এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ফরিদাবাদের শিক্ষা নিয়ে লাটাগুড়ির আবাসন প্রকল্প বন্ধ হোক 

    Dipankar Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২০ নভেম্বর ২০২২ | ১৬৮৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • শনিবার সকালে কলকাতার একটি ইংরেজি কাগজের ভাঁজ খুলতেই পাতাজোড়া রঙিন ঝকঝকে বিজ্ঞাপন দেখে স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। উত্তরবঙ্গের অরণ্যময় ডুয়ার্সের লাটাগুড়িতে উচ্চবিত্ত শহুরে নাগরিকদের ভোগবাদকে উস্কে দিতে ২০ একর জমিতে বিলাসবহুল আবাসন তৈরি হচ্ছে। দুপুরে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস কাগজের অনলাইন এডিশনে দেখলাম, ফরিদাবাদের বনভূমিতে বন কেটে বসত তৈরির উদ্যোগ নেওয়ায় ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল (এন জি টি) সেই রিয়ালটারকে ১০ কোটি টাকা জরিমানা করেছে।  অসাধু ব্যবসায়ী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাঁচ একর জমিতে অন্তত ৫০০ গাছ কেটে ফেলেছে। প্রতিটি গাছ কাটার জরিমানা দু' লাখ টাকা। ফরিদাবাদের এক সচেতন বাসিন্দা হায়দরাবাদের ওই প্রমোটারের বিরুদ্ধে মামলা করেন বছর দুয়েক আগেই। বন দপ্তর এফ আই আর করার পরেও বেপরোয়া সেই প্রমোটার গাছ কাটা বন্ধ করেনি। অবশেষে এন জি টি নির্দেশ দিয়েছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে জরিমানার টাকা জমা দিতে হবে এবং যত গাছ ধ্বংস হয়েছে তার দশগুন গাছ রোপন করতে হবে। লাটাগুড়ির এই প্রকল্প পরিবেশ সংরক্ষণের যাবতীয় চিন্তা-চেতনাকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে ছাড়পত্র পেল কী করে তা ভেবে শিউরে উঠছি। বিশ্বের তাপমাত্রা যখন বেড়ে চলেছে, আবহাওয়া পরিবর্তনের সর্বনাশা ফল যখন চারিদিকে ফুটে বেরোচ্ছে তখন পরিবেশ ধ্বংসের এই নির্লজ্জ প্রয়াসের প্রকাশ্য প্রচার বিমূঢ় করে দেয়। লাটাগুড়িতে আবাসন নির্মাণে কত অরণ্য ধ্বংস হবে, পরিবেশের ভারসাম্য কিভাবে বিনষ্ট হবে, পশুপাখির স্বাভাবিক বাসভূমি আরও কত সংকুচিত হবে তার বিস্তারিত খতিয়ান কে দেবে?  

    গত ২৭ অক্টোবর ফেসবুক লাইভে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দীপেশ চক্রবর্তীর কথা শুনছিলাম। তিনি সভ্যতার এই উচ্চাকাঙ্খার বিরুদ্ধেই সতর্ক করছিলেন।  খুব সহজ করে তিনি বোঝাচ্ছিলেন, মধ্যবিত্ত এবং তথাকথিত 'আপওয়ার্ডলি মোবাইল' মানুষের ব্যক্তিগত সাফল্যের সূচক এবং ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি কিভাবে পরিবেশের সার্বিক ক্ষতি ডেকে আনে।  রিয়েল এস্টেট বুমের দাপটে ২০০৭-১৭ সালের মধ্যে ভারতে বালির চাহিদা তিনগুন বেড়েছে।  কাজেই বালি খাদানের দুর্নীতি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে বিলাসবহুল বাড়িঘর বানাতে গ্রানাইটের চাহিদা মেটানোর জন্যে আরাবল্লি রেঞ্জের ৩০ টি পাহাড় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। 'ভোগবাদের এই সর্বনাশা গণতন্ত্রীকরণে' মানুষের ধারণা হয়েছে শহর মানে স্বাধীনতা। দীপেশবাবু জানিয়েছেন, ১৯৪৫ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার লাফিয়ে বেড়েছে ৮৭ শতাংশ। পৃথিবীকে, প্রকৃতিকে অস্বীকার করে সভ্যতার অহঙ্কার দেখানোর জেরে গত একশ বছরে কলকাতা ও ঢাকায় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ২ ডিগ্রি। আমরা যখন এতটাই নির্লজ্জ তখন বিবিসি-র খবরে দেখছি, রাষ্ট্রসঙ্ঘের আবহাওয়া পরিবর্তন সম্মেলনের (সি ও পি ২৭) আবহে উঠে এসেছে সবুজায়ন পুণরুদ্ধারে ইথিওপিয়ার মতো একটি অনুন্নত, ছোট্ট দেশের অসাধারণ সাফল্যের কাহিনী। চলতি বছরের মধ্যে দুই কোটি বৃক্ষ রোপনের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করে সেই দেশ ২০১৯ সালেই সংবাদ শিরোনাম দখল করেছিল। আনন্দের কথা, শুধু ফাঁপা প্রতিশ্রুতি নয়, ইথিওপিয়া সবুজায়ণের সেই লক্ষ্যমাত্রা ইতিমধ্যে ছাপিয়ে গেছে। পরিসংখ্যানে জানা যাচ্ছে, একদিনে ৩৫ লাখ গাছ লাগানোর রেকর্ডও অর্জন করেছে।  ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের 'গ্রিন লিগেসি ইনিশিয়েটিভ' কর্মসূচিতে সাগ্রহে শামিল অন্তত দু কোটি দেশবাসী। অরণ্য ধ্বংসের বিরুদ্ধে এবং প্রকৃতি সংরক্ষণের ব্যাপারে সেখানে ব্যাপক গণচেতনা গড়ে উঠেছে।  

        
    পূর্ব বর্ধমানের সিঙ্গি গ্রামে ক্ষেত্রপালতলা।  অরণ্য ধ্বংসের বিরুদ্ধে লৌকিক বিশ্বাসের ভিত্তিতে বৃক্ষ বন্দনার অনন্য ঐতিহ্য। 

    ফরিদাবাদের ঘটনায় এন জি টি-র নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে স্মরণ করা যেতে পারে, প্রাচীন ভারতীয় শাস্ত্রে প্রকৃতি সংরক্ষণের গুরুত্ব প্রচার করা হয়েছিল। বসুন্ধরা দিবসের সূচনা তো মাত্র ১৯৭৪ সালে। কিন্তু তার বহুকাল আগে ভারতের সংস্কৃত গ্রন্থ 'পদ্মপুরাণে' (৫৬-৪০-৪১) বলা আছে, গাছ কাটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ আর গাছ কাটলে বা তৃণভূমি ধ্বংস করলে ভবিতব্য নরকবাস। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে তো একেবারে নির্দিষ্ট জরিমানা ধার্য করা আছে। নগরের উপান্তের কোন উদ্যানে কেউ যদি কোন ফলের গাছ বা ছায়াদানকারী বৃক্ষের চারা নষ্ট করে তাকে জরিমানা হিসেবে দিতে হবে ছটি 'পনস' বা কাঁঠাল। সেই গাছের কচি ডালপালা ভাঙলে জরিমানা হবে এক ডজন কাঁঠাল। বড় শাখা-প্রশাখা ধ্বংস করলে জরিমানা এক লাফে বেড়ে হবে দু ডজন কাঁঠাল। আর সেই গাছের গুঁড়ি কাটলে বা পুরো গাছ ধ্বংস করলে সোজা আদালতের বিচার। সনাতন হিন্দু ধর্মে বৃক্ষ ও প্রকৃতি বন্দনার প্রশস্তির প্রকৃত লক্ষ্য হল, মানুষের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা জাগিয়ে তোলা। আমাদের পূর্বপুরুষেরা গাছ রক্ষা করা তাঁদের আবশ্যিক কর্তব্য বলে বিবেচনা করতেন। আর সে কারণেই প্রতিটি গাছের প্রতি তাঁরা আরোপ করতেন ধর্মীয় পবিত্রতা। তাই সমাজে খুব সহজেই গাছ হয়ে উঠেছিল ধর্মীয় আরাধনার বস্তু। এর দৃষ্টান্ত রয়েছে লোকাচারেও। অসমের বরাক উপত্যকার বিশিষ্ট গবেষক ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডঃ অমলেন্দু ভট্টাচার্যের কাছে শুনেছি, কাছাড় অঞ্চলে মধ্যযুগে প্রচলিত ছিল এমনই এক সামাজিক রীতি -- 'রূপসী ব্রত'। 'বারোমাসি গানে' এর উল্লেখ পাওয়া যায়। বাঙালি হিন্দু রমণীরা সন্তান জন্মের পর নবজাতককে বাড়ির কাছের কোন গাছের পদমূলে রেখে মনে মনে প্রার্থনা করতেন, "হে বৃক্ষ, তুমি যদি আমার সন্তানকে রক্ষা কর, তাহলে আমিও তোমাকে রক্ষা করব।" বাংলার বিভিন্ন প্রান্তেও কোন একটি বিশাল গাছকে 'ভৈরব বৃক্ষ' হিসেবে গ্রামের রক্ষাকর্তা বলে মান্য করার সামাজিক রীতি আছে। মনে করা হয়, রোগ-শোক-বিপদ-আপদ-প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সেই গ্রাম ও তার মানুষকে বাঁচিয়ে রাখবে ওই মহীরুহ। সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমায় মহাভারত রচয়িতা কাশীরাম দাসের ভিটেবাড়ি সিঙ্গি গ্রামে গিয়ে এমনই এক ভৈরব বৃক্ষ সামনাসামনি দেখার সুযোগ হল।  কয়েকশত বছরের প্রাচীন বটগাছটি যেখানে বহু শাখা মেলে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেটি ক্ষেত্রপালতলা নামে পরিচিত। মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর লেখায় জানা যায়, ১৮৮০-৮১ সালে তিনিও সিঙ্গি গিয়ে 'বড় জাগ্রত ক্ষেত্রপাল ঠাকুরের স্থান' দেখেছিলেন। প্রচলিত বিশ্বাস, ওই গাছের একটি পাতা ছিঁড়লেও শাস্তি অনিবার্য। স্থানীয় মানুষ যাবতীয় শুভ কাজে ক্ষেত্রপাল ঠাকুরকে পুজো দিয়ে থাকেন। প্রতি বছর আষাঢ় মাসে বিরাট মেলায় কয়েক লাখ লোকের সমাগম হয়।  লৌকিক আচারের মাধ্যমে বৃক্ষ ও প্রকৃতি সংরক্ষণের প্রতি মানুষের বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়।

    মানুষ যে নির্মম ভাবে সীমাহীন লোভে পরিবেশের স্বাভাবিক ছন্দকে ধ্বংস করেছে সেকথা আজ সকলে মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছে। বছরের বিশেষ একটি দিনে আনুষ্ঠানিক বৃক্ষ রোপনের রীতির প্রতি মর্যাদা প্রকাশ করেও স্মরণ করিয়ে দেওয়া যাক যে এর বহু আগে 'বনমহোৎসবে'র উল্লেখ রয়েছে বরাহপুরাণে। সদ্য করোনা মহামারীতে ভুক্তভোগী রোগ-ভয়ে সন্ত্রস্ত সমকালীন এই সমাজকে এও মনে করিয়ে দেওয়া অযৌক্তিক হবে না, প্রাচীন ভারতীয় শাস্ত্রে সমাজের কল্যাণের সঙ্গে বনস্পতির ওতপ্রোত সংযোগের মহিমা প্রচারিত হয়েছে। অরণ্য সংরক্ষণের গুরুত্ব বোঝাতে চরকসংহিতার 'বিমানস্থানমে' (৩-১১) স্পষ্টভাষায় সতর্ক করা হয়েছে, গাছ কাটলে, নির্বিচারে বন সাফ করলে তা বিরাট বিপদ ডেকে আনবে। পরিবেশ দূষণ ও বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটবে। গাছ কাটা ছিল রীতিমতো অপরাধ। আমাদের ছোটবেলাতেও দেখেছি, গ্রামাঞ্চলে মানুষের বিশ্বাস ছিল, শ্যাওড়া গাছে ভূত থাকে। কোনও গাছে ব্রহ্মদত্যি। সে সব গাছ কাটতে নেই। তেমনই আবার কোন কোন গাছের সঙ্গে ছিল দৈব সংযোগ। সুতরাং সেই গাছ কাটা পাপ।
     
    প্রকৃতি ও মানুষের ছন্দোবদ্ধ সহাবস্থানই প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতির মূল সুর। বেদ, উপনিষদ, স্মৃতি, ধর্মশাস্ত্রে ধরিত্রীকে নানাভাবে মাতৃরূপে বন্দনা করার কথা বলা হয়েছে। বৈদিক দর্শন, ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সেকালের ধর্মচর্চা বা লোকাচারের বিভিন্ন দৃষ্টান্ত থেকে বোঝা যায় প্রকৃতি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় নীতিবোধ তখনকার সমাজে সহজেই গড়ে উঠেছিল। 'নমলিঙ্গানুশাসন' বা বহুল পরিচিত 'অমরকোষে' বিভিন্ন গাছের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য চমৎকার ভাবে বোঝানো হয়েছে। পাশ্চাত্যের ফরেস্ট ম্যানেজমেন্টের প্রচলিত ধারণার সঙ্গে এর স্বাতন্ত্র্য লক্ষ্য করার মতো। 'অমরকোষে' বৃক্ষ, মহীরুহ, শাখী, পাদপ, তরু, অগম প্রভৃতির পৃথক সংজ্ঞা নিরুপণ করা হয়েছে। আবার চরক বলেছেন, ফলদায়ী গাছ হল বনস্পতি, যে গাছে ফুল ও ফল দুই-ই হয় তা হল বনস্পত্য। যে গাছ একবার ফল দিয়েই মরে যায় তা হল ওষধি। সুযোগ থাকলে পুঁতে ফেলুন একটা নিম গাছ, একটি পিপুল, একটি বট, দশটি ফুল-ফোটা গাছ বা লতা, দুটো ডালিম, দুটো কমলা আর পাঁচটা আম গাছ। বরাহপুরাণের (১৭২-৩৯) উপদেশ মতো এই কাজ করলে সমাজেরই মঙ্গল।

    নগরায়ণের বেপরোয়া দাপটে বোঝা যায়, প্রকৃতিকে লালন করার যে সহজাত নীতিবোধ অতীতে ছিল তা থেকে বর্তমান সমাজ পুরোপুরি বিচ্যুত। পরিবেশ কর্মী এবং শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন সব মানুষের উচিত সীমাহীন লাভের তাড়নায় প্রকৃতি নিয়ে এই বীভৎস ছিনিমিনি খেলার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বাড়িয়ে তোলা। প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২০ নভেম্বর ২০২২ | ১৬৮৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • একক | ২০ নভেম্বর ২০২২ ০০:৪২513902
  • লাটাগুরির লোকজন কী বলচে? ! 
  • hehe | 198.16.***.*** | ২০ নভেম্বর ২০২২ ০২:২৭513907
  • দীপেশ চক্কোত্তিকে লাটাগুড়িতে এসে থাকতে বলুন। শিকাগোতে বসে জ্ঞান মারাচ্ছে।
  • রাজা কুন্ডু | 2401:4900:3826:68a9:ea75:e1ac:3345:***:*** | ২০ নভেম্বর ২০২২ ১০:৪৮513924
  • অপূর্ব সুন্দর লেখা  ।  মানুষ নিজের আর তার পরবর্তী প্রজন্মের ধ্বংস করে চলেছে  ।  এখনও শুভবুদ্ধি র উদয় হলো না এটাই দূর্ভাগ্য
  • প্রতিভা | 115.96.***.*** | ২০ নভেম্বর ২০২২ ১২:০৭513930
  • শুভ বুদ্ধি!   খায় না মাথায় মাখে! এমনিতেই উন্নয়ন হবে ভেবে সবাই লাফায়। আর শর্ট টার্ম কিছু হয়ও বটে, রাস্তাঘাট, ছোটখাটো চাকরি। কিন্তু লং টার্মে যে কী সর্বনাশ আসছে তা নিয়ে বলার মতো লোক কই!  ভোটের ময়দানে শর্ট টার্মেরই জয়জয়কার। ফলে লাটাগুড়ি অন্য কিছু চাইলেও তা জোরদার হবে না, চাপা দিয়ে রাখা হবে। 
  • ডঃ অঞ্জনা মজুমদার গুপ্ত | 2409:4060:211:c3e:6d15:97d1:3ef1:***:*** | ২০ নভেম্বর ২০২২ ১৪:১২513940
  • কোন সংস্থা এই আবাসন তৈরী করছে ১ নং প্রশ্ন
    সেই সংস্থার কাছে পরিবেশ দপ্তরসহ সরকারী অনুমোদন আছে কি ? ২নং প্রশ্ন
    পরিবেশ ধ্বংস করে যেমন জলাশয়কে মাটি দিয়ে বুজিয়ে, বন অরণ্যসম্পদকে ধ্বংস করে বহুতল আবাস বা বিনোদনের ব্যবস্থা করা যাবেনা তার নির্দেশনামা ভারত সরকারের নথিপত্রে আছে।
    এতদসত্বেও যদি কোন প্রকল্প অনুমোদন পায় তাহলে তার মধ্যে হয় সকল নিয়মকে পালন করা হয়েছে নতুবা ব্যাপক অনিয়ম ও অন্যান্য কারণের সম্ভাবনা থেকেই যায়!! সেক্ষেত্র পরিবেশপ্রেমী জনমানসের মধ্যে সচেতনতা আবশ্যক - নমস্কার
  • অমিত চক্রবর্তী | 103.242.***.*** | ২০ নভেম্বর ২০২২ ১৮:০১513955
  • খুব দরকারি লেখা 
  • শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | 2607:fb91:2f9b:986e:cdde:56b9:fd19:***:*** | ২০ নভেম্বর ২০২২ ২২:৩০513959
  • খুব সময়োপযোগী এবং সমাজ সচেতন লেখা। ঐন্দ্রিলা আফতাব নিয়ে মাত্রাহীন আদিখ্যেতা করা খবরের কাগজগুলির উচিত,এই ধরনের লেখাকে উত্তর সম্পাদকীয় করা। তথ্য ও মূল্যায়নের ঠাস বুনটে এই লেখা কৃপাণের মতো ধারালো হয়ে উঠেছে। পূর্ণ সমর্থন ও অভিবাদন রইলো। 
  • হাবলু | 207.244.***.*** | ২০ নভেম্বর ২০২২ ২২:৩৭513960
  • শুভঙ্কর বাবু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনখানে থাকেন?
  • উফ | 185.22.***.*** | ২০ নভেম্বর ২০২২ ২২:৪৪513961
  • এই নন রেলেভ্যান্ট ইন্ডিয়ান গুলোকে নিয়ে আর পারিনা গ। নিজেদের কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানোর নামটি নেই ইদিকে লাটাগুড়ি নিয়ে পোস্ট এডিটের আব্দার চুলকে উটেচে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন