখে নিতে পারেন, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত আমেরিকা পৃথিবীর কোথাও না কোথাও কোনো না কোনো ভাবে যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত ছিল। আছে।
     
    আজকে পৃথিবীতে এই মুহূর্তেই সৌদি আরব ইয়েমেনের ওপর বর্বর আক্রমণ চালাচ্ছে। এবং মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করছে। কিন্তু নিউ ইয়র্ক টাইমস বা সিএনএন বা বিবিসিতে তার কোনো খবর আপনি পাবেন না আদৌ।
     
    কাশ্মীরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সর্বক্ষণ যুদ্ধ চলেছে। আফ্রিকার অনেকগুলো দেশের মধ্যে নিরন্তর যুদ্ধ চলেছে। ইজরায়েলের কথা বলে আর মার্কিনি মিডিয়ার লজ্জা বাড়ালাম না। অবশ্য, জার্নালিজম অফ এক্সক্লুশনে লজ্জা বস্তুটাই তাদের আর নেই।
     
    সব জায়গাতেই -- বার্মা থেকে বাংলাদেশ থেকে বলিভিয়া থেকে বার্কিনা ফাসো -- যুদ্ধের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তারা ওই মেক্সিকো, গুয়াতেমালার সর্বস্বান্ত মানুষের মতোই দেশ হারিয়ে, স্বজন পরিজন হারিয়ে, জমি হারিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে অন্য দেশের আশ্রয়ে। এই মুহূর্তে যেমন ইউক্রেন থেকে পোল্যাণ্ডে পাড়ি জমাচ্ছে ওই দশ থেকে পনেরো লক্ষ মানুষ। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়ে যেমন ইউরোপ থেকে আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছিল কোটি কোটি মানুষ।
     
    আমেরিকা তাদের আশ্রয় দিয়েছিলো। যেমন ইউরোপের নতুন যুদ্ধগুলোর শরণার্থীরা অনেকেই আশ্রয় পেয়েছে জার্মানিতে, ফ্রান্সে।
     
    কিন্তু আমেরিকায় আজ উদ্বাস্তুবিরোধী, শরণার্থীবিরোধী রাজনৈতিক ও সামাজিক হাওয়া অতি প্রবল আজ যদি কুম্ভীরাশ্রু নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন বলতো, ইউক্রেন থেকে যে কেউ আমেরিকায় আশ্রয় পেতে চাইলে আমেরিকা তাদের বিনাশর্তে আশ্রয় দেবে, এ্যাসাইলাম দেবে। বলবে কি?
     
    বিবিসি কি রাণীর ওপরে চাপ সৃষ্টি করবে, যাতে ইউক্রেনের শরণার্থীরা সবাই ব্রিটেনে নিরাপদ আশ্রয় পায়?
     
    যেমন একাত্তরে বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি নিঃস্ব, ছিন্নমূল নিরীহ মানুষ ভারতে আশ্রয় পেয়েছিলো?
     
    ###

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২২ মার্চ ২০২২ | ১৪২৮৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::f8:***:*** | ২৭ মার্চ ২০২২ ০৮:৫৯505632
  • "যুদ্ধের সময় কোন দেশের সরকার ওপেনলি মিডিয়া কে সরকারের সমালোচনা করার অধিকার দেয় ?"

    যাক, তাহলে আপনি স্বীকার করছেন যে এই মুহুর্তে অন্তত যুদ্ধ সংক্রান্ত ব্যাপারে সিএনেন, বিবিসি আর নো ডিফারেন্ট ফ্রম আরটি। সত্যি কথা বলতে কিয়েভ পোস্টকেও আমার অনেক বেশি অথেন্টিক মনে হয়েছে ওয়েস্টার্ণ মিডিয়ার তুলনায়।
  • Amit | 193.116.***.*** | ২৭ মার্চ ২০২২ ০৯:০৫505633
  • সেটা তো যার যার ওপিনিয়ন। আলাদা করে কিছু বলার নেই। অন্তত ওয়েস্টার্ন মিডিয়াতে সরকারের ওপেন সমালোচনাও দেখা যায় নরমাল সময়ে। রাশিয়া তে সমালোচনার ফল জানেন নিশ্চয় ?
  • Joshita Ghoshal | ২৭ মার্চ ২০২২ ১২:৫২505641
  • অমিত,
    আমি যে দুটো ভিডিও লাস্ট পোস্ট করেছিলাম সেগুলো ইংরিজিতে এবং তেল সংক্রান্ত।
    সেগুলো দেখবার পরে আপনার মতামত জানতে চাই। যেহেতু আপনি তেল ইন্ডাস্ট্রির লোক।
  • Amit | 193.116.***.*** | ২৭ মার্চ ২০২২ ১৪:২৯505643
  •  তেল নিয়ে আমার মতামতের ততটাই গুরুত্ব যতটা এয়ারপোর্ট এর গেটে একজন সিকিউরিটি পার্সোনাল এর গ্লোবাল এয়ারলাইন্স বিসনেস নিয়ে মতামতের। তার থেকে বেশি কিচ্ছু না। বেসিক্যালি জিরো। 
     
    তবে আপনার ভিডিওতে দেখলাম জাস্ট একজন ইউটিউবের নিজের মতামত দিচ্ছেন। সেটারই বা গুরুত্ব কতটা ? আজকে তেল তো কোনো স্ট্যান্ড অ্যালোন ইন্ডাস্ট্রি নয়। সবকটা ইন্ডাস্ট্রি সবার সাথে খুব ক্লোজলি ইন্টারকানেক্টেড। এসবই অন্ধের হাতি দেখার মতো ব্যাপার। সবাই খুব ছোট একটা কি দুটো কম্পোনেন্ট জানি , বাকিটা কিছুটা স্পেকুলেশন , অনেকটাই ব্ল্যাকবক্স। আমি নিজে পার্সোনালি এই সব ফ্রিলান্স ইউটিউবার দের বেশী গুরুত্ব দিই না কারণ যেকটা দেখেছি তাতে অন্ধের হাতি দেখার ইম্প্রেশন টাই রেইনফোর্স হয়েছে। 
     
    তবে যেটুকু দেখেছি তাতে এটা বলতে পারি আজকের দিনে আম্রিগা তেল মার্কেট একা কন্ট্রোল করতে পারেনা। এক সময় করতো কিন্তু সেদিন আর নেই।  সৌদি -রাশিয়া - ওপেক কম্বাইন্ড নেক্সাস আজকে আম্রিগার থেকে বেশি পাওয়ারফুল। আর গ্যাস এর মেজর কাস্টমার হলো চীন কোরিয়া জাপান। আম্রিগা নিজেই নিজের এলএনজি বেচার জন্যে এদের সাথে লং টার্ম এগ্রিমেন্ট এ যাওয়ার চেষ্টা করছে। 
     
    যাকগে - আমার দৌড় ও হাতির একটা বড়োজোর ল্যাজ দেখার বেশি নয় আগেই বলেছি। ধরা পড়ার আগে কেটে যাওয়া ই  ভালো। 
  • Joshita Ghoshal | ২৭ মার্চ ২০২২ ১৪:৪৬505645
  • এটা টুমাচ বিনয় হয়ে গেল অমিত
  • Joshita Ghoshal | ২৭ মার্চ ২০২২ ১৪:৪৭505646
  • স্মাইলি এলোনা কেন?
    <
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::11c:***:*** | ২৭ মার্চ ২০২২ ২১:৫৫505658
  • "I wouldn't use this type of wording because I continue to hold discussions with President Putin," Macron said on France 3 TV channel.

    "We want to stop the war that Russia has launched in Ukraine without escalation -- that's the objective," Macron said on France 3 TV, noting the objective was to obtain a cease fire and the withdrawal of troops through diplomatic means.
    "If this is what we want to do, we should not escalate things -- neither with words nor actions," he said.
  • Joshita Ghoshal | ২৭ মার্চ ২০২২ ২৩:০২505668
  • ভাল কথা বলছে তো ম্যাক্রোঁ
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::ee:***:*** | ২৭ মার্চ ২০২২ ২৩:২১505671
  • হ্যাঁ এইটাই তো বলছিলাম যে হুন্কারবাজী না করে যুদ্ধটা কিকরে থামানো যায় সেটা নিয়ে ভাবলে কাজে দিতো। ওদিকে
    British Foreign Secretary Liz Truss says UK sanctions against Russia could be lifted if Moscow commits to a full ceasefire and withdraws its troops.
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::13c:***:*** | ২৭ মার্চ ২০২২ ২৩:২৯505672
  • Biden's job approval falls to lowest level of his presidency amid war and inflation fears
    Seven in 10 Americans expressed low confidence in the president's ability to deal with Russia's invasion of Ukraine as Biden's approval fell to 40 percent in new NBC News poll.
  • Amit | 121.2.***.*** | ২৮ মার্চ ২০২২ ০৫:৪৯505683
  • বিডেন পুতিনকে সরানোর কথাটা কতটা সিরিয়াসলি বলেছে আর কতটা প্লেয়িং টু দা গ্যালারি সেটা ডিবেটেবল। ফ্রান্সের মাক্রো নিশ্চই অনেস্টলী চেষ্টা করছে যাতে সিচুয়েশন টা এস্কেলেট না করে। কারণ ছড়িয়ে গেলে গোটা ইউরোপ ই ফায়ারিং লাইন এ। বিডেন অনেক দূরে সেফ ডিসটেন্স এ। 
     
    জার্মানির স্কোলজ নিশ্চয় আরো একটু চেষ্টা করতে পারতো কিন্তু রাশিয়ান গ্যাসের ওপর জার্মানির ডিপেন্ডেন্সি এতটাই বেশি এই মুহূর্তে যে ও  দুপক্ষের কাছেই সেফ খেলার চেষ্টা করছে। আল্টিমেটলি সবাই নিজের নিজের স্বার্থই আগে দেখে বা দেখবে। মিডটার্ম এ বিডেন ও ​​​​​​​যদি ​​​​​​​বুটস ​​​​​​​ও ​​​​​​​গ্রাউন্ড ​​​​​​​এর ​​​​​​​এপ্রুভাল না ​​​​​​​পায় ​​​​​​​তখন ​​​​​​​হয়তো টোন ​​​​​​​ডাউন ​​​​​​​করতে ​​​​​​​বাধ্য ​​​​​​​হবে। 
     
    ম্যাচুর্ড ডেমোক্রেসি ​​​​​​​গুলোতে ​​​​​​​অন্তত লিডার ​​​​​​​কে ​​​​​​​ইলেক্টরেট ​​​​​​​এর ​​​​​​​এপ্রুভাল ​​​​​​​নিতে ​​​​​​​হয় - ঠিক ​​​​​​​হোক ​​​​​​​বা ​​​​​​​ভুল। ​​​​​​​একটা ​​​​​​​​​​​​​​চেক্স ​​​​​​​আর ​​​​​​​ব্যালান্স ​​​​​​​অন্তত কাজ ​​​​​​​করে। ​​​​​​​সেটা ​​​​​​​সুপারফিসিয়ালি ​​​​​​​হলেও। ​​​​​​​কিছু ​​​​​​​চেক না ​​​​​​​থাকার ​​​​​​​থেকে ​​​​​​​সুপারফিসিয়াল কিছু একটা ​​​​​​​থাকাও ​​​​​​​বেটার ​​​​​​​আমার ​​​​​​​কাছে। 
     
    আর ডিক্টেটর দের বাবা বাছা কৰে বুঝিয়ে শেষ অবধি লাভ হয়নি , হবেও না। এর আগেও দেখা গেছে। হিটলার কেও চেম্বারলিন একই ভুল করেছিল। পুতিন যদি ইউক্রেন কে দুটুকরো করতে পারে , এখানে থামবে না। কয়েক বছর পরে আরো এগোবেই। ওর টার্গেটই হলো রাশিয়ান এম্পায়ার এর গ্লোরি ডে-স ফিরিয়ে আনার। এতটা পাওয়ারফুল দেশ যদি একটা ডিক্টেটর নিজের ইচ্ছেমতো চালায় তাহলে সেটা গ্লোবাল থ্রেট। 
     
    আর এর পরে কি ন্যাটো এগোতে চাইলে ওদের দোষ দেওয়া যাবে ?  ইউক্রেন এ যা হলো দেখার পরে মোলদোভা ফিনল্যাণ্ড এরা সবাই নিজের থেকেই  ন্যাটোর প্রটেকশন চাইবে। তখন কি সেটা আবার ন্যাটোর দোষ হবে - ? 
  • Amit | 121.2.***.*** | ২৮ মার্চ ২০২২ ০৫:৫৭505684
  • সিরিয়াসলি যদি কেউ পুতিনকে ডিপ্লমেটিক্যালি চাপ দিয়ে থামাতে পারতো সেটা চীন। কিন্তু বেটারা নিজেই এখন হয়তো তাইওয়ান কে  গেলার প্ল্যান করছে বসে বসে। 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::103:***:*** | ২৮ মার্চ ২০২২ ০৭:৩২505685
  • চীন তো তাইওয়ানকে অলরেডী অল্প অল্প করে গরম করছে। কবে কিভাবে ঊনুনে ফেলে সেটাই দেখার। তবে চীন অনেক সুন্দর করে মশলা দিয়ে ভেজে সুস্বাদ করে তবে তাইওয়ানকে খাবে, রাশিয়ার মতন আধা খেয়ে কিছুটা নিজের গায়েই ফেলে পেট ভরে গেছে বলবে না।

    Three Chinese military aircraft flew into the southwestern part of Taiwan’s air defense identification zone (ADIZ) yesterday, the Ministry of National Defense said.

    * এটা কিন্তু সিমিলি (নাকি মেটাফোর?)। কেউ আবার লিটারেলি যেন না নেয়।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::179:***:*** | ২৮ মার্চ ২০২২ ০৭:৪০505686
  • Calls for Australia to INVADE the Solomon Islands before it strikes a deal with China: 'This is our Cuban missile crisis'

    খুব টাইমলি সলোমন আইল্যান্ডের সঙ্গে চীনের ডীলের কথা লীক করা হয়েছে। এখন চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার তেমন কিছুই করার নেই। তাহলে রাশিয়ার সাথে আর কি পার্থক্য থাকবে। এই ডীল ফাইনাল হলে অস্ট্রেলিয়ার পুরো ঘাড়ে উঠবে চীন। কান্ট বি আ নাইস ফিলিং ফর অসিজ। সিকিউরিটি থ্রেট বাড়লো অস্ট্রেলিয়ার। কোয়াড আর ঔকাসের একটা মেম্বার আন্ডার চাইনিজ ওয়াচে চলে যাবে।
  • Amit | 121.2.***.*** | ২৮ মার্চ ২০২২ ০৮:১৬505689
  • সেটাই। কিছু করার নেই। চীনের পাল্লা অনেক ভারী দুর্ভাগ্যবশত। নাহলে অপসন খোলা থাকলে কে আর সুস্থমস্তিষ্কে নিজে সাধ করে চীনের দখলে আসতে চায় ?
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::103:***:*** | ২৮ মার্চ ২০২২ ০৮:৩৫505690
  • উপায় একটা ছিলো। অনভিপ্রেত কিন্তু প্র‌্যাগমাটিক। মিলিটারি অপশান। ইমিডিয়েটলি সলোমন আইল্যান্ড দখল করা। ছোট আনইম্পরট্যান্ট দেশ - কেউ পাত্তাও দিতো না। কিন্তু এখন তো সেটা সম্ভবও না। দুবছর পরেও হয়তো সম্ভব হত। কিন্তু এখন নো ওয়ে। চায়্নার টাইমিংটা এক্দম প্রিসাইস।
  • Amit | 121.2.***.*** | ২৮ মার্চ ২০২২ ০৯:০৮505692
  • ঐখানেই তো পুতিন বা শি এর এডভ্যান্টেজ। ডেমোক্রেটিক সিস্টেম এ অনেক জাস্টিফাই করার সমস্যা থাকে। ডিক্টেটরশীপ এ নাথিং। 
    আর প্রধান সেবক ​​​​​​​এর মতো কেউ হলে সেই ​​​​​​​ডেমোক্রেটিক ​​​​​​​সিস্টেম ​​​​​​​কেই ​​​​​​​দুমড়ে ​​​​​​​মুচড়ে ​​​​​​​দিব্যি নিজের ​​​​​​​ইচ্ছেমতো ​​​​​​​চালাতে ​​​​​​​পারেন। 
     
  • সম্বিৎ | ২৮ মার্চ ২০২২ ০৯:৪৯505693
  • তাইওয়ানের সঙ্গে ইউএসএ-র স্ট্র‍্যাটেজিক অ্যালায়েন্স আছে না? তাহলে কেসটা অন্যরকম হতে পারে। ইউক্রেনে না ইউএস না নেটো - কেউই কোন ট্রিটি দিয়ে বাধ্য ছিলনা ইনভলভড হতে। 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::16a:***:*** | ২৮ মার্চ ২০২২ ১০:০৪505694
  • আমার মনে হয় টেকনিকালি থাকতে পারেনা। কারণ অফিশিয়ালি ইউএস তাইওয়ানকে আলাদা দেশ বলে গণ্য করেনা, আবার চীনের পার্ট হিসাবেও গণ্য করেনা - স্ট্র্যাটেজিক অ্যাম্বিগুইটি। যেকারণে অফিশিয়ালি কোনও ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশানও নেই। ফলে মনে হয়্না অ্যালায়েন্স আছে। হয়তো পার্টনারশিপ আছে আন্ডার দ্যাট আমব্রেলা অব অ্যাম্বিগুইটি। তবে এটা আমি ঠিক সিওর নই।
  • Joshita Ghoshal | ২৮ মার্চ ২০২২ ১৬:২২505707
  • একজ্যাক্টলি এটাই বোঝাতে চাচ্ছি এ কয়দিন ধরে, যে এটাই হতে চলেছে।
    সেদিন যে দুটো ভিডিও দিলাম, ইংরিজিতে, সেখানেও এই নিয়েই কথা হচ্ছিল।
    গতকালও একটা দীর্ঘ সেশন দেখলাম প্রায় দুঘন্টা। ভদ্রলোক খুব ভালো বোঝাতে পারেন। এফ ওয়ার্ড যদিও নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের মতো ব্যবহার করেন।
    গতকালের লিংকটাও থাকুক এখানে।

  • S | 2405:8100:8000:5ca1::115:***:*** | ২৮ মার্চ ২০২২ ১৬:৫২505708
  • সেদি, খুব সাবধান। আমেরিকার এইসব অল্ট মিডিয়াও কিন্তু সব এক একটা মিথ্যাকথার জাহাজ। তাই প্রত্যেকটা ইম্পর্ট্যান্ট ফ্যাক্ট চেক করে নেবেন নিজে থেকে - আমি চেষ্টা করি যতটা পারা যায়। বিশেষ করে সেইগুলো যেগুলো দিয়ে যুক্তি সজাচ্ছে। মেইনস্ট্রীম মিডিয়ারা চট করে ব্লেটান্ট মিথ্যা কথা বলেনা - রেপুটেশান হারানোর ভয় থাকে। কিন্তু বিশেষ করে যুদ্ধের ব্যাপারে খুব প্রোপাগান্ডা ছড়ায় - আগেও দেখেছি যে এরা খুবই হকিশ। এমেসেম খুব এফেক্টিভলি ম্যাসেজ ম্যানিপুলেশান করে, নিউজের প্রায়োরিটি চেন্জ করে, টকিং পয়েন্ট সেট আর লিমিট করে দেয় - থট কন্ট্রোল আরকি। ফলে লোকে কোন কোন টপিকে ঠিক কতটুকু ভাববে, সেইটা অনেকটা ঠিক করে দেয়ার চেষ্টা করে। রিসেন্ট ইউক্রেন কনফ্লিক্টে বেশ একটু দৃষ্টিকটু হয়েছে। অথচ এমেসেমে বা অল্ট মিডিয়াও (যেটুকু সামান্যই দেখেছি) ন্যাটো এক্সপ্যানশান, স্যান্কশানের হিপোক্রিসি, হেজেমনি, ইরাক যুদ্ধ নিয়ে খুব কম বাইটই খরচ করেছে।
  • Joshita Ghoshal | ২৮ মার্চ ২০২২ ১৬:৫৮505709
  • আমি জানি S.
    আমি দীর্ঘসময় ধরে পোলিটিক্যাল ইকোনমির ছাত্র ছিলাম, হয়তো এইখানে কেও জানে না।
    এখানে কেবল ভিক্টোরিয়া নিউল্যান্ডের কথা হচ্ছে। ফ্যাক্টস মোটামুটি চেকড।
  • touhid hossain | ২৮ মার্চ ২০২২ ২০:৪০505717
  • ইউরোপীয়দের কষ্টটা কষ্ট, কারণ নীল রক্ত ওদের, আর আফ্রিকা-এশিয়ার মানুষ আবার মানুষ না কি? 
    অনবদ্য লেখা। 
  • Partha Banerjee | ২৮ মার্চ ২০২২ ২১:০০505720
  • এই লেখার সূত্রে আপনাদের অনেকের সঙ্গে ই-আলাপ হয়ে গেলো। তার জন্যে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আজ লিখেছি, *আমেরিকার মানুষ আমেরিকা সম্পর্কে কী ভাবে?* -- আমার এই লেখাটা অবশ্যই পড়বেন। সম্ভব হলে ওখানেও দু চারটে কথা লিখবেন। https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=24058
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::116:***:*** | ২৮ মার্চ ২০২২ ২১:০৫505721
  • পুরো সময়টা ধরে শুনে গেলাম যে সারা পৃথিবীতে নাকি পুতিন একঘরে, রাশিয়া বিচ্ছিন্ন। পরে বুঝলাম ওদের কাছে সারা পৃথিবী মানে কোন কোন দেশগুলো। গরীব এশিয়া-আফ্রিকা-সাউথ আমেরিকার দেশগুলোর কোনও গুরুত্বই নেই। সেসব পশ্চিমের লোকেরা বেশ প্রকাশ্যেই লিখছে কমেন্ট সেকশানে। ইন্ডিয়া রাশিয়ার কাছ থেকে সস্তায় তেল কিনছে বলে ভিসা বন্ধ করে দাও, ছাত্রদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দাও, ফরেন এইড বন্ধ করে দাও, আমেরিকার কোম্পানিদের বলো চলে আসতে, অন্য দেশের সঙ্গে ঝামেলায় পড়লে যেন তখন আমাদের কাছে সাহায্যের জন্য না আসে - এইসব কমেন্ট পড়ছে। এদের অনেকেই কিন্তু ওদের দেশের প্রগতিশীল।
  • Joshita Ghoshal | ২৮ মার্চ ২০২২ ২২:৫০505725
  • গরীব দেশেদের গুরুত্ব নেইই তো। কঠিন সত্য। কিন্তু সত্য।
    টাকা আছে বলেই তো বড়োলোক দেশেরা টাকার গরম দেখায়।
    টাকার গরম যেমন সত্য, তেমনি আরো বেশ কিছু অন্য কারন ও আছে, যেগুলো দেশে পলিসি নির্মাতাদের হাঁড়ির খবর। সেগুলো সরলরৈখিক নয়।
  • S | 2a03:e600:100::***:*** | ২৮ মার্চ ২০২২ ২৩:৪২505727
  • সোকল্ড ইন্টারন্যাশনাল-গ্লোবাল ফাইনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশানগুলো যে আসলে ওয়েস্টের ফরেন পলিসি টুল আর হেজেমনি এনেব্লার, সেটা মোটামুটি প্রমাণিত। সেসব দেখে এখন অন্য দেশগুলো নিজেদের মতন ব্যবস্থা করে নিচ্ছে। গুগল অ্যাপল পের পরিবর্তে অন্য সিস্টেম আসবে। অন্য কারেন্সিতে ট্রেড বাড়বে। হয়তো গোল্ড আর বার্টার ট্রেডও বাড়বে। গোয়িং ফওয়ার্ড সুইফ্ট সিস্টেমের মতন ব্যাপারগুলোর উপর ডিপেন্ডেন্স কমাবে গ্লোবাল সাউথ।
  • Joshita Ghoshal | ২৯ মার্চ ২০২২ ০০:৪৪505737
  • অ্যাইযো S একথাটা কত্তোবার লিখেছি না, যে অন্য সিস্টেম রেডি এবং আংশিক চালুও হয়ে গেছে। রাশিয়ায় আমার নিকটজনেরা যারা থাকে তারা তৎক্ষণাৎ জানিয়েছিল। 
    রুবল দুম করে পড়ে গেছল, ফের গা ঝাড়া দিয়ে উঠছে।
  • Joshita Ghoshal | ২৯ মার্চ ২০২২ ০০:৪৫505738
  • গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড এবং গোল্ড ট্রেড নিয়ে কথা বলার জন্য গাদ্দাফি খুন হয়ে গেল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন