এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  পরিবেশ

  • ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’ মাইক্রোপ্লাস্টিক

    স্বাতী রায়
    আলোচনা | পরিবেশ | ০৫ জুন ২০২৪ | ১০৯০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • ভোটরঙ্গের টান টান উত্তেজনা চলছে। এদিকে ভোট যতটাই শর্ট টার্মে গুরুত্বপূর্ণ হয়, লং টার্মের জন্য কিন্তু পরিবেশ ততটাই গুরুত্বের ও ভাবনার বিষয়। তাই যতই ভোটের গল্প ছেড়ে অন্য দিকে মন দিতে ইচ্ছে না করুক, এই বিষয়গুলোও তোলা জরুরী। বিশেষত ৫ই জুনও যদি একথা না বলি তো আর কবে! আসলে চারপাশের জল-বাতাস-মাটির ফিজিক্যাল পরিবেশটা ক্রমশঃ খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে। সব কিছু নিয়ে তো আর একটা ছোট নিবন্ধের পরিসরে কথা বলা যায় না, একটা দিক ধরেই দেখা যাক বরং।

    ছবি: রমিত চট্টোপাধ্যায়



    ২০১৮ সালে ইউরোপ উপকূল থেকে একটি বাচ্চা স্পার্ম তিমিমাছের মৃত্যুর খবরে ‘ইশশ’, ‘আহা’র বন্যা বয়ে যায়। জানা যায় যে তিমি মাছটির পেটে ভরা ছিল বিভিন্ন রকমের প্লাস্টিক ব্যাগ, জালের অংশ, বস্তা এমনকি জেরিক্যানও। বৈজ্ঞানিকদের অনুমান তিমি মাছটি না পেরেছে এই সব প্লাস্টিক শরীর থেকে বার করে দিতে, না পেরেছে সেসব হজম করতে। তার ফলে সম্ভবত পেটের প্রদাহ থেকে গ্যাস্ট্রিক শকে তার মৃত্যু হয়।

    তবে টিভিতে, কাগজে ছবি দেখে ইসস বলা সহজ, তিমিশাবকটির অবশ্য এত ক্ষমতা নেই যে আমাদের ক্রমবর্ধমান প্লাস্টিক প্রোডাকশনের গ্রাফকে নিচের দিকে টেনে নামায়। তার ছবি দর্শকের মনে যতই আঘাত করুক না কেন! এই তিমিশাবকটি একা নয় কিন্তু, অনুমান যে বছরে প্রায় লাখখানেক তিমি, সীল ইত্যাদি সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী প্লাস্টিকের কারণে মারা যায়, হয় ছেঁড়া জালের টুকরোতে জড়িয়ে ডুবে মরে, আর নাহলে এই বাচ্চা তিমিটির মতন কোন রকম শারীরিক শক পেয়ে। সেই সঙ্গে অনুমান লাখ খানেক সামুদ্রিক পাখি। তারা সমবেত ভাবে মানুষকে কাঠগড়ায় তুলতে পারে না, এই যা বাঁচোয়া।

    আমরা ডাঙ্গার জীব, সমুদ্রের প্রাণীরা মারা গেলেও যতক্ষণ না আমাদের গায়ে মৃত্যুর ঝাপটা সরাসরি এসে লাগছে, ততক্ষণ আমরা নড়ে বসব কেন? না নড়ে বসতে চাইলে, কেউ অবশ্য জোর করছে না। কিন্তু মুষ্টিমেয় কেউ কেউ হয়ত বুঝবেন যে হয়ত অজানা শত্রু আমাদের দুয়ারেই হাজির।

    শত্রুর নাম হল প্লাস্টিক। এমনিতে প্রচণ্ড দরকারি জিনিস। কিসে না লাগে! কিন্তু সমস্যা এইটাই যে প্লাস্টিক বলতে আমরা যে বিভিন্ন ধরণের রাসায়নিক দ্রব্য বুঝি, তাদের সবকটিকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করার কোন পকেটসই সুবিধাজনক পরিবেশ বান্ধব উপায় মেলে না। আবার সেটা এমনি ফেলে রাখলে প্রকৃতিতে মিশে যেতে অতি দীর্ঘ সময় লাগে। আর ততদিনে ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে সেটা ম্যাক্রো-প্লাস্টিক মেসো-প্লাস্টিক, মাইক্রো-প্লাস্টিক ইত্যাদি বিভিন্ন আকারের চেহারা নেয়। ম্যাক্রোপ্লাস্টিক হল ২.৫ সেমির থেকেও দৈর্ঘে বা প্রস্থে বড় যে কোন প্লাস্টিকের টুকরো। ৫ মিমি – ২.৫ সেমি অবধি টুকরোকে বলে মেসো-প্লাস্টিক। আর মাইক্রোপ্লাস্টিক বলা হও ১ মাইক্রো মিলিমিটার থেকে ৫ মিলিমিটারের সাইজের প্লাস্টিকের কণা। এই মাইক্রোপ্লাস্টিক নিয়েই আজকের কথা। কারণ আজকের দিনে এরা জলে স্থলে বাতাসে সর্বত্র ভেসে বেড়াচ্ছে। টেকনিক্যালি দেখলে রাসায়নিক দিক থেকে এরা সকলে অবশ্য এক নয়। পলিথিলিন বা পলিপ্রোপাইলিন বা পেট বা পিভিসি ইত্যাদি কোন রকমের প্লাস্টিকের থেকে তৈরি তার উপর নির্ভর করে মাইক্রোপ্লাস্টিকের গোত্র। তবে এক্ষেত্রে গোত্রে কি আসে যায়!

    কেন মাইক্রোপ্লাস্টিককে বিপদ বলে ভাবছি? এক তো ভারতের অর্থনীতিতে প্লাস্টিক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকার মোট ব্যবসা। ২০২৪ থেকে ২০৩০ সালের আনুমানিক বার্ষিক বৃদ্ধি ৬.৬%। প্রচুর লোকের রুজি রোজগার জড়িয়ে আছে এর সঙ্গে। আবার এর মধ্যে মোটামুটি কুড়ি শতাংশের এদিক ওদিক এক্সপোর্ট হয়ে দেশের বিদেশী মুদ্রার ভান্ডার স্ফীত করে। প্লেক্সকনসিল (দ্য প্লাস্টিক এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিল) সূত্রে পাওয়া যে সরকারি লক্ষ্যই হল ২০২৭ সালের মধ্যে এই বহির্বানিজ্যকে অন্তত আড়াইগুণ বাড়ানো। তাছাড়া নিজেদের জীবনের দিকে তাকালেই বোঝা যায়, প্যাকেজিং থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য থেকে বিলাস সামগ্রীর আবশ্যিক অঙ্গ হিসেবে সবেতেই প্লাস্টিক কিভাবে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে আমাদের জীবনে। সহজে তাকে নিজের জায়গা থেকে নড়ানো যাবে না। কাজেই বোঝাই যাচ্ছে যে প্লাস্টিক, ‘আপনি থাকছেন স্যার’। এদিকে সরকারি হিসেব মতে, ২০২০-২১ সালেই (পরের বছরগুলির তথ্য মেলেনি) দেশে ৪১ লক্ষ টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়েছে। আমাদের পশ্চিমবঙ্গ বছরে ৪.২ টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন করে ২০২০-২১ সালের সরকারি তথ্য অনুসারে তৃতীয় স্থানে, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ুর ঠিক পরেই। এই সংখ্যাটাও বছর বছর বাড়ছে। অবশ্যই প্রথম সারির দেশের তুলনায় মাথা পিছু বিচারে কিছুই না এই সংখ্যাটা - আমাদের জনসংখ্যা বিপুল হওয়ায় সুবিধা। তবু সংখ্যাটা তো নিছক অঙ্কের দিক দিয়ে কম নয়। আরও সমস্যা হল আমাদের কথা আর কাজে খুব বেশি সামঞ্জস্য নেই। আর সরকারি হিসেব মতে এই বিপুল পরিমাণ বর্জ্যের দুই তৃতীয়াংশ উৎপাদক কোম্পানির দায়িত্ব। তার পরেও এক তৃতীয়াংশের তো কোন হিসেবই নেই। বাস্তবে কি হয়? তলিয়ে দেখলে বোঝা যায় যে কোম্পানিরও কিন্তু শুধু প্রসেসিং এর দায়িত্ব, কতটা সত্যি সত্যি কি হচ্ছে তার খবর সব কোম্পানি রাখে কি? এমনিতেও কতটা বর্জ্য কোম্পানি ফিরে পেল, সেগুলো কিভাবে প্রসেস করল, এই ধরণের কোন একাউন্টিং হয় কি? এই বর্জ্য যায় কোথায়? ব্যক্তিগত ব্যবহারের যে প্লাস্টিকের মগ, বালতি, ডাস্টবিন ইত্যাদি কিনি আমরা, সেগুলো কি উৎপাদককে ফেরত দেওয়ার কোন ব্যবস্থা আছে? তার ব্র্যান্ড জিজ্ঞেস করলেই তো বিপদে পড়ে যাব! আর আমরা হেথায় হোথায় যেসব পুরোন প্ল্যাস্টিক ফেলে রাখি, বা সেসব জিনিস জঞ্জালের সঙ্গে ফেলে দিই, তার সামান্য অংশই বাস্তবে রিসাইকল হয়। বেশিটাই রোদে, জলে-বৃষ্টিতে পড়ে থাকে আর ক্ষয় হয়ে হয়ে মাটি-জল-বাতাসে মেশে। মাইক্রোপ্লাস্টিকের সেকেন্ডারি উৎস।

    অবশ্য এছাড়া ব্যবসার জন্য আলাদা করে মাইক্রোপ্লাস্টিক তৈরি করাও হয়। সেটাই প্রাথমিক উৎস। ওই যে ফাঊন্ডেশনের টিউবটি আপনার ড্রেসিং টেবলে শোভা পাচ্ছে বা যে লিপস্টিক বা ফেস পাউডারটি ছাড়া আপনি বাড়ির বাইরে বেরোতে পারেন না, সেটি কি কি দিয়ে তৈরি আমরা আর কজন জানতে যাই? এই যে বিদেশে অল্পবয়সী মেয়েদের মধ্যে টিউবিং মাস্কারা এত জনপ্রিয়, সেই টিউবটি কিসের তৈরি জানেন কি? “বিট দ্য মাইক্রোবিড” ক্যাম্পেইনের মতে, মেবেলাইন কোম্পানির ৮৫% প্রডাক্টে মাইক্রোবিড ব্যবহার করা হয়। এমনকি আমাদের ঘরের পাশের ল্যাকমে কোম্পানির সানস্ক্রিন লোশন “সান এক্সপার্ট এস পি এফ ৫০ আলট্রা ম্যাট লোশন” এও মাইক্রোবিড মিলেছে। তবে এদেশে যেহেতু এইসব নিয়ে মানুষের মাথা-ব্যথা কম, তাই দেশজ ব্র্যান্ড নিয়ে এখানে মাথাব্যথাও কম। এদিকে বিশ্বজুড়ে কসমেটিকস কোম্পানিগুলোর সর্বমোট বাজার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তাই এখানে মাইক্রোপ্ল্যাস্টিকের বহুল ব্যবহার চিন্তার বিষয় বৈ কি!

    শুধু একা হরেক কসমেটিকসকে দায়ী করলে হবে না। বস্তুত ২০১৯ সালের নেচারে প্রকাশিত এক পেপারে জানানো হয়েছিল যে পরীক্ষা করে দেখা গেছে সাধারণ সিনথেটিক জামাকাপড় বাড়িতে ব্যবহৃত ওয়াশিং মেসিনে কাচা হলে প্রতি কেজি কাপড়ে ১২৮ থেকে ৩০৮ মিলিগ্রাম মাইক্রোফাইবার বেরোয়। অবশ্যই কাপড়ের চরিত্রের উপর নির্ভর করে সংখ্যার এই হেরফের হয়। আর এই মাইক্রোফাইবারের একটা বড় অংশ আবার কোন অধুনা-প্রচলিত বর্জ্য-জল-শোধন প্রক্রিয়ায় আটকানো যায় না। ফলে সেসব সোজা গিয়ে পরিবেশে জমে। এই ডেটার থেকে বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন যে বছরে যত মাইক্রোপ্লাস্টিক সমুদ্রে গিয়ে পড়ে, তার অন্তত ৩৫% আসে এই কাপড় কাচার থেকে। অবশ্য এই তথ্য মিলেছে ওয়াশিং মেশিনে কাচা কাপড় দিয়ে। এবার কেউ কেউ ভাবতেই পারেন যে ভারত উপমহাদেশে তো এখনও হাতে কাপড় কাচাই বেশি প্রচলিত। তাই বিপদ ওদের, আমাদের আর কি! কিন্তু আসলে সমস্যা আছে। কারণ সমুদ্রের জল আসলে কোন রাজনৈতিক সীমানা মানে না। আর দ্বিতীয়তঃ কাপড়ের থেকে মাইক্রোফাইবার ওঠে মেকানিকাল ও কেমিকাল স্ট্রেসের কারণে। হাতে কাচলে মেকানিকাল স্ট্রেস খানিকটা কম হলেও কেমিক্যাল স্ট্রেসের মাত্রার মনে হয় খুব হেরফের হবে না। আবার ধাই ধপাধপ কাপড় আছড়ে আছড়ে কাচলে কি হয় দেবাঃ ন জানন্তি। এছাড়াও ‘একবার কাচলে কাপড় আবার প্রায় নতুনের মতন হয়ে ওঠে’ এমন ধারার বিজ্ঞাপন দেওয়া বহু ডিটারজেন্ট বা ফেব্রিক সফটনার এর মধ্যেই মাইক্রোপ্ল্যাস্টিক থাকে। ইউরোপের প্রচলিত ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে অন্তত ১১৯ টা ব্র্যান্ডে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে। সে অবশ্য ইউরোপে বিধিনিষেধও কড়া, ফলে যে সব পদার্থ দিয়ে তৈরি তার সবিস্তার হিসেব প্যাকেটের উপর দিতে হয়। আমাদের অত নিয়মের কড়াকাড়ি নেই। আর ভারতের ব্র্যান্ডগুলো নিয়ে বিশেষ বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার হদিশও সহজে মেলে না। অন্য হাতে এক কনজ্যুমার রিপোর্ট বহুল প্রচলিত ১২ টি ডিটারজেন্ট ব্রান্ডের তুলনামূলক পরীক্ষা করে জানিয়েছে যে এদের কোনটাতেই মাইক্রোবিড নেই। কাজেই বৈজ্ঞানিক ভাবে কেউ হাতে কাপড় কাচার পরের বেরোন জলকে পরীক্ষা না করে দেখা অবধি বা ব্র্যান্ডগুলির উপর বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষা না হওয়া অবধি আমরা এসব অমূলক ভয় বলে আপাতত নাকে সর্ষের তেল দিয়ে ঘুমাতেই পারি। আমাদের রোজের জীবনে অবশ্য গাড়ীর চাকা ইত্যাদি আরও অনেককিছু জানা-অজানা উৎস থেকেই নিয়ত প্লাস্টিক ক্ষয় হতেই থাকে।

    তবে স্বস্তির জায়গা খুব একটা হয়তো নেই। এমনিতেই সমুদ্রের ধারে ধারে গবেষণা করে জানা গেছে পৃথিবীর ১৯২ টা উপকূলীয় দেশে যত প্লাস্টিক বছরে তৈরি হয়, তার একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ মাইক্রোপ্লাস্টিক হিসেবে গিয়ে জমা হয় উপকূল অঞ্চলে। আমাদের সুন্দরবন অঞ্চলে প্রচুর প্লাস্টিকজাত দূষণ-পদার্থ সমুদ্রের জলে ভেসে এসে জমা হচ্ছে। আবার ভিতর থেকে যেসব নদী বয়ে যাচ্ছে তারাও প্লাস্টিক দূষক নিয়ে গিয়ে ঢালছে। দুয়ে মিলে সুন্দরবনের অবস্থা করুণ হচ্ছে। আর আমাদের সাধের কলকাতার পাশের গঙ্গার জল নিয়ে পরিবেশবিদদের মাথা ব্যথা অনেকদিনই। সাম্প্রতিক গবেষণায় তাঁরা হুগলি নদীর মিষ্টি জলের এলাকার (অর্থাৎ মোহনার কাছের নোনতা জল বা তারপরের মিশ্র জলের অঞ্চল ছাড়িয়ে আরও উত্তরের অংশ থেকে) থেকে ১০ টি স্যাম্পল নিয়ে তার ভিত্তিতে পরীক্ষা করে জানিয়েছেন যে, সব কটি স্যাম্পলেই মাইক্রোপ্লাস্টিক মিলেছে। সর্বোচ্চ মাত্রায় মাইক্রোপ্লাস্টিক মিলেছে বালিখালের কাছে - ২০৬৯ টি টুকরো প্রতি মিটার কিউব মিষ্টি জলে। এঁদের সংগৃহীত তথ্য সাক্ষ্য দিচ্ছে যে আমাদের আধা পরিশ্রুত বা অপরিশ্রুত বর্জ্য তরলই আসলে মিঠে জলের গঙ্গার জলের মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণের প্রধান উৎস। এছাড়াও অবশ্যই গঙ্গার ধারের বিভিন্ন কলকারখানার থেকে অন্য ধরণের জলদূষণও হয়। কিন্তু সেসব বলতে গেলে নিবন্ধের আকার শুধুই বাড়বে, তাই থাক সে কথা। জলে মাইক্রোপ্লাস্টিকের কথা আগেই আগ্রা, হরিদ্বার, পাটনা এলাহাবাদ এসব জায়গায় নজরে এসেছে। কারোর কারোর মনে থাকতে পারে, কাগজে বেরিয়েছিল, ২০১৯ সালে পলতার জল পরিশোধন কেন্দ্রে মধ্যে ফিলটার করার জায়গায় মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গিয়েছিল। পাওয়া যাওয়ারই কথা। কারণ পলতার জল আসে গঙ্গার থেকে আর গঙ্গার জলই তো দূষিত। আর এটাও বুঝে নিতে কোন অসুবিধা নেই যে এখনও যেহেতু ফিল্টার করে সব মাইক্রপ্লাস্টিক আটকানো যায় না, তাহলে কিছুটা প্লাস্টিক শুদ্ধ জলই আমাদের বাড়ি বাড়ি এসে পৌঁছেছে। আমরা শোধিত জল জেনে সেই জলই পরমানন্দে পান করেছি। কিন্তু হায় এতকিছু জেনেও আমাদের ঘুম ভাঙ্গে না! বিপুল পরিমাণে প্রাত্যহিক বর্জ্য পরিশোধনের কোন মহতী পরিকল্পনাও নজরে এল কি? এই তো আমাদের অবস্থা!

    অবশ্য জলের কথা বলছি যখন, তখন এই পৃথিবীর হাওয়া, মাটি কিছুই কি আর মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ থেকে সংরক্ষিত? একেবারেই না। মাইক্রো প্লাস্টিক কণারা সহজেই হাওয়ায় ভেসে ভেসে দূর দূরে চলে যায়। অবশ্য কলকাতার ক্রমনিম্নমুখী হাওয়ার গুণগত মান গোটা পৃথিবীর মানুষের চিন্তার বিষয়। আর তাতে ভাসমান কণারা এতোই বিপজ্জনক মাত্রায় প্রায় সব সময়ই ঘুরে বেড়ায়, তাই সেটাই বড় চিন্তার বিষয়। আলাদা করে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি নিয়ে বিশেষ গবেষণা হয়েছে বলে চোখে পড়েনি। জাপানের বিজ্ঞানীরা অবশ্য শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে বাতাসে ভাসমান কণাদের তো পিএম২.৫ মাপ দিয়ে মাপা হয় আর সেটাকেই স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক বলে ভাবা হয়, ভাসমান মাইক্রোপ্লাস্টিক কণারা তার থেকে আকারে বড় বলে হয়ত তেমন নজরদারিতে আসছে না। তাহলে কি স্বাস্থ্যের পক্ষে কী বিপজ্জনক সেটাও নতুন করে ভেবে দেখা দরকার আছে? আর এখন তো (২০২৩ সালের কাগজে বেরিয়েছিল খবরটা) হিরোশি ওকোচির নেতৃত্বে জাপানি বৈজ্ঞানিকরা মাউন্ট ফুজির উপর জমে থাকা মেঘের মধ্যেও মাইক্রোপ্লাস্টিকের সন্ধান পেয়েছেন। সমস্যা এই আমাদের পৃথিবীকে ঘিরে রাখা বায়ুমন্ডলে উপস্থিত মাইক্রোপ্লাস্টিক কণারা তারা সমবেত ভাবে মেঘ তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়াকেই ঘেঁটে দিতে পারে। সেই সঙ্গে মেঘের থেকে সূর্যালোক প্রতিফলন বা বৃষ্টি হওয়ার ধরণ ইত্যাদি বদলে দিতেও তারা সক্ষম। সব মিলিয়ে পৃথিবীর আবহাওয়াকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা ধরে এই অদৃশ্য কণাগুলো। এমনিতেই আবহাওয়ার বদলের ধাক্কা সামলাতে সামলাতে আমরা নাজেহাল, সেই সঙ্গে আরও বারুদ হয়ত পরিবেশে জমা করছি নিজেদের অজান্তে।

    আর যে দেশে অধিকাংশ প্লাস্টিক বর্জ্যের ভবিতব্য জমি ভরাট করার কাজে লাগতে সেখানে মাটিও যে প্লাস্টিকময় হয়ে যাবে তাতে আর আশ্চর্য কি? ২০২০ সালেই বর্ধমানের মেমারি অঞ্চলে সমীক্ষা করে গবেষকরা দেখেছেন মাটিতে কিভাবে ম্যাক্রোপ্লাস্টিক ও মাইক্রো প্লাস্টিক দুইই মিশে রয়েছে। তাঁরা এও জানিয়েছেন যে মাটিতে প্লাস্টিকের উপস্থিতি কিভাবে মাটির জলধারণ ক্ষমতা ইত্যাদি চরিত্র বদলে দিচ্ছে। ফলে কৃষি উৎপাদনে প্রভাব পড়ছে। আর সেই প্লাস্টিক গাছের মধ্যে দিয়ে খাদ্যে মিশে মানুষের প্লেটে এসে পৌঁছাচ্ছে। কারণ হিসেবে তাঁরা মূলত দায়ী করেছেন মাটির উর্বরতা বাড়ানোর জন্য দেওয়া আধা-তরল, আধা-কঠিন পরিশোধিত বর্জ্য-অবশেষকে। এতেই প্লাস্টিক ভরা। এছাড়াও আছে প্লাস্টিক আবরণে মোড়া সার (যতদূর পড়েছি, এ বিষয়ে আমার প্রত্যক্ষ ধারনার নিতান্তই অভাব, সারের ধীরে ধীরে মাটিতে মেশা নিশ্চিত করতে প্লাস্টিকের মোড়ক দেওয়া হয়, অন্য কোন কারণ আছে কি?)। এমনিতেই বঙ্গোপসাগরের পাশের সুন্দরবন প্লাস্টিক সেসপিট বলে বহুদিন ধরেই আখ্যা পেয়েছে। সেখানকার মাটি, জল ও প্রাণী-উদ্ভিদের জীবনে মাইক্রোপ্লাস্টিকের প্রভাব নিয়ে অল্প কিছু কাজ তাও চোখে পড়ে। পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জায়গায় এই হিসেব আদৌ হয়েছে কিনা জানা নেই। অথচ বিদেশে বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখিয়েছেন যে প্লস্টিক কিভাবে গাছের অঙ্কুরোদ্গমের হারকে বা অঙ্কুরের বাড়কে ব্যাহত করে।

    মানুষের শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতিরও ক্রমশঃ প্রমাণ মিলছে। নেদারল্যান্ডের ২২ জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে ১৭ জনের রক্তে মাইক্রোপ্লাস্টিক মিলেছে। বস্তুত এখনও অবধি পরীক্ষায় আমাদের লালা, রক্তপ্রবাহ, প্লাসেন্টা, কোলন, ফুসফুস, মল ইত্যাদির মধ্যে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে। মাইক্রোপ্লাস্টিক মিলেছে মাতৃদুগ্ধ ও সদ্যজননীর প্ল্যাসেন্টাতেও।

    আজকের বিজ্ঞানীরা বলছেন মানুষের শরীরে তিনভাবে মাইক্রোপ্লাস্টিক ঢোকে। প্রথমত শ্বাস গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে ফাইবার বা হাওয়ার সঙ্গে মিশে থাকা কণা হিসেবে এসে শরীরে ঢুকতে পারে। ইন্ডিয়া টুডে গত বছরের একটা খবরে জানিয়েছিল যে আমরা প্রতি সপ্তাহে একটা করে ক্রেডিট কার্ড তৈরি করার মতন যথেষ্ট পরিমাণে মাইক্রো প্লাস্টিক শ্বাসের সঙ্গে টেনে নিই। গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা মাইক্রোপ্লাস্টিক কিভাবে মানুষের শ্বাসযন্ত্রের মধ্যে দিয়ে ঘুরে বেড়ায় তার একটা মডেল বানিয়েছেন। নাক দিয়ে ঢুকে শেষে রক্তের সঙ্গে মিশে যায়, তারপর চলতে চলতে সোজা ফুসফুস বা হৃৎপিন্ডে বা অন্যান্য অঙ্গে পৌঁছে যায়। অবশ্য শুধু যে দূষিত হাওয়া দায়ী এমন তো নয়, খাবার বা পানীয়ের মাধ্যমেও মাইক্রোপ্লাস্টিক আমাদের শরীরে ঢুকতে পারে। এই যে গোটা শীতকাল জুড়ে ধাপার কাছের ইস্টার্ণ বাইপাশের ধারে ধারে কলকাত্তাই বাবুদের গাড়ি থামিয়ে নধর সবজি কিনতে দেখা যায়, সেই সব ‘ড্যাঞ্চি’ সবজির সঙ্গে সঙ্গে আমরা কী কী যে খাই কে জানে! তবে এইসব নিয়ে দেশজ রিসার্চ এখনও তেমন মেলে না। তাই আপাতত বিদেশী রিসার্চ থেকেই বলা যাক যে ইটালিতে রোজকার আলু, ব্রকোলি ইত্যাদি সবজির মধ্যেও মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে। এমনকি যে আপেল নিয়ে বলা হয় যে ‘অ্যান অ্যাপেল আ ডে / কিপস দ্য ডক্টর অ্যাওয়ে’, সেই আপেলেও এই দূষকের হদিশ মিলেছে। অবশ্য পরিবেশ-দূষণের আরেকটা ফল হল খাদ্য শৃঙ্খলে মাইক্রো প্লাস্টিকের ঢোকার পাসপোর্ট পাওয়া। ফাইটোপ্ল্যাংটন বা সায়ানোব্যাক্টিরিয়া মারফৎ তাদের খাদক বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে দিয়ে ধাপে ধাপে মানুষের শরীরে এসে ঢোকে। এই যে পাশের বাড়ির দত্তবাবুর বাড়িতে তিনদিন বর্ষার ইলিশ এসে গেল বলে ঈর্ষায় নীল হয়ে গিয়ে আপনি বাজার থেকে বিপুল দাম দিয়ে গোটা ইলিশ কিনে আনলেন আর সোশ্যাল মিডিয়ায় বড় করে ছবি পোস্টালেন, জানেন কি সেই ইলিশের মধ্যে কি কি আছে? অবশ্য বিজ্ঞানীরা বলছেন ত্বকের সংস্পর্শে আসার মাধ্যমেও শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিক লেগে যায়, ভিতরে অনুপ্রবেশ না করতে পারলেও। তার গায়ে লেগে থাকা টক্সিক পদার্থ থেকেও বিপত্তি হওয়া সম্ভব।

    একবার শরীরে ঢুকতে পারলেই হল, তারপর যে কত রকমের বিপত্তি ঘটাতে পারে! যেমন বেয়াড়া আকারের মাইক্রোপ্লাস্টিকের খোঁচা লাগতে পারে বিভিন্ন অঙ্গ- প্রত্যঙ্গে। প্রদাহ তৈরি হয়। তার উপরে বিভিন্ন মাইক্রোপ্লাস্টিকের রাসায়নিক গড়ন আলাদা আলাদা তো, আর প্লাস্টিক তৈরির পর্বেও বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। সবে মিলিয়ে শরীরের ভিতরে বিভিন্ন এন্ডোক্রিন ডিসর‍্যাপ্টার বা তাদের ক্ষরণে সহায়ক পদার্থ ঢোকে, মোটাদাগের ভাষায়, বহুবিধ হরমোনের গণ্ডগোল সৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়ে। যার ফলশ্রুতি বাড় বৃদ্ধির সমস্যা, বিভিন্ন প্রজনন তন্ত্রের সমস্যা থেকে ক্যান্সার, নিউরোডিজেনেরেটিভ অসুখ অবধি অনেক কিছুই হতে পারে। আরও একটা সমস্যা হল যে মাইক্রোপ্লাস্টিকের গায়ে লেগে লেগে বিভিন্ন হেভি মেটাল বা অন্যান্য টক্সিক পদার্থও শরীরে ঢুকতে পারে, তারাও বিভিন্ন রকমের খেলা দেখায় শরীরে। বলে না একা রামে রক্ষা নেই, সুগ্রীব দোসর! নিরীক্ষায় দেখা গেছে এমনকি কম দূষিত হাওয়াতেও দীর্ঘদিন ধরে শ্বাস গ্রহণের ফলে হৃৎপিণ্ডের বা শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা হতেই পারে।১০ খুব সম্প্রতি কালে অবশ্য এক গবেষণায় ২৫৭ জনকে পরীক্ষা করে দেখানো হয়েছে যে যাদের গলার ধমনীতে জমে থাকা প্লাকের প্রলেপের মধ্যে মাইক্রোপ্লাস্টিক মিলেছে তাদের মধ্যে বছর তিনেকের ধারে কাছে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক ও তার থেকে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে প্রায় সাড়ে চারগুণ। বিপদ বলে বিপদ! এছাড়াও বিজ্ঞানীরা হজমের গোলমাল থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কমে যাওয়া থেকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস জনিত টিস্যুর ক্ষতি ইত্যাদি বহু শারীরিক বিপদ সম্ভাবনার পিছনেও প্লাস্টিককে চিহ্নিত করেছেন১১ - উৎসাহীরা একটু নেট ঘাঁটলেই বহু তথ্য পাবেন। তবে এই নিয়ে আরও অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হওয়া প্রয়োজন। যদি বিজ্ঞানীদের বলা এই সব সম্ভাবনা সত্যি হয়, তাহলে মাইক্রোপ্লাস্টিককে নিঃশব্দ ঘাতকের তকমা দেওয়াই যুক্তিযুক্ত হবে। অবশ্য ক্ষয়িত প্লাস্টিকের অপর ফর্ম মানে ন্যানোপ্লাস্টিককেও এই বিপদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না।

    তবে অবশ্য এই দেড় কোটি মানুষের দেশে মানুষের প্রাণ ম্যাক্রো স্কেলে সব চেয়ে সহজলভ্য। কিছুটা ভারতীয় জীবন দর্শনও হয়ত মানুষকে কিঞ্চিৎ দার্শনিক করে দেয়, তারা ভাবে মরব তো একদিনই, এত না ভেবে আনন্দে বেঁচে নিই। হবে হয়ত। আর যে দেশে এক বিপুল সংখ্যক মানুষ দৃশ্য শত্রুর মোকাবিলা করতে করতেই ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে সেখানে আর অদৃশ্য শত্রু নিয়ে কেই বা ভাববে! তার উপর এদেশে গবেষণার খাতে যা সামান্য অর্থ ব্যয় হয় আর সম্প্রতিকালে সেই গবেষণা- অর্থের যে ধরণের গবেষণার দিকে গতি, তাতে এই ধরণের অনিশ্চিত গবেষণা তথা প্রকৃত ক্ষতি মাপার জন্য ক্ষেত্র সমীক্ষা কতটা হওয়া সম্ভব সেও বোঝা খুবই সহজ! কাজেই হয়ত না জানা থাকলেই জীবনে শান্তি বাড়ে। আর জেনে গেলে তখন হয়ত ওই বিদেশের মতন নো প্লাস্টিক উইক জাতীয় কিছু নিঃশব্দে পালন করে আত্ম-পাপ ক্ষালনের চেষ্টা করতে হয়। এও জানা যে তাতে সামগ্রিক কোন ছাপই পড়বে না হয়ত। কিভাবে কমানো যায়? ভোগবাদে রাশ টেনে? ব্যক্তিজীবনে বদল এনে? নাকি অন্য কিছু করা দরকার? অবশ্য কি করলে যে সত্যিকারের বদল আনা সম্ভব তাও কি কেউ একা একা বার করতে পারে? ‘একাকী গায়কের’ জন্য কি আদৌ এই গান? সামগ্রিক সর্বস্তরের ঐকান্তিক চেষ্টার দরকার। ব্যক্তি চেষ্টার সঙ্গে সরকারি নীতির সামগ্রিক মেলবন্ধন হলে তবে না কিছুটা কাজ হয়! আর না হলে এই সব লেখা শুধু ভীতি-উদ্রেককারী বলে বাজে কাগজের ঝুড়িতে জমা হয়!





    ১) https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1943210

    ২) De Falco, F., Di Pace, E., Cocca, M. et al. The contribution of washing processes of synthetic clothes to microplastic pollution. Sci Rep 9, 6633 (2019). https://doi.org/10.1038/s41598-019-43023-x

    ৩) https://consumeraffairs.nic.in/sites/default/files/file-uploads/ctocpas/Deterjent_powder.pdf

    ৪) Ghosh, S., Das, R., Bakshi, M. et al. Potentially toxic element and microplastic contamination in the river Hooghly: Implications to better water quality management. J Earth Syst Sci 130, 236 (2021). https://doi.org/10.1007/s12040-021-01733-9

    ৫) https://timesofindia.indiatimes.com/city/kolkata/experts-warn-of-micro-plastics-in-kmc-water/articleshow/69065930.cms

    ৬) Wang, Y., Okochi, H., Tani, Y. et al. Airborne hydrophilic microplastics in cloud water at high altitudes and their role in cloud formation. Environ Chem Lett 21, 3055–3062 (2023). https://doi.org/10.1007/s10311-023-01626-x

    ৭) https://www.thehindu.com/sci-tech/energy-and-environment/japanese-scientists-find-microplastics-are-present-in-clouds/article67356549.ece

    ৮) Maji, Piyush & Mistri, Biswaranjan. (2021). PLASTIC CONTAMINATION, AN EMERGING THREAT FOR AGRICULTURAL SOIL HEALTH: A CASE STUDY IN MEMARI II C. D. BLOCK, PURBA BARDHAMAN, WEST BENGAL, INDIA. Pollution Research. 40. 120-129.

    ৯) Riaz, Hafiz Hamza & Lodhi, Abdul Haseeb & Munir, Adnan & Zhao, Ming & Mumtaz Qadri, Muhammad Nafees & Islam, Saidul & Farooq, Umar. (2024). Breathing in danger: Mapping microplastic migration in the human respiratory system. The Physics of Fluids. 36. 10.1063/5.0205303.

    ১০) Lee Y, Cho J, Sohn J, Kim C. Health Effects of Microplastic Exposures: Current Issues and Perspectives in South Korea. Yonsei Med J. 2023 May;64(5):301-308. doi: 10.3349/ymj.2023.0048. PMID: 37114632; PMCID: PMC10151227.

    ১১) Environ. Health 2023, 1, 4, 249–257 Publication Date:August 10, 2023. https://doi.org/10.1021/envhealth.3c00052

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৫ জুন ২০২৪ | ১০৯০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 172.56.***.*** | ০৫ জুন ২০২৪ ২২:৫৫532742
  • খুবই দরকারি এই লেখাটা। এ'কথা খুব সত্যি যে এই বাস্তবগুলো জানলে খুব ভয় লাগে, ডিস্টার্বিং লাগে। অসহায়ও লাগে কারণ, লেখিকা যেমন বলেছেন, সমাধানের রাস্তা সহজে চোখে পড়েনা। কিন্তু তার জন্য সত্যির দিক থেকে যারা চোখ ফিরিয়ে থাকে, মিথ্যে ভয় দেখানো লেখা বলে বাজে কাগজের ঝুড়িতে জমা করে, তারা ডিনায়ালে ভুগছে ছাড়া আর কী বলার আছে? ক'দিন আগে কোনো সেলিব্রিটি দিব্যি বললেন যে আসলে আজকাল এমন কিছু বেশি গরম পড়ছেনা। মানুষের সহিষ্ণুতা কমে গেছে বলে লোকে একটুতেই চেঁচামেচি জোড়ে। সেই শোনার পর থেকে দেখলাম প্রচুর সাধারণ মানুষও সেই একই কথা বলতে লাগলেন। একে তো পরিবেশ দ্রুতগতিতে কোথায় যাচ্ছে তা দেখে, সমাধানের উপায় না দেখে মন খুব বিক্ষিপ্ত হয়ই। তার ওপরে বুদ্ধিমান, শিক্ষিত মানুষের এই রকম উটপাখির মত ব্যবহার দেখে আরো বেশি হতাশ লাগে। লেখিকাকে অনেক ধন্যবাদ এই কথাগুলো তুলে আনার জন্য। ওপরে সবুজ রং দিয়ে হাইলাইট করা অংশে ভূমিকাটুকুও খুবই ভালো লাগলো।
  • | ০৫ জুন ২০২৪ ২৩:০৪532743
  • যাক লিখে  ফেলেছ। থেঙ্কু থেঙ্কু।
  • স্বাতী রায় | ০৬ জুন ২০২৪ ০৯:৫১532756
  • @kk বার বার বলে যাওয়া ছাড়া আর কোন গতি নেই। তবু হতাশ ও লাগে, আসলে এত কাজ এদেশে বাকি যে প্রায়োরিটি লিস্টে এসব ভাবনা কোথায় জায়গা পাবে! তার বরাদ্দ অর্থ ই বা আসবে কোথা থেকে!  আপনাকে ধন্যবাদ। 
     
    @ দ হ্যাঁ। ল্যাপটপ ফেরত পেয়ে পুনর্জীবন পেয়ে তারপর।
  • Suvasri Roy | ০৬ জুন ২০২৪ ১০:৩২532761
  • লেখাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শেষ পর্যন্ত আমাদের পরের পরের প্রজন্মগুলো প্রকৃতিকেও দূষণবিহীন পাবে না।  
  • স্বাতী রায় | ০৬ জুন ২০২৪ ১৮:৪৮532793
  • @পাপাঙ্গুল  দ র লেখাটা আমারও খুব পছন্দ। লিংক টা এখানে জুড়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। 
  • নিরমাল্লো | ০৬ জুন ২০২৪ ২৩:৫০532818
  • খুব দরকারি বিষয়। বাকিগুলো বলাই আছে আর কয়েকটা জিনিস বলে যাই - 
     
    ১) মাইক্রোপ্লাস্টিকের বেশিরভাগ তথ্যই হল এই যে আমরা (পুরো জীবজগত) বেশি বেশি করে মাইক্রোপ্লাস্টিক কনজিউম করছি, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তার ফলে কি হবে সেটা বলা হয় না৷ তার কারণ সেই ফলাফলগুলো এখনো ভালোভাবে পর্যালোচনা করা হয় নি। তার মধ্যে যেটা করা হয়েছে সেটা হল এই মাইক্রোপ্লাস্টিক সামুদ্রিক মাছেদের রিপ্রোডাকশান বেশ কমিয়ে দেয় (পেপারের রেফারেন্সটা হাতের কাছে নেই পরে দিয়ে দেব)। ফলে বেশি গভীরে মাইক্রোপ্লাস্টিকের কনসেনট্রেশান বাড়লে সামুদ্রিক প্রাণের বারোটা বাজবে।
     
    ২) বেশ কিছু ভালো কাজ অলরেডি হচ্ছে। TIFR এর শঙ্কর ঘোষ টায়ারের ওয়ার এন্ড টিয়ার থেকে যে মাইক্রোপ্লাস্টিক বার হয় তার রেমিডি হিসেবে এক সহজ ও সস্তা সলিউশান বার করেছেন। মাইক্রোপ্লাস্টিক থেকে অন্য কি বস্তু বার করা যায় সে নিয়েও কাজ হচ্ছে। প্লাস্টিক যাতে সমুদ্র অবধি গিয়ে না পড়ে তার আগেই তার রিসাইক্ল করার জন্য এক ইউরোপিয়ান কোম্পানি অলরেডি ২৩০ মিলিয়ান ইউরোর এক প্রজেক্টে নেমেছে। যে পলিউশান অলরেডি হয়েছে তার রেমিডির জন্যে কিছু ব্যকটেরিয়া অলরেডি ডেভলপ হয়েছে যা এর অনেক কিছুই খেয়ে ফেলতে পারে। তাই ভরসা করি নেক্সট ১০ বছরে এই সমস্যার বিশেষ সমাধান হয়ে যাবে।
     
    ভয় একটাই - সরকারি ও বেসরকারী চাপে পড়ে এসব প্রজেক্ট শেল্ফে পড়ে নষ্ট না হয়।
  • স্বাতী রায় | 117.194.***.*** | ০৭ জুন ২০২৪ ১৯:৫৭532853
  • @নিরমাল্লো আমার আগের বার মনে হয়েছিল আপনার প্লাস্টিক রিসাইকল নিয়ে ভাল ধারণা আছে। আমার কেমিস্ট্রির জ্ঞান নেগেটিভ এ রান করে, তাই কিছু কিছু পেপার আনতাবড়ি পড়েও খুব যে কিছু বুঝছি এমন নয়। আপনি একটু দেশে ও  বিদেশে রিসাইকল  বা alternate solution নিয়ে কী ধরণের কাজ হচ্ছে, তার সুবিধা অসুবিধা, ইত্যাদি নিয়ে  গুছিয়ে বড় করে লিখুন না প্লিজ। জানতে ইচ্ছে করে খুব। 
  • নিরমাল্লো | ০৭ জুন ২০২৪ ২১:০১532858
  • লেখবার ইচ্ছে আছে। নিশ্চই লিখবো একটু সময় করে ওঠাটাই দরকার। 
     
    মূল সমস্যাটা আসলে প্যাকেজিং প্লাস্টিকের। সেটাকে কমানো সম্ভব নয়, আর তার অল্টারনেটিভও হাতের কাছে নেই এই মুহূর্তে। তাই সেটাকে রিসাইকল করাটা জরুরি। মুশকিল হল এই জিনিসগুলো এত টেঁকসই বলেই এগুলো ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহার হয়। এবারে এগুলোকে ভাঙতেও এমন ভয়ানক জিনিস লাগে যা মূল প্লাস্টিকের চেয়েও ক্ষতিকর। সেই নিয়েই নানান বিবাদ বিসম্বাদ চলছে এই মুহূর্তে। কিছু সলিউশান বের হচ্ছে, যা এই প্রবলেমের আশপাস দিয়ে সলিউশান করে। কিন্তু মূল প্রবলেমটা এতটাই কঠিন যে কেউ দাঁত ফোটাচ্ছে না। সেইটে নিয়েই লিখবো। 
     
    তবে আমার আশা এর সলিউশান হবে খুব দ্রুতই। এটা একটা সিরিয়াস প্রবলেম, নেক্সট ১০-১৫ বছরের মধ্যে এর সমাধান না হলে এ গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর থেকে বড় প্রবলেমে পরিনত হতে পারে বলে আমার বিশ্বাস। এবং আরো বড় ভয়, একে সলভ করতে গিয়ে আমরা আরো বড় ক্ষতি ডেকে না আনি।
  • girija sankar kundu | ০৭ জুন ২০২৪ ২১:০৮532860
  • ভয়ংকর অবস্থা! 
  • kk | 172.56.***.*** | ০৭ জুন ২০২৪ ২১:১৪532861
  • নিরমাল্লো বড় করে লিখলে আমিও পড়তে খুব আগ্রহী। এই খবরগুলো শুনলে তাও একটু আশা জাগে। অনেকেই সাধ্যমত ভালো কাজ করছেন। ফ্লোরিডায় আমি ব্লু মার্বেল বলে একটা সংস্থার জন্য কিছু ভলান্টিয়ারের কাজ করেছিলাম। একজন এক্স মিলিটারি ভদ্রলোক একটা প্রোগ্রাম চালু করেছিলেন। যেসব মানুষের পিটিএসডি আছে, তাঁরা অনেক সময়েই জলের মধ্যে বেশি সময় কাটালে শান্ত বোধ করেন। তো তাঁদের নিয়ে একটা ভলন্টিয়ার দল গড়া হয়েছিলো। কিছু ডাইভিং ও অন্যান্য ট্রেনিং পাবার পর সেই দলের কাজ ছিলো সী-ফ্লোর থেকে প্লাস্টিক ওয়েস্ট তুলে আনা। আর জলের নীচে রীফ ইত্যাদি মেরামত করা। খুব ভালো লাগতো। খুব ভালো কাজ ছিলো।

    আমাকে একটা কথা বলুন তো আপনারা। আমি সিংগল ইউজ প্লাস্টিকের কিছু কিনিনা, আর এমনি প্লাস্টিকের যদি নিতান্ত কিছু বাড়িতে আসে তো রি-ইউজ ও রিসাইকল করি যতটা সম্ভব। কিন্তু দেখি অনেক ওষুধের কৌটোর বা এমনি কৌটো-বোতলের ঢাকনা গুলো রিসাইক্লেবল নয়। সেগুলো এমনি ল্যান্ডফিলে যেতে দেওয়া ছাড়া কিছু উপায় আছে?
  • | ০৭ জুন ২০২৪ ২১:২৪532862
  • কেকে, কৌটোগুলোকে গাছের টব হিসেবে ব্যবহার করতে পারো বা একটু লম্বা বোতল হলে ড্রিপ ইরিগেশানের জন্য ব্যবহার করতে পারো।  এছাড়া আশেপাশে প্ল্যাস্টিকের বিল্ডিং ব্লক বা ইট বানাবার কোন সংস্থা থাকলে তাদের সাথে যোগাযোগ করে দিতে পারো। নিজেও বাড়িতে বানাতে পারো। ওরকম ৫০০ কি ১০০০ ব্লক হলে ওই সংস্থাকে দেবে। 
  • kk | 172.56.***.*** | ০৭ জুন ২০২৪ ২২:২৪532864
  • থ্যাংকু দ'দি। বাড়িতে কেমন করে বানানো যায়? লিংক দেবে?
  • স্বাতী রায় | 117.194.***.*** | ০৭ জুন ২০২৪ ২২:৩৭532865
  • @দ কলকাতার আশেপাশে কেউ বানায় নাকি এমন বিল্ডিং ব্লক? জানো?
     
    @নিরমাল্লো অপেক্ষায় রইলাম। 
  • | ০৭ জুন ২০২৪ ২৩:১০532868
  • ক্কে, এইটে দেখো। 
     
     
     
    স্বাতী,  তোমরাই তো আমাকে জানাবে কলকাতস্র কথা। আমিও খুঁজছি।
  • | ০৭ জুন ২০২৪ ২৩:১১532869
  • *কেকে
    **কলকাতার
  • kk | 172.56.***.*** | ০৮ জুন ২০২৪ ০১:৩৯532875
  • বাঃ, খুব ভালো তো ভিডিওটা। কিন্তু কাছাকাছির মধ্যে ইকো-ব্রিক নেন এমন কোনো সংস্থা খুঁজে পাচ্ছিনা। দেখি, আরো খুঁজি।
  • অরিন | 2404:4404:1732:e000:1833:f91f:521f:***:*** | ০৮ জুন ২০২৪ ০৩:১৪532877
  • মাইক্রোপ্লাস্টিক নিয়ে খুব ভালো আলোচনা হচ্ছে। নিরমাল্লো দেখলাম লিখেছেন যে উষ্ণায়ণের মতন গভীর সমস্যা। এই প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে উষ্ণায়ণ মাইক্রোপ্লাসটিকের সমস্যা আরো বাড়িয়ে তুলছে দুভাবে:এক, সমুদ্রের জল আরো অ্যাসিডিক হচ্ছে যাতে করে সেকেন্ডারী মাইক্রো্লাসটিক তৈরী বাড়ছে,এবং উষ্ণায়ণের জন্য সমুদ্রের জলের লেভেল বাড়ছে এবং ঝড় সাইক্লোনের তীব্রতা বাড়ছে,যে কারণে স্থলে অবস্থিত মাইক্রোপ্লাসটিক সমুদ্রের জলে মিশছে এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
    আরেকটা কথা ভাবার যেটা স্বাতী লেখেননি। কোভিডের সময় থেকে পলিপ্রপিলিন দিয়ে তৈরী মাস্ক (ডিসপোজেবল মাস্ক) ইত্যাদি ব্যবহার জনিত কারণেও সাম্প্রতিক কালে মাইক্রোপ্লাসটিক দূষণ খুব বেড়েছে এবং বাড়ছে।
    মাইক্রোপ্লাসটিকের জন্য নানান রকমের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়,তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে চিন্তার কারণ অল্প বয়েসীদের মধ্যে মানে ৪৫ ৫০ বছর বয়েসী লোকের মধ্যে কোলন এর ক্যানসার বহু মাত্রায় বেড়েছে এবং এর সঙ্গে মাইক্রোপ্লাসটিকের যোগসূত্র রয়েছে। এ নিয়ে রে কখনো লেখা যাবে। নিরমাল্লোবাবু কি লেখেন পড়ার আগ্রহ রইল। 
    স্বাতীর লেখার প্রশংসা করি!
  • স্বাতী রায় | 117.194.***.*** | ১০ জুন ২০২৪ ১২:২৬532982
  • @অরিন ধন্যবাদ। প্লিজ লিখুন। কোভিড কালের বিপুল প্লাস্টিক বর্জ্যের কথা আমারও মাথায় ছিল।  সমস্যা হল আমাদের দেশে এই ধরণের  ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট এর কাজ যতটুকু ও বা হয়, সেটা গণ মাধ্যমে থাকে খুব কম। অনধিকারীর দেখতে না পাওয়ার সমস্যা তো আছেই। তখন যদিও বেশ হৈচৈ হয়েছিল এনিয়ে। সব মিলিয়ে বিশেষ তথ্য মিলল না। অগত্যা। আরও একটা সমস্যাও আছে। প্রতিটা ঝড়ের পরে অন্তত সুন্দরবনে র উপকূল অঞ্চলে প্লাস্টিক বর্জ্যের কনসেন্ট্রেশন বেড়ে যায় মারাত্মক রকম। তারও সুদূরপ্রসারী পরিবেশগত ফল থাকে। উষ্ণায়ন যে শুধু ঝড়, সুনামি, ফ্লাডিং এইসব সমস্যা বাড়াচ্ছে তাই না, এই সব পরোক্ষ সমস্যাও বাড়াচ্ছে। কিন্তু কে তার ইমপ্যাক্ট মাপবে! 
  • সমরেশ মুখার্জী | ১৩ জুন ২০২৪ ২২:৪৬533128
  • এই ভিডিও‌টি ভাটে রেখেছি। এখানেও থাক। অত‍্যন্ত প্রাসঙ্গিক মেসেজ। উপস্থাপনাও সুন্দর। এমন সব গায়ে কাঁটা দেওয়া ভিস‍্যুয়ালের সাথে এমন মেসেজ যত ছড়াবে তত ভালো। যদি‌ও এক সপ্তাহে একটি ক্রেডিট কার্ডে‌র সমপরিমাণ প্লাস্টিক শরীররে যাওয়া হয়তো একটু অতিরঞ্জন। তবে এভাবে একটু ধাক্কা‌ দেওয়াও জরুরী। যদি তাতে জনগণের 'সব চলতা হ‍্যায়' মানসিকতা‌য় কিছু বদল আসে। সরকার‌ও যদি কিছু উদ‍্যোগ নেয় তো আরো ভালো। আশায় বাঁচে চাষা।

    বিষয়টি যেহেতু very alarming তাই বেছে বেছে বেশ কয়েকজন‌কে হোয়াতে শেয়ার করলাম, যাদের সংবেদনশীল বলে মনে হয়। তাদের কয়েজনের সাথে হয়তো বহুদিন যোগাযোগ করিনি। কারুর সাথে আর হয়তো কখনো যোগাযোগ হবে‌ও না (পথের আলাপ)। কিন্তু তাতে কিছু এসে যায় না। এমন জিনিস শেয়ার করতে কোনো দ্বিধা করা উচিত নয়।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন