এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  খেলা

  • ফাস্ট বোলার “ডেমন মীনা” : ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের বিস্মৃত এক পথিকৃৎ ....

    সুচেতনা লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | খেলা | ১৫ জুলাই ২০২৪ | ৪৩৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৩ জন)
  • “ ওঃ নো! ডেমন মীনা আগেইন! ও যাতে এই ম্যাচে অন্তত খেলতে না পারে সে ব্যবস্থা আমাদের করতেই হবে…” ১৯৫৪ সালের টেরেন্স শোন ট্রফির দ্বিতীয় ম্যাচ খেলার আগে বিপক্ষের রোশনারা ক্লাবের মহিলা টিমের ক্রিকেটারদের তালিকায় থাকা ফাস্ট বোলারটির নাম দেখে মাথায় হাত দিয়ে বসলেন ব্রিটিশ হাই কমিশন ওমেন্স ক্রিকেট টিমের মেমসাহেব খেলোয়াড়রা! দ্রুত শুরু হল সেই পঞ্চদশী কিশোরীকে বাদ দেওয়ার জন্য নানা চেষ্টা-অপচেষ্টা!
    ………

    ১৯২৬ সাল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের উপনিবেশ হলেও ভারতীয় ক্রিকেট দলকে পূর্ণ সদস্যপদ দান করল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল( আই. সি.সি)। ওই বছরেই অক্টোবর মাসে বিখ্যাত ইংরেজ আর্থার গিলিগান-এর নেতৃত্বে এবং অস্ট্রেলিয়ার মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব-এর উদ্যোগে একটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টিম ভারত আর শ্রীলঙ্কা( সাবেক সিলোন) ট্যুরে এসেছিল। ১৯২৭ এর মার্চ মাস অবধি এই দল দেশের একের পর এক জায়গায় ঘুরে ঘুরে আঞ্চলিক ভারতীয় দলগুলির সঙ্গে মোট ২৬টি ম্যাচ( মতান্তরে ৩৫টি  ম্যাচ) খেলেছিল, যার মধ্যে মাত্র একটি ম্যাচে তারা হেরে গেছিল। জানেন কি? দিল্লির বিখ্যাত রোশনারা ক্রিকেট ক্লাবের মাঠে অনুষ্ঠিত সেই একমাত্রতম হেরে যাওয়া ম্যাচটিতে আন্তর্জাতিক পুরুষ দলের বিপক্ষে খেলেছিলেন দিল্লি লেডিজ ক্রিকেট ক্লাবের এগারোজন মহিলা ক্রিকেটার। যদিও নেটিভদের দেশে খেলতে এসে শেষমেশ “ মেয়েদের কাছে” শ্বেতাঙ্গ পুরুষ টিমের হেরে যাওয়ার “লজ্জা” লুকোতে সেই ঐতিহাসিক ম্যাচটির সমস্ত পরিসংখ্যান মুছে দেওয়া হয় খোদ আই.সি.সি’র উদ্যোগে। আন্তর্জাতিক পুরুষ টিমকে হেলায় হারিয়ে দেওয়া এই দিল্লি লেডিজ ক্রিকেট ক্লাব দল( সে আমলে অবশ্য এই দল ‘দিল্লি লেডিজ’ নামে সুপরিচিত ছিল) ১৯২০- ১৯৪০ পর্যন্ত দেশের বড়ো বড়ো শহরে অনুষ্ঠিত নানা মহিলা ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় নিয়মিতভাবে অংশ নিত। ১৯৪০-এর দশক থেকে দিল্লি লেডিজ ক্রিকেট ক্লাব ক্রমে ‘রোশনারা গার্লস ক্রিকেট ক্লাব/টিম’ নামে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে। শহরে ১৯৪৮ সালে স্থাপিত নতুন গার্লস কলেজ মিরান্ডা হাউস থেকে এই ক্লাবে ক্রিকেট শিখতে এবং অবশ্যই খেলতে আসতেন বেশ কিছু ক্রিকেট উৎসাহী ছাত্রী, যাঁদের একজন ছিলেন এই লেখার শুরুতেই উল্লিখিত সেই ফাস্ট বোলার কিশোরী, নাম যাঁর ছিল মীনা তলোয়ার।
    ………

    মীনা তলোয়ারের পাঞ্জাবি পরিবারের সব পুরুষরা খেলাধুলোর সঙ্গে সরাসরি জুড়ে ছিলেন। অন্য সব খেলার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলতেন তাঁর বাবা, কাকা আর তিন দাদার সক্কলে। যে কোনো ম্যাচ খেলার সময় বোন মীনাকে সঙ্গে নিতেন দাদারা। দাদাদের খেলা দেখে আর তাঁদের সঙ্গে খেলে ক্রিকেটের অআকখ শৈশবেই শিখে ফেলেছিলেন তলোয়ার পরিবারে এই একমাত্র কন্যাটি। তবে এ সময় ডিস্কাস থ্রো ছিল তাঁর সবচেয়ে পছন্দের খেলা। ১৩-১৪ বছর বয়সে স্কুলে পড়া কালেই মীনা ডিস্কাস থ্রো’য়ের নিয়মিত খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন এবং নতুন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল গেমসে ডিস্কাস থ্রো ইভেন্টে স্বর্ণ পদক পান মীনা এবং দিল্লি রাজ্যের “সেরা খেলোয়াড়”-এর সম্মানও লাভ করেন।

    দেশ আর রাজ্যস্তরের নামি এথলিট মীনা তলোয়ার 

    ১৯৫২ সালে মিরান্ডা হাউস কলেজে পড়তে এসেছিলেন। যেমন আগের অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে শুরুতে কেবল ডিস্কাস থ্রো’তে আগ্রহী হলেও আর ছোটোবেলায় দাদাদের সঙ্গে শখের ক্রিকেট খেললেও রোশনারা ক্রিকেট ক্লাবের মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে এসে ক্রিকেট খেলাটিকে ভেতর থেকে ভালোবেসে ফেলেন তিনি। ক্লাবের কোচ দেবরাজ পুরি মীনার মধ্যে এক বড়ো ফাস্ট বোলার হয়ে ওঠার প্রতিভা দেখতে পেয়েছিলেন। দেশের জাতীয় পুরুষ টিমে তখন স্পিন বোলিং ছিল সবচেয়ে “ ইন থিং”। কিন্তু পুরি স্পিনের বাঁধা গতে তাঁর ছাত্রীকে হাঁটালেন না। বরং প্রশিক্ষণ দিলেন ওভার আর্ম ফাস্ট বোলিংয়ে ( যদিও সে যুগে কিন্তু ওভার আর্ম বোলিং করা মহিলাদের সংখ্যা গোটা দুনিয়াতেই ছিল)। সহজাত প্রতিভা, পরিশ্রম আর পুরির দক্ষ কোচিংয়ে অল্প সময়ের মধ্যে দক্ষ ফাস্ট বোলার হয়ে উঠছিলেন মীনা। 

    দিল্লির জানুয়ারি মাসের শীতে ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত ফি বছর রোশনারা গার্লস ক্রিকেট ক্লাব আর ব্রিটিশ হাই কমিশন মহিলা দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতো দ্বিপাক্ষিক টেরেন্স শোন ট্রফি। এটিই ছিল ভারতের প্রথমতম নিয়মিত মহিলা ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। ১৯৫৩তে রোশনারা লেডিজ ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষ থেকে ফাস্ট বোলার হিসেবে ব্রিটিশ হাই কমিশন লেডিজ টিমের বিরুদ্ধে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামলেন পঞ্চদশী মীনা। শুরু থেকেই নিখুঁত লাইন লেংথের দ্রুতবেগী বোলিংয়ে বিধ্বংসী হয়ে উঠেছিলেন তিনি। বেশ ক’টি উইকেট নিয়ে বিপক্ষের ব্রিটিশ হাই কমিশন লেডিজ টিমকে সেদিন তিনি শুধু পর্যুদস্তই করেননি বরং তাঁদের চোয়ালে ভয়ের কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিলেন। ফলে নিজের প্রথম ম্যাচেই যেমন তিনি বিপক্ষের তরফে “ডেমন” উপাধি পেয়েছিলেন, তেমন তাঁকে দ্বিতীয় ম্যাচ সমেত গোটা প্রতিযোগিতা থেকেই বাদ দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগতে হয়েছিল ব্রিটিশ হাই কমিশন লেডিজ দলের খেলোয়াড় থেকে প্রশাসক সকলকে।

    পরের ম্যাচগুলিতে মীনার ফাস্ট বোলিং মানেই তাঁদের অবধারিতভাবে পরাজয় হবে, এই বাস্তবকে বুঝে গিয়ে টেরেন্স শোন ট্রফি কর্তৃপক্ষের কাছে ব্রিটিশ হাই কমিশন দলের তরফ থেকে মীনা সম্পর্কে “অভিযোগ” জানানো হল। বলা হল, ১৬ বছরের কম বয়সী সমস্ত ক্রিকেটারের প্রতিযোগিতায় খেলা নিষিদ্ধ করা হোক। কিন্তু সদ্য স্বাধীন দেশে মেমসাহেব টিমের এমন গা জোয়ারি মেনে নিতে মোটেও রাজি ছিলেন না ম্যাচের আম্পায়ার তথা রোশনারা মহিলা টিমের কোচ দেবরাজ পুরি। এই অন্যায় দাবির বিরুদ্ধে যুক্তিপূর্ণভাবে তীব্র প্রতিবাদ করলেন তিনি। পুরির দাবি মেনে নিয়ে পরের সমস্ত ম্যাচে মীনাকে খেলার অনুমতি দিলেন টেরেন্স শোন ট্রফি কর্তৃপক্ষ। শুরু হল “ডেমন মীনা”র দীর্ঘ প্রায় দু’দশক ব্যাপী দুর্দান্ত ফাস্ট বোলিং কেরিয়ার। ১৯৫৩ থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনের মহিলা ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে তিনি টেরেন্স শোন ট্রফির সমস্ত ম্যাচে রোশনারা ক্লাবের হয়ে খেলেছিলেন এবং বারবার নিজের দলকে ট্রফি এনে দিয়েছিলেন।

    আক্ষরিক অর্থেই টেরেন্স শোন ট্রফিতে প্রতিপক্ষ ব্রিটিশ হাই কমিশন মহিলা টিমের বিরুদ্ধে প্রতিটি ম্যাচে নিজের বলে যুগপৎ আগুন আর জাদু  ঝরাতেন মীনা। কখনও ১৯ রান দিয়ে ৬ উইকেট, কখনও বা একটি হ্যাট্রিক সমেত মাত্র ১১ রান দিয়ে ৭টি উইকেট, কখনও বা ক্যাপ্টেন হিসেবে টিমের নতুন ফাস্ট বোলার মিলন কাপুরকেও হ্যাট্রিক করতে উদ্বুদ্ধ করা, ১৭ বার প্রায় একার কাঁধে করে রোশনারা টিমকে ট্রফি জেতানো, এমনকি ব্রিটিশ হাই কমিশনের জয়ের বছরেও ৪২  রান দিয়ে ৬ উইকেট নেওয়া…১৯৫০ আর ৬০ এর দশকে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের এক অসামান্য রূপকথা লিখেছিলেন তিনি। কখনও সাদা সালোয়ার কামিজ কখনও বা সাদা শার্ট ট্রাউসার  পরনে দ্রুত বেগে বল হাতে ছুটে আসা দীর্ঘদেহী মীনা তলোয়ার বাস্তবিকই বিপক্ষ ব্যাটারদের জন্য এক দুঃস্বপ্ন ছিলেন।

    দেশের নানা প্রান্তে মেয়েরা নিয়মিত ক্রিকেট খেললেও তাঁদের প্রয়াস ১৯৭৩ সালে মহেন্দ্র কুমার শর্মা ‘উইমেন্স ক্রিকেট এসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া’ গড়ে তোলার আগে পর্যন্ত ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট কখনও জাতীয়ভাবে পাদপ্রদীপের আলোয় আসেনি। তাই ১৯৫০ বা ১৯৬০ এর দশকে আঞ্চলিক মহিলা ক্রিকেট প্রতিযোগিতাগুলি নিয়ে গণমাধ্যমে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য চর্চা হতো না। এমন একটা সময়ে টেরেন্স শোন ট্রফি সম্পর্কে সমকালীন খবরের কাগজ ও ম্যাগাজিনগুলি থেকে যেটুকু জানা যায়, তার বেশিটাই লেখা হয়েছিল মীরার বিধ্বংসী বোলিং প্রসঙ্গে। স্পোর্টসউইক পত্রিকা যেমন লিখেছিল “.... মীনাকে খেলা কঠিন। তাঁর বলের গতি, হাতের জোর, নিখুঁত ইন স্যুইং স্টাম্প উড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। পিচও যেন জীবন্ত হয়ে উঠে মীনার বোলিংকে সাহায্য করে..” বা “ ভারতে ফাস্ট বোলরের অভাব বলে মনে করা হয়! নিশ্চিত নির্বাচকরা শ্রীমতি খান্নার দেখেন নি!” আচ্ছা হঠাৎ করে মীনা তলোয়ারকে স্পোর্টসউইক শ্রীমতি খান্না লেখা হয়েছিল কেন বলুন তো? কারণ ম্যাগাজিনটি যখন এই প্রতিবেদন  লিখেছিল ততদিনে রঞ্জি ক্রিকেটার নন্দী খান্নাকে বিয়ে করে দুই ছেলের মা হয়ে গেছেন রোশনারা গার্লস ক্রিকেট টিমের তারকা ফাস্টবোলার তথা ক্যাপ্টেন মীনা। 

    ১৯৭২ সালের পর থেকে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের বিকাশ শুরু হলেও মহিলা ক্রিকেটকে কিছুটা পেশাদারী স্তর পর্যন্ত আসতে সময় লেগেছিল পুরো আড়াই দশক। মীনা তলোয়ার খান্না যে সময় খেলতেন সে সময় আলাদা করে কোচিং, যথাযথ শারীরিক ট্রেনিং বা খেলে রোজগার করার কথা মহিলা ক্রিকেটারদের দূরতম ভাবনাতেও আসেনি। ফলে যে মেয়েরা ১৯৫০ বা বা পরের কয়েক দশকে নিয়মিত ক্রিকেট খেলেছেন, তাঁরা কিছু পাওয়ার আশায় নয় বরং শুধুমাত্র খেলাটাকে ভালোবেসেছেন বলেই খেলেছেন। যেমন কোনো পারিশ্রমিক নয়, রোশনারা ক্লাব গার্লস ক্রিকেট টিমের ম্যাচ থাকলে সব খেলোয়াড়রা সেদিনের দুপুরের লাঞ্চ ও বিকেলের চা মাত্র পেতেন আর এই দুটি বাদে দলের একমাত্র তারকা তথা ক্যাপ্টেন মীনা আলাদাভাবে পেতেন আসা যাওয়ার ভাড়াটুকু।

    যেহেতু ১৯৫০ আর ১৯৬০ এর দশকে এ দেশের মহিলা ক্রিকেটে কোনো বড়ো স্তরের সংগঠিত প্রতিযোগিতার অস্তিত্ব ছিল না। তাই নিজের দীর্ঘ দু’দশক ব্যাপী কেরিয়ারের পুরোটাতেই মীনা তলোয়ার খান্না একটি মাত্র প্রতিযোগিতায় আঁটকে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন। ১৯৭০ এর দশক থেকে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটে সত্যিকারের সদর্থক বদল আসলেও সে সময় বয়স দ্রুতবেগে থাবা বসাচ্ছিল ফিটনেসে, কমিয়ে দিচ্ছিল তাঁর একদা বিখ্যাত ইন স্যুয়িংয়ের ধার। তবুও বছর কুড়ির ছোটো ডায়না এডুলজিদের বিরুদ্ধে দিল্লি মহিলা ক্রিকেট দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। ৩৪ বছর বয়সে নিজের একমাত্র টিম রোশনারা গার্লস-এর হয়ে নিজের শেষতম ম্যাচটি খেলার পর ক্রিকেট থেকে চিরকালের মতো বিদায় নেন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের অসামান্য ফাস্ট বোলার “ডেমন মীনা” তলোয়ার খান্না। 

    তবে ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরও খেলাধুলা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারেননি তিনি এবং দিল্লি মহিলা গলফ দলের অন্যতম গল্ফার তথা ক্যাপ্টেন হিসেবে ১৯৮০র দশক জুড়ে খেলেছিলেন। আজ ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট যখন সাফল্যের নিত্যনতুন দিগন্ত ছুঁয়ে যাচ্ছে, আজ যখন পুরুষ ক্রিকেটারদের সমান সমান ম্যাচ ফি পাচ্ছেন তখন নিজের ভাবীকালের মহিলা ক্রিকেট ও।ক্রিকেটারদের সুদিন দেখে বড়ো আনন্দ পান! তবে বর্তমানে প্রায় বিস্মৃত “ডেমন মীনা”! কিন্তু কেবল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট তথা ফাস্ট বোলিংয়ের এক অসামান্য পথিকৃৎ রূপে তো বটেই; ডিস্কাস থ্রো বা গলফের মতো খেলার সফল খেলোয়াড় হিসেবেও তাঁকে নতুন করে মনে করা এ সময়ের ক্রিকেটপ্রেমী ভারতীয়দের এক অবশ্য কর্তব্য।

    অন্যতম তিনটি তথ্য সূত্র :
     
    ১) ‘Demon Meena’, a women’s cricket pioneer, cheers for WPL - Rahul Pandey: Indian Express
    ২) ‘Demon’ Meena : The first great Indian woman cricketer - Abhishek Mukherjee : Moneycontrol
    ৩) Roots Of Women's Cricket In India featuring Ankit Berma - সাক্ষাৎকার অভিষেক মুখোপাধ্যায় : ক্রিকনিউস.কম-এর পডকাস্ট  
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৫ জুলাই ২০২৪ | ৪৩৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:e1fd:17b1:b3d6:***:*** | ১৫ জুলাই ২০২৪ ২২:০৮534734
  • লেখাট পড়তে খুব ভালো লাগলো। মীনা তলোয়ারের কথা একেবারেই জানতাম না। 
  • সুচেতনা | ১৫ জুলাই ২০২৪ ২২:২২534735
  • ধন্যবাদ। মেয়েদের খেলাধুলোর ইতিহাস নিয়ে এ দেশে বা বলা ভালো এ দেশের বাংলা ভাষায় তেমন চর্চা হয় না যে!
  • | ১৫ জুলাই ২০২৪ ২৩:২৮534736
  • এঁর নামও শুনি নি কখনো। কি যে ভাল লাগল।  
     
    মনে পড়ল গুরুতে একবার মহিলা ক্রিকেট নিয়ে ঝড় বয়ে গেছিল। এক ক্রিকেটপ্রেমী জানিয়েছিলেন তিনি ক্রিকেট খুবই ভালবাসেন আর তাই জানেন মেয়েদের পক্ষে কখনৈ ছেলেদের মানে পৌঁছানো সম্ভব নয়। তারপর ঝড় বয়ে গেছিল বলাই বাহুল্য। 
  • সুধাংশু শেখর | ১৬ জুলাই ২০২৪ ০১:৩৮534748
  • বাঃ! খুব-ই ভালো লাগলো। আমিও একেবারেই জানতাম না এঁর কথা। 

    আপনার পুরোনো কিছু লেখা পড়েও ভালো লাগলো। গ্রাহক হলাম। লিখতে থাকুন। 
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ১৬ জুলাই ২০২৪ ০২:২২534753
  • খুব ভালো লাগল পড়ে। অনেক ধন্যবাদ এঁর কথা জানানোর জন্য। এই সব রত্নদের কথা আরো উঠে আসুক। 
  • সুপ্রতিম দত্ত | 2409:40e0:4b:238a:b480:91ff:fee8:***:*** | ১৭ জুলাই ২০২৪ ০৮:২৪534794
  • খুব ভাল লাগল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন