এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • এক বিস্মৃত বিপ্লব এবং শ্রীহট্ট-কাছাড়ের 'জঙ্গিয়ার গীত'

    Dipankar Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৩ আগস্ট ২০২৪ | ৮৫১ বার পঠিত
  • "জঙ্গিয়ায় কান্দেরে ও আল্লা বনর ঘাস খাইয়া।
    সুবেদার বা'দুরে কান্দইন ঐ দ্বীনর লাগিয়া।।" 

    হে আল্লা, যোদ্ধারা বনের ঘাস-পাতা খেয়ে কেঁদে মরে আর সুবেদার বাহাদুর কাঁদে ধর্ম প্রতিষ্ঠার আকুতিতে। শ্রীহট্ট-কাছাড়ের গ্রামাঞ্চলে এক সময় 'জঙ্গিয়ার গীতে'র জনপ্রিয় এই দুটি চরণ অহরহ শোনা যেত হাটে-বাজারে, মাঠে-ঘাটে, চাষি-শ্রমিকদের মুখে মুখে। 'জঙ্গ' অর্থাৎ যুদ্ধ আর তাই 'জঙ্গিয়ার গীত' হল যোদ্ধাদের গীত।  ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের যে আগুন বারাকপুর আর মীরাটে জ্বলে উঠেছিল তার স্ফুলিঙ্গ ঝলসে উঠেছিল চট্টগ্রামেও। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনের কাহিনী সবার জানা। কিন্তু চট্টগ্রাম কালেক্টরেটের কোষাগার  লুট করে জেল ভেঙে কয়েদিদের মুক্ত করে পার্বত্য রাজ্য জয়ন্তিয়ার উদ্দেশ্যে বিদ্রোহীদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা এবং মাঝপথে অসমের করিমগঞ্জ জেলার লাতুতে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের কথা অনেকটাই আজ বিস্মৃতির অন্তরালে।

    মহাবিদ্রোহের সময় বাঙালি শিক্ষিত সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ব্যক্তিগত অনুগ্রহ লাভের বাসনায় ছিল ব্রিটিশ পদলেহী। শিক্ষিত বাঙালিরা প্লেগের আতঙ্কের মতোই সিপাহী বিদ্রোহকে দেখতেন শঙ্কার দৃষ্টিতে। সমকালীন কবি সাহিত্যিকদের অনেকের বিবেচনায় নীরব থাকা ছিল লাভজনক। সেই উদাস নিরুচ্চারিতার সময় ছিল প্রকৃতপক্ষে যেন এক 'নিঃশব্দ মুহূর্ত'। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, বাঙালি অভিজাত শ্রেণীর এ হেন মনোভাবের বিপ্রতীপে মহাবিদ্রোহের আগুন তৃণমূল স্তরে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও উন্মাদনার সঞ্চার করেছিল। হাতে অস্ত্র নিয়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে রাস্তায় না নামলেও এই মহান বিদ্রোহ তাদের মনে জাগিয়ে তুলেছিল মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্খা।
     
    "কী হল রে জান / পলাশী ময়দানে উড়ে কোম্পানি নিশান" -- পলাশীর প্রান্তরে স্বাধীনতা হারানোর বেদনা পল্লী কবির চেতনায় সেদিন হাহাকার জাগিয়েছিল । সেই আর্তিই আবার সিপাহী বিদ্রোহের স্ফুলিঙ্গের স্পর্শে উজ্জীবিত হয়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে শামিল হতে মানুষকে উদ্দীপনা জুগিয়েছে। চট্টগ্রামের কোষাগার লুন্ঠন সেইরকমই একটি ঘটনা এবং তার আচমকা অভিঘাত জনমানসে এমনই আলোড়ন তুলেছিল যে সেটি অবলম্বন করেই রচিত হয়েছিল 'জঙ্গিয়ার গীত'। যে পল্লীগীতির পটভূমি ছিল চট্টগ্রাম থেকে শুরু করে সুরমা-বরাক উপত্যকা পর্যন্ত বিস্তৃত। মুক্তির স্বপ্ন এবং স্বপ্নভঙ্গের বেদনা সেই কাহিনীকে করে তুলেছে ভারি করুণ ও মর্মস্পর্শী।

    ২০২০ সালে কোভিড অতিমারীর পরিপ্রেক্ষিতে লকডাউন ঘোষণার ঠিক আগে মার্কিন দূতাবাসের কাজে গিয়েছিলাম অসমের বরাক উপত্যকায়। সেখানে গিয়েই লাতুর কথা প্রথম জানতে পারি। শিলচরে 'সেন্টিনেল' কাগজের বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বর্ষীয়ান অধ্যাপক জ্যোতিলাল চৌধুরী এবং অসম সরকারের 'আজান পীর' পুরস্কার প্রাপ্ত লোক-সংস্কৃতি গবেষক ডঃ অমলেন্দু ভট্টাচার্য লাতুর ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা জানিয়েছিলেন। তাঁদের বিবরণ শুনে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কুশিয়ারা নদীতীরে অবস্থিত ছোট একটি গ্রাম লাতুতে গিয়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের আকর্ষণ রোধ করতে পারিনি। ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের ঢেউ উত্তরপূর্বাঞ্চলের প্রত্যন্ত সেই অঞ্চলটিতেও আছড়ে পড়েছিল।

    ১৮৫৭ সালে শ্রীহট্টে ব্রিটিশ ডেপুটি কমিশনার আর ও হেউডের আমলে স্থানীয় জনগণ এক সন্ত্রাসজনক পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছিল। বারাকপুর ও মীরাটের বিদ্রোহের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটিশ সরকার সর্বত্র বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্যে তৎপর হয়ে ওঠে। বিদ্রোহ নিয়ে নানা গুজবও ছড়াচ্ছিল। নিরাপত্তার কারণে হেউড তাঁর স্ত্রীকে চেরাপুঞ্জি পাঠিয়ে দেন। অবশ্য শ্রীহট্ট-কাছাড়ের পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট আর স্টুয়ার্ট কলকাতায় বেঙ্গল গভর্নমেন্টের সেক্রেটারিকে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিলেন, ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বিদ্রোহ কাছাড়ের সাধারণ জনমানসে কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেনি -- "all remains quiet in Cachar”.  কিন্তু সেই শান্তি বেশিদিন বজায় থাকেনি। ব্রিটিশ প্রশাসন স্থানীয় মানুষের বিদ্রোহী চেতনার আভাস তখনও আঁচ করতে পারেনি। ওই বছরই ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রামে ৩৪ নেটিভ ইনফ্যান্ট্রির তিনশ সৈনিক বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। কালেক্টরি থেকে ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৬৭ টাকা লুট করে তিনটি হাতি নিয়ে এবং জেলখানা ভেঙে কয়েদিদের মুক্ত করে তারা ফেনী নদী পেরিয়ে ত্রিপুরার দিকে পালিয়ে যায়। যাবার আগে সেনা ছাউনি ও অস্ত্রাগারে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছিল হাবিলদার রজব আলি খান। বিদ্রোহীদের ধারণা ছিল তারা হয়ত স্বাধীন ত্রিপুরা রাজ্যে আশ্রয় পাবে। কিন্তু তার আগে চট্টগ্রাম থেকে ব্রিটিশ প্রশাসন ত্রিপুরার মহারাজা ও উপজাতি নেতাদের কাছে বার্তা পাঠিয়ে বিদ্রোহীদের ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়। কাজেই বিদ্রোহীরা সেখানে বাধা পেয়ে কুমিল্লার দিকে এগিয়ে শ্রীহট্টের দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্য এলাকায় আত্মগোপন করে। লুট করা সম্পদের একটা বড় অংশ এবং তিনটি হাতি তাদের হাতছাড়া হয়। শ্রীহট্টের উপকণ্ঠে মৌলবীবাজার অঞ্চলে লংলার জমিদার মৌলবী আলি আহম্মদ খাঁয়ের বৃদ্ধ পিতা ধর্মপ্রাণ গৌছ আলি খাঁয়ের থেকে বিদ্রোহীরা রসদ আদায় করে। এরপরে লংলা বাজার লুট করে বিদ্রোহীরা পৌঁছে যায় কাছাড়, ত্রিপুরা ও বাংলা সীমান্তে প্রতাপগড়ে। সেই জায়গাটিই আজকের করিমগঞ্জ। সেখান থেকে তারা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে আরও উত্তর দিকে লাতুর পথে এগিয়ে যায়। সেই সময় লাতুই ছিল করিমগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র। অন্যদিকে চট্টগ্রামের পলাতক বিদ্রোহীদের ওপর ব্রিটিশ সরকার নজর রেখেছিল। বোর্ড অব রেভেনিউয়ের মেম্বার মিস্টার অ্যালেনের নির্দেশে সিলেট লাইট ইনফ্যান্ট্রির কম্যান্ডান্ট মেজর বিং বিদ্রোহীদের গতিরোধ করতে ১৬০ জন সৈনিক নিয়ে মাত্র ২৬ ঘন্টায় ৮০ মাইল পথ পেরিয়ে প্রতাপগড়ে এসে ঘাঁটি গাড়েন। শ্রান্ত সেনারা তখন সবে রান্নার আয়োজন করছিল। এমন সময় খবর আসে বিদ্রোহীরা লাতুর দিকে অগ্রসর হয়েছে। প্রতাপগড়ের জমিদার তাঁর এক প্রজা কালামিয়াকে দিয়ে বিদ্রোহীদের গতিবিধির খবর ব্রিটিশদের জানিয়ে দিয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে মেজর বিং সেনাদের লাতু যাওয়ার আদেশ দেন। অচ্যুতচরণ চৌধুরী এই ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে তাঁর 'শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত' গ্রন্থে লিখেছেন, সেনারা অর্ধসিদ্ধ অন্ন ত্যাগ করে যাত্রা করল।

    চট্টগ্রামের ঘটনার ঠিক এক মাসের মাথায় লাতুর বাজারের কাছে বিদ্রোহীদের সঙ্গে ব্রিটিশ সৈন্যের মোলাকাত হয়। বিদ্রোহীরা কুশিয়ারা নদীর পারে মালেগড় টিলায় আশ্রয় নিয়েছিল। বিদ্রোহীরা তখন দুর্বল। অনাহারে ও পরিশ্রমে ক্লান্ত। কিন্তু তাদের মনোবল ছিল অটুট। ব্রিটিশ বাহিনীর স্বদেশি সেনাদের মধ্যে জাতীয় চেতনা জাগাতে তারা অস্ত্রত্যাগ করার আহ্বান জানায়। ব্যর্থ হয়ে তাদের খ্রিস্টানের কুকুর, বিশ্বাসঘাতক ও গোলাম বলে গালাগালি করে। অবশেষে দু-পক্ষের মধ্যে তুমুল লড়াই শুরু হয়। ব্রিটিশ সৈন্যের অবস্থান ছিল নদী তীরে নিচে। টিলার ওপর থেকে চালানো বিদ্রোহীদের গুলিতে মেজর বিং সহ আরও পাঁচ সৈন্য নিহত ও একজন গুরুতর আহত হয়। এরপর লেফটেনান্ট রসের নেতৃত্বে ব্রিটিশ সেনার  আক্রমণে ২৬ বিদ্রোহী শহীদ হয়। বাকিরা পাহাড়-জঙ্গল, নদী-বাওড়ের মধ্যে দিয়ে পালিয়ে যায়। লেফটেনান্ট রস বিদ্রোহীদের জঙ্গলের পথে তাড়া না করলেও কয়েকদিন পরে আবার কিছু দলছুট বিদ্রোহীদের সঙ্গে তাঁদের লড়াই হয়। তাতে বিদ্রোহীরা পুরোপুরি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং অনেকে অনাহারে এবং রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এরপরে কিছু বিদ্রোহী ভুবন পাহাড় পেরিয়ে মণিপুরে প্রবেশ করে মণিপুরি রাজপুত্র নরেন্দ্রজিৎ সিংহের সঙ্গে সন্ধি করে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যায়। কিন্তু তার আগে আরও কিছু বিদ্রোহীর সঙ্গে ব্রিটিশদের সংঘর্ষ হয় কাছাড়ের কাছে বিন্নাকান্দিতে। সেখানে ১৮ জন শহীদ হয়। এছাড়াও বেশ কিছু বিদ্রোহী ব্রিটিশদের অকথ্য অত্যাচারের শিকার হয়। অনাহার, অভাবের তাড়নায় বিদ্রোহী দলে অনেক মহিলা ও শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।

    চট্টগ্রামের এই বিদ্রোহ ও তাদের পরাজয়ের গাথাই প্রতিফলিত হয়েছে 'জঙ্গিয়ার গীতে'। সেই কাহিনী অনুযায়ী চট্টগ্রামে ব্রিটিশ বাহিনীর এক মুসলমান সুবেদারের ছেলের ছিল 'আকিকা' অনুষ্ঠান -- হিন্দু পরিবারে অন্নপ্রাশনের মতো। শুক্রবারের দুপুরে নামাজের পর ভোজসভায় সব মুসলমান সৈনিকের আমন্ত্রণ। চোদ্দজন বাবুর্চি রান্না করছে। বাংলোয় বসে খবর পেয়েছেন ব্রিটিশ ফৌজের ছোট কর্তা। তিনি নিমন্ত্রণ না পেয়ে অপমানিত। বেয়ারা আশ্বস্ত করে বলে, নামাজ শেষ হলে সাহেবের জন্যে লোক মারফত 'শিরণী' আনানো যাবে। কিন্তু তার তর সয় না। ওই সুবেদারের স্পর্ধা বরদাস্ত করতে না পেরে ছোট সাহেব উন্মত্ত হয়ে টাট্টু ঘোড়ায় চেপে হাজির হল অনুষ্ঠানস্থলে। সেই মুহূর্তে তার মাংস চাই। এদিকে নামাজের আগে খাবার দেওয়া যাবে না। ফলে ছোট সাহেব রাগে গজরাতে গজরাতে রান্নাঘরে ঢুকে সব আয়োজন নষ্ট করে, ডেগের গায়ে লাথি মেরে, থুতু ছিটিয়ে এলোপাথাড়ি চাবুক মেরে সে তার বাংলোয় ফিরে গেল। ওদিকে অনুষ্ঠান পন্ড ও অপবিত্র করার কথা জানতে পেরে সুবেদার গিন্নি রণরঙ্গিনী মূর্তি ধরে ঘটনার প্রতিশোধ নিতে সাহেবের বাংলোয় পৌঁছলেন একহাতে ঢাল, অন্য হাতে তরবারি নিয়ে। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বিসমিল্লা বলে হুঙ্কার দিয়ে এক কোপে মাথা উড়িয়ে দিলেন সাহেবের। দেহ মাগুর মাছের মতো টুকরো টুকরো করে কম্বল দিয়ে বিছানায় ঢেকে ঘরে ফিরলেন প্রবল গর্বে। অত্যাচারী ইংরেজকে হত্যা করে তিনি জেহাদ ঘোষণা করলেন, 'নিশ্চয় করিব জাঙ্গাল চাটিগাউ শহর' -- গোটা চট্টগ্রাম শহরকে আজ নিশ্চিত শ্মশানে পরিণত করব। আর এভাবেই ছড়িয়ে পড়ল বিদ্রোহের আগুন। আবার সব শেষে বিদ্রোহীদের পরাজয়ের গ্লানিও ফুটে উঠেছে সকরুণ ভাবে -- "ভাগিল জইঙ্গা সিপাই মনে আইল দুখ।  / কী দিয়া করিতাম আমরা ছাড়িয়া গেছে সব।। / কান্দিয়া কুটিয়া তারা করিল গমন।  / যে যেবায় পারে তার বাঁচাইতে জীবন।।"

    উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাহাড়, জল, জঙ্গলে ঘেরা প্রতিকূল পরিবেশে এই বিদ্রোহীদের আত্মত্যাগ ও অবদানের দৃষ্টান্ত ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায়। সেই ঘটনার কথা আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়। লোকমুখে প্রচলিত এই সব গাথা সংকলন করেছিলেন অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুবীর কর তাঁর লেখা 'মহাবিদ্রোহের দ্রোহগাথা: জঙ্গিয়ার গীত' গ্রন্থে। এখন সেই বই দুষ্প্রাপ্য। এছাড়া আকাশবাণী শিলচর কেন্দ্র একসময় ১৩ টি পর্বে এই ঐতিহাসিক কাহিনী সম্প্রচার করেছিল। দূরদর্শন কেন্দ্র তৈরি করেছিল একটি তথ্যচিত্র। দেশের মূল প্রবাহের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মনস্তাত্ত্বিক ব্যবধান কমাতে আকাশবাণী ও দূরদর্শনের উচিত ওই অনুষ্ঠানগুলি স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের আবহে নতুন করে সকলের গোচরে নিয়ে আসা।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৩ আগস্ট ২০২৪ | ৮৫১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • dc | 2a02:26f7:d6cc:680d:0:ac30:8bd7:***:*** | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০৯:৪৭536362
  • আমিও প্রথম দুবার জাঙ্গিয়ার গীত পড়েছি। এলসিএমদা সাহস দিল বলে বলতে পারলাম। 
  • NRO | 165.124.***.*** | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ১০:০৯536363
  • অত চাড্ডি চাড্ডি বলতে বলতে আপনারা এখন জ শুনলেই জাঙ্গিয়া দেখছেন। এর পরে হবে ল এ লাঙ্গটিয়া বা তার পর ন এ নেংটি। 
  • প্রণব কুমার চ্যাটার্জী | 2401:4900:6314:8e65:b260:d024:67bb:***:*** | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৪৬537496
  • আকাশবাণী শিলচরে কর্মরত অবস্থায় এই জঙ্গিয়া গীতের কথা জানতে পারি। যতটা জেনেছিলাম তার চেয়ে অনেক বিস্তারে জানলাম দীপুর এই স্বভাবজ তথ্যসমৃদ্ধতা থেকে। অসাধারণ  লিখেছো, মুছে যাওয়া দিনগুলির বেদনার গীতিকথা।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন