এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন শয্যার নক্সীকাঁথা - ১

    Sudip Ghoshal লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৫ অক্টোবর ২০২৫ | ৬৬ বার পঠিত
  • | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২
    জীবনটা ঠিক ছবির মত। মনখেয়ালের তুলিতে রাঙানো যায় জীবনের ক্যানভাস।

    ইংরাজী ১৯২০ সাল। বৃটিশদের বিরুদ্ধেলড়াই চলছে জোর কদমে। তখনকার সময়ে রায় পরিবারের সুমনের জীবনের ঘটনা। সুমন যাত্রাদলে বাঁশি বাজায়। আর গোপনে বিপ্লবীদের সাহায্য করে নানারকমভাবে। ঠিক একশো বছর আগে রাশিয়ার অক্টোবর বিপ্লব বিশ্বের আরও অনেক দেশের মতো ভারতেও কমিউনিস্ট আন্দোলনের জন্ম দিয়েছিল। গত শতাব্দীতে ভারতের বামপন্থী রাজনীতিও নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে গেছে, আর তাতে অক্টোবর বিপ্লব তথা সাবেক সোভিয়েত রাশিয়ার একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ছিল আগাগোড়াই। রুশ বিপ্লবের নায়ক ভ্লাদিমির লেনিন বা তার উত্তরসূরী স্তালিন একটা পর্বে ভারতের কমিউনিস্টদের প্রবলভাবে আলোড়িত করেছেন, কিন্তু পরে চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লব বা মাও জে দংয়ের আবেদনই যে ভারতের বামপন্থীদের কাছে বড় হয়ে ওঠে তাতেও বোধহয় কোনও ভুল নেই। কিন্তু ভারতে কমিউনিস্ট আন্দোলনের ইতিহাসে একশো বছর আগেকার সেই অক্টোবর বিপ্লব ঠিক কীভাবে ছায়া ফেলেছে? বিশ্ব জুড়ে কমিউনিস্ট আন্দোলনের একটা মূল কথাই হল আন্তর্জাতিক সংহতি বা সলিডারিটি। সুদূর রাশিয়ার বলশেভিক বিপ্লবের ঢেউ ভারতে আছড়ে পড়েই যে এদেশে কমিউনিজমের বীজ রোপিত হয়েছিল তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে কোনও দ্বিমত নেই। পাঁচ ছেলের পরে আবার পুত্রসন্তান হয়েছে রায় পরিবারে। খুব সুন্দর দেখতে হয়েছে। কোনো লোকের যাতে নজর না লাগে তাই নাম রাখা হলো কালো। সুমনবাবু খুব খুশি। সুমনবাবুর বোন সুমিতাও খুব খুশি। সুমনবাবু খুব ভালো বাঁশি বাজান। যাত্রাদলে রাতের পর রাত তাকে বাঁশি বাজাতে হয়। আড় বাঁশি। তাই বেশির ভাগ রাতে তিনি বাড়ি ছেড়ে থাকেন। যাত্রাদলের মেয়ে রূপসী সুমনকে ভালোবাসে। সুমন সুদর্শন। ভালো চিত্রশিল্পী। সুমনরা দুই ভাই। বিমল তার ছোটো ভাই। সুমনের বৌ খেনী আর বিমলর বৌ কুড়ো। একদিন খেনী, কুড়ো আর বিমল গঙ্গায় স্নান করতে গেলো। বিমল সাঁতার জানে না। তাই কুড়ো বললো, বেশিদূর যাবে না। ভয় লাগে।
    --- ঠিক আছে যাব না।
    কিন্তু জোয়ারের টানে ভেসে গেলো কুড়োর সিঁদুর। বিমলকে খুঁজে পেলো না কেউ। তারপর কুড়োর সুন্দর চুলের বেণী কেটে ঝুলিয়ে রাখা হলো বাড়ির মাচায়। কুড়ো বাল্যবিধবা হলো। চিরজীবন বয়ে বেড়াবে কয়েক দিনের বিয়ের জীবনের স্মৃতি। খেনীর ছেলে কালো। খেনী নিজেওযেমন সুন্দরী আবার ছেলেটিও তাই। মহিলামহলে খেনীর রূপের খুব সমাদ। সুমন বাড়ি এলে বলে, তো মাকে আর বাঁশি বাজা তে হবে না। জমি জায়গা দেখাশোনা করার পর আমাদের আর কোন অভাব থাকবে না।
    সুমন বললো, দেখো আমি শিল্পী মানুষ। জমি জায়গা নিয়ে আমি থাকতে পারবো না।
    --- পারবো না বললে হবে না। ছেলে মানুষ করতে হবে। জমি বেদখল হয়ে যাবে।
    --- আমাকে বোঝার চেষ্টা করো দয়া করে। আমি শিল্পী মানুষ। আমি বাঁশি ছাড়া মৃত। আমাকে রেহাই দাও।

    খেনী চোখের জলে অন্য ঘরে চলে গেলো। তার সংসারের চিন্তায় মন খারাপ হয়ে গেলো। আজ রাতে গান নেই। তাই ছুটি। বাড়িতেই আছে। তবু রাতে বৌ এর কাছে না থেকে বাগানে বাঁশি বাজায় সুমন। তার সুর শুনে খেনীর ভয় হয়। এই আপদ বাঁশি তার সংসার ভেঙ্গে দেবে না তো? এই চিন্তায় খেনী রাত কাটায়। আর সুমন সারা রাত রূপসীকে মনে রেখে বাঁশি বাজায় ক্ষণে ক্ষণে। তারপর রাত পোহালেই চা, মুড়ি খেয়ে বেরিয়ে পরে সুমন। আজ যাত্রা আছে। মীরার বঁধুয়া। মুরা রী বাঁশি মুখে ধরে থাকবে আর আড়াল থেকে বাজবে সুমনের বাঁশি। আজ কৃষ্ণ সাজবে মুরা রী। মীরা মুগ্ধ হবে সুরে। রূপসী আজ মীরা সাজবে। কত লোকে হাততালি দেবে। পুরষ্কার পাবে মুরারী। রূপসী জানে, দলের সবাই জানে বাহাদুর বংশীবাদকের বাহাদু। তবু মুরারী নামের কাঙাল সেজে কপটতা করে। সুমনের তর উপর রাগ হয় না। কৃপা হয়। রূপসীর পিছন পিছন ঘুর ঘুর করে মুরারী। কিন্তু রূপসীর মন পায় না। রূপসী আড়ালে সুমনকে বলে, ডিম, দুধ খাবে। আমার কাছে আসবে। আমি দেবো।
    --- আমার বেশি খেলে বদহজম হয়। হাল্কা মুড়ি আমার প্রিয়।
    --- না না। মুখ দিয়ে রক্ত উঠবে।
    --- বেশি খেলে আমার বাজাতে কষ্ট হয়।
    --- ঠিক আছে। আমার কাছে এসে তুমি যখন বাঁশি বাজাও আমার মনটা কেমন হারিয়ে যায়।
    --- জানি আমি। তোমার জন্য আমি বাঁশি বাজাই। তুমি আমার বাঁশি শুনলেই হবে। আর কাউকে চাই না।
    সুমন বাঁশি বাজানোর সঙ্গে কোনো আপোষ করে না। তাতে না খেয়ে থাকতে হলেও থাকবে। কোনো আপত্তি নেই। অপরদিকে রাবণ অপেরা এদের প্রতিদ্বন্ধি। তারা সুমন কে নিজেদের দলে আনার জন্য নানারকম রাজনীতি করে। কিন্তু সুমন দল ছাড়বে না। মুরারী অপেরায় তার প্রিয়া রূপসী আছে। তাকে ছেড়ে কি করে সে বাঁশি বাজাবে। রাবণ অপেরার ম্যানেজার বললো , তোমার খুব অহংকার। আচ্ছা তোমাকে আমরা দ্বিগুণ টাকা দেবো। আমাদের দলে এসো।
    --- না আমি পারবো না। আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।
    --- আচ্ছা তোমাকে দেখে নেবো।

    নিরহঙ্কার সুমনের লোভ নেই। সে সুরে সুরে মহাসুরের সঙ্গে মিলতে চায়। সুমনের ছয় ছেলের মধ্যে এখন শুধু বেঁচে আছে কালো। একবার গ্রামে ওলাউঠা হয়েছিলো। সেই মহামারিতে মরে গেছে সুমনের পাঁচ সন্তান। খেনীর এখন একমাত্র ভরসা এই কালো। সে ভাবে, তাকে মানুষ করতে হবে। বাবার মত বাউন্ডুলে যেনো না হয়। ভাগীদার গণেশ হাজরা জমি দেখাশোনা করে। সুমন ছমাসে, নমাসে একবার বাড়ি আসে। টাকা পয়সা মাঝে মাঝে পাঠায়। এইভাবে সময়ের তালে তালে কালো পড়াশোনা শিখে বড় হতে থাকে। কেতুগ্রামের মেনকা সম্পর্কে খেনীর আত্মীয়। রূপে, গুণে, সংগীতে মেনকার জুড়ি মেলা ভার। পড়াশোনায় তার সমকক্ষ কেউ নেই। মেনকা গ্রামের আপদে বিপদে সকলের আগে এগিয়ে যায়। গ্রামের লোকেরা খুব ভালোবাসে মেয়োটিকে। ক্ষ্যান্তবুড়ি মরে গেলে মেনকা চাঁদা তুলে পাড়ার দাদাদের নিয়ে তার শবদাহ করেছিলো। গ্রামের বয়স্ক লোকেরা তাকে দুহাত তুলে আশীর্বাদ করেছিলেন। মেনকা নিজে একজন স্বাধীনচেতা তরুণী। নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে সমাজের মঙ্গল করাই তার লক্ষ্য। তার জন্য তিলে তিলে নিজেকে সে উপযুক্ত করে তোলে। এই গ্রামে এক সুদখোর লোক ছিলো। গরীবদের কাছে সে দশ শতাংশ হারে সুদ নিত। দেনা শোধ না করতে পারলে জমি জায়গা সোনাদানা কেড়ে নিত। মেনকা এই লোকটাকে দেখতে পারত না। তাকে দেখলেই রাগ হয়ে যেত। জব্দ করার ফন্দি আঁটত দিনরাত। মেনকা কৃষক পরিবারের সন্তান। সে হাঁস পুষত। তার হাঁসগুলো যখন ডানা ঝাপটে জলে নেমে ডুব দিত তখন সেও হাঁস হয়ে ডুব দিত অতল জলে। মক্ত খোঁজার আশায় তার ডুব। ডুবে ডুবে কখনও তার বেলা বয়ে যেত। কিন্তু মুক্ত তার অধরা রয়ে যেত। রাতে সে শিক্ষা নিত চাঁদের বাগানে। তার শিক্ষক বলতেন, চাঁদের বুকে অই যে কালো কালো দাগ দেখছো অইগুলো কলঙ্ক। তবু একটা তৃণ অবধি পৌঁছে যায় তার আলো। কাউকে বাদ দেয় না সে। তিনি মেনকাকে বলতেন, জীবনে যতই বাধা আসুক। এগিয়ে যাবার পথ থেকে সরে আসবে না। একদিন ঠিক সফলতা তোমার সঙ্গে সঙ্গে হাঁটবে। তারপর সকালে উঠেই মেনকা বই হাতে যায় শিক্ষকের বাড়ি। সঙ্গে ছাগল, ভেড়া, হাঁস। তাদের যথাস্থানে রেখে তারপর শিক্ষকের বাড়ি যায়।
    সুদখোর মহাজন মেনকাকে দেখে বললো, এই সুন্দরী শোন। এদিকে আয়।
    মেনকা বলে, কি বলছেন বলুন?
    --- একবার দুপুর বেলায় আমার সঙ্গে আমার বাড়িতে দেখা করিস তো।
    --- কেন? আমার সঙ্গে কি কাজ?
    --- গেলেই জানতে পারবে। মহাজন এমনি ডাকে না। তোমার কপালে আজ প্রাপ্তি্যোগ আছে। যেও বেশ।
    --- এমন আদরের ডাক কি আর ফেলতে পারি। যাব।

    ঠিক দুপুরবেলায় মেনকা তার দলবল নিয়ে হাজির হলো মহাজনের বাড়ি। সবাই ভূতের সাজে উঠে পড়েছে আম গাছে। পাকা আম। সব পেড়ে খাচ্ছে সকলে। মেনকা সাদা শাড়ি পরে কড়া নাড়লো মহাজনের দরজায়। মহাজন বাইরে বেরিয়ে মেনকাকে দেখে পাগলপ্রায়। গায়ে হাত দিয়ে বলে, আয় ভেতরে আয়।
    --- যাব? আমরা ভূত পেত্নির দল তোর বাগানে থাকি। আজ মেনকার সাজে তোর কাছে এলাম। অই দেখ তোর বাগানে কত ভূত।
    মহাজন খুব ভিতু। ভূতের ভয়ে সে রাতে বাইরে বেরোয় না। ভয়ে বললো, তোরা ভূত। ওরে বাবারে, আমার সব আম শেষ করে দিলো রে।
    সঙ্গে সঙ্গে মহাজনের গালে এক থাপ্পড়। মহাজন জোড় হাতে ক্ষমা চাইছি। আমাকে ছেড়ে দাও।
    --- ছেড়ে দিতে পারি। একটা শর্তে। যত দলিল, সোনা তুই চুরি করেছিস সবাইকে ফেরত দিবি। তা না হলে আবার আসবো।
    --- না না। আমি সব দিয়ে দোবো। আমি আর সুদের কারবার করবো না।

    তারপর কিছুদিন পর সুদখোর মেনকার বাবার জমির দলিল ফেরত দিয়েছিল। হয়ত ভূতের ভয়ে তা না হলে লোকবলের ভয়ে। মেনকার বাবা বলতেন, মনে রাখবি মা, জল জল গঙ্গাজল। আর নল, বল লোকবল। বল বা শক্তির মধ্যে লোকবল শ্রে। তার প্রমাণ মেনকা হাতেনাতে পেলো। সুদখোর মেনকার সামনা সামনি হয়নি আর কোনো দিন। মেনকা জানে, ওরা সবলের ভক্ত আর দূর্বলের যম। মেনকার সঙ্গে সবসময় বন্ধুরা থাকত। প্রায় বিশ পঁচিশজন গ্রামের ছেলেময়ে খেলা করত একসাথে। দলবল নিয়ে গ্রামের বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক কাজ করত নিঃস্বার্থভাবে। মেনকা এইভাবে বড় হতে লাগলো। তারপর সে গ্র্যাজুয়েট হলো। তার বাবা এখন খুব খুশিমনে কৃষিকাজ করেন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন