এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  ইতিহাস

  • শিরোনামহীন এক অনুবাদ

    Suchetana Mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | ইতিহাস | ১৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৬৫১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)

  • " আরউইন হাসপাতালে বাচ্চারা একসঙ্গে বসে থাকত, রোদ পোহাত ওপরের বারান্দায়। কারও মাথায় চোট, কারও ভাঙা পা, মাথা আর দু'হাতে প্রবল আঘাত নিয়ে ছোটো খাটটায় শুয়ে একটানা কঁকিয়ে যেত ন'মাসের আরেক শিশু। আরেক ছোট্ট মেয়ের গোটা হাতটাই কেটে নেওয়া হয়েছিল বলে ঝুলে গেছিল তার নরম কাঁধখানি। পাশের একটি ছেলের পেট ফুঁড়ে দিয়েছিল ওরা।  ডাক্তারদের করে দেওয়া সেলাইতে ওর খোলা পেট জুড়ে গেছিল। সৌভাগ্যবশত সেরে উঠেছিল ও। এই সমস্ত বাচ্চাদের সঙ্গে খেলত উজ্জ্বল হাসিখুশি এক মেয়ে। ওর শরীরে কোন আঘাত ছিল না।
    ........
    মেয়েটিকে একদিন জিজ্ঞেস করলাম, " তোমাকে দেখে তো সুস্থ আছ মনে হয়, তুমিও আহত হয়েছিলে নাকি?" 
    ও হাসল, "না না! আমি এখানে আমার বুয়ার সঙ্গে আসি। আমার বাবা মা এটাওয়াতে আছেন।
    "আর এরা তোমার কে হয়?" আহত বাচ্চাগুলিকে দেখিয়ে শুধালাম আমি।
    " ওঃ ওরা? ও রশিদ-ওর সব আত্মীয়রাই মারা গেছে। এ জয়নাব-ওরও কেউ নেই। আর এটা নাবু-জানো ওর মায়ের গলা কেটে দিয়েছিল!"
    ও নির্বিকার হাসি হাসি মুখে বলে যাচ্ছিল কথাগুলো। বড়োজোর ওর বয়স পাঁচ বা ছয়। অথচ এখনই ওর জন্য মৃত্যু শুধুই একটা খেলা, একটা বর্ণনা, একটা নীরস ডাইভার্শন মাত্র। সবাই মারা গেছে, মায়ের গলা কাটা হয়েছে - যেন একদম রোজকারের ঘটনা সব!
    .......
    এই বাচ্চাদের মধ্যে একজনের বয়সও আট বছরের ওপরে ছিল না। ওরা সক্কলে একটা যৌথপরিবারের মতো হাসপাতালে থাকত আর একে অপরের গল্প শোনাত আমাদের।...
     .......
    বাচ্চাদের ঘরের ঠিক উল্টোদিকটায় ছিল আহত মহিলা আর কিশোরীদের কামরা। পা কাটা আঠেরো বছরের এক তরুণীর পাশে শুয়ে শরীরের কষ্টে দিনরাত গোঙাত  
    বছর চোদ্দ'র চাপা রঙের এক অর্ধচেতন কিশোরী। সারা গায়ে তার অজস্র ক্ষত। দু'মাস তার কান্না বন্ধ হয়নি। পাশের বেডে একটানা কাঁদত মিষ্টি আরেক মেয়েও। ক্যানসার আক্রান্ত টিউমার নিয়ে মিরাট থেকে সে হাসপাতালে এসেছিল চিকিৎসা করাতে। কিন্তু মাস তিনেক ধরে তার কোনো স্বজন যে দেখতে আসেননি তাকে!
    .......
    তবে বোধহয় সবচেয়ে ভয়ানক ছিল এক মা মেয়ের ছবি। মা'টি দু'বাহু বিচ্ছিন্না। তার একটি কব্জি আর অন্যটি কনুইয়ের নিচ থেকে কেটে দিয়েছিল ওরা। পাশের বেডে সর্বাঙ্গে আঘাত আর ব্যান্ডেজ নিয়ে কাতরে চলেছে তার আদরের বারো বছরের কন্যা। মায়ের একটি হাতও যে যন্ত্রণাকাতর আত্মজার মাথায় আর পিঠে হাত বুলিয়ে দেওয়ার জন্য, শুকনো মুখটায় জল তুলে দেওয়ার জন্য, আদর করে কষ্ট একটু কমিয়ে দেওয়ার জন্য অবশিষ্টই রাখেনি ওরা। আমি কোনোদিন ওই মায়ের চোখের জলে বয়ে যাওয়া অসহায়তাকে ভুলতে পারব না। 
    .......
    শিশুদের পাশাপাশি নানা বয়সের অসংখ্য আহত মেয়ে তখনও হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এক ছ'বছরের মিঠে মেয়ের দেহময় তলোয়ারের গভীর সব আঘাত মনে হয় শুকোয় নি কখনও আর। বাচ্চাটি এতই অবোধ যে নিজের বাবার নামটাও সে বলতে শেখেনি ঠিক করে। বাপের নাম জিজ্ঞেস করলে কষ্টের মধ্যে কেবল আউড়ে যায়, "বাবাকে সবাই পাহাড়গঞ্জের মুন্সীজি বলে যে।" ঘর লাগোয়া বারান্দায় মায়ের সঙ্গে ভর্তি ছিল আত্মীয় পরিজনের জন্য অপেক্ষারত চারজন আহত শিশু। বাড়ির ঠিকানা বলতে পারত না তারাও। খালি বলত, মেহরৌলির গাঁয়ে খোলা বড়ো মাঠের মধ্যে আছে তাদের বিশাল বাড়িটা।
    ........
    নিজের সদ্যোজাত সন্তান আর গুরুতর আহত তিন বছরের মেয়েকে নিয়ে ভর্তি এক মা কেঁদে চলত অঝোরধারে। শিশুকন্যাটির ওপর ঘটে যাওয়া পাশবিক আক্রমণের কথা মনে পড়লে আজও আমার গা শিউরে ওঠে - ধারালো বল্লমের ফলা তার একরত্তি গোপনাঙ্গ ভেদ করে পেটের মাঝখান অবধি ঢুকিয়ে দিয়েছিল সিংহহৃদয় বীরপুঙ্গবরা। গজের পর গজ মেডিকেটেড গজ ঢুকিয়ে তার ক্ষতস্থান যখন পরিষ্কার করা হতো... শিশুর সেই মর্মান্তিক চিৎকার আর তার মায়ের গগনভেদী কান্না সহ্য করা কোনো সংবেদনশীল হৃদয়ের ক্ষমতায় কুলোত না।
    "ওরা সবাইকে মেরে ফেলল! তারপর আমার মেয়েকে ফলায় বিঁধিয়ে ওপরে তুলে ধরল আর আমাকে বাঁচিয়ে রাখল এসব দেখার জন্য। আমি কী করব? এখন আমি কোথায় যাব? কোথায় যাব? " অসহায় প্রশ্ন সব এভাবেই ধেয়ে আসত আমার দিকে। জবাবে কেবল সেই দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া যাতনার সঙ্গে থরথর করে কেঁপে যাওয়াটুকুই সম্ভবপর হতো আমার পক্ষে।
    .........
    এক বাঙালি নার্স হাতছানি দিয়ে আমাকে তাঁর ঘরে ডেকে নিয়ে বললেন, তিন চার বছরের একটি মেয়ে...শরীরে অল্প কাটা ছেঁড়া...দ্রুত সেরে উঠছে। এবার তাকে বাড়ি পাঠানো দরকার। যেহেতু মেয়েটিকে মুসলিম বলে মনে হচ্ছে, তাই তিনি আমাকে ডেকেছেন। 

    মেয়েটিকে আনা হল। আমি তার নাম জিজ্ঞেস করলাম।
    " সীতা আর হাসিনা।" মেয়েটি বলল।
    আমি তার বাবার নাম জিজ্ঞেস করলাম। সে একই সঙ্গে উচ্চারণ করল একটি মুসলিম আর একটি নাম। মায়ের নাম বলার সময়ও ঘটল সেই একই কান্ড। 
    নার্সটি তবু অনড়। " সে যে যা বলুক, ও মুসলিমই। ও বলেছে ওর বাবা প্রার্থনার সময় দুই হাত ছড়িয়ে বলতেন, ইয়া আল্লাহ, কৃপা করুন।" এদিকে বাকি নার্সরা কিছুতেই একমত হচ্ছেন না। তাঁরা বলেই চলেছেন, শিশুটি নিশ্চিত হিন্দু। 
    আমি পড়লাম ঘোর সমস্যায়। সিদ্ধান্ত নিলাম মেয়েটিকে নিয়ে বিড়লা হাউসে নিয়ে যাব। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অন্যান্য সুস্থ হয়ে ওঠা অন্যান্য বাচ্চাদের সঙ্গে ওকেও আমার কাছে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমি অনুরোধ জানালাম। কাগজপত্রের সব কাজ সমাধা হওয়ার পর ওকে নিয়ে সটান হাজির হলাম বাপুর সামনে।
    সৌভাগ্যবশত তাঁর দেখা পেলাম তখনই। তখন তিনি চরকায় সুতো কাটছিলেন। আমাকে দেখে স্বভাবসিদ্ধ হাসিটি ঠোঁটে খেলিয়ে বাপু বলে উঠলেন, "এই ছোট্ট মেয়েটিকে কোথায় পেলে তুমি?" 
    বললাম, " বাপু, ওর জন্য তো এবার আরেকটা হিন্দু মুসলিম ঝগড়া বাঁধবে। যতবার ওকে জিজ্ঞেস করি, ততবার ও নিজের আর বাবা মায়ের একটা মুসলিম নাম আর একটা হিন্দু নাম বলে যায়। 
    বাপু হাসলেন, তারপর ওকে জিজ্ঞেস করলেন, "খুকি তোমার নাম কী?" 
    খুকি শান্তভাবে উত্তর দিল, " হাসিনা আর সীতা।"...."

    ...............

    স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা প্রখ্যাত সমাজকর্মী আনিস কিওয়াইয়ের আত্মজীবনী 'আজাদী কি ছাঁও  মে' (ইংরেজি অনুবাদে 'ইন ফ্রিডম'স শেড') নামক বইটির 'চিলড্রেন' শীর্ষক অধ্যায় থেকে অনূদিত কিছু অংশ ওপরে দেওয়া হল। নিচের ছবিদুটির প্রথমটি অমৃতসরের দাঙ্গায় মা হারা দুই আহত শিশুর আর দ্বিতীয়টি বিগত ক'দিনের ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের(কোন পক্ষের শিশুদের ছবি সে তথ্য একেবারেই অর্থহীন)।

    যুদ্ধ হচ্ছে, যুদ্ধ হবেও । আজকাল দু'তরফের সমর্থনে অজস্র যুক্তি-কুযুক্তি-প্রতিযুক্তি শুনতে শুনতে, দেখতে দেখতে সব গুলিয়ে যায়! এলোমেলো মনের ভেতর আজকের নিহত-আহত-ক্ষতিগ্রস্ত প্যালিস্টিনীয় আর ইসরায়েলি শিশুদের আতঙ্ক আর অসহায়তার সঙ্গে কেমন করে যেন একাকার হয়ে যায় কোন ১৯৪৭ এর দেশভাগজনিত দাঙ্গায় সব হারানো শিশুদের কান্না আর অনপনেয় ক্ষতবোধ। ইতিহাস বা রাজনীতির ঠিক-ভুল, ন্যায়-অন্যায়ের সমস্ত হিসেব নিকেশের বাইরে, যুদ্ধ-দাঙ্গা-সন্ত্রাসের ভাগাভাগি ভেঙে, দেশ কাল সময়ের সমস্ত গন্ডি পেরিয়ে অগুনতি-অগুনতি অপাপবিদ্ধ, অনপরাধ শিশুর দেহমনের অন্তহীন কান্না-দীর্ঘশ্বাস-যন্ত্রণা-অন্ধকারই জীবনের বুকে মৃত্যুর মতো একমাত্রতম সত্যি হয়ে জেগে থাকে। আর কিচ্ছু নয়।।

    তথ্যসূত্র : আনিস কিদওয়াই - ইন ফ্রিডম'স শেড।
    ছবি সূত্র: ইন্টারনেট


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৬৫১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন