এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বাংলাদেশ পরিস্থিতি - আমার ভাবনা 

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৮ জুলাই ২০২৪ | ৫৪৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • আমরা যখন বড় হই তখন বিএনপি জামাত ক্ষমতায়। ৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় তবুও দাপট ছিল বিরোধী দলের। ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসল বিএনপি জামাত জোট। এইটা এখন বলে বুঝানো যাবে না যে একটা দল বা জোট জিতে কেমন বিভীষিকা চালাতে পারে দেশ জুড়ে। শত শত হিন্দুদের বাড়িতে আক্রমণ হল, লুট হল, ধর্ষণ হল। পূর্ণিমা ধর্ষণ সেই সময়ের আলোচিত ঘটনা। যার মা ধর্ষকদের বলেছিল বাবারা তোমরা একজন একজন করে আস, আমার মেয়েটা ছোট! উফ! কী কুৎসিত সময়! আমারা এই সব দেখে সহজেই আমাদের পথ  ঠিক করে নিতে পারছিলাম। ওই দল, ওই জোট আমাদের না এইটা পরিষ্কার বুঝে গেছিলাম। এর আগ পর্যন্ত  বুঝিনি, এইটা একটা দল ওইটা আরেকটা দল, এই তো! তীব্র ঘৃণা তৈরি করে দিতে সাহায্য করছিল সেই সময়ের জামাত বিএনপি জোটের সব কাজকর্ম।

    এরপরে দেখলাম জামাতের শীর্ষ নেতাদেরকে মন্ত্রী বানানো হল। তারা আবার চিহ্নিত রাজাকার। আমার মনে আছে আমাদের শেরপুরের নিউ মার্কেট মোড়ে বিশাল জন সমাবেশ। কামরুজ্জামানের সাথে কে কে ছিল মনে নাই তবে আলী আহসান মুজাহিদ ছিল। তার সে কী আস্ফালন! সরাসরি হুংকার দিচ্ছিল মাইকে। এইটা ২০০৮ সালের নির্বচনের সময়ের ঘটনা সম্ভবত। আমাদের বিচার করবে? করেন কত সাহস আছে আপনাদের! এমন সব কথা। এগুলাও আমাদেরকে, আমাকে পথ খুঁজে নিতে সাহায্য করছে। এগুলা দেখে শুনে বড় হয়েছি। এখন আমার বুক সেলফে যত বই আছে তার মধ্যে অনেকখানিই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের উপরে বই। মুক্তিযুদ্ধের বই পড়ার একটা কারণ জাফর ইকবাল। তিনি একটা লেখায় লিখেছিলেন যে অল্প বই পড়ে যদি মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে চায় কেউ তাহলে এই চারটি বই পড়তে হবে, বলে তিনি চারটি বইয়ের নাম দেন। আমি যখন বই কেনা শুরু করলাম, তখন ওই লিস্ট ধরে চারটা বই কিনে নিলাম। এই শুরু হল আমার মুক্তিযুদ্ধের উপরে বই পড়া।
    বিএনপি জামাতের আমলে পুরো দেশ জুড়ে বোমা হামলা হল, সিনেমা হলে বোমা হামলা হল, রমনা বটমূলে বোমা হামলা হল, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হল! বিএনপি সরকার সব ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে গেল। দেশে কোন জঙ্গি নাই, সব মিডিয়ার সৃষ্টি এই সব বলা হল। এগুলা দেখতে দেখতে বড় হলাম আর এই সবও এই জোট, এই দলের প্রতি ঘৃণা তৈরি করতে সাহায্য করল।

    আমাদের প্রজন্মের অনেকের গল্পই এমন। কিন্তু সত্য হচ্ছে সময় বয়ে গেছে অনেকখানি। ২০০৮ সালে যে জন্ম নিয়েছে তার বয়স কত এখন? সে তো আগের কোন কথাই জানে না। তার জানার প্রয়োজন নাই। সে কেন আগে বিএনপি জামাত অত্যাচার করছে সেই গল্প শুনবে? সে দেখে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায়, নানা নয় ছয় করছে আওয়ামীলীগ। যে ছেলে ২০১৪ সালে এসএসসি দিয়েছে সে এখন কী করে? সে দেখে সব শোষণ আওয়ামীলীগই করছে। তাদের নেতারাই লুটপাট করে খাচ্ছে। সব দোষ আওয়ামীলীগের। এই প্রজন্মের কাছে বর্তমানটাই শেষ কথা। সর্বশেষ ১৩ সালে গণজাগরণ মঞ্চের সময় কেউ কেউ আবার একটু চেতনা ফিরে পেয়েছিল। এরপরেও পার হয়ে গেছে প্রায় এক যুগ। তো যেটা হয়েছে তা হচ্ছে আমরা যেমন ওই সময় বিএনপি জামাত সম্পর্কে তীব্র ঘৃণা নিয়ে বড় হয়েছিলাম, এখনকার এই বাচ্চা বাচ্চা পুলাপান এরা আওয়ামীলীগের প্রতি ঘৃণা নিয়ে বড় হচ্ছে, হয়েছে। হওয়ার ম্যালা কারণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, করবে না কেন?

    মুক্তিযুদ্ধ আওয়ামীলীগের কাছে এখন স্রেফ একটা হাতিয়ার, তারা মনে করে যখন প্রয়োজন পড়বে তখনই তারা এই হাতিরার ব্যবহার করবে। যদি সত্য সত্যিই মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাবান হত তাহলে জামাত এতদিনে নিষিদ্ধ হত, শিবির নিষিদ্ধ হত। এদেরকে লালন করাই হচ্ছে বিভিন্ন সময় এই সব জামাত শিবিরের কাজ বলার জন্য। ঢালাও ভাবে বলে যাও সব জামাত শিবিরের কাজ। দেশে যদি জামাত শিবির নিষিদ্ধ হয়, তাহলে তখন কার কথা বলবে? তাই নিষিদ্ধ করে দিব, করে দিব বলা হয় কিন্তু নিষিদ্ধ আর করা হয় না।

    মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি বলে গর্ব করে সব সময় অথচ সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের একটা তালিকা পর্যন্ত করতে পারে নাই। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা দিয়ে পূর্ণ তালিকা! অসাম্প্রদায়িকতা এখন আওয়ামীলীগের একটা বুলি মাত্র! দেশ  স্বাধীন হওয়ার সময় ইসলামিক দুনিয়া থেকে প্রবল চাপ আসছিল দেশকে ইসলামিক রিপাবলিক হিসেবে  ঘোষণা করার জন্য। বঙ্গবন্ধু প্রবল চাপ  উপেক্ষা করে ধর্ম নিরপেক্ষতা ধরে রাখলেন। সেই দেশের সংবিধানের বর্তমান অবস্থা কী? অথচ জিজ্ঞাস করে দেখুন, অসাম্প্রদায়িক বলে নিজেদের জাহির করতে  একটুও দ্বিধা করে না এরা!    

    যেটা বলছিলাম, বর্তমান এই পরিস্থিতি আরও তীব্র করে তুলল এই ঘৃণা। সরকার নতুন প্রজন্মের কাছে আর যেতে পারবে কি না আমার সন্দেহ আছে। মহা পরাক্রমশালি আওয়ামীলীগ সরকারকে এই যন্ত্রণা নিয়েই চলতে হবে। ২০৪১ সাল পর্যন্ত যে ভিশন দেখানো হচ্ছিল তাতে এই আন্দোলন বড় ধাক্কা হয়ে লাগবে।  এবার কোনমতে উত্তরে গেলেও কতদিন টিকে থাকতে পারবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
    আমাদের হচ্ছে মহা বিপদ। আমরা যারা আওয়ামীলীগের কেউ না, কিন্তু নৈতিক সমর্থন দিয়ে গেছি সব সময়। এই আন্দোলনে জাতির পিতা ইব্রাহিম, বঙ্গবন্ধু ঘোড়ার ডিম স্লোগান দেওয়া হয়েছে, এই আন্দোলনে আমি রাজাকার বলে স্লোগান দেওয়া হয়েছে, এখন দেখছি বর্তমান সংঘর্ষের মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বলা হচ্ছে দেখুন, এতদিন আমাদেরকে কী মিথ্যা পড়ানো হয়েছে, ত্রিশ লক্ষ শহীদ মুখের কথা?  মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে! এই সবই অসমর্থন যোগ্য কিন্তু তাই বলে ২০৭টা লাশ! ( গতকালের প্রথম আলো অনুযায়ী) এতগুলা মৃত্যু সব ম্লান করে দেয়, এগুলার কোনটাই একটা লাশের সমানও না!

    বিপদ এখানেই শেষ না,  বাংলাদেশ যে গ্যাঁড়াকলে পড়েছে তা থেকে উত্তরণের জন্য আবার আওয়ামীলীগের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে! কারণ এখন দেশের এই অবস্থায় অন্য যে কোন কিছুই বিপদের মাত্রা বাড়াবে বই কমাবে না। আবেগে অনেক কিছুই মনে হতে পারে কিন্তু মুশকিল হচ্ছে এইটাই সত্য। আর এই সত্যটা বড় ভয়ানক সত্য। চোরাবালিতে আটকা বাংলাদেশ, কৌশলী না হলে, হুড়োহুড়ি করলে ডুবে যাওয়া ত্বরিত হবে আরও! আনিসুল হকের অন্ধকারের একশ বছর আবার প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে। বড় চিত্রটা দেখতে না পেলে বিপদ। দুনিয়া শুধুই সাদা কালো না, বাস্তব দুনিয়ায় ভালো খারাপের সংজ্ঞা বড় বিচিত্র। বাংলাদেশের জন্য এইটা আরও বড় রকমের বিচিত্র!

    কী হবে না হবে আমি জানি না। আমিই কী করব তাও জানি না। আমি এইসবে অভ্যস্ত না। আমার জ্ঞান বুদ্ধি থমকে যাচ্ছে। অসহায় লাগছে নিজেকে। আমার নিজের জন্য এখনকার চাওয়া হচ্ছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চাওয়াটাই -

    'তোমার লেখনী যেন ন্যায়দণ্ড ধরে
    শত্রু মিত্র নির্বিভেদে সকলের 'পরে।
    স্বজাতির সিংহাসন উচ্চ করি গড়ো,
    সেই সঙ্গে মনে রেখো সত্য আরো বড়ো।
    স্বদেশেরে চাও যদি তারো ঊর্ধ্বে ওঠো,
    কোরো না দেশের কাছে মানুষেরে ছোটো।'

     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৮ জুলাই ২০২৪ | ৫৪৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • . | ২৮ জুলাই ২০২৪ ০৫:৩৫535455
  • কঠিন সময়। একটা ট্র্যানজিশন চলছে বলে মনে হচ্ছে। দেখা যাক।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:9c30:e697:a9a9:***:*** | ২৮ জুলাই ২০২৪ ০৮:০৩535456
  • পূর্ণিমার ঘটনা ছিল হুমায়ুন আজাদের আইকনিক বই 'পাক সার জমিন সাদ বাদ' -এ । এই বই এর জন্য ওকে মৌলবাদীদের চাপাতির আঘাত সইতে হয়। 
    জানি না আজকের তরুণ প্রজন্ম এ  বই আর পড়ে কিনা 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:9c30:e697:a9a9:***:*** | ২৮ জুলাই ২০২৪ ০৮:০৭535457
  • শরীফ, ২০১৮-র কোটা বিরোধী আন্দোলনের চরিত্র  কেমন ছিল - কেউ মারা গিয়েছিল কি  ? 
  • Guru | 2409:4060:218d:bee3:eb23:4b9a:8480:***:*** | ২৮ জুলাই ২০২৪ ০৯:২৬535462
  • শরিফ ,                                                                           বাংলাদেশে সুধু সরকারী হিসেবেই বলছে যে , প্রায় ১ কোটি তিরিশ লক্ষ শিক্ষিত বেকার l যে বাংলাদেশ দুনিয়ার মধ্যে চীনের পরেই সবচেয়ে বড় গার্মেন্টস এক্সপোর্টার , সেখানে এতো শিক্ষিত বেকার কোত্থেকে এলো ? আসলে বাংলাদেশে এতো এতো শিক্ষিত বেকার তারপরে সবার হাতেই মোবাইল চলে এসেছে এবং সবাই দেশে inequality এই ব্যাপারে জেনে গেছে এটাই চিন্তার কারণ l 
  • কিংবদন্তি | ২৮ জুলাই ২০২৪ ১০:১১535463
  • অরণ্য দাদা, না, যতদূর মনে পড়ছে ২০১৮ সালের আন্দোলনে কেউ মারা যায়নি। 
    এবার এই আন্দোলন দানা বাধতেই  এইটা কব্জা করার জন্য জামাত বিএনপি তৈরি ছিল। সরকার এই ফাঁদে পা দিয়ে সর্বনাশ করেছে। সরকারের বড় ব্যর্থ অংশ হল গোয়েন্দা বিভাগ। এত বড় একটা আয়োজনের কিছুই জানত না তারা। জানলে তার এইটা এতদূর আসত না। 
  • Guru | 2401:4900:735a:c7db:d67e:248f:744f:***:*** | ২৮ জুলাই ২০২৪ ১০:২১535464
  • শরিফ ,                                                                                       জামাতের সঙ্গে সঙ্গে কি ছাত্রলীগ আর যুবলীগকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত সরকারের ? আপনার কথা অনুযায়ী এরাই কিন্তু দায়ী এই বারের ছাত্রদের উপরে অত্যাচারের l কাজেই হাসিনা কি ছাত্রলীগ আর যুবলীগকে ব্যান করবেন ? 
  • কিংবদন্তি | ২৮ জুলাই ২০২৪ ২২:৫৭535480
  • জামাত শিবির এই আন্দোলনের জন্য নিষিদ্ধ হবে না। জামাতের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভূমিকা, ইসলামি ছাত্র শিবিরের ভূমিকার জন্য নিষিদ্ধের দাবী বহু আগে থেকেই ছিল। আমাদের ১৯৭২ সালের সংবিধান অন্যতম স্মার্ট একটা সংবিধান ছিল। তাতে এই সমস্ত ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল গুলো নিষিদ্ধ ছিল। সংবিধানে ছিল কোন  দল রাজনৈতিক কারণে ধর্মকে ব্যবহার করতে পারবে না। এই ধারায় জামাত নিষিদ্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়াও দুনিয়ায় কোথায় সম্ভবত স্বাধীনতার বিরুদ্ধে থাকার পরে ওই দল আবার ওই দেশেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছে এমন নজির নাই! জামাত নিষিদ্ধ ছিল এই দেশে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে আবার সগৌরবে ফিরে আসে তারা। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:f022:55f7:5e1d:***:*** | ২৯ জুলাই ২০২৪ ০০:৪২535487
  • 'আমাদের ১৯৭২ সালের সংবিধান অন্যতম স্মার্ট একটা সংবিধান ছিল'- ঠিক কথা । 
     
    মুক্তিযুদ্ধের সময় জামাতের ভূমিকা আমরা জানি। আর তার বহুদিন পরেও জামাতের ভূমিকা কিছু বদলায় নি। শরিফের লেখা থেকেই - 
     
    '২০০১ সালে ক্ষমতায় আসল বিএনপি জামাত জোট। এইটা এখন বলে বুঝানো যাবে না যে একটা দল বা জোট জিতে কেমন বিভীষিকা চালাতে পারে দেশ জুড়ে। শত শত হিন্দুদের বাড়িতে আক্রমণ হল, লুট হল, ধর্ষণ হল। পূর্ণিমা ধর্ষণ সেই সময়ের আলোচিত ঘটনা। যার মা ধর্ষকদের বলেছিল বাবারা তোমরা একজন একজন করে আস, আমার মেয়েটা ছোট! উফ! কী কুৎসিত সময়!'
     
    - জামাত কে কেন নিষিদ্ধ করা উচিত, যে কোন ধর্মীয় মৌলবাদী দল বা সংগঠনকে  কে কেন নিষিদ্ধ করা উচিত , তা ওপরের পংক্তি গুলো পড়লেই বোঝা যায় 
  • Guru | 2409:4060:218d:bee3:5b69:8bd2:75ee:***:*** | ২৯ জুলাই ২০২৪ ০৯:৩৬535498
  • @অরণ্য দা,  @শরীফ ,                                                                                                           জামাত শিবির ব্যাপার নিয়ে আমি যতদূর জানি বাংলাদেশের গত তিনটি নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণ করতেই দেয়নি সরকার l ইলেকশন কমিশন ও সুপ্রিম কোর্টেও তাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে অনেকদিন আগেই l তাহলে শরীফ আবার কি ভাবে এদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করা  হবে ? ?  তবে হ্যাঁ ছাত্রলীগ ও যুবলীগ এদুটো দল যাঁদের জন্যই এই আন্দোলন হিংসাত্মক হয়ে উঠেছিলো , ২১০ জন নিরীহ মানুষের প্রাণ যাদের জন্যই গেছে তাদের অবশ্যই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত l আমি তো বলবো , ২০৪১ সাল অব্ধি হাসিনা সরকারের সবরকম ছাত্র রাজনীতিও নিষিদ্ধ করা উচিত l                                                     
  • কিংবদন্তি | ২৯ জুলাই ২০২৪ ১৬:০৭535512
  • guru, আপনে নিবন্ধন বাতিল আর নিষিদ্ধ এক করে ফেলছেন। দুইটা দুই জিনিস। জামাতের নিবন্ধন বাতিল করেছে, কিন্তু জামাত নিষিদ্ধ কোন দল না। 
     
    ছাত্র রাজনীতি তো বাতিল করাই উচিত। কিন্তু আমাদের তো বিপদের শেষ নাই। ছাত্র শিবির কীভাবে কাজ করে কোন ধারণাই নাই অনেকের। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ থাকবে না। কোন ছাত্র সংগঠন থাকবে না। তারপরেও শিবির থাকবে। তখন শিবির আরও ভালো ভাবে থাকবে, কীভাবে? শিবির থাকবে ভোল পাল্টে। শিবির ছাত্রদের নামাজের দাওয়াত দেয়, ছাত্রদের ডেকে নিয়ে যাবে নামাজে। গরিব ছাত্রদের সাহায্য করবে, টাকা পয়সা দিবে, ধর্মের বানী শোনাবে। এরপরে একটা সময় পরে বলবে আজকে নামাজের পরে আলোচনা হবে, থাইকো। ওরা থাকবে, ধর্মীয় আলাপ করবে। রোজায় ইফতার করাবে। আস্তে ধীরে ধীরে গ্রাস করবে। এরপরে অন্যায় জুলুমের কথা শোনাবে। আপনের দেশ ভারত সব নিয়ে নিলো, এখন দেশ ভারতের একটা অঙ্গরাজ, আমরা কী এই স্বাধীনতা চেয়েছিলাম! শেষ, কেস ডিসমিস!  সাম্য অবস্থা ধরে রাখার জন্য ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগকে রাখতে হয়, হচ্ছে। আপনে না হলে শিবিরকে আটকাতে পারবেন না। কেউ কাওকে মসজিদে নামজের জন্য ডাক দিবে আপনে না করবেন কীভাবে? এরা এত সূক্ষ্ম ভাবে কাজ করে ধরা মুশকিল। নতুন ভর্তি হাওয়াদের এক বছর  হয়ত খালি নামাজই পড়াবে আর খাওয়াবে। ক্যাম্পাসে কেউ হুট করে নামাজি হয়ে গেলে মানুষ সন্দেহ করে এইটা হচ্ছে বাস্তবতা এখানের। আমি ছাত্রলীগ যা করে, করছে এগুলার কোনটাই সমর্থন করছি না। কিন্তু আমি এই বিষয় গুলা জানি, তাই জানি যে এই কারণে হলেও ছাত্রলীগকে ক্যাম্পাসে থাকতে হবে। 
     
    ভাই, আমরা যে কোন জ্বালায় জ্বলছি এইটা যে কীভাবে বুঝাই!  
  • খ্যাক | 2a0b:f4c2:1::***:*** | ২৯ জুলাই ২০২৪ ১৬:২৫535513
  •  গোলায় নি এই গুরু মালটা ছাগু। টিপিকাল ছাগু লাইনে শিবির আর লীগকে এক করে  দেখানো চামে চিকণে লীগকে বাতিল ব্যান করার দাবি হাওয়ায় ভাসানো এদের কাজের ধারা। শিবির কিভাবে থাকে তা ভালোই জানে গুরুছাগু। ওইটা ন্যাকাচোদাচ্ছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন