এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • এক বিস্মৃত বিপ্লব এবং শ্রীহট্ট-কাছাড়ের 'জঙ্গিয়ার গীত'

    Dipankar Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৩ আগস্ট ২০২৪ | ৮৭৪ বার পঠিত
  • "জঙ্গিয়ায় কান্দেরে ও আল্লা বনর ঘাস খাইয়া।
    সুবেদার বা'দুরে কান্দইন ঐ দ্বীনর লাগিয়া।।" 

    হে আল্লা, যোদ্ধারা বনের ঘাস-পাতা খেয়ে কেঁদে মরে আর সুবেদার বাহাদুর কাঁদে ধর্ম প্রতিষ্ঠার আকুতিতে। শ্রীহট্ট-কাছাড়ের গ্রামাঞ্চলে এক সময় 'জঙ্গিয়ার গীতে'র জনপ্রিয় এই দুটি চরণ অহরহ শোনা যেত হাটে-বাজারে, মাঠে-ঘাটে, চাষি-শ্রমিকদের মুখে মুখে। 'জঙ্গ' অর্থাৎ যুদ্ধ আর তাই 'জঙ্গিয়ার গীত' হল যোদ্ধাদের গীত।  ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের যে আগুন বারাকপুর আর মীরাটে জ্বলে উঠেছিল তার স্ফুলিঙ্গ ঝলসে উঠেছিল চট্টগ্রামেও। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনের কাহিনী সবার জানা। কিন্তু চট্টগ্রাম কালেক্টরেটের কোষাগার  লুট করে জেল ভেঙে কয়েদিদের মুক্ত করে পার্বত্য রাজ্য জয়ন্তিয়ার উদ্দেশ্যে বিদ্রোহীদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা এবং মাঝপথে অসমের করিমগঞ্জ জেলার লাতুতে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের কথা অনেকটাই আজ বিস্মৃতির অন্তরালে।

    মহাবিদ্রোহের সময় বাঙালি শিক্ষিত সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ব্যক্তিগত অনুগ্রহ লাভের বাসনায় ছিল ব্রিটিশ পদলেহী। শিক্ষিত বাঙালিরা প্লেগের আতঙ্কের মতোই সিপাহী বিদ্রোহকে দেখতেন শঙ্কার দৃষ্টিতে। সমকালীন কবি সাহিত্যিকদের অনেকের বিবেচনায় নীরব থাকা ছিল লাভজনক। সেই উদাস নিরুচ্চারিতার সময় ছিল প্রকৃতপক্ষে যেন এক 'নিঃশব্দ মুহূর্ত'। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, বাঙালি অভিজাত শ্রেণীর এ হেন মনোভাবের বিপ্রতীপে মহাবিদ্রোহের আগুন তৃণমূল স্তরে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও উন্মাদনার সঞ্চার করেছিল। হাতে অস্ত্র নিয়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে রাস্তায় না নামলেও এই মহান বিদ্রোহ তাদের মনে জাগিয়ে তুলেছিল মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্খা।
     
    "কী হল রে জান / পলাশী ময়দানে উড়ে কোম্পানি নিশান" -- পলাশীর প্রান্তরে স্বাধীনতা হারানোর বেদনা পল্লী কবির চেতনায় সেদিন হাহাকার জাগিয়েছিল । সেই আর্তিই আবার সিপাহী বিদ্রোহের স্ফুলিঙ্গের স্পর্শে উজ্জীবিত হয়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে শামিল হতে মানুষকে উদ্দীপনা জুগিয়েছে। চট্টগ্রামের কোষাগার লুন্ঠন সেইরকমই একটি ঘটনা এবং তার আচমকা অভিঘাত জনমানসে এমনই আলোড়ন তুলেছিল যে সেটি অবলম্বন করেই রচিত হয়েছিল 'জঙ্গিয়ার গীত'। যে পল্লীগীতির পটভূমি ছিল চট্টগ্রাম থেকে শুরু করে সুরমা-বরাক উপত্যকা পর্যন্ত বিস্তৃত। মুক্তির স্বপ্ন এবং স্বপ্নভঙ্গের বেদনা সেই কাহিনীকে করে তুলেছে ভারি করুণ ও মর্মস্পর্শী।

    ২০২০ সালে কোভিড অতিমারীর পরিপ্রেক্ষিতে লকডাউন ঘোষণার ঠিক আগে মার্কিন দূতাবাসের কাজে গিয়েছিলাম অসমের বরাক উপত্যকায়। সেখানে গিয়েই লাতুর কথা প্রথম জানতে পারি। শিলচরে 'সেন্টিনেল' কাগজের বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বর্ষীয়ান অধ্যাপক জ্যোতিলাল চৌধুরী এবং অসম সরকারের 'আজান পীর' পুরস্কার প্রাপ্ত লোক-সংস্কৃতি গবেষক ডঃ অমলেন্দু ভট্টাচার্য লাতুর ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা জানিয়েছিলেন। তাঁদের বিবরণ শুনে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কুশিয়ারা নদীতীরে অবস্থিত ছোট একটি গ্রাম লাতুতে গিয়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের আকর্ষণ রোধ করতে পারিনি। ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের ঢেউ উত্তরপূর্বাঞ্চলের প্রত্যন্ত সেই অঞ্চলটিতেও আছড়ে পড়েছিল।

    ১৮৫৭ সালে শ্রীহট্টে ব্রিটিশ ডেপুটি কমিশনার আর ও হেউডের আমলে স্থানীয় জনগণ এক সন্ত্রাসজনক পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছিল। বারাকপুর ও মীরাটের বিদ্রোহের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটিশ সরকার সর্বত্র বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্যে তৎপর হয়ে ওঠে। বিদ্রোহ নিয়ে নানা গুজবও ছড়াচ্ছিল। নিরাপত্তার কারণে হেউড তাঁর স্ত্রীকে চেরাপুঞ্জি পাঠিয়ে দেন। অবশ্য শ্রীহট্ট-কাছাড়ের পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট আর স্টুয়ার্ট কলকাতায় বেঙ্গল গভর্নমেন্টের সেক্রেটারিকে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিলেন, ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বিদ্রোহ কাছাড়ের সাধারণ জনমানসে কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেনি -- "all remains quiet in Cachar”.  কিন্তু সেই শান্তি বেশিদিন বজায় থাকেনি। ব্রিটিশ প্রশাসন স্থানীয় মানুষের বিদ্রোহী চেতনার আভাস তখনও আঁচ করতে পারেনি। ওই বছরই ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রামে ৩৪ নেটিভ ইনফ্যান্ট্রির তিনশ সৈনিক বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। কালেক্টরি থেকে ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৬৭ টাকা লুট করে তিনটি হাতি নিয়ে এবং জেলখানা ভেঙে কয়েদিদের মুক্ত করে তারা ফেনী নদী পেরিয়ে ত্রিপুরার দিকে পালিয়ে যায়। যাবার আগে সেনা ছাউনি ও অস্ত্রাগারে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছিল হাবিলদার রজব আলি খান। বিদ্রোহীদের ধারণা ছিল তারা হয়ত স্বাধীন ত্রিপুরা রাজ্যে আশ্রয় পাবে। কিন্তু তার আগে চট্টগ্রাম থেকে ব্রিটিশ প্রশাসন ত্রিপুরার মহারাজা ও উপজাতি নেতাদের কাছে বার্তা পাঠিয়ে বিদ্রোহীদের ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়। কাজেই বিদ্রোহীরা সেখানে বাধা পেয়ে কুমিল্লার দিকে এগিয়ে শ্রীহট্টের দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্য এলাকায় আত্মগোপন করে। লুট করা সম্পদের একটা বড় অংশ এবং তিনটি হাতি তাদের হাতছাড়া হয়। শ্রীহট্টের উপকণ্ঠে মৌলবীবাজার অঞ্চলে লংলার জমিদার মৌলবী আলি আহম্মদ খাঁয়ের বৃদ্ধ পিতা ধর্মপ্রাণ গৌছ আলি খাঁয়ের থেকে বিদ্রোহীরা রসদ আদায় করে। এরপরে লংলা বাজার লুট করে বিদ্রোহীরা পৌঁছে যায় কাছাড়, ত্রিপুরা ও বাংলা সীমান্তে প্রতাপগড়ে। সেই জায়গাটিই আজকের করিমগঞ্জ। সেখান থেকে তারা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে আরও উত্তর দিকে লাতুর পথে এগিয়ে যায়। সেই সময় লাতুই ছিল করিমগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র। অন্যদিকে চট্টগ্রামের পলাতক বিদ্রোহীদের ওপর ব্রিটিশ সরকার নজর রেখেছিল। বোর্ড অব রেভেনিউয়ের মেম্বার মিস্টার অ্যালেনের নির্দেশে সিলেট লাইট ইনফ্যান্ট্রির কম্যান্ডান্ট মেজর বিং বিদ্রোহীদের গতিরোধ করতে ১৬০ জন সৈনিক নিয়ে মাত্র ২৬ ঘন্টায় ৮০ মাইল পথ পেরিয়ে প্রতাপগড়ে এসে ঘাঁটি গাড়েন। শ্রান্ত সেনারা তখন সবে রান্নার আয়োজন করছিল। এমন সময় খবর আসে বিদ্রোহীরা লাতুর দিকে অগ্রসর হয়েছে। প্রতাপগড়ের জমিদার তাঁর এক প্রজা কালামিয়াকে দিয়ে বিদ্রোহীদের গতিবিধির খবর ব্রিটিশদের জানিয়ে দিয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে মেজর বিং সেনাদের লাতু যাওয়ার আদেশ দেন। অচ্যুতচরণ চৌধুরী এই ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে তাঁর 'শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত' গ্রন্থে লিখেছেন, সেনারা অর্ধসিদ্ধ অন্ন ত্যাগ করে যাত্রা করল।

    চট্টগ্রামের ঘটনার ঠিক এক মাসের মাথায় লাতুর বাজারের কাছে বিদ্রোহীদের সঙ্গে ব্রিটিশ সৈন্যের মোলাকাত হয়। বিদ্রোহীরা কুশিয়ারা নদীর পারে মালেগড় টিলায় আশ্রয় নিয়েছিল। বিদ্রোহীরা তখন দুর্বল। অনাহারে ও পরিশ্রমে ক্লান্ত। কিন্তু তাদের মনোবল ছিল অটুট। ব্রিটিশ বাহিনীর স্বদেশি সেনাদের মধ্যে জাতীয় চেতনা জাগাতে তারা অস্ত্রত্যাগ করার আহ্বান জানায়। ব্যর্থ হয়ে তাদের খ্রিস্টানের কুকুর, বিশ্বাসঘাতক ও গোলাম বলে গালাগালি করে। অবশেষে দু-পক্ষের মধ্যে তুমুল লড়াই শুরু হয়। ব্রিটিশ সৈন্যের অবস্থান ছিল নদী তীরে নিচে। টিলার ওপর থেকে চালানো বিদ্রোহীদের গুলিতে মেজর বিং সহ আরও পাঁচ সৈন্য নিহত ও একজন গুরুতর আহত হয়। এরপর লেফটেনান্ট রসের নেতৃত্বে ব্রিটিশ সেনার  আক্রমণে ২৬ বিদ্রোহী শহীদ হয়। বাকিরা পাহাড়-জঙ্গল, নদী-বাওড়ের মধ্যে দিয়ে পালিয়ে যায়। লেফটেনান্ট রস বিদ্রোহীদের জঙ্গলের পথে তাড়া না করলেও কয়েকদিন পরে আবার কিছু দলছুট বিদ্রোহীদের সঙ্গে তাঁদের লড়াই হয়। তাতে বিদ্রোহীরা পুরোপুরি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং অনেকে অনাহারে এবং রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এরপরে কিছু বিদ্রোহী ভুবন পাহাড় পেরিয়ে মণিপুরে প্রবেশ করে মণিপুরি রাজপুত্র নরেন্দ্রজিৎ সিংহের সঙ্গে সন্ধি করে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যায়। কিন্তু তার আগে আরও কিছু বিদ্রোহীর সঙ্গে ব্রিটিশদের সংঘর্ষ হয় কাছাড়ের কাছে বিন্নাকান্দিতে। সেখানে ১৮ জন শহীদ হয়। এছাড়াও বেশ কিছু বিদ্রোহী ব্রিটিশদের অকথ্য অত্যাচারের শিকার হয়। অনাহার, অভাবের তাড়নায় বিদ্রোহী দলে অনেক মহিলা ও শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।

    চট্টগ্রামের এই বিদ্রোহ ও তাদের পরাজয়ের গাথাই প্রতিফলিত হয়েছে 'জঙ্গিয়ার গীতে'। সেই কাহিনী অনুযায়ী চট্টগ্রামে ব্রিটিশ বাহিনীর এক মুসলমান সুবেদারের ছেলের ছিল 'আকিকা' অনুষ্ঠান -- হিন্দু পরিবারে অন্নপ্রাশনের মতো। শুক্রবারের দুপুরে নামাজের পর ভোজসভায় সব মুসলমান সৈনিকের আমন্ত্রণ। চোদ্দজন বাবুর্চি রান্না করছে। বাংলোয় বসে খবর পেয়েছেন ব্রিটিশ ফৌজের ছোট কর্তা। তিনি নিমন্ত্রণ না পেয়ে অপমানিত। বেয়ারা আশ্বস্ত করে বলে, নামাজ শেষ হলে সাহেবের জন্যে লোক মারফত 'শিরণী' আনানো যাবে। কিন্তু তার তর সয় না। ওই সুবেদারের স্পর্ধা বরদাস্ত করতে না পেরে ছোট সাহেব উন্মত্ত হয়ে টাট্টু ঘোড়ায় চেপে হাজির হল অনুষ্ঠানস্থলে। সেই মুহূর্তে তার মাংস চাই। এদিকে নামাজের আগে খাবার দেওয়া যাবে না। ফলে ছোট সাহেব রাগে গজরাতে গজরাতে রান্নাঘরে ঢুকে সব আয়োজন নষ্ট করে, ডেগের গায়ে লাথি মেরে, থুতু ছিটিয়ে এলোপাথাড়ি চাবুক মেরে সে তার বাংলোয় ফিরে গেল। ওদিকে অনুষ্ঠান পন্ড ও অপবিত্র করার কথা জানতে পেরে সুবেদার গিন্নি রণরঙ্গিনী মূর্তি ধরে ঘটনার প্রতিশোধ নিতে সাহেবের বাংলোয় পৌঁছলেন একহাতে ঢাল, অন্য হাতে তরবারি নিয়ে। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বিসমিল্লা বলে হুঙ্কার দিয়ে এক কোপে মাথা উড়িয়ে দিলেন সাহেবের। দেহ মাগুর মাছের মতো টুকরো টুকরো করে কম্বল দিয়ে বিছানায় ঢেকে ঘরে ফিরলেন প্রবল গর্বে। অত্যাচারী ইংরেজকে হত্যা করে তিনি জেহাদ ঘোষণা করলেন, 'নিশ্চয় করিব জাঙ্গাল চাটিগাউ শহর' -- গোটা চট্টগ্রাম শহরকে আজ নিশ্চিত শ্মশানে পরিণত করব। আর এভাবেই ছড়িয়ে পড়ল বিদ্রোহের আগুন। আবার সব শেষে বিদ্রোহীদের পরাজয়ের গ্লানিও ফুটে উঠেছে সকরুণ ভাবে -- "ভাগিল জইঙ্গা সিপাই মনে আইল দুখ।  / কী দিয়া করিতাম আমরা ছাড়িয়া গেছে সব।। / কান্দিয়া কুটিয়া তারা করিল গমন।  / যে যেবায় পারে তার বাঁচাইতে জীবন।।"

    উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাহাড়, জল, জঙ্গলে ঘেরা প্রতিকূল পরিবেশে এই বিদ্রোহীদের আত্মত্যাগ ও অবদানের দৃষ্টান্ত ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায়। সেই ঘটনার কথা আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়। লোকমুখে প্রচলিত এই সব গাথা সংকলন করেছিলেন অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুবীর কর তাঁর লেখা 'মহাবিদ্রোহের দ্রোহগাথা: জঙ্গিয়ার গীত' গ্রন্থে। এখন সেই বই দুষ্প্রাপ্য। এছাড়া আকাশবাণী শিলচর কেন্দ্র একসময় ১৩ টি পর্বে এই ঐতিহাসিক কাহিনী সম্প্রচার করেছিল। দূরদর্শন কেন্দ্র তৈরি করেছিল একটি তথ্যচিত্র। দেশের মূল প্রবাহের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মনস্তাত্ত্বিক ব্যবধান কমাতে আকাশবাণী ও দূরদর্শনের উচিত ওই অনুষ্ঠানগুলি স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের আবহে নতুন করে সকলের গোচরে নিয়ে আসা।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৩ আগস্ট ২০২৪ | ৮৭৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • NRO | 165.124.***.*** | ১৩ আগস্ট ২০২৪ ২১:৪৮536308
  • In most cases, mutinied sepoys were blood thirsty uncivilized savages. Thank God, British put an end to their savagery with an iron hand. Just imagine today’s lawless Bangladesh and then multiply it by a hundred -  that was the sepoy mutiny of 1857. Most of those sepoys were not romantic freedom fighters – most were cutthroats.
  • Dipankar Dasgupta | 2405:201:8008:c017:3450:9bca:d1e7:***:*** | ১৩ আগস্ট ২০২৪ ২২:৪৫536313
  • @NRO​​​​ I condemn you for your most uncivilized, barbaric, irresponsible and inciting comment. Better you restrain yourself in order to live in a civil society.  
  • NRO | 165.124.***.*** | ১৩ আগস্ট ২০২৪ ২৩:২৭536316
  • Dipankar, what nonsense you are talking about? There are plenty of contemporary reports about the lawlessness and savagery of sepoys. How the mutinied sepoys generally acted was well documented. There are plenty of books still available, pl read some of them. Read the accounts of British officers who fought against the sepoys. At least pl read the book by Field Marshal Frederick Sleigh Roberts, (Roberts, Frederick Sleigh (1896). Forty-One Years in India). He was born in India and was a young officer during mutiny. 

    There is a reason why our own Vidyasagar, one of the greatest Bengali ever born, was so much against the anarchy of mutiny.
  • JSL | 208.127.***.*** | ১৩ আগস্ট ২০২৪ ২৩:৫৬536317
  • সিপাইদের উশৃঙ্খল ইত্যাদি হওয়া খুবই স্বাভাবিক, নেতৃত্বহীন প্রশিক্ষিত অস্ত্রধারীরা তো মারদাঙ্গা করবে, ধরেই নেওয়া যেতে পারে।

    কিন্তু বিদ্রোহী সিপাইরা কত খারাপ ছিল তার পক্ষে ইংরেজ মিলিটারিওলার সাক্ষ্য নিতান্তই অনর্থক। বিদ্রোহের পরেও যে সায়েব কল্লা বাঁচিয়ে বই লেখার জন্য টিকে ছিলেন তার জন্য বরং পীরের দরগায় সিন্নি চড়ানো উচিত ছিল।
  • JSL | 208.127.***.*** | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০০:৪১536319
  • আর, এনারো তো আমেরিকাকে ভালোবাসেন। এক বস্টন সিজেরই কত গল্প। বাংকার হিলের যুদ্ধ টুদ্ধ। শহরকে শহর উড়ে পুড়ে ছাই হয়ে গেল, অস্ত্র নেই, সেনা বাহিনী নেই, বৃটিশদের উচ্চগরিমার মত কলচর নেই।

    হেরে গেলে বিদ্রোহী সিপাইদের মতই দুয়ো দিত লোকে।
    আবার সিপাইরা জিতে গিয়ে বৃটিশদের খেদিয়ে দিতে পারলে ইতিহাস অন্যরকম হত। সত্যি বলতে কী ভারতীয় উপমহাদেশকে কব্জা করতে না পারলে বৃটিশ সিংহের ল্যাজটা অনেকটাই রোগা হত হয়তো।

    এঁদের কোন পোক্ত সামরিক নেতা ছিল না, সাধারন লক্ষ্য ছিল না। কী আর করা।

    সকালবেলা আপিস আসতে একটা ছোট বাড়ি দেখি, সামনে কাঠের তক্তা ঝোলানো আছে - ১৮৫৭ সালে তৈরি। দেখে সাত পাঁচ ভাবি।
  • NRO | 165.124.***.*** | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০১:১৩536322
  • It never was a war of independence – there was then no sense of Indian nationhood, because at that time India was made up of three British presidencies, a Portuguese territory (Goa) a French territory (Pondicherry) and 600+ independent princely states, many of whom were in treaty relationship with the British. The Bombay and Madras Presidency armies were basically loyal. The mutiny was eventually put down, largely by loyal Indian (mostly Sikhs) and Gurkha troops who formed 80+ % of the forces opposed to the mutineers.  British troops were minority. In that sense one may call it Indians vs Indians+ British type of war.

    Please read Tony Heathcote’s Mutiny and Insurgency in India 1857-58 (Pen & Sword, Barnsley, 2007).  In this book the author tells the story of the atrocities, ethnic cleansing and war crimes committed by both sides.
     
  • NRO | 165.124.***.*** | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০১:৩৭536323
  • JSL, সেপাইদের জেতার কোনো সম্ভাবনাই ছিল না। সাহেবরা ততদিনে telegraph line বসাতে শুরু করেছে , তিনটে Presidency তেই Ordnance factory বানিয়েছে ভারতের নানান প্রান্ত থেকে loyal সেপাই আনছে - এক কথায় logistics & technology তে অনেক এগিয়ে। 
     
    আমেরিকানদের ব্যাপারটা আলাদা। এরা দু দু বার British দের হারিয়েছে। 1812 এ তো peak British power যারা তিন বছর পর Waterloo জিতবে। America has a 'IT' factor - যা সত্যিই অন্য কোনো দেশের ক্ষেত্রে দেখিনা। 
  • JSL | 208.127.***.*** | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০১:৩৯536324
  • দেখুন, কাজের বাইরে ইংরেজি পড়তে আমার চোখ কটকট করে, আর এই সাইটে তো পড়বোই না। তাই আপনার লেখার প্রথম লাইনের পর আর পড়িনি, চেষ্টাও করবো না।

    এইসব নিয়ে অনেক পণ্ডিত লোক অনেক কচকচি করেছেন, আমার নতুন কিছু বলার নেই।
    হ্যাঁ, আজকের ভাবনায় এটাকে স্বাধীনতার যুদ্ধ অবশ্যই বলা চলে না। স্বাধীনতার ধারনাই তো তখনও বিংশ শতাব্দীর থেকে অনেক আলাদা। আমেরিকার কথাই ভাবুন - বৃটিশদের সঙ্গে যুদ্ধ করার পরও বহুকাল দাসপ্রথার মত কুৎসিত জিনিসপত্র নিয়ে ঘর করেছে অতি স্বাভাবিক ভাবে, সেগ্রিগেশন এখনো মানুষের মন থেকে শেষ হয়নি।
    সবার সমান অংশগ্রহণ আছে এমন গণতন্ত্র ইত্যাদির ধারনাও তখনো পরিস্কার না, সমানাধিকার ইত্যাদি তো দূর অস্ত। তো, সেসব কোন কথা না। স্বাধীনতা একটা চলমান ধারনা।

    কিন্তু সিপাই বিদ্রোহ পুরোপুরি সফল হলে (পুরোপুরি হয়নি, কিন্তু ভগ্নাংশ হয়েছে - কারন এর ফলেই কোম্পানীর শাসন শেষ হয়ে বৃটিশ সরকারি শাসন শুরু হয়েছে), ভারতীয় উপমহাদেশ পরবর্তী নব্বই বছর কলোনী হয়ে থাকতো না।
    তাতে কী উপকার বা অপকার হতো, তা আলাদা হিসেব ও অনুমান - কিন্তু এতে পৃথিবীর ইতিহাস অন্যরকম হতো - তাতে সন্দেহ নেই।
  • JSL | 208.127.***.*** | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০১:৪৩536325
  • হ্যাঁ, টেকনোলজি, লজিস্টিকসে এগিয়ে ছিল - সত্যি কথা। কিন্তু তবু মাদ্রাজ আর পঞ্জাবের সেনা না পেলে কপালে দুঃখ ছিল। ভারতবর্ষ বলে একটি দেশ তখনো নেই আসলে... সেসব ঠিক। যেটা বললাম, সাধারন লক্ষ্য নেই।

    আমেরিকানরা একাধিকবার হারিয়েছে - কিন্তু সেই লড়াই শুরু তো করতে হয়েছে। ঐ জন্যই বাংকার হিল বললাম। সবাই জানতো ঐ যুদ্ধটা হেরে যাবে, তাও লড়েছে।
  • lcm | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০২:০২536327
  • সিপাহি বিদ্রোহ কিছুটা সফল তো বটেই। এই বিদ্রোহের তীব্রতা, গতি এবং সংঘাত অনুভব করে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই লন্ডন থেকে কয়েকটি খুব গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় -

    (১) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অফিসিয়ালি ভেঙ্গে দেওয়া হয়

    (২) গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া অ্যাক্ট (Government of India Act 1958) চালু করা হয়

    (৩) এই অ্যাক্টে তৎকালীন বৃটিশ রাণী ভিক্টোরিয়ার বয়ান অনুযায়ী - যেহেতু দেশ হিসেবে ভারতের সংবিধান বলে কিছু ছিল না, কিন্তু বৃটিশ সংবিধান অনুসারে বৃটিশ নাগরিকরা বৃটেনে যেমন অধিকার পেয়ে থাকেন বা বিচারপদ্ধতি পেয়ে থাকেন, তেমন কিছু জিনিস ভারতের নাগরিকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

    (৪) শেষ মোগল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ কে অ্যারেস্ট করে রেঙ্গুনে পাঠিয়ে দেওয়া হল। এই সঙ্গে মোগল সাম্রাজ্যের অফিসিয়াল এন্ডিং হল।

    (৫) বৃটিশ গভর্নমেন্টের একটি অফিশিয়াল ডিপার্টমেন্ট তৈরি হল (India Office), এর হেড Secretary of State for India নিযুক্ত করা হল, যার কাজ হল ভারতের আইনকানুন তৈরি করা।

    (৬) গভর্নর জেনারেল অফ ইন্ডিয়াকে একটি নতুন উপাধি দেওয়া হল - ভাইসরয় অফ ইন্ডিয়া।

    এসবের প্রায় ৮৫ বছর বাদে বৃটিশ ভারত ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম বিদ্রোহের কিছু অবদান সেখানে ছিল তো বটেই। বেসিক্যালি, উনবিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে এই লড়াই একটা জিনিস বৃটিশদের হাড়ে হাড়ে বুঝিয়েছিল যে এখানে বিদ্রোহ হতে পারে, যে কোনো সময়ই হতে পারে।
  • NRO | 165.124.***.*** | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০২:২২536330
  • JSL, আচ্ছা আপনি (আপনারা) বাংলা লেখা নিয়ে এই সাইটে এতো কট্টর কেন? আপনি সম্ভবত এখন বিজাতীয় পোশাক পরে আছেন বাংলার বাইরে থাকছেন অনেক সময়ই অবাঙালি খাবার খাচ্ছেন কিন্তু লেখা বা পড়ার ব্যাপারে এতো বাঙালিয়ানা কেন? আমরা বাঙালিরা hybrid জাতি যাদের মধ্যে  বিস্তর gene - mixing হয়েছে। আমাদের খাদ্য ভাষা সব কিছুতেই massive outsider influence আছে। বিদেশি শব্দগুলোকে বাংলা হরফে লিখলেই তা বাংলা হয়ে যায় ? আমি যদি পান্তা ভাত কে ইংরেজিতে 'panta bhat' লিখি তবে কি সেটা ইংরেজি হয়ে যাবে? তাছাড়া সাহিত্যে তাও ​​​​​​​খানিকটা ​​​​​​​চলতে ​​​​​​​পারে ​​​​​​​কিন্তু Science এ ​​​​​​​বাংলা impractical. দেখুন ​​​​​​​আমাদের source of information এখন mostly in English. ​​​​​​​
  • JSL | 208.127.***.*** | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০২:২৬536331
  • আহা কট্টর কেন হবো, বাংলা পড়তে ভালোবাসি আরকি।
    যেমন ধরুন আজ যদি আপিসে নিয়ম করে ধুতি পরে আসতে হবে বা থ্রি পিস স্যুট পরে আসতে হবে - আমি অন্য চাকরি খুঁজবো। তার মানে কী আর এসবের সঙ্গে আমার শত্রুতা আছে? তা না, আমি বিশেষ অনুষ্ঠান ছাড়া এলোমেলো পাৎলুন পরতে ভালোবাসি।

    আর তাছাড়া এখানে তো সায়েন্স বা সাহিত্য করতে আসি না, আড্ডা দিতে আসি। তো, যেটা করতে প্রাণের আরাম সেটাই করবো এই তো!
  • lcm | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০২:৫৭536332
  • দ্য পারপাস অফ ভিজিটিং দিস সাইট ইস প্রাইমারিলি টু রাইট এন্ড রিড ইন বেঙ্গলি। ফর কুইক কনভার্সেশন লাইক টেক্সটিং অর চ্যাটিং, ইট ইজ প্রোব্যাবলি কনভেনিয়েন্ট টু টাইপ বেঙ্গলি সেন্টেন্স ইন ইংলিশ লেটার্স, অর ইভেন ইউজ ইন্টারনেট অ্যাব্রিভিয়েশনস সাচ অ্যাজ, এল ও এল, বি আর বি এসেট্রা, বাট ফর এ লং মিনিংফুল টেক্সচুয়াল কনভার্সেশন অর ডিসকোর্স, অর, টু রিড এ কমপ্লিট বেঙ্গলি আর্টিকল এন্ড টেক পার্ট ইন রিলেটেড ডিসকাশন, ইট ইজ এসেন্সিয়াল দ্যাট দ্য কন্টেন্ট ইস রিটেন ইন বেঙ্গলি স্ক্রিপট।

    হাউএভার, ইন দ্য বিগিনিং অফ ইন্টারনেট ডেজ, দেয়ার ওয়াজ লিমিটেড অপশন এন্ড টেকনিক্যাল ক্যাপাবিলিটিজ টু রাইট ইন বেঙ্গলি, সো, পিপল অ্যাডহ্যায়ার্ড টু টাইপিং বেঙ্গলি এক্সপ্রেশন উইথ ইংলিশ লেটার্স, দ্যাট প্র্যাক্টিস টুক প্রিসিডেন্স ফর সামটাইম, বাট নাউ ইজ আ ডিফারেন্ট টাইম। এন্ড, আই আন্ডারস্ট্যান্ড দ্যাট সাম পিপল আর এক্সট্রিমলি ওল্ড স্কুল, এন্ড আর রেজিস্ট্যান্ট টু চেঞ্জ (দে ডোন্ট ইউজ মোবাইল অ্যাপ, দে মেক এ ট্রিপ টু দ্য ব্যাংক টু চেক ব্যালান্স অর ডিপোজিট এ চেক)।

    সাম মে ফিল অ্যানয়েড উইথ দিস পোস্ট রিটেন দিস ওয়ে, এন্ড আই ডিড দ্যাট অন পার্পাস। হোপ, এনআরও উইল গেট ইট।
  • NRO | 165.124.***.*** | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০৩:৩৫536333
  • LCM, আপনার  লেখাটা একেবারে 'ভীমপলশ্রী' র (পড়েছেন কিনা জানি না ) টেলিগ্রাম এর মতো হয়েছে। Offcourse, I will igrore it - কারণ প্রথমতঃ you are making up the law as you go আর দ্বিতীয়তঃ laws are meant to be broken. আমি মশাই free lancer. গালিব পড়েছেন? ‘দর্দ কা হদ সে গুজ়রনা হ্যায় দবা বন জানা’ |
     
    আচ্ছা বলুন দেখি বাংলায় সবচেয়ে ছোট শব্দ কী যার পূর্ণ অর্থ আছে? 
  • lcm | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০৩:৪১536334
  • যাক! কাজ হয়েছে। বাংলা টাইপ করেছে। 
  • সোনামনা | 101.44.***.*** | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০৩:৫৮536335
  • NRO মালটা বাংলা ইংরেজি দুটোই তো বাজে লেখে। দু মিডিয়ামেই ছড়িয়ে লাট।
  • kk | 172.58.***.*** | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০৫:১০536339
  • এলসিয়েম'দা দুটো সাতান্ন -- তুমূল!! laugh
  • lcm | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০৫:১২536340
  • সোনামনার সঙ্গে একমত নই। NRO এর বক্তব্য বা লেখার মধ্যে অকারণ শ্লেষ আমার অনেক সময়ই একটু বোকা বোকা লাগে, কিন্তু লিখতে পারেন না তা নয়। 
     
    যাই হোক, আমার পয়েন্টটা ছিল যে এই সাইটটা প্রধানতঃ বাংলা লেখাপড়ার জন্য, বাংলায় মতের আদানপ্রদান ও ভাবপ্রকাশের জন্য, এখানে অনেকে আসতেই পারেন যারা অন্য ভাষা ভালো জানেন না। সবার কথা ভেবে আমাদের উচিত যতটা পারা যায় বাংলায় লেখা। আমি নিজেও এ দোষে দুষ্ট, অনেক সময়ই বাংলার মধ্যে ইংরেজি লিখে ফেলি।  
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০৫:২৩536341
  • এল সি এম এর মতন ঠান্ডামাথা আর প্র‌্যাক্টিকাল শিক্ষক আমি জীবনে খুব অল্প দেখেছি। যাঁদের বলা যায় কুল গুরু। ঃ-)
  • lcm | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০৫:৩৪536342
  • বলতে ভুলে গেছি, ভীমপলশ্রীর টেলিগ্রাম - এটা জানি না, এটা কি সঙ্গীতের রাগ নিয়ে কিছু, নাকি বনফুলের গল্প। এটা কি ব্যাপার একটু বলুন।
  • NRO | 165.124.***.*** | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০৬:০৭536343
  • LCM, বনফুলের বইটাতে এক জায়গায় এক বাঙালি বাবুর (নুটবিহারী ? বন বিহারী ? নামটা ঠিক মনে পড়ছে না  ) একটা টেলিগ্রাম পাঠানোর বর্ননা আছে। আপনার পোস্টের টাইপের। Very funny.
     
    আচ্ছা এবার বলুন দেখি বাংলায় সবচেয়ে ছোট শব্দ কী যার পূর্ণ অর্থ আছে? 
  • lcm | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০৬:২৮536345
  • কোষাগার ?
  • NRO | 165.124.***.*** | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০৭:০১536347
  • আরে  না না |বাংলায় সবচেয়ে ছোট শব্দ ‘থ’ আকার-ইকার কিছু নেই, তবু পূর্ণ অর্থ আছে।
     
    জামাই-ঠকানো প্রশ্ন। আপনার বাংলা-প্রেম দেখে মনে পড়ে গেলো। 
  • lcm | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০৭:০৮536348
  • থ মানে কী? আমি জানি না।

    আর, বাংলাপ্রেমই বা কী? আবার সেই বোকা বোকা... আরে, আমি তো বাঙালি, বাবা-মা, পরিবার পরিজন বাংলায় কথা বলে, বাংলায় পড়ে, লেখে, তাই তো আমি শিখেছি। অন্য জায়গায় বড় হলে, সেখানকার ভাষা বলতাম।
  • NRO | 165.124.***.*** | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০৭:২০536349
  • ঠিক আছে আপনি বাংলার জামাই তো বটেক? বলুন দেখি সান্ধ্যগগনশোভিতরক্তাম্বুদতুল্যবর্ণবিশিষ্ট্যা শব্দটি কোন অতি বিখ্যাত লেখক কোন অতি বিখ্যাত উপন্যাসে ব্যবহার করেছেন? 
  • lcm | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০৭:২৯536350
  • এ আবার কী? ট্রিভিয়া ? ... গুগুল করতেই বলল বঙ্কিমচন্দ্রের বিষবৃক্ষ তে  আছে ... 
    ধুস... ধুস... বোর .. বহুত বোর ... 
     
  • kk | 172.58.***.*** | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০৭:৪৩536351
  • ছটা সাত ও সাতটা কুড়ি : আপনি বলুন তো রবীন্দ্রনাথের এই দুটো লাইন "ওরে রেণু, ওরে আমার রেণু /একা বসে বাজাস কেন বেণু" কোন বইতে আছে? কিম্বা কোন গোয়েন্দার কুকুরের নাম ডংকি?
    যত্তসব!
  • NRO | 165.124.***.*** | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০৮:৩২536354
  • LCM, মান লিয়া ওস্তাদজী | You win big this round. উনি ওটা তাঁর বিষবৃক্ষ উপন্যাসে প্রয়োগ করেছেন, মদের বিশেষণ হিসেবে!
     
    দীপংকর বাবুর এই লেখার  thread টা আমরা হাইজ্যাক করে ফেলছি। এবার অন্যরা Mutiny নিয়ে তাঁদের জ্ঞানগর্ভ মতামত জানান। 
  • Dipankar Dasgupta | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০৯:২৯536359
  • আসর জমে গেছে! 
  • lcm | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০৯:৪৫536360
  • হা হা... হ্যাঁ এই লেখাটাকে হাইজ্যাক করে ফেলেছি।

    তো, সত্যের খাতিরে বলে রাখি, লেখার শিরোনামে ভুল করে "জাঙ্গিয়ার গীত" পড়ে বেশ ঘাবড়ে গেছিলাম।

    তবে হ্যাঁ, এই বিপ্লব কাহিনির স্টার হচ্ছেন ঐ সুবেদার গিন্নি, যিনি সাহেবের বডি "... মাগুর মাছের মতো টুকরো টুকরো করে কম্বল দিয়ে বিছানায় ঢেকে ঘরে ফিরলেন প্রবল গর্বে ..." । এখনকার বলিউডি সিনেমার কাহিনীকাররা লুফে নিতে পারে এই প্লট।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন