এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  অন্যান্য  মোচ্ছব

  • আবার ফিরি বিশ্বাসে

    Samaresh Mukherjee লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | মোচ্ছব | ০৭ অক্টোবর ২০২৩ | ৫৭৩ বার পঠিত
  •     কিছু লাইভ মিউজিক্যাল পারফরম্যান্স দেখার অভিঘাতে তার পটভূমি সম্পর্কে আরও কিছু জানতে ইচ্ছে হয়। হীরেন সিংহরায়ের কিছুক্ষণ সুনীলের সাথে স্মৃতি‌চারণে‌র সত্তরের জমানা এখন নয়। তখন রমাপদ চৌধুরী মশাই হীরেনবাবুকে বলেছিলেন, "দেশ বিদেশের এমন কিছু বিষয় নিয়ে লিখুন যাতে পাঠকের আগ্রহ আছে কিন্তু জানবার পরিশ্রম করতে সে বিমুখ!" এখন আশীর্বাদ স্বরূপ আছে তথ্যের ডিজিটাল মহাসাগর। এখন জানবার আগ্ৰহ থাকলে খুব পরিশ্রম না করেও বাঞ্ছিত বিষয়ে কিছু ধারণা পাওয়া যায়। যাদের অন্বেষণ তৃষ্ণা প্রবল তারা ডুব দিতে পারে তথ‍্যসাগরের আরো গভীরে।
     
     
        আলোচ‍্য লাইভ পারফরম্যান্সটি ছিল একটি স্প্যানিশ গান Volver A Creer - ইংরেজি অনুবাদে Back to Believing যা আমি ইউটিউবের দৌলতে বছর ছয়েক আগে আচমকা দেখতে পাই।  তখন থেকে এই ভিডিও‌টি হয়তো বার ত্রিশেক দেখেছি। নিস্তব্ধ রাতে পদচারণায় কতবার যে শুনেছি ইয়ত্তা নেই। নানা ভুলভাল, বিরক্তিকর সাজেশন সত্ত্বেও মাঝে মধ‍্যে এই ধরনের কিছু রত্ন প্রস্তাব করার জন্য আমি YT অ্যালগরিদমের প্রতি কৃতজ্ঞ।
     
        গানটি ২০০৯ সালে মেক্সিকো সিটি থেকে ৩৮০ কিমি দক্ষিণে প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলের সমুদ্র বন্দর আকাপুলকোর একটি কনসার্ট হলে বিখ্যাত গ্রীক কম্পোজার ইয়ানির মিউজিক্যাল টিমের সাথে গেয়েছিলেন হোসে হোসে।   José José (১৭.০২.৪৮) মেক্সিকান গায়ক। ১৫ বছর বয়সে‌ই তিনি সঙ্গীত জীবন শুরু করেন, স্প্যানিশ সেরেনেড (Serenade) গেয়ে। ইংরেজি‌তে Serene অর্থ calm, peaceful, tranquil. সেরেনেড‌ও উচ্চকিত আঙ্গিক নয়, এক ধরনের শান্ত, হালকা, সুরেলা কণ্ঠে গাওয়া সঙ্গীত যা সাধারণত কারুর সম্মানে বা আনন্দ পরিবেশনে গাওয়া হয়। আভিধানিক অর্থে‌ Serenade মানে  to play a piece of music or sing for someone, especially for a woman while standing outside her house at night, for example - Romeo serenades Juliet in the moonlight. 
     
         তবে Extrapolated resonance বা প্রলম্বিত অনুরণনে মনে হয় সেরেনেড‌ধর্মী সঙ্গীত খানদানী ফাইন ডাইনিং রুফটপ রেস্টুরেন্টে উপস্থিত মান‍্যবর খাইয়ে-শ্রোতাদের সামনে গীটার বাজিয়ে গায়ক বা প্রেক্ষাপটে হালকা যন্ত্রানুষঙ্গের সাথে গায়িকা‌ও গাইতে পারে‌ন। তেমনি একটি গানের ভিডিও বার চল্লিশেক দেখেছি এবং শুনেছি পদচারণার সময় হেডফোনে। সেটি আ্যালিসা চিনয়ের ট্রেডমার্ক আলজিভ ছোঁয়া খনক সমৃদ্ধ গায়কীতে - "তিনকা তিনকা - জারা জারা …" - ওটা একটি বলিউডি বাণিজ্যিক সিনেমা - "করম" এর গান। সিনেমা‌টি‌র আবেদন‌ও মনে দাগ কেটেছিল।
     
        ফিরে আসি হোসে হোসে প্রসঙ্গে। সত্তরের দশকে তিনি খ‍্যাতি‌র তুঙ্গে পৌঁছে যান। বিভিন্ন চার্টের শীর্ষে পৌঁছয় তাঁর সঙ্গীত, আন্তর্জাতিক প্রশংসা অর্জন করেন, শ্রোতাদের ভালোবাসায় "দ্য প্রিন্স অফ মিউজিক" অভিধায় অভিহিত হন। যেমন লতা মঙ্গেশকর হয়েছিলেন নাইটেঙ্গল অফ ইন্ডিয়া। কিন্তু খ‍্যাতি চঞ্চলা লক্ষ্মী। সূর্যও মধ‍্যগগনে স্থিত থাকতে পারে না, তার‌ও ভবিতব্য "ঢল গয়া দিন, হো গয়া শাম।" দিগন্ত রেখায় ডুবে যাওয়া তার নিত‍্য নিয়তি। তার পরেও কিছুক্ষণ যা আকাশে ছড়িয়ে থাকে তা afterglow of twilight - গোধূলির অস্তরাগ। শ্রোতা, দর্শকের মনে বিস্মৃতির অন্তরালে চলে যাওয়ার আগের দশা। কখনো বা মধ‍্যগগনে‌র সূর্যে‌ও লাগতে পারে গ্ৰহণ বা ঢেকে যেতে পারে ঘন কালো মেঘে।
     
         তারকাদের জীবনে‌ এমন ঘটে‌ও থাকে‌। তাদের খ‍্যাতির বৃহস্পতি তুঙ্গে থাকা অবস্থা‌তেও তাতে লাগতে পারে শনি‌র দশা। তা হতে পারে অবিমৃষ‍্যকারিতা‌য় আমন্ত্রিত কারণে অর্থাৎ স্বখাত সলিলে ডুবে মরা। অথবা সেই রাহুর দশা হতে পারে ভাগ‍্যের মার অর্থাৎ পরিস্থিতির শিকার। তখন তা মেনে নেওয়া ছাড়া কিছু করা‌র থাকে না। হোসে হোসের পিতা ছিলেন মদ্যপ।  ছোটবেলায় হোহো বাড়ি ছেড়েছিলেন। বাবার পদানুসরণ করে হোহো ১৫ বছর বয়স থেকেই হৈহৈ করে মদ্যপান শুরু করেন। ক্রমশ হয়ে পড়েন পিতার মতোই মদ্যপ। একা রামে রক্ষে নেই সূগ্ৰীব দোসর প্রবচন অনুযায়ী হোহো কোকেনে‌ও আসক্ত হয়ে পড়েন।
     
       নানা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা তাঁর সঙ্গীত জীবনে বাধা সৃষ্টি করেছিল। তবু তিনি সুরাসক্তি কাটিয়ে উঠতে পারেননি।  ১৯৭২ সালে হোহো গুরুতর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলেন। একটি ফুসফুস স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেল। থোরাসিক ডায়াফ্রাম অবশ হয়ে গেল। অতঃপর ধরলো বেলস প‍্যালসি (Bell's Palsy) - এক ধরনের মৌখিক পক্ষাঘাত যা মানুষের মুখের আক্রান্ত এলাকায় মুখের পেশী সঞ্চালনায় বাধা সৃষ্টি করে। অন্তিম দশায় অক্ষম করে তোলে। তিনি যে ধরনের গান গাইতেন তার জন্য প্রয়োজন পরিমার্জিত ভয়েস মড্যুলেশন - তরঙ্গের মতো স্বরের কম্পন। ধীরে ধীরে তার কণ্ঠস্বরের অবনতি হতে থাকায় এই ধরনের গান গাওয়া তাঁর পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। ক্রমশ স্বাভাবিক কথাবার্তা বলা‌ও তাঁর পক্ষে একটি শ্রমসাধ্য প্রয়াস হয়ে ওঠে।

         ক্ষয়িষ্ণু স্বরে তিনি ২০০১ সালে একটি স্টুডিও অ্যালবাম রেকর্ড করেছিলেন। জনগণ সেভাবে নিলো না।  তারপরে‌ও কয়েকবার লাইভ পারফরম্যান্স করলেন। আশানুরূপ সাড়া পাননি। ১৯৬৩ সালে শুরু হ‌ওয়া এক সঙ্গীত‌ময় অধ‍্যায়ে‌র পরিসমাপ্তি হোলো ২০০১ সালের সেই শেষ স্টুডিও রেকর্ড দিয়ে। দূর্ভাগ্য‌তাড়িত জীবনে বিপত্তি সচরাচর একলা আসে না,  আসে সঙ্গী‌সাথী নিয়ে। ২০১৭ সালের মার্চে হোহো আক্রান্ত হলেন অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে। ২৮.০৯.১৯ মারণ রোগে মারা গেলেন ফ্লোরিডায়।
      
     
       জীবদ্দশায় এই সব কারণে ২০০৭ থেকে তিনি গভীর মানসিক অবসাদ বা Clinical Depressionএ ভুগতে শুরু করেন। ২০০৮ সালে ইয়ানি নতুন প্রজন্মের লাতিন আমেরিকা‌ন গায়কদের একজন ক্রিস্টিয়ান কাস্ত্রোর সাথে রেকর্ডিং করছিলেন। ক্রিস্টিয়ানের জন্ম ০৮.১২.৭৪ - সে কৈশর  থেকে দেখেছে হোহোর তীব্র জনপ্রিয়তা, খুব প্রভাবিত হয়েছে হোহোর গায়কীতে। হোহোর ঘনিষ্ঠ‌ও ছিল ক্রিশ্চিয়ান। একদিন ক্রিস্টিয়ান ইয়ানির রেকর্ডিং স্টুডিওতে নিয়ে এলেন হোহোকে।  ইয়ানি বড় মনের মানুষ। তখন সুপ্রতিষ্ঠিত হলেও গ্ৰীস থেকে আমেরিকা‌য় এসে তাঁর নিজের জীবনের শুরুয়াতী পর্বে পায়ের তলায় জমি খোঁজার দিন‌গুলি ভুলে যাননি। ক্রিস্টিয়ানের কাছে আগেই বিশদে শুনেছেন হোহোর জীবনের বিপর্যয় বৃত্তান্ত। সামনাসামনি হোহোকে দেখে উপলব্ধি করলেন - একদা সঙ্গীতের রাজকুমার তখন এক ঝড়ে বিধ্বস্ত মাস্তুলভাঙা বেহাল জাহাজ।
     
         হোহোর হারানো মনোবল ফিরিয়ে এনে, বড় মঞ্চ থেকে অনেক শ্রোতাদের সামনে আর একবার সঙ্গীত পরিবেশনের তাঁর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে ইয়ানি হোহোর জন‍্য একটি গান লেখার সিদ্ধান্ত নিলেন। সুর দিলেন হোহোর গায়কী‌র সেরেনেড‌ শৈলী বিবেচনা করে। আকাপুলকোর কনসার্ট হলে হোহোকে মঞ্চে ডাকার আগে ইয়ানি উপস্থিত দর্শকবৃন্দের সাথে পরবর্তী অতিথি শিল্পী‌র পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন - সেটাও আমি খুঁটিয়ে দেখেছি।
     
          ইয়ানির থেমে থেমে হোঁচট খাওয়া কন্ঠ থেকে বেরোনো শব্দগুলি ছিল গভীর সহানুভূতি মাখা।  শারীরভাষ‍্যে ছিল দ্বিধাগ্রস্ততা -  যেন দর্শকদের কাছে একদা সঙ্গী‌তের রাজকুমারের পরিচয় দেওয়া কী আমার সাজে? অকৃত্রিম আন্তরিকতার এহেন অভিব্যক্তি আরোপিত মনে হয় নি। এমন অভিব‍্যক্তি আসে গভীর উপলব্ধি থেকে যে যতই আমরা নিজেদের আজ মহান ভাবি না কেন হয়তো ভবিষ্যতে কখনো আমাদের কাউকে তলিয়ে যেতে হতে পারে অপ্রাসঙ্গিক বিস্মৃতির অতলে। 
     
        বোঝা‌ই যাচ্ছিল কথাগুলো বলতে খুব খারাপ লাগছে তাঁর। ইয়ানি শুরু করেছি‌লেন এই বলে - পরবর্তী শিল্পী‌র পরিচয় প্রদান অপ্রয়োজনীয়, কারণ তিনি একজন মেগাস্টার, তাঁর নাম‌ই যথেষ্ট। হলে সূচীপতন নীরবতা। ইয়ানি বলে চলেন, তবে এক সঙ্গী‌তশিল্পী হিসেবে কিছুদিন ধরে তিনি তাঁর কন্ঠস্বর নিয়ে কঠিন পরিস্থিতির মধ‍্যে দিয়ে যাচ্ছেন। তাই আমরা এক বছর ধরে ভেবেছি, চেষ্টা করেছি যদি তিনি আর একবার তাঁর স্বপ্ন‌পূরণ করতে পারে‌ন। আমরা তাঁর জন‍্য সমবেত‌ভাবে প্রার্থনা করছি। 
     
     
       পরবর্তী শিল্পী‌র নাম বলতেই সম্মান ও ভালবাসার উষ্ণতা ও আশ্বাস  মাখা উত্তাল করতালিতে মুখর হোলো হল। দর্শকবৃন্দ সমবেত‌ভাবে উঠে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানা‌লেন মঞ্চে আগত অতীতের রাজকুমার‌কে। নানা শারীরিক অসুবিধা, মানসিক অবসাদ সত্ত্বেও সেদিন ধপধপে সাদা স‍্যূটে ৬১ বছরের হোহো‌কে লাগছিল রাজপুত্র‌র মতোই। স্বপ্ন পূরণের আনন্দে ঝলমল করছি‌ল তাঁর বেলস প‍্যালসিতে আক্রান্ত মুখমণ্ডল।
          সঙ্গীত পরিবেশনের আগে হোহো  স্প্যানিশ ভাষায় দর্শকদের উদ্দেশ্যে কিছু সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। একটি শব্দ না বুঝেও, তাঁর শারীরভাষ‍্য ও কয়েকবার Gracias Gracias শুনে অনুভব করি তিনি ইয়ানি, ক্রিস্টিয়ানো, যন্ত্রশিল্পীবৃন্দ ও উপস্থিত দর্শকদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানালেন, তাঁকে এমন একটি সুযোগ দেওয়ার জন্য। কারণ তিনি নিজে‌ও বোঝেন যে তাঁর কন্ঠ এখন ঠিকমতো কথা বলা‌র উপযোগী‌ও নয়, সঙ্গীত পরিবেশন তো দুরের কথা।
     
        বিদেশের মানুষজন PDA বা Public Display of Affection এ স্বচ্ছন্দ। তাই সর্বসমক্ষে ওষ্ঠচুম্বন বা ভালুক আলিঙ্গনে তারা দ্বিধাহীন। কিন্তু PDE বা Public Display of Emotion এর ক্ষেত্রে তারা অতি সংযত। স্কুল শ‍্যূট‌আউটে সন্তান‌হারা মা কারুর কাঁধে মুখ রেখে কান্নায় ভেঙে পড়লে‌ও অনেক ক্ষেত্রেই বিপর্যয়ের অভিব‍্যক্তি, শোকের বহিঃপ্রকাশ সংযত, পরিমিত। তবু সেদিন আকাপুলকোর কনসার্ট হলে হোহোর পারফরম্যান্সের সময় দেখলাম মহিলা পুরুষ নির্বিশেষে কিছু দর্শকের চোখ অশ্রু‌সিক্ত। সঙ্গীত জীবনের শেষ লাইভ পারফরম্যান্সে হোহো গাইলেন‌ও প্রাণ ঢেলে। এই ধরনের পারফরম্যান্স দেখা একটি সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা।  আগ্রহী পাঠকদের জন্য গানটির ইংরেজি অনুবাদ নিচে দেওয়া হলো।
     
    পুনশ্চঃ
    ১. ২০০০ সাল থেকে প্রথমে ক‍্যাসেটে পরে MP3 ভার্সনে শুনে, YTতে দেখে আসছি ইয়ানি - তাই প্রথমবার হোসে হোসের কণ্ঠে গানটি শুনে‌ই মনে হয়েছিল এই সুর আগে ইয়ানি‌র অন‍্য কোনো কম্পোজিশনে শুনেছি। একটু খোঁজ করতেই পেয়ে গেলাম - এথেন্সে Live at the Acropolis এর ওপর ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত স্টুডিও এ্যালব‍্যাম‌টিতে যে এগারোটি সঙ্গীত পরিবেশিত হয়েছিল তার দশ নম্বর পরিবেশনা Reflections of Passion এর ওপরে‌ই ২০০৯ সালে আকাপুলকোর কনসার্ট হলে হোসে হোসে গাইলেন - Back to Believing. একজন উদীয়মান শিল্পী‌র প্রথম লাইভ পারফরম্যান্সের একটি পরিবেশনা হয়ে দাঁড়ালো বিদায়ী সঙ্গী‌ত রাজকুমারে‌র প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী  - কী আশ্চর্য কাব‍্যিক আপতন!
     
    ২. Volver A Creer গানটির দুটি ভার্সন YTএ আছে, একটি সংক্ষিপ্ত - তিন মিনিটের - অন‍্যটি দীর্ঘ - সাত মিনিটের - যাতে ইয়ানির দেওয়া হোহোর ইন্ট্রোডাকশন অংশটি আছে। লেখা‌র শেষে ঐ দীর্ঘ ভিডিওটি‌র লিংক রাখলাম।
    ৩. রাখলাম ইয়ানির মূল পরিবেশনা  Reflections of Passion এর লিংক।
    ৪. রাখলাম তিনকা তিনকা গানটির‌ও লিংক।
     
    ৫.  Volver A Creer (Spanish) 
    Back to Believing

    There are no befores or afters
    There are no clocks, Nor time,
    Only today, Living this way

    Without hesitation, Every instant
    A special charm, The traces of
    time on the skin weaving stories.

    That makes us grow, 
    allows us to believe.
    The world is the way it is, 
    The most beautiful is 
    what you never see.

    It's not what you have, 
    It's what you give, the simplest, 
    This is what is worth more.

    The sun will always rise
    The moon will keep making us 
    love eternally
    Reinventing passions with its light
    Allow yourself to feel,
    We must dare to guess.

    Without hesitation, without question,
    Accept life, come, open your heart,
    Embark on a new adventure of love
    Look deep within yourself,
    rescue the hope,
    Where the future of your presence exists, give in to the feeling.

    We must dare to intuit, 
    without hesitation, without question
    Accept life (coz) nothing will stop
    The Wheel of Life
    Makes you return
    Go back to being born
    Back to growing

    Back to believing …..
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • অন্যান্য | ০৭ অক্টোবর ২০২৩ | ৫৭৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন