এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  স্কুলের খাতা

  • ফেলো কড়ি .....

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    স্কুলের খাতা | ১৫ নভেম্বর ২০২৫ | ২৩১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৩ জন)
  • ফেলো কড়ি…..

    ফেলো কড়ি…। সেকাল একাল আগামীকাল – সব কালেই কড়ির কদর ছিল আছে থাকবে। একালে সবথেকে মহার্ঘ্য ক্রয়যোগ্য প্রোডাক্ট বা কমোডিটি হলো দুটি - এক. স্বাস্থ্য পরিষেবা আর দুই. শিক্ষা পরিষেবা। আপনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা গ্রহণ করতে চাইলে সকলে হে হে করে উঠবে – আরে! সরকারি হাসপাতালে কেউ যায়? ওখানে যাওয়া মানেই হলো ঈশ্বরের কাছে পৌঁছে যাওয়া। নার্সিং হোমে গেলে তবুও….। পকেট খালি করে যখন বাড়ি ফিরে এলেন তখন হয়তো হাড়ে হাড়ে টের পেলেন চিকিৎসা কাকে বলে? ছেলেপিলের শিক্ষার‌ও ঐ একই দশা। ধরুন আপনি বিকাশ ভারতী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আপনার প্রাথমিক শিক্ষার পর্বটি শুরু করেছিলেন। চোখ বুজে সেই অবিস্মরণীয় মুহূর্তটির কথা চিন্তা করুন – ফিটফাট বাবুটি হয়ে বাবার সঙ্গে আপনি গিয়ে হাজির হয়েছেন স্কুলের গেটে। সাদামাটা বিল্ডিং, সামনে একটুকরো জমি। সেখানে রকমারি গাছের মেলা। বাবার হাত ধরে ছোট্ট আপনি এদিক ওদিক তাকাচ্ছেন। আপনার মতো আরও কয়েকজন সেখানে দাঁড়িয়ে তাদের বাবাদের হাত ধরে। কয়েকজনের সঙ্গে তাদের মায়েরাও হাজির। তা দেখে আপনি হয়তো নিজের মায়ের ওপর কিঞ্চিত রাগ করছেন এই ভেবে যে কেনো তিনি এলেন না ? এই সব ভাবতে না ভাবতেই আপনার সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন এক তরুণী। ঝকঝকে চেহারা।
    – কী নাম তোমার?
    – নাম বলো। উনি তোমার দিদিমণি। তোমার নাম জানতে চাইছেন।
    প্রাথমিক জড়তা কাটিয়ে আপনি হয়তো আধো আধো স্বরে নামটা বলেছেন।ওদিক থেকে মুখে একগাল হাসি ফুটিয়ে আপনার সেই হবু দিদিমণিটি বললেন – বাহ্! খুব সুন্দর নাম।
    আচ্ছা সু….। তোমার বাড়িতে কে কে আছেন? পাকা আমের রঙ জান? সকালবেলায় কা কা করে কে ডেকে তোমার ঘুম ভাঙায়? বাড়িতে কে তোমাকে গল্প শোনায় ? আপনি সব প্রশ্নের উত্তর ঠিকভাবেই দিয়েছেন। দিদিমণি আবার‌ও একগাল হেসে বললেন – সু.. খুব ভালো পড়াশোনা করে। তুমি এখন থেকে আমাদের বন্ধু হলে। হয়ে গেল আপনার এ্যাডমিশন। আপনি, মানে ছোট্ট আপনি এখন থেকে বিকাশ ভারতীয় হলেন।

    সেদিনের সেই মুহুর্তটাকে আমি কিংবা আপনারা অনেকেই অনেকদিন আগেই পেছনে ফেলে এসেছি। আচ্ছা, ঐ দৃশ্যটিকে একালের প্রেক্ষিতে পুনঃনির্মাণ করা হয় তাহলে তা ঠিক কেমন হবে? আসুন দেখে নেওয়া যাক্।
    বাড়িতে কদিন ধরেই বেশ হৈচৈ পড়ে গেছে। সু…বাবুর নাতিকে এবার স্কুলে ভর্তি করা হবে। একেবারে প্রি স্কুল ক্লাসে। আসুন একটু আড়ালে থেকে ওদের কথোপকথনে কান পাতি।
    – না শোন্, বলছিলাম কি আমাদের জিকোর বয়স এখন মাত্র আড়াই। এই বয়সে ওকে স্কুলে পাঠানোটা কি উচিত হবে? আমি, রন্টি কেউই তো এই বয়সে স্কুলে ভর্তি হ‌ইনি। তাহলে..?
    – বাবা, আপনি আপনার সময়ের সঙ্গে এই সময়কে তুলনা করছেন ! আজ থেকে প্রায় ষাট বছর আগের কথা মাথায় রেখে একালে পথ চললে যে পিছিয়ে পড়তে হবে।
    – আমি খোঁজখবর নিয়েছি। এদের প্রিপেরেটারি সেকশনে জিকোকে এখন ভর্তি করা হলে পরবর্তীতে এ্যাডমিশন নিয়ে আর কোনো চিন্তা থাকবে না। হ্যাঁ, খরচটা অনেকটাই বেশি হবে বটে তবে এওতো এক ইনভেস্টমেন্ট ফর ফিউচার। এটা নিয়ে তুমি চিন্তা করোনা। সামনের সপ্তাহে আমি আর সুপর্ণা গিয়ে ইন্টারভিউ দিয়ে আসবো।
    – ইন্টারভিউ? কার? আমাদের জিকোর?
    – না বাবা, আমার আর আপনার ছেলের। আমরা উৎরে গেলে, পরে জিকোর পরীক্ষা।

    এর পরের ঘটনাক্রম দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলে। বিকাশ ভারতী স্কুল থেকে পাশ করা ছাত্র, পরবর্তীতে…. পুর থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ওঠা আপনার পুত্রটি তাঁর পুত্র বৈশম্পায়ন ওরফে জিকোকে শহরের অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত বলে পরিচিত একটি স্কুলের প্রিপেরেটরি সেকশনে ভর্তি করে দেয়।

    বাড়ি থেকে স্কুল বেশ খানিকটা দূরে। তবে অসুবিধা হবে না। সুপর্ণাই আপাতত ড্রাইভ করে জিকোকে নিয়ে যাবে আর নিয়ে আসবে। মা নিজেই গাড়ি ড্রাইভ করতে পারে শুনে নাকি ইন্টারভিউ বোর্ডে থাকা মেম্বাররা বেজায় খুশি। জিকোকে প্রশ্ন করা হয়েছিল – বানানা কী রঙের হয়? জিকো তার উত্তরে বলেছে গ্রীন, সবুজ। সুপর্ণা ছেলের এই উত্তর শুনে মুষড়ে পড়েছে বুঝতে পেরে জিকো বলেছে – আমি তো ঠাম্মিকে শুক্তোর জন্য গ্রীন ব্যানানাই কাটতে দেখি। জিকোর জবাব শুনে তার দাদান আর ঠাম্মি হো হো করে হেসে ওঠে।

    নেহাৎই গল্পের ছলে যে কাহিনি পরিবেশন করলাম তার মধ্যেই কিন্তু ধরে রাখার চেষ্টা করেছি এই সময়ের নবীন প্রজন্মের অভিভাবকদের মানসিকতার পরিবর্তনের বিষয়টি।

    একালের বাচ্চাদের পঠনপাঠনের জন্য কেউই আর সাবেকি সরকারি স্কুলের দরজার হত্যে দিয়ে পড়ছেন না। সকলেই ছুটছেন নতুন স্বপ্নের সন্ধানে। আসুন এই নতুন স্কুলগুলোর অন্দরমহলের কিছু খোঁজখবর নিই।

    এই মুহূর্তে আমাদের দেশের মহানগরীগুলোর প্রাইভেট স্কুলগুলোতে ভর্তির খরচ লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে। এই তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে দেশের রাজধানী শহর দিল্লি। ঠিক তার পেছনেই অনুগত অনুজের মতো রয়েছে দেশের মূলধনের রাজধানী মুম্বাই। তারপরেই আসবে ব্যাঙ্গালুরু, চেন্নাই এবং কোলকাতা। সমীক্ষায় দেখা গেছে যে গোটা দুনিয়ার মধ্যে দিল্লিতে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পঠনপাঠনের খরচ সবথেকে বেশি - সিঙ্গাপুর, দুবাই এবং নিউইয়র্কের স্কুলগুলোর থেকেও বেশি !

    বছর কয়েক আগে আমার দিল্লি প্রবাসী এক ছাত্র এমন একটা আভাস দিয়েছিলো খানিকটা ঠারেঠোরে। সে জানিয়েছিলো কোলকাতায় ফিরে আসার চেষ্টা করছে প্রাণপণে। নেপথ্যে মেয়েকে স্কুলে ভর্তির জন্য বিপুল আর্থিক চাপ। ওঁর স্ত্রী কোলকাতার সিস্টার নিবেদিতা স্কুলের প্রাক্তনী। ফলে তাঁর মধ্যে সেই বোধটা হয়তো এখনও সজীব আছে যে বিপুল খরুচে শিক্ষা ব্যবস্থা মানেই সেরা শিক্ষা তা মোটেই নয়। শেখাটা একদম ভেতরের বিষয়।

    এইসব বড়ো বড়ো নামীদামী স্কুলের ব্যবস্থাপনাই অন্য রকম। নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর অনেক আগেই অভিভাবকদের ফোনে ফরমান জারি হয়ে যায় খরচের হিসাব জানিয়ে। ফোনের মেসেজ ইনবক্সে মেসেজ ঢোকার সংকেত দেখলেই অনেকের আত্মারাম ছটফট করতে থাকে। ফিজের বহর দেখে অনেকেই তা বিশ্বাস করে উঠতে পারেন না। দেশের প্রথম সারির প্রাইভেট স্কুলগুলোতে পড়ার খরচ বছর পিছু কমবেশি ১২ থেকে ২০ লক্ষ টাকা! ইউরোপের সেরা রেসিডেনসিয়াল স্কুলগুলোতে এমনটাই নাকি খরচ। গলা উঁচিয়ে এরপর আমরা সবাই বলতে পারি – আমাদের ছেলে বা মেয়ের স্কুল বিশ্বসেরা। আমাদের দেশের কতোজন মানুষ এমন খরচের চাপ সামলাতে পারেন আমার জানা নেই। দুবাই বা সিঙ্গাপুরের মানুষজনের পক্ষে হয়তো এই খরচ সামলে নেওয়া সম্ভব যেহেতু তাঁদের আয় এদেশের তুলনায় অনেক বেশি, কিন্তু এ দেশে? অথচ সকলেই ‘পেরাইভেট স্কুল’ নামক মায়া হরিণের পেছনে দৌড়চ্ছে বা দৌড়তে বাধ্য হচ্ছে।

    ইদানিং বেশ কিছু প্রাইভেট স্কুলের নামের সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল শব্দটি জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এইসব স্কুল থেকে নাকি আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা দেওয়া হয়। এমন খোলতাই তকমা শরীরে লাগালে তাদের খরচের নাগাল পাওয়া একরকম দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। এখানেও ছেলেমেয়েদের পড়তে পাঠাচ্ছেন অভিভাবকরা এই আশায় যে তাঁদের সন্তানরা একদিন বিশ্বজয়ী হবে। ধন্য আশা কুহকিনী! আমাদের দেশে এমন স্কুলের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। আগামীদিনে হয়তো এভাবেই সারাদেশে ফুলেফেঁপে উঠবে ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সংখ্যা। এইসব সপ এইছাত্রপিছু অভিভাবকদের খরচের নিরিখে আমরাই নিশ্চয়ই হবো বিশ্বসেরা। এইসব স্কুলে পড়ার সুবাদে সমাজে জন্ম নিচ্ছে একধরণের আত্মকেন্দ্রিকতা। বাড়ছে পারস্পরিক অবস্থানের ব্যবধান।

    ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার খরচ জোগাতে গিয়ে এদেশের উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের অভিভাবকরা সাধ্যাতীত ব্যয় করছেন। পারিবারিক আয়কে ছাপিয়ে যাচ্ছে কেবলমাত্র ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা শেখানোর খরচ। এই প্রবণতা ক্রমশই বাড়ছে। সংক্রামক ব্যাধির মতো ছড়িয়ে যাচ্ছে পরবর্তী আয়স্তরের পরিবারগুলোর মধ্যে। সবাই এখন মরীয়া বিদ্যা লেনদেনের যজ্ঞের আগুনের পরশ পেতে।

    চোখ বুজে ভাবতে বসলে রীতিমতো শিউরে উঠতে হয় ! বড়ো বড়ো বিদ্যা ব্যবসায়ীরা লাখো লাখো টাকা অভিভাবকদের পকেট থেকে নিংড়ে নিলেও শিক্ষক শিক্ষিকাদের বেতন দেবার সময় হাতের মুঠো বন্ধ করে রাখে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে দিল্লিতে এমন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সর্বোচ্চ মাসিক বেতন হলো ৪০০০০ – ৬০০০০ টাকা। নিউইয়র্ক অথবা লন্ডনে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের গড় মাসিক বেতন ৫০০০ থেকে ৭০০০ ইউ এস ডলার। তারমানে দাঁড়ালো এই যে এখানকার অভিভাবকরা স্থানীয় শিক্ষক শিক্ষিকাদের পরিষেবা কিনছেন আন্তর্জাতিক দরে! এও যে ভাবের ঘরে চুরি!

    খরচের হিসাব তো ঐ ১২–১৫ বা ২০ লাখেই সীমাবদ্ধ নয়। আস্তিনের তলায় গুটিয়ে রাখা খরচের তালিকায় রয়েছে আরও অনেক খরচের হিসাব। স্কুল ইউনিফর্ম, ব‌ইপত্র, পরিবহন, টেক্ অ্যাপস্, এস্কারশন বাবদ খরচ ইত্যাদি ইত্যাদি। এইসব খরচ বাবদ‌ও নেওয়া হয় ১ থেকে ৩ লক্ষ টাকা। কোথাও আরও কিছু বেশি।

    এদেশে প্রাইভেট স্কুলগুলোতে পঠনপাঠনের খরচ নিয়ন্ত্রণে সরকারের তরফ থেকে কিছু নির্দেশনা দেওয়া থাকলেও স্কুলগুলো তাকে পাশ কাটিয়ে ডেভলপমেন্ট ফিজ (fees) এর নামে অথবা অ্যাকটিভিটি ফিজের নামে যথেচ্ছভাবে বাড়তি অর্থ আদায় করে চলেছেন। অভিভাবকদের অনেকেই এইসব নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামানোর তাগিদ বোধ করেন বলে মনে হয় না। অথচ এইসব স্কুলের পরিকাঠামো সরকারি স্কুলের তুলনায় অনেক উন্নত মানের হলেও আন্তর্জাতিক মানের স্কুলগুলোর তুলনায় তা অপ্রতুল, অনুন্নত। ক্লাস পিছু ছাত্রছাত্রী সংখ্যা থেকে শুরু করে অন্যান্য পরিকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা যেমন সুইমিং পুল, ল্যাবরেটরি, অডিটোরিয়াম ইত্যাদি প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম। এদেশে ক্লাস পিছু শিক্ষার্থীর চাপ অনেকটাই বেশি (৪০ থেকে ৫০ জন)। মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিদেশের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ায় মাথাপিছু সুযোগ সুবিধা পাওয়ার অবকাশ কম। এই সময়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ অভিভাবক মনে করেন যে ছেলেমেয়েদের ব্র্যান্ডেড এডুকেশনের আয়োজন করা হলো এক ধরনের বিনিয়োগ – a gamble । এমন ইনভেস্টমেন্ট থেকে কতটা রিটার্ন পাচ্ছেন তাঁরা তা নিয়ে বোধহয় ভাববার সময় এসেছে। মুখে অনেক অনেক স্বপ্নের কথা বলা হলেও বাস্তবে তার কতটুকু ফলদায়ক হয়ে উঠছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

    দেশের পঠনপাঠনের বিষয়টি ক্রমশই একশ্রেণির স্বার্থান্বেষী কারবারি মহলের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। তথাকথিত এলিট বর্গের স্কুলগুলোতে দেশের মোট শিক্ষার্থী সংখ্যার ১% এর‌ও কম পড়াশোনা করে। অথচ খরচের নিরিখে এগুলো মহার্ঘ্য। দিল্লির প্রাইভেট স্কুলগুলোর ওপর একটি লেখায় লেখিকা লিখেছেন – “শুনতে পাই বাড়িতে অন্তত দুটি গাড়ি না থাকলে ‘শ্রীরাম পাবলিক স্কুল’ এ ছেলেমেয়ে ভর্তির কোন আশা নেই। ঐ স্কুলের কোন বাস নেই।…বাড়িতে অন্তত দুটো গাড়ি না থাকলে এই স্কুলের ইন্টারভিউয়ের গন্ডি পেরনো যায় না।” বুঝুন অবস্থা!

    ছেলেমেয়ের শিক্ষা নিয়ে ব্যয় করতে মধ্যবিত্ত পরিবারের অভিভাবকরা এখন কোনো কার্পণ্য করতে রাজি নন। সমাজের এই মনোভাবের কথা জেনেই তৈরি হয়েছে দ্বিতীয় সারির বাজেট ফ্রেন্ডলি তকমা আঁটা বেশ কিছু প্রাইভেট স্কুল। এগুলোতে পড়ানোর বার্ষিক খরচ কমবেশি ১০০০০০ থেকে ১৫০০০০ টাকা। এইসব স্কুলে মূলত প্রথম প্রজন্মের পড়ুয়াদের ভিড়। পকেটে আসা পয়সার জোরে নবীন অভিভাবকদের ভিড় এখন এই সব স্কুলে। গলায় টাই, শরীরে ব্লেজার পরে এই সব স্কুলে যাচ্ছে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা। এদের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। এরাই সরকারি স্কুলের ভাতে থাবা বসিয়েছে।

    সরকারি স্কুলে এখন পড়াশোনার খরচ ন্যূনতম। বার্ষিক একটা ফিজ্ দিতে হয় এখানে। তার পরিবর্তে মেলে পোশাক, জুতো, ব‌ইপত্র মায় দুপুরের খাবার। এখানে মাস্টারমশাইদের বেতন লাখ ছুঁইছুঁই, অভিজ্ঞদের আরও অনেক বেশি। এই মুহূর্তে এইসব স্কুলের হাল বেহাল, ছাত্র ছাত্রী নেই। এইসব স্কুলের এককালে বিস্তর সুনাম ছিল। মাস্টারমশাইদের বেতন ছিল সামান্য কিন্তু সমাজে তাঁদের আসন ছিল অনেকটাই ওপরে। হায়! সেই গরিমাকাল আজ অন্তর্হিত। সেই সময় আবার ফিরে আসবে এমন সম্ভাবনাও এই মুহূর্তে তেমন উজ্জ্বল নয়।

    সরকারি স্কুল সম্পর্কে সাধারণ নাগরিক মানসে ধারণা হলো এই – বিনা পয়সায় স্কুল, লঙ্গরখানা, মাস্টাররা ক্লাস নেয় না, প্রথম প্রজন্মের পড়ুয়াদের সঙ্গে পড়তে হয় যাদের মধ্যে পড়াশোনা করার, লেগে থাকার মানসিকতা নেই, এইসব স্কুলের কোনো ব্র্যান্ড ভ্যালু নেই। তাই এখানে পড়া ছাত্ররা কাজের বাজারে সহজে বিকোবে না। মন্তব্য করবো না।

    দেশের পঠনপাঠনের সার্বিক পরিস্থিতি মোটেই আশাব্যঞ্জক নয়। শিক্ষা নাকি মানুষে মানুষে বিভেদ কমায়, সামাজিক বৈষম্য দূর করে। অথচ এখানে উল্টো পথে ব‌ইছে স্রোত। শিক্ষা বিকিকিনির হাটে তারাই জয়ী হবে যাঁদের কড়ি ফেলার সুযোগ আছে। আর বাকিরা পড়ে থাকবে পিছনে, অনগ্রসরতার কারণ হয়ে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • স্কুলের খাতা | ১৫ নভেম্বর ২০২৫ | ২৩১ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বেলুর - %%
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সৌমেন রায় | 2409:40e1:10be:d08:8000::***:*** | ১৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:৫৯735786
  • সঠিক ভাবে চিত্রটা তুলে ধরেছেন। সরকারী স্কুলগুলো মোটামুটি ১০০ বছরের মধ্যে অস্তগামী। যা চলছে তার কুফল বোঝা যাবে পরে। মাঝে অনেকটা সময় চলে যাবে। 
  • Somnath mukhopadhyay | ১৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:৩৩735788
  • প্রথম প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন অনিবার্য। কিন্তু এখন যা হচ্ছে তাকে অনিবার্য পরিণতি বলে মেনে নিতে কষ্ট হয়। এ এক সামাজিক হারাকিরি। একটা ঘোরের মধ্য দিয়ে চলেছে সকলে। ঘোর যখন কাটবে তখন হাহাকার করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকবে না। মোহগ্রস্ত হয়ে আমরা সবাই ছুটে চলেছি। কোন্ লক্ষ্যে চলেছি কেউই জানিনা।
  • হীরেন সিংহরায় | ১৬ নভেম্বর ২০২৫ ০০:৩৪735803
  • আপনার লেখাটির জন্য অশেষ ধন্যবাদ জানাই। আপনি আমার চোখ কান খুলে দিয়ে হৃদয়ে গভীর বেদনা জাগালেন। ছ দশক আগে কলকাতার উত্তরে বরানগরে দশ টাকার বাংলা স্কুলে, বারো টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি পড়েছি। তাই আপনার ‘সিস্টার নিবেদিতা স্কুলের প্রাক্তনীর’ মতো আমারও মনে হয় ‘বিপুল খরচে শিক্ষা ব্যবস্থা মানেই সেরা শিক্ষা তা নয়’। প্রায় আট বছর জার্মানিতে, চার দশক ইংল্যান্ডে বাস। তিন ছেলে মেয়েকে পড়ানোর অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি সরকারি স্কুল দু দেশেই এখনো সম্পূর্ণ ফ্রি, জার্মানিতে ইউনিভারসিটি এখনো বিনা শুল্কে।। ইংল্যান্ডে প্রাইভেট স্কুলে খরচ বাড়তে দেখলাম, প্রথম দু জনের সময়ে ধরুন বছরে পনেরো লক্ষ টাকা, প্লাস আনুষঙ্গিক ছোট মেয়ের সময়ে বার্ষিক তিরিশ লক্ষ (ইটনে এখন পঞ্চাশ ) লক্ষণীয় মাত্র সাত শতাংশ বালক বালিকা ইংল্যান্ডে প্রাইভেট স্কুলে পড়ে। ইউনিভারসিটি ছিল ফ্রি, তার টিউশন ফী এখন প্রায় দশ লক্ষ টাকা বছরে। শিক্ষকদের মাসিক বেতন গড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা।

    এদেশে অবশ্য প্রাইভেট স্কুলকে বলে পাবলিক স্কুল। ভাষার কি অপার মহিমা।
  • Somnath mukhopadhyay | ১৬ নভেম্বর ২০২৫ ০৮:০০735811
  • হীরেন বাবুকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই । আমার লেখা আপনাকে আপ্লুত করেছে জেনে আরও খুশি হলাম। পাশাপাশি বেদনার্ত হ‌ই এই ভেবে যে আমাদের নির্মিতির আঁতুরঘরগুলোকে আমরা হেলায় নষ্ট করে ফেললাম দেখে। ওদেশে মাত্র সাত শতাংশ ছাত্রছাত্রী প্রাইভেট স্কুলগুলোতে পড়ে। আর আমাদের দেশে এই সংখ্যাটা এখন ক্রম বর্ধমান। আমাদের দেশের শিক্ষা খানিকটা লক্ষ্যচ্যুত হয়েছে। সব সমস্যার শুরু বুঝি এখানেই। শিক্ষার নামে সামাজিক স্তরায়ন আরও বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে। দুঃখ সেখানেই।
    ভালো থাকবেন সবসময়।
  • Kaushik Guha | 2405:201:800c:c8f8:98fe:16f:b929:***:*** | ১৬ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:৩২735827
  • Sotti dada thik bolechen, amader school er din gulo ki bhalo chilo. 
  • অরিন | 119.224.***.*** | ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ০০:৪০735843
  • অদ্ভুত ধরণের পরিস্থিতি। সরকারী ইস্কুলে পয়সা কম দিতে হয়, অথচ জনতা সেই পরিষেবা ব‍্যহবার না করে যেখানে প্রচুর টাকা দিতে হয়, exclusivist, সেইখানে প্রাথমিক / মাধ‍্যমিক শিক্ষার জন‍্য অর্থ বিনিয়োগ করছে। এর একটি আর্থ সামাজিক কারণ আছে নিশ্চয়ই। 
    ধার্মিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত স্কুলে শিশুদের পাঠানোর কারণ কিছুটা বোঝা যায় যে অভিভাবকদের ইচ্ছে ছেলেপিলে moral character গড়ে তুলুক। এর পিছনে সামাজিক "স্বপ্ন দেখার" মানসিকতার একটা ব‍্যাপার থাকে। সব দেশেই এই ব‍্যাপারটা আছে। তবে ভারতে মনে হয় ব‍্যাপারটা নিয়ে একটু বাড়াবাড়ি হচ্ছে ইদানীং।  
  • অভ্রদীপ | 240a:61:2194:b70d:1b6:34b3:b307:***:*** | ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ০৫:৪৩735851
  • এই অভিভাবকদের ইন্টার্ভিউ নেওয়া তো আসলে হয় তাঁদের পকেটের জোর বাজিয়ে দেখার জন্য। গোটা বিষয়টাই কেমন যেন প্রহসন। একাধিক আত্মীয়ের সূত্রে আমিও তাঁদের একই অভিজ্ঞতার কথা শুনেছি। ভাবলে অদ্ভুত লাগে, যে বর্তমান প্রজন্মের অভিভাবককুল তো গড়ে আগের প্রজন্মের অভিভাবকদের তুলনায় খাতায় কলমে বেশি ডিগ্রিধারী শিক্ষিত। তাহলে তাঁদের মধ্যে স্কুলশিক্ষা বিষয়ে এরূপ ভ্রান্তি কেন? যদি স্কুলের শিক্ষায় ঘাটতি থাকেও সেটা তাঁরা নিজেদের প্রয়াসে মিটিয়ে দিতে পারেন না? একটা দুই বছরের বাচ্চাকে কেন প্রি স্কুলে বা কোনো দিদিমণির কাছে যেতে হবে? যারা পয়সা খরচের বিষয়ে হাহুতাশ করেন তাঁদের প্রতি কোনো সহানুভূতি জাগে না আমার। কারণ বিকল্প তাঁদের হাতে আছে, এখনও। সঙ্গে শুধু দরকার তাঁদের নিজেদের সন্তানকে সময় দেওয়া। চলতি হাওয়ায় গা ভাসিয়ে কেউ নিঃস্ব হলে হোক। দুঃখের ব্যাপার যে কোনোভাবে ভবিষ্যতে সেই সন্তান বাপ মায়ের কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জনে অসমর্থ হলে ওকেই গঞ্জনার ভার সইতে হবে।
  • pi | 2401:4900:3d3b:4b1d:2c7d:d5ff:feec:***:*** | ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ০৮:১৬735856
  • সোমনাথবাবুকে অনেক ধন্যবাদ, এই স্কুলের খাতা সিরিজটার জন্য। এই নিয়ে আর কথাই হয়না, ব্যাপারটা এতটাই এক স্বাভাবিক করে ফেলা হয়েছে।
    এখানে শিক্ষার মাধ্যম প্রসঙ্গও আনবেন আশা করি।
    সরকারি থেকে বেসরকারি তে কতটা ট্রান্সিশন হয়েছে, সেই নিয়ে এখানে cs বা আর কেউ টই খুলেছিলেন আর অনেক আলোচনা তর্ক হয়েছিল, যদ্দুর মনে পড়ে। সেটা পেলে কেউ এখানে লিনক্টা রাখবেন? 
     
    খালি একটা কথা। শিক্ষকদের মাইনে, সে নিউইয়র্ক বা দেশে সরকারি, বেসরকারি - কোন ক্ষেত্রেই এত নয় মনে হয়, এর চেয়ে কমই। কিছু ব্যতিক্রম বা সরকারিক্ষেত্রে চাকরির শেষ ধাপ ছাড়া। নাকি, বেড়ে গেছে এখন? 
  • Somnath mukhopadhyay | ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ১০:৩৬735860
  • মৌচাকে টোকা দিয়ে দেখছি বেশ জোরদার রসক্ষরণ হচ্ছে। সাধু সাধু! সকলকেই ধন্যবাদ জানাই। শিক্ষা বিনিয়োগ এখন অনেক অভিভাবকের কাছে ভবিষ্যতে চড়া ডিভিডেন্ডের আশায় শেয়ারে বিনিয়োগ করার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চরম আস্থাহীনতার কালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ভরসা রাখতে কেউই চাইছে না। প্রতিদিন চোখের সামনে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে স্বপ্নকল্প ভবিষ্যতের ছবি। তার ওপর আছে ব্র্যান্ড ভ্যালুর কদর। মুক্তি কোথায়? ময়দানের বাইরে থেকে এখন হাহুতাশ করি। 
    অভ্রদীপ অনেক ভারী ভারী কথা বলেছেন। খুব সাধারণ অবস্থায় থাকা মানুষজন‌ও এখন ঝাঁ চকচকে ব্যবস্থার প্রতি আস্থাশীল হয়ে উঠেছে। দেশটা এতো বড়, এতো তার বিভিন্নতা যে সবকিছুকে একসুরে বাঁধা খুব সহজ মোটেই নয়। সরকার কতগুলো নীতিমালা প্রণয়ন করেই দায়িত্ব পালন করছেন বলে মনে করেন। বাস্তব অবস্থা একদম অন্যরকম। ভালো থাকবেন।
  • পৌলমী | 2409:4060:2d3c:6557:ed5e:a78:84ec:***:*** | ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ২২:১৩735879
  • সত্যি কথাগুলো স্পষ্ট করে বলার জন্য লেখককে অনেক ধন্যবাদ জানাই। লেখার শুরুটা খুব ভালো লাগলো। মনে হলো যেন চলচ্চিত্র দেখছি। নিজের স্কুল জীবনের অনেক স্মৃতি ভিড় করে এলো। সরকারি স্কুলে পড়েছি বলে কোনো হীনমন্যতায় ভুগতে হয়নি।
  • অরিন | ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ২৩:৫৭735882
  • "শিক্ষা বিনিয়োগ এখন অনেক অভিভাবকের কাছে ভবিষ্যতে চড়া ডিভিডেন্ডের আশায় শেয়ারে বিনিয়োগ করার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চরম আস্থাহীনতার কালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ভরসা রাখতে কেউই চাইছে না। প্রতিদিন চোখের সামনে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে স্বপ্নকল্প ভবিষ্যতের ছবি। তার ওপর আছে ব্র্যান্ড ভ্যালুর কদর।"
     
    এ একটি বুদ্বুদ । 
    ওপরের আবরণ চাকচিক্য সরিয়ে রেখে আমরা দেখি, শিশুটির শিক্ষা কি ও কতদূর হচ্ছে। বিশেষ করে জানছি কি করে যে শিশুটি শিক্ষিত হচ্ছে, কে বা কারা সেই শিক্ষাদান প্রক্রিয়ার মূল্যায়ণ করছেন । 
  • Somnath mukhopadhyay | ১৮ নভেম্বর ২০২৫ ০৬:২৩735885
  • ধন্যবাদ অরিন বাবু। ঠিক‌ই বলেছেন ওইটি বুদ্বুদ মাত্র। একজন শিশু কতটা শিখছে তা মূল্যায়নের জন্য এখনও আমরা সেই পরীক্ষার ওপরেই ভরসা করে বসে আছি। তাই নম্বরের পুঁজি জোগাড়ের জন্য সবাই ছুটছে। রকমারি টিউশনের এমন ঢালাও আয়োজন আর কোথাও নেই। ৫০০/৫০০ পাওয়া এখন আর স্বপ্নের বিষয় নয়, খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। বুদ্বুদটি যখন ফেটে যাচ্ছে তখন সব শেষ। পড়ে থাকে একরাশ হতাশা।
  • DrSouravM | 27.6.***.*** | ১৮ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:১৫735890
  • Bitter truth. All the writings of the author always highlight ongoing problems in today's human society. It would be even richer with space for more discussion here among the readers and the author if some possible solutions are highlighted. One as I find is a awareness campaigning for the government and government undertaken (I am not sure still it exists or not) schools highlighting the scopes including those beyond subject education like psychological and social development which are lacking in those high paid educational shops and to make people understand and believe that those developments are more important than knowing which year Xuanzang came to India?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন