এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  ইতিহাস

  • শান্তিসারস আর সাদাকো সাসাকি

    Suchetana Mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | ইতিহাস | ২০ অক্টোবর ২০২৩ | ৬৩৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)

  • "সাদাকো মাত্র বারো বছর বয়সে মারা গেছিল। নিশ্চয়ই ও আরেকটু খেলতে চেয়েছিল, আরেকটু পড়তে, আরেকটু খেতে, ওর বন্ধুদের সঙ্গে আরেকটু গল্প করতে চেয়েছিল...আরও কত্তো কিছু করতে চেয়েছিল ও! কিন্তু সে সব কিছুর স্বাদ নেওয়ার আগেই শেষ হয়ে গেছিল ওর জীবন। ইচ্ছেগুলো, স্বপ্নগুলো সত্যি করার সুযোগ পাবে না বলে কত যে কষ্ট হতো সাদাকোর...!"
    সাদাকো সাসাকির দাদা মাশাহিরো যখন এমন কথা লেখেন, তখন তাঁর শব্দের ভাঁজে ভাঁজে দেশকালসময়সীমানা সব পেরিয়ে আবারও কেমন যেন একাকার হয়ে যায় বড়োদের বাঁধিয়ে দেওয়া প্রতিটা অনর্থক যুদ্ধ আর অনন্ত হিংসায় বলি হতে থাকা অগুনতি অগুনতি শৈশব-কৈশোর! আজ ক'ঘন্টা পর আমাদের অনেকেই যখন উৎসবের রাজপথে হাঁটব, সেসময় আগুনে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কিছু দূর এক দেশে বেবাক থেঁতলে যাবে আরও কিছু অমলিন প্রাণ! আজকের এই লেখা অসময়ে ঝরে যাওয়া বা যেতে থাকা পৃথিবীর এমন প্রতিটি প্রাণের জন্য...
    .....
    ১৯৪৫ এর ৬ আগস্ট। সকাল ৮টা বেজে ১৫ মিনিট। হিরোশিমার আকাশ চিরে নেমে এল পারমানবিক বোমা লিটল বয় আর এক মুহূর্তে স্রেফ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল গোটা প্রাণবন্ত শহরটা। 
    বিস্ফোরণের কেন্দ্রস্থল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে সেসময় ঘরের ভেতর খেলছিল আড়াই বছরের সাদাকো সাসাকি। বিস্ফোরণের তীব্রতায় জানালা দিয়ে ছিটকে বাইরের বাগানে পড়ে গিয়েছিল সে। মা ফুজিকো ভেবেছিলেন কন্যা বোধহয় মারা গেছে তাঁর! এক ছুটে বাগানে গিয়ে দেখেন, নাঃ তেমন কোন চোট আঘাত লাগেনি ছোট্ট সাদাকোর। চারদিক সাপটে তখন সাসাকিদের বাড়ি অভিমুখে ধেয়ে আসছে সর্বগ্রাসী আগুনের ঢেউ। দাদা মাশাহিরোকে হাতে আর সাদাকোকে বুকে জড়িয়ে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে পালালেন ফুজিকো। সঙ্গে বেরিয়ে গেছিলেন তাঁদের বৃদ্ধা ঠাকুমাও। জরুরি জিনিসটুকু গুছিয়ে নেওয়ারও সময় পাননি মা ঠাকুমা কেউই। ফুজিকোর বারণ সত্ত্বেও সংসারের কিছু অন্তত কুড়িয়ে নিয়ে আসার মায়ার বাড়িতে ঢুকে যান তিনি। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যাওয়ার আগে সেই শেষবারের মতো...! অন্যদিকে ঊর্ধ্বশ্বাসে পালাতে থাকা সাদাকোদের গোটা গা তখন ভিজিয়ে দিচ্ছে আকাশ ফুঁড়ে ঝমঝমিয়ে নামা তেজস্ক্রিয় 'কালো বৃষ্টি'।
    .......
    ১৯৫৪ সালের নভেম্বর মাস। বরাতজোরে বেঁচে যাওয়া  সর্বহারা পরিবারগুলোকে বুকে নিয়ে ধ্বংসস্তুপ ঠেলে একটু সবে মাথা তুলছে হিরোশিমা শহর। বিস্ফোরণের অভিঘাতে আহত-অসুস্থ শরীর, সব হারানোর তীব্র মনোবেদনা আর চরম দারিদ্রের মধ্যেও প্রতিদিন স্বাভাবিকভাবে বাঁচার চেষ্টা করে চলেছেন শহরের কয়েক হাজার মানুষ। ফুজিকো আর শেগিও সাসাকিও তার ব্যতিক্রম নন (সাদাকোর বাবা শেগিও ৬ অগস্ট শহরের বাইরে কাজে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে গেছিলেন)।
    ধারদেনা করে হলেও ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন তাঁরা। বারো বছরের সাদাকো এখন তার ক্লাসের রিলে দৌড় টিমের এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বিস্ফোরণের সময় একেবারে ছোটো ছিল বলে ভয়াবহ সেসব স্মৃতি সেভাবে নাড়া দেয়না তাকে। বরং বন্ধুদের সঙ্গে হইচই, পড়াশুনো, খেলাধুলো আর আগামীর হরেক রঙের স্বপ্ন মিলিয়ে একদম জমজমাট তার জীবন। তবে ইদানিং তার শরীরটা খারাপ হচ্ছে মাঝে মধ্যেই। ঘাড় আর কানের পেছনের অংশ ফুলছে। সঙ্গে দুর্বলতাও বড্ড। একদিন তো স্কুলে সাদাকো মাথা ঘুরে পড়ে গেল আর আরেকদিন সেখানে অজ্ঞানই হয়ে গেল! জানুয়ারি নাগাদ তার পায়ে বেগুনি রঙের উঁচু উঁচু কালশিটে দেখা দিচ্ছিল। চিন্তিত মা-বাবা মেয়েকে নিয়ে গেলেন হিরোশিমার রেডক্রস হাসপাতালে। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ডাক্তাররা তাঁদের জানালেন, লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বারো বছরের সাদাকো। সঙ্গে জানলেন, তাঁদের কন্যার সামনে রয়েছে মেরেকেটে আর বছরখানেকের জীবন! 
    ১৯৫৫'র ২১শে ফেব্রুয়ারি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল সাদাকো। হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমানবিক বোমা বিস্ফোরণের এক দশককাল পরের এসময়টায় সাদাকোর মতো প্রায় একইরকম সব রোগলক্ষ্মণ দেখা দিচ্ছিল প্রচুর সংখ্যক ছোটো ছেলেমেয়ের শরীরে। বাচ্চাদের নিয়ে ফুজিকো-শেগিও'র মতো হাসপাতালে ভিড় করা অভিভাবকরা "নতুন" এই অসুখকে নাম দিয়েছিলেন "আনবিক বোমার রোগ"।  ডাক্তার ও চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের গবেষণা অন্যদিকে নিশ্চিত করে জানিয়ে দিচ্ছিল যে, পারমানবিক বোমাদুটি থেকে নির্গত অপরিসীম তেজস্ক্রিয়তার প্রত্যক্ষ অথচ নীরব শিকার হিসেবে মারণরোগ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে গত এক দশক ধরে আপাতভাবে সুস্থভাবে বেঁচে থাকা এই নিষ্পাপ শিশু-কিশোররা। ক্রমেই তাই হাসপাতালের ক্যান্সার ওয়ার্ড ভরে উঠছে সাদাকো কিংবা তার পাশের বিছানার কিয়ো নামের বছর চোদ্দর জুনিয়র হাইস্কুলের ছাত্রীটির মতো উজ্জ্বল কিশোর-কিশোরীতে...!
    শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি সত্ত্বেও নিজের সমস্ত কষ্ট আর মানসিক উৎকণ্ঠাকে লুকিয়ে সবসময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করত সাদাকো। বিশ্বাস করত একদিন নিশ্চয়ই সেরে উঠবে সে! স্বপ্ন দেখত, তার ক্লাস টিমের জন্য আবার দৌড়োনোর! অগাস্ট মাস নাগাদ অসুস্থ বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য এলাকার রেডক্রস ইউথ ক্লাব তাদের ঘরে ঘরে দিয়ে গেছিল সারস সমেত নানা অরিগামি অবয়ব। প্রিয় বন্ধু চিজুকোও সোনালী কাগজ দিয়ে এক অরিগামি সারস বানিয়ে হাতে দিয়েছিল সাদাকোর। 
    "আচ্ছা,সারস বানিয়ে কেন অসুস্থ বাচ্চাদের দিচ্ছে সবাই?" - প্রতিদিনের মতো বাবা তাকে দেখতে এলে প্রশ্নটা তাঁকে শুধিয়ে ফেলল সাদাকো। 
    বাবা বলেন, "আমরা জাপানিরা বিশ্বাস করি সারস পাখিরা সহস্র বর্ষজীবী হয়। তাই কেউ যদি নিজের জীবনের প্রতি বছরের জন্য একটি করে সারসের হিসেবে একহাজার অরিগামি সারস বানিয়ে ফেলে, তাহলে সেও সারসপাখিদের মতোই দীর্ঘজীবী হবে! দীর্ঘ জীবন লাভ তো বটেই, আমরা বিশ্বাস করি যে মনের কোনো প্রার্থনাই একহাজার সারস বানালে পূর্ণ হয়! "
    বাবার উত্তর ছোট্ট সাদাকোকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তোলে। সামনের অন্ধ-অন্ধকার করিডোরটা থেকে বেরোনোর একটা পথ যেন সে দেখতে পায় শেষমেশ। তাকে দ্রুত বানিয়ে ফেলতেই হবে এক হাজার সারস! নিজের জন্য তাকে রূপকথার সারসদের কাছ থেকে আদায় করে নিতেই হবে নীরোগ নিরাপদ এক সুদীর্ঘ জীবন! সাদাকো এখন সারাদিনে যতক্ষণ পারে কাগজ ভাঁজ করে সারস বানায়। তার কাছের অল্পস্বল্প কাগজগুলো শেষ হয়ে গেছে কবেই। ইদানিং সে হাসপাতালের অন্য রোগী, এমনকি নার্স আর ডাক্তারদের কাছ থেকেও নতুন কিংবা ব্যবহৃত কাগজ; যখন যা পায় চেয়ে আনে! কাগজ না পেলে ওষুধের খালি স্ট্রিপ, সিরাপের বোতলে সাঁটা লেবেল দিয়ে দ্রুত হাতে সারস বানিয়ে চলে সে...! নানা রঙের, নানা আকারের সারসে ভরে ওঠে সাদাকোর বিছানার তোষকের তল!
    "একহাজার সারস তো বানানো হয়ে গেল, তবু এখনও কেন সেরে উঠছি না আমি?"- অসহায় লাগে, হতাশ লাগে সাদাকোর। তবু সারস বানানো বন্ধ হয় না তার। 
    মা একদিন বলেন, " এবার বিশ্রাম নাও সোনা। একহাজার সারস তো বানানো হয়ে গেছে, দেখ ঠিক সেরে উঠবে তুমি!"
    সবে ক'দিন হল সাদাকো জেনে গেছে তার অসুখ আর সারবার নয়, জেনেছে তার হাতে রয়েছে আর খুব কম  সময়! তবু এখনও সারস বানানো থামায় নি সে! তবে রোগের প্রকোপে আগের মতো জোরে কথা বলতে বা হেসে উঠতে পারেনা ছোট্ট মেয়েটা। মা'কে জড়িয়ে তাঁর কানের কাছে মুখ নিয়ে সাদাকো বলে, "আমার জন্য নয় মা। এই সারসগুলো আমি বানাচ্ছি যাতে বাবার সব দেনা শোধ হয়ে যায়..!"
    ........
    ১৯৫৫'র ২৫ অক্টোবরের সকালবেলা চিরদিনের মতো ঘুমিয়ে পড়েছিল সাদাকো সাসাকি। জীবনের শেষ আড়াই মাসে দেহ-মনের অপার কষ্ট উপেক্ষা করে প্রায় চোদ্দশ' অরিগামি সারস বানিয়ে ফেলেছিল সে! 
    ........
    সাদাকোর গরিব মা-বাবা মেয়ের স্মৃতিসৌধ বানানোর টাকা জোগাড় করতে পারেন নি। তাই সাদাকোর স্কুলের বন্ধুদের উদ্যোগে গোটা জাপানের স্কুল পড়ুয়ারা সম্মিলিতভাবে সেই স্মৃতিসৌধের জন্য অর্থ জুগিয়েছিল। সাদাকো চলে যাওয়ার তিন বছর পর ১৯৫৮ সালে হিরোশিমার পিস মেমোরিয়াল পার্কে স্থাপিত হয়েছিল সাদাকোর হাতে ধরা সোনালী সারসের এক অনন্য ভাস্কর্য, যার নাম " অ্যাটমিক বম্ব চিলড্রেন"। এই স্মৃতিসৌধে কেবল সাদাকোর জন্যই নয়, হিরোশিমা আর নাগাসাকির আরও অসংখ্য বাচ্চা; যাদের জীবনও তেজস্ক্রিয়তার দীর্ঘসূত্রী প্রভাবে সেসময় অসময়ে ফুরিয়ে যাচ্ছিল রোজ, তাদের সকলের জন্য আকাশপানে নিজের অক্ষয় দু'ডানা মেলেছিল এক সোনালী সারস। সঙ্গে সাদাকোর পায়ের তলায় খোদিত ছিল রণ-রক্ত-হিংসা কবলিত পৃথিবীর সকল শিশুর নিখাদ মনের আসল ক'টি কথা "দিস ইস আওয়ার ক্রাই, দিস ইস আওয়ার প্রেয়ার : ফর বিল্ডিং পিস ইন দ্য ওয়ার্ল্ড"। 
    .........
    তথ্য সূত্র : 
    ১) সাদাকোর দাদা মাশাহিরো সাসাকির লেখা বই; 
    The Complete Story of Sadako Sasaki  : Masahiro Sasaki and Sue DiCicco 
    ২) এছাড়াও sadakosasaki.com সমেত বিশ্বজোড়া নানান ওয়েবসাইটে সাদাকো সম্পর্কে প্রচুর তথ্য ছড়িয়ে  রয়েছে। 
    ছবিঋণ : সাদাকো লেগাসি এন.পি.ও



     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২০ অক্টোবর ২০২৩ | ৬৩৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ২০ অক্টোবর ২০২৩ ২১:১৭524884
  • এই অদম্য প্রাণশক্তির সামনে   আমার মাথা নত।
  • মোহাম্মদ কাজী মামুন | ২১ অক্টোবর ২০২৩ ০০:১৭524894
  • "ডাক্তার ও চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের গবেষণা অন্যদিকে নিশ্চিত করে জানিয়ে দিচ্ছিল যে, পারমানবিক বোমাদুটি থেকে নির্গত অপরিসীম তেজস্ক্রিয়তার প্রত্যক্ষ অথচ নীরব শিকার হিসেবে মারণরোগ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে গত এক দশক ধরে আপাতভাবে সুস্থভাবে বেঁচে থাকা এই নিষ্পাপ শিশু-কিশোররা।"
    খুব কষ্ট হল। এক হাজার সারস বানানো হয়ে গেলেও সেরে উঠেনি সাদাকো। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন